নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Miles to go... before I sleep!

আমি খুবই ভাল, সেইসাথে চরম ভদ্র এবং গোছালো একটা ছেলে। কি বিশ্বাস হইল বিশ্বাস না হইলে ঠিকই ধরছেন, আমি পুরাই উল্টা!!! নিজের সম্পর্কে কিছু কথা যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমেই যে কথাটি বলব তা হলো- আমি নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর-আল

সাজ্জাদ মণি

আমি খুবই ভাল, সেইসাথে চরম ভদ্র এবং গোছালো একটা ছেলে।\nকি বিশ্বাস হইল বিশ্বাস না হইলে ঠিকই ধরছেন, আমি পুরাই\nউল্টা!!!\nনিজের সম্পর্কে কিছু কথা যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমেই\nযে কথাটি বলব তা হলো- আমি নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবারের\nএকটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর-আল্হাদে বড়\nহয়েছি এবং এখনও হচ্ছি।বাবা-মা আমার কাছ থেকে অনেক\nকিছু আশা করে।যদিও তাদের আশা আমি পূরন করতে পারব\nকিনা জানিনা।

সাজ্জাদ মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অস্পষ্ট বাগদত্তা"

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০২

"অস্পষ্ট বাগদত্তা"
২৫.১২.২০১৩
রাত ৮.৩০। আমার জন্যে অনেক। সন্ধের আগে আগেই বাসায় ঢুকতে হবে। না হলে আম্মুর বকাবকি..। কিন্তু আমি সেটা ভাবছিনা।
রাস্তার অন্ধকার কোনায় একটা বিল্ডিংয়ের সামান্য ডান দিকে দাড়িয়ে আছি অনেক ক্ষণ হলো। ও'র রুমের জানালাটা আর বাড়ান্দাটা রাস্তা থেকে দেখা যায়, তাই আসি। মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে, সাথে ছাতাটাও নেই। কিন্তু ভিজলে আমার জ্বরটা আরও বাড়বে, বাড়ুক গে।
ও'র রুমের জানালাটা খুললো। বৃষ্টি, বৃষ্টি এসেই গেলো। মুষলধারেই বলা যায়। ও এমন সময় বাড়ান্দায় আসলো।
হ্যাঁ, ঘন্টা খানেক দাঁড়িয়ে থেকে ও'র মুখটা দূর থেকে একবার দেখলাম। ও জানালাটা লাগিয়ে চলে গেল। আমি তবুও অদ্ভুৎ এক মানসিক প্রশান্তি নিয়ে দাড়িয়ে রইলাম কিছুক্ষণ।
২ দিন পর...... সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠলাম। আমার জ্বরটা অনেক বেড়ে গেছে। মাথাটাও প্রচন্ড ব্যথা করছে। তবুও বাসা থেকে লুকিয়ে বেড় হলাম। ও ৮ টায় কলেজে যাবে, আমি ও'কে দেখবো। মাথায় দেওয়া কেপটা মুখের সামনের দিকে বাকিয়ে রাখলাম। তারপর একটা গাড়ির পাশে আড়াল নিয়ে দাড়ালাম।
ও একটু পরেই পৌঁছে গেল। কলেজে ঢুকতে গিয়ে বাম দিকে যাবে, আর আমি ডান দিকে আছি। কেন জানি, ও এদিকে তাকালো, দূর থেকেই। সকালের মিষ্টি রোদে ও'কে দেখতে ভয়াবহ রকমের সুন্দর লাগছিল।
কিন্তু ও এদিকে তাকালো কেন....?? আমাকে কি দেখে ফেললো?? নাহ, উল্টোদিকে হাঁটা দিলাম। ও আমাকে দেখলে পুরাতন কথাগুলো মনে করে কষ্ট পাবে, তার প্রয়োজন নেই। তবে ও আমার ex-girlfriend না, ও আমার best friend..।
খুব বেশি সামাজিক থাকার চেষ্টা করতাম বলে আমার বন্ধুর সংখ্যা অনেক। মেয়ে বন্ধুর সংখ্যাটাও চোখে পড়ার মতোই। কিন্তু কলেজেই পরিচয়, চ্যাট, ফোন ইত্যাদির ফলেই বছর খানেকের মধ্যেই best friend হয়ে গেলাম। ও'র আর আমার মাঝে কোনো সিক্রেটস ছিলোনা। অন্তত আমার মনে হয়না। সব ছোট ছোট বিষয় গুলোও নির্দ্বিধায় শেয়ার করতাম। মাঝে মাঝে রাগারাগি, কথা কাটাকাটি, মান অভিমান ও করতাম। আর ঠিক ই জানতাম, একটু পরেই সেই পরিচিত নাম্বারটা থেকে "sorry" লেখা একটা মেসেজ আসবে।
ও একটা ছেলেকে পছন্দ করে জানতাম। তবে আমার জানা সম্পর্কে ও অবগত কিনা সেটা নিশ্চিত নই। তবে ওদের দুজনের মিল হওয়াটা প্রায় অসম্ভব। অনেক বড় কিছু সমস্যা আর লিমিটেশনের কারনে অথবা অন্য কোন কারনে...।।
এদিকে আমি খাই-দাই, টাংকি মারি, সবার সাথে হাসিখুশি থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি। এভাবেই চলছিল। একবার ও'র সাথে কথা না বলে প্রায় ২/৩ মাস কেটে গিয়েছিল। আর এই সময়টাতেই আবিষ্কার করলামঃ
না থাক, কিছু কথা অব্যক্ত থাকাই ভালো। কিছুদিন পরে আবার যোগাযোগ, ফোন,চ্যাট, বন্ধুত্ব চলতে লাগলো। কিন্তু ও বুঝেছিল, আমি বদলে গেছি। কিছুদদিন যেতেই আমি আমার কিছু লুকানো অনুভূতি ও'র কাছে প্রকাশ করে দিলাম। তবে এটা হয়তো উচিত হয়নি।
তবে উচিত অনুচিত ভাবার মতো মানসিক অবস্থা ছিলনা তখন। আবার এমন কিছু হলে বন্ধুত্বটা ঠিক... আচ্ছা থাক। প্রতিটা মুহূর্ত কোন এক অজানা কারনে ও কষ্ট পাচ্ছিল। নিজেকেই দোষ দেই আমি। আর তাই, নাহ...। ও'র সাথে কিছুদিন ধরে যোগাযোগ অনেক কম হয়, তবে মাঝে মধ্যে ২/৩ বার আড়াল থেকে দেখেছি ও'কে।
ও খারাপ নেই, ভাল আছে কিনা এটা খুব একটা স্পষ্ট নয়। আমি ও'কে খুব ভালবাসি। আর তবুও ও আমার সাধ্যের বাইরে। আমি অনেক বদলে গেছি এ কয়েকদিনে। সারারাত ঘুমোতে পারিনা, পড়াশুনাও শিকেয় তোলা হয়ে গেছে। এত্ত চাপ আমার চতুর্দিকে। মাঝেমাঝে পালাবার পথ খুঁজে দিশেহারা হই। তবুও ও ভাল থাকুক।
"আকাশে যখন মেঘের ঘনঘটা, তখন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি আমি। হয়তো আজ বৃষ্টি ছোঁবে তোমার শরীর। আর সেই বৃষ্টিতে আমিও ভিজবো।"
Learner Sazzad Moni

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.