![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন। ছাত্ররা দাবি করেছিল সরকারি চাকরিতে কোটা কমিয়ে আনার। কিন্তু সেই আন্দোলন শেষ হয়েছিল আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ এখনো ঝুলে আছে অনিশ্চয়তার মেঘে। শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনে 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫' স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলো ঠিকই, কিন্তু সেই অনুষ্ঠান পরিণত হলো বিতর্ক, বিভাজন এবং লাঠিচার্জের এক প্রহসনে। আর এই প্রহসনের মধ্যেই একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠলো: জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া শুধু প্রফেসর ইউনূসই নয়, কেউই 'নিরাপদ প্রস্থান' পাবেন না। না এনসিপি, না জুলাই যোদ্ধারা, এমনকি উপদেষ্টা পরিষদও না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বয়কট করে বসলো। কারণ? আইনি ভিত্তির অভাব। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "আইনি ভিত্তি ছাড়া এবং আদেশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলে সেটা মূল্যহীন হবে।" নাহিদ ইসলামের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে জুলাই সনদের মূল সমস্যা হলো এর আইনি বৈধতার অভাব। তিনি বলেন, "সব রাজনৈতিক দল একটা জায়গায় বসে একটা দীর্ঘ আলোচনায় কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোই যথেষ্ট নয়।"
এনসিপির তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি রয়েছে, যা পূরণ না হলে তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না। প্রথম শর্ত: সাংবিধানিক আদেশ রাষ্ট্রপতি নয়, প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন। সংবিধান অনুযায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। কিন্তু এনসিপি চায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই আদেশ জারি করুন। কেন? কারণ তারা মনে করে জুলাই সনদের বৈধতার উৎস হতে হবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, রাষ্ট্রপতি নয়। প্রশ্ন হলো: সংবিধান লঙ্ঘন করে যদি সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হয়, তাহলে সেই আদেশের আইনি বৈধতা কোথায়? আগের সংবিধান মতোই দেশ চলছে। উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নিয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। কেবল শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পেয়েছেন বলে উহার সাংবিধানিক আদেশ জারি করার ক্ষমতা কেড়ে নিতে কেউ পারবে না।
দ্বিতীয় শর্ত: 'নোট অব ডিসেন্ট' থাকবে না, সবকিছু একসাথে গণভোটে যাবে। জুলাই সনদে ৮৪টি বিষয় রয়েছে। এনসিপি চায় এই ৮৪টি বিষয় একত্রে গণভোটে যাবে এবং গণভোটে হা জিতলে 'নোট অব ডিসেন্ট'-এর আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। মানে, হয় সব মানো, নয়তো কিছুই না। বিএনপিসহ অনেক দল কিছু বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে 'নোট অব ডিসেন্ট' দিয়েছে। বিশেষত উচ্চ কক্ষ গঠন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিএনপির আপত্তি আছে। এনসিপির নেতারা চান, ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধন করাটা কঠিন করতে হবে। কিন্তু বিএনপি যেভাবে উচ্চ কক্ষ গঠন চায়, সেভাবে হলে সংবিধান সংশোধন কঠিন হবে না।
তৃতীয় শর্ত: গণভোট পাস হলে পরবর্তী সংসদ সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করবে। জনগণ সনদ অনুমোদন করলে পরবর্তী সংসদ বাধ্য থাকবে সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করতে। এনসিপি চায় নির্বাচনের আগেই সবকিছু ঠিক করে ফেলতে, যাতে পরে নির্বাচিত সরকার কোনো সংশোধনী বাদ দিতে না পারে। শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় 'জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা' ব্যানারে কয়েকশ ব্যক্তি অবস্থান নিয়েছিলেন। তাদেরও দাবি ছিল তিনটি: জুলাই সনদ সংশোধন, সনদকে স্থায়ীভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত এবং 'জুলাই যোদ্ধা'দের স্বীকৃতি।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ দৌড়ে এসে পঞ্চম দফা সংশোধন করে পড়ে শোনালেন। বললেন, "আপনাদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আজকে এটার স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমাদের সহযোগিতা করুন। এটা আপনাদের জন্যই অনুষ্ঠান।" কিন্তু দাবি মেনে নেওয়ার পরও জুলাই যোদ্ধারা বের হতে চাইলেন না। কেন? ঠাকুরগাঁও থেকে আসা এক জুলাই যোদ্ধা দুলাল ইসলাম বলেন, "আমাদের দাবি যা যা ছিল তা মানা হয়নি।" কোন দাবিটি মানা হয়নি এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারলেন না। এরপর শুরু হলো পুলিশের সাথে সংঘর্ষ। লাঠিপেটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে 'ঐতিহাসিক' সনদ স্বাক্ষরের দিনে এমন দৃশ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত সাধারণ মানুষেরা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে শুক্রবার রাতেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, যার শিরোনাম ছিল 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা এর দফা (৫) এর সংশোধনী'। সংশোধিত দফায় বলা হয়েছে: "শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।" বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন এই বিষয়ে একটি চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের একটি সংগঠন শুক্রবার সকালে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যে, অভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য গণহত্যা চালালেও, সেই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ফ্যাসিস্ট শক্তি বা তাদের দোসরদের কয়েকজন জনগণের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। তারা মনে করেছেন, সেইখানে তাদের অভিযুক্ত করা হবে কি না।
সালাহউদ্দিন বলেন, "আমি বলেছি, যারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, যারা গণ-অভ্যুত্থানের নিরস্ত্র ছাত্রজনতাকে হানাদার বাহিনীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের গণহত্যা করেছে, গণ-অভ্যুত্থানের যুদ্ধের ময়দানে তাদের বিচার জনগণ করেছে। সুতরাং তাদের আর বিচার হবে না। তাদের আশ্বস্ত করেছি এবং সেই দফাটা যাতে সংশোধন করে যে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে, সেটা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "তাদের যাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, চিকিৎসা, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা বিধান করা হয় এবং মাসিক ভাতাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা হয়, সেই বিধান লেখার জন্য আমি নিজে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রফেসর আলী রীয়াজ সাহেবের সাথে কথা বলার পর সংশোধন করা হয় । এখানে তাদের সন্তুষ্টি হওয়ার কথা। সন্তুষ্ট হয়ে তারা বিদায় নিয়েছেন।"
এই পুরো পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন অবস্থানে আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি চাইছেন জুলাই সনদ সফল হোক, যাতে তিনি একটি সম্মানজনক 'নিরাপদ প্রস্থান' নিতে পারেন। কিন্তু এনসিপি, জুলাই যোদ্ধা এবং বিএনপি সবাই তাদের নিজস্ব স্বার্থে সনদকে ব্যবহার করতে চাইছে। এনসিপি চাইছে আইনি ভিত্তি, যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকার সনদ বদলাতে না পারে। জুলাই যোদ্ধারা চাইছে 'দায়মুক্তি', যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না হয়। বিএনপি চাইছে দ্রুত নির্বাচন, কিন্তু জুলাই যোদ্ধাদের সমর্থনও চাইছে।
এই তিন পক্ষের স্বার্থের দ্বন্দ্বে আটকে গেছেন প্রফেসর ইউনূস। তিনি যদি এনসিপির দাবি মেনে সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন, তাহলে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আসবে। আর যদি না করেন, তাহলে এনসিপি সনদে স্বাক্ষর করবে না, সনদ ব্যর্থ হবে। তিনি যদি জুলাই যোদ্ধাদের 'দায়মুক্তি' না দেন, তাহলে জুলাই যোদ্ধারা রাস্তায় নামবে, সরকারের জন্য নতুন সংকট তৈরি হবে। তিনি যদি দ্রুত নির্বাচন দেন, তাহলে বিএনপি খুশি হবে, কিন্তু এনসিপি ও অন্যান্য ছোট দল অসন্তুষ্ট হবে। আর যদি নির্বাচন বিলম্বিত করেন, তাহলে বিএনপি ক্ষুব্ধ হবে, আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আলি রিয়াজ একজন ঢাবিয়ান। এই এনসার কেবল একজন ঢাবিয়ানের জানা থাকার কথা । ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এনসিপি মুলত ইউনুস সাহেবের চাহিদা তুলে ধরে । বিএনপিকে চাপে রাখতে চায়। বিএনপি সাংবিধানিক আদেশে কিংবা note of decent বাতিল হয়ে যাওয়া সহজে মানবে না । আপার হাউজে পিআর সিসটেম চালু করতে চান ইউনুস সাহেব। এতে ফিউচারে সংবিধান সংশোধন করা সহজ হবে না । সামনের দিনে গনভোট ছাড়া সংবিধান যাতে সংশোধন না করা যায় সেই কাজও করা হয়েছে।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:৪০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
১। ডক্টর ইউনুস ফেব্রুয়ারি তে নির্বাচনে দিয়ে বিদায় নিতে চায় এবং যথেষ্ঠ আন্তরিক। (যুক্তিযুক্ত)
২। বিএনপি সালাউদ্দিন বলেছেন ৫ মাস পড়ে নির্বাচন কমিশন ১০ কোটি লোকের ভোট আয়োজন করবে অথচ তাদের কোন প্রস্তুতি নাই, সরকার কোন নির্দেশনা দিচ্ছে না, ইউনুস মুখে বলছে নির্বাচনের কথা কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন? ( এটা ও যুক্তিযুক্ত)
এরমধ্যে কিংস পার্টি জুলাই সনদ নিয়ে গোঁয়ার্তুমি, দুধু খাব না খেলায় নিবো না বাচ্চাদের মতো "শাপলা" ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়া বিশেষ কিছু ইংগিত দেয়?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপি জুলাই সনদ নির্বাচনের আগে কার্যকর করার যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেটা মেনে নিলেই সব ঠান্ডা। জামাত-এনসিপি-প্রফেসর সাহেব বিএনপিকে বিশ্বাস করতে পারছে না পুরোপুরি।
কোনো এক অজানা কারণে তারেক রহমান এনসিপির সাথে জোট বাধতে আগ্রহী। ঢাকা ১১ কিংবা ১৮ ছেড়ে দিবে আসিফ মাহমুদের জন্য। খুব খারাপ কাজ করতে যাচ্ছে বিএনপির হাই কমান্ড । তৃণমুল আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির উপর রেগে আছে।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৩:২১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
কোনো এক অজানা কারণে তারেক রহমান এনসিপির সাথে জোট বাধতে আগ্রহী। বিএনপি হয়তো কোন রিস্ক নিতে চাচ্ছে না, ১৯৯১ নির্বাচনে মতো কিছু যদি ঘটে যায়! তারেক রহমান দেশের বাইরে, তৃনমুল বেপরোয়া নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই এনসিপি নিয়ে জোটে গেলে জুলাই শক্তি একটা প্রচারনা করবে আর ইউনুস সাহেব এদের একটি শক্তির হাতে তুলে দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আপন মনে বিদায় নিতে পারবে।
তবে জোট হয় কিনা এখনো ও সিউর না! আজকে ও নাহিদ যে টোনে সালাউদ্দিন সাহেবের নামে সমালোচনা করেছেন?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তাহলে জামাত-বিএনপি জোট হয়ে যাবে।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৭:১১
কলাবাগান১ বলেছেন: আসল কাজ বাদ দিয়ে অকাজ নিয়েই ব্যস্ত, এদিকে "কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের ১৮০ সদস্যের কন্টিনজেন্ট ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তহবিল সংকটের কারণে শুধু বাংলাদেশের পুরো কন্টিনজেন্ট ফেরত পাঠানোয় দেশের ‘কূটনৈতিক সক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।"
ইনডেমনিটি এক্ট তো হাজার পাতার উপর এর 'সনদ' ছিল, কিন্তু তা কি পেরেছে বংগবন্ধুর কিলারদের ইনডেমনিটি দিতে???
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জাতিসংঘের তহবিল বন্ধ কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাটছাট। এখানে বাংলাদেশের কিছু করার নেই।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: ভারতিয় আর্মির ঢাকা সফরের পর সব গুটি এলোমোলো হয়ে গেছে।ভারত এখন আর আমেরিকাকে ছেড়ে কথা বলছে না।চিন আমেরিকাকে রিয়ার আর্থ এলিমেন্ট দেয়া বন্ধ করার পর ভারতের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে আমেরিকাকে।বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি বানিজ্যের উপর নির্ভরশীল।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব গুজব।
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: যারা বিদেশি নাগরিক তাদের সেফ এক্সিট সমস্যা হবার কথা না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেইফ এক্সিট বলরে নির্বাচন দিয়ে যাওয়া বুঝানো হয়েছে।
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৪২
ঢাবিয়ান বলেছেন: গনঅভ্যূত্থানের আবার কিসের দায়মুক্তি ? কিসের আইনি ভিত্তি? গনঅভ্যূত্থান , তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাতো আর এই পৃথীবি্তে নতুন কিছু না। সামনে ক্ষমতায় বিএনপি আসুক বা জামাত সবাইতো এই গনঅভ্যূ্থানের স্টেকহোল্ডার। নির্বাচনের পর নির্বাচিত দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেবে ইন্টারিম সরকার। ক্ষমতায় কি আওয়ামিলীগ আসছে নাকি যে , অন্তবর্তী সরকারের সেইফ একজিটের প্রয়োজন হবে?
এনসিপির অবস্থা হয়েছে '' অধিক সন্নাসীতে গাজন নষ্ট''।এই তরুনেরা সবাই নিজেদের বিশাল বিশাল আইনবিদ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ মনে করে। প্রবীনদের জ্ঞান , প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতাকে তারা যেভাবে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে তা তাদের জন্যই বু্মেরাং হবে। জনগনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে তারা।
মাহফুজ নামের স্বঘোশিত মাস্টারমাইন্ড পন্ডিতের কথামত চললে সামনে খাদ ছাড়া আর কিছুই পাবে না এনসিপি। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এই কামনাই করি।
'' দেশে এখন কথার চাইতে কাজ বড়'' হওয়া পয়োজন। সব রাজনৈ্তিক দলকে আমরা কথা নয় কাজে দেখতে চাই।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি আরেক আজগুবি কথা বলেন। দায়মুক্তির জন্য জুলাই যোদ্ধারা কি করছে সেটা দেখেন নাই? এনসিপি কি করছে সেটা দেখেন নাই? সাংবিধানিকভাবে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। জোর করে উনাকে সরানো হয়েছে তাই এটা সংবিধানের লঙ্ঘন। এইজন্য দায়মুক্তির প্রশ্ন আসছে। জামাত ও আইনি ভিত্তি চায়।
সেইফ এক্সিট বলতে নির্বাচন দিয়ে প্রস্থান বুঝায় এই ক্ষেত্রে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি বলতে চান গণঅভ্যুত্থান নিজেই একটা দলিল কিন্তু সেটা আইনি ভিত্তি ছাড়া এনসিপি মানবে না।
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০০
কলাবাগান১ বলেছেন: যেখানে অন্য দেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে proportional ভিত্তিতে কাটাছাট করা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য পুরা কন্টিনজেন্ট কে ফেরত পা ঠানো কেন? বাজেট ঘাটতি তো সব দেশের জন্য সমান হওয়া উচিত
আপনার উত্তর জামাত/শিবির যারা এখন দেশ চালাচ্ছে, তাদের জন্য দায়মুক্তি
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনাদের ১ম কাজ হইতেসে যে কোনো ঘটনায় ইনটেরিমের দোষ খুজে বের করা । পুলিশ আর মিলিটারি শেখ হাসিনার কারনে বদনাম হয়েছে । এখন যা দেখছেন সেগুলো ফলাফল ।
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: সাংবিধানিকভাবে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। জোর করে উনাকে সরানো হয়েছে তাই এটা সংবিধানের লঙ্ঘন।
ধন্যবাদ খোলস ছেরে বেড়িয়ে আসার জন্য শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপের দিকে তাকান। আরব বসন্তের দেশগুলোর দিকে তাকান। সেসব দেশে স্বৈরাচার পতনের পর কিভাবে সুশাশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেটা বুঝলেই হবে। তাহলে আর স্বৈরাচার পতনকে অসাংবিধানিক বলে মনে হবে না!! দায়মুক্তির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হবে না!!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কিসের খোলস ছেড়ে আসার কথা বলছেন ? দায় মুকতি কখন চায় সেটা আপনি বুঝেনই না । সাংবিধানিক ভাবে শেখ হাসিনাই ....। এখন রেভুলেশনের পর দরকার পড়ে না দায়মুকতির কিনতু এনসিপি সেটা মানবে না । যদি মেনে নিত তবে জুলাই সনদে সাইন করতে যেত । তারা চায় এমন আইন করা যাতে জুলাই সনদ রদ করা না যায় । আপনার হিসাব মতে সবাই লিগের..।
আপনার কি হয়েছে জানি না । আপনি এনসিপিকে সাপোরট করেন কিনতু তাদের দায়মুকতির বিরোধিতা করেন । এ কেমন সাপোরটার ।
১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭
সপ্তম৮৪ বলেছেন: শাউয়া মাওয়া ভাইঙ্গ্যা ফেলার পরেও যদি আওয়ামীলীগের ভয়ে থাকা লাগে তাহলে তাদের সাহসী বীর , অভ্যূথানকারী , জুলাই যোদ্ধা , ২৪ এর মুক্তিযোদ্ধা না বইলা ষড়যন্ত্রকারী বলাই বেটার হবে। কারণ একমাত্র ষড়যন্ত্রকারীরাই ভয়ে থাকে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এটা তো আওয়ামি বয়ান দিলেন । যাই হোক দেশ নরমাল পজিশনে ফিরে আসুক সেটাই কামনা করি ।
১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কোন সমস্যাই হবেনা নির্বাচন হলে সবঠিক হয়ে যাবে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইলেকশনে যেতে হলে জুলাই সনদকে আইনি বৈধতা দিতে হবে যে কোনো উপায়ে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:১৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
প্রথমত নির্বাচনের পর এইসব জুলাই সনদ, জুলাইয় বিপ্লব দুই পয়সার মুল্যে থাকবে না। প্রত্যক টি রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ শক্তি, কর্মী ও অর্থ বলে দাবী দাওয়া আদায় বা নির্বাচিত সরকার কে মোকাবেলা করতে হবে। সাধারণ মানুষ জুলাই আন্দোলনে প্রতারিত হবার নতুন করে আর মাঠে নামবে না।
আলী রিয়াজ নামক আমেরিকান থেকে ইমপোর্ট করা ছাগল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এতো আলাপ আলোচনা করে এতো দিন কি খসড়া অনুমোদন দিলো? পরবর্তীতে সংশোধনী আনার প্রয়োজন পড়লো কেন? এটা আরো স্মার্টলী হেন্ড্রেল করা যেতো কিনা?