![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
লংগুর পুল ও লৌহাহিনির পাহাড়ে গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
রাজনগরের গণি, জনু, নেছার, আবুল, মৌলভী
লাল, আনর সব রাজাকার ছিল বেটি-বৌ লোভী।
ইতিহাস যে লম্বা-
পাকবাহিনীর চেয়ে তারা করেনি তো কম বা।
হুজুর খুশি করতে আবুল দিলো আপন বোন
এই শালাদের জন্য সেদিন মানুষ হলেন খুন।
মুন্সিবাজার শান্তিসভায় লোকজনা সব এনে
পাকির হাতে দিলো ওরা আগে থেকে জেনে
লংগুর পুলে এক সারিতে তিনটা পরাণ বলি
সনৎ, মুকুল, মতিরা সব ওঠে আজো জ্বলি।
করিমপুরের বস্তি-
ছয়জনা লোক আনলো ধরে ক্যামনে থাকে স্বস্তি?
লৌহাহিনীর পাহাড় বুকে থামলো পাকির গাড়ি
বুলেট বুকে লাগলো সবাই দুনিয়া গেলেন ছাড়ি।
রাজাকারের ধোকায়-
প্রাণ হারালেন নরেশ, নগেন, বনমালি ও খোকায়
আরো ছিলেন সুরেশ এবং বন্ধু গোপাল দাস
দেশের তরে নয়জনা মোট হলেন সেদিন লাশ।
________________________________
রাজনগরের রাজাকার কমাণ্ডার আবুদল গণি ছাড়াও রাজাকার ছিল আনর, জনু, নেছার, আবুল, লাল, ইনুছ ও আশরফ মৌলভী। আবুল নামের পশুটা নিজের আপন বোনকে পাকিস্তানির মনোরঞ্জনে দিয়ে দেয়। একদিন মুন্সিবাজারে শান্তির নামে সভা আহবান করা হয়। কেউ আসেনি। পরে জোর করে ধরে নিয়ে আসে রাজাকারে সবাইকে। এদের মধ্য থেকে খলা গ্রামের সনৎ চক্রবর্তী, মকুল দাসও মতিলালকে আলাদা করা হয়। আর বাকি ছয়জন করিমপুর বস্তির খোকা সূত্রধর, নরেশ সূত্রধর, নগেন্দ্র বিহারি দাশ , বনমালি দাস, সুরেশ ধর ও বন্ধু গোপাল দাসকে বন্ধি করে পাক বাহিনী। একটা জিপে করে সবাই নিয়ে রওয়ানা হয় পাক বাহিনী। তারপর রংগুর পুলের ওপর এনে সারিবদ্ধভাপবে তিনজন তথা সনৎ, মুকুল ও মতিলালকে হত্যা করা হয। আবার গাড়ি চলতে থাকে। পরে লৌহাহিনীর পাহাড়ের বুকে এনে বাকি ছয়জনকে হত্যা করা হয়।
তথ্যসূত্র: সিলেটে গণহত্যা: তাজুল মোহাম্মদ, পৃষ্ঠা-১২৭।
©somewhere in net ltd.