নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্য মানে যদি অসহায়ত্ব হয় আমি তবে অসহায় এক নিরবচ্ছিন্ন পথিক
আমাদের সবার মধ্যে একধরণের ভ্রান্ত ধারণার জন্ম নেয়। সেটা হচ্ছে মন খারাপ মানেই ডিপ্রেশন। জন্মের পর থেকেই তো আর এই ধারণার শুরু হয় না। এই ধারণাটার সৃষ্টি হয় চারপাশের ভুল মানুষদের সাথে মেশার ফলে; বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে। আসলে মন খারাপ হলেই আমরা এমন সব মানুষের কাছে দৌড়াই যারা কাউন্সিলিং শুরু করে। আসলে তারাও জানে না আমাদের মন খারাপ নাকি আমরা ডিপ্রেশনে ভুগছি।
আসলে সাইকোলজিতে মন খারাপ আর ডিপ্রেশন আলাদা দুইটা টার্ম। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে এদের একটার জন্য কাউন্সিলিং আছে আরেকটার জন্য নেই। শুনে হাসি লাগলেও এটাই বাস্তব। মন খারাপের কোনো কাউন্সিলিং লাগে না, এর কোনো ট্রিটমেন্ট নেই। এটা আপনা আপনি আসে আর চলে যায়। তাহলে ডিপ্রেশন কখন হয়!
ডিপ্রেশন কখন হয় তা বলার আগে আসতে হবে মন খারাপ কেন হয় এই কথায়। সহজ বাংলায় বললে আপনি কিছু চাচ্ছেন কিন্তু পাচ্ছেন না, এটাই মন খারাপের কারণ। মন খারাপ কোনো রোগ না, এটা মনের স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া যা জন্মের পর থেকেই প্রত্যেকটা মানুষের সাথেই হয়ে আসছে। সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ কোনটা জানেন? মন খারাপ কে প্রশ্রয় না দেওয়া। তার মানে আপনার কোনো কারণে মন খারাপ হবার সাথে সাথেই আপনি নিজের মন কে ডাইভার্ট করে নিয়ে অন্যদিকে মনোযোগ দিন। কেন কথাটা বললাম জানেন? কারণ আপনি মন খারাপকে প্রশ্রয় দিলেন তো ডিপ্রেশনের একটা সিঁড়ি অতিক্রম করলেন। কারণ দীর্ঘদিন ধরে মন খারাপ থাকলে ডিপ্রেশন আসবেই। তখন আর সেটি আপনাআপনি যাবে না, আপনাকে কাউন্সিলিং এর হেল্প নিতেই হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন আমি কি করে বুঝব আমি ডিপ্রেশনে নাকি আমার মন খারাপ?
উত্তরটা খুব সহজ- আপনি ডিপ্রেশনে গেলে দেখবেন আপনার কাজের প্রতি অনীহা জাগছে, আপনার ক্ষুধা লাগছে না, ঘুম আসছে না। আবার মাঝে মাঝে শরীরের হাত পা অথবা সারা শরীর ব্যাথাও থাকতে পারে। কিন্তু মন খারাপ থাকলে এসব কিছুই ফেস করবেন না আপনি। হ্যাঁ, আপনার কাজে অনীহা, ঘুমে অসুবিধা এসব হতে পারে। কিন্তু মন খারাপ থাকলে দেখবেন আপনি অনীচ্ছা স্বত্বেও ঠিকই কাজগুলো করে ফেলছেন যা আপনি ডিপ্রেশনে গেলে একদমই পারবেন না।সবচেয়ে বড় সমস্যাটা কখন হয় জানেন? যখন কেও এসময় নিজেকে চারপাশ থেকে গুঁটিয়ে ফেলে।এভাবে একা কাউন্সিলিং এর অভাবে থাকতে থাকতে একসময় তার মধ্যে মৃত্যুর চিন্তা প্রবেশ করে এবং সবশেষে অত্মহত্যার মত ভয়ংকর কাজের দিকে সে এগিয়ে যায়।
সব কথার মূল কথা হচ্ছে মন খারাপকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। বর্তমানে একটা লাইন খুব প্রচলিত-“প্যারা নাই, চিল। আসলেই তাই। ছোটখাট জিনিসে মন খারাপ হলে তা নিয়ে বসে না থাকে মনকে ডাইভার্ট করুন অন্যদিকে। এর জন্য আপনি- গল্পের বই পড়েন, ছবি আঁকাতে পারেন, গল্প করতে পারেন, ফেসবুক চালান, চ্যাট করেন, ফ্যামিলিকে সময় দেন; মূলকথা আপনি আপনার যেটা ভাল লাগে সেটাই করেন যতক্ষণ না আপনার মন ভাল হচ্ছে।
সবকিছুই সাময়িক। যেখানে আপনার জীবনটাই সাময়িক সেখানে মন খারাপ বা ডিপ্রেশনের পিছনে আপনি কত সময়ই বা দিবেন বলেন। তবে আপনার যদি মনে হয় আপনি ডিপ্রেশড তাহলে অবশ্যই ডাকারের পরামর্শ নিবেন। অযথা কারো কাছে গিয়ে কাউন্সিলিং না নিয়ে ডাকারের কাছে কাউন্সিলিং নিবেন, দেখবেন এক-দুই মাসের মধ্যে আপনি অনেকটা সুস্থ হয়ে যাবেন যা আপনি নিজেই টের পাবেন।
মনের চেয়ে বড় কিছু নেই। মনকে সুস্থ রাখুন দেখবেন আপনি সবদিক থেকেই নিজেকে ফিট রাখতে পারছেন। স্যার উইলিয়াম হ্যামিলনের মতে-
“দুনিয়াতে মানুষের চেয়ে বড় আর কিছু নেই
আর মানুষের মাঝে মনের চেয়ে বড় কিছু নেই।”
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩০
রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: পরিসংখ্যানটা আর্টিকেল লিখতে কাজে দিবে
২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের মনে যে পরিমান রহস্য, সেই পরিমান রহস্য অনন্ত নক্ষত্র বীথিতেও নাই।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২০
রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: আসলেই
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুপাঠ্য লেখা।
০১ লা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৪
রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৬
মানবিক_মানব বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ব্লগারবৃন্দ,
অনুগ্রহ করে আমার ব্লগে ঘুরে আসুন।
আমার ১ম পোস্ট ২০১৩-১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত ধর্ষণের পরিসংখ্যান বিষয়ক।