নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- মাহমুদুর রহমান।কোন কুসংস্কারে বিশ্বাস করি না।যে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করি।নিজের ধর্ম ইসলামকে খুব ভালোবাসি।ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে মানবিক হতে শিখায়,সহনশীল হতে শিখায়,সামাজিক হতে শিখায়।নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি।

মাহমুদুর রহমান

এই পৃথিবীর বিরাট খাতায়, পাঠ্য যেসব পাতায় পাতায় শিখছি সে সব কৌতূহলে, নেই দ্বিধা লেশ মাত্র, বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

মাহমুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা প্রতিরোধে ভুলভাল পদক্ষেপ

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৪

করোনায় বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ইতালী। দিনের পর দিন দেশটি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে।এই পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৭৭ জনে। একেরপর এক স্বজন হারাতে হারাতে জনমনে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা যেন আরও কয়েকগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুই মিনিট অন্তর একজন করে মারা যাচ্ছেন সেখানে। এখন ইতালী যেন এক মৃত্যুপুরী। আর এই ইতালীর হাত ধরেই বাংলাদেশে আঘাত হানে করোনা।ওয়ার্ল্ডও মিটারস ডট ইনফোর তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত

করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৩৩ জন।
করোনায় আক্রান্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ জন।
সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫ জন।
চিকিৎসাধীন রোগী আছে ২৫ জন।

দিন দিন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অল্প অল্প করে বাড়ছে।ধারনা করা হচ্ছে এই রোগ আরও ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।কারন বাংলাদেশে মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত পরিমান সচেতনতাবোধ এখন পর্যন্ত তৈরি করতে পারে নি সরকার।তবে সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া;সব ধরনের অনুষ্ঠানাদি বন্ধ ঘোষণা;নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান পাট ছাড়া যাবতীয় সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা সহ আরও আছে।তবে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে দ্রুতগতির কাজগুলো বাংলাদেশ সরকার ধীর গতিতে সম্পাদন করছে।যার ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম।

১-

তিনজন প্রবাসী ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ধরা পড়ার পরবর্তীতে সরকার ধীরে ধীরে ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে শুরু করেছে।উচিৎ ছিলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত শুরুতেই সকল ফ্লাইট বাতিল করে দেয়া।ফলশ্রুতিতে মানুষ এখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করতো না।

২-

মিশ্র কথাবার্তার কারনে চিকিৎসা সেবা দিন দিন ভঙ্গুর হচ্ছে।মুখে হাজারবার ” দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলা হলেও” বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত চিকিৎসা সেবায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে হাজারগুনে পিছিয়ে আছে।বর্তমানে যে একটা পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমান পিপিই যোগাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।ডাক্তারাও তাই এই সুযোগে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন।

৩-

করোনায় সরকারি হিসেব অনুযায়ী মোট মারা গিয়েছন চার জন।আর এই চারজনের সবাই ছিলো বয়স্ক লোক।গবেষনায় জানা গেছে,করোনায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের অধিকাংশই ছিলো বয়স্কলোক।আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে তারা শুরু থেকেই কোন না কোন একটি রোগে ভুগছিলেন। ফলে করোনায় আক্রান্ত হবার পর তারা খুবই দুর্বল হয়ে যান।কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।যার ফলাফল হয় মৃত্যু।

৪-

বাংলাদেশ সরকার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।যেমন ধামরাই উপজেলায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ইতালি ফেরত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন সেখান থেকে তাদের লক্ষাধিক টাকা চুরী হয়ে যায়।পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও চুরী করে নিয়ে যায় চোরেরদল।

৫-

এনসিওভি-১৯ কিটের স্বল্পতা করোনা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে।এই যন্ত্রের অভাবে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে।ফলে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছেই।

৬-

সবার জন্য সমান চিকিৎসা সেবা এখনো গড়ে ওঠেনি।না হলে মিরপুরের টোলারবাগে প্রথমে যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন।তার নমুনা সংগ্রহ করতে যখন আইইডিসিআরকে বলা হয় তখন তারা করেনি।তাদের পক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছি শুধুমাত্র প্রবাসীদেরকেই তারা চেকআপ করবেন অন্যদেরকে নয়।

৭-

প্রতিদিন একটি এলাকায় করোনা রোগী ধরা খাওয়ার দরুন একটি একটি করে এলাকা লকডাউন করার কোন মানে হয় না।লকডাউন করলে একসাথে সব এলাকা লক ডাউন করা উচিৎ।কারন আজ একটি এলাকায় করোনা রোগী ধরা খাওয়ার কারনে লক করা হলেও উক্ত ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে ছিলেন তারা আবার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এটাকে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন যা মোটেও শুভ লক্ষন হতে পারে না।

এভাবে অজস্র দোষত্রুটি ধরা যাবে।সরকারের উচিৎ করোনা প্রতিরোধে ছোটখাটো সমস্যাগুলোদ্রুত সমাধানের দিকে নিয়ে যাওয়া।না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যেতে পারে আমার বিশ্বাস।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভেড়ার পাল বেরিয়ে গেছে। দলে দলে গ্রামে যাচ্ছে, শিকড়ের টানে। স্বপ্ন যাচ্ছে বাড়ি। কিন্তু সাথে করে ভাইরাস নিয়ে যাবে বাসে ট্রেনে পথে গাদাগাদি করে। গ্রামে গিয়ে শিকড়ে শিকড়ে ছড়িয়ে আসবে, কিংবা গ্রামে গিয়ে ভাইরাস আক্রান্ত হবে। গ্রামে প্রবাসী ফেরত বেশী। আসার সময় আবার এই পোড়ার শহরেও এনে ছড়াবে।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অতি উৎসাহী মানুষের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী কি বা প্রত্যাশা করা যায়।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভুলের কারণেই নিরহ জনগণ জীবন দিবে ব্যাপক হারে।

২৮ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ সঠিক বুঝ দান করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.