| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ কুতুব
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
সততার পুরস্কার নামক এক বিরল শিক্ষামূলক গল্পের বাস্তবায়ন যেন এখন চোখের সামনেই ঘটছে। ছোটবেলা থেকে আমরা বইয়ের পাতায় যা পড়ে এসেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেই ভি.সি. স্যার : যিনি কিনা "৩৬ পৃষ্ঠার সিভি"-ওয়ালা ভি.সি. নামেই পরিচিত – এখন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে সম্ভবত সেই সততারই এক 'বিশেষ পুরস্কার' পেতে চলেছেন। ঢাবি-র মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য পদ থেকে তিনি নাকি পদোন্নতি পেয়ে ডেনমার্কের মতো চমৎকার দেশে রাষ্ট্রদূত হয়ে যাচ্ছেন। এই পদ পরিবর্তন কি তাঁর একান্ত নিজস্ব আগ্রহে হচ্ছে, নাকি সরকার তাঁকে পুরস্কৃত করে এক বিশেষ বার্তা দিচ্ছে, তা ইতিহাস একদিন খুলে বলবে।
গত কয়েক মাস ধরে উপদেষ্টা পরিষদ ঘিরে যে 'সেইফ এক্সিট'-এর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তার মধ্যেই ঢাবি-র মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের ভি.সি.-র এভাবে হঠাৎ করে ডেনমার্কে পোস্টিং নিয়ে চলে যাওয়াকে অনেকেই সেই "সেইফ এক্সিট"-এর সঙ্গে তুলনা করছেন। এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ উপাচার্য হিসেবে তিনি তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব যে যথোচিতভাবে পালন করেছেন, তা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন; বিশেষত ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঢাবিতে শিবির যে সর্বকালের সেরা ফল দেখিয়েছে, তার নজিরবিহীন কৃতিত্ব তো তাঁরই প্রাপ্য। তবে এই চমৎকার পারফরম্যান্সের 'উপহার' হিসেবে তাঁকে ডেনমার্কে পোস্টিং দিয়ে কিছুটা খাটো করা হলো না কি? কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের মর্যাদা তো বহু বহু ওপরে। ঢাবি-র ভি.সি. হয়ে কী করে স্যার ডেনমার্কের মতো দেশের রাষ্ট্রদূতের পদ মেনে নিতে পারেন: এই প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগছে।
স্যার যদি থেকে যেতেন, তবে কি এমন কোনো 'অসুবিধা' হতো? তিনি এমন কী-ইবা করেছেন যে তাঁকে চাকরি ছেড়ে বিদেশে, থুক্কু, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হিসেবে 'সেইফ এক্সিট' নিতে হচ্ছে, আর গত এক বছরে তাঁর এমন কী 'দক্ষতা' অর্জিত হয়েছে যে সরকার তাঁকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদে নিয়োগ দিল? নিয়াজ স্যার ঢাবি-র ভি.সি. হওয়ার আগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (IUB) উপাচার্য ছিলেন বলেই শোনা যায়, যদিও সাধারণের মধ্যে তিনি "৩৬ পৃষ্ঠার ভি.সি." নামেই বেশি পরিচিত।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে সাধারণত ৭০ শতাংশ ফরেন ক্যাডার এবং ৩০ শতাংশ বেসামরিক লোক (যেমন মুসফিকুর ফজল করিম আনসারির মতো ) যেকোনো সরকার নিয়োগ দিতে পারে, যা অবশ্যই সরকারের এখতিয়ার। প্রসঙ্গত, কেবল নিয়াজ স্যার নন, তাঁর সঙ্গে নাকি আরও তিনজনকে এমন পোস্টিং দিয়ে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। শোনা যায়, নিয়াজ স্যারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কামরুল স্যার; কিন্তু তিনি কিছুটা বামপন্থী ভাবধারার এবং তাঁর স্ত্রীর 'খুল্লামখুল্লা' চলাফেরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের (ওরফে গোপন শিক্ষার্থীদের) পছন্দের তালিকায় তাঁকে পিছিয়ে দিয়েছে—এই কারণেই নাকি নিয়াজ স্যারকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
নিয়াজ স্যার যেদিন নিয়োগ পান, তার পরের দিনই ছোট মামার সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছিল, মামা নিজে থেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "কিরে, ঢাবি-তে নতুন ভি.সি. নিয়োগ দিয়েছে, জানিস কিছু?" আমি বলেছিলাম, "মামা, পরহেজগার লোক, মাশাআল্লাহ্, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ পড়ে গেছে।" মামা হেসে বললেন, "সেটা ঠিক আছে, তবে তিনি জামাতী ভাবধারার মানুষ।" আমি জানতে চেয়েছিলাম, "তুমি কী করে জানলে?" মামা তখন তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু গণি-র কথা বললেন, যিনি চট্টগ্রামে সরকারি চাকরি করেন তিনি জানিয়েছেন যে ভিসি মহাশয়ের পরিবার পুরোপুরি জামাতী। গণি মামাকে চিনতাম, কারণ আমার মামী ছিলেন জামাতের হেভিওয়েট রুকন আর গণি মামার ওয়াইফ মামীর বাসায় তালিমে আসতো । এই দেশে কে যে নিরপেক্ষ, সেটা বোঝা দায়।" এসব তর্ক-বিতর্ক দূরে থাক, নিয়াজ স্যার যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব ইলেকশান ইন্জিনিয়ারিং' আওয়ামি লিগ থেকে শিখেছে । ![]()
২|
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৪
কিরকুট বলেছেন: কারন উনি বেদম পিটানি খবার আশংকায় আছেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উহা আপনার ভুল ধারণা । তিনি পিটুনি খাওয়ার মতো কাজ করেন নি । পিটুনি খাওয়ার মতো কাজ করেছিলেন মাকসুদ কামাল, আরেফিন সিদদিক। জাবির মেডাম ভিসি আর জবির ভিসি সাদেকা হালিম।
৩|
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭
ক্লোন রাফা বলেছেন: সৈ.কু. একজন কু-যুক্তি বিশারদ। যাদের কথা বললেন তারা কেউ রাষ্ট্রদূত হয়ে পালিয়ে যান নাই। কিন্তু উনি নিরাপদে দেশ ধ্বংস করে পালিয়ে যেতে চাইছেন।
হাসিনা সিন্ড্রমে আক্রান্ত একজন মানুষের কাছে যুক্তি একটাই। হাজারো ছাত্র ছাত্রীর জীবন নষ্ট করে পালানোর পথ খুঁজছে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার । জংগিবাদের চাষাবাদ করে গেছেন যাতে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে আওয়ামি লিগ । এখন আবার বাকিদের কপি করছে। মাকসুদ কামাল পলাতক, সাদেকা হালিম কোথায় ?
৪|
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
লেখক বলেছেন: এসব ইলেকশান ইন্জিনিয়ারিং' আওয়ামি লিগ থেকে শিখেছে ।
-বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস না'জানে কিভাবে ব্লগিং করবেন? আওয়ামী লীগের উপর দোষ দিলে, অনেকই পোষ্টের পক্ষে মন্তব্য করবেন; কিন্তু একই সাথে আপনার জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
এগুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছুই জানা যাবে না; তবে, ইহা ইলেকশান ইন্জিনিয়ারিং'এর সাথে যুক্ত ও ভয়ে আছে।