নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মন

বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. ।

আমার মন

অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছা করে কিন্তু পারিনা। কিন্তু এখানে সব বলবো বলেই এসেছি.... www.facebook.com/ amarmonami

আমার মন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস মনে রাখার কিছু নাই, এটি বরং একটি ছবির 'পান্ডুলিপি' মনে করে ফিরে যাবেন কাজে

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

জনাব Anthony Mascarenhas( 'এন্থনি মাসকারেনহাস' এর বিখ্যাত গ্রন্থ 'লিগেসি অব ব্লাড' থেকে জানতে পারি, যুদ্ধ জয়ের পর দেশের নেতারা সবাই নিজেদের মত দেশ চালনার বিশাল বিশাল পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন, কিন্তু জনতার রায় বা সর্মথন তখন সম্পুর্ণ ভাবে ছিল মুজিব সাহেবের দিকে। সবার সব পরিকল্পনা এক বিন্দুতে আটকে ছিল। শেখ সাহেব দেশে আসার পর নতুন দেশে নিজের জায়গা পাকা করার জন্য নেতা ও সামরিক যুদ্ধারা ব্যস্ত হয়ে পরলেন।



যারা মাঠের যুদ্ধা ছিলেন( রাখাঁল, চাষা, ছাত্র, দেশপ্রেমিকরা) তারা তাদের কাজে ফিরে গেলেন কারণ তাদের আস্থা ছিল মুক্তির নেতাদের উপর। মুজিব সাহেব পরিকল্পনা করলেন, নেতৃত্বে আনলেন পুরোনো সাথীদের, মিলিটারিদের ব্যারাকে ফিরাতে চাইলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য কাজ করতে লাগলেন। তবে ঘটনা ওইটাই, বিশ্বাসঘাতকের জন্ম হতে থাকল একেরপর এক, যারা মুজিবের সামনে থাকার সময় সদা হাস্য ও ভীতু হয়ে থাকতেন আর বাইরে বের হলেই মুজিব কার বাপ' স্টাইলের মন্তব্য!



অন্তরের অন্তস্থল থেকে যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসতেন ও মান্য করতেন সর্বদা সর্মথন দিয়ে গেলেন তারা, বিশ্বাস করতেন মুজিবের নেতৃত্বে দেশ সামনে যাবে। একই সাথে পাকিদের ষরযন্ত্র চলতেই থাকলো, পাকিস্থান বন্দি বাঙালীদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিল, যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে মুজিব সরকার। আর্ন্তজাতিক ভাবে মুজিব সাহেবকে হেয় করতে সদা তৎপর থাকলো। দেশের ভেতরে মিলিটারি বাহিনীর মাঝেও মুজিবের প্রতি অসন্তুষ বাড়তে থাকলো,



'আসলে অস্ত্র বড় খারাপ জিনিস, হাতে নিয়ে বসে থাকাটা বিশাল ধৈর্য্যের কাজ' মিলিটারিরা সেই ধৈর্য্য পরীক্ষায় ফেইল মারতে লাগল। পুলিশ বাহিনির তৎপরতা মিইয়ে গিয়ে মিলিটারি আর রক্ষিবাহিনি চারদিকে। বাকশাল বিষয়টি মুজিবসাহেব মানুষ ও মিলিটারিদের বুঝাতে সক্ষম হন নি। ভুল ব্যাখা ও অপপ্রচার বেড়ে গেল।



এর মাঝেই সর্বহারা( যারা নিজেরাই নিজেদের বুঝতে পারতো না), অস্ত্রহাতে অধৈর্য্য আর্মি অফিসারদের তৎপরতা বাড়তে থাকলো। বিশাল বিশাল পরিকল্পনা করে দিন গুনতে থাকলো আর্মিরা। তলে তলে এত কিছু হতে চলছে শেখ সাহেবের কানেও গিয়েছিল, কিন্তু তিনি কানেই নেন নি। ওইযে, নিজ দেশ ও মানুষের প্রতি বিশ্বাস! দেশে পরিস্থিতি এমন দাড়াঁতে লাগল যে, কেউ যদি বলে 'ধর ধর ধর' সবাই ধরবে, কিন্তু কেন, কি অপরাধে ধরছে তা খুজে বের করতে আগ্রহ ছিল না কারও। পাকি আর্মি শাসনের ভুত ভর করলো দেশের আর্মি অফিসারদের উপর।



এক রাত্তিরেই শেষ করে দিল এক মহামানবের ইতিহাস! সেই সব যুদ্ধা, (রাখাঁল, চাষা, ছাত্র, দেশপ্রেমিকরা) যারা ফিরে গিয়েছিল নিজ বাড়িতে মহামানবের উপর আস্থা রেখে তারা পযর্ন্ত কিছু বললো না। হইত কেও কেও বলে ছিল! অস্ত্র বড় জটিল জিনিস বাবু, বিড়ালের হাতে থাকলেও তা থেকে দুরে থাকতে হবে। তাই সবাই দুরেই রয়ে গেল। মহামানবের লাশ ২৪ ঘন্টার উপর যেখানে ছিল সেখানেই রয়ে গেল। যেন এটি কিছুই না, হতেই পারে এমন মনে করে পানের দোকানে লোকেরা পান খেতে লাগল আগের মতই!



যে সব দেশ মুজিবের ব্যক্তিত্বের কাছে হেরে বঙ্গের দিকে তাকানোর সাহস পেত না, তারা কার আগে কে নতুন সরকারকে স্বাগতম ও স্বীকৃতি দিবে তাতে ব্যস্ত হয়ে গেল। তবে পাকিরা এতে প্রথম স্থান পেয়েছিল বলেই জানলাম। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ে নতুন দেশ তাদেরকে আপনা ভাই মনে করে অন্তরে ঠাঁই দিল আর্মিরা। বাহ বেশ, ফলাফল সেই সব যুদ্ধাপরাধীরা আহ শান্তি বলে দেশে আসতে শুরু করলো।



অন্য দিকে নতুন সরকার গঠন হল, ভাসানি সাহেব বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন, মুজিবকে অত্যধিক স্নেহ করতেন, তাকে সমর্থন দিতেন, তিনিও নতুন সরকারকে সর্মথন দিলেন দেরি না করে, কেন মুজিব সাহেবকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করলো তা জানতেও চাইলেন না! (অস্ত্র বড্ড বেশি খারাপ জিনিস বাহে)



এই বই থেকে জানা যায়, মুজিবের গ্রামের বাড়িতে নাকি এলাকাবাসি হামলা করে লুটপাট করেছিল! মুজিব সর্মথক বুদ্ধিজীবিরা বাসা ছাড়া হয়ে আত্বা ও আত্ব গোপনে ব্যস্ত হয়ে রইলেন।



এক মুরুব্বির কাছ থেকে শুনেছি, তখন নাকি ঢাকার অনেক এলাকার মিষ্টির দোকানের মিষ্টি শেষ হয়ে গিয়েছিল, ফুলের মালা দিয়ে আর্মিদের বরণ করা হয়েছিল। মুজিব সর্মথক নেতারা নিজ হাতে চোখ বন্ধ রেখে নিজেদের ঢাকতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। তারপরেও র্শীষস্থানীয়রা কারাগারে। খন্দকার মুস্তাক সাব চিউ চিউ বিলাইয়ের মত রাষ্ট্র (আর্মি-পতি হয়ে রইলেন)। কাদের সিদ্দিকী কিছু বলতে আর করতে না পেরে দেশান্তরি হইলেন।



সামনে আরও অনেক কিছুই ঘটতে থাকলো, মানুষ সরকার বা ব্যক্তির উপর আস্থা রাখা ছেড়ে দিল। অস্ত্র যার মুল্লুক তার সিস্টেমে একের পর এক মানুষ ক্ষমতা আকঁড়ে থাকতে লাগলেন। তবে সব দোষ পাবলিকের, এরা কোন জাতেরই না। খায় দায় ঘুমায় আর স্বপ্নে চিক্কুর দিয়া উঠে বলে 'আব্বাজান এইটা কার দেশ)?



দিন যেতে থাকল, দেশের সুন্দর্য্য বাড়তে থাকলো, বখাটে রাজনীতিবিদরা সেই সুন্দরিকে আটঁকে রেখে নিযার্তন করতে লাগলেন। জনতা নিজেরা নিজেদের চেষ্টায় কাজে দেশের উন্নতি করতে লাগলেন। শাসনতন্ত্র কর্তৃক উন্নয়ন নয়, ব্যক্তিগতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প। এভাবেই চলেছিল, চলছে, চলবে?



-যদি কেউ কষ্ট করে এই লেখা এখন যা পড়ছেন সে পযর্ন্ত পড়ে ফেলেন তাহলে নিজ দায়িত্বে ভুলে যাবেন দয়া করে। এ দেশে ইতিহাস মনে রাখার কিছু নাই। এটি বরং একটি ছবির 'পান্ডুলিপি' মনে করে ফিরে যান কাজে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: খোঁচা লাগে। ভোলা যায়না। যন্ত্রণা।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

আমার মন বলেছেন: জি ভাইয়া। বড় খোঁচা দেয় আজকাল। তাই ভুলে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.