| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ কুতুব
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লি এবং ইসলামাবাদ—এই দুই রাজধানীতে ঘটে যাওয়া দুটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে এক নতুন সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। একদিকে যেমন পেশাদার, উচ্চশিক্ষিত শ্রেণির সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের উত্থান দেখা যাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই হামলাকে "জেগে ওঠার বার্তা" হিসেবে বর্ণনা করে আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছেন ।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের সুরক্ষিত জি-১১ এলাকার জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার ঘটনাটি দেশের নিরাপত্তার দুর্বলতাকে প্রকট করে তুলেছে। হামলার এই স্থানটি প্রমাণ করে যে, সন্ত্রাসবাদ এখন আর কেবল সীমান্ত সংলগ্ন দূরবর্তী এলাকা বা বেলুচিস্তানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের কেন্দ্রভূমিতেও তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’ হিসেবে নিশ্চিত করেছেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, "আমরা এখন যুদ্ধের অবস্থায় আছি।" তাঁর এই বক্তব্য স্পষ্টতই ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানকে আরও কঠোর করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও যোগ করেন, যারা মনে করেন যে এই যুদ্ধ কেবল আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে লড়া হচ্ছে, তাদের জন্য এই হামলাটি হলো একটি 'জেগে ওঠার বার্তা'। একই সঙ্গে, তিনি কাবুলের শাসকদের সঙ্গে সফল আলোচনার আশা না করার পরামর্শ দিয়ে পরোক্ষভাবে আফগানিস্তানের দিকেও সন্দেহের তীর ছুড়েছেন। এই ধরনের মন্তব্য আঞ্চলিক অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন নিহতের পর ভারতীয় তদন্তে যে চিত্রটি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার ৩৩ বছর বয়সী চিকিৎসক ডা. উমর নবির নাম উঠে এসেছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে যে, ডা. উমর নবিসহ গ্রেপ্তার হওয়া আরও কয়েকজন অভিযুক্ত—যাদের মধ্যে আরও চিকিৎসক এবং পেশাদার ব্যক্তিরা রয়েছেন—এক ভয়াবহ 'উচ্চশিক্ষিত প্রথম শ্রেণির পেশাজীবীদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক' বা 'হোয়াইট-কলার টেরর মডিউলের' অংশ।
হরিয়ানার ফরিদাবাদে এই নেটওয়ার্কের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (২,৯০০ কেজি) উদ্ধার হওয়ার ঘটনা এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপকতা প্রমাণ করে। জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) এবং আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে এই পেশাদারদের যোগসূত্র থাকার দাবি প্রমাণ করে যে, সন্ত্রাসবাদের প্রথাগত ধারণায় পরিবর্তন আসছে। এখানে শুধুমাত্র অশিক্ষিত বা বেকার যুবকরা নয়, বরং সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিরাও চরমপন্থায় আদর্শগতভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন।
মুল সংবাদ: দিল্লির পর পাকিস্তানের রাজধানীতে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১২-আজকের পত্রিকা ডেস্ক /মোবাইল ফোন বন্ধ করে লাপাত্তা হন ডা. উমর, তিন দিন পর লালকেল্লায় বোমা হামলা / আজকের পত্রিকা ডেস্ক ।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার ।
২|
১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: যুদ্ধের আলামত।তবে যুদ্ধ দুই ফ্রন্টে হবে।হাসিনা ভীতি আপনাকে পেয়ে বসেছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার বলা বেশির ভাগ কথায় মিলে না । কোনো ওয়ারের মুডে নেই ভারত।
৩|
১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: ভারত যুদ্ধ প্রস্তুতি শেষ করেছে।তিন তিনটি আর্মি ঘাঁটি নতুন তৈরি করেছে।যুদ্ধের উছিলা খুঁজছে।গনতান্ত্রিক দেশ অকারণ অক্রমন করতে পারে না।উছিলা পেলেই রংপুর চট্রগ্রাম আলাদা করে নিবে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কিছুই হবে না । এসব ইউটিউবের ভুয়া নবিদের কথা শুনবেন না ।
৪|
১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৬
সৈকত৭১ বলেছেন: এসবের পিছনে চীন-আমেরিকার হাত থাকা অসম্ভব কিছু না।
১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নানামুখি খেলা চলমান।
৫|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৯
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার ।
দোষ কার, সেটা খেলায় দেখবেন। ধরা এখনও শুরু হয় নাই ধরেলে এগুলা মাটি সাথে মিশানো হবে আওয়াজ ছাড়া।
হালকার উপর দিয়ে একটা ব্লক ডাউন ঘোষনা দেওয়া হইছে, আপনাদের স্বরাষ্ট্র অপদেস্ট ভয়ে মুইত্তা ফালাইছে , আরেক ডিয়াইজি ব্রাস ফারায় করতে কয়, শুকরগুলা কতটা ভয়ে আছে। আওয়ামীলীগের নেতারা তাও নিরাপত্তা স্বার্থে ভারতে আছে। এরা কই যাবে। হাজার মাইল দূরে ওদের বাপের দেশ পাকিস্তান।
লকড ডাউন ঘোষনা শুনেই এক রাতেই ১৯ হাজার আর্মী নামাই ফালাইছে। আইয়ূবের চাইতে বেশি মুইত্তা ফালাইছে। আপনাতে পুলিশ আর আর্মি ছাড়া সেই ভাড়া করা ছাত্র জনতা কে নামতে কইয়েন, ২০০৬ এর ২৮ অক্টোবরের কথা বিএনপি জামাত জানে । যখন ধরা হবে জাশি থেকে শুরু করে ডাস্টবিন শফিক্কার সবগুলা হিসাব কড়ায় কড়ায় নেওয়া হবে। অনেক হিসাব বাকি আছে অনেক অনেক। আমার কমেন্টের স্ক্রিনশট নিয়া রাখেন।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লিগের সব ফাকাফাকি। ঢাকা বাদে কোথাও আওয়াজ নেই ।
৬|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৭
লুধুয়া বলেছেন: আলামত কিছুনা। মূল প্রবলেম 1400 সালের একটা বই যেটা ব্রেইনওয়াশ করছে।তালিবান, লস্কর তৈয়বা, isis, বাংলাদেশের জামাত সব একসুতই গাঁথা।এই ঘটনার পর মুসলিম দের আরো কোনা ঠাসা করা হবে। এই বেকুব র। নিজেরা মরবে সঙ্গে যারা মুসলিম শান্তি ভাবে বসবাস করছে তাদের জীবন টাকে বিপন্ন করে চলে যাবে
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব দোষ মানুষের । মোদি আর শাহবাজ শরিফ সব গুলো মোলবাদি।
৭|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: কিসের আলামত? আপনার উত্তরটা কী?
ভারত উপমহাদেশে আমেরিকান উপনিবেশিকতার যে পররাষ্ট্রনীতি তাতে করে তারা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান - এই তিনটি দেশেই একসাথে ইসলামি জঙ্গিবাদকে মদদ দেয়। এ কাজে আমেরিকা পাকিস্তানকে ব্যবহার করে যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কানি দেয়।
এখন মনে হয় পাকিস্তানের মত এখন বাংলাদেশকেও জঙ্গি কারখানা তৈরি হবে, সেই সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটনার পিছনে শেখ হাসিনা দায়ী থাকবেন। ভুয়া জংগীবাদ দমন করতে গিয়ে আরো বাড়িয়ে গিয়েছেন।
৮|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম হামলা বাংলাদেশেও হতে পারে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাক সার জমিন বাদ ।
৯|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাক সার জমিন বাদ ।
কেন বারবার মুখটা নাপাক করেন???
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাকিসতান জিনদাবাদ ।
১০|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
শ্রাবনধারা বলেছেন এখন মনে হয় পাকিস্তানের মত এখন বাংলাদেশকেও জঙ্গি কারখানা তৈরি হবে, সেই সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সোভিয়েত পতনের পর আমেরিকাকে দৃশ্যত কোন শক্তি চ্যালেঞ্জ করার সাহস ছিল না প্রায় ২ যুগ। জঙ্গিবাদ দিয়ে তখন বিশ্ব ব্যবস্থাকে ব্যস্ত রাখা হয়। কাউন্টার টেরোরিজম নামে দেশে দেশে হামলা, যুদ্ধ করে মার্কিন বহুজাতিক অস্ত্র কোম্পানিগুলো বাঁচিয়ে রাখে।
চীন এখন একটি রাইজিং সুপার পাওয়ার। আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো অর্থনীতি ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে সমকক্ষ প্রথম কোন দেশ চায়না। উপমহাদেশ তথা বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ খেলা আদতে আবার উদয় হবে কিনা তাই এই বিষয়ে কিছুটা সন্দিহান...
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে আবার জংগিবাদ চালু হলে পুরো দোষ হবে শেখ হাসিনার। বাহিরের কেউ এসব চালু করবে না । শেখ হাসিনা কিসের জংগি দমন করেছেন ১৭ বছর ? পুরো এডুকেশন সিসটেম শেষ করে দিয়েছেন।
১১|
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভোটের আগে ভারত ফাটাফাটির খেলায় মেতে উঠে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উড়িয়ে দেয়ার মতো না আপনার কথা ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৭
আদিত্য ০১ বলেছেন: জাশিকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তারা পাকি জঙ্গীদের একটা শাখা। ঝুলাইয়ে ওদের ট্রেইন্ড জঙ্গীরাই ন্সাইপার দিয়ে আবু সাইদ, মুগ্ধদের গুলি মেরেছে আর দোষ দিয়েছে পুলিশকে আর শেখ হাসিনাকে।