নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি

মনিরা সুলতানা

সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ

মনিরা সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর দিনগুলো -২

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬



শৈশব নিয়ে লেখা সিরিজের প্রথম অংশ এখানে পড়তে পারেন
কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর দিনগুলো

পিতল মাজা ঝকঝকে লাল ইট সুরকীর দিন পদ্মার পাড় হয়ে মানিকগঞ্জের তাল পুকুরে অথৈ ডুবে নিজের পরিচয় খুঁজে নিয়েছিল সাথে ছিল তিতির আর অজানাতে হারানোর সুখ !!

___পুরনো ঢাকায় আমাদের বাসা আর ভিক্টোরিয়া পার্কের মাঝে ছিল কবি নজরুল কলেজ,কলেজের পিছনের লুকানো দরজা পার হয়ে এখন তখন খেলতে যেতাম সেখানে। গলির শুরুর বাসা আমাদের আর শেষ বাসাটা যতদূর শুনেছি কলেজের অধ্যক্ষ্য;র বাস ভবন হিসেবে ব্যবহত হত একসময় আমারা বাগান বাড়ি নামে ডাকতাম । অত রকমের ফুল আর ফলের বাগান সহ চমৎকার বাড়ি তখন ও অনেক কম দেখা যেত পুরনো ঢাকায়।গায়ে গা লাগানো , আশে পাশে গাড়ির গ্যারাজ ধোলাই খাল এর বয়া নিয়ে এই পরিবেশ ছিল আমার জন্য একেবারেই ভিন্নতর ;ভাষা সহ ওদের রঙে রাঙাতে সময় লাগে নি একেবারেই ।

১৩৬ কাজি আব্দুল রউফ রোড কলতা বাজার ঢাকা ; এই ঠিকানায় কেটেছে আমার লম্বা একটা শৈশব।একদিন ঘুম ভেঙে দেখি আমি নৌকাতে শুয়ে আছি ,চোখ মেলে জানালায় দেখলাম কচুরিপানা আর পানির শব্দ ;বিছানা থেকে নেমে বুঝেছি এক ঘুমে আমি মানিকগঞ্জ থেকে কেরানী গঞ্জের বাসায় । পাটাতনের ঘড় ছিল বিধায় জানালা দিয়ে পানি দেখা যেত , একেবারেই অল্প সময় ছিলাম সেখানে ।
এক কাল বৈশাখী ঝড়ে বাসার সামনের কলা গাছ বিশাল কলার কাঁদি সহ পানিতে পরে গিয়েছিল এবং বাড়ির মালিক সাতার কেটে সেই কলার কাঁদি কেটে নিয়ে এলেন এমন একটা দৃশ্য চোখে কোনে আছে শুধু আর আছে বাসার আলমিরার মাঝের শোকেসে সাজিয়ে রাখা মায়ের জমানো সমস্ত চীনা মাটির কাঁচের সংগ্রহ (আলমিরার চূড়ায় চড়তে যেয়ে, বেয়ে উঠার সময় ) ভেঙ্গে ফেলার স্মৃতি __

কাঠের পাটাতনের মেঝে ছিল বলে আলমিরা সব দিক সমান ভাবে মেঝেতে বসত না।ফেলে দিয়েই খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতে গিয়ে ঘুমিয়ে পরেছিলাম ,আব্বা অফিস থেকে আসবার পর সবাই মিলে খুঁজে পেয়েছে সেখানে । বড় ভাই বোনদের স্কুলের সমস্যার জন্য কয়েকমাস এর মাঝেই কলতা বাজার চলে আসি। নতুন বাসায় আসবার ভয়াবহ আনন্দের দিক ছিল একটা আমার মামা তখন সবে মাত্র ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন যাকে দেখলে বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি খায়। আমি আর আমার সহোদরা ভেবে বের করলাম মামা যেহেতু নতুন বাসা চিনেন না জীবনে ও আসতে পারবেন না সুতরাং এই যাত্রা সকাল সন্ধ্যায় বই নিয়ে বসা থেকে বেঁচে গেলাম।

আমার মামার পরিচয় দেই একটু_
স্বল্পভাষী ভীষন রসিক আপত দৃষ্টিতে নিরিহ দেখতে এই মামা ছোট বেলায় ছিলেন আমাদের কাছে সাক্ষাৎ যম এর অপর নাম ।
সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ সমাজ কল্যান বিষয়ের ভর্তি হয়ে মহসিন হল এ উঠার অপেক্ষায় ,বিশ্ব বিদ্যালয়ে বছর শেষে যে টাইটেল দেয়া হয় সেখানে " নো গ্যান্জাম " উপাধি তে ভূষিত !!! ব্যক্তি জীবনে চরম ডিসিপ্লিনড সাস্থ্য সচেতন একজন, সর্বসাধারনের কাছে ছিলেন পারফেক্ট এবং ঠিক এই জন্যই আমাদের ভয়।সবজী পাতে না নিয়ে খাবার শুরু করা যাবে না প্রতিদিন প্রচুর পানি পান , সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরে বই নিয়ে বসতে হবে এবং প্রতিদিন স্কুলের পড়ার সাথে মামার দেয়া বাড়ির কাজ ও করতে হবে ।
আমার তখন ও স্কুল শুরু হয় নি ,আমার হোম ওয়ার্ক ছিলো বাসায় রাখা অবজারভার পেপারের হেড লাইন পড়ে শোনানো । বাকিদের কথা আর না ই বা বললাম । সালাদ ছিল মামার সবচাইতে প্রিয় , শসা পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ শীতে ধনেপাতা আর রমজানে পুদিনা পাতা।
হায়রে পুদিনা পাতা !!! এর গন্ধের ভয়ে আমি অন্য রুমে ইফতার করতাম । অথচ অনেক বছর পর যখন ঢাকা আসি বিশ্ব বিদ্যালয়ের কোচিং করতে ,তখন এই নিউ মার্কেট শাহাবাগের পুদিনার ঘ্রাণ ই আমাকে সব চাইতে আনমনা করেছে।

এখন মনে হয় আর কিছুদিন মামা কে পেলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্যভাবে লেখা হত ।

পুরানো ঢাকা ছিল আমার কাছে এক বিষ্ময়ের অপর নাম ,প্রতিদিন অল্প অল্প করে আমার কাছে প্রকৃতি র সব আশ্চর্য রহস্য দুয়ার খুলে যাচ্ছিল ।স্কুলের নতুন বই খাতার ঘ্রাণ ,বই এর পাতার নতুন গল্প ছড়া কবিতা । প্রানের সই এর বন্ধুতার ও ছোট্ট একটা বীজ থেকে অবাক সারল্যে যেমন দুটি পাতা চোখ মেলে ঠিক তেমনি এক রত্তি পৃথিবী বদলে যাবার গল্প ।
আশে পাশের সব মিলিয়ে জনা কুরি সমবয়সী মিলে ; সন্ধ্যার সূর্য ডোবার আগতক চলত রহস্যভেদ। কাঁদামাটিতে অল্প পানি মিশিয়ে ঠিক কতটুকু ছানলে তীব্র মসৃন এক চমৎকার পুতুল বানানো যায় , জংলা পাতার মাঝে কোন আকৃতির পাতায় ভাত , টমেটো বেগুন হিসেবে রান্না করা যায় । নানী দাদীর জন্য পান সুপারি র পাতা সব চাইতে ভাল জন্মে পুরানো নোনা ধরা স্যাঁতস্যাঁতে দেয়ালে সব চাইতে ভালো জন্মে সেই অজানা কে জানা। প্রচন্ড ঝড়ে উড়ে আসা চড়ুই পাখির ছানা কে মা' য়ে র পুরনো শাড়ি টুকরো তে ম্যাচ বক্সে কবর দেয়া সাথে দোয়া পাঠ এমনি সব কত কি__


আমারা পিঠাপিঠি দু' বোন ছিলাম সবচাইতে ভালো বন্ধু ;প্রতিদিন ফজরের সময় ঘুম ভেঙে সূর্য উঠা র আগে পর্যন্ত চলত আমাদের গল্প
ভাবনার বিনিময় আর স্বপ্নের বুনন ; আব্বার নামাজের তাকবির, মা' এর সুললিত কোরআন তেলোয়াত এর সাথে আমাদের প্রতিদিনের ভোর আসতো ; মিউনিসিপালটির কলে পানি আসার মত করে ।

শরত এর শুরু থেকে কয়েক গজ দূরের কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকা "ছাতিম গাছাটা " সমস্ত গা ' উজাড় করে ফুল ফোটাত ; কি যে তুমুল সুবাস দিত সে মোহগ্রস্তের মত পায়ে পায়ে ফুল কুঁড়াতে যেতাম ,ছাতিমের ছায়া সঙ্গী ছিল দেয়ালের ও'পাড়ে থাকা "শিউলি গাছ" সাথে কিছু জংলী লতা মিলে বুনো গন্ধের ঐক্যতান । ফিরতাম কোঁচড়ে অগণিত ফুলের ঝাঁপি নিয়ে ,দরজায় আসা ফেরিওয়ালার
সময় ধরে ।

কলমি শাক নিয়ে আসত একজন ,পাঁচমিশালী সবজীর ঝাঁকা আলাদা ; কালা সাবান , সিলভারের হাড়ি পাতিলের ফেরিওয়ালা আসতো দু'পাশে দুই ঝুড়ি নিয়ে পুরনো জামা শাড়ির বিনিময়ে চকচকে সব জিনিস পাওয়া যেত ; স্পেলিং বুক , সুর করে গান গেয়ে চলা
strepsil পাতার লজেন্স ওয়ালা (উচ্চারন টা আমি আজও বুঝতে পারি নি) " পিপারমিন্ট স্টেপ , এ ক টা দশ পাই ,তি ন টা চাইর আনা " সর্দি কাশি রইবে না , মাথা ব্যথা রইবে না ।

এদের সবার সবার জিনিস বিক্রি করার আকুল সেই ডাকের মাঝে ও লুকিয়ে আছে আমার এক টুকরো শৈশব !!!!

বাসায় ফিরে অজু করে কায়দা নিয়ে আরবী পড়তে যাওয়া ,মসজিদে অজু করার পানির হাউস ভর্তি লাল সাদা মাছের বাহার মাঝে কিছু লাল শাপলা ; ঈদের দিন মসজিদের সামনের রাস্তা সহ আশের পাশের সমস্ত যায়গা জুড়ে ঈদের জামাত হত আমি ছাদে না হয় বাসার পাশের বারান্দায় অপেক্ষা করতাম সবাই মিলে একসাথে সেজদা দেয়ার সেই মহার্ঘ সফেদ ফুল ফোঁটার দৃশ্য দেখার ।
রোজার ঈদ এর সাত দিন আর কুরবানির ঈদ এর তিনদিন জুড়ে ধুপখোলা মাঠে ঈদ মেলা হত ,কি খেতাম ঈদে কিচ্ছু মনে নেই ;কিন্তু মেলায় যেয়ে সবার আগে কিনতাম কাঁচের সবুজ,লাল বাহারি চুড়ি ,মাটির বাসন কোসন অথবা ব্যাংক পরের মেলায় আসবার জন্য সেখানে পয়সা জমা রাখতাম । বাসার গায়ে লাগানো ছিল চৌধুরীর মুদি দোকান মনে হত আফ্রিকা মহাদেশের ঘন জঙ্গল ; কি ছিলো না সেখানে ? মাঝে মাঝে মা যদি কখনো কালি জিরা বা তেজপাতা ধরনের কোন মশলা আনতে দিতেন ভয়ে ভয়ে ঢুকতাম ,মনে হত গেলেই বুঝি চিরতার ডাল দিয়ে দিবে কিছু সাথে ।


চয়নিকা বই এর ছেলেবেলা ছিল আমার , "পাঠে আমার মন বসে না ,কাঁঠাল চাঁপার গন্ধে" র মত উস্কানি দেয়া চমৎকার সব বাক্যের সমাহারে । এই চয়নিকা বই নিয়েই লিখে ফেলা যায় দিস্তার পর দিস্তা অবিরাম !!
হাট্টিমা টিম টিম ,মামুদ মিয়া বেকার , কালে খাঁ'র কামান , চক বাঁজারে 'র গোস্ত রুটি , সফদর ডাক্তার , "মেজাজ ছিল তিরিক্ষি তাঁর।
(আমার বড় বোন আমার চাইতে ছয় বছরের বড় ,নতুন বছরের নতুন বই নিয়ে সে প্রায়শই আমাদের ছড়া কবিতা পড়ে শোনাত,তাই স্কুল শুরুর আগেই আমি " তুমি যাবে ভাই ,যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয় " সহ বেশ কিছু মনে দাগ রেখে যাওয়ার মত কবিতা ছড়ার
রূপ রসে ধন্য ছিলাম )

এক বর্ষার পুরাটা সময় কলেরার ভয়ে বা পা'য়ের ছোট আঙুলের সাথে কোন এক ঔষধি গাছের আঁশ জড়িয়ে রেখেছিলাম ,এক বন্ধু বলেছিল " যার পেটে এক টুকরো লাউ থাকবে তার কখনো কলেরা হবে না " যতনে বিশ্বাসে লালন করেছিলাম সে সত্যি কে ।মা এর রান্না লাউ ডাল অথবা শোল মাছের লাউ ঝোল সোনা মুখ করে খেয়ে নিতাম সে'কদিন ।

আগেরদিন কুঁড়িয়ে পাওয়া রক্তজবার কলি টা কে চা'এর কাপে পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঘুমিয়েছিলাম,সেই দিনের ভোর ছিল আমার জন্য আদতেই আলাদা ;সকালে সদ্য ফোটা এক রক্তজবা আমাকে দেখে খিলখিলিয়ে হেসে সুপ্রভাত জানিয়েছিল ।
তখন ও জানতাম ফুল ক্যাবল গাছেই ফোটে ।


ও হ্যাঁ বলা 'ই তো হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসা চিনে আসতে পেরেছিল কিনা ?
লুকোচুরি খেলার জন্য সবগুলো স্পট খুঁজে পাবার আগেই ,মামা তার ক্লাস শেষ করে ফিরে এসছিলেন ;ভগ্ন হৃদয় সেদিন আর কিছুতেই উৎসাহ পায় নি ,পরের দিন সকালের পেপার আসছে না এই আনন্দটুকু ছাড়া ।

আব্বার ফজরের তাকবীর মা এর কোরআনের সূর একটা চয়নিকা বই ছাতিম শিউলির তুমুল সুবাস আমার ছেলেবেলা টাকে ভীষণ মমতায় আঁকড়ে রেখেছে ; এক দৌড়ে চলে ভিক্টোরিয়া পার্কের কাঠ গোলাপের বিনিসুতার মালায় গেঁথেছে উচ্ছলতার উচ্ছ্বাস। কবি নজরুল কলেজের জঙ্গলের বুনো ফুলের রঙে ,ধুপ খোলা মাঠের কোরবানির হাট আর ঈদ মেলার কাঁচের চুড়ি নাগর দোলার আনন্দে লেখা আছে আজন্ম সুখের ছোঁয়া । ছোট গা'য়ে যাবার নিমন্ত্রণ কবিতা আর সাথে কিছু খেলা ঘড়ের তৈজসপাতি;
প্রানের বন্ধুর সব অযৌক্তিক কথা বিশ্বাসের সারল্যে গুলো এমনকি পুদিনা 'র ঘ্রাণ আর পুরানো ঢাকার ভাঙা গ্যারেজের মোবিল গ্রিজ ও সযত্নে মাখা থাকে ভাই বোনের হৃদ্যতা মা বাবা ও মামা র আহ্লাদে !!!

ছবি - গুগল সংগহ

মন্তব্য ১২৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: কাগজের নায়ে তুমি ভাসিয়ে নিলে
টেনে টেনে অতীতের পথে
এই রঙ্গিলা জল চোখে টলমল
ফিরব না কোনোমতে।

ভাল লাগল সুলতানা আপু।


০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শৈশবের চমৎকার স্মৃতি গুলো এতটাই সুখের যে আমরা সহজেই নাস্টালজিক হয়ে যাই আর চোখে রঙিলা জলের বান আসে ডুবু ডুবু হৃদয়ে ; দারুন স্নিগ্ধ মন্তব্যে ভালোলাগা !!!

বিএম বরকতউল্লাহ !
আপনাকে আমার লেখায় স্বাগত _

রেখে যাওয়া ভালোলাগা লেখার অলংকার করে রাখলাম ।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক সুন্দর করে লিখেছেন ।
নিয়ে গেলাম ঘরে
আবার আসব ফিরে ।

শুভেচ্ছা রইল

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয়তে আমার এই স্মৃতিকাতর লেখা কে সাজিয়ে ; আমার জীবনের অনন্য স্মৃতিতে রইলেন ডঃ এম এ আলী ভাই !
অনেক অনেক ভালো থাকার শুভ কামনা !!!

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: এত চমৎকার লেখেন আপনি।এক ছুটে ফিরে গিয়েছিলাম সেই ফেলে আসা শৈশবে

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার সরল কথন মন ছুঁয়ে গেলো "নিরাপদ দেশ চাই "
শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া সুখকর হোক !!!

শুভেচ্ছা নিরন্তর _

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

জুন বলেছেন: কি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন শৈশব কৈশরকে মনিরা সুলতানা । মনে হয় ছুটে যাই সেই জীবনে । লেস ফিতাওয়ালা আর বেদেনীদের চুড়ির ঝাপি নিয়ে আসার দিনগুলোতে । ব্যংগমা ব্যংগমী আর লাল কমল- নীল কমলের সাথে রাক্ষস খোক্ষসের রুপকথার গল্পে । এখন মনে হয় স্বপ্ন ।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমার মন্তব্যে সবসময় মন ভালো হয়ে যায় আপু !!!!
লেখার চাইতে মোহনীয় হয় ,তোমার লেখা নিয়ে বলা ; কী সুন্দর করে বললে লেস ফিতাওয়ালা আর বেদেনীদের চুড়ির ঝাপি নিয়ে আসার দিনগুলোতে । ব্যংগমা ব্যংগমী আর লাল কমল- নীল কমলের সাথে রাক্ষস খোক্ষসের রুপকথার গল্পে

লেসফিতা ,রাক্ষস খোক্ষসের গল্প সোনার কাঠি রুপার কাঠির পাল্টে দেয়া ,কঙ্কাবতী আরও কিছুদিন পরের গল্প ; আশা করছি পরের পর্বে সেগুলো থাকবে ।

+ আর ভালোলাগায় আপ্লুত আমার ভালোবাসা নাও ।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ভাগ্যবতী, অনেক আনন্দে কেটেছে আপনার ছোটবেলা, ও কৈশোরের দিনগুলো

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌ !!!
পরম করুণাময়ের কাছে আমি সব সময় কৃতজ্ঞ এর জন্য ।

আপনার জন্য শুভ কামনা !!

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার লেখা আমার ভালো লাগে। লেখার ভিতর মেমরির (স্মৃতির) ছাপ থাকে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার ভালোলাগার প্রকাশ আমাকে কৃতজ্ঞ করলো " শাহাদাৎ হোসাইন "
পর পর বেশ কিছু লেখাতেই স্মৃতির গল্প রয়ে যাচ্ছে ।

শুভ কামনা আপনার জন্য !

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,




সেই ধোলাইখালও নেই , নেই কাগজের নৌকো ভাসানোর দিনও ।
তবে আছে কিছু বাল্যকথা, কিছুটা আবেগ, স্মৃতির গভীরে । আছে কিছু পুদিনা পাতা আর ভাঙা গ্যারেজের মোবিল গ্রিজের ঘ্রান মাখানো শৈশব ।

নষ্টালজিক ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নস্টালজিয়া ছোঁয়াচে " আহমেদ জী এস " ভাই ;

চেনা সুর ,গলি ,প্রিয়মুখ ,আসবাব বদলে যায় থেকে যায় মায়া থাকে স্মৃতি কাতরতা__
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ; শুভ কামনা ।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কতইনা সুন্দর ছিল আপনার শৈশব। পড়ে মুগ্ধতায় পূর্ণ হলাম।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মুগ্ধতায় ভালোলাগা মাহমুদুর রহমান সুজন !!!
সবার শৈশব ভাসুক আলোর ঝর্ণা ধারায় ।

শুভেচ্ছা !

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১১

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন আপু....
ভালো লাগা++

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উম্মে সায়মা আপু _
লেখায় আপনার ভালোলাগার প্রকাশ আমার উৎসাহ হয়ে থাকল ।


অনেক অনেক ভালোথাকার শুভ কামনা আপনার জন্য ।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৫

সোহানী বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো ছেলেবেলার আত্বকথা............... নিজের অনেক কিছুই মনে পড়ে যায় এই ব্যাস্ত জীবনেও........

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু লেখা পাঠে এবং মন্তব্যের জন্য ;
আমাদের বয়স টাই নস্টালজিয়ার মনে হয় _

ভালোলাগা নিজের করে রাখলাম !!

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২১

ওমেরা বলেছেন: আপু ন্যশনাল হাসপাতালে আমার জন্ম । ভিক্টোরিয়া পার্ক !! অনেক অনেক কথায়ই মনে করিয়ে দিলেন আপু ।অনেক ধন্যবাদ আপু ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা !!!
একজন কে পেলাম ; প্যারালাল চলা জীবনের ।
ন্যাশনাল হাসপাতাল , আজাদ সিনেমা হল , লবনের গোডাউন , রোকন পুর স্কুল , সেইন্ট ফ্রান্সিস স্কুল এগুলো পরের পর্বে আসবে ।
ন্যাশনালে আমার ছোট বোনের জন্ম ; মনে আছে আগের পুরাতন বিল্ডিং এ ক্যামন ঠান্ডা ঠান্ডা ভয়ের অনুভব ছিল সেটা ।

আপনাকে ও অনেক অনেক শুভকামনা আর ধন্যবাদ পাঠে ও মন্তব্যে !!!

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আহা শৈশব তুমি চলে যেও না.........আগে ভাবতাম কবে বড় হবো ; স্বাধীন জীবন পাবো !!! এখন মনে হয়, শৈশব ভাল ছিল ।। তখন চিন্তা মুক্ত জীবন ছিল ।।



আপনার শৈশব স্মৃতি ভালো লিখেছেন আপু ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইচ্ছে মত আইসক্রিম খাবার জন্য নাকি সাইকেলে দুরন্তপনার জন্য বড় হতে চেয়েছিলেন ?
সত্যি একটা সময়ে অনেকেই ভাবে কবে বড় হবো __

লেখায় আপনার মূল্যায়নে ভালোলাগা !

১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

সনেট কবি বলেছেন:




মনিরা সুলতানার‘কেয়া পাতায় নৌকা
ভাসানোর দিনগুলো’ পোষ্টে মন্তব্য-

আপনার শৈশব যে আমাকেও টেনে
নিয়ে গেল হাত ধরে পুরান ঢাকার
সেই সব স্থানে আর তার আশে পাশে
যে স্থান জুড়ে জড়ায়ে আমর শৈশব।
বলদা গার্ডেনের সে কাঁঠাল চাাঁপার
ঘ্রাণ আজো মনে জাগে অমলিন রূপে,
স্বুল ব্যাগে স্থান হতো সে ঝরা ফুলের
যাতে বইখাতা মন ভরে যেত ঘ্রাণে।

টিপু সুলতান রোড চটপটি স্বাদ
গ্রাজুয়েট স্কুল বন্ধু আঙ্গিনা শিক্ষক
সকল অতীত ফিরে স্মৃতি হয়ে মনে।
মনিরা আপনি নিয়ে গেলেন পাঠকে
শৈশবের ফেলে আসা অতীতে হারাতে
কিছুটা সময় কথা অমৃতের টানে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার অনুভূতি আপনার মন্তব্যের রেশ জুড়ে __
বলদা গার্ডেন আমার হাতের নাগালের একটু বাইড়ে ছিল , সেই সখ মিটিয়েছি ভিক্টোরিয়ায় কাঠগোলাপের মায়ায় ।

শৈশব গল্প অনেকটাই অমৃতের টান ,যথার্থ অনুভবে ধন্যবাদ কবি ।
শুভ কামনা !

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সুন্দর শৈশব :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ এডওয়ার্ড মায়া ।
শুভ কামনা !

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

মানিজার বলেছেন: যা গেছে তা শেষ । বর্তমান হইলো আসল ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শেষ কি আর হয় বলেন !! মায়ায় স্মৃতিতে রয়েই যায় সুখানুভব !!
আসল বর্তমানের চালিকা শক্তি ই হচ্ছে আতীত ।

পাঠে এবং মন্তব্য ধন্যবাদ মানিজার !!

১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


দুরন্ত শৈশবের দিনগুলি বারবার ফিরিয়ে নেয় এক স্বপ্নিল জগতে। কত কথা, কত শব্দ, কত কলির বুদবুদ জেগে উঠে স্মৃতির জলে... আত্নীয়দের, বন্ধুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে... কত মধুর সেই দিনগুলি...


আপনার লেখা পড়ে মনে হল আরে আমারো শৈশব ছিল... আমিও কত স্বপ্ন নিয়ে খেয়া ভাসিয়েছিলাম... আহ আমার হারানো সেই সুখ.... যদি ফিরে পেতাম...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নস্টালজিয়া মোবারক ডানাভাই _
ভাসতে থাকুন স্বপ্ন খেয়ায় ; নিজের মনে নিজের ছোঁয়ায় ।


শুভ কামনা !

১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ইচ্ছে মত আইসক্রিম খাবার জন্য নাকি সাইকেলে দুরন্তপনার জন্য বড় হতে চেয়েছিলেন?

ছোট বেলা ভীষণ দুষ্ট ছিলাম; এককথায়,আমার বিন্দু পরিমানেও স্থিরতা ছিল না।একারণে বাবা-মায়ের শাষণ ছিল আমার প্রতি একটু বেশি। তখন ভাবতাম কবে স্বাধীন জীবন পাবো। আর, ছোট বেলায় আমার সাইকেল ছিল এবং প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে স্কুলে আইক্রিম খেতাম। আর বড় হয়ে ,হয়েছি বাউুন্ডলে!ভালো আর হতে পারলাম না,আপু :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাউন্ডুলে হতে পারাও এক ধরনের সার্থকতা কবীর _
আপনার দুরন্তপনার গল্প ভালোলেগেছে !

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: আমার শৈশব কৈশোর কিছুই এমন না। এমন ভাল কিছুই নেই যা লিখে রাখা যায়। যা অন্যদের শোনানো যায়।

কি করতাম আমি শৈশবে ? আমার শৈশবটাই বা কত আগের ? বেশি আগের না। সবকিছুই মনে আছে।

ছোটবেলা কেটেছে মাএর সাথে, মা স্কুল টিচার। তার সাথে ইশকুলে যেতাম। বারোটা পর্যন্ত ক্লাস থাকলেও মায়ের ছুটি হবে সেই অপেক্ষায় বিকাল চারটা পর্যন্ত স্কুলে টিচারদের রুমে বসে থাকতাম। টিচাররা সবাই আসত, যে যা পাড়ত পড়া দিত।
বসে বসে পড়া মুখস্থ করা ছাড়া আমার আর তেমন কোন কাজ ছিল না শৈশবে।

স্কুলের পাশেই নদী ছিল। স্কুলটা ছিল সাইক্লোন সেল্টার কাম স্কুল। দোতালা উচু বিল্ডিং। লাইব্রেরি রুমের স্টিলের আলমেরিতে লাইফ জ্যাকেট থাকত। লাইফ জ্যাকেট পড়ে মায়ের তদারকিতে নদীতে নেমে যেতাম সাঁতার শিখতে। নদীর পাড়েই মা দাঁড়িয়ে থাকত জোড়া বেত নিয়ে ! সাঁতার না শিখে নদী থেকে ওঠার নাম নেয়া যাবে না।

দুষ্টামি ফাজলেমি কিছুই করা যেত না ! কিছু করলেই মায়ের কাছে নালিশ চলে যেত।
লঘু অপরাধে অনেক গুরু শাস্তি পেতাম। একবার এক বড় আপুর খাতা থেকে একটা পৃষ্ঠা ছিড়েছিলাম সেই অপরাধে আমার আম্মাজান আমাকে জোড়া বেতের পঁয়ত্রিশটা বাড়ি দিয়েছিল ও দুপুরের খাবার বন্ধ করে রেখেছিল। পরে আব্বু বাসায় এলে খেতে পেয়েছিলাম।

বিকালে স্কুল থেকে ফিরে ক্রিকেট খেলতে যেতাম। ব্যাট বল আমার ছিল তাই আমাকে খেলতে নিতে হত। খেলাধুলা বিশেষ পারতাম বলে খেলার দলে চান্স হত এমনটা নয়।
সন্ধ্যার পরে আবার বই খাতা নিয়ে !

শৈশব পার হয়ে কৈশোরে এলাম। এবার আম্মুর স্কুল থেকে রেহাই পেয়ে ভর্তি হলাম আব্বুর স্কুলে। আব্বু ছিলেন হাই স্কুলের শিক্ষক আর আম্মু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বাবা ও মায়ের ভয়ে এবং গায়ে শিক্ষকের ছেলে তকমা লাগানো ছিল বলে তেমন দুষ্টামি কিছুই করা যেত না।
বাধ্য হয়ে বার্ষীক দিবসগুলোতে বক্তৃতা দিতে হত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাম দিতে হত।

এত কড়াকড়ির মধ্যেও কিভাবে কিভাবে যেন ক্লাস টেনে একটা প্রেম এসে গেল জীবনে !
বালকের প্রথম প্রেম !
মায়ের মত বাবা অত কড়া ছিল না। বলতে গেলে বাবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ।

স্কুল পেড়িয়ে কলেজ ! কলেজেও ভর্তি হতে হল খালুর কলেজে ! অর্থাৎ খালু সেই কলেজের ফিজিক্সের লেকচারার !
স্কুল কলেজে তাই বাঁদরামি ফাজলেমি কিছুই করা হল না !

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছোটবেলা কেটেছে মাএর সাথে, মা স্কুল টিচার। তার সাথে ইশকুলে যেতাম। বারোটা পর্যন্ত ক্লাস থাকলেও মায়ের ছুটি হবে সেই অপেক্ষায় বিকাল চারটা পর্যন্ত স্কুলে টিচারদের রুমে বসে থাকতাম। টিচাররা সবাই আসত, যে যা পাড়ত পড়া দিত।
বসে বসে পড়া মুখস্থ করা ছাড়া আমার আর তেমন কোন কাজ ছিল না শৈশবে।

আহা তেমন হয়েছিলো বলেই না আমারা অন্য রকম এক শৈশবের গল্প পেলাম তোমার কাছে ;এত বই পোকা এক লেখক কবি
এতক্ষনে বুঝলাম ,কবির টিউশনির কারন !!!
ছেলে বেলার সেই সব টিচারের পড়া তৈরি করার শোধ নিচ্ছ এখন ছাত্রদের কাছে থেকে ;)

স্কুলের পাশেই নদী ছিল। স্কুলটা ছিল সাইক্লোন সেল্টার কাম স্কুল। দোতালা উচু বিল্ডিং। লাইব্রেরি রুমের স্টিলের আলমেরিতে লাইফ জ্যাকেট থাকত। লাইফ জ্যাকেট পড়ে মায়ের তদারকিতে নদীতে নেমে যেতাম সাঁতার শিখতে। নদীর পাড়েই মা দাঁড়িয়ে থাকত জোড়া বেত নিয়ে ! সাঁতার না শিখে নদী থেকে ওঠার নাম নেয়া যাবে না।

নিজেকেই তো ভাসাতে শিখিয়েছেন "মা " কেয়াপাতায় নৌকা ভাসানোর আর দরকার কি ।


দুষ্টামি ফাজলেমি কিছুই করা যেত না ! কিছু করলেই মায়ের কাছে নালিশ চলে যেত।
লঘু অপরাধে অনেক গুরু শাস্তি পেতাম। একবার এক বড় আপুর খাতা থেকে একটা পৃষ্ঠা ছিড়েছিলাম সেই অপরাধে আমার আম্মাজান আমাকে জোড়া বেতের পঁয়ত্রিশটা বাড়ি দিয়েছিল ও দুপুরের খাবার বন্ধ করে রেখেছিল। পরে আব্বু বাসায় এলে খেতে পেয়েছিলাম।

এটা আসলে সত্যিই উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে হয়ে গেছে :( টিচার অন্যদের শেখাতে যেয়ে উদাহারন রেখে গেছেন ;
আমি নিশ্চিত তোমার" মা" এর বেদনা পড়তে পারছি ।

বিকালে স্কুল থেকে ফিরে ক্রিকেট খেলতে যেতাম। ব্যাট বল আমার ছিল তাই আমাকে খেলতে নিতে হত। খেলাধুলা বিশেষ পারতাম বলে খেলার দলে চান্স হত এমনটা নয়।
সন্ধ্যার পরে আবার বই খাতা নিয়ে

হ্যাঁ এই ব্যাট বল মালিক শ্রেণী বেশ নাক উঁচু হয় ; আর সন্ধ্যার পর আমরা সবাই বই নিয়েই বসতাম ।

শৈশব পার হয়ে কৈশোরে এলাম। এবার আম্মুর স্কুল থেকে রেহাই পেয়ে ভর্তি হলাম আব্বুর স্কুলে। আব্বু ছিলেন হাই স্কুলের শিক্ষক আর আম্মু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বাবা ও মায়ের ভয়ে এবং গায়ে শিক্ষকের ছেলে তকমা লাগানো ছিল বলে তেমন দুষ্টামি কিছুই করা যেত না।
বাধ্য হয়ে বার্ষীক দিবসগুলোতে বক্তৃতা দিতে হত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাম দিতে হত।

হুম আর পুরুস্কার গুলো ও তাদের জন্যই নির্দিষ্ট ছিল বৈকি !

এত কড়াকড়ির মধ্যেও কিভাবে কিভাবে যেন ক্লাস টেনে একটা প্রেম এসে গেল জীবনে !
বালকের প্রথম প্রেম !
মায়ের মত বাবা অত কড়া ছিল না। বলতে গেলে বাবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ।


হাহাহা একেই বলে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেঁড়ো ; আচ্ছা বালকের প্রথম প্রেম নিয়েই কিছু লিখো আমাদের জন্য আর বাবার সাথে বন্ধুতার গল্প ,সে'ও বেশ হবে আমাদের জন্য ।

স্কুল পেড়িয়ে কলেজ ! কলেজেও ভর্তি হতে হল খালুর কলেজে ! অর্থাৎ খালু সেই কলেজের ফিজিক্সের লেকচারার !
স্কুল কলেজে তাই বাঁদরামি ফাজলেমি কিছুই করা হল না !


স্কুল কলেজে কিন্তু আমরা ও ফাজলামো করি নাই বলে দিচ্ছি ; সব স্কুল কলেজের বাইড়ে করতাম :P


১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২০

জাহিদ অনিক বলেছেন: এতসব কড়াকড়ির মধ্যে আমার আর তাই কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানো হয়ে ওঠে নি।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা কেয়াপাতায় নৌকা না ভাসাতে পারো ,নিজেকে তো ভাসাতে পেরেছিলা আম্মু ,আব্বু আর খালুর নিয়মের সাগরে !

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: শৈশবের-কৈশরের এত এত দুষ্টু-মিষ্টি কথা পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম।

অসম্ভব ভালোলাগা আপনার এই নাতিদীর্ঘ লেখাটুকুর জন্য।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যে ও অনেক ভালোলাগা "আখেনটেন " !!
আর হ্যাঁ নস্টালজিয়া মোবারক !!!!!

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এমন লেখাটি সবাইকেই নিয়ে যাবে, সেই অনেক পিছে।। সন্দেহ নেই।। আমি নিজেও যে তাই।। শুধু একটা প্রিয় ডাকের কথাই বলি।। একটা টিনের মত বাক্সে নিচের খোপে গরম কয়লা আর উপরের খোপে দুই/তিন চিমটি কিমা দিয়ে বানানো সেই বিখ্যাত "হটপ্যাটিস" আর বিক্রেতার সেই ডাক!! লম্বা সুরের সেই "টিস"টাই শুধু কানে আসতো!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা !!! আরও একটা চমৎকার ডাকের কথা মনে করিয়ে দিলেন ; ঝিগালতা বেকারি নামে বাসায় পাশেই একটা দোকান ছিল ;
বাসার সবাই বলতো পাউরুটি খাবার জন্য ই নাকি আমার জ্বর আসতো ।

ধন্যবাদ ভাইয়া পাঠে এবং মন্তব্যে !!!

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি...
যদি আসে কোনদিন সেই
সুখ পাখি.........................................

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুখ পাখির বাস আমাদের হৃদয়ে ;ফল্গু ধারার সন্ধান দিতে পারে কেউ কেউ _
তার সাথে হোক পরিচয় ,আশায় থাকার হোক অবসান !


২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৩২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: "কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর দিনগুলো" এই শিরোনামতা খুবই ঠিক আছে | আমার ছেলেবেলা ধরনের শিরোনাম হলে ধাঁধায় পরে যেতাম I পড়তে পড়তে মনে হলো আপনি আমারও কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর দিনগুলোর অনেক ঘটনাইতো মনে হয় বললেন ("কলমি শাক নিয়ে আসত একজন ,পাঁচমিশালী সবজীর ঝাঁকা আলাদা ; কালা সাবান , সিলভারের হাড়ি পাতিলের ফেরিওয়ালা আসতো দু'পাশে দুই ঝুড়ি নিয়ে পুরনো জামা শাড়ির বিনিময়ে চকচকে সব জিনিস পাওয়া যেত" )| খুবই ভালো লাগলো, আই রিপিট, খুবই ভালো লাগলো আগা থেকে গোড়া মানে কঠিন বাংলায় আদ্যোপান্ত আপনার পুরো লেখাটা I অনেক ধন্যবাদ অনেক কিছু মনে করিয়ে দেওয়া লেখাটার জন্য |

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম ধাঁধায় ফেলে দেয়া একদমই ঠিক হত না ভেবেই সার্বজনীন শিরোনাম ; ভালো আছেন আশা করছি ।
আমার লেখার আদ্যপ্রান্ত মানে সহজ বাংলায় আগা থেকে গোড়া মুগ্ধ পাঠে সম্মানিত বোধ করছি আই রিপিট সম্মানিত বোধ করছি "মলাসইলমুইনা" (এর চাইতে সহজ ভাবে আপনাকে সম্বোধন করার কি কোন উপায় আছে )

আপনাকে ও ধন্যবাদ দারুণ উৎসাহ ব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য !!!!!!!

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন আপু।
আপনার স্মৃতিচারনা অনেক ভাল লাগল।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় আপনার ভালোলাগার প্রকাশে অনেক ধন্যবাদ " মোস্তাফা সোহেল "
শুভকামনা অফুরান !!!

২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: স্মৃতি শুধু স্মৃতি নয় আরো অনেক কিছু।
আসলে সব মানুষের শৈশবের দিনগুলোই মনে হয় রঙ্গিন থাকে।
বার বার ফিরে যেতে হয়, বার বার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। ভাল থাকুন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখকরা অযথাই স্মৃতি কে বেদনার নাম দেয় ; আমার তো মনে হয় কষ্টের স্মৃতি রোমন্থনে'ও মিষ্টি সুখের ছোঁয়া থাকে ।
আপনার মুল্যায়নে ভালোলাগা " মোঃ মাইদুল সরকার "

২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভালো লেগেছে স্মৃতিচারনা । ধন্যবাদ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় স্বাগত দায়িত্বশীল !!!!
ভালোলাগা প্রকাশে মুগ্ধতা আপনার ব্লগ ভ্রমন আনন্দময় হোক ।

২৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লিখেছেন বেশ। লেগেছে ভালো। আপনার শৈশব দেখলাম। শৈশবের স্মৃতি আমাদের মনে দোলা দেয়। আরতো শৈশবে যেতে পারবো না। টাইম মেশিন থাকলে ঠিকই চেষ্টা করতাম। :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার কাছে টাইম মেশিন থাকলে ও যেতাম না ব্যাপার টা অনেক টা " অধিকার ছাড়িয়া দিয়া ,অধিকার ধরিয়া রাখার মত বিড়ম্বনা আর নাই " এর মত । ফিরে পেলে সেই আনন্দ আর সারল্য থাকত না যা হারিয়েছি ।

ভালোলাগার প্রকাশে ধন্যবাদ রইল !

২৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

অন্তরন্তর বলেছেন: অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন মনিরা আপু। আমার জন্ম ফরাশগঞ্জ। তারপর থাকা বানিয়ানগর। আমার এক দৌড়ে ভিক্টোরিয়া পার্কে চলে আসা এখন চোখে ভাসছে। কয়েক মিনিট লাগত আসতে। বাড়িতে কোন কড়াকড়ি আঁটকে রাখতে পারত না সেই দুরন্তপনাকে। আপনার পোস্ট সেই দিনগুলোতে নিয়ে গেল। চমৎকার লিখেছেন। শুভ কামনা।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: "অন্তরন্তর " লেখায় আপনাকে পেয়ে পাশাপাশি বয়ে চলা জীবনের একজন কে পেলাম ; ভাবতেই ভালোলাগোছে ,এক সময় ঠিক যে রাস্তায় পার্কে র কোলাহল আমাকে আলোড়িত করত সেই তেমনি কিছু সময় পর আপনাকে ও _
আমি ৮০ র দশকের গল্প বলেছি , তখন আমাদের কে সন্ধ্যা ছাড়া তেমন কড়াকড়ি তে আঁটকে ও রাখতে হত না মা , বাবার !

আপনার জন্য শুভেচ্ছা !!!

২৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: কেন এই যে সহজ সরল আমরি বাংলা ভাষায় লিখছি তাও আমাকে কঠিন নামের মনে হচ্ছে ? " আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’/পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’/ফিং দিয়া দেই তিন দোল্‌; আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল " আমি নজরুলের কবিতার এ'রকম ঠিক বিদ্রোহী টাইপ কেউ না ।একটু চুপ চাপ, আড়ালে থাকলে কি অভব্যতা ভাববেন? আমাকে সম্বোধন না করলেও হবে I কিছু মনে করবো না |আপনি যদি কিছু মনে না করেন তখনও আমি কিন্তু কেয়া পাতায় নৌকার যাত্রী হতে আসবো কেরায়া যেটাই ধরুন না কেন |ও আরেকটা কথা, আমিতো আপনার পড়শী ছিলাম না কোনো কালেই তবুও আপনার এই বর্ণনাটা "কলমি শাক নিয়ে আসত একজন ,পাঁচমিশালী সবজীর ঝাঁকা আলাদা ; কালা সাবান , সিলভারের হাড়ি পাতিলের ফেরিওয়ালা আসতো দু'পাশে দুই ঝুড়ি নিয়ে পুরনো জামা শাড়ির বিনিময়ে চকচকে সব জিনিস পাওয়া যেত" এতো মিলে গেলো আমার কেয়া পাতার দিনগুলোর সাথে ! সেদিনগুলোতে আমার আরেকটা পরিচয় ছিল -আম্মার এক নাম্বার এসিস্ট্যান্ট | আম্মার কথাও মনে পড়লো আপনার লেখা পড়তে গিয়ে | আমার দেশ বিদেশের সব কিছু ছেড়ে এখনো তার এসিস্ট্যান্ট হতে ইচ্ছে করে যেটা আর কখনোই সম্ভব নয় | আপনি লেখায় সেই না পাবার ব্যাপারগুলো পেয়ে গেলাম এতো অজস্র যে সাগ্রহে মানে খুবই আগ্রহের সাথে পড়া হলো |আবারো অনেক ধন্যবাদ |

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কেন এই যে সহজ সরল আমরি বাংলা ভাষায় লিখছি তাও আমাকে কঠিন নামের মনে হচ্ছে ? " আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’/পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’/ফিং দিয়া দেই তিন দোল্‌; আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল " আমি নজরুলের কবিতার এ'রকম ঠিক বিদ্রোহী টাইপ কেউ না ।একটু চুপ চাপ, আড়ালে থাকলে কি অভব্যতা ভাববেন?

যেহেতু আপনার নামের একটা চমৎকার ব্যাখ্যা আপনার কাছে আছে তাই আপনার জন্য সহজ ,আমার জন্য কঠিন তো নয় একটু
আলদা লাগছে ভিন্নতর আর কি _
হাহাহা বিদ্রোহী রা আজ রণ ক্লান্ত হে !!
আরেয়ে নাহ ;একেবারেই অভব্যতা ভাবার কিছু নেই ,ব্লগে এমন আড়ালে থাকা অসংখ্য প্রিয়জন আছে আমাদের । বরং আমার ই এভাবে বলা ঠিক হয়নি হয়ত ,আশা করছি নিজ গুণে ভুলে যাবেন আমার অনধিকার চর্চা ।
তবে আমি ভেবেছিলাম আপনি হয়ত বলবেন ঠিক আছে আপু আজ থেকে আপনারা আমাকে মলা বা ইনা নামে সম্বোধন করবেন :P

ও আরেকটা কথা, আমিতো আপনার পড়শী ছিলাম না কোনো কালেই তবুও আপনার এই বর্ণনাটা "কলমি শাক নিয়ে আসত একজন ,পাঁচমিশালী সবজীর ঝাঁকা আলাদা ; কালা সাবান , সিলভারের হাড়ি পাতিলের ফেরিওয়ালা আসতো দু'পাশে দুই ঝুড়ি নিয়ে পুরনো জামা শাড়ির বিনিময়ে চকচকে সব জিনিস পাওয়া যেত" এতো মিলে গেলো আমার কেয়া পাতার দিনগুলোর সাথে ! সেদিনগুলোতে আমার আরেকটা পরিচয় ছিল -আম্মার এক নাম্বার এসিস্ট্যান্ট |

নস্টালজিকতা ছোঁয়াচে সব সময় ,লেখার ভাব অন্তমিল গুলো আপনাকে ছুঁয়ে গেছে ; লেখক হিসেবে অনেক খানি পাওয়া আমার জন্য ।

আম্মার কথাও মনে পড়লো আপনার লেখা পড়তে গিয়ে | আমার দেশ বিদেশের সব কিছু ছেড়ে এখনো তার এসিস্ট্যান্ট হতে ইচ্ছে করে যেটা আর কখনোই সম্ভব নয় | আপনি লেখায় সেই না পাবার ব্যাপারগুলো পেয়ে গেলাম এতো অজস্র যে সাগ্রহে মানে খুবই আগ্রহের সাথে পড়া হলো
ঠিক এই খানটাতে আপনার মন্তব্য আমাকে আলোড়িত করলো খানিক ;আমি ছিলাম আমার আব্বা র এসিস্ট্যান্ট সবকিছুতেই ,আমার ও দেশ বিদেশের সবকিছু ছেড়ে আবার সেই পোষ্ট পেতে ইচ্ছে জাগে যেটা আর সম্ভব নয় !!


আপনার আন্তরিকতা ও আগ্রহ মন ছোঁয়া হয়ে রইলো !!!!

৩০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহারে জাহিদ অনিক ভাইয়া। শৈশব কৈশোরের দুরন্তপনা মিস করলেন।
আমিও ছোটবেলায় যে স্কুলে পড়েছিলাম বড় খালামনি সে স্কুলের টিচার ছিলেন। আমার বেলায় ছিল উল্টো। আমার ভাবখানা এমন ছিল যেন আমি সে স্কুলের মালিক। আমার দাপটে কেউ টিকতে পারতোনা। তখন মাত্র ক্লাস ফোরে ছিলাম। একবার ক্লাসের এক ছেলে আমাকে কি যেন বলেছিল বলে দলেবলে গিয়ে সেই ছেলেকে মাঠে নিয়ে যে মারটা দিয়েছিলাম। সবাই একটু ভয়ই পেত। এখন মনে পড়লে হাসি পায় =p~
মনিরা আপুর আগের পোস্টে ছোটবেলার আরেকটা মজার ঘটনা শেয়ার করেছি। সময় পেলে দেখতে পারেন :)

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলে ঠিক এই জায়গায়তে মা 'এর ছাত্র আর খালার ছাত্রীর তফাৎ :)
বাহ!!! সাব্বাস বাস্তবতা বা ব্লগ বাদ যাবে না কোন শিশু থুক্কু কোন ছেলে ;) ইয়ে মানে যারাই বাঁদরামো করবে বা কিছু বলবে :P

দেখি জাহিদ কতটা ভয় পেলো ,পরের মন্তব্যে তো ইতঃমধ্যেই একজন ভয় দেখেছেন এবং তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও _

৩১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ উম্মে সায়মা, আমাদের ভয় দেখানোর মানে কি ? তীব্র নিন্দে জ্ঞাপন করছি !

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি ভাই যথাযথ স্থানে তীব্র নিন্দা পৌঁছে দিয়েছি !!

৩২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: থ্যাংকস এ লট ! রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর বাড়ির কাছেই এতো বর্বর হামলার পর আবার নিজের জীবনের উপরও এতো বড় হমকি আসলে কোথায় যাই ! " আমি ভেবেছিলাম আপনি হয়ত বলবেন ঠিক আছে আপু আজ থেকে আপনারা আমাকে মলা বা ইনা নামে সম্বোধন করবেন" | আচ্ছা মলা আমারও প্রিয় মাছ, চলতে পারে সে নাম | ইনা ? না এটা থাক | এই নামে মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর ছায়া,স্পর্শ,গন্ধ সবই আছে | আমি মন্ত্রীর মতো এতো কামেল মানুষ না | আমার মতো অভাজনকে দিয়ে তাকে অপমান করার দরকার নেই | অনেক ধন্যবাদ |

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ডিসেকশনে কাজ নেই থাক না "মলাসইলমুইনা"

৩৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: "ব্যাক অন ওউন ফুট " ! খারাপ হবে না ব্যাপারটা | অনেক ধন্যবাদ নেবেন |

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ "মলাসইলমুইনা "
খারাপ হবে কেন ; একেবারেই পারফেক্ট !!!

৩৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: আসলে ঠিক এই জায়গায়তে মা 'এর ছাত্র আর খালার ছাত্রীর তফাৎ :)
হাহাহা। হবে হয়তো আপু। আমার মা ও টিচার ছিলেন। ভাগ্যিস আমি মায়ের ছাত্রী ছিলাম না। তাহলে হয়তো জাহিদ অনিক ভাইয়ার মত অবস্থা হত 8-|

মলাসইলমুইনা বলেছেন আমাদের ভয় দেখানোর মানে কি ?
না না ভয় পাবার কিছু নেই। আমি এখন ভদ্র হয়ে গেছি :) কাউকে মারিনা.....(যদিও কিছু স্টুডেন্ট কেন যেন আমাকে খুব ভয় পায় :P) নিন্দা উইথড্র করুন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা ; ভাগ্যিস :)

ইয়ে আমিও নিন্দা উইথড্র করার পক্ষে !!

৩৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ। প্রথম পর্বের মতোই এটিও দারুণ লাগল।
+।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ "সুমন কর "
আমার এই সিরিজের সাথে থাকার জন্য !!
শুভ কামনা আপনার জন্য ।

৩৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২১

নায়না নাসরিন বলেছেন: সুন্দর লেখা আপুনি । আমাদের বাড়িটি শহরের বাহিরে থাকা বিধায় এখোনো ছোট বাচ্চারা কাগজের নৌকা ভাসায় পানিতে ।
++++++++++

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার অনুভূতি এই নাও ভাসানোর আনন্দে ;
একটু শহরের আড়াল হলেই আনন্দগুলো প্রায় একই সুরের ।

লেখায় আপনার সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা "নায়না নাসরিন "

৩৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

সামিয়া বলেছেন: অফিসে আছি নানা ব্যস্ততায়। আপনার লেখা আমার ভালোলাগে, তাছাড়া ভালো লেখা সময় নিয়ে পড়তে হয়, আপাতত লাইক আর প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম, বাসায় যেয়ে আরাম করে পড়বো।। :)

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোবাসা সামিয়া !!
অনেক অনেক ভালোথাকার শুভ কামনা ।

৩৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১০

প্রামানিক বলেছেন: চয়নিকা বই এর ছেলেবেলা ছিল আমার , "পাঠে আমার মন বসে না ,কাঁঠাল চাঁপার গন্ধে" র মত উস্কানি দেয়া চমৎকার সব বাক্যের সমাহারে । এই চয়নিকা বই নিয়েই লিখে ফেলা যায় দিস্তার পর দিস্তা অবিরাম !!
হাট্টিমা টিম টিম ,মামুদ মিয়া বেকার , কালে খাঁ'র কামান , চক বাঁজারে 'র গোস্ত রুটি , সফদর ডাক্তার , "মেজাজ ছিল তিরিক্ষি তাঁর।


লেখাটি পড়ে সেই শৈশবে হারিয়ে গিয়েছিলাম। চমৎকার স্মৃতিচারণ। খুব ভালো লাগল।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই !!
লিখতে যেয়ে আমার অনুভূতি ও অনেকটাই তেমন ; মনে আছে বছরের শুরুতেই বাংলা ইংলিশ সব বই এর গল্প কবিতা আগে পড়ে শেষ করে ফেলতাম ।

ধন্যবাদ ভালোলাগা প্রকাশে ।

৩৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১১

উম্মে সায়মা বলেছেন: ইয়ে আমিও নিন্দা উইথড্র করার পক্ষে !!
হবেনা আপু #:-S আপনি এর সাথেও হ্যাঁ বলছেন ওর সাথেও B:-)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা !!!
আপু রেফারীদের কাজ কী বলেন :P

৪০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ এই ব্লগের মালেকান মনিরা সুলতানা, & @উম্মে সায়মা : খানিকটা ভয়ে ভয়েই, কিন্তু আমাদের উপর হামলা হবে না তার সুস্পষ্ট এবং প্রকাশ্য আশ্বাসের ভিত্তিতে নিন্দে উইথড্র করা হলো | আশাকরি জাতিসংঘকে হুমকির মুখে থাকা জনগণের আসে পাশেই সবসময় শর্তহীন সাহায্য পাবার জন্য পাওয়া যাবে |

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যতক্ষণ আমার এখানে আছেন নিরাপদ আপনি ;)
কিন্তু যেখানে জাতিসংঘের প্রশ্ন ; সেখানে দায় দায়িত্ব আমি নিতে রাজি না ।
যতটা দেখে আসছি নিরাপত্তা পরিষদ ই সব চাইতে বড় অনিরাপদ :P

৪১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

সামিয়া বলেছেন: প্রচণ্ড রকম ভাল লিখেছেন আপু।। আপনার ছেলেবেলা ছিল ঈর্ষনীয় সুন্দর। এত সুন্দর বর্ণনা করেছেন যে প্রতিটি দৃশ্য একদম স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম যেন।। লেখায় প্লাস।+ + + + + + + + + + + + +
কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর দিনগুলো -৩ এর অপেক্ষায় থাকলাম।।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন ছোঁয়া আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ভালোবাসা সামিয়া !!!
প্লাসগুলো কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর দিনগুলো -৩ লেখার অনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে ।

৪২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার ব্লগে আমার নিরাপত্তা নিয়ে আমার সংশয় ছিল না | তারপরেও ঘরে বাইরে যেতে হয়তো | আপনার দেওয়া নিরাপত্তার বাইরে তাই জাতিসংঘের কথা মনে হয়ে ছিল | কিন্তু ইদানিং এরা যা করছে সেট জানিই তাই একটু আশাবাদী হবার চেষ্টা ...| হুমকি প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর পাশে থেকে সহমর্মিতা জানানোর আর নিরাপত্তা জোরদারের আশ্বাস দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ | নোবেল কমিটিকে আপনার নামটা শান্তির জন্য পাঠাতে হবে না কি বলেন ? এখনো গোটা কয় দিন হাতে আছে চেষ্টা চরিত্র করে দেখার !!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন:
আসলে নিজের মুখে থুক্কু হাতে থুক্কু আঙুলে নিজের ব্যাপারে লিখতে চাই না ;
_ কিন্তু
কথা প্রসঙ্গে চলে আসে আর কি B-)
এই আখেরি জামানায় নিরাপত্তা পরিষদ নিয়ে এমন সাহসী বক্তব্যে আর হুমকি প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর একদম নেক্সেট ডোর নেইবার হিসেবে পাশে থাকা একমাত্র আভাজন হিসেবে নো-বেইল তো সামান্যই ;)

তবে আপনি যখন এত করে বলছেন এই সামান্য কেই স্বাগত ; চেষ্টা চরিত্র চলুক ,লাইক কমেন্ট করে পাশে আছি সাথে পাবেন।
আমি আবার কারো মনে কষ্ট দিতে পারি না :P

৪৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ | ঠিক আছে তেমনি চলুক !!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চলছে লড়াই চলবে
নোবেল এর জন্য ব্লগার রা লড়বে !!!!!

৪৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:২৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: উম্মে সায়মা আপু,

আপনার খালার স্কুলে কেমন গিয়েছে সেটা আন্দাজ করতে পেরে বেশ হাসি পাচ্ছে অর্থাৎ ভাল লাগছে।

আমার ভাবখানা এমন ছিল যেন আমি সে স্কুলের মালিক। আমার দাপটে কেউ টিকতে পারতোনা। - হা হা হা হা


লেখক বলেছেন: আসলে ঠিক এই জায়গায়তে মা 'এর ছাত্র আর খালার ছাত্রীর তফাৎ :) - লেখক শতভাগ ঠিক বলেছেন।


দেখি জাহিদ কতটা ভয় পেলো ,পরের মন্তব্যে তো ইতঃমধ্যেই একজন ভয় দেখেছেন এবং তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও _ - ভয় পাব কেন ? আমার কি ভয় পাওয়ার কথা ?

একবার ক্লাসের এক ছেলে আমাকে কি যেন বলেছিল বলে দলেবলে গিয়ে সেই ছেলেকে মাঠে নিয়ে যে মারটা দিয়েছিলাম। সবাই একটু ভয়ই পেত। - ইহাতে আমি ভয় পাই নাই।

ইয়ে মানে মেরে কি হাত পা ভেঙে দিয়েছিলেন!



মনিরা আপুর আগের পোস্টে ছোটবেলার আরেকটা মজার ঘটনা শেয়ার করেছি। সময় পেলে দেখতে পারেন :)
- পড়ে নিচ্ছি B-)



ধন্যবাদ সবাইকে। :-B ;)





০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা কিন্চিত বিলম্বে আগমন হেতু জাহিদ হয়ত বুঝিয়া উঠিতে পারে নাই ;
আমার ব্লগ কে ইতো:মধ্যেই নিরাপদ হিসাবে ঘোষনা করা হইয়াছে _
এবং আমার এহেন উদার মহৎ আহ্বানে মুগ্ধ হইয়া “মলাসইলমুইনা “আমাকে
নো-বেইল এর অন্যতম দাবীদার মনে করিতেছেন !! শান্তিতে !!!!

জগতের সকল প্রানী সুখি হউক

৪৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

উম্মে সায়মা বলেছেন: মনিরা আপু,
আপু রেফারীদের কাজ কী বলেন :P
আচ্ছা আপনি তাহলে রেফারীর দায়িত্ব পালন করছেন... :)

মলাসইলমুইনা ভাইয়া/আপু, নিন্দে উইথড্র করেছেন ভালো কথা, কিন্তু আপনি এত ভয় পেয়েছেন যে জাতিসংঘ পর্যন্ত চলে যাচ্ছেন 8-| (থাক থাক অত ভয় পাবার কিছু নেই। আপনি তো আর আমার সাথে লাগতে আসেননি যে একশানে যাব ;))

জাহিদ অনিক ভাইয়া, বেশ হাসি পাচ্ছে অর্থাৎ ভাল লাগছে।
B-) B-)
লেখক শতভাগ ঠিক বলেছেন।
তাইতো বলি ভাগ্যিস আমি মায়ের ছাত্রী ছিলাম না :)
ইয়ে মানে মেরে কি হাত পা ভেঙে দিয়েছিলেন!

নাহ। হাত পা ভাঙ্গিনি। কিল ঘুসি দিয়েছিলাম আর কী :) ভয় পাননি তো? শিওর? B-) মলাসইলমুইনা তো খুব ভয় পেয়েছে :P তাহলে তো আপনি খুব সাহসী দেখা যাচ্ছে।
পড়ে নিচ্ছি B-)
হাহাহা। রিয়েলিটি শো এর মত একটার পর আরেকটায় যাবার ক্লু =p~
ধন্যবাদ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম আপু এক্কেবারে ডব্লিউ ডাব্লিউ এফ :P
স্কুলে হাইকিং এ গেলে এমন ক্লু দিত ,এরপর ভাগো ও ও ও ও !!!!!!

৪৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ উম্মে সায়মা: "নাহ। হাত পা ভাঙ্গিনি। কিল ঘুসি দিয়েছিলাম আর কী" ! কিন্তু কেমন করে কিল ঘুষি দিয়েছিলেন?জোরসে ঠুসি? এই কথার মধ্যে কি "জগতের সকল প্রানী সুখি হউক" -এর মতো কোনো ব্যাপার আছে ? আপনি কিন্তু আবারো ভয় দেখাচ্ছেন !

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নো টেনশন ,
আপনিও বাগিয়ে থাপর
দে হাওয়া চাগিয়ে কাপর হয়ে যাবেন :P

৪৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনি এমন কোনো? একটু আগেই না বললেন, "জগতের সকল প্রানী সুখি হউক" | নাইন ইলেভেনের পর থেকেই কপালে স্টিকি স্টিকারের মতো লাগিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী পরিচয় নিয়ে পথ চলতে হয় আর আপনিতো সাক্ষাৎ সন্ত্রাসী বানিয়ে দিতে চাইছেন ! এটুকু করলে বা বললেইতো "গুয়ান্তানামো বে" পরিষ্কার স্থায়ী ঠিকানা হয়ে যাবে | নোবেল প্রাইজের জন্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রচারণা চালাতে পারলাম না দেখে আক্রোশ ?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: " জগতের সকল প্রানী সুখী হউক " ছিল নো-বেইল ঘোষণা আসবার আগের ডায়লগ ,উহা পরবর্তী বছরের জন্য শিকেয় তুলেছি !
আপনি কিন্তু আপনার নামের অবিচার করছেন বলে দিলুম ; এমন একজনের চতুর্থ স্বামীর নামে নাম আপনার আর আপনি কিনা
সামান্য কিল চর ঘুষি কে ভয় পাচ্ছেন সো ডীপ্রেসিং ম্যান !!!

শেষ কথা রেফারীদের কস্ট কেউ বুঝলো না তারা হচ্ছে নিঃসঙ্গ শেরপা :-&

৪৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: জাতিয় কবি নজরুল স্বয়ং নিজের কবিতায় বলেছেন কিল জোরসে ঠুসি দিলে খবর হবে | আর আপনি সেটা নিয়ে সন্দেহ করলেন ! আমি এক মাথা ওয়ালা পারফেক্ট মানুষ | আমিতো গ্রিক মিথিওলজির বহু মাথার কোনো দৈত্য না | মাথা বাঁচাবার চেষ্টা করতে হবে না ?আমাকে ডেঞ্জার জোনে রাখতে পারলে আপনার কি লাভ? আমাদের প্রতি সদয় হোন | হুমকিপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সাথে থাকুন তাদের নিরাপত্তা বিধানে | নোবেলতো আগামীতেও আসবে | তখন থাকবোনাকো বদ্ধ ঘরে ....| রেফারিদের পাশে শান্তিপূর্ণ জনতা আছেই |

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আশ্বাস দিচ্ছেন তাহলে , শান্তিপূর্ণ জনতা আছে ?
তাহলে আমিও আছি ভয় নেই !!!

৪৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ভুল নেই একচুল,
সাথে আছে বিলকুল!!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভুল করে ভুল হলে
ভুলে যাব ভুল করে !!!

৫০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার হোম ওয়ার্ক ছিলো বাসায় রাখা অবজারভার পেপারের হেড লাইন পড়ে শোনানো -- এই হোমওয়ার্ক টা যে আপনাকে কতটা সমৃদ্ধ করেছিল এবং আপনার সতীর্থদের চেয়ে কতটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তা আশাকরি পরবর্তীকালে বুঝতে পেরেছিলেন।
আমি ছাদে না হয় বাসার পাশের বারান্দায় অপেক্ষা করতাম সবাই মিলে একসাথে সেজদা দেয়ার সেই মহার্ঘ সফেদ ফুল ফোঁটার দৃশ্য দেখার - খুবই চমৎকার একটা বর্ণনা দিলেন।
খুব ভাল লাগলো আপনার শৈশবের কথা জেনে। পোস্টে ভাল লাগা + +

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পাঠে এবং ভালোলাগা প্রকাশে ধন্যবাদ আহসান ভাই !!!

খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম,এবং আফসোস ও করেছি আরও কিছুদিন মামা কে পেলে হয়ত আরো ভালো হত।
আমার এখন ও এই দৃশ্য মনে দাগ কাটে ,ভালো লাগে ।

শুভ কামনা ।

৫১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১৮ নং মন্তব্য প্রসঙ্গেঃ
@জাহিদ অনিক, আপনার মন্তব্যটা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। আমাকে স্পর্শ করেছে আপনার আনন্দহীন শৈশব আর কৈশো্রের অভিজ্ঞতাগুলো। আপনার মন্তব্যের কথাগুলোকে আরেকটু সম্প্রসারিত করলেই একটা আলাদা হৃদয়স্পর্শী ব্লগ হয়ে যেত।
বালকের প্রথম প্রেম কাহিনী জানার ঔৎসুক্যটা থেকেই গেল! :)
মন্তব্যে ভাল লাগা + +। একাধিক দেয়ার সুযোগ থাকলে তাই দিতাম!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জাহিদ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি .......

আমার "সরলতার কাব্য " পোষ্ট এ উম্মে সায়মা আপু র মন্তব্যের রেশ ধরে জাহিদের আরও একটি মন ছোঁয়া মন্তব্য রেখে এসছে;
আপনার সাথে একমত ভাইয়া সব মন্তব্যগুলো সম্প্রসারিত করে দারুন এক শৈশব গাঁথা হয়ে উঠতে পারে ।
আপনার জন্য কপি করে দিলাম সেই মন্তব্য ;

জাহিদ অনিক বলেছেন: উম্মে সায়মা আপুর কাদাজল আর নৌকা ডুবানোর ঘটনা দেখে আমারও কিছু যেন মনে পড়ে গেল !



আমাদের প্রাইমারী স্কুলটি ছিল একদম নদীর পাড়ে, নদী দেখা যেত ক্লাসের জানালা দিয়ে। মাঝেমাঝেই জোয়ার বেশি হলে জোয়ায়ের পানি এসে স্কুলের বারান্দায় ঢেউ খেলে যেত! আমরা সিমেন্টের ফ্লোরে পায়ে পায়ে পানি ছিটিয়ে একজন আরেকজনকে ভিজিয়ে দিতাম!
বর্ষাকালে মাটির মূল সড়ক বৃষ্টিতে একদম হাঁটু সমান কাদা হয়ে থাকত। সেই দেড় ফুট কাদার মধ্য দিয়ে প্যান্ট গুটিয়ে গায়ের সর্ব শক্তি দিয়ে পথ চলতে হত। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যখন স্কুলের সামনে পৌছাতাম দেখতাম জোয়ারের পানিতে মাঠ ঘাট থৈ থৈ, কাদার রাস্তা থেকে স্কুলে ঢুকতে হত নৌকায় করে অথবা কলাগাছের ভেলায় করে! কলাগাছের ভেলায় চড়ে স্কুলে যাওয়া কথাটা শুনতে মেকি মেকি আর সাহিত্যিক ব্যঞ্জনাপূর্ণ মনে হলেও ঘটনা ঠিক এটাই। অত ছোট বয়সে কলাগাছের ভেলায় চড়ার ফিলিংসটা ঠিক কি হওয়া উচিত সেটা বুঝতাম না, বোঝার কথাও না।

জোয়ারের পানিতে নদী থেকে মাঝারী সাইজের জোঁক ও ছোট ছোট ঝিনুক এসে স্কুল বারান্দাতেই আমাদের সাথে চলাফেরা করত। জোঁক টোক কেন যেন ভয় পেতাম না। রোজ রোজ দেখলে কি আর ভয় থাকে!
ছোট ছোট ঝিনুক পানি থেকে উঠিয়ে নিয়ে ঝিনুকের খোলটা পরিষ্কার করে মুখে জোরে বাশি বাজাতে পারতাম। বাশি বাজানোর প্রতিযোগিতা করতে করতে লিজারের পরে অনেক ক্লাস মিস দিয়েছি এবং যথারীতি মায়ের বকুনি ( চড়, থাপ্পড়, বেতের বাড়ি) খেতে হয়েছে। তবুও ঝিনুকের বাশি কম বাজাই নি।
ঝিনুকের খোলে ঠোঁট আর আংগুল দিয়ে জোরে প্রেসার দিতে গিয়ে কত হাতে ঠোঁটে রক্তারক্তি করেছি ! আহা !

৫২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার ছেলে বেলাটা পার হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি আপি! এখনো হয়তো চোখ বন্ধ করলে এক পলকের মধ্যেই ছেলেবেলা থেকে ঘুড়ে আসতে পারি!:)

শৈশবে আমি বেশ ডানপিটে ছিলাম। আপনার মতো আমার ক্ষেত্রেও বলা যায় “পাঠে আমার মন বসে না ,কাঁঠাল চাঁপার গন্ধে” জাতীয় কথাগুলো!:)


অনেকতো নিজের ঢোল পেটালাম, এবার পোস্ট সম্পর্কে বলি; অল্প কথায় পোস্ট সম্পর্কে বললে বলতে হয় অসাধারন পোস্ট! এই পোস্ট পড়ে যে কেউই নস্টালজিয়ায় ভুগবে!

++

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঢোল পেটানো মোটে ও নয় ; স্মৃতিকথা লেখার মজাই এখানে অন্যদের ও সাথে ভাসায় এবং লেখাকে সমৃদ্ধ করে ।
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য ও ভালোলাগা প্রকাশের জন্য ।

শুভ কামনা !

৫৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

জাহিদ অনিক বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাইয়া,


অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার মন্তব্যটি পড়েছেন বলে। সেটি ভাল লেগেছে সেটা জেনেও ভাল লাগলো।

আপনি বলেছন, মন্তব্যের কথাগুলোকে আরেকটু সম্প্রসারিত করলেই একটা আলাদা হৃদয়স্পর্শী ব্লগ হয়ে যেত।
হয়ত ঠিকই বলেছেন। আসলে কবি মনিরা সুলতানার ছেলেবেলা পড়তে পড়তে নিজের ছেলেবেলার কিছু কথা মনে আসলো, নস্টালজিয়া।

বালকের প্রথম প্রণয়ের কথা জানতে চেয়েছেন, যদি কখনও ছেলেবেলা নিয়ে ব্লগে লিখি সেখানে নিশ্চয়ই এই টপিকটা থাকবে।



অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা ও খায়রুল আহসান ভাই আপনাদের দুজনকেই।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন্তব্য প্রতিউত্তরে শুভেচ্ছা !!!

৫৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার "সরলতার কাব্য" পড়ে এলাম এবং সেখানে কিছু মন্তব্যও রেখে এসেছি।
উম্মে সায়মা এর অভিজ্ঞতাটাও বেশ মজার ছিল। :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আন্তরিক পাঠে ভালোলাগা ভাইয়া !!

স্মৃতিকথা লেখায় এই আনন্দ বাড়তি পাওনা সবসময় ; নিজের জানালার সাথে পাঠকের স্মৃতির জানালা পাশাপাশি ভ্রমন করে ফলশ্রুতিতে পাঠকের কিছু মহার্ঘ অভিজ্ঞতা ও মন্তব্যর ফুল ফোটায় ।

লেখার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ :)

৫৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শৈশব এর অবাক স্মৃতিকথন! এত জাদু এই সময়টাতে, এত রঙ!

উদাস হয়ে গেলাম!

ভালোবাসা জানবেন আপু!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইফতি দ্যা গ্রেট কবি ইজ ব্যাক !!!!!

দারুন ব্যাপার প্রিয়কবি ,উদাসী মন কবিতায় ফিরুক সেই শুভ কামনা !!

আর ভালোবাসা সবসময় অনুরণিত

৫৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:




মানুষ বারবার আগের পরিচিত দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পরিচিত দিনগুলোর মাঝে এক ধরনের নিশ্চয়তা থাকে
এক ধরনের অনায়েস আনন্দ ; তাই হয়ত ।।

৫৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

মিরোরডডল বলেছেন: anek shundor!!!!!!!!!!
I just lost for a while

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখা পাঠে এবং মন্তব্যে ।
সত্যি আমারা সবাই স্মৃতিতে হারাই ।

শুভ কামনা ।

৫৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৩

কালীদাস বলেছেন: এরকম ঝলমলে শৈশবের স্মৃতিকথা পড়লেও মন ভাল হয়ে যায়।
সুন্দর :)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মহাকবি !
আমি মনে হয় একটু আগের যুগের ,আমাদের সময়গুলো আক্ষরিক অর্থেই দুরন্ত আর ভাবনাহীন শৈশব ছিলো ।


শুভ কামনা ।

৫৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনার নো গ্যাঞ্জাম মামাকে ভালো লাগলো আপা।
দীর্ঘ বছর পুরান ঢাকায় ছিলাম। জন্মই ওখানে আমার!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ বেশ তো ,তাহলে অনেক কিছুই কমন হবার কথা ;
আমার নো "গ্যাঞ্জাম মামা " সত্যিকারের আদর্শ একজন সৎ মানুষ ।

আপনার কথা গুলো ও লিখেন পড়ি আমরা ।
পাঠে এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ !

৬০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমার সময় চয়নিকা বই সদ্য উঠে গিয়েছিল তবু আমি পড়তে পেরেছিলাম মনিরাপা! গায়ে কাদামাখা একটা টিকটিকির লড়াইয়ের গল্প এখনো আবছা আবছা মনে আছে আমার। পুরান স্মৃতি মনে করায়া দিলেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নিশ্চয়ই বড় ভাই বোন কাজিন বা মামা চাচার কাছে ছিল সে বই !!

আমি তো বছরের শুরুতে বড় ভাই বোনদের সব গল্প কবিতার বই পড়ে ফেলতাম; ইংলিশ গুলো নোট বই দেখে চেষ্টা করতাম, যদিও সব বুঝতাম না। আসলে পড়ার নেশা একটা আলদা জিনিস!
যাইহোক পুরানো স্মৃতি মোবারক! লিখেন লিখেন কিছু স্মৃতি নিয়ে।

ধন্যবাদ আগের লেখা পড়ে মন্তব্য রাখার জন্য; শুভ কামনা।

৬১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
আপনার তো দেখি স্মরনশক্তি তো দেখি ১০০ তে ১০০! মাশাল্লাহ কত কিছুই না মনে আছে আপনার! এত ভালো ভাবে মনে রাখলেন কিভাবে? তাও আবার এতই বিস্তারিত ভাবে........

আপনার এতই ঝলমলে শৈশবের স্মৃতিকথা পড়ার পর দেখি আমি কিছু মনে করতে পারি কিনা! ;)
লেখা খুবই চমৎকার হচ্ছে। আমি পড়ে মুগ্ধ। অফিসে কাজ টাজ বাদ দিয়ে ননস্টপ আপনার লেখা পড়ে যাচ্ছি।
[আমি ব্লগে নিয়মিত হয়েছি মাত্র ৫ বা ৬ মাস ধরে......আর আগের পোষ্ট গুলি না পড়ার জন্য আমি দায়ী নই :P ]

এবারও চমৎকার লাগলো আপনার মেয়েবেলার ২য় পর্বের স্মৃতি গুলি......।
সাথেই আছি, বেশ ভালো ভাবে অবশ্যই। পরের পর্বে গেলাম.........
শুভ কামনা রইল।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একজন লেখকের আনন্দ হচ্ছে আপনার মত পাঠক !!
আমি সত্যি ই অভিভূত আপনাদের আন্তরিকতায় !

ছোটখাট আরও বেশ কিছু গল্প ছিল কিন্তু লেখায় তুলে আনতে গিয়ে তেমন নান্দনিক মনে না হওয়ায় মুছে ফেলেছি। তবে সত্যি সত্যি ই আমার ভালোলাগার স্মৃতি আমি ভুলি না।

আশা করছি এই সিরিজে বেশ ভালোভাবেই পাঠক হিসেবে আপনাকে পাবার পর , দুর্দান্ত ভাবে লেখক হিসেবে পাবো। আপনার শৈশবের সাথে। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় রইলাম।


খুব খুব ভালো থাকুন ! আনন্দে থাকুন ! লেখার সাথেই , লেখায় থাকুন।

৬২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার বিশ্বাস, যে কয়জন পাঠক এই লেখা পড়েছে; সকলেই তাদের শৈশবে ফিরে গিয়েছিল। অদ্ভুত নস্টালজিয়ায় ভুগছিলাম লেখাগুলো পড়ার সময়।

অনেক অনেক ভাললাগা রইল আপু। শৈশবের সারল্যমাখা আনন্দ ঘিরে থাকুক সারাটি জীবন। ভাল থাকুন প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা !
আমার আজকের সন্ধ্যা টা ও আপনার দারুণ সব মন্তব্যে সাজানো; এমন সব মন্তব্য হচ্ছে লেখার প্রাণ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.