নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা ও ইসরায়েল গাজা নিয়ে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে !

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪


ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ইসরায়েল ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা মেনে নিয়ে যুদ্ধবন্দী দের মুক্ত দিচ্ছে। অন্যদিক্ব হামাস ইসরায়েলি দের মুক্তি দিচ্ছে। এই যুদ্ধবিরতি কেন ইসরায়েল সহজে মেনে নিয়েছিলো তা আস্তে আস্তে বোঝা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার ধ্বংসস্তুপ পরিস্কারের অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে পাঠিয়ে দিতে চান। তিনি মিশর ও জর্ডানে ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণ ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যেতে সহযোগিতা করতে চান। ট্রাম্পের এই ধরণের বক্তব্য যেন ইসরায়েলের অনেক দিনের অভিপ্রায় কে প্রকাশ্যে এনেছে। সংস্কারের নামে গাজা দখলে নিতে চায় ইসরায়েল। আর তার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধরণের প্রস্তাব রেখেছেন। ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মিশর ও ফিলিস্তিনে অভিবাসীদের পাঠানো কি সাময়িক নাকি দীর্ঘস্থায়ী ? ট্রাম্প উত্তর দিয়েছেন, সাময়িক বা দীর্ঘস্থায়ী যে কোন কিছু হতে পারে। ইসরায়েল সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা করে প্রথমে গাজাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এখন ওঝা হয়ে ঝাড়ার নামে চিরস্থায়ী ভাবে জায়গা দখলের প্লানে এগুচ্ছে। সংস্কারের কথা বলে বছরের পর ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করে জর্ডান ও মিশরের নাগরিকত্ব দেয়ার চক্রান্ত চলছে।

মিশর ও জর্ডান এই প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাশাপাশি আরবলীগ যুক্তরাষ্ট্র কে মনে করিয়ে দিয়েছে যে বিগত ৭০-৮০ বছর ধরে সাময়িক বাস্তচ্যুতির নামে ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখন্ড থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়িত করা হচ্ছে। ১৯৪৮ সালে নাকবা বা বিপর্যয়ের সময় ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মূলত ফিলিস্তিনের মানুষজন কে বিতাড়িত করে। এখনো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই ধরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

জর্ডান ও মিশর ট্রাম্পের এই ধরণের প্রস্তাবকে তাদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত মনে করে। জর্ডান ইতিমধ্যে বিশ লাখের বেশি ফিলিস্তি নি দের নাগরিকত্ব দিয়েছে। মিশরে গত দুই বছরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। জর্ডান-মিশর-হামাস-ফিলিস্তিনিরা মনে করে ইহা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত । ফিলিস্তিনবাসী ট্রাম্পের এই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রতাখ্যান করেছে। তারা এই প্রস্তাবকে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ও যুদ্ধঅপরাধ হিসাবে ট্রাম্পকে হুশিয়ারি দিয়েছে। এত মৃত্যু ও হতাহতের পরও তারা গাজায় থাকতে চায়।

আমেরিকা কতৃক সারাবিশ্বের সকল সাহায্য ও সহযোগিতা ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা প্রজেক্ট বাদ সব প্রজেক্টে অর্থ বন্ধ। অন্যদিকে ইসরায়েলকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে আমেরিকা । ট্রাম্প ইসরায়েল কে ২০০০ পাউন্ডের বোমা দিচ্ছেন যা জো বাইডেনের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হস্তান্তর করা থেকে বিরত থাকে আমেরিকা । মোটাদাগে ফিলিস্তিন বাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য ট্রাম্পের কোন ধরণের আন্তরিকতা নেই। বরং ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের প্রছন্ন সমর্থন রয়েছে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার ব্লগটি পড়ে যা বুঝলাম।

উক্ত ব্লগের সারমর্ম হলো:

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হলেও, তার প্রকৃত উদ্দেশ্য ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করা। গাজার ধ্বংসস্তুপ সংস্কারের নামে ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে পাঠিয়ে সেখানে তাদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি ইসরায়েলের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে চিরতরে বাস্তুচ্যুত করে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

মিশর, জর্ডান এবং আরব লীগ ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হিসেবে দেখছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনবাসীও এই প্রস্তাবকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এটিকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে মনে করছে।

ব্লগটি মূলত ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের পক্ষপাত এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি মার্কিন সহযোগিতা বন্ধ করার বিষয়টি তুলে ধরে। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: পাঁচ বেলা ইহুদি ও খৃষ্টানদের অভিশাপ দিবেন আর ওরা আপনাকে সহযোগিতা করবে।এই আশা করেন কি ভাবে।আগে ওরা বুঝতে পারতোনা কোরানে কি আছে।এখন অনেকে বুঝতে পারে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখানে আলোচনা হচ্ছে ফিলিস্তিনি ও তাদের ভূখন্ড নিয়ে। আর আপনি পড়ে আছেন অভিশাপ নিয়ে!

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমার মন্তব্যই আমার ব্লগ।আমিতো ব্লগে কিছু লিখি না।আপনারা আভিশাপ দিবেন আর ওরা আপনাকে ভুখন্ড দিবে।আপুর কাছ থেকে শিখেছেন মন্তব্যের এমন প্রতিউত্তর দেয়া।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:২২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপু টা কে? আমি কোন আপু টাপু চিনি না। আমি চিনি শুধু আপনাকে। আপনি একটি দলের অন্ধ ভক্ত হলেও অনেক উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তা ভাবনার অধিকারী। দেখেন আমেরিকা -ইউরোপে অভিশাপ দেয়ার পরও জায়গা দিয়েছে থাকতে, নাগরিকত্ব দিচ্ছে। সে তুলনায় ফিলিস্তিনের মানুষ কিছুই না। তাদের সাথে যা হয়েছে তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য নয়।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২১

কামাল১৮ বলেছেন: আমি গনতান্ত্রিক চিন্তার মানুষ না।জাতিয়তাবাদী না।বলুনতো আমি কে?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বামপন্থী লাল হবেন হয়তো! :D

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে সত্য কথা বলি, আন্তজার্তিক বিষয় সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞান নেই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেইম!

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩০

রাসেল বলেছেন: বলা যেতে পারে, এটি পূর্ব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন মাত্র। পরবর্তী লক্ষ্য কি হতে পারে?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: গাজীর পোস্টে দেখুন।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: সব রসুনের কোয়া একজায়গায় থাকে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এইটা ব্লগে এসে সবচাইতে ভালোভাবে বুঝেছি। ধন্যবাদ।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ফিলিস্তিন নিজে, আর ফিলিস্তিনকে ক্ষতি করেছে মুসলিম দেশগুলো। মুসলিম দেশগুলোকে দাতা দেশসমূহের সকল প্রকার সাহায্যে বন্ধ করা উচিত।

পোস্টে লাইকের জন্য অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৪৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.