![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আজ যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তা নিছক আবেগপ্রসূত কোনো সংঘর্ষ নয়, বরং এর পেছনে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ছায়া রয়েছে। একজন যুবকের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ছবি পোস্টকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকার মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়া এবং মুহূর্তেই তা ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেওয়া আসলে বাংলাদেশে অস্থিরতা ছড়ানোর এক ধরনের পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা।
ঘটনার সূচনা হয় আরিয়ান ইব্রাহিম নামের এক যুবককে দিয়ে, যে মাদ্রাসার সামনে দাঁড়িয়ে অশোভন ভঙ্গিমায় ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে। ঘটনাটি ঘটে এমন সময়ে যখন জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা চলছিল। এ সময় ধর্মীয় আবেগ সবচেয়ে প্রবল থাকে, ফলে প্রতিক্রিয়াও দ্রুত ও তীব্র হয়। এটা নিছক কাকতালীয় বলে ধরে নেওয়া কঠিন। বরং মনে হয় সময় ও স্থান দুই-ই অত্যন্ত কৌশলগতভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
এরপর যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তা কেবল মাদ্রাসার ছাত্র আর স্থানীয় মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। মুহূর্তেই পুরো এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সুন্নি ও কওমী ধারার মধ্যে বড় কোনো সংঘর্ষের নজির নেই। তাই এই আকস্মিক দ্বন্দ্বকে অনেকেই পরিকল্পিত ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ হিসেবে দেখছেন যেখানে আসল চক্রান্তকারীরা আড়ালে থেকে অন্য দুই গোষ্ঠীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।
আরিয়ান ইব্রাহিমের চরিত্রও রহস্যময়। সে নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিলেও ফটিকছড়ি ছাত্রদলের সভাপতি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, এমন কোনো নেতা তাদের সংগঠনে নেই। তাহলে প্রশ্ন ওঠে এই সাহস সে কোথা থেকে পেল? কে তাকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, এমন কাজ করার পরও সে রক্ষা পাবে? এই প্রশ্নের উত্তরই আমাদের প্রকৃত চক্রান্তকারীর খোঁজ দিতে পারে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা। ছবিটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত কোনো পোস্ট ভাইরাল হতে সময় লাগে, কিন্তু এখানে সেটি হয়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। এ থেকে বোঝা যায়, আগে থেকেই একটি নেটওয়ার্ক প্রস্তুত ছিল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, যাতে আবেগী প্রতিক্রিয়া দ্রুত সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনার পেছনে কারা থাকতে পারে তা নিয়েও নানা বিশ্লেষণ চলছে। আওয়ামী লীগের পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত গোষ্ঠী বর্তমান সরকারকে অস্থির করার জন্য ধর্মীয় বিভাজনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। আবার আঞ্চলিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার স্বার্থে এই ধরনের আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে, যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠীও নিজেদের পুনরুজ্জীবিত করার কৌশল হিসেবে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।
সরকার দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং উস্কানিমূলক আইডি বন্ধ করেছে, কিন্তু এখানেই তদন্ত থেমে গেলে হবে না। মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করতে না পারলে এ ধরনের ষড়যন্ত্র বারবার ফিরে আসবে। একই সঙ্গে নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগী প্রতিক্রিয়ার বদলে তথ্য যাচাই করে সচেতনভাবে আচরণ করা এখন জরুরি।
হাটহাজারীর ঘটনাটি নিছক কোনো ভুল বোঝাবুঝি নয়, বরং বাংলাদেশের সামাজিক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে এক পরীক্ষামূলক আঘাত। একবার সফল হলে একই কৌশল আবারও ব্যবহার করা হবে। তাই এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা এবং ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা আমাদের সবার দায়িত্ব। বিভক্ত জাতি সবসময়ই পরাজিত হয় এ শিক্ষা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মাঝে মাঝে লিখতে হয় । আপনার ভালো না লাগলে পড়বেন না ।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৪১
কলাবাগান১ বলেছেন: খুদ্র মস্তিকের মানুষেরা সবসময় সব ঘটনাতেই কনস্পিরিউসি দেখে। নিজের মননে যে মতবাদ, সেটাকে প্রতিস্ঠা করার জন্য। অনেক বছর ধরেই ছাত্র/ছাত্রী পড়াচ্ছি...। উইক স্টুডেন্টরা সবসময় অন্যের উপর দায় চাপায়.। সব শিক্ষক এর দোষ কিন্তু নিজে কোন দায় নিতে চায় না
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবচেয়ে বেশি এই ঘটনা প্রচার করছে পলাতক বাহিনী। কোনো কিছুই বিনা কারণে ঘটে না। অন্তত এখন যে কোনো ঘটনাকে হালকা ভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। ইন্টেরিম সরকারের সময়ে দুইটা ঈদ এ মিলাদুননবী গেলো। গতবছর কিছু হলো না এবার হলো। ভালো থাকবেন।
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর কামড়াকামড়ি নতুন না। আমি চাই এগুলো একটা আরেকটারে শেষ করে দিক। ধর্ম ব্যবসা চিরতরে বন্ধ হোক।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এক ইসলামপন্থী দলের অনুষ্ঠান থেকে অন্য ইসলাম পন্থীদের ভেংচি কাটা এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেউ দাঙ্গা লাগাতে চায়।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৫ই আগষ্টের পর ১ মাসের ভেতর কয়েক হাজার মাজারে হামলা করে ধ্বংশ করা হয়েছে।
এরপরেও এইসব অব্যাহত আছে। অনেকগুলো ঘটনা সেনা প্রহরায় হয়েছে, মানে সেনাবাহিনী একটু দূর থেকে তামাসা দেখেছে, পরে লুটপাট শেষ হওয়ার পর বাধা দেয়ার ভান করেছে।
রিসেন্ট লাশ পোড়ানোর ঘটনায়ও এমনটা দেখা গেছে।
হাটহাজারির ঘটনাও এর চেয়ে ভিন্ন হয় কিভাবে?
জামাত শিবির হেফাজট হিজবুত সবাই সুফি বিরোধী মাজার বিরোধী। আপনি এসব জংলি হামলাকে "পরিকল্পিত ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশনঃ ভেবে আত্নতুষ্টিতে ভুগতে থাকুন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ১০০ টার মতো মাজারে এটাক হয়েছে সরকার ফেইল করেছে থামাতে। কিনতু গতকাল হাঠহাজারিতে যা হয়েছে সেটা পরিকলপিত।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: "আপনি এসব জংলি হামলাকে "পরিকল্পিত ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশনঃ ভেবে আত্নতুষ্টিতে ভুগতে থাকুন।" আপনার এই কথার সাথে একমত।
তবে কখনো ভেবে দেখেছেন কি, বাংলাদেশে এই জঙ্গিবাদী সংস্কৃতির বিস্তারে গত ১৬ বছরে আসলে আওয়ামী লীগই আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ভিতরে ভিতরে ঘি ঢেলেছে ও এর প্রসার ঘটিয়েছে? দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বিগত সময়ের আওয়ামী দুঃশাসনই দায়ী। তখন পাশাপাশিই লাভের আশায় কাজ করা পেটোয়া পুলিশ ছিল বলে এই অবস্থাটা চাপা পড়ে ছিল, আর এখন সেটা কেবল প্রকাশ্যে এসেছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা এমন সিসটেম করে গিয়েছেন যাতে বিএনপি কিংবা ইনটেরিম পাওয়ারে আসলেই মোলবাদিদের দমাতে দমাতে তার বদনাম হয়ে যায় । সব কিছু পরিকলপিত ভাবে করা হয়েছে। পাওয়ারে এসেই তিনি এডুকেশন সিসটেম শেষ করে দিয়েছেন।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মব বলে কিছু নেই। কথিত মবের কোন নিজস্ব শক্তি নেই।
মবের পিছনে থাকে রাষ্ট্রীয় সকল শক্তি। ইউনুস-জামাত সরকার এসব করার জন্য ব্যাবস্থা করে। শ্বীকারও করে, রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে বলা হয় এই মব মুলত আমাদেরই। ইহা প্রেশার গ্রুপ।
ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন মবের পিছনে থাকে কয়েকজন শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডার, তার পেছনে পুলিশ পাহারা। আর রাস্তায় থাকে আর্মির জিপ।
এখন স্পষ্ট, সরকার চালাচ্ছে জামাত-শিবির, সেনাবাহিনী সহ রাষ্ট্রের সকল শক্তি জামাত শিবির হাইকমান্ডের নির্দেশে চলছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মব বলে আছে । কিনতু গতকাল হাঠহাজারিতে যা হয়েছে সেটার পিছনে কেউ মদদ দিয়েছে।
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শ্রাবণধারা
বাংলাদেশে এই জঙ্গিবাদী সংস্কৃতির বিস্তারে গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ঘি ঢেলেছে প্রসার ঘটিয়েছে।
১০০% সত্য।
যেমন মাদ্রাসা পাশদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ দেয়া,
যেভাবে নাহিদ আসিফ মাহাফুজ ইত্যাদি জংলিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার সুযোগ করে দেয়া,
মডেল মসজিদ, কোন দৃশ্বমান দাবি বাদেই পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা। আরো শত শত ...
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা ও লিগ বাংলাদেশের মানুষকে বিপদে ফেলে দিয়েছে।
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: জঙ্গীবাদ আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা।ধর্মের পরতে পরতে আছে জঙ্গীবাদ।যার জন্য জ্িহাদ ফরজ করা হয়েছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জিহাদের রকম ফের আছে।
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪০
লুধুয়া বলেছেন: বাংলাদেশ এ ধীরে ধীরে ছাগলের দড়িওয়ালরা শাসন কায়েম করবে। তালিবান পন্থীরা জাগতাছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কি জানি!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৩
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি, ইহা যদি বিভক্ত হয়ে যায়, আমরা পরাজিত হবো! কার কাছে পরাজিত হবো?
সামু রম্য ব্লগে পরিণত হয়েছে?