নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসিক মুকুল

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

লুৎফুরমুকুল

আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।

লুৎফুরমুকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনগরের পাঁচগাঁও গণহত্যা

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

রাজনগরের পাঁচগাঁও গণহত্যা
লুৎফুর রহমান

রাজনগরে কমলা রাণী দিঘীর খুবই কাছে
পাঁচগাঁও নামে সেথা এক জনপদ আছে ।
অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের জন্মমাটির গাঁয়ে
পাক সেনারা সাত মে ঘিরে ডানে-বাঁয়ে।

আলাউদ্দিন রাজাকারের দেখানো পথ ধরে
অর্ধশত সেনা আসে দুইটি গাড়ি ভরে।
ঘুমের দেশে সবাই যখন করলো পাকি হানা
আহা করুণ দুখের কথা ইতিহাসেই জানা।

ঊনষাট লোক সেদিন ছিল দিঘীর পাড়ে কাতার
বাঁচলো তিন দিঘীর জলে করে সেদিন সাঁতার।
দিঘীর পাড়ে বাকি সবাই স্বাধিনতার বলি
রক্তে সেদিন লাল হয়েছে নরম মাটি পলি।

একজনারই পায়ের সাথে অন্যজনার মাথা
এমন বেঁধে দিঘীর জলে ঊনষাটজন ভ্রাতা
শহিদ হলেন সেদিন সেথা কেমনে তাঁদের ভুলি
পড়শী সবাই কবর দিলো দিঘী থেকে তুলি।
_________________________________
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহি কমলা রাণীর দিঘীর পাশে পাঁচগাঁও গ্রাম। এ গ্রামে অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা জন্মেছেন। একাত্তরের ৭ মে সকালে রাজাকার আলাউদ্দিনের সহযোগিতায় ২ গাড়ি করে ৫০ জন পাকবাহিনী গ্রামে ঢুকে। ভোর হবার আগেই বাড়ি থেকে ধরে আনে লোকজনকে। বাড়িঘর লুট আর ধর্ষণ ছিল তুচ্ছ বিসয় তাদের। পরে সরকার বাজারের দিঘীর পাড়ে সবাইকে লাইন ধরিয়ে গুলি করে ৫৯ জনকে হত্যা করে আর একজনের পায়ের সাথে অন্যজনের মাথা বেঁধে দিঘীর জলে ফেলে দেওয়া হয়। ভাগ্যক্রমে সাঁতার কেটে সেদিন বেঁচে যান সাধু শব্দকর, চরিত্র শব্দকর ও জিতেন্দ্র মালাকার। আর স্বাধিনতার বলি হন-পুতুল, নীরোদ, ব্রজেন্দ্র, মনাই, বীরেশ, সুররাম, নিত্যবালা, উপাই, নগরী, হরেন্দ্র, গোপাল, কুমার, অভিরাম, রমন, রমন(২),নগাই, নররাম, সুবল, সুখেন, সুরেন্দ্র, টুনা, লুঙ্গ, বিধু, আদাই, রমন, সতীশ, ইরেশ, উমেশ, পরেশ, নরি, নরি (২), অভয়, ভগাই, পরশ, নম, ললিতা, নরেশ, লাল, রস, বিমল, কেবল, কাউয়া, বাদল, বসন্ত, যতীন্দ্র, পিয়ারি, উমেশ, কুমুদ, রজনী, রমণী, নগেন্দ্র এবং বাকি ৬ জনের নাম উদ্ধার সম্ভব হয়নি। পাকিস্তানিরা যাবার পরে এঁদেরকে পানি থেকে তুলে দিঘীর পাড়ে পুঁতে ফেলা হয়। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা চাঁদা তুলে নির্মাণ করেছেনএকটি ছোট্ট স্তম্ভ।
তথ্যসূত্র: পাঁতাকুঁড়ির দেশ, ০৭ মে ২০১৫ ও সিলেটে গণহত্যা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

সাহাবী বলেছেন: Tottho purno post er jonno tnx

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

লুৎফুরমুকুল বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.