![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
ছাতকের শিখা সতের
লুৎফুর রহমান
একাত্তরের আগস্ট মাসে ট্রেনিং নেবার কালে
আটারোজন ফেঁসে গেলেন রাজাকারের চালে।
রাজাকার ওই ফরিদ মিয়া ধোকা দিলো ধোকা
আঠারোজন মুক্তি সেদিন হয়েছিলেন বোকা।
পাকির হাতে আঠারো জন মুক্তি খেলেন ধরা
পালিয়ে গেলেন একজনা যে সতরোজনের মরা।
ছাতক ও গোবিন্দগঞ্জ লালপুল জা'গার নাম
আটক সকল মুক্তিসেনার নেই জানা নেই গ্রাম।
একসারিতে দাঁড় করিয়ে করলো সেদিন গুলি
জ্যান্ত পরে কবর দিলো ক্যামনে ওসব ভুলি?
স্বাধিনতার পরে সেথায় গড়ে ওঠে "শিখা''
তাঁদের তরে শ্রদ্ধা দিয়ে এ ছড়াটি লিখা।
_______________________________________
** ১৯৭১ সালের আগস্টের মাঝামাঝি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ১৮ জন উদ্যমী যুবক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে সমবেত হয়। তারা সুনামগঞ্জের সুরমা নদী পথে ছাতকের নোয়ারাই হয়ে ভারতের চেলা এলাকায় প্রশিক্ষণের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেতুরা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় রাজাকার ফরিদ মিয়া ও তার সহযোগী রাজাকাররা মুক্তি পাগল যুবকদের বোকা বানিয়ে হানাদার বাহিনীর হাতে তোলে দেয়। ওই সময় এক যুবক পালাতে সক্ষম হলেও বাকি যুবকদের হাত-পা বেঁধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ছাতক থানায় নিয়ে যায়। সারাদিন বেঁধে রেখে রাতভর অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরের দিন সন্ধ্যায় ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের লালপুল এলাকায় তাদের নিয়ে আসা হয়। সবাইকে জীবন্ত কবর দেয়ার জন্য একটি বড় গর্ত খনন করা হয়। দাঁড় করানো হয় সারিবন্ধভাবে। মূহূর্তের মধ্যে গর্জে উঠে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মেশিনগান। তাজা রক্তে লাল হয়ে উঠে লালপুল এলাকার সবুজ ঘাস। টেনে হেঁচড়ে তাদের যখন গর্তের মধ্যে ফেলে দেয়া হয় তখনও কারো মৃত্যু নিশ্চিত হয়নি। তথ্য সূত্র: বালাদেশ প্রেস, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪, বধ্যভূমির গদ্য, বিডিনিউজ২৪.কম।
©somewhere in net ltd.