নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজের সবাই ভাল থাকুক।

নারী ও শিশু আমার ভাল লাগার বিষয়। এদের নিয়ে কাজ করতে ভাললাগে। কিন্তু এখন আমার কর্মক্ষেত্র সকল জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে।

লুবনা ইয়াসমিন

আমার যা কিছু ভাললাগা তা জানাতেই এই ব্লগে আসা।

লুবনা ইয়াসমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীগন ডাক্তার হওয়ার পড়েও তো একবছর নিজগ্রামে চিকিৎসা সেবা দিতে পারে, নয় কি !

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেডিকেল পেশায় আসেন। একজন ভাল চিকিৎসক হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশী দরকার আগ্রহ, জনগনের সেবা করার মন- মানসিকতা সাথে কঠোর পরিশ্রম।
সরকারের দরকার নবীন সকল চিকিৎসকের জন্য সরকারী ও বেসরকারিভাবে নিয়মিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান।
হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিক যন্ত্রপাতি পরীক্ষা- নিরীক্ষা বিষয়াদি পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে রোগীর নিকট সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যে সেবা দান করা।

মানসম্মত ঔষধ প্রাপ্তির জন্য ঔষধ কোম্পানিগুলোর মান যাচাই ও সঠিক তত্ত্বাবধান করা। এবং যৌক্তিক সর্বনিম্ন ও সব্বোর্চ দাম নির্ধারন করে দেয়া।

মানবিক দিক বিবেচনায় চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের জন্য নির্দিষ্ট সর্ব্বোচ্চ দৈনিক কার্যসময় এবং সর্বনিম্ন ও ঝুকিপুর্ন এলাকা অনুযায়ী বেতন নির্ধারন করা।
যত গ্রামের ভেতরে হবে বেতন তত বেশী হবে।

শহরে যারা থাকবে তাদের বেতন তুলনামুলক কম হবে।

সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য বিষয়ক জ্ঞান ও ধারনা বাড়াতে হবে। অন্তত মাধ্যমিক পর্যায় থেকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে শিক্ষা পাঠ্যবইয়ের অন্তরভুক্ত করা। এবং পরীক্ষায় এই বিষয়ে যাতে প্রশ্ন করা হয় সেই বিষয়ে স্কুল পর্যায়ে
শিক্ষকদের সেন্সিটাইজ/সংবেদনশীল করা।

চিকিৎসা শিক্ষা ব্যাবস্হায় ব্যাবহারিক প্রয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।

উন্নত দেশে মেডিকেল শিক্ষা ব্যাবস্হা নিজেদের লেখকের বই পড়ে শিক্ষার্থীরা ডাক্তার হয়। যেহেতু বাংলাদেশে মেডিকেলের শিক্ষা ব্যাবস্হা ইংরেজী মাধ্যমে তাই বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস নাইন থেকেই বায়োলজী বইটি বাংলা ও ইংরেজী দুই ভাষাতেই পড়বে। পরীক্ষা ইংরেজীতে হবে। বাংলা পড়বে শুধু বোঝার জন্য।

চার বছর ইংরেজীতে বায়োলজী পড়লে
চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব যে কোনে দেশের সাথে যে আমাদের সোনার দেশের সোনার ছেলে মেয়েরা পৃথিবী বিখ্যাত ডাক্তার।
আমাদের দেশ নিজে একটি সোশ্যাল ল্যাবরেটরী। অন্যান্য উন্নত দেশের ডাক্তারা এত রোগী পাবে কোথায়? আমাদের ছেলেমেয়েরা এক বছর ইন্টার্নীকালীন সময়ে যেই পরিমান রোগী নাড়াচাড়া করে অন্য দেশে অনেক বছরেও তা সম্ভব না।

সরকারের প্রকৃত "সমস্যায়" হাত দিয়ে "সবার জন্য স্বাস্হ্য" নিশ্চয়তা দানের জন্য যোগ্য লোক দিয়ে মানসম্পন্ন ব্যাবস্হাপনার মাধ্যমে প্রশাসনিক কাঠামো চালাতে হবে।

প্রশাসনিক কাঠামো পরিচালনার জন্য ননটেকনিক্যাল ডাক্তারদের প্রশিক্ষন দিতে হবে। তারাই মানসম্পন্ন এবং মানসম্মত স্বাস্হ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে।
তবেই সমাধানের দরজা খুলবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: দেশে এ টু যেড সবাই নিজ নিজ ধান্ধায় আছে, ডাক্তারদের এর ব্যাতিক্রম হবার কোন কারণ নেই!

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৫

কবি এবং হিমু বলেছেন: "দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেডিকেল পেশায় আসেন।"
আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।বর্তমান সময়ে এটা বলা যায় যে যার টাকা আছে সেই ডাক্তার হতে পারে।৬-১০ লাখ টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনা(পত্রিকায় পড়া) তারপর ২০-৩০ লাখ টাকা খরচ করে ডাক্তার হতে হয় বলে কেউ আর গ্রামে গিয়ে মাগনা সেবা দিতে চায় না। সবাই খরচ হওয়া টাকাটা আগে তোলার চেষ্টা করে।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

ভারসাম্য বলেছেন: আমি 'কবি ও হিমু' -এর কথার সাথে আংশিক একমত, তবে সেটা টাকার জোরে ডাক্তার হওয়াদেরকে নিয়ে নয়, বরং যারা সত্যিকার পড়ালেখা করে মেডিকেলে চান্স পাচ্ছে তাদের নিয়েও। তাঁরাই যে সবচেয়ে মেধাবী, এটা মানতে পারছি না। আমার মনে হয় সবচেয়ে মেধাবী অংশটা বুয়েটে পড়ছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বুয়েটের সুনাম/দুর্নাম করছি না, তবে সেখানে যাঁরা ভর্তি হতে পারছে তাঁরাই সবচেয়ে মেধাবী বলে আমার কাছে মনে হয়। বিতর্ক হিসেবে নয়, এটা জাস্ট আমার ব্যাক্তিগত অবজার্ভেশন। তাই এই লেখার শুরুর বাক্যটা, "দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেডিকেল পেশায় আসেন" না হয়ে, "দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরদের একটি অংশ মেডিকেল পেশায় আসেন" হলে ঠিক হত হয়তো।

পরবর্তী কথাগুলোর সাথে মোটামুটি সহমত। +++

অফটপিক: আমার একটা পোস্টে আপনার একটা মন্তব্যের উত্তরে একটা অনুরোধ রেখেছিলাম। দেখে নেবেন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.