নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Miles to go... before I sleep!

আমি খুবই ভাল, সেইসাথে চরম ভদ্র এবং গোছালো একটা ছেলে। কি বিশ্বাস হইল বিশ্বাস না হইলে ঠিকই ধরছেন, আমি পুরাই উল্টা!!! নিজের সম্পর্কে কিছু কথা যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমেই যে কথাটি বলব তা হলো- আমি নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর-আল

সাজ্জাদ মণি

আমি খুবই ভাল, সেইসাথে চরম ভদ্র এবং গোছালো একটা ছেলে।\nকি বিশ্বাস হইল বিশ্বাস না হইলে ঠিকই ধরছেন, আমি পুরাই\nউল্টা!!!\nনিজের সম্পর্কে কিছু কথা যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমেই\nযে কথাটি বলব তা হলো- আমি নিতান্তই মধ্যবিত্ত পরিবারের\nএকটি ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অনেক আদর-আল্হাদে বড়\nহয়েছি এবং এখনও হচ্ছি।বাবা-মা আমার কাছ থেকে অনেক\nকিছু আশা করে।যদিও তাদের আশা আমি পূরন করতে পারব\nকিনা জানিনা।

সাজ্জাদ মণি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষের পরও শুরু

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

(২৫/০১/২০১৪)

কথাটা কেউ শুনতে পায় মতো করে বলতে চাইনি। কিন্তু সে শুনতে পেয়েছিল। আর শুনেছিল বলেই আজ সবকিছু অন্যরকম। কি এমন বলেছিলাম আমি..??!!
তার আগে পরিচিতি পর্বটা সেরে নিই। আমাকে তো বিশেষ ভাবে পরিচয় করানোর কিছুই অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয়না।
ও'র নাম মহুয়া। জন্মসূত্রে চট্টগ্রামের অধিবাসী। গ্রামের বাড়ী... না থাক।
আমার সাথে মহুয়ার পরিচয় হয় একটু অন্যরকম ভাবে। আমরা সহপাঠী ছিলাম। আমাদের প্রথম পরিচয়টা যেভাবেই হউক না কেন, এর পর থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হবে ভাবিনি। কারণ, তার সাথে আমার সম্পর্কটাকে একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ধরে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। হয়তো এটা আসারই ভূল ছিল। আমি যখন বুঝতে পারলাম মহুয়াকে আমি ভালবাসতে শুরু করেছি, তার কিছুদিন পরেই আমি আকস্মিকভাবে আমার অনুভূতির কথা মহুয়াকে বলে ফেলি। তাৎক্ষনিক কোনো প্রতিক্রিয়া না থাকলেও এর পর খেবে বদলে যেতে থাকে মহুয়া। অথচ আমার ভালবাসা দিনকে দিন বেড়েই চলেছিল।
কয়েকদিন পর মহুয়ার সাথে দীর্ঘ আলাপচারিতার পর বুঝতে পারলাম আমরা বন্ধুত্বের বাইরে কোনো সম্পর্কে যাই এটা সে কিছুতেই ভাবতে পারবেনা। তখনই জীবনে প্রথমবার "বন্ধু" শব্দটার প্রতি খুব ক্ষোভ জন্মে। কিন্তু পরক্ষণেই বিবেকের কাছে হার মানলাম। ভালবাসাটা একটা মানুষের একান্তই নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমি কাউকে ভালবাসবো, এই কারণে যে সেও আমাকে ভালবাসবে তা কেমন কথা। একটু দেরীতে হলেও বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলাম। তবুও মহুয়াকে ভালবেসে গিয়েছি নিরন্তর, আড়াল থেকে। কষ্ট যে পাইনি তা বলবনা, তবে মহুয়ার হাসিমাখা চেহারাটায় চোখ পড়লেই সব কষ্টরা গা ঢাকা দেয়।
বেশ কিছুদিন ধরে রাতে ঘুমোতে পারছিলাম না। অনেক রাত পর্যন্ত ঘুম আসতো না। তবে এই ঘুম না আসার কারণটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তবে মহুয়ার সাথে বন্ধুত্বটা মোটামুটি চলছিল, স্বাভাবিক হয়ে উঠছিরাম আমি। তবে এর মানে এই নয় যে, আমার ভালবাসাটা শুধুমাত্র সময়ের সাময়িক অনুভূতি ছিল। বরং, আমি মানিয়ে নিতে শিখছিলাম, হয়তো আমার অতিরিক্ত ধৈর্য্যের কারণে।
এরই মাঝে কলেজের শীতকালীন ছুটির ঘোষণা আসে। নোটিশ বোর্ড থেকে চোখ সরিয়ে বন্ধুরা পরস্পরের কাছ থেকে সাময়িক বিদায় নিয়ে নিচ্ছিলাম। তবে সেদিন মহুয়ার সাথে দেখা হয়নি। কেন জানি সেদিন সে কলেজে আসেনি।

প্রায় সতেরো দিনের ছুটি শেষে কলেজে গেলাম। আমি একটু তাড়াতাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কলেজে বন্ধুদের সাথে ছুটিতে কে কি করেছি তা নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম।তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে আমি মহুয়াকে খুঁজছিলাম কিন্তু কোথাও খুঁজে পেলাম না।
তারও কিছুক্ষণ পর, মোবাইলে একটা মেসেজ এল। মেসেজটা দেখে খানিকটা অবাক না হয়ে পারলাম না, মহুয়ার পাঠানো। শুরু হয় মেসেজের আলাপচারিতা।

মহুয়াঃ I missed you...
আমিঃ And so...?!
মহুয়াঃ I really did...
আমিঃ Okay...
মহুয়াঃ I'm Sorry...
আমিঃ What for...??
মহুয়াঃ For ignoring your efforts to communicate with me!
আমিঃ Its okay! I got used to it, then I got tired... So I stopped trying & start forgetting...
তারপর প্রায় দশ মিনিট কোনো মেসেজ আসলনা। আমি আবারও কলেজের পুরোটা প্রাঙ্গনে মহুয়াকে খুঁজলাম। কিন্তু এবারও নিরাশ হতে হল। এমন সমময় একটা মেসেজ এলো।

মহুয়াঃ Actually I tried to forget about you, you see... Cause we can never be more than friends..!!
আমিঃ Its okay...
মহুয়াঃ Why is it so okay...???
আমিঃ I got used to days hoping you'd love me. But, then you never did. I started facing reality & started to get a move on.
মহুয়াঃ Wait.... wait... wait, Am i too late...???

আমি এই মেসেজটার অর্থ বুঝতেই পারছিলাম না। কি বলতে চাইছে সে!! এমনটা ভাবতে ভাবতে পরবর্তী মেসেজে লিখলাম।

আমিঃ Too late..!! For what..???
মহুয়াঃ To court you..
আমিঃ You know, I've always wanted to hear that from you. But I got used to only wishing for it. Then realized it would never happen. So, I stopped hoping...
মহুয়াঃ I'm really Sorry! But don't worry this time. I'll make your wishes come true.
এই মেসেজটা পড়ার পর কি যে আনন্দ হচ্ছিল তা বলে বুঝাতে পারবোনা। কিন্তু আনন্দকে পাশ কাটিয়ে কোনো এক অজানা শঙ্কা আমাকে ভাবিয়ে তোলে। আমি কি করবো স্থির করতে পারছিলাম না। অজান্তেই লিখলাম।

আমিঃ That's not possible..!! I've got someone else in my life...
মহুয়াঃ That's great for you. Who is she..? Do I know her..? When I'll meet her? She is really very lucky...
কি বলতে চেয়ে কি বলে ফেললাম আমি। তারপর মহুয়ার সকল প্রশ্নকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে লিখলাম।

আমিঃ She doesn't want to meet you, any day..!
মহুয়াঃ Why..? What I've done to her..??

সত্যিই কি মহুয়ার কোনো দোষ ছিল..?!! জানিনা, তবে কিছু একটাতো বলতেই হবে। তাই লিখলাম..
আমিঃ...... She just doesn't want to meet the person who did hurt me the most. Its my turn to say SORRY. I really am..!!

এই মেসেজের পর মহুয়ার উত্তরের অপেক্ষা কররছিলাম। কিন্তু পনেরো বিশ মিনিটেও কোনো সাড়া নেই। মুহূর্তের মধ্যেই আমার সমস্ত শরীরে একটা আচমকা যন্ত্রনা সৃষ্টি হয়ে গেল। ভাবছিলাম, এমনটা না করলেও পারতাম। আমার কথায় মহুয়া হয়তো খুব কষ্ট পেয়েছে। তার পাঠানে মেসেজগুলো পড়ছিলাম, চোখ থেকে জল গড়িয়ে মোবাইলের ওপর পড়লো। বিড়বিড়িয়ে বলতে লাগলাম।

"আর একবার বলে দেখলেইতো পারতে। Its still you..!! মহুয়া, I really love you a lot. ভীষণ ভালবাসি তোমাকে। Please, read my emotions & come back.."
আমার কথা শেষ না হতেই পিছন থেকে কে যেন আমাকে ডাকলো--<
" সাজ্জাদ, Stupid I love you too.. "

নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, মহুয়া কোত্থেকে এলো..!! আমার শেষ মেসেজটার পর সে আমার সাথে কথা বলতে সরাসরি কলেজে চলে এসেছে। কিন্তু ও আমার কথা গুলো শুনতে পাবে এটা আমি কল্পনাও করিনি..।
তারপর দুজোনের চোখেই অশ্রুকণার শৈল্পিক নাড়াচাড়া। খানিকক্ষণ এভাবেই কেটে গেল। তার নীরবতা ভাঙ্গাতে আমি বললাম--<
" চা খাবে... "
=> চা...? হুম, খাওয়া যায়।

তারপর পাশাপাশি হাঁটতে শুরু করলাম আমরা দুজন। বেশ কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটা চায়ের দোকান খুঁজে পেলাম। দুজনের হাতে চা'য়ের কাপ; কাপে রং চা। দু'কাপ চা যেন আমাদের জীবনটাকে বদলে দিয়েছে। ফিরিয়ে দিয়েছে জীবনের সব রং...!!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৪

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর

০৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

সাজ্জাদ মণি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ..।। পাশে থেকে অণুপ্রাণিত করবেন আশা করছি।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুখপাঠ্য|ভাল লাগল

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

সাজ্জাদ মণি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুরুটা প্যাচানো, আমি চাই সহজ সরল শুরু, বাকীদের কথা জানি না

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

সাজ্জাদ মণি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ.... :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.