নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসিক মুকুল

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

লুৎফুরমুকুল

আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।

লুৎফুরমুকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা' বিষয়ক মজার স্মৃতি

১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭



লুৎফুর রহমান



মায়ের বড় সন্তান আবার বড়ছেলেও। যতো আদুরে ছিলাম আর আছিও বুঝতেই পারছেন। নব্বই দশকের মধ্যদিকে আমি ছিলাম পাঠশালার ছাত্র। ক্লাশ ফাইভের পড়ার সাথে ছিলো বৃত্তি পরীক্ষার চাপ। এর মধ্যে নানার অসুখ খবর এলো। আম্মার সাথে আমিও গেলাম নানাবাড়িতে। সেদিন ছিলো শুক্রবার। তাই স্কুল বন্ধ থাকায় আমার যাওয়া। কিন্তু নানার অসুখ বেড়ে গেলো। আম্মাকে থাকতে হলো আর আমি আম্মাকে ছেড়ে আসতে চাচ্ছিলাম না আম্মাও আমাকে বাড়ি দিয়ে উনি বাপের বাড়ি থাকতে রাজি নয়। তবুও খালাম্মাদের চাপে আম্মা থাকলেন আর আমি এসে গেলাম পড়াশোনার জন্যে। রাস্তায় যখন আসছিলাম একা একা খুব কাঁদছিলাম। হঠাৎ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলো-কেনো কাঁদো বাবা? আমি আম্মাকে রেখে আসছি বলতে লজ্জা পাচ্ছি ভেবে এমনিতে বললাম একটি ছেলে আমাকে মারছে। সে যাত্রায় বেঁচে গেলাম।



(২) কোল বালিশ কাহিনী

আম্মাকে জড়িয়ে ধরে প্রতিদিন ঘুমুতাম। এমনকি নানাবাড়ি সহ কোনো আত্মীয়ের বাড়ি গেলে রাতে ঘুম থেকে জাগার পর আমি আম্মার নাকে হাত দিতাম আম্মার নাকফুলের টের পেলে বুজতাম আম্মা-ই আছেন পাশে। একদিন এক বিয়ে বাড়িতে জায়গা সংকুলানজনিত কারণে আমাকে অন্য পিচ্ছিদের সাথে থাকতে হলো ভোর রাতে নাকে হাত দিয়ে আম্মার নাকফুল পাইনি বলে কাঁন্দনে সারা বাড়ি মাথার উপর করে ফেলছিলাম। এবার আসি কোল বালিশ কাহিনীতে। আমি যখন খোকাত্ব ছাড়তে লাগলাম তখন ক্লাশ ৩। আমাকে দেওয়া হলো নিজের ঘরে। আম্মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবার স্বর্গীয় সুখ হতে বঞ্চিত হলাম। দেওয়া হলো একটা কোল বালিশ। নিরুপায় হয়ে গাল ফুলিয়ে ঢুঁকরে কেঁদে ঘুম আসতো ডেইলী। একদিন আমার আব্বার এক চাচা মানে আমার দাদার ভাই দাদা আমার পাশে শুইলেন। আমি যথারীতি কোলবালিশ ভেবে দাদাকে ভালো করে জড়িয়ে ধরি। (*আমার ভাষার কান্চি মারি ধরছি)। দাদা ফজরের নামাজে যাবেন আমাকে ছাড়াতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আমার রাজার আসন নিয়ে ঘুমে মশগুল। নিরুপায় হয়ে দাদা আমার আব্বাকে ডাক দিলেন আব্বা এসে আমাকে জাগিয়ে ছুটালেন। আজ এসব ঘটনা মনে হলে খুব হাসি পায়। এতো রঙিন আর দুরন্ত ছিলো আমার শৈশব। আজ মা, মাটি দেশ ছেড়ে প্রবাসে দিনযাপন। কিন্তু এই পরবাসেও একদিন যদি ১মিনিটও আম্মার সাথে কথা না বলি অস্থির হয়ে যাই। তাই ডেইলী অনেকক্ষণ কথা হয় আম্মার সাথে। আম্মা আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি আমার হাতাশার আকাশে আম্মা-ই আশার আলো দেখন। আমার আম্মার দীর্ঘায়ূ কামনা করি। দুনিয়ার সকল মা সুখে থাকুক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.