নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার দূরত্ব বেড়েছে !

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮


ছাত্র প্রতিনিধি বলতে ইন্টেরিম সরকারে থাকা তিনজন সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কথা বলা হচ্ছে। ঘটনার সূত্রপাত মূলত জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয়াকে কেন্দ্র করে। সমন্বয়করা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রক্লেমেশন ঘোষণার তারিখ চূড়ান্ত করে; ঘটা করে তারা সেটা প্রচার করতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়াতে। ইন্টেরিম সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শফিকুল আলম কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি জানান ছাত্ররা নিজ উদ্যোগে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে। প্রক্লেমেশন ঘোষণার সাথে সরকার জড়িত নয়। নানা মহল থেকে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয় নতুন প্রক্লেমেশন ঘোষণা নিয়ে। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল উষ্মা প্রকাশ করে যে ছাত্ররা তাদের সাথে কোন যোগাযোগ না করেই জুলাই ঘোষণাপত্রে কি লেখা হয়েছে তারা কিছুই জানেন না। অন্যদিকে ছাত্রদের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলকে জুলাই ঘোষণাপত্রের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে অনুরোধ জানানো হয়। কেউ যদি এই ঘোষণাপত্রের সাথে একাত্মতা প্রকাশ না করলে তারা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসাবে তকমা পাবে বলে হুশিয়ারি জানানো নয়। ৩০শে ডিসেম্বর রাতে সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করে আশ্বাস দেয়া হয় যে সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সকল রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ ঘটাতে সাহায্য করা স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে। এতে ছাত্রদের ডাকা ৩১শে ডিসেম্বরের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

২০২৪ সালের ১৬ই জানুয়ারি জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধন ও সকল রাজনৈতিক দলের মতামত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একটি চমকপ্রদ তথ্য জানান সবাইকে। ছাত্র প্রতিনিধিরা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তাঁর কাছে গিয়েছিলেন। তিনি ছাত্রদের বলেছেন যে এই মূহুর্তে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি ছাত্রদের আরো বলেন, জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করতে হলে তাদের ৫ই আগস্টের সময়ে ফেরত যেতে হবে। সে সময় সবাই শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। এখন জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করতে হলে সবাইকে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এতে ছাত্র প্রতিনিধিরা মনঃক্ষুন্ন হয়েছিলেন। তবে তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রধান উপদেষ্টা সঠিক কথা বলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই প্রক্লেমেশন দেয়া হবে এমন আশ্বাসে ৩১শে ডিসেম্বরের প্রোগ্রাম স্থগিত রাখা হয়।

ইন্টেরিম সরকার ক্ষমতায় আছে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে। ড. ইউনূস ও ছাত্ররা পরস্পরকে বোঝার জন্য এই সময় একেবারে কম নয়। ড. ইউনূসের মধ্যে আগের মতো ছাত্রদের নিয়ে উচ্ছ্বাস কাজ করে না। তিনি একসময় বলেছিলেন, ছাত্ররা উনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। ছয়মাস পার হওয়ার পর অবশ্যই ড. ইউনূস বুঝতে পেরেছেন যে সকল পক্ষ বা দলকে উপেক্ষা করে শুধু ছাত্রদের কৃতিত্বকে বড়ো করে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা উচিত হয়নি। সবাইকে নিয়ে চলতে না চাইলে কেবল পদে পদে হোঁচট খেতে হবে।

ইন্টেরিম সরকারের উপর বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যত অনেকাংশে নির্ভরশীল। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার গুরু দায়িত্ব এই সরকারের হাতে ন্যস্ত। যেকোন সংকট মোকাবেলা করতে হলে ইন্টেরিম সরকারের মধ্যকার বিভিন্ন পক্ষকে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে একে অপরের সাথে বন্ধন অটুট রাখতে হবে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৫

লুধুয়া বলেছেন: এটাতো হওয়ার ছিলো।আজকের ক্ষমতায় যারা এঁচেছে তাদের এজেন্ডা আলাদা। ইউনুস মৌলত আমেরিকান ধারা নিযুক্ত প্রতিনীদি। আর কোমলমতি ছাত্ররা জামাত/১৯৭১ এর পরাজিত শক্তির প্রতিনীদি।জুলাই/ জিহাধী আন্দোলন মৌলত ইউএসএ/ পাকিস্তান পন্থী ধারা পরিচালিত হয়েছে। ছাত্র সময়বকরা দেখলো যে ইউনুস থাকলে তাদের এজেন্ডা প্রতিস্থাপিতকরা যাবেনা। তাই বিরোধ হচ্ছে। ভবিষ্যত এ এই বিরোধ আরো বড় আকারে দেখা যাবে। হইত ইউনুস কে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে যদিনা USA সাপোর্ট উঠিয়ে না নে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নির্বাচন পর্যন্ত টিকে থাক বন্ধন! আর কিছু চাই না। আমি প্রথম বার ভয়ডর বিহীন ভোট দিতে চাই। :#)

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২০

লুধুয়া বলেছেন: আপনি বর্তমান পরিস্থিতির ব্যপারে উপলব্ধি করতে পারছেন না। ক্ষমতাসীন শক্তির পিছনে জামাত এর হাত আছে। আর তাঁদের ইতিহাস এবং ideology মোটেও শান্তির পক্ষে নয়। আর আন্দোলনের সময় ১০ হাজার অস্ত্র লুটের এখনো খোঁজ মেলেনি।যদি কপাল খারাপ থাকে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ সবচেয়ে রক্তাখয়ী এক অধ্যয়ের জন্য অপেক্ষা করছে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি শুধু চাই দ্রুত নির্বাচন হোক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে এলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: সব ঠিক হয়ে গেলেতো জীবন অচল হবে যাবে।ঠিক আর বেঠিকের সংগ্রামই জীবন।এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলি তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন করেছে।মোটা মোটি গ্রহনযোগ্য হয়েছে।এই সরকারের নিশ্চয় কোন মতলব আছে।এই দেশের জনগন তা বাস্তবায়ন হতে দিবে না।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আজকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রিভিউ শুনানি পিছিয়ে গেল। তাছাড়া কাল ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করছে কাল। নরেন্দ্র মোদী দাওয়াত পায়নি। এটর্নী জেনারেল নিয়োগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনে সিভিল রাইটস কর্মী যিনি আবার খালিস্থান মুভমেন্টের সাথে জড়িত। এসব কিসের ইঙ্গিত? ডিপ স্টেট ভেঙে দিচ্ছে ট্রাম্প শুনেছেন নিশ্চয়! B:-/

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৪

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: উপদেষ্টা দের সাথে দূরত্ব বাধুক, সম্পর্কে ফাটল হোক এবং নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল এগুলো ভালো লক্ষণ । উড়ে এসে জুড়ে বসা যত সব মাস্তান ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এইটা কি বলেন? বন্ধন ভেঙে গেলে তো দেশে অরাজক পরিস্থিতি হবে। নির্বাচন হবে না। :(

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০১

আদিত্য ০১ বলেছেন: কুতুব ভাই অফটপিক একটা কথা বলি আওয়ামীলীগের ওপর আপনার ও আরও অনেকের ক্ষোভ বিভিন্ন কারনে।
কিন্তু যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হল, তার গ্রাফিতি একে, জুতা নিক্ষেপ করে। এই কাজটা লিমিট ক্রস করেছে। এইটার কারন কি ভাই, আইয়ুব বা জিন্নাহ গ্রাফিতিতে ফুল দিবে। এইগুলা কাদের ইন্ধনে হচ্ছে, সারজিস হাসনাতের ইন্ধনে। ভাই এই কাজ যেসব বেজন্মা করেছে তারা সব কয়টা শিবির ও পাকিদের বীজ। এইগুলার জন্যই রাজনীতির এতটা প্রতিহিংসার। এইগুলা বিচার আওয়ামীলীগ ২০ বছর বা তার বেশি সময় পরে ক্ষমতায় গেলে করবে। আর তখনই আওয়ামীলীগ ভালো না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.