![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
দীর্ঘ তিন বছরের কূটনৈতিক আলোচনার পর ৬ মে ভারত ও যুক্তরাজ্য একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর করে, যা উভয় দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মাঝে এই চুক্তি ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের জন্য স্বস্তির খবর বয়ে এনেছে। কিন্তু ঠিক সেই রাতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের এক অধ্যায় রচিত হয়, যা দুই দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে আবারও যুদ্ধের বিভীষিকা নিয়ে এলো।
২০১৪ সাল থেকে ভারত শাসন করছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার, যাদের রাজনৈতিক এজেন্ডায় পাকিস্তানবিরোধী rhetoric একটি কেন্দ্রীয় স্থান দখল করে আছে। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে ভারতের "সার্জিক্যাল স্ট্রাইক" এবং এরপরের রাজনৈতিক লাভজনক প্রচারণা দেখিয়ে দিয়েছে—যুদ্ধ বা সংঘাতকে কীভাবে নির্বাচনী ফায়দা লুটতে ব্যবহার করা যায়। এবারও ২২ এপ্রিল পেহেলগামে পর্যটক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ধারণা করা হচ্ছিল যে ভারত কোনো না কোনোভাবে জবাব দেবে। ৬ মে-র সেই "জবাব" এলো পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিমান হামলা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে। ভারত দাবি করছে, তারা "সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি" ধ্বংস করেছে; পাকিস্তান পাল্টা দাবি করছে, তারা ভারতের রাফালসহ পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। কিন্তু এই পরস্পরবিরোধী দাবির মধ্যেই লুকিয়ে আছে যুদ্ধের আসল চরিত্র—একটি অদৃশ্য তথ্যযুদ্ধ, যেখানে সত্যের চেয়ে প্রোপাগান্ডাই বেশি শক্তিশালী।
ভারতীয় মিডিয়ার হেডলাইনগুলো পড়লে মনে হবে, পাকিস্তান ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি মিডিয়া ভারতের সামরিক ব্যর্থতার কাহিনি জোরেশোরে প্রচার করছে। কিন্তু এই সংঘাতের প্রকৃত মূল্য দিচ্ছে সাধারণ মানুষ—যারা সীমান্তের কাছাকাছি বসবাস করে এবং যাদের জীবন প্রতিটি গোলাগুলির সঙ্গে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। শিয়ালকোট, মুজাফফরাবাদ বা ভিম্বেরের বাসিন্দারা রাতের অন্ধকারে আকস্মিক হামলার আতঙ্কে জেগে থাকেন, অথচ দিল্লি বা ইসলামাবাদের ক্ষমতাধররা নিরাপদ দূরত্ব থেকে এই সংঘাতকে রাজনৈতিক পুঁজিতে পরিণত করেন।
মজার ব্যাপার হলো, যুদ্ধের পরদিনই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের আমেজে। পাকিস্তানেও পিএসএলের খেলা চলতে থাকে নির্ধারিত সময়ে। ক্রিকেটাররা রান করছেন, দর্শকরা উল্লাস করছেন—কিন্তু কেউই যেন মনে রাখছেন না যে সীমান্তের ওপারে মানুষ আতঙ্কে কাঁপছে। এটাই আধুনিক যুগের যুদ্ধের নিষ্ঠুর পরিহাস—যেখানে রক্তপাত এবং বিনোদন পাশাপাশি চলতে থাকে, আর শাসকগোষ্ঠী জনগণের আবেগকে পরিচালনা করে তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে।
ইতিহাসের বইয়ে যুদ্ধের ফলাফল স্পষ্ট হতো—এক পক্ষ জিতত, অন্যপক্ষ হারত। কিন্তু আজকের যুদ্ধের ফলাফল অস্পষ্ট। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই নিজেদের "বিজয়ী" দাবি করছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সংঘাতে কোনো দেশই জিতবে না। হারবে শুধু দুই দেশের সাধারণ মানুষ, যাদের রক্তে শাসকদের রাজনৈতিক অঙ্ক মেটে। ইউক্রেন যুদ্ধের সময় যেমন বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিল, তেমনি এই সংঘাতের প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী দেশগুলোতেও। বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ইতিমধ্যেই এর নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করেছে।
২২ এপ্রিলে নিহত পর্যটকদের পরিবার কি পাকিস্তানের ৩১ জনের মৃত্যুতে শান্তি পাবে? যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের কি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর কখনই মিলবে না, কারণ যুদ্ধের আসল লক্ষ্য হলো জনগণকে আবেগতাড়িত করে রাখা। বিজেপি হোক কিংবা পাকিস্তানের সরকার—উভয়ই এই সংঘাতকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ভোটব্যাংক শক্তিশালী করবে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, যুদ্ধ শুধু মৃত্যু আর ধ্বংসই বয়ে আনে। জনগণের দায়িত্ব হলো এই রাজনৈতিক খেলাকে চিনতে শেখা এবং শান্তির পক্ষে সোচ্চার হওয়া। কারণ, যুদ্ধে শাসকেরা জিতলেও হার সাধারণ মানুষের।
১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের স্টক মার্কেটের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিলো। ইন্টেরিম আসার পর একমাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। ভারত যেদিন প্রথম হামলা করলো পুজিবাজার আরো ফল করেছে। সংবাদ মাধ্যম গুলোতে এভাবেই নিউজ এসেছিলো। পুজিবাজারের অবস্থা ভয়ানক।
২| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ২:২০
কামাল১৮ বলেছেন: পাকিস্তানের অস্তিত্ব নাই হয়ে যাওয়া দরকার।এই দুষ্ট রাষ্ট্রটি এই উপমহাদেশে অশান্তির মূল কারণ।
১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একটা দেশ চাইলে কি নাই হয়ে যেতে পারে?
৩| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ২:৪৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
@কামাল,
পাকিস্তানের মিলিটারী স্হায়ী সরকারগুলোর মতোই পাকিস্তানী জনতার সাপোর্ট পেয়ে আসছে; এর বাহিরে, চীন, বাংলাদেশ, আরব ও তুরস্কের সাপোর্ট পাবে। ফলে, তাদের উৎসাহে ভাটি পড়বে না।
১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আচ্ছা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি " সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়" এইটা কারা সেট করেছিলো?
৪| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৩:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: ইসরাইল পাকিস্তানের ধ্বংস চায়।তাদের একটা টিম ভারতের হয়ে কাজ করছে।রাশিয়া এবং আমেরিকার সমর্থন ভারতের পক্ষে।১৯৯০ সাল থেকে বিশ্ব মানচিত্রের অনেক পরিবর্তন হয়েছে।২০৩০ সালের মধ্যে আরো অনেক পরিবর্তন হবে।বাংলাদেশও নাই হয়ে যেতে পারে।
৫| ১০ ই মে, ২০২৫ রাত ৩:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: মন্তব্যটি গাজী সাহেবের জন্য।
৬| ১০ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যুদ্ধবাজরা জনতার ভোগান্তির কথা ভাবে না। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।
১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শান্তির মা মারা গিয়েছে।
৭| ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভাইসাহেব পৃথিবী থেকে সমস্ত জঙ্গি সংগঠন মুছে দিতে পারলেই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।
১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জঙ্গীদের মদদ দেয় আমেরিকা। তাহলে শুরু সেখান থেকেই হোক।
৮| ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
নতুন বলেছেন: ভারত সরকারের উদ্দেশ্য জনগনের সামনে হিরো হওয়া।
পাকি আর্মীর উদ্দেশ্য তাদের বাজেট বাড়ানো।
আমাদের দেশেও তো কত খুনী ঘুরে বেড়াচ্ছে সমাজে।
মানুষের মানুষিক অবস্থার বিরাট পরিবর্তন হয়েছে গত বছর গুলিতে।
১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ মুখে বলে বেড়াচ্ছে যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। আর টিভিতে কেউ ভারতীয় বা পাকিস্তানি মানুষ মরাতে উল্লাস করছে।
৯| ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮
মেঘনা বলেছেন: জইশ নেতা মাসুদ আজহারের ফ্যামিলি মারা গেছে, মাসুদ নিজে বিবৃতি দিছে। ভারতের টার্গেটড হামলার একটা বড় সাফল্য।
এ কথা ঠিক যুদ্ধ শুধু মৃত্যু আর ধ্বংসই বয়ে আনে। কিন্তু কখনো কখনো শান্তির জন্য যুদ্ধ প্রয়োজন।
১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব কিছুই শুরু হয় শান্তির জন্য কিন্তু শেষ অবধি শান্তির মা মারা যায়।
১০| ১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: "রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়"!
১০ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এই প্রবাদ কে আরো সত্য প্রমাণ করেছে।
১১| ১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জঙ্গীদের মদদ দেয় আমেরিকা। তাহলে শুরু সেখান থেকেই হোক।
আমেরিকা সব সময় জঙ্গীদের বিরুদ্ধে। লাদেনের কি অবস্থা করেছে দেখেন নাই?
১১ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লাদেন আমেরিকার তৈরি !
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০২৫ রাত ১২:৫৫
যামিনী সুধা বলেছেন:
পাক-ভারতে যুদ্ধে বাংলাদেশের ষ্টক-মার্কেট কেন নীচে নামলো? আপনি কি চোখ বন্ধ করে বক শিকার করেন?