নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘড়ির টিকটিক শব্দে হাত চেপে ধরা মেয়েটা আর ভুতের ভয় পায় না।

রাফি বিন শাহাদৎ

সাহিত্য মানে যদি অসহায়ত্ব হয় আমি তবে অসহায় এক নিরবচ্ছিন্ন পথিক

রাফি বিন শাহাদৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগে কুরবানি নাকি আগে ব্যবসা?

১২ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৯



অদ্ভুত একটা জিনিস গত কয়েকদিন হল খেয়াল করছি গরুর হাট নিয়ে। ইচ্ছা করে অনলাইনের ভিডিওগুলোতে বড় বড় গরু কম দাম বলে মানুষকে ব্রেইনওয়াশ করে সেসব হাটের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর হাটে গিয়ে মানুষ বিভ্রান্তির স্বীকার হচ্ছে।


যেখানে হাটে গেলে গরুর দাম আনুমানিক ১০০০-১২০০ টাকা প্রতি কেজিতে (লাইভওয়েট) চাওয়া হচ্ছে, সেখানে ভিডিওগুলো দেখলে মনে হবে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে ক্রেতা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এই মিথ্যাচারটা সবচেয়ে বেশি দেখলাম গাবতলী এবং হাজারিবাগের হাটে। তারা জানে ১০ জন যদি ভিডিও দেখে আসে তাহলে অন্তত ৫ জন গরু কিনে নিয়ে আসবে।

আবার কিছু ফার্ম পুরা কুরবানির বাজারটাকে গরম করে দিচ্ছে গরুর বংশপরিচয়ের বানোয়াট গল্প বলে। আরে ভাই, কুরবানির পশু কেনার কিছু নিয়ম আছে। কুরআন হাদিসের কোথাও পশুর বংশ নিয়ে কিছু বলা নাই। বয়স, দাঁত এবং সেই পশুর চলাচলের সক্ষমতা দেখে পশু কেনার নিয়ম। কই থেকে আমেরিকার জাত ধরে এনে কোটি টাকা দিয়ে গরু-ছাগল বিক্রি করতেছে। ভাই, যারা এসব গরু কোটি টাকা দিয়ে কিনতেছে তারা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই করতেছে না। কুরবানির সৎ উদ্দেশ্য থাকলে ১ কোটি দিয়ে ৫০-৬০ টা গরু কিনে নিজের গ্রামে মাংস দিয়ে দিতে পারত।

গতকাল হাটে গিয়েছিলাম। ২ লাখের নিচে গরুর দামই চায় না। ছোট ছোট গরু ২ লাখের উপরে চায়। যে গরু গত বছরেও ৭০-৮০ হাজার ছিল সেই গরু এখন মানুষ বাধ্য হয়ে লাখের উপরে কিনতেছে। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত পরিবারের কুরবানি দেওয়ার সক্ষমতা হারিয়ে যাবে। কুরবানি পরিণত হবে বড়লোকদের সৌখিনতা। কালো টাকা দিয়ে কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হবে। এক ঢিলে দুই পাখি মারা শুরু হইছে। একদিকে কালো টাকা সাদা হচ্ছে, অন্যদিকে সমাজে নামডাক বাড়াতেছে। বাঙালি পারে না এমন কিছু নাই ভাই!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৯

ঢাকার লোক বলেছেন: কোরবানির প্রথম শর্ত, কোরবানির উদ্দেশ্য হতে হবে সম্পূর্ণ ভাবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ! সবাই নিয়ত সঠিক করে নিলে লোক দেখানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা থাকবে না, পশুর দামও স্বাভাবিকে নেমে আসবে !

১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: সেটাই ভাই

২| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাফি বিন শাহাদৎ ,




কোরবানীর গরু কেনাতে আসল উদ্দেশ্য - "একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি " থাকেনা, থাকে " নিজের সন্তুষ্টি" আর লোক দেখানোর ঘটা।

দিনে দিনে যে ভাবে কৌশল তৈরী করে গরুর দাম বাড়ানোের পায়তারা করা হচ্ছে তাতে মধ্যবিত্তদের কোরবানী করা হয়তো একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে!

ঠিকই বলেছেন, আল্লাহতালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য থাকলে কোটি টাকা দিয়ে লোক দেখানো একটি গরু কোরবানী না করে, ঐ টাকায় ৫০-৬০টি গরু কোরবানী দিয়ে দরিদ্র গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়াই উত্তম।

১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: খারাপ লাগে ভাই, এত টাকা কই পাব কয়েকবছর পরে যদি বেঁচে থাকি

৩| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: কোরবানীর গল্পটি অমানবিক।সেটা একটা প্রথা হয় কিভাবে।মূর্খামির একটা সীমা থাকা দরকার।কাল্পনিক একটা কাহিনীকে লোকে অন্ধভাবে পালন করছে।যুক্তি দিয়ে কেউ চিন্তা করছে না।এটা একটা মিথ।

১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৭

রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: ইসলামে অমানবিক, মিথ, মূর্খতা, কাহিনী বলে কিছু নাই। আপনার সন্দেহ থাকলে কুরআন ভালভাবে পড়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ

৪| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:২৭

প্রহররাজা বলেছেন: অবলা প্রাণিকে হত্যা করার মধ্যে ত্যাগের কি আছে এটা আজ পর্যন্ত কেউ উত্তর দিতে পারে নাই। কৌশলে এড়িয়ে যায়। হ্যা, আমি মাংস খাই, দোকান থেকে কিনে, যেমন করে দুধ, ডিম, রুটি কিনি। তাই গরু ছাগল দেখলে এগুলাকে প্রানী হিসাবেই দেখি, মাংসপিন্ড হিসাবে রিলেট করতে পারি না। অনেকে আবার গরীব মানুষের দোহাই দেয়। আরে ভন্ড, সারা বছর যারা মাংস খায় না ঐ একদিনের ছুটা মাংসে তাদের প্রোটিনের চাহিদা মিটে না। বরংচ কুরবানির দিনে ধনী গরীবের তফাৎ আরো বেশী করে চোখে পড়ে। ঐদিনে অনেক মানুষ ভিক্ষুকে পরিনত হয়। বিভৎস এই উৎসবের দিনে একমাত্র পাকিস্তান আর বাংলাদেশেই রাস্তাঘাটে পশু জবাই করা হয়।

১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

রাফি বিন শাহাদৎ বলেছেন: আপনি যে জিনিসটা নিয়ে কথা বলছেন এটা অন্যদিকে চলে যায় ভাই। এটা নিয়ে মন্তব্য করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছিনা। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.