নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়। -জীবনানন্দ দাশ

কুশন

আমার জন্ম ফরিদপুরের সালতা গ্রামে। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। আমার বাবা একজন কৃষক। বাবার সাথে বহুদিন অন্যের জমিতে কাজ করেছি।

কুশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাদের মুখোশ

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৩



গ্রাম থেকে যে সমস্ত ছেলেরা ঢাকায় আসে তাঁরা বড় ভয়ঙ্কর হয়। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হয় গ্রামের মাদরাসা থেকে আসা ছেলে গুলো। এরা প্রথমে ঢাকায় এসে সব আউলায়ে ফেলে। যা দেখে তাতেই তাদের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। মেয়েদের দিকে ভুবুক্ষের মতো চেয়ে থাকে। রাত্রে তাদের ঘুমের সমস্যা হয়। ফেসবুকে সুন্দরী মেয়েদের বন্ধুদের আহবান জানায়। খাতির জমাতে চেষ্টা করে। কোনো কোনো মেয়ে পটেও যায়। মেয়েদের খুশি করতে কেউ কেউ গল্প কবিতা লিখে। কয়েকটা গল্প কবিতা লিখে নিজেকে বড় লেখক ভাবতে শুরু করে। দিনের পর দিন দামী পারফিউম মেখেও গ্রামের গন্ধ তাঁরা শরীর থেকে মুছতে পারে না। ঢাকা শহরের সমস্ত বদ এবং বদমাশ গুলো গ্রাম থেকেই উঠে এসেছে। গ্রাম থেকে আসা সব মানুষই বদ হয় না। অল্প কিছু বদ। এই অল্প কিছু বদের জন্য সকলের বদনাম হয়। এই বদ গুলো সমাজের সবর্ত্র ছড়িয়ে আছে।

তুমি শালা কোনো দিনই ভালো লেখক হতে পারবে না। তুমি মূলত একটা চোর। অন্যের লেখা চুরী করো। এটা বাংলাদেশ বলেই তুমি অন্যের লেখা চুরী করে পুরস্কার পেয়ে গেছো। আর নিজের জ্ঞান দিয়ে তুমি যে সমস্ত গল্প লিখেছো তা অতি নিম্মমানের হয়েছে। এমনই পোড়া কপাল আমাদের এখন তোমার কাছ থেকে আমাদের জানতে হয়- সাহিত্য কেমন জিনিস? বা সাহিত্য কোনটা। অথচ তুমি অনার্স মাস্টার্স পড়নি। মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছো। যতই গোপন রাখো আমি তা জানি। জানি তোমার সমস্ত অতীত ইতিহাস। একদিন তোমার ইতিহাস সকলের সামনে আনবো। ততদিন পর্যন্ত তুমি লাফালাফি করতে থাকো। তোমার মতো কুইষ্টা এই ঢাকা শহরে আর একটাও নাই। অথচ কি মহৎ সেজেই তুমি থাকো সকলের সামনে। আমি আর চার বছর পর দেশে ফিরবো। তখন তোমাদের শিক্ষা দিবো। তোমাদের অপরাধ গল্প কবিতা দিয়ে আড়াল করতে পারবে না।

সরকারী চাকরীর মজাই অন্য রকম। অফিসের কাম কাজ বাদ দিয়ে তুমি এসি ছেড়ে সাহিত্য করে বেড়াও। শুনলাম চল্লিশ-পঞ্চাশটা বইও লিখে ফেলেছো। হারামজাদা তোমার ভন্ডামী বের করবো। কানটা টেনে ছিড়ে দিবো। খারাপ মানুষ কখনও ভালো সাহিত্যিক হতে পারে না। তুমিও পারবে না। সরকারী চাকরী না করলে তুমি লন্ডন, জাপান আর অস্টেলিয়া যেতে পারতে না। একটা বইও ছাপাতে পারতে না। তোমাকে আমি শাস্তি দিবো- কারন তুমি অফিসে বসে সাহিত্য করো। সরকারী অফিস কি সাহিত্যের জায়গা? সাহিত্য তোমার পাছা দিয়ে ঢুকাবো হারামী। শুয়োর কা নাচ্চা চ্যাটাং চ্যাটাং কথা থামাও। ভালো মানুষ হও। নইলে তোমার খবর আছে। নিজেকে পন্ডিত ভেবো না। অসৎ মানুষ সাহিত্যিক হতে পারে না। তুমি অসৎ এবং ভন্ড। অথচ তুমি চিৎকার করে বলো- আমি ঘুষ খাই না। কিন্তু আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবাই খায়। তুমি সাধু সেজো না। সাধু হও। তুমি ফাঁকিবাজ এবং লোভী। খুব শ্রীঘই তোমাকে ধরবো। তোমার মুখোশ খুলে দিবো। সেই দিন খুব দূরে নয়।

তুমি ফকিন্নির পোলা বড় বেশী ভাব দেখাও। গ্রাম থেকে এসেছো। মাদ্রাসায় পড়েছো। তোমার বাপ আরেকটা বিয়ে করে তোমাদের ছেড়ে চলে গেছে। খেয়ে না খেয়ে বড় হয়েছো। অসৎ ভাবে গ্রামে বিল্ডিং করেছো। ব্যাংকে মোটামোটি ভালো টাকা জমিয়েছো। সবই আমি জানি। সব খবর আমার কাছে আছে। তুমি টাকার জন্য সহজ সরল মানুষদের অনেক ক্ষতি করেছো। নিজের আখের গুছিয়েছো। এখন তুমি সুন্দর একটা মুখোশ পড়ে ঘুরে বেড়াও। নিজের নামের শেষে সাহিত্যক লাগাও, গল্পকার লাগাও। শোনো, খারাপ মানুষ, চালাক মানুষ, বদ মানুষ কোনো দিনও ভালো সাহিত্যিক হতে পারে না। তুমিও পারবে না। তোমার লেখার মধ্যে তোমার কলুষতা ফুটে উঠে। আর মাত্র চার বছর পর তোমার খবর আছে। তোমার সকল বদমাশির শাস্তি তোমাকে পেতে হবে। শুনলাম, তুমি ওয়াশরুমে পত্রিকা নিয়ে না বসলে তোমার পটি হয় না? সকালের নাস্তায় নাকি তোমার চার রকমের জুস লাগে? এত পরিবর্তন করলে কি করে? আমি তো তোমাকে দেখেছি টাকার অভাবে সকালে ছাতু খেতে।

গ্রাম থেকে শহরে আসা অন্যায় না। টাকার অভাবে স্কুলে না পড়ে মাদরাসায় পড়া অন্যায় না। কিন্তু তোমরা শহরে এসে মানুষের ক্ষতি করেছো। মানুষকে পথে বসিয়েছো। ভালো মানুষের কাঁধে ভর করে উপরে উঠে সেই মানুষকে লাথথি দিয়েছো। এখন নিজের নামের শেষে সাহ্যিতিক লাগাও, গল্পকার লাগাও। নিজের অপরাধ বা অতীত ঢেকে রাখার জন্য নামের শেষে যত যা-ই লাগাও না কেন- আমার কাছ থেকে লুকাতে পারবে না। আমি তোমাদের শাস্তি দিবো। কঠিন শাস্তি। তবে তোমরা যদি তোমাদের অপরাধ নিজে থেকেই শিকার করো তাহলে আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিবো। তোমাদের অত্যচারেই আমি আজ দেশ ছাড়া। নিজের বাবা মাকে দেখতে পারি না। অসুস্থ হলে সেবা যত্ন করতে পারি না। আমার মতো অনেক মানুষকে তোমরা ধাক্কা দিয়ে অদৃশ্য অন্ধকারে ফেলে দিয়েছো। কিন্তু আমি সম্পূর্ন নিজের যোগ্যতায় সেই অদৃশ্য অন্ধকার থেকে উঠে এসেছি। এবার তোমাদের কোনো ছাড় নেই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৮

নতুন বলেছেন: আজকে যারা নিজেদের শহরের মানুষ মনে করে তারা কোথা থেকে এসেছে?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪১

কুশন বলেছেন: তাঁরা গ্রাম থেকেই এসেছে। তবে কেউ কেউ গ্রাম থেকে এসে শহরের মানুষের ক্ষতি করেছে।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাঁরা গ্রাম থেকেই এসেছে। তবে কেউ কেউ গ্রাম থেকে এসে শহরের মানুষের ক্ষতি করেছে।

কেউ কি ইচ্ছা করে শহরের মানুষকে ক্ষতি করতে আসে? নাকি সবাই জীবন জীবিকার জন্য আসে?

শহরের মানুষ নতুন আশা মানুষকে ব্যবহার করে। তাদের দিয়ে কাজ করায় কিন্তু পেছনে কলকাঠি নাড়ে শহরের মানুষ গুলি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৮

কুশন বলেছেন: খুব একটা ভুল বলেন নি।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমাকেও একটায় ইয়া মোটা বাঁশ দিয়েছিলা।

কিচ্ছু করার নেই, কারণ দোষ আমাদেরই। বিশ্বাসে মাইর খেয়েছি। কাঁদতেও পারিনা হাসতেও পারি না।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪০

আমি নই বলেছেন: মিঃ এরশাদ, আপনি একটা মানসিক সমস্যায় ভোগা মানুষ, যার কাছে দুনিয়ার সব সমস্যার মুলে মাদ্রাসা মনে হয়। চিকিৎসা করান, হয়ত ভালোও হতে পারেন।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকা শহর হলো বাংলার জুয়াচোরদের মিলনমেলা।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: ঢাকায় সব রকমের মানুষ আছে।চোর, বাটপার, ঘুষখোর আর অসৎ ব্যবসায়ীরা ভলো আছে বাকি সবার ত্রাহি অবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.