নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়। -জীবনানন্দ দাশ

কুশন

আমার জন্ম ফরিদপুরের সালতা গ্রামে। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। আমার বাবা একজন কৃষক। বাবার সাথে বহুদিন অন্যের জমিতে কাজ করেছি।

কুশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবুন, ভাবুন এবং ভাবুন

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:০২



একজন শিশু জন্ম দেয়া কি খুব বেশি প্রয়োজন? একটি ছেলে-মেয়ের বিয়ের পর আত্মীয় স্বজন সবাই বাচ্চার জন্য তাড়া দেয় কেন? বাচ্চা না নিলে সমস্যা কি? এই ঘুনে ধরা সমাজে একটি বাচ্চাকে পৃথিবীতে নিয়ে আসার কোনো মানে হয় না। এই সমাজ, দেশ এবং দেশের মানুষজন তো সহজ সরল সুন্দর নয়। একটা শিশু জন্ম নেয়ার পর থেকে, বড় হতে থাকবে, আর পদে পদে ধাক্কা খাবে। স্কুলে ভর্তি হতে নানান সমস্যা, খাদ্যে সমস্যা, পাড়ায় মহল্লায় সব জাগায় সমস্যা। বড় হবে নেশা করবে, প্রেম করবে, পরকীয়া করবে। শিশুটি বড় হবে হাজার হাজার সমস্যার মধ্যে দিয়ে। শিশুটির চলার পথ মসৃন থাকবে না। পথ থাকবে নানান কাটাময়। জটিল, কুটিল।

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই দরিদ্র। তারা অভাবে-অভাবে বড় হয়। লেখা-পড়া শিখে, কোনো একটা চাকরি করে, ডাল ভাত খেয়ে জীবন পার করে দেয়। শান্তি, আনন্দ আর বিনোদন বলতে তাদের কিছু থাকে না। ধনীর ঘরে শিশু জন্মালেও সমস্যা আছে। তারা বড় হয়ে ভালো মানুষ হবে না জঙ্গি হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই সমাজে কেউ ভালো থাকতে পারবে না। কেউ না।

দিনদিন পৃথিবীটা নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে। কাজেই আমি মনে করি, এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে একটা শিশুকে ছেড়ে দেওয়া আর আগুনে ফেলে দেয়া একই কথা। বর্তমান যুগে যেসব বাবা-মা এই ভয়ংকর পৃথিবীতে শিশু জন্ম দিচ্ছেন- তারা কি একবার ভাবেন(?) তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে কোথায় রেখে যাচ্ছেন? আপনারা ছেলে-মেয়ে জন্ম দিবেন, লেখাপড়া শেখাবেন, বিয়ে দেবেন- তারপর আপনারা মরে যাবেন। আর যতদিন আপনার ছেলে-মেয়ে বেঁচে থাকবে তাদের যুদ্ধ করে যেতে হবে। আমি বলব, কেন তাদের এই ভয়ঙ্কর দুনিয়াতে আনলেন? প্রতিটা মুহূর্ত যুদ্ধ করার জন্য, কষ্ট করার জন্য?

জন্মের সময় আমাকে যদি বলা হতো- 'তুমি কি পৃথিবীতে যেতে চাও? আমি চিৎকার করে বলতাম- না, আমি যাব না। এখন আমাকে প্রতিটা দিন যুদ্ধ করতে হয়, আমি শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারি না। কোথাও শান্তি নেই। মানুষ আর মানুষ নেই, তারা পশুর চেয়ে বেশি নিষ্ঠুর। তাদের মন মানসিকতা নোংরা। হিংসুটে, লোভী, চতুর। যত খারাপ বিশেষণ আছে- সব বললেও কম বলা হবে। আমার বাবা-মা যদি আমাকে পৃথিবীতে না আনতো- তাহলে কি আমাকে প্রতিদিন যুদ্ধ করতে হতো? হিমসিম খেতে হতো? মিথ্যা বলতে হতো? প্রতারনার স্বীকার হতে হতো? কুকুরের মতো পরিশ্রম করতে হতো? অভাবে-অভাবে জীবন যাপন করতে হতো? টেনশনে থাকতে হতো? ভয়ে থাকতে হতো? কারো গোলাম হতে হতো? খাওয়া পড়ার চিন্তা করতে হতো? অসুখ বিসুখের চিন্তা করতে হতো? আরও কত কি...

ধরে নিলাম, আপনি বিয়ে করেছেন। মোটামোটি একটি চাকরি করছেন। বিয়ের দুই বছর পর একটা মেয়ে শিশুর জন্ম দিলেন। এই মেয়েকে অনেক আদর ভালোবাসা দিয়ে বড় করছেন। লেখা-পড়া শেখাচ্ছেন। মেয়েটি বড় হবে- আর আপনার টেনশন বাড়তে থাকবে। এই আধুনিক যুগেও একটি মেয়ে আজও কোথাও নিরাপদ না। যে কোনো সময় ধর্ষণ এর স্বীকার হতে পারে, অথবা এক বখাটের সঙ্গে পালিয়ে কোথাও চলে যেতে পারে অথবা কোনো চতুর লোভী ছেলে প্রেমের অভিনয় করে- পেটে বাচ্চা দিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেল অথবা দিনের পর দিন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আপনার মেয়েকে ভোগ করতে থাকলো। তখন আপনার মান সম্মান কোথায় যাবে? এই যে তিলে তিলে কত কষ্ট করে, কত আদর ভালোবাসা দিয়ে মেয়েকে বড় করলেন- তার ফলাফলটা কি দাঁড়ালো শেষ পর্যন্ত? এখন হয়তো, আপনি বলবেন- আমার মন মানসিকতা খুব নিচু। ঠিক আছে, তাহলে ধরে নিলাম- আপনার মেয়ে ধর্ষণ এর স্বীকার হলো না, বা কোনো ছেলে প্রেম ভালোবাসার সস্তা কথা বলে তাকে বিছানায় নিলো না, কিংবা কোনো বখাটের পাল্লায়ও পড়লো না। মেয়েকে বড় করলেন, লেখাপড়া শেখালেন- তারপর ভালো একটা ছেলের সাথে ধূমধাম করে বিয়ে দিয়ে দিলেন। বিয়ের পর যে সেই সংসার টিকবে তার নিশ্চয়তা কি? মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার সাথে ভালো আচরণ করবে তার নিশ্চয়তা কি?

এবার ধরুন, আপনার একটি ছেলে সন্তান এর কথা। অনেক আদর ভালোবাসা দিয়ে তাকে বড় করলেন, লেখা-পড়া শেখালেন। এই ছেলে- জঙ্গি হবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? এই ছেলে কোনো প্রেমেকে ধর্ষণ করবে না- তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? সে যে একজন ঘুসখোর হবে না, অসৎ হবে তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? এই সমাজে কে ভালো? কার মধ্যে সততা আছে? মমতা আছে? আপনি হাজার চেষ্টা করলেন, আপনার ছেলে-মেয়েকে পৃথিবীর কোনো পাপ স্পর্শ করতে পারল না। কিন্তু আপনি কতদিন বাঁচবেন? এই সমাজ, এই দেশ দেশের মানুষ কাউকে ভালো থাকতে দিবে না।

বাবা-মা তো ছেলে মেয়ে জন্ম দিয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখেন, আমার ছেলে ডাক্তার হবে, আমার মেয়ে ইঞ্জিয়ার হবে। হেন হবে, তেন হবে। আসলে হয় ভন্ড, লুচ্চা আর বদমাশ। কিন্তু কোনো বাবা-মা'ই স্বীকার করবেন না। সব বাবা-মা'র চোখেই তার ছেলে-মেয়ে খারাপ না। তাহলে এই সমাজের নষ্ট ছেলে-মেয়ে গুলো কাদের? কয়জন বাবা-মা'র ছেলে ভালো হয়? স্কুলের বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা প্রেম করে, গাঁজা খায়। রাত জেগে মোবাইলে কথা বলে, কোচিং এর কথা বলে বন্ধুর খালি ফ্লাটে গিয়ে সেক্স করে। আর যারা খুব সাহসী তারা ভিডিও করে রাখে। পরে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে, সেই সব ভিডিও দেয় নেটে ছেড়ে। এই সবই অহরহ ঘটছে এখন। প্রতিটা ঘরে ঘরে। সেক্সের ব্যাপারে ধনী গরীব বুড়ো জুয়ান কেউ পিছিয়ে নেই। সবাই এগিয়ে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বলে একটা সস্তা কথা আছে। আরও হাস্যকর কথা হলো- পুরুষ চায় তার জিন টিকিয়ে রাখতে, তাই যত বেশি সেক্স তত সম্ভবনা.. তাই পুরুষের বীযে` মিলিয়ন মিলিয়ন সুক্রানু...। সারভাইভাল অফ ফিটেস্ট। আপনি হয়তো বলবেন, কিন্তু আমরা মানুষ। আমাদের আবেগ/চিন্তা/বিবেক আছে.... তাই সবাই পশুর মতন চিন্তা করেনা.... কিছু মানুষের মতন চিন্তা করে.... কাজেই আপনি বিয়ে করেছেন, এখানেই থামুন। ছেলে-মেয়ে জন্ম দিবেন না। কি দরকার লুচ্চা বদমাশ জন্ম দিয়ে। হুম... যদি আপনার ছেলে-মেয়ে আইনস্টাইন হয়, মদার তেরেসা হয়, রবীদ্রনাথ হয়, বঙ্গবন্ধু হয়, স্টিভ জবস হয়, টমাস আলভা এডিসন হয়, উইলিয়াম শেক্সপিয়ার হয়, অ্যারিস্টটল হয়, স্বামী বিবেকানন্দ হয়, রবার্ট ফ্রস্ট হয় তাহলে জন্ম দেন। প্রতি বছর জন্ম দেন। কোনো সমস্যা নাই।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:১৪

জাদিদ বলেছেন: আপনি মানসিক চিকিৎসা করেন। ইদানিং ব্লগে এই ধরনের প্রচুর মানুষ দেখা যাচ্ছে।
মানসিক অসুস্থতা অন্য যে কোন স্বাভাবিক সমস্যার মতই অসুখ।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৯

কুশন বলেছেন: হো হো হো---
জাদিদ ভাই আমি বাস্তব কথা বলেছি। বড় বেশি বাস্তব কথা বলেছি। কাল্পনিক জগত থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি পড়ার সময় প্রশ্নফাঁস হতো? নাকি, এখনো পড়ছেন?

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১১

কুশন বলেছেন: না আমি প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের না।
খুব পড়েছি। পড়ে পাশ করেছি।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৫৬

সাসুম বলেছেন: আপ্নার পোস্ট এর টপিক ঠিক আছে। কিন্তু টপিক ঠিক থাক্লেও আপনি যেই কজ বেছে নিয়েছেন তা একদম খচ্চর টাইপের।

টপিক ঠিক আছে বলতে কি বুঝিয়েছিঃ জন্ম হার কমানো উচিত। এম্নিতেই দুনিয়া মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। দরকার এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি মানুষ এসে ভরে গেছে এই দুনিয়া এবং আমাদের অবশ্যই সন্তান নেয়ার আগে ১০ বার চিন্তা করা উচিত কেন এবং কি কারনে আমরা সন্তান নিতে চাচ্ছি। সেই সন্তান কে সু সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারব কিনা, দায়িত্ব নিতে পারব কিনা এবং সর্বোপরি মানুষ বানাতে পারার চ্যালেঞ্জ নিতে পারব কিনা। এসব যদি কেউ মানতে পারে এবং মনে করে সে একটা প্রাণ দুনিয়াতে এনে দুনিয়াটারে ভাগাড় বানানোর পরিবর্তে সুন্দর করতে পারবে এবং তার ফিউচার লিগেসি টিকিয়ে রাখতে পারবে তাহলে তার সন্তান অবশ্যই নেয়া উচিত।

বাট বেশির ভাগ বাংগু কু শিক্ষিত অশিক্ষিত জংগির ধারনা- মুখ দিছেন যিনি আহার দিবেন তিনি। এই নীতিতে ২০ বছরের বৈবাহিক জীবনে সন্তান ১৪ টা। না পারছে এদের সু সন্তান বানাতে না পারছে মানুষ বানাতে। হইছে- অমানুষ, চোর, বাটপার, জংগি আর মজিদ।

কেন আপনার কজ কে খচ্চর মার্কা বলেছিঃ আপনি বলছেন আপনি যাই করেন না কেন, আপনার সন্তান কি চোর ডাকাত জংগি রেপিস্ট ঘুষখোর হবেনা তার সিউরিটি নাই।

এই যায়গায় আপনি ভুল। মানব সন্তান দুনিয়ার একমাত্র প্রজাতি যারা পুরোপুরি এডাল্ট হবার আগ পর্যন্ত পিতামাতার উপর নির্ভরশীল। সন্তান ভাল মানুষ হবে নাকি জংগি তালেবান হবে তা দুনিয়ার একমাত্র পিতামাতার কাজের উপর নির্ভর করে।

আপনি আপনার সন্তান কে কেমন করে বড় করবেন সেটাই ডিফাইন ক্করবে সে মানুষ হবে নাকি প্যারা মজিদ হবে। এখানে আপনি এবং আপনার পার্টনার ছাড়া আর কারো কোন দায় নেই।

সো, সন্তান চোর ডাকাত রেপিস্ট জংগি হবে তাই সন্তান দুনিয়াতে আনার দরকার নাই এটা একটা ভেগ স্টেটমেন্ট

বরং,


আপনি ও আপনার পার্টনার সন্তান কে মানুষ কর‍তে পারবেন না তাই আনার দরকার নাই। যে কোন প্রজাতি তার ডী এন এ টিকিয়ে রাখতে চাইবে। এটা ন্যাচারাল ফেনোমেনা। মানুষ ও একটা এনিমাল , প্রজাতি মাত্র। তবে, সব প্রজাতির একটা শেষ আছে। একদিন বিদায় নিতে হবে। মানুষ কেও। এখন- আপনার করনীয় এক্টাই।

আপনি আপনার অফস্প্রিং আনার চিন্তা করুন তখন ই যখন আপনার মনে হয়- এই দুনিয়ার জন্য একজন ভাল মানুষ করতে পারবেন তাকে।


জাস্ট সেক্স করছেন আর বাচ্চা চলে আসছে বা মুখ দিছেন যিনি আহার দিবেন তিনি বা যত বেশি মোসলমান পয়দা করতে পারবে তত বেশি কাফের দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে- এরকম মেন্টালিটির লোকদের সন্তান জন্ম দানের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করা হোক।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১২

কুশন বলেছেন: আপনার কথা আমি বুঝেছি। কিন্তু আপনি আমাকে পুরোপুরি বুঝেন নাই।
বাংলাদেশের মানুষ এবং সমাজ কি রকম তা আপনি হয়তো পুরোপুরি জানেন না।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১০

বিটপি বলেছেন: মোসলমান বেশি জন্ম দিলেই যে কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে - এ ধরণের কথা যেসব ছাগল বলে, বুঝতে হবে তাদের কাঁঠালপাতায় গাঞ্জার ভেজাল দেয়া আছে। কোন জাতির শক্তি তার সংখ্যার উপর নির্ভর করেনা। মোঙ্গলরা মাত্র লাখখানেক সোইন্য নিয়ে গোটা দুনিয়ার অর্ধেকের বেশি দখলে নিয়েছিল মাত্র অর্ধশত বছরে। মুসলিম শাসনের স্বর্ণযুগে মুসলিমেরা সংখ্যায় খুব কম ছিল কিন্তু তখন যে কোন শক্তি মুসলিমদের মোকাবেলা করতে ভয় পেত।

কবি নজরুল বলেছেন, "এক মাঠ আগাছা অপেক্ষা একটা মহীরুহ শ্রেয়"। তাই জনসংখ্যা বাড়ানো নয়, বরং সীমিত জনসংখ্যাকে সুশিক্ষিত করে তুলতে পারলেই লক্ষ্য অর্জিত হবে।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৩

কুশন বলেছেন: আরেহ নাদ দেন।
আমি যা বলেছি চুপ করে মেনে নেন। তাতেই মঙ্গল।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

নতুন বলেছেন: এবার ধরুন, আপনার একটি ছেলে সন্তান এর কথা। অনেক আদর ভালোবাসা দিয়ে তাকে বড় করলেন, লেখা-পড়া শেখালেন। এই ছেলে- জঙ্গি হবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? এই ছেলে কোনো প্রেমেকে ধর্ষণ করবে না- তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? সে যে একজন ঘুসখোর হবে না, অসৎ হবে তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? এই সমাজে কে ভালো? কার মধ্যে সততা আছে? মমতা আছে? আপনি হাজার চেষ্টা করলেন, আপনার ছেলে-মেয়েকে পৃথিবীর কোনো পাপ স্পর্শ করতে পারল না। কিন্তু আপনি কতদিন বাঁচবেন? এই সমাজ, এই দেশ দেশের মানুষ কাউকে ভালো থাকতে দিবে না।

আপনি কি জঙ্গী বা ধর্ষক বা ঘুষখোর, অসত হয়েছেন?

আপনার হয়তো এখনো শিশুর প্রতি ভালোবাসা জন্মেনাই।

মানুষ নিজের জীবনকে সবচেয়ে ভালোবাসে। কিন্তু বাবা/মা তার সন্তারের প্রয়োজনে জীবন দিতে দ্বিধা করেনা।

একটা বয়স পযন্ত মানুষ বাচ্চা পছন্দ করেনা। অনেকের মাঝেই এটা দেখেছি। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে পরিবর্তন আসবে। আপনিও হয়তো শিশুদেের পছন্দ করবেন।

দুনিয়াতে কিছু মানুষ আছে যারা শিশুদের পছন্দ করেনা।
https://www.bustle.com/articles/181411-why-some-people-dont-like-babies-or-even-think-theyre-cute

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৫

কুশন বলেছেন: শিশুদের আমি ভালোবাসি। কিন্তু এই শিশু একদিন বড় হবে। সে কেন ভুলে যাচ্ছেন? সমাজের সব দুষ্টলোকই একদিন শিশু ছিলো।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

রবিন.হুড বলেছেন: ইতিবাচক চিন্তা করুন। নিজে মানুষ হন অপরকে মানুষ করা চেষ্টা করুন। সমস্যার মাঝে সম্ভাবনা খুঁজে বের করুন। আপনি যে সমস্যা উল্লেখ করেছেন তা প্রতিনিয়ত আমি আপনি সবাই অনুভব করছি। সমস্যা দেখে পালানো যাবে না। সমাজ আপনার তা বদলানোর দায়িত্বও আপনার। আমাদের মানুষ হতে হলে ষড়রিপু দমন করতে হবে।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৬

কুশন বলেছেন: সহমত।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: হা হা হা... আপনার পোষ্টটা পড়ে মনে হলো, আপনি এক ধরনের ফ্রাস্টেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন!
যাইহোক, ভাবছেন অনেকেই এবং মন্তব্য করেছেন। আপনার উচিত মন্তব্যগুলো জবাব দেয়ার, খন্ডানোর।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৬

কুশন বলেছেন: হ্যাঁ মন্তব্যের উত্তর দেওয়া উচিত। তাতে অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যায়।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩২

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে
======================
=< শিশু সন্তান স্বামী-স্ত্রীর সুখ। সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় সন্তানের হাসিতে। শিশু সন্তানকে লালনপালনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কর্মব্যাস্ততায় সুখকর সময় অতিবাহিত করে - সুতরাং মানসিক সুখের আধার পেতে সন্তান নেওয়া জরুরী।
=< দারিদ্রতা: ইতিবাচক ভাবে ভাবুন। অভাবকে সাথী করে অনেকেই সৎ, নিষ্ঠাবান, সুখী জীবন যাপন করছে।
=< শিশু বড় হয়ে কে কি হবে তা নির্ভর করছে পরিবার থেকে কি ধরনের শিক্ষা পাচ্ছে। কিছুটা নির্ভর করে কোন ধরনের সমাজে শিশু বেড়ে উঠছে। ধর্ষক/জঙ্গী/বিপথগামী হবার জন্য শিশু দায়ী নয় বরং পরিবার থেকে সুশিক্ষা আর সুষ্ঠ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিৎ আমাদের সবার।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৭

কুশন বলেছেন: বইয়ের কথা জীবন চলে না। বই পড়ে আপনি সাঁতার শিখতে পারবেন না।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১১

মিরোরডডল বলেছেন:


রাজীব নূর ওরফে কুশন, নিজে দুই মেয়ের বাবা হয়ে তারপর এই পোষ্ট ?


২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৮

কুশন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি বুঝতে পারলাম না।
রাজীব নামের কাউকে আমি চিনি না।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিরোরডডল - কি সর্বনাশ! বলেন কি আপনি!!!???

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৮

কুশন বলেছেন: লোকের কাজ বলা। লোক তো কত কথা, নানা রকম কথা বলবেই।

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: মিরোরডডলপনি ভুল বলেছেন।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৯

কুশন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাজীব নূর ব্লগারদের চোখের সামনে পাগল হয়ে যাচ্ছে। উন্নতির কোন লক্ষণ নাই।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০১

কুশন বলেছেন: আপনার সেই বিরল প্রতিভা আছে, ক্যাচাল লাগানোর। ভালো মানুষকে মন্দ মানুষ বানিয়ে দেওয়া। এগুলো করা ঠিক না। নিজে ভালো থাকুন। অন্যকেও ভালো থাকতে দিন। প্লীজ।

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: আমারও এই নিকটি রাজীব নূরের নিক বলেই মনে হচ্ছে।
আপনার লেখার ধরন অনেকটাই..... ;)

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০২

কুশন বলেছেন: হো হো হো--------

১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি বলাতে, বললেন ক্যাচাল করি। আর আপনার বন্ধু ইসিয়াক ভাই বলাতে হো হো হো করলেন। ইসিয়াক ভাইয়ের কথাটা সত্যি। আমারটা বাদ দেন।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৫৩

কুশন বলেছেন: ইসিয়াক নামের কাউকে আমি চিনি না। সে আমার বন্ধু হলো কি করে? আমি হেসেছি মানুষের ''নির্বোধ'' হওয়া দেখে।

১৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: হো হো হো ..।

মন্তব্য প্রতি মন্তব্য পড়ে এখনও হাসছি .........।

ভালো থাকুন শুভকামনা রইলো।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০৪

কুশন বলেছেন: জোর করে হাসেন কিভাবে? আমি তা পারি নাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.