![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছা করে কিন্তু পারিনা। কিন্তু এখানে সব বলবো বলেই এসেছি.... www.facebook.com/ amarmonami
তথ্য হল শক্তি, যে শক্তির অভাবে আমরা আমাদের পাওনা অধিকার সমূহ হতে প্রতিনিয়ত দূরে সরে যাচ্ছি।
যেকোন রাষ্ট্রের বা সমাজের মানুষেরা পিছিয়ে পরে শুধুমাত্র তথ্য না জানার কারনে। তাই তথ্য অধিকার আইন,২০০৯ প্রণিত হয়। যা বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী আইন,রাষ্ট্রের উপর জনগণের কতৃর্ত্ব স্থাপনে সবচেয়ে ভাল হাতিয়ার।
এই আইন সম্পর্কে সকল স্তরের জনগণের পরিস্কার ধারনা থাকা অত্যন্ত দরকারী।এই আইনের মাধ্যমে জনগণ সারাদেশের স্থানীয় অফিস থেকে শুরু করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অফিস পর্যন্ত সব সরকারি অফিস থেকেয় নানাবিধ তথ্য চাইতে পারে,যা আগে ভাবায় যেত না!
এই আইন হচ্ছে জনগণের নিজের অধিকার আদায়ের হাতিয়ার,এর সঠিক প্রয়োগ দেশকে করতে পারে স্বচ্ছ আর সত্যিকারের গনতান্ত্রীক ।
তথ্য বলতে কি বোঝায়?-
এই আইনের মতে তথ্য বলতে বোঝায়-সরকারী এবং সরকারী বা বিদেশী অর্থে পরিচালিত বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানের গঠন প্রণালী,ব্যবস্থাপনা কাঠামো,অফিসের কাজের সাথে সম্পৃক্ত কাগজপত্র,ফাইল.বই.নকশা.মানচিত্র,চুক্তি,তথ্য উপাত্ত,লগ বই,আদেশ,দলিল,নমুনা,চিঠি,রিপোর্ট,খরচের হিসেব,প্রকল্প প্রস্থাব,ছবি,ফিল্ম ইত্যাদি সব কিছুই বোঝায়।
উদাহরণ-
উদাহরণ সরূপ বলা যায়, আপনার এলাকার রাস্তা কবে তৈরী হবে বা মেরামত হবে সেই সর্ম্পকে তথ্য,সরকারী হাসপাতাল, প্রতিষ্ঠান সমূহে কি কি সেবা আছে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য ,গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ এর ভিজিএফ কার্ড,কাবিটা,কাবিখা কিভাবে পরিচালিত হয় তা জানতে পারেন এই আইনের মাধ্যমে।
এই আইনের উদ্দেশ্য-
""জনগণ প্রজাতন্ত্রের মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক""
তাই এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে:রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা,সরকারি কাজে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা,দুর্নীতি বন্ধ করা এবং সত্যিকার অর্থে দেশে সুশাসন আর গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
যে দেশের নাগরিক যত সচেতন তার অধিকার নিয়ে, সেই দেশে তত দুনীর্তি কম।
জনগণ কোন তথ্য কিভাবে পেতে পারে?
জনগণ সরকারী কাজের সাথে জড়িত ও সরকারের কাছে আছে বা সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন সব তথ্যই চাইতে পারবে।
এসব তথ্য জনগণ সরকারী ফাইল,দলিল,রেকর্ড ইত্যাদি দেখার মাধ্যমে অথবা সরেজমিনে পরীক্ষার মাধ্যমে পেতে পারে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়,যে সরকারী কোন চিঠি কেউ দেখতে চাইলে,শুধুমাত্র সেই চিঠিয় তাকে দেখতে দিতে হবে। কোন সারসংক্ষেপ বা অন্য কোন আকারে দিলে চলবে না।
তথ্য পাওয়ার জন্য আপনাকে যা করতে হবে-
কেউ কোন কতৃপক্ষের কাছ থেকে কোন তথ্য জানতে চাইলে তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। ই-মেইলের মাধ্যমেও আবেদন করা যাবে।আপনার নাম ঠিকানা, যে তথ্য পেতে চান তার বর্ণনা,কিভাবে আপনি তথ্য গ্রহন করবেন ,মানে ফাইল দেখার মাধ্যমে, না কি ফাইলের অনুলিপি নিয়ে তা জানাতে হবে।
অফিস গুলোতে মুদ্রিত ফরম থাকার কথা আইনে বলা আছে ,যদি পাওয়া না যায় তবে হাতে বা ই-মেইলেও আবেদন করা যাবে।
যে কোন ব্যক্তি,প্রতিষ্ঠান,গোষ্ঠি আবেদন করতে পারবে ।
এই তথ্য পাওয়ার জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয়না.তবে আপনি যদি সিডি বা এই ধরনের কোন কিছুতে তথ্য নিতে যান তবে তা আপনাকে দিতে হবে।
আবেদন করার ২০ দিনের মাধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনাকে তথ্য দিতে বাধ্য থাকবেন,তবে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তা যদি অন্য কোন উইনিট বা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যোগাড় করতে হয় তবে এই সময় ৩০ দিন হয়ে যাবে।
তথ্য কমিশন-
তথ্য আইন ঠিক ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না তা তদারকির জন্য রয়েছে তথ্য কমিশন।
এই কাজ পর্যবেক্ষন আর আইন প্রয়েগে অসামন্জস্যতা দুর করা এই কমিশনের কাজ ।
কিছু কথা-
শিক্ষা,স্বাস্থ্য,নিরাপত্তা,জীবিকা,কৃষি,রাস্তা-ব্রীজ তৈরী বা মেরামত ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে জনগণ সরকারের কাছ থেকে এই ধরনের সঠিক তথ্য আদায় করতে পারলে অনেক কিছুই পরির্বতন হয়ে যাবে।যার কারনে দুর্নীতি কমে যাবে এবং সরকারী কাজে আসবে স্বচ্ছতা,সততা।তাই আমাদেরকেয় মানে জনঘণকেয় এই আইনের ব্যবহার করতে হবে নিজেদের অধিকার আদায় করতে।
তা না হলে এই আইনটিও অন্য অনেক আইনের মত কবরের মুখ দেখবে তাই সবাই তথ্য অধিকার আইন সর্ম্পকে জানুন আর সঠিক প্রয়েগ করতে চেষ্ঠা করুন।
কোন দেশের সরকার চাই না তার সব তথ্য জনগণ জেনে যাক,কারন তাহলে সে টিকতে পারবেনা খারাপ কাজ বা অসৎ কাজ করে বা দুর্নীতি করে তাই সব সময় এই ধরনের আইনকে সীমাবদ্ধ করে রাখতে চাই।
যে কারনে উইকিলিস আজ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্ঠা চলছে! আমাদের দুনীর্তি দমন কমিশনকে দন্তহীন বাঘ করে রাখতে চাই সরকার!
আর এইসব দুর করার জন্য জনগণের অস্ত্র হচ্ছে এই তথ্য অধিকার আইন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আইনের ব্যবহারের মাধ্যমে সরকার ব্যবস্থায় আমূল পরির্বতন করা হয়েছে।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে একদল তরূণ সমাজ তৈরী হয়েছে যাদের কাজ শুধু সরকারের বিভিন্ন কাজের তথ্য জানা এবং জনগণকে জানানো,যাতে সরকার জনগণের সাথে কোন চালাকি না করতে পারে!
আমাদের দেশেও সেই রকম কিছু একটার পরিকল্পনায় আছি
সত্যিকারের গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য তথ্যই একমাত্র অবলম্বন।
------------------------------------------------------------
তথ্য সংরহ-
১/তথ্য অধিকার আইন,২০০৯
২/রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস্,বাংলাদেশ
৩/আর আমি নিজে!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৭
আমার মন বলেছেন: ভাই অনেক ছোট করে লেখলাম!!
নিজে জানুন অন্যকে জানান আর ব্যবহার করতে চেষ্ঠা করুন...
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:২২
গ্রীনলাভার বলেছেন: বাংলাদেশ তথ্য কমিশন ওয়েব এড্রেস - http://www.infocom.gov.bd/
প্রশ্ন করে দেখাযাক কোনো উত্তর পাওয়া যায় কিনা।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮
আমার মন বলেছেন: হু দেখা যাক..
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮
আল - মামুন বলেছেন: ভালই লিখেছেন।কিন্তু বেশি বড় হওয়াতে পরতে পরতে হাপিয়ে গেছি।