নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরো দুটি মৃত্যু

২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:১১



'আরো দুটি মৃত্যু' গল্পটা আমি পড়েছি।
দাঙ্গা বিরোধী গল্প। এবং একজন মহিলার মৃত্যু। সেই মহিলা আবার গর্ভবতী। দারুণ গল্প, এটা আমি বলিব না। তবে গল্পটার মধ্যে গভীর এক হাহাকার আছে। নেই হাসি তামাশা। গল্পের শুরুটা হয়েছে এভাবে- "নারায়ণগঞ্জ থেকে বাহাদুরাবাদ যাচ্ছে যে রাত্রির ট্রেনটা, এই যে স্টেশনে এসে থামলো, মাত্র দু'মিনিট দাঁড়ায় এখানে"। গল্পটি লেখা হয় ১৯৭০ সালে। লেখক একজন সম্পাদক এবং কবি। দারুন সব কবিতা তিনি লিখেছেন।

হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা নিয়ে এই গল্প বলা যেতে পারে।
হিন্দু মুসলিমরা মিলেমিশে থাকতে পারে না। যখন ভারতবর্ষে ইংরেজরা শাসন করতো, তখনো হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা করতো। অতি ধার্মিকগন মূলত দাঙ্গা বাধিয়েছে। সাধারণ মানুষজন ধর্মের কারণে যারা বিবাদ করেছে, তাদের ভন্ড বদমাশ এবং ইতর বলে। গল্পে দেখা যায়, দাঙ্গার কারণে একলোক ট্রেনে করে দূরে কোথাও যাচ্ছে। সাথে তার পরিবার। তারা অসহায়। বিনা অপরাধে তারা পালিয়ে যাচ্ছে। দাঙ্গা করে ধার্মিকেরা, পালিয়ে যেতে হয় সাধারন মানুষের।

মূলত গল্পটা এই রকম:
একলোক ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছে। ট্রেনে করে। শীতের রাত। লোকটার চোখে ঘুম নেই। তাই সে নিখুঁত ভাবে যাত্রীদের দেখছে। কে উঠলো, কে নামলো। সব কিছু সে মনোযোগ দিয়ে দেখছে। নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে একলোক ট্রেনে উঠে। তার চোখে মুখে আতংক। হিন্দু বলেই তার ভয় যেন বেশি। তার সাথে একজন স্ত্রীলোক। স্ত্রীলোকটি প্রেগন্যান্ট। লেখক রাতের ট্রেনের চমৎকার বিবরন দিয়েছেন। বানোয়াট গল্প নয়।

গল্পের শেষের দিকে দেখা গেলো,
প্রেগন্যান্ট মহিলাটি নেই। তাকে বাথরুমে খুজেও পাওয়া গেলো না। হঠাৎ চারিদিকে চিৎকার। প্রেগন্যান্ট মহিলাটি ট্রেন থেকে পড়ে যায়। এবং মারা যায়। ট্রেনে কাটাপরা মহিলাটির পেটে বাচ্চা ছিলো। অর্থাৎ দুজন মারা যায়। এজন্যই লেখক হয়তো গল্পের নাম দিয়েছেন, 'আরো দুটি মৃত্যু'। মহিলাটি কি পা পিছলে পড়ে যায়, না আত্মহত্যা করে সে বিষয়টা লেখক পরিস্কার করেননি।

হাসান হাফিজুর রহমান একজন কবি এবং সাংবাদিক।
১৯৩২ সালে তার জন্ম। জামালপুর। গ্রামের নাম কুলকান্দি। আমার জন্মের এক বছর আগে তিনি মারা যান। অর্থাৎ ১৯৮৩ সালে। রাশিয়ার এক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাসান হাফিজুর ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। তার সম্পাদনায় ১৬ খন্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, দলিলপিত্র প্রকাশিত হয়। বাংলা ভাষায় হোমারের ওডিসি অনুবাদ করেছেন তিনি। লেখক সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। যুদ্ধের সময় তিনি কুমিল্লা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তিনি গ্রামবাসীকে সাহস ও ভরসা জুগিয়েছেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৫

ফেনিক্স বলেছেন:



কবি ও সাংবাদিক সাহেব মুক্তিযুদ্ধে যায়নি, সাধারণ মানুষ গেছেন! এদের কবিতা দিয়ে কি হবে?

২৮ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: কবি সাহিত্যিকেরা মূলত ভীতু হয়।
কিন্তু তাদের দেশের প্রতি টান আছে।

২| ২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: আমি ছিলাম ছোট গল্পের একনিষ্ঠ পাঠক।সেই সময়ের অনেক লেখকের গল্পই এমন মন কাড়া।সৈয়দ শামসুল হক আমার প্রিয় গল্প লেখক।বিদেশের সমারসেট মম।
পশ্চিম বাংলার ,রবি ঠাকুর,মানিক,তারাশঙ্কর,জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী সহ অনেকে।
উপন্যাসের চেয়ে আমার কাছে ভালোলাগে ছোট গল্প।অল্প কথায় অকেকিছু বলা হয় ছোট গল্পে।কলেজে পড়ার সময় আমি সাহিত্য সম্পাদক ছিলাম এবং আমার লেখা ছোট গল্প একবার প্রথম হয়ে ছিলো।মার্ক্সবাদ আমাকে ওপথ থেকে সরিয়ে আনে।তার পর জীবন হয়ে গেলো অন্য রকম।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে কর্মী সংগ্রহ করা তাদেরকে বিল্পবের মন্ত্রে উদীপ্ত করা।এই কাজ করতে করতেই জীবনের প্রথম অংশ শেষ হয়ে গেলো।

৩| ২৮ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি গল্পও লিখেছেন!!!!
গল্পটা এখন সংগ্রহে আছে? থাকলে দেন পড়ি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.