নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
কবিতায় আসক্তি, ক্লান্ত দুপুরের ঘুঘুর ডাক ,ভোরের স্নিগ্ধতা ,সবুজ ঘাসের আলতো আদর , স্বপ্ন সরলতায় ভরা কিশোরীর চোখ অথবা ফাগুনের কৃষ্ণচূড়ায় এক ধরনের মাদকতা থাকে। মাদকতা থেকে যায় প্রিয়ফুলের সৌরভে অথবা প্রিয় সুগন্ধিতে !!!
নতুন উপহার পাওয়া পারফিউমের বটেল টাকে মনে হচ্ছিল স্বপ্ন সরলতায় ভরা কোন কিশোরীর চোখ ,যার একটু খানি চেয়ে থাকায় মাতাল হয় বনের কোকিল। সকালে গায়ে ছোঁয়ানোর পর থেকে টের পাচ্ছিলাম এর মাদকতা । শুনেছি ফুলের নির্যাস নিয়ে ফোটা ফোটা বিন্দু বিন্দুতে তৈরি করা হয় এই কৌটা ভর্তি ভালোবাসা । তাই ভাবি এক ফুলের সুবাসেই ধন্য আমি কেমন করে স'ই এতগুলো ফুলের
সুবাসিত ভালোবাসার আক্রমণ ।
বেশকিছু সময় চেস্টা করে ক্ষান্তদিলাম রোজকার গৃহকর্ম ,ততক্ষনে বুঝে ফেলেছি আজ আর সইবে না এই তুচ্ছ জাগতিক ভার !
"আজ আমি আর আমি নেই আমি যেন অন্য কেউ " আমার ও এক জোড়া চোখা ছিল কৈশোরের স্বপ্ন সরলতায় ভরা, সে চোখ কাউকে ছুয়ে দিলে তার হৃদয়ে হাজার তারার ফুল ফুটত। চোখের নেশাগ্রস্থরা সরল চাহনীর নির্মলতায় শুদ্ধ হত।
সেবারে বর্ষায় এল ঈদ, ঈদ এর ছুটি এলো আনন্দধারা নিয়ে রিম ঝিম রিম ঝিম , ঝম ঝম, ঝম ঝম , ঝিরি ঝিরি কখনো বা আর্তনাদের বিজলি । আমার চাচাত বোনের বিয়ে ঈদের ঠিক দুই দিন পর ,আব্বা কিভাবে যেন গ্রামে যাবার জন্য একটা নৌকা ঠিক করে ফেললেন ছটফটে আমি ভীষণ বিরক্ত এত লম্বা সময় ধরে খেলা থেকে বঞ্চিত হব ভেবে , মরার উপর খারার ঘা ঘাটে যেয়ে দেখি ইঞ্জিন ছাড়া নৌকা। বড় ভাই বোনেরা খুশি , ঠিক খুশি না বলে এক্সসাইটেড বলা যায় । বাংলা ব্যাকারন পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর আগেই শেখা হলে গেল ধরনের খুশি " নৌকা ভ্রমন" ;রচনা তে ফুল মার্কস ।আব্বা দেশে যাবার আনন্দ সামালাতে ব্যস্ত ,মা আব্বার সাথে এতক্ষন থাকতে পেরে আনন্দিত । খেলার সময় কমে যাচ্ছে ভেবে প্রায় কেঁদে ফেলার দশা এই এক আমারই । কিন্তু কে জানত এই বর্ষা হয়ে উঠবে আমার জীবনের জমিয়ে রাখা রত্ন স্মৃতির মাঝে অনন্য !!!
যাত্রা শুরু হবার পর ম্যাজিক এর মত সব পালটে গেল , সমস্ত পথ গান গল্প ,বৈঠায় পানি কাটার শব্দ , মাছেদের সংসার প্রান ভরে উপভোগ করলাম। মাঝে নৌকা থামিয়ে আঁখ কেনা , তারপর সূর্যের বাড়ি যাবার সময়ে নিজেদের বাড়ি ফেরা । বিক্রমপুরের গ্রাম সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে তারা জানেন বর্ষায় সেখানে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাবার জন্য ও নৌকা দরকার হয় প্রত্যেক বাড়ির ঘাটেই ছোট্ট একটি কোষা নৌকা থাকে , এখানে ৪ /৫ বছর বয়সী ছেলে মেয়েরা ও আনায়েসে নাও বেয়ে স্কুল অথবা মাঠে খেলতে চলে যেতে পারে। ঈদের সকাল থেকে শুরু হল গ্রামময় নৌ -চক্কর , পেয়ারা চুরি করে ফেরার পথে ধরা পরার ভয়ে ঈদের নতুন জামা সহ সাঁতরে গিয়ে নৌকায় উঠা ( পানিতে ডুবে থাকলে কোঁচড়ে কি আছে বোঝার উপায় নেই বলে )। বর্ষা ডোবা শশা মাচা থেকে কচি শশা তুলে খাওয়া । ভাই বোনদের সাথে বালিহাঁসের ফাঁদ পাততে দূরের বিলে চলে যাওয়া ।এমনি সব দুরন্তপনায় কেটে যাচ্ছিল সময় !সবচাইতে মজার ছিল কুমাড় বাড়ি তে হানা দেয়া ,চমৎকার সব পোড়া মাটির পুতুল , হাতি ঘোড়া , কলস , হাড়ি পাতিল কত শত জিনিশ যে ছিল ইয়াত্তা নেই । বিস্ময়ে বোবা হয়ে যেতাম কেমন করে চাকা ঘুরিয়ে ঠিক ঠাক চমৎকার সব আকৃতির জিনিষ তৈরি হত দেখে ।প্রিয় কিছু জিনিস তুলে নেয়া যেত অনায়েসে (তালুকদার বাড়ির মেয়ে হিসেবে) ।
বিয়ের দায়িত্ব বা সাজাগোজের আনন্দের চাইতে আমাদের আকর্ষণ ছিল ঝুম বৃষ্টিতে বড়দের চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌকা নিয়ে আধা ডোবা ধানের ক্ষেতে চলে যাওয়া । মাথার উপরে বিশাল বৃষ্টিতে সাদা হয়ে যাওয়া আকাশ , আর নিচে দিগন্ত জোড়া সবুজ ধান ক্ষেত আহা! সেই স্বর্গীয় অনুভুতি ! বউ ভাত হবে আপুর শ্বশুর বাড়ি শ্রীনগরে নৌকায় বেশ কয়েক ঘন্টার পথ । খুব ভোরে বড় প্রায় দশ ডিঙ্গি নিয়ে চললাম আপু দুলাভাই কে আনতে পথে ছিল শাপলা বিল , লাল ,সাদা , হালকা মাঝে হলুদ ফুটন্ত শাপলা । শালুক গুলি চিনতে পারা একটু কঠিন যদিও । সারাটা পথ শাপলা তোলায় মেতে রইলাম, চলন্ত নৌকায় একটা সম্পূর্ণ শাপলা মূল সহ তোলা ভীষণ কঠিন আমার মত মফঃস্বল বাসীর কাছে । কখনো ফুলের পাপড়ি ছিড়ে গেল , কখন কেবল হাতে আসলো কিছু সাদা শাপলার পাপড়ি , পরিপূর্ণ চমৎকার একটা ও হাতে এল না । আনন্দের কমতি ছিল না যদিও পাশের নৌকা থেকে ,দুলাভাই বা বিয়াই সম্পর্কিত আত্মীয়দের বিভিন্ন মন্তব্য উড়ে আসছিলো " কেউ বলছেন কাল ঠিক হাটে শাপলার দোকান খুলবে "।কেউ জিজ্ঞেস করল শাপলার মালা কি নতুন দুলাভাইয়ের জন্য ? হাঁসি ঠাট্টা মাঝ বিলে প্রচন্ড বৃষ্টিতে নৌকা থামিয়ে কোরাস গাওয়া, সব সব আনন্দের মাঝে আমার ঠিক একটা বৃষ্টি ভেজা ভীষণ অহংকারী আদুরে শাপলার জন্য মন কেমন করছিল
কিশোরী মনের আপ্রাপ্তির বেদনা লুকাতে তখন শেখা হয়ে উঠে নি ,হয়ত অভিমানী চোখের কোনায় ছিল মুক্তর জল , কান্নায় ভারি হয়ে আসা মুখ লুকাতে আদিগন্ত বর্ষার পানিতে ডোবা মাঠের বুকে চোখ রেখেছিলাম । শাপলার বিল পার হবার পর ঠিক তেমনি ভুলে গেলাম কিছুক্ষন আগে সমস্ত হৃদয় মন দিয়ে পেতে চাওয়া জল রানী কে । দুপুরে পৌঁছে বউভাত খেয়ে আবার ফিরে চললাম বাড়ির পথে , তখন সন্ধ্যা নামে নামে প্রায় । ফেরার পথে মাঝে পরিচিত কিছু আত্মীয় 'র বাসায় হানা দেয়া , গ্রাম্য বাজারে নৌকা ভিরিয়ে চা , মিস্টি নিমকি খাওয়া । এতে আমাদের চার নৌকা পিছনে পরে যায় ।নতুন বর বউ কে নিয়ে মুরুব্বিরা তারাতারি বাড়ি পৌঁছুতে চাইলেন আর আমরা রয়ে গেলাম পিছনে ।
নিস্তব্ধ গভীর কালো বর্ষার রাত , অনেকেই সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুমাচ্ছিলেন বড় ভাই বোন রা মিলে কার্ড বের করে খেলায় মাতলেন মেঘের গর্জন আর ইলশেগুঁড়ির বৃষ্টি, মুহূর্ত গুল কে অসাধারন সুন্দর করে তুলেছিল । ঝিরঝিরি বৃষ্টির স্পর্শ পেতে ছই এর বাইরে গলুই এর কিনারাতে চলে এলাম । কল্পনার সব রঙ ঢেলে আত্ম মগ্ন আমি নিজের সাথেই নিজের গল্প বলেছি সেদিন । মনে মনে আমার ক্ষুদ্র জীবনের আজকের দিন কে সেরা দিন হিসেবে ভেবে নিয়ে ক্ষণগুলি নিজের করে নিচ্ছিলাম ।
তখন ও জানতে পারিনি এক জোড়া ঘুমহারা চোখের ফ্রেমে সারাক্ষন বন্দি ছিলাম আমি শাপলা তোলার অপ্রাপ্তি আমায় না যতটা অভিমানী করেছে ,তার বুকে বেজেছে একফোটা বেশি ; শাপলা বিলের অহংকারী সব আলহাদি ফুলগুলোকে জড়ো করে দূর থেকে আমার চরনে নিবেদন করেছিলো সে । বালিকার নিষ্ঠুর হৃদয় হটাৎ প্রাপ্তিতে খুশিতে আত্মহারা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু যুবকের ভালোবাসার গভীরতা মেপে দেখিনি । ঠিক ভুলে গেয়েছিলাম সেই দিনের প্রাপ্তির আনন্দ ।
তিন বছর পর বাসায় খোঁজ নিয়ে আমার বিশ্ববিদ্যালয় হল গেটে এসেছিলো আমার ছোট ছোট চাওয়া গুলির যত্ন নিতে । কিন্তু তাকে তো মনে রাখিনি ,এমন কি জানতাম ও না কে সে ? সে কথা জানবার পর আহত হৃদয়ের করুন দৃষ্টি দেখেছিলাম আমি !
অভিমানী যুবকের সে দৃষ্টি বড্ড ভয়ংকর ।
দু'বছর আগের লেখা ;নিজেকে জানান দিতেই আবার প্রকাশ করলাম । তখন ও আমি কবিতা লেখা শুরু করিনি তেমন ভাবে ; আশা করছি ভালোলাগবে ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই ;
পাঠে মন্তব্যে এবং +++ এর জন্য !
নিরন্তর শুভ কামনায় ।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আত্মস্মৃতি ভালো লাগল। কবিতা লিখুন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন !!
কবিতা লিখলে ও আত্মস্মৃতি ই থাকে তাতে ...
পাঠে ও মন্তব্যে ভালোলাগা !
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিক্রমপুরের মাঠে কি এখনো শাপলা হয়, এখনো কি রাতের বেলা কেহ নৌকা নিয়ে বিলে যায়?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: গাজী ভাই এখন ও আড়িয়ল বিল আছে , এয়ারপোর্ট হতে দেই নী ...
নিশ্চিত অন্যকেউ এভাবেই মাঝ বিলে এখন ও হৃদয় বন্ধক দেয় কাউকে ।
শুভকামনা !!
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এই কবিরে ছন্দে কমেন্ট করার সাহস আমার হয়না,
শ্রদ্ধার প্রকাশ করি কিবা না-ই করি,কবি জানেন তার স্থান কত সু-উচ্চে.....................
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছন্দের যাদুকর ; ভলোবাসা সব সময় অনুরণিত !!!!
শুভ কামনা ।
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সত্যিকার ভালবাসা এই নশ্বর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ। অনেকেই না চেয়েও অফুরন্ত পায় আবার কেউ সারা জীবন তপস্যা করেও পায় না। যে পায় সে সত্যিই ভাগ্যবান।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন বেষ্ট সম্রাট !!!!
আশা করছি আপনি সেই ভাগ্যবানের দলে ই আছেন ।
শুভকামনা !
৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কালরাতে ঠিক এসময়ে সাত সমুদ্দুর তেরো নদী ওপারের এক নক্ষত্রমানবের সাথে অনেকক্ষন কথা হয় ফোনে,যিনি তার কথার প্রতিটি লাইনে কোন না কোনভাবে কবির প্রসঙ্গ টেনে আনেন পরম ভালোবাসায়/মমতায়।
সত্যিই রাজ গুণে গুণান্বিতা মহর্ষি এই কবি জন্মেছেনও রাজ কপাল নিয়ে মাইরি.......................
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এত কাবিক্য বর্ননায় সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি ; এই আলাপন আমার জ্ঞাত ছিল যদিও .....
শুভকামনা !!
৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: চমৎকার ! অনুভব করতে পারছি বৃষ্টিতে নৌকায় ভিজেবার আনন্দের | বৃষ্টিতে ভিজবার আনন্দ স্মৃতি আপনার কাছাকাছি পর্যায়ের আমার আছে মনে হচ্ছে |বাই দ্যা ওয়ে, আপনার এই গদ্যের কিছু জায়গা খুবই সুন্দর কোনো কবিতার মতোই ছান্দসিক লাগলো | খুবই কাব্যিক |অনেক ধন্যবাদ নিন |
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা ! কাছাকাছি পর্যায়ের সেই আনন্দ স্মৃতি নিয়ে লিখুন না আমাদের জন্য ।
ধন্যবাদ নিলাম আর কাব্যিক অনুভবের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ।
অনেক অনেক ভালো থাকুন !
৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সম্পূর্ণ পড়তে দ্বিতীয় কিছু মনে আসেনি, কেবল পড়েছি আর সুপ্রিয় কথাসাহিত্যিক রচিত কাব্যরসে ভরপুর বর্ণনামতে কল্পনায় ছিলাম মেতে, কি আকর্ষণ ভরে রেখেছেন লেখাতে!! অসাধারণ! গ্রেট।
কৃতজ্ঞতা সুন্দর কাব্যটি পড়ার সুযোগ দেয়ার জন্য।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাদের সদয় উচ্ছ্বাসিত মন্তব্য গুলোর মায়াতেই ব্লগে ফিরে ফিরে আসা ।
কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করলেন আপনি দারুন মন ছোঁয়া মন্তব্যে ।
শুভকামনা অফুরান ।
৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সরলতার কাব্য ভালো লাগলো +
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর !
ভালোলাগা প্রকাশে কৃতজ্ঞতা ।
শুভ কামনা ।
১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: অভিমানী যুবকের সে দৃষ্টি বড্ড ভয়ংকর হলেও ছড়ার যাদুকর কি করি আজ ভেবে না পাই মন্তব্য আরো ভয়ংকর মনে হচ্ছে
ব্যাটা ! ডুবে ডুবে জল খায় ক্যাম্নে
কবি কোন এক বর্ষায় আসলে -শাপলা তুলতে নিয়ে যাব !! আমাদের গাঁয়ের লুইত্তা বিলে এখনো শাপলা ফোঁটে
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি করি ডুবে ডুবে জল পান করেন নাকি গ্লাসে খায় সেটা আপনি উনার ব্লগে ,ফেসবুকে প্রয়োজনে অফ লাইনে সেই খবর নিতে পারেন ;
এখন আমার লেখার ব্যাপারে কিছু বলেন !!!!
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: অক্ষর সাজিয়ে ছবি আঁকা!! সরল কিশোরীর অনাবিল আনন্দ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। চমৎকার! হঠাৎই যুবকের আগমনে ছবি মুছে গেল।
ভাল লাগার লেখনী।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা করুণাধারা !!
ভালোলাগা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ; আপনি না হয় যুবকের আগমনের লাইনটুকু মুছে দিয়েই পড়া শেষ করুন আনাবিল আনন্দটুকু ই থাক আপনার মনে ।
শুভ কামনা ।
১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭
জাহিদ অনিক বলেছেন: খায়রুল আহসান সাহেব আজকে বলেছেন কবিদের গল্প কিংবা প্রবন্ধ পড়লেই বোঝা যায় এটা কোন এক কবির লেখা।
আপনি বলেছেন, তখনো আপনি কবিতা লেখা ধরেন নি, আপনি তখন কেন তার আগে থেকেই পাকা কবি। বোল্ড করে দেয়া লাইনগুলো তার প্রমাণ ।
স্মৃতিকথা ভাল না লেগে উপায় নেই। কোষা নৌকায় আমিও চড়েছি কয়কবার। বিলের মধ্যে মস্ত পুকুরে মাছ ধরা দেখতে যেতাম। নানু বাড়িতে। আমি তখন নিতান্তই ছোট। ছোট হলেও কিভাবে কিভাবে যেন তীরে এসেই কোষা নৌকা দোলাতে থাকতাম, চাইতাম ইশ ! ডুবে যেত !
এই যে কবিতা হয়ে গেছেঃ
বেশকিছু সময় চেস্টা করে ক্ষান্তদিলাম রোজকার গৃহকর্ম ,
ততক্ষনে বুঝে ফেলেছি আজ আর সইবে না এই তুচ্ছ জাগতিক ভার !
ঠিক একটা বৃষ্টি ভেজা ভীষণ অহংকারী আদুরে শাপলার জন্য মন কেমন করছিল
তখন ও জানতে পারিনি এক জোড়া ঘুমহারা চোখের ফ্রেমে সারাক্ষন বন্দি ছিলাম আমি
অভিমানী যুবকের সে দৃষ্টি বড্ড ভয়ংকর ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহসান ভাই প্রাজ্ঞজন ; উনার চমৎকার সব মন্তব্য আমাদের ব্লগের সম্পদ ; উনি যথার্থই বলেছেন !
কবি জাহিদ এর কমপ্লিমেন্ট গুলো আনন্দ দেয় ,লেখার উৎসাহ বাড়ায় ; ধন্যবাদ সব সময়ের মত ।
আমি অবশ্য ডুবানোর চেস্টা করতাম না ,মজার তথ্য দেই কোষা নৌকা কখনো ডুবে না ,যতই চেস্টা করা হোক ! ছোট বেলায় শুনেছি এই নৌকা আকাঠা মানে কাঠ নয় এমন কিছু দিয়ে বানানো হয় ,আসলে আর একটু তথ্য দরকার খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার জন্য ,দুঃখিত আমি নিজেই কম জানি ।
গ্রামে অবাধ স্বাধীনতা উপভোগ করতাম যখন ইচ্ছা ডুব ডুব পানকৌড়ি হয়ে ভাসতাম !!
বাহ!!! চমৎকার কবিতায় ভালোলাগা
১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫১
সনেট কবি বলেছেন:
মুনিরা সুলতানার‘সরলতার কাব্য !!! ’ পোষ্টে মন্তব্য-
অত বড় কবিতার ডাল পালারা
আমাতে ধরেনা বলে ডালপালা সব
কেটে কুটে ছোট করি যাতে অবশেষে
বনসাই হয়ে পড়ে কবিতার বৃক্ষ।
অথচ এখানে এসে পথ হারাবার
উপক্রমে ভয়ে ভয়ে চলেছি অনেক
পথ ছন্দে ছন্দে ভেসে অপার আনন্দে
মুগ্ধতা আবেশ ঘোরে মোহমায়া ছলে।
কবিরা এমন হয়, যাদুকরি শব্দে
পাঠকে বেঁধে আবেশে টানতে টানতে
গহিনে এমনি তারা নিয়ে যায় চক্রে।
কেমন হল সেকথা এখন না হয়
তোলা থাকলো পরের কোন সময়ের
স্মৃতি চারন নিমিত্তে, এ বেলা নিরব।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথম বারের মত আপনাকে লেখায় পেলাম ; স্বাগত মনিরা সুলতানার ব্লগে !
চমৎকার ছন্দবন্ধ মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা ; যাদুকর তো আপনারা ছন্দের যাদুতে দারুন সব ভাব প্রকাশ করেন । অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে ।
শুভ কামনা !
১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নিজেকে মানে ছেলেবেলাকে ঠিকমতই মেলে ধরেছেন।। সাথে নিয়ে গেছেন আমাকেও।। বিশেষ করে "চুরি"র ব্যাপারে।। এদিকে আমি আবার একটু বেশীই....।।
গ্রামের ভালবাসাই ফিরে আসে একটু বেশী বয়সে, শহরের ক্লান্ত হৃদয়ে।।
প্রতিটা বাড়ী যেন এক একটা ছোট্ট দ্বীপ!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !!! নস্টালজিক করতে পারলাম তাহলে _
আসলে কৈশোর তারুণ্যের উড়ন্ত দুরন্ত দিনগুলো তে এমন সব উপভোগ্য নির্দোষ আনন্দ ই আমাদের সময় কে অনন্য করেছিল ; এখন কার বাচ্চা রা গ্রামে গেলে ও রোদ এ বের হতে চায় না , ওয়াই ফাই খোঁজে ;তাদের বন্ধুরা রয়ে যায় তের নদীর ও'পারে বন্ধুদের খবর নিতে হলে ও অনুষঙ্গের প্রয়োজন ।
চমৎকার বলেছেন "" গ্রামের ভালবাসাই ফিরে আসে একটু বেশী বয়সে, শহরের ক্লান্ত হৃদয়ে ""
" প্রতিটা বাড়ী যেন এক একটা ছোট্ট দ্বীপ!!"
আমার লেখায় অনেকদিন পর পেয়ে পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাইয়া ।
শুভ কামনা !!!
১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেশ লিখেছেন।+++
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তাফা সোহেল
শুভেচ্ছা অফুরান !!
১৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৮
সামিয়া বলেছেন: ভালোলাগা ++++++++++
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে বাবা এত্তগুলো প্লাস !!!
আপ্লুত অভিভূত সামিয়া ,ভালোলাগা প্রকাশে ।
শুভকামনা ।
১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গত রাতে লিখাটা পড়তে পড়তে যেন নিজের হারানো দিনে ফিরে গেছি। এই তো কিছুদিন আগেও আমরা নানির বাড়িতে মুন্সীগঞ্জে নৌকা নিয়ে বেড়াতে যেতাম। এখন সব রাস্তা পাকা হওয়ায় সেসব দিন আর নেই।+++
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কিছুটা হারিয়েছি বৈ কি সেই দিন ; এখন ও নৌকা নিয়ে যাবার পথ আছে ,নেই আমাদের সময় আর আনন্দ নেয়ার অনুভূতিশীল মন
আমার নিজের ও বহুবছর হয় দেখা হয়ে উঠে নি ক্যামন আছে সেই মাঠা, ঘাট লোহার সেতু ,কুমার বাড়ি জানালার পাশের হিজলতলা আর চাই পলো দিয়ে মাছ ধরার সেই ছোট খাল ।
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার !
১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪
রেহান শুভ বলেছেন: অভিমানী যুবকের সে দৃষ্টি বড্ড ভয়ংকর । [/sb
কেমন ভয়ঙ্কর??
যাইহোক, ভালো লেগেছে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চোখে সানগ্লাস দেয়া থাকলে ক্যামন করে বুঝব কতটা ভয়ংকর
হাহাহাহা ; ভালোলাগা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ রেহান শুভ !
১৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
রেহান শুভ বলেছেন: কিছু বলার নাই।
শুনেছি ফুলের নির্যাস নিয়ে ফোটা ফোটা বিন্দু বিন্দুতে তৈরি করা হয় এই কৌটা ভর্তি ভালোবাসা । তাই ভাবি এক ফুলের সুবাসেই ধন্য আমি কেমন করে স'ই এতগুলো ফুলের সুবাসিত ভালোবাসার আক্রমণ ।
অসাধারণ কাব্য।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার মন্তব্য মন ছোঁয়া হয়ে রইলো !!!
শুভ কামনা ।
২০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: উপরের ছবিটা দেখেই মুগ্ধ হয়েছি আগে--- বাকিটা কম মুগ্ধ করেনি!!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঈস্পি মনি কত সহস্র দিন পর তোমাকে পেলাম ; আশা করছি আনন্দে আছ !!
মুগ্ধতা আমার করে রাখলাম ,অনেক অনেক ভালো থাকার শুভ কামনা ।
২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখাটি পাঠে কবিতার আসক্তি পেয়ে বসেছে
লিখাটির কিছু অংশে শুধু এন্টার মেরে দেখেছি
কাব্যসুধার কাজটুকু তোলা রইল আপনারই জন্যে,
আশাকরি কোন এক অবসর সময়ে এতে ফুটবে
কাব্যের অলংকার যা আসবে সামুর পাতায় ফিরে ।
কবিতায় আসক্তি, ক্লান্ত দুপুরের ঘুঘুর ডাক ,
ভোরের স্নিগ্ধতা ,সবুজ ঘাসের আলতো আদর ,
স্বপ্ন সরলতায় ভরা কিশোরীর চোখ অথবা
ফাগুনের কৃষ্ণচূড়ার মাদকতায় ভরা
প্রিয়ফুলের সৌরভ কিংবা সুগন্ধি !!!
লেখাটি প্রিয়তে গেল ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার কবিতা আসক্তি দীর্ঘতর হোক ;
আপনার মত করে আমার লেখার যথার্থ মুল্যায়ন আমি নিজেও পারি না ।
কিছুদিন কবিতা থেকে ছুটি নিচ্ছি স্মৃতি কথায় থাকছি কিছুদিন , " কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর দিন " সিরিজের পরের পর্বের জন্য
নিজেকে প্রস্তুত করছি ।
লেখা প্রিয়তে নেবার আনন্দটুকু আমার প্রিয় তে তোলা রইলো ।
২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: ঝুম বৃষ্টিতে বড়দের চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌকা নিয়ে আধা ডোবা ধানের ক্ষেতে চলে যাওয়া । মাথার উপরে বিশাল বৃষ্টিতে সাদা হয়ে যাওয়া আকাশ , আর নিচে দিগন্ত জোড়া সবুজ ধান ক্ষেত আহা! সেই স্বর্গীয় অনুভুতি ! --- বর্ণনায় মনে হল আমি নিজেই সেখানে উপস্থিত। কারণ এইরকম মূহুর্ত আমার জীবনেও কম বেশি ছিল।
ছেলে হওয়াতে আপনি যা দিনে করেছেন আমরা তা রাতে মেঘের ফাঁকে ফাঁকে চাঁদের উঁকিঝুকি ও জোছনার লুকোচুরিতে বিভোর থাকতাম বিলের মধ্যখানে।
আপনার লেখার প্রশংসা না করে পারা যাবে না। বর্ণনার মাধ্যমে ঘটে যাওয়া ইভেন্টগুলোকে জীবন্ত করে তুলেছেন।
চমৎকার। সামনে আরো এরকম লেখা পাব অাশা করি। ভালো থাকুন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছেলে হওয়াতে আপনি যা দিনে করেছেন আমরা তা রাতে মেঘের ফাঁকে ফাঁকে চাঁদের উঁকিঝুকি ও জোছনার লুকোচুরিতে বিভোর থাকতাম বিলের মধ্যখানে।
বাহ !!! কি আনন্দ !!!!
আসলে নস্টাজিকতা ছোঁয়াচে ,আশে পাশের অনেকেই ছুঁয়ে দেয় ,সেই ছোঁয়া ভালোলাগার প্রকাশে ও এসছে ।
কিছুদিন ভাবছি কবিতা থেকে বিরতি নিব , যদি এর মাঝে লেখা হয় তাহলে পাবেন আশা করছি ।
লেখা পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !!
২৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,
বিলের মতোই উথাল পাতাল আবেগীয় লেখা ।
মাঝ বিলে হৃদয় বন্ধক দেয়ার সরলতায় ভরা ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাব্যিক মন্তব্য মন ছোঁয়া হয়ে রইলো আহমেদ ভাই !!!
২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪
অগ্রপথিক রাফী বলেছেন: আনক ভ্লাদিমি
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় স্বাগত আগ্রপথিক !!!
আশা করছি পরের বার আমার ব্লগ ভ্রমনে এসে মন্তব্যের মানে বুঝিয়ে যাবেন ।
অগ্রিম ধন্যবাদ ও শুভ কামনা !
২৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫২
এম ডি মুসা বলেছেন: কাব্য প্রায়াস ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জী কিছু টা প্রয়াস তো বটেই ।
আপনার জন্য ভালো থাকার শুভ কামনা !!!
২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপু কমেন্টস এডিট করছেন
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা পড়ছেন আশা করছি ,ক্যামন লাগলো ?
শুভকামনা !!
২৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫১
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনি বরাবর ভাল লিখেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মন ভালো করা মন্তব্যের জন্য !!!
২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপাতত প্রিয়তে নিলাম। এক ঝলকেই মন ভরে গেল। মন দিয়ে পড়ে আবার আসব প্রিয় কবি....
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন ভালো হবার ঝলকানীর ছটা আমাতে ও ..
ধন্যবাদ সব সময় পাশে থাকার জন্য !!!
২৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০
আকিদা আফরোজ বলেছেন: ভালো লাগল.।।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় স্বাগত আফরোজ ...।
ভালো লাগার প্রকাশ দীর্ঘতর হোক !!!
৩০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: স্মৃতিচারণে অনেক ভালোলাগা আপু।
নষ্টালজিক হয়ে গেলাম। অনেকটা এভাবেই কাটাতাম আমিও সুযোগ পেলেই।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নস্টালজিকতা মোবারক আপু _
আপনার ভালোলাগা সবসময় ই আনন্দ দেয় ।
শুভ কামনা !!!
৩১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো আছেন আপনি !
৩২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নীচের এই ছবিটা দেখে আপনার সরলতার কাব্যের প্রচ্ছদ ছবিটার কথা মনে পড়ল ।
সবজি হিসেবে বাজারে শাপলার বেশ চাহিদা। তাই এই মৌসুমে অনেকে শাপলা তুলে বিক্রি করেন। ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলার কুনাগ্রামের বিলে শাপলা তোলায় ব্যস্ত শিশু-কিশোরেরা।
শাপলা বিলের ফুল
নাই আর সমতুল
কাব্যের সরলতায়
কবির হাতের ছোয়ায়
হয়ে উঠুক কুসুমকূল
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শাপলা বিলের ফুল
নাই আর সমতুল
কাব্যের সরলতায়
কবির হাতের ছোয়ায়
হয়ে উঠুক কুসুমকূল।
চমৎকার বলেছেন আলী ভাই !!!!!!!
সবজি হিসাবে শাপলা আমার খুবই প্রিয় ;এই সময়ে দেশে থাকলে আমি চেষ্টা করি একবার হলেও স্বাদ নেয়ার ।
এর আর্থিক দিকগুলো নিয়ে ব্লগে আপনার ই একটা পোষ্ট ছিল মনে হচ্ছে ?? ছিল কী ?
যাই হোক ফিরে আসায় শুভেচ্ছা ভাইয়া ।
৩৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতিউত্তরের জন্য । এর উপরে
আমার পৃথক কোন পোষ্ট নেই , ভিন্ন
একটি প্রসঙ্গ নিয়া নাড়াচাড়া করার কালে
ছবিটা এসে ধরা দেয় আমার হাতে ,
মনে হল যাকে এটা মানায় ভাল
তাঁর ব্লগেই রেখে আসি যতন করে ।
আপনার লেখায় গল্প কবিতায় ও ছবিতেই
শাপলারা পায় বেশী মমতার ছোয়া । তাই
এটাকে নিয়ে লিখার বিষয়টি আপুমনির
জন্যই রইল তোলা ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেন এত যত্ন ও মমতার ছোঁয়ায় মন্তব্য করে !!
অনেক অনেক ভালোথাকার শুভেচ্ছা ভাইয়া ; আশা করছি আগের চাইতে শারীরিক ভাবে সুস্থ্য আছেন ?
আল্লাহ হায়াতে তাইয়েবা দান করুক !
৩৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
এ যেন এক জলজ জীবন, যেখানে কোন গ্রাসী ঢল নেই ! স্মৃতির এমন অনুভূতিগুলো বারে বারে ঝড় তুলে হৃদয়ে । চমৎকার ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হৃদয়ের ঝড়ে পাতায় নামুক ,উঠে আসুক বহতা কাব্যর স্নিগ্ধতা !!!
ধন্যবাদ সতত শুভকামনা ।
৩৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার অনুরোধটা রাখা সম্ভব হবে কি না সেটা বুঝতে পারছি না | কোথায় আর কবি, লেখক হতে পারলাম?(পুরো না) আধাআধি যেটুকু হওয়া গেলো সেটা হচ্ছে পাঠক | তাই পড়েই শান্তি খুঁজি | আবারো ধন্যবাদ নেবেন |
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: গাইতে গাইতে গায়েন ; কইতে কইতে কয়েন ;আপনি না হয় লিখতে লিখতে লেখক হবেন আমার মত !
আমি তো পুড়ুয়া ই ।
শুভ কামনা !
৩৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দোয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জাজাক আল্লাহ খায়রান ভাইয়া !!
৩৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শুকনা মরিচ বলেছেন: বাহ !!
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোবাসা শুকনা মরিচ আফা !!!
এন্ড ওয়েলকাম ব্যাক ।
৩৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন , ভাল লাগা রইল ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় স্বাগত দৃষ্টিসীমানা !!
লেখার প্রশংসা এবং ভালোলাগা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ।
ভালথাকার শুভ কামনা !
৩৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো হয়েছে।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় স্বাগত দেশ প্রেমিক !!
পাঠে এবং মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ;
শুভ কামনা আপনার জন্য ।
৪০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭
সোহানী বলেছেন: ওয়াও.............. অসাধারন লিখেছো মনিরা।
আর ছবিটা সাথে আলী ভাইয়েরটা ও নিজেকে নিয়ে গেছে সেই শাপলা বিলের ধারে। ..............
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সোহানী আপু !!
হাহাহা নস্টালজিকতা মোবারক আপু
অনেক অনেক ভালো থাকুন ।
৪১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
সুমন কর বলেছেন: আপনার কাব্যিক স্মৃতিকথা পড়ে ভালো লাগল।
+।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর !!!
পাঠে এবং মন্তব্যের জন্য ...
শুভ কামনা আপনার জন্য ।
৪২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪২
উম্মে সায়মা বলেছেন: বাহ খুব খুব সুন্দর লিখেছেন আপু। +++
আপনার কৈশোরের নৌকা ভ্রমণের গল্প শুনে আমার ছোটবেলার একটা মজার ঘটনা মনে পড়ে গেল। আপনার সাথে শেয়ার করি.....
সেবার গ্রামে বর্ষায় বেশ জল জমেছিল। নিচু জমি সব ডুবে গেছে। স্কুলে যাবার দুটো রাস্তা ছিল। একটা রাস্তায় কাদাজল ভেঙ্গে তবু হেঁটে যাওয়া যেত। অন্যটা তখন পুরো পানির নিচে। সেটা নৌকা দিয়ে পার হতে হত। সাধারণত তুলনামূলক ভালো রাস্তা দিয়েই স্কুলে যাতায়াত করতাম। তবে মাঝে মাঝে শখ করেই নৌকায় যেতাম। সেখানে একটা নৌকার মাঝি ছিল পাশের বাড়ির আমার সমবয়সী এক মেয়ে। একদিন আমার শখ হল আজ আমি নৌকা বাইব। তার আগে কখনো বৈঠা হাতে নেইনি। কিন্তু কয়েকদিন বৈঠা বাওয়া দেখে মনে হয়েছে এ আর এমন কী কাজ! বাম হাতের খেল। আর তাছাড়া সেই মেয়ে পারলে আমি পারব না কেন? তখন ১০/১১ বছর বয়স। সব কিছুতেই চরম উৎসাহ। তো সেই মেয়েকে অনেক অনুরোধের পর রাজী হল আমাকে নৌকা বাইতে দিতে। সে নৌকায় আমরা একই পাড়ার কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া ছিলাম। তো যাই হোক শুরু করলাম নৌকা বাওয়া। কিন্তু হায় হায় দেখি হাত তো আর চলেনা। নিতে চাই একদিকে যায় আরেকদিকে। মাঝে মাঝে চক্কর দেয়। এত কষ্ট নৌকা বাওয়া? মাঝি দেখি কি অবলীলায় চালিয়ে যায়। কিন্তু হাল তো আর ছেড়ে দেয়া যায়না। অবস্থা বেগতিক দেখে সবাই 'ইয়া নফসি, ইয়া নফসি' পড়ছে। কিন্তু দোয়া কালামেও শেষ রক্ষা হল না। মাঝপথে যেয়ে নৌকা দিলাম উল্টে। সবাই কোমর সমান জলে নাকানি চুবানি। ব্যাগ, বই-খাতা ভিজে একাকার। কত সুন্দর ইস্ত্রি করা স্কুল ড্রেস পরে এসেছে সবাই আর সব ভিজে চুপচুপে। সবাই মিলে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করছে। সেদিনের মত সবার স্কুলে যাওয়ায় ইস্তফা দিতে হল। আর বাড়ি ফিরে কি অবস্থা হয়েছে তা আর না-ই বলি...
ধন্যবাদ।।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহ কী চমৎকার ই না ছিল সে দিন গুলো
সুফিয়া কামালের মত বলতে ইচ্ছে করে " আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে ,মায়ের বকুনি খেয়ে "
আমার ও এমন নৌকা বাওয়া কাহিনি আছে ছুটিতে দাদীবাড়ি বেড়াতে যেয়ে ,আমার চাইতে বয়সে ছোট কাজিন পারলে আমি কেন পারব না অবস্থা ;শেষে আর কি একই কাহিনীর পরিসমাপ্তি । তবে এমনি ঘুরতে যাবার ঘটনা ছিল সেটা ।
ধন্যবাদ আপু , শুভ কামনা !!!
৪৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: উম্মে সায়মা আপুর কাদাজল আর নৌকা ডুবানোর ঘটনা দেখে আমারও কিছু যেন মনে পড়ে গেল !
আমাদের প্রাইমারী স্কুলটি ছিল একদম নদীর পাড়ে, নদী দেখা যেত ক্লাসের জানালা দিয়ে। মাঝেমাঝেই জোয়ার বেশি হলে জোয়ায়ের পানি এসে স্কুলের বারান্দায় ঢেউ খেলে যেত! আমরা সিমেন্টের ফ্লোরে পায়ে পায়ে পানি ছিটিয়ে একজন আরেকজনকে ভিজিয়ে দিতাম!
বর্ষাকালে মাটির মূল সড়ক বৃষ্টিতে একদম হাঁটু সমান কাদা হয়ে থাকত। সেই দেড় ফুট কাদার মধ্য দিয়ে প্যান্ট গুটিয়ে গায়ের সর্ব শক্তি দিয়ে পথ চলতে হত। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যখন স্কুলের সামনে পৌছাতাম দেখতাম জোয়ারের পানিতে মাঠ ঘাট থৈ থৈ, কাদার রাস্তা থেকে স্কুলে ঢুকতে হত নৌকায় করে অথবা কলাগাছের ভেলায় করে! কলাগাছের ভেলায় চড়ে স্কুলে যাওয়া কথাটা শুনতে মেকি মেকি আর সাহিত্যিক ব্যঞ্জনাপূর্ণ মনে হলেও ঘটনা ঠিক এটাই। অত ছোট বয়সে কলাগাছের ভেলায় চড়ার ফিলিংসটা ঠিক কি হওয়া উচিত সেটা বুঝতাম না, বোঝার কথাও না।
জোয়ারের পানিতে নদী থেকে মাঝারী সাইজের জোঁক ও ছোট ছোট ঝিনুক এসে স্কুল বারান্দাতেই আমাদের সাথে চলাফেরা করত। জোঁক টোক কেন যেন ভয় পেতাম না। রোজ রোজ দেখলে কি আর ভয় থাকে!
ছোট ছোট ঝিনুক পানি থেকে উঠিয়ে নিয়ে ঝিনুকের খোলটা পরিষ্কার করে মুখে জোরে বাশি বাজাতে পারতাম। বাশি বাজানোর প্রতিযোগিতা করতে করতে লিজারের পরে অনেক ক্লাস মিস দিয়েছি এবং যথারীতি মায়ের বকুনি ( চড়, থাপ্পড়, বেতের বাড়ি) খেতে হয়েছে। তবুও ঝিনুকের বাশি কম বাজাই নি।
ঝিনুকের খোলে ঠোঁট আর আংগুল দিয়ে জোরে প্রেসার দিতে গিয়ে কত হাতে ঠোঁটে রক্তারক্তি করেছি ! আহা !
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতা !!!!
শহুরেদের কাছে কলাগাছের ভেলা সাহিত্যিক ব্যঞ্জনপূর্ণ হলে ও কিছু কিছু এলাকায় সেটা চরম বাস্তবতা তো বটেই । আমার ভাইয়া বর্ষায় কলার ভেলা তৈরি করত তবে আমাদের এলাকায় কচুরি পানার ভেলা যেটাকে আমরা দাম বলতাম সেটা বেশি জনপ্রিয় ছিল আশে পাশে ঘুরতে সেটার ব্যবহার ই বেশী হতো ।
__ আমার জোঁক অভিজ্ঞতা নেই ,উনাদের বেশ ভয় ই পাই ;
হাহাহা এইত চলে এসছে লেজারের পর ক্লাস মিসের গল্প আর জোড়া বেত । ঝিনুকের বাঁশি আমার কাছে নতুন কিছু অভিজ্ঞতা নেই একেবারেই । ঝিনুক ঘষে কাঁচা আম ছিলার ছুড়ি বানাতাম আনায়সে । সমস্ত গ্রীষ্ম কাল টা কোঁচরে বয়ে নিয়ে ঘুরতাম আম খাবার নেশায় !!!
৪৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
উম্মে সায়মা বলেছেন: মনিরা আপু এবং জাহিদ অনিক ভাইয়া, ছোটবেলার নৌকাডুবি আর ঝিনুকে হাত-ঠোঁট কেটে ফেলার মত ঘটনাগুলোই এখন সবচেয়ে মজার স্মৃতি তাইনা? কি অদ্ভুত!
আমিও ছোটবেলায় কলার ভেলায় চড়েছিলাম কয়েকবার আমি জোঁক ভয় পাই ভালো লাগল আপনার ছোটবেলার গল্প পড়ে। ধন্যবাদ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই অদ্ভুত !!!!
নস্টালজিয়া ভয়াবহ ছোঁয়াচে _
৪৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: __ আমার জোঁক অভিজ্ঞতা নেই ,উনাদের বেশ ভয় ই পাই ;
উম্মে সায়মা বলেছেন: আমি জোঁক ভয় পাই
আপনারা দুজনেই জোঁক ভয় পান।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যদিও কিঞ্চিৎ লজ্জা পাচ্ছি ,তবুও স্বীকার করতেই হচ্ছে
৪৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাছেদের সংসার প্রান ভরে উপভোগ করলাম - এমন সংসার দেখার চোখ ক'জনারই বা থাকে!
অভিমানী যুবকের সে দৃষ্টি বড্ড ভয়ংকর - মানুষের মন বড্ডো বিচিত্র!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমন সংসার দেখার চোখ যেমন অনেকেরই থাকে ,আবার চোখে কেউ মমতাও আঁকে চোখে কেউ শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও রাখে আপনার মত ; সবার লেখায় আপনার মন্তব্যগুলো ই প্রমান করে আপনার চমৎকার মানবীয় গুনের ।
মানুষের মন বড্ডো বিচিত্র বলেই অতোটা আকাঙ্ক্ষিত !!!
৪৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: নিশ্চিত অন্যকেউ এভাবেই মাঝ বিলে এখন ও হৃদয় বন্ধক দেয় কাউকে (৩ নং প্রতিমন্তব্য) --
করুণাধারা এর মন্তব্যটা (১১ নং) ভাল লেগেছে।
যখন ইচ্ছা ডুব ডুব পানকৌড়ি হয়ে ভাসতাম - চমৎকার!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলাগার চমৎকার প্রকাশে কৃতজ্ঞতা আহসান ভাই !!!
৪৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের প্রাইমারী স্কুলটি ছিল একদম নদীর পাড়ে, নদী দেখা যেত ক্লাসের জানালা দিয়ে - এ কথাটা চিন্তা করতেই কত ভাল লাগে! জাহিদ অনিক এর নদী ভাগ্য দেখে (৪৩ নং মন্তব্য) ঈর্ষা হচ্ছে। শহরে মানুষ হয়েছি দেখে এসবকিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমরা জাহিদের নদী ভাগ্য আর ভেলায় চড়াতে যত টুকু ঈর্ষান্বিত ওর জন্য ততোটাই বোধাহয় কঠিন বাস্তব ছিল ।
আমার বাবা র ট্র্যান্সফারের সুবাদে আমার অভিজ্ঞতা মিশেল ।
শুভ কামনা !!!
৪৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
জাহিদ অনিক বলেছেন: আহসান ভাই@
আমাদের স্কুলটি শেষ পর্যন্ত আর নদীর পাড়ে থাকতে পারে নি, নদী ভাঙনের ফলে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়।
নদীটির নাম ছিল পায়রা নদী।
আমার কিছু বন্ধু ছিল, ওদের বাবাদের সাথে ওরা নদীতে মাছ ধরতে যেত। তাদের মধ্যে দুইজন ছিল সবুজ ও রতন। একদিন দুপুরে আমি গোঁ ধরে বসলাম তাদের সাথে আমিও নৌকায় করে মাছ ধরা দেখতে যাব। কিছুতেই ওরা আমাকে নিবে না! ম্যাডাম ( আমার মা) জানতে পারলে ওদের মেরে আস্ত রাখবে না আর। অভয় দিয়ে জানালাম কেউ জানবে না। শেষমেশ গেলাম নদীতে মাছ ধরা দেখতে। তখন ইলিশের ভরা মৌসুম। নৌকা মাঝ নদীতে। আমি একটু একটু সাঁতার জানি। নদীতে ঢেউ আর অতটুকু ছোট নৌকায় ঝালের ভর প্রায় ৩০/৪০ কেজি, তার উপর আমরা আছি চার জন। নৌকা প্রায় ডুবে আবার ভেসে ওঠে।
ওরা নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে জাল টানা শুরু করলো। দড়িতে বেঁধে নোঙ্গর ফেলা হল। হুট করেই আমার একটা বন্ধু নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিল ! ঝাঁপ দিয়েও আমার দিকে ইশারা করে বলল, লাফ দাও, লাফ দাও। কিসব ভাবতে ভাবতে লাফ ঝাঁপ আর দেই নাই!
জাল টানতে টানতে অনেক মাছ পাওয়া গেল। প্রায় ৪০ টার মত! ছোট্ট নৌকাটা মাছে মাছে ভরে গেল। সব ইলিশ মাছ।
মাঝে মাঝে ইলিশের জালে অবশ্য দুই একটা সাপও উঠে আসত। খুব কৌশলে ওরা সাপগুলোকে জাল থেকে ছাড়িয়ে দিত।
ফিরে আসার সময় রতন আর সবুজ কিছুতেই আমাকে খালি হাতে ফিরতে দিবে না, দুইটা মাছ কমপক্ষে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে!
আমি ওদেরকে কি করে বুঝাই মাছ নিয়ে গেলেই তো ধরা পড়ে যাব !
সেই শেষ, তারপর আর এভাবে মাছ ধরা দেখতে যাই নি।
নদী ভাগ্য কিনা জানি না, তবে আমার শৈশবের এ নদীটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা খায়রুল আহসান ভাই।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্মৃতির জানলায় ভালোলাগা !!
৫০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন: আমার বাবা র ট্র্যান্সফারের সুবাদে আমার অভিজ্ঞতা মিশেল ।
- আমার পিতা মাতা আজীবন এক জায়গাতে বসেই চাকরি করে গেল ! উহারা যদি মাঝেসাজে বদলি টলদি হত তাহলে আমার দেখা হত কিছু কিছু !
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা
বদলি না হলেও শহুরে জীবনে বছরে ২/৩ বার গ্রামে যেতাম তাতে ও অভিজ্ঞতার ঝুলি কিছু ঝিনুক কুড়িয়েছে বৈকি !!!
৫১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: @জাহিদ অনিক,
আমার একটা মন্তব্যের সূত্র ধরে পুনরায় এসে আপনার স্মৃতিসম্ভার থেকে কিছু মণি মাণিক্য বিলিয়ে গেলেন, এজন্য জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনার শৈশবে মাতৃশাসনটা একটু কড়াই ছিল বলে মনে হয়। তবে জীবনের প্রতি আপনার নির্বিবাদী মনোভাবটা আমার খুব ভাল লাগে। আপনি আত্মকথা লিখতে থাকুন, মুদ্রিত আকারে না হলেও আপাততঃ কম্পিউটার নোটসে ( মানে আগের ডায়েরীজাত এর মত কিছু একটা) অন্তর্ভুক্ত করতে থাকুন।
@মনিরা সুলতানা,
চমৎকার এসব মণি মাণিক্য ভাগাভাগি করে নেবার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা সাধারন এক লেখাকে চমৎকার সব মন্তব্যে সমৃদ্ধ করা জন্য !!
জীবনের প্রতি আপনার নির্বিবাদী মনোভাবটা আমার খুব ভাল লাগে। জাহিদের ব্যাপারে এই মন্তব্য টি আমার ও ।
শুভ কামনা ভাইয়া !!!
৫২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আপনার শৈশবে মাতৃশাসনটা একটু কড়াই ছিল বলে মনে হয়। - সেটা ঠিকই বলেছেন। তবে সেটা জরুরী ছিল। না হলে খুব দ্রুতই বখে যেতাম। সেটা এখন কিছুটা আন্দাজ করি।
তবে জীবনের প্রতি আপনার নির্বিবাদী মনোভাবটা আমার খুব ভাল লাগে। - জীবনে যা কিছু অর্জন বা ব্যর্থতা সবকিছুর জন্য তো নিজেই দায়ী। কাকে দোষ দিব বলুন? নিজেকে দোষ দিতে স্বস্তিতে থাকা যায় না। তাই এই নির্বিবাদী মনোভাব।
ফিরে এসে আন্তরিকভাবে মন্তব্যের জবাব দেয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা খায়রুল আহসান ভাই।
সবাই যেন এখানে একটা মায়ায় পড়ে পরিবারের মত পথ চলছি, এই সামু ব্লগে। আপনাদের সানিধ্য পেয়ে সত্যি বেশ বেশ ভাল লাগছে। এই প্লাটফর্মটা না পেলে এত কথা বলা হয়ত কোনদিনও সম্ভব হত না।
ধন্যবাদ খায়রুল আহসান সাহেব, ধন্যবাদ মুনিরা সুলতানা আপানকেও।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ এমন পরিচয়, অনুমতি প্রার্থনা
সবিনয় নিবেদন কিছুই যে লাগে না
নিজেরই অজান্তে, হৃদয়ের অনন্তে
কিছু কথা ভালো লাগা
করে যায় রচনা !!!!
আমি যদি কখনো এই লেখাগুলো ছাপার অক্ষরে তুলে আনি ,অবশ্যই সবার মন্তব্য সহ রাখবো নিজের কাছে !! অগ্রিম অনুমতি নিয়ে রাখলাম আপনাদের কাছে ।
আর জাহিদ তুমি লেখক কে ধন্যবাদ দাও তাতেই খুশি আমি , কবি সম্বোধনে স্বস্তির অভাব বোধ করি যখন " মনিরা সুলতানা " কে মুনিরা সুলতানা লিখো মনে হয় অন্য কাউকে ধন্যবাদ দিয়েছ জোর করে আমি নিয়ে নিচ্ছি
৫৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৪
জাহিদ অনিক বলেছেন:
এই রে !!!!!!!!!!
একদম খেয়াল করি নি।।
এর পর থেকে এমন ভুল আর হবে না। কথা দিচ্ছি। নামের বানান ভুল করাটা মারাত্মক অপরাধ কিনা জানি না তবে এটা অস্বস্তিকর। আমি এটা জানি ও বুঝি।
আমার নাম কেউ কেউ আগে ইংরেজিতে লিখত Anik, আমার কাছেই অস্বস্তিকর লাগত। পরে বলত হত ভাই Anik না, Onik।
আপনার নামের এই বানান ভুলটা আমি কিভাবে করলাম জানি না। সাব-কনশাসলি কোথাও যেন মুনিরা নামের কেউ আছে
এবারের মত এত অপরাধ মার্জনা করুণ প্লিজ !
আমি যদি কখনো এই লেখাগুলো ছাপার অক্ষরে তুলে আনি ,অবশ্যই সবার মন্তব্য সহ রাখবো নিজের কাছে !!
- তখন অবশ্যই অবশ্যই আমার করা বানান ভুলগুলো সুধরে দিবেন। সামুতে মন্তব্য এডিট করা যায় না
আপনাকে বিব্রত করার জন্য সত্যি সত্যি লজ্জিত।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই তো ঝেড়ে ফেলে সব দ্বিধা স্বীকার করেই নিলে মনের অজান্তে মনের মাঝে মুনিরা নামের কেউ বসত করে ;
তা নইলে বারংবার একই ভুল ? সম্ভব না সম্ভব নহে !!!
উ হু এডিট নয় ,সামু ই এডিটের অনুমতি দেয় না ,আমি কিভাবে দেই
বিব্রত হতে পারলে তোমার লজ্জা মেনে নিতাম ; লজ্জিত হবার মত কিছু তো নয় একেবারেই ; আমি মজার ছলে বলেছি ।আশা করছি মজা হিসেবেই নিয়েছ ।
শুভ কামনা !!!!!
৫৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন: আশা করছি মজা হিসেবেই নিয়েছ । নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই। আমি অত্যন্ত মজার মানুষ হা হা হা
এই তো ঝেড়ে ফেলে সব দ্বিধা স্বীকার করেই নিলে মনের অজান্তে মনের মাঝে মুনিরা নামের কেউ বসত করে - না ঠিক তা না। মনে কেউ বসত টসত করে না। মুনিরা নামের অন্তত কেউ না
শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা ।
দেখেছন, এবার বানান ভুল হয় নি !
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ!!!
তুমি তো খুব ভালো ছাত্র চট জলদি শিখে নিয়েছ
ও হ্যাঁ ঝিলমিল কে কিভাবে ভুলে গেলাম
৫৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
হ্যাঁ হ্যাঁ, ঝিলমিল ঝিলমিল
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঝিলের জলে ঢেউ তুলিয়া যায় রে ......
৫৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৫০
কালীদাস বলেছেন: ঝিলের শাপলাগুলো দেখে ভাল লাগল। আহ।
ওহ, সিম্পল শব্দমালা দিয়েও ভালই সাজিয়েছেন লেখাটা
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
আপনার ভালোলাগায় ভালোলাগা !
অনেক ধন্যবাদ লেখার শাব্দিক সাজগোজের প্রশংসার জন্য !!!
শুভ কামনা ।
৫৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪২
জেন রসি বলেছেন: পড়তে পড়তে নেশা হয়ে যাচ্ছিল। আপনি খুব চমৎকার শব্দ চয়ন করতে পারেন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রসি ভাই প্রায় বিগলিত আমি , আমার মন এত চমৎকার ভাবে প্রশংসিত হতে কে না চায় বলেন .....
ধন্যবাদ ধন্যবাদ !!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+