![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
আরব আমিরাতে প্রথম বাংলা বইয়ের প্রকাশনার ইতিহাস
লুৎফুর রহমান
আরব আমিরাত আর বাংলাদেশ একসাথে স্বাধিনতা লাভ করে ১৯৭১ সালে। স্বাধিনতার আগেও অনেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে আরব আমিরাতে আসেন। আর স্বাধিনতারকালে এখান থেকে বিচ্ছিন্নভাবে আর্থিক সহযোগিতা দেন মুক্তিযোদ্ধাদের। এখানে সিলেট আর চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের আনাগোনা সেই প্রথম থেকে। সিলেট এর বাসিন্দারা এসেই অনেকে চালু করেন আগর-আতর এর ব্যবসা। আর চট্টগ্রামের লোকেরা নানা ব্যবসা ছড়িয়ে দেন তখন থেকে। ঠিক তেমন দেশ স্বাধিন হওয়ার পরও। জীবিকার সন্ধানে পাড়ি জমা্ন অনেকে আরব আমিরাতে। তাদের বুকের গহীনের সব কষ্ট, ব্যথার কাব্য আর উপন্যাস যেন রচিত হয় চোখের জলে। প্রথম থেকেই বিচ্ছিন্ন ভাবে অনেকে লেখেছেন আরব আমিরাত থেকে। কিন্তু কারো বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্টান হয়নি আরব আমিরাতে। লেখেছেন সারওয়ার চৌধুরী, আবছার তৈয়বী, জযনুল আবেদীন, এম এ আজম সহ অনেকে। বিচ্ছিন্নভাবে লেখা এসব লেখকদের বইও ছাপা হয়েছে কারো কারো। তবে এখানে আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা উৎসব করা হয়নি। আমি লুৎফুর রহমানের প্রথম ছড়ার বই 'স্বপ্নবালিকা' প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের বইমেলায়। এর ভূমিকা লেখেন বাংলা ছড়াসাহিত্যের রাজপুত্র লুৎফর রহমান রিটন। প্রকাশ করেন জলছাপ প্রকাশন, ঢাকার লোকমান আহম্মদ আপন। আর প্রকাশের পর দেশে ব্যাপক সাফল্যের পর আরব আমিরাতের দুবাইতে একটি প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করি। প্রধান অতিথি ছিলেন ঠিক সেদিন দুবাইতে মাত্র যোগ দেওয়া ভাইস কনস্যাল বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক নাসরীন মুস্তাফা। যিনি দাপ্তরিক নাম "নাসরিন জাহান লিপি'' ব্যবহার করেন। এবার জানিয়ে দিচ্ছি সেদিনকার খবর-
২০১১ সালের ২৩ মার্চ বুধবার আরব আমিরাতের দুবাইস্থ একটি অভিজাত হোটেলে আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল এর সম্পাদক ছড়াকার লুৎফুর রহমানের প্রথম ছড়াগ্রন্থ স্বপ্নবালিকার প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ সমবায় সমিতির উপদেষ্টা ও মুকুল পরিজন উপদেষ্টা আলহাজ্ব আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও মাসিক মুকুলের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আব্দুল আজিজ সেলিম এবং মুকুল পরিজন মাহনুর রওশান মুমুর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কন্স্যুলেট দুবাই এর ভাইস কনস্যাল বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক নাসরিন জাহান লিপি। প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, দুবাইতে বাংলা ভাষা আর সাহিত্যের এমন চর্চা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। এমন তরুণরাই পারে বদলে দিতে পৃথিবী। আর তেমনি এক তরুন আজকের লুৎফুর রহমান। উনি শুধু ছড়া লিখেন না। প্রবাসের হাড়ভাঙা খাটুনির পরও মাসিক মুকুল প্রকাশ করে বাঙালির সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরেন। তাই সমাজের সকল স্তরের লোক এগিয়ে আসতে হবে লুৎফুরদের বাঁচিয়ে রাখতে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম খান বলেন-যেদিন থেকে মুকুল বের হয় তখন থেকে বুঝে ছিলাম লুৎফুর একটা আগুনের ফুলকি। আর আজ তার স্বপ্নবালিকা বই নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়ে সেই ধারণা প্রমাণ করে দিলেন। তাই মুকুলের সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা যেমন আমিরাতে সাহিত্যের ধারা সৃষ্টি করেছেন তেমনি আগামি বছর একটা বইমেলার আয়োজন করেন। বইয়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসেন অধ্যাপক আব্দুস ছবুর। তিনি বলেন-প্রেম এতো মধুর বিষয়। আর এ বিষয় নিয়ে পাঠক দুয়ারে হাজির হয়েছেন তরুণ সম্পাদক ও ছড়াকার লুৎফুর। কিন্তু তার মেধা আর মনন আমাকে বিস্মিত করে। এতো নিপুনভাবে মানুষের আশা-আকাঙ্খাকে ফুটিয়ে তুলেছেন বইটিতে। বই পড়ে আমি যেন হয়েছিলাম কোন এক স্বপ্নবালক। লুৎফুরের ছড়ায় আছে প্রতিবাদি সুর। মুকুলে প্রকাশিত কড়াছড়া'র আমি একজন পাঠক। আর এই সুর যেন ধরে রাখতে পারেন তিনি এই আশা করি। আদিল মোহাম্মদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরূ হওয়া উৎসবে মুল প্রবন্থ পাঠ করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব এ এম আব্দুল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে-লেখিকা ও শিক্ষিকা মোস্তাকা মৌলা, কবি নুরুল হক, সাহিত্যনুরাগী প্রকৌ. রফিকুল ইসলাম খান ও সাংবাদিক নাছিম উদ্দিন আকাশ। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় উৎসবের শুরুতে। পরে প্রধান অতিথি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। মোড়ক উন্মোচনের পরই ছন্দে-ছন্দে ছড়াকারের অনুভূতি প্রকাশ করেন লুৎফুর রহমান । ধারাবাহিক স্বপ্নবালিকা বই থেকে ছড়া পাঠ করেন-আরটিভির প্রতিনিধি মাহাবুব হাসান হৃদয়, ইঞ্জিনিয়ার মফিজুল ইসলাম মানিক, কবি ফখরুল ইসলাম ওমর ও সাংবাদিক মেহেদী হাসান। ছড়াকারের জীবন চরিত পাঠ করেন মাহনুর রওশান মুমু। স্বপ্নবালিকা বইয়ের উপর ছন্দে-ছন্দে প্রতিক্রিয়া পাঠ করেন প্রবাসী কণ্ঠ সম্পাদক ছড়াকার সমীরণ বড়ুয়া। দুবাইয়ের ইতিহাসে প্রথম অনুষ্ঠিত কোনো বইয়ের প্রকাশনাতে ছিল ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনা। উৎসবমুখর পরিবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা এম এ মুহিত, সমাজসেবী শিহাবুল আম্বিয়া, কবি এম এ আজম, কবি মুহম্মদ জয়নুল আবেদীন, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আজিজ, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি ফখরুল ইসলাম, বাংলা এক্সপ্রেসের সাংবাদিক খুরশিদ আলম, মোহনা টিভির সাংবাদিক কামরুল ইসলাম, সমাজকর্মী শামীম আহমদ, আব্দুল হাছিব খোকন, চুয়েট এর সাবেক প্রথম আলো প্রতিনিধি মেহেদী হাসান, ব্যাংকার সাহনী রওশান শিমু, সংস্কৃতিকর্মী বদরুল হক লস্কর ও বাবুল আহমদ। উল্লেখ্য, এই প্রকাশনা উৎসবের মধ্য দিয়ে দুবাইতে নতুন সংস্কৃতির সূচনা হয়েছে জানায়িছেন বোদ্ধামহল।
আব্দুল্লাহ ভাই এই বছরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এ বইয়ের মুল প্রবন্ধ তিনি পাঠ করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর আরব আমিরাতের জীবনের ৩০টি বছরই তিনি কাটিয়েছেন বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির বিস্তারে। প্রবাসে এমন বাঙালিত্ব জাগানোর মানুষের বড় অভাব। ভাল থাকুন আব্দুল্লাহ ভাই, ওপারেতে। আপনার এ জায়গা পূরনের নয়।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
লুৎফুরমুকুল বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বাংলা সাহিত্য আরো ছড়িয়ে পড়ুক
ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে।