নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘড়ির টিকটিক শব্দে হাত চেপে ধরা মেয়েটা আর ভুতের ভয় পায় না।

রাফি বিন শাহাদৎ

সাহিত্য মানে যদি অসহায়ত্ব হয় আমি তবে অসহায় এক নিরবচ্ছিন্ন পথিক

রাফি বিন শাহাদৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাড়া দাও

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

রাস্তার ধারে বসে থাকা ৮০ বছরের থুরথুরে বুড়োর দিকে আমরা তাকিয়েও না তাকার ভান করি। কখনো ভেবেছি কি- যেখানে তার এই বয়সে পায়ের উপর পা তুলে সন্তানের উপার্জিত আয় দিয়ে খাবার খাওয়ার কথা সেখানে কেন সে রাস্তায় নেমেছে পঁচে যাওয়া খাদ্য আর ছেঁড়া-ফাটা দু-টাকা নোটের জন্য!
রাস্তার ধারে কুকুরের গায়ে মাথা রেখে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন শিশুকে দেখে আমরা ছি ছি বলে ধিক্কার জানাই। কখনো ভেবেছি কি- যে শিশুটার আজ মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকার কথা সে কেন কুকুরের গায়ে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে!
রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে আমাদের বয়সী ছেলেমেয়েদের প্রায়ই দেখা যায় কাজ করতে। কখনো ভেবেছি কি- যেখানে আজ তাদের স্কুলে থাকার কথা তারা কেন দুটো পয়সার জন্য চায়ের দোকানে কাজ করছে!
অসচেতনতা, দারিদ্র্য, অবহেলা আজ বাঙ্গালীকে যে পর্যায়ে নামিয়েছে তা একসময় কল্পনাতীত ছিল। এখন তা বাস্তবতা।
কোথায় সরকার! অণুবীক্ষণ দিয়ে দেখলে হয়ত পাওয়া যেতে পারে তাদের্। প্রত্যেকেই শাসনভার নেয়ার আগে এ কথা, ও কথা, শত শত মধুর কথা বলে মানুষের মন দুর্বল করে। আজ মানুষের এই হালও কি তাদের মনকে কিঞ্চিৎ দুর্বল করতে পারে না! সরকারি লোকদের খুঁজে পাওয়া যায় বিভিন্ন দূর্যোগে। তখন তারা হাজিরা দেয় হাতে কয়েক কেজি মোটা চাল আর হাতে গোণা কয়েকটা চাদর নিয়ে। তবে দেয়ার উদ্দেশ্য মানবতার টান নয়; নিজেকে তথাকথিত বড় মনের মানুষ হিসেবে সকলের সামনে প্রকাশ। চাল কম পড়ুক তবুও যেন ছবি কম না ওঠে। পারলে একজনের চালের বস্তা অন্যজনের ঘাড়ে তুলে দাও; তাও ছবি তুলে ফেল। আরে এতই বড় মনের মানুষ তো একটা ক্যাম্পিং এর ব্যবস্থা করে দু-চারদিন তাদের সাথে থেকেই দেখ কষ্টটা কি শুধু এক বস্তা চালেই আবদ্ধ!
আর আমাদের তো তাদের কথা ভাবারই সময় নেই। চারদেয়ালে বন্দী হয়ে বইয়ের পাতায় জীবন খোঁজার মধ্যেই আমাদের স্বার্থকতা নিহিত। হ্যাঁ, আমি আমার কথাও বলছি। আমিও আর দশজনের মত চারদেয়ালে বন্দী। কিন্তু তাদের থেকে একটু আলাদা। চারপাশের এইসব জিনিস আমাকে প্রতি মূহুর্তে ভাবিয়ে তুলে। আমি ভাবি আর কষ্টগুলোকে আটকে রাখি বক্ষপিঞ্জরের অভেদ্য প্রকোষ্ঠে। ঐ যে বললাম আমিও বন্দী। তাই তাদের পাশে গিয়ে আমি দাঁড়াতে পারি না। কিন্তু কলম তো ধরতে পারি। তাই সেটুকুই করলাম যা আমার সাধ্যের মধ্যে। দেখা যাক এই স্ট্যাটাস কত বন্দী জনতাকে জাগ্রত করতে পারে!
তবে যেদিন দুয়ার খুলে দিয়ে বলা হবে আজ আমি মুক্ত ঠিক সেদিন আমি পাশে গিয়ে দাঁড়াব রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুদের্। জাগ্রত জনতা সাড়া দাও- তোমরা আছো আমার সাথে। জাগ্রত জনতা সাড়া দাও- তোমরা দাঁড়াবে আমার পাশে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.