![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
কুলাউড়ার চাতলগাঁও গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
মৌলভীবাজার সদর থেকে কুলাউড়ার পথে
পাকহানাদের দমণ করেন দুজন কোনমতে
কামারকান্দির আছকির ও হবিব রামপাশার
মুক্তিসেনা দুজন ছিলেন বহু লোকের আশার।
কিন্তু শেষে মুক্তিসেনার বুকেই গুলি লাগে
সেদিন দুজন শহিদ হলেন স্বাধিন হবার আগে।
এরপরেতে পাকবাহিনী চাতলগাঁওয়ে যায়
অনেক লোকের পাক পতাকা হাতে শোভা পায়।
জান বাঁচাতে মিথ্যে পাকের নিশান ছিল হাতে
কিন্তু তবু সেদিন সবার জান বাঁচেনি তাতে
বাড়ি থেকে পাঁচজনা লোক ধরে তারা হাসে
জড়ো করে সবাইকে তাই মসজিদেরই পাশে।
লাইন ধরিয়ে সবাইকে যে যেই ছুঁড়েছে গুলি
কটু এবং সাথি তারি ভাগলো দিয়ে ধুলি
বাকি তিনেক সাথে সাথে পরকালের সাথি
এঁদের প্রাণে দেশের বুকে জ্বল্লো স্বাধিন বাতি।
_______________________________
একাত্তরের ৭ মে। মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া অভিমুখে পাকবাহিনীর গাড়ি আসছে খবর পেয়ে চাতলগাঁও সেতুর উপরে কামারকান্দি গ্রামের আছকির আলী ও রামপাশার হবিব আলী ও দু মুক্তিযোদ্ধা গুলি করে তছনছ করে দেন পাকবাহিনীকে। অবশেষে পাকবাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের কাছে তাঁদের জীবন বিসর্জন দিতে হয়। পরে পাকবাহিনী চাতলগাঁও প্রবেশ করে। এর মাঝে খবর পেলে গ্রামবাসি পালিয়ে যান, যাঁরা থেকেছেন পাক পতাকা হাতে নিয়ে ঘর থেকে জান বাঁচাতে বের হয়েছেন। তাতেও বাঁধেনি পাকহানাদাররা। যাদের চোখের সামনে পেয়েছে গুলি করে মেরেছে। পরে ৫ জন ধরে এনে মসজিদের পাশে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে গুলি চালায়। তখন কটু মিয়া ও তাঁর সাথি প্রাণ বাঁচাতে গর্তে লাফ দেন তাতেও গুলি ছুঁড়ে হানাদার। অবশেষে মরে গেছে ভেবে ফেলে যায়। কিন্তু এ দুজন বেঁচে যান। অন্য তিনজন শহিদ হলেন-চাতলগাঁওয়ের আব্দুল কুদ্দুছ, হিঙ্গাজিয়ার সিরাজুল ইসলাম এবং টেংরা গ্রামের একজন।
©somewhere in net ltd.