![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারন একটা মানুষ আমি... বন্ধু বানাতে পছন্দ করি অন্যায় কে ঘৃণা করি...
১) অন্যের কাজে নাক গলাবেন নাঃ আমরা জীবনের বেশিরভাগ সমস্যাই সৃষ্টি করি অন্যের কাজে অহেতুক হস্তক্ষেপ করে। অন্যের চলার পথকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না। কেননা, আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন ।
২) ক্ষমা করে মনে রাখবেন নাঃ ক্ষমা মহৎ লক্ষন কিন্তু সেটা মহৎ থাকে না যদি আপনি সেটা সবার মাঝে বলে বেড়ান। এমন কাজে নষ্ট করার মতো যথেষ্ট সময় জীবনে নেই। ক্ষমা করে, ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে জান। মনে রাখবেন, ভালোবাসাটা দেওয়ার পড় ভুলে যেতে পারলেন কিনা তার মধ্যেই প্রস্ফুটিত হয়।
...
৩) স্বীকৃতির জন্য কামনা করবেন নাঃ এই পৃথিবী স্বার্থপর মানুষের পরিপূর্ণ। আজ আপনার প্রশংসা করে আপনার ক্ষমতা আছে বলে, কাল যখন ক্ষমতা থাকবে না তখন ছুড়ে ফেলতেও দ্বিধা করবে না। আপনার সকল অর্জন-ত্যাগ ভুলে যাবে। কিন্তু শুধু স্বীকৃতির জন্য আপনার ভিতরের মানুষটাকে ধ্বংস করবেন কেন? আপনার কাজ আপনি যথাযথ ভাবেই করে জান।
৪) হিংসা কে মাটি চাপা দিনঃ কারো অর্জনে কখনো হিংসা করবেন না। হিংসা মানুষের অর্জনগুলো মাটি চাপা দিয়ে দেয়। এটা আমাদের মানসিক প্রশান্তির নষ্টেরও বড় ধরণের একটা কারন।
৫) নিজেকে বদলানঃ আপনি যদি আপনার চারপাশ পরিবর্তন করে দিতে চান, তাহলে সেটা বেশ কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাড়াতে পারে এবং বেশিরভাগ সময় ই আপনি এতে বিফল হবেন। তাই চারপাশের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিন। তারপর সবাইকে নিয়েই পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যান।
৬) যা থেকে পরিত্রান পাবেন না, তা সহ্য করে নিনঃ প্রতিদিন আমরা এমন সব সমস্যার সম্মুখীন হই যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। এ সমস্যাগুলো নিইয়ে অহেতুক ভেবে আমরা কোন সমাধানে পৌঁছতে পারি না, কিন্তু মাঝে দিয়ে অনেক গুলো সময় নষ্ট হয়। আমাদের এ ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে নিজেদের মানসিক প্রশান্তির জন্যই সহ্য করে নিতে হবে।
৭) সাধ্যাতীত কাজ এড়িয়ে চলুনঃ আমরা অনেকেই আমাদের সাধ্যের বাহিরেও কাজের দায়িত্ব নিয়ে থাকি। অনেক সময় আত্মমর্যাদা থেকে অহেতুক কাজের ভার বাড়িয়ে নেই।
৮) সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুনঃ সব সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ রাখুন । তার অনুগ্রহ চান। এটা আপনার কাজের গতি বাড়িয়ে দিবে এবং কম সময়ে বেশি কাজ করতে সহায়তা করবে।"সৃষ্টিকর্তার সহায়তা পাচ্ছেন" - এমন ভেবে কাজ করলে মনের সতেজতা অনেক গুন বৃদ্ধি পায়।
৯) মনকে শুন্য রাখবেন নাঃ কথায় আছে- "অলস মস্তিস্ক শতানের কারখানা"। তাই মন কে কখনো ফাকা রাখবেন না। যখনি সুযোগ পাবেন নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যাস্ত রাখবেন।
১০) অতীত নিয়ে ভাববেন নাঃ অতীত ভুলে সামনে আগান। পিছনে জয়-পরাজয় যাই থাকুক না কেন, তা থেকে হয়তো শিক্ষা নিয়ে নয়তো অনুপ্রেরনা নিয়ে সামনে আগাতে পারেন। কিন্তু অতীত আঁকড়ে ধরে থাকলে কখনোই সামনে এগুবার পথ টুকু ও খুঁজে পাবেন না।
নিজে ভাল থাকুন আর সাথে সবাইকে নিয়ে ভাল থাকুন
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
লোনা স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
রবিউল ফকির বলেছেন: নিতিবাক্যগুলো অনেক সুন্দর তবে সবাইকে মানতে হবে। আমিতো মেনেই চলি কিন্তু আমার অবস্থাটা দেখুন একবার। কিছুই হয়নি আমার বরং ধোকা, অপমান, অবজ্ঞাই পেয়েছি জীবনে। আপনার ক্ষেত্রে কি ফলাফল দারিয়েছে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
লোনা স্বপ্ন বলেছেন: ভাই আমি মনে করি সবার প্রথমে নিজের উপর বিশ্বাস এবং নিজের কাজের উপর বিশ্বাস থাকতে হবে। সৎ ভাবে জীবন যাপন করতে গেলে ধোকা, অপমান, অবজ্ঞা এসব পাবেন ই। তাই বলে কি সততা বিসর্জন দিতে হবে। আমি খুশি হয়েছি যে আপনি মেনেই চলেন। এভাবে চলতে থাকুন ফলাফল ইনশাআল্লাহ্ একদিন পাবেন। আমি নিজেও আপনার মতই। তবে আমি কিন্তু সৎ ভাবেই চলার চেষ্টা করি এবং আজীবন করে যাব। ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫
ফরিদ আলম বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
স্বাধীনতা অর্জনের ৬৬ বছর হয়েগেছে। কিন্তু এত বছরে মুসলিমদের উন্নতি হয়নি একটুও, বরং অবনতিই হয়েছে। ৩৪% চাকরী ছিল যা আজ হয়েছে ১%। প্রিয়তে রাখার মতো তথ্যবহুল এই লেখা পড়ার অনুরোধ রইল।