![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লাসে সবার ছোট একটি বালক। কত তার নিজের খেয়ালি কাজ, সাথে বাবা-মার আদর মিশ্রিত ধমক- পড়াশুনা করতে বস, তোমাকে অনেক বড় হতে হবে, ফাইভে বৃত্তি পেতেই হবে…...ইত্যাদি। কিন্তু কে শুনে এতো কথা, তবুও অনিচ্ছাসত্তেও পড়তে বসা। এরপর ক্লাস সিক্স। আসলো পাড়ায়-মহাল্লায় ক্রিকেট, ভাসলো সবাই ক্রিকেট তরীতে চেপে স্বপ্নের জগতে। সোনার ছেলেরা মাত্র আইসিসি ওডিআই ওয়ার্ল্ডকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ভাসছে দেশ ক্রিকেট জোয়ারে, মাতছে পাড়ার ছেলেরা ক্রিকেট নেশায়। এ বয়সে রুখবে আমায় কে? চলতে থাকলো শখের ক্রিকেট সাথে পড়াশুনা। এভাবে সেভেন, এইট, নাইন......(বিশ্বকবি যেমন বলেছেন, “তের-চৌদ্দ বছর বয়সের মত এমন বালা আর জগতে নেই”)। মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি। নতুন শহর-নতুন প্রান, নতুন সখ-নতুন বন্ধু, আরও কত কি? বয়স এখন উনিশ-কুড়ি। ডাক পিওন আসতো প্রায় প্রতিদিন, বাড়ির কিংবা বন্ধুর অথবা রঙ্গিন কোন চিঠি নিয়ে। বয়সের সাথে তাল মিলিয়ে “ক্রীড়াজগত” কিংবা “ক্রীড়ালোক” নামের ম্যাগাজিনের সাথে যোগ হল “উনিশ-কুড়ি”। বিশ্ব এখন অনেক এগিয়েছে, তার সাথে তাল মিলিয়ে এদেশে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে মোবাইল নামক এক যন্ত্রের। এ যন্ত্রটি দেখা যায় দু-এক জনের হাতে, এখন এটা পাবার ইচ্ছা ঘুমে-জগরনে, চেতন-অবচেতন মনে। অবশেষে স্বপ্ন পুরন হল। “উনিশ-কুড়ি” ম্যাগাজিনে থাকতো মজার,মজার এসএমএস, চলতো এসএমএস-মিসকল খেলা। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ডানা মেলা পাখি হয়ে বিচরণ মুক্ত আকাশে, কখনও উড়ে যায় মন মুক্ত বাতাসে। টগবগিয়ে ঘোড়ার মত ছুটে চলা যুবকের জীবনের চার, পাঁচটি বসন্ত পার হয়ে গেল চোখের পলকে। কিছুতেই বিশ্বাস হয় না, বিদায় জানাতে ক্যাম্পাসে অনেক রঙিন আয়োজন। অনেক আশীর্বাদ, উপদেশ ও স্মৃতিগুলো নিয়ে সুখগুলো ফেলে রেখে চোখের জলে বিদায়। এতদিন বাবার কষ্টার্জিত পয়সায় ছিল নিজের, কিন্তু এখন নিজে কিছু উপার্জন করার পথ সৃষ্টিকর্তা দিয়েছে। দেখতে, দেখতে প্রায় দুই বছর হতে চললো চাকরির বয়স। নিজের বয়স সাতাশ-আঠাশের মাঝামাঝি। স্মৃতিরা উঁকি মারে, যেন মনে হয় এইতো লুকোচুরি কিংবা ক্রিকেট খেলা, টেলিভিশনে খেলা দেখা কিংবা পদ্মার হাওয়া গায়ে মেখে রাতে মেসে ফেরা অথবা আড্ডা, কথা, গল্পের ফুলঝরি। যেখানে ব্যাক্ত হতো জীবনের না বলা অনেক কথা। পাতাঝরা দিনে গভীর রাতে ফুতপাথ ধরে একা হেঁটে অনেক দুর হতে এক কাপ চা খেয়ে ঘরে ফেরা। একাকি মধ্যরাতে ছাদে কিংবা বারান্দায় সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে, ছাড়তে স্বপ্নের রঙ্গিন জাল বুনা অথবা কষ্টের যত সুখ তার সবটুকু আস্বাদন করা। কখনও ভাবার সময় হয়নি ফুরিয়ে আসছে সুখ, অতিক্রম হতে চলেছে জীবনের মধ্যসীমা। সবেমাত্র ভাবনারা এসে মনের কোনে বাঁধতে চলেছে নতুন বাসা। আর কত দূর? এইতো শুরু হোল যাত্রা, ইতোমধ্যে কতদূর চলে আসা আর হয়তো অর্ধেক পেরুলে পথের শেষ। বিষণ্ণ মন অবিরাম বলে চলেছে, Human life is transient, it will decay and dry…। আজ এক নতুন ভোরে মন মনে করিয়ে দিচ্ছে রবার্ট ফ্রষ্টের কবিতার চরণটি “miles to go before I sleep”
কিন্তু হায়! বাকি পথের কত দুরের বর্ণনা দেওয়া যাবে? জানিনা.........(চলবে)।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
আল-ইমরান(মানিক) বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর ঝরঝরে বর্ণনা,,,,,,,,,,,,,,,,জীবনটাই এমন,,,,,,,,,,,,,