নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি

মনিরা সুলতানা

সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ

মনিরা সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিয়াল ফালগুণ

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২১





আনাগত এই ফাগুনে;
উদাস কবি'রা আরও কিছু'টা উদাসীন হোক
উড়ে উড়ে তার শব্দ বসুক শবনম শিউলি ‘র ডালে;
বসন্ত ছুঁই ছুঁই রৌদ্রঝাঝ হাওয়ায় কৌরন্জ কুরচিতে আনুক
উদ্ভিন্ন আবেগ-
উদাসী কবির চিঠি ‘র ডাক’এ ভরে যাক ডাকহরকরার
হলদে ঝাপি -
যে ডাক ইরাবতী রাবি হয়ে ইছামতীর ইচ্ছে কে ও
দোদুল দোলায়-
শতদ্রু সিন্ধু , শীতলক্ষ্যা পূর্ণভবা ,নাফ ও হালদা হয়ে
মেঘ ভাসে বঙ্গ সাগরে।

অগোছালো কবি‘র উদাস রোজকেরে সে ডাকের মায়ায়
টুই টুই টুইট মৌপায়ি মউটুসি আর ডুবডুবা হাঁস ভোলে
তার নিত্য অভিমান -
আভিসার অভিলাষে ,হয় প্রসূন প্রত্যাশী।

ততটা উদাস আর কেমনে বলি !
যদি না বিরহী কবি'র নিঃশ্বাস বাস্পে
বন পলাশে আগুন লাগায়;
ভ্রমর ডানায় ফাগুন বিলায়
শুক্তি জড়ায় মুক্তা প্রেমে
বালির বিষে ,খুব আবেশে ডুব দিয়ে রয়
রুপ সায়রে।

হাওয়ায় আনে দক্ষিণ পবন
স্বপ্ন শালিক দোয়েল ছোটন
লেজনাচানি . ফিঙে জোড়া
বসন্তবৌরি ডাহুক টিয়া ।

কবি’র কি আর পরান জুড়ায় !
হাহাকারে’ই কোকিল ডাকায় ;
দেশি চাঁদি ঠোঁট ,কাঠ কুড়ালি
খঞ্জনা হয় পাড়াবেড়ানি।

উদাস কবি হাত বাড়ালে রৌদ্র জ্বলে
মৌ ভরা বুক মাছি 'র হুলে;
গিরিয়া হাঁস সে যতই গড়াক
হয় কি গাহন, তৃষা বিহন !

তাই তো কবি বাউন্ডুলে
ধারন করে কৌতূহলে
পরজায়ি ভুবন চিল , শঙ্খ
তিলি ,ফিঙে, ফটিক।
দহ জলের আয়নাতে আজ
কিসের ছায়া কিসের যে লাজ !
ডাহুক বকের উষ্ণ ঠোঁটে
বিষাদ ছাড়ায় বসন্ত’তে।

ছোট্ট কীটের ভালোবাসায়
কীটকুড়ানী ‘র নীলাভ আভায়
নি’ঘুম কবি শব্দ দিলে;
উঠবে হেসে ঢেউর বিলে
হাওড় বাওড় পুকুর দিঘী
জলকুন্ড’এ জলের হোলি।

স্বর্ণামতি-’র স্রোতে পৌঁছে যাবে
অনাগত সময়ের আগমনী বসন্ত বার্তা;
আবছায়ে আবডালে অবহেলায় আবেশিত প্রেমি'র হৃদ মাঝারে;
আশোক পারিজাত এর রঙের ডালি ঢেলে প্রস্ফুটিত হোক
বিভোর দলছুট প্রেমের বৃন্দাবন
আতরের গন্ধ খোঁজা আনমনা কবি -
আকন্দ, ভাট আর আমের বউল বিলাসী হলে'ই না
বসন্ত আসে প্রকৃতিতে।



প্রিয় ব্লগার'দের জন্য ছুঁই ছুঁই ফাগুণের শুভেচ্ছা!





কবিতায় আসাঃ-

ফুলের নামঃ-
শিউলি, কৌরঞ্জ /করচ , কুরচি, বন পলাশ, আশোক, পারিজাত ,আকন্দ,ভাট ,ঘাস ফুল

নদী'র নামঃ-
ইরাবতী ,রাবি ,ইছামতী ,শতদ্র্‌ সিন্ধু ,শীতলক্ষ্যা পূর্ণভবা ,নাফ ,হালদা ও সতী-স্বর্ণামতি-ভাটেশ্বরী ।

পাখির নামঃ-
টুই, মৌপায়ি ,মৌটুসি ডুবডুবা হাঁস , শালিক , দোয়েল ছোটন
লেজনাচানি . ফিঙে , বসন্তবৌরি ,ডাহুক ,টিয়া , কোকিল , দেশি চাঁদি ঠোঁট
কাঠ কুড়ালি ,খঞ্জনা, গিরিয়া হাঁস, পরজায়ি , ভুবন চি্‌ল , শঙ্খ ,তিলি ,ফিঙে, ফটিক ,ডাহুক বক , নীলাভ কীটকুড়ানী , ঢেউর

দহ [ daha ] বি.
১. নদী বা জলাশয়ের অতলস্পর্শ ও ঘূর্ণিময় অংশ;
২. ঘূর্ণিজল;
৩. হ্রদ (কালীদহ);
৪. গভীর গর্ত;
৫. (আল.) কঠিন সংকট (দহে পড়া, দহে মজানো)।
[সং. হ্রদ > হদ > (ধ্বনিবিপর্যয়ে)

উদ্ভিন্ন
-প্রকাশিত ,বিকশিত



ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগুল

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

মিথী_মারজান বলেছেন: শব্দার্থ সহ অদ্ভুত সুন্দর মায়াময় এক কবিতা!
সুন্দর মনোরম শব্দগুলোকে একসাথে গেঁথে দারুণ একটা বিনি সূতার মালা বানিয়েছেন আপু।

আপনাকেও অগ্রিম বসন্তের শুভেচ্ছা।
ফুলেল সৌরভে রাঙা থাকুক আপনার হৃদয়ের প্রতিটি কোণ।
ভালোবাসা প্রিয় আপু।:)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মিথীঃ
আমাদের নিজস্ব ফুল ,পাখি ,নদ নদী গুলো র নাম যে কি সুন্দর !! অনেক চমৎকার গাছের ও নাম আছে ,সব তো আনা যায় না আমার পছন্দের কিছু নাম নিয়ে এলাম আমার কবিতায় । সুন্দর মায়াময় হচ্ছে আমাদের সুরেলা ভাষা তাতেই সব মন ছোঁয়া হয়।

আমি তো ভয় পেয়েছিলাম সবাই না আমাকে হাই স্কুলের অকৃতদার হেড মাস্টার না ভেবে বসে ,যে খুঁজে খুঁজে বাচ্চাদের কঠিন সব সারাংশ ভাবসম্প্রসারন করতে দেয় স্কুলে ।

তোমার ভালোলাগা ,ভালোবাসা কাছের করে রাখলাম :)

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

অপ্‌সরা বলেছেন: এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে মুকুলগুলি ঝরে
আমি কুঁড়িয়ে নিয়েছি তোমার চরণে দিয়েছি...
লহ লহ করুণ করে....


টুই পাখি..... এই পাখির নামই শুনেছিলাম আমি আমার বিশেষ প্রিয় এক গল্পে বুদ্ধদেবের সুখের কাছে। সেদিন থেকেই আমার মহুয়া হবার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু মহুয়া শুধু গল্প বা কবিতা বা উপন্যাসেই হওয়া যায়। সত্যিকারের আমার সাথে তার অনেক অনেক প্রভেদ।

আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি সেই আমাদের একটি মাত্র সুখ
তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখি. তাহার গানে আমার নাচে বুক।
তাহার দুটি পালন-করা ভেড়া. চরে বেড়ায় মোদের বটমূলে,
যদি ভাঙে আমার খেতের বেড়া. কোলের 'পরে নিই তাহারে তুলে।
আমাদের এই গ্রামের নামটি খঞ্জনা,
আমাদের এই নদীর নাম অঞ্জনা,
আমার নাম তো জানে গাঁয়ের পাঁচ জনে--
আমাদের সেই তাহার নামটি রঞ্জনা।


মাঝে মাঝে আসে আমার আবোল তাবোল বকার বেলা ...
সেই যে আমার হেলা ফেলা সারা বেলা.... :P

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা ! আহা! অপ্সরা_
আমার অনেক প্রিয় একটা গান ;


হুম আমি যে পড়ুয়া শব্দ কুড়ানি ,আমি ও সেখান থেকেই নিয়েছি টুই ,ডুবডুবা হাঁস ও ;উম্মম্মম মহুয়া আর সুখ !!! বেশ বেশ
একজন কুমার জুটিয়ে নিলেই মহুয়া হওয়া যাবে :P


তুমি সেত তুমি ই আছ ;
আবোলে আর তাবোলে
যেমন বল ,তাই যে মধুর
যদিও বল অবহেলে ;)


শুভ কামনা অপ্সরা ।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসাধারণ আপু। আপনার শব্দের বুনন দেখে বিস্মিত হই! অনেক অনেক ভালো লাগা আপু। বসন্ত আসুক প্রকৃতিতে, বসন্ত আসুক সবার মনে.....

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা উম্মে সায়মা !
তোমাদের চমৎকার শব্দে প্রকাশে ও আমি মোহিত হই জানো !

হুম বসন্ত আসবে প্রকৃতিতে ,কবি'দের মনে বসন্ত না এলে কি করে আসে !!!
আজ কাল ব্লগে দারুন সব কবিতা ,বসন্ত এসে গেছে দেখছি :)


৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কবিরা আটকা পড়েছে ইটের পাঁজরে, পেট চালানো দায় হয়ে গেছে, এরশাদেরা কবিতা লেখাচ্ছে ভাটাটিয়া কবি থেকে

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার ও সেই অবস্থা গাজীভাই !

ইয়ে আমাদের ম্যাডাম ,আপা উনারা কবি ভাড়া নেন না !!! জানেন কিছু ?
নিলে প্লিজ আমার নাম টা রেকমেন্ড করে দিয়েন :)

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক দিন পরেরে আপু-----
সুন্দর একখান কাব্য পাঠিলাম।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম লিটন ভাই বেশ অনেকদিন পর লিখলাম ,বরাবরের মতঃ
অ-লেখক হলে যা হয় আর কি ;)

আপনার পাঠে আমিও ধন্য হইলাম ভাইয়া;
অনেক অনেক শুভ কামনা ।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা, একরাশ মুগ্ধতা।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ধ্রুবক আলোঃ
কবিতায় আপনার মুগ্ধতায় ভালোলাগা ।

ফালগুণের শুভেচ্ছা !

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০১

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কবিতা। খুব ভালো লাগল।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা প্রামানিক ভাই !
অনেক অনেক শুভ কামনা।

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৯

ওমেরা বলেছেন: excellent কবিতা !! ধন্যবাদ আপুনি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওমেরা -
উ আর সো কাইন্ড আপু ; তোমার দরদী মন্তব্য'র জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৯

সোহানী বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইয়ে আমাদের ম্যাডাম ,আপা উনারা কবি ভাড়া নেন না !!! জানেন কিছু ?
নিলে প্লিজ আমার নাম টা রেকমেন্ড করে দিয়েন :)

হাহাহাহাহাহাহা............ তাহলেই হয়েছে =p~ =p~ =p~

ফুল পাখি নদীর কবিতায় ভালোলাগা............

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু আর উপায় কি !!!
আমি ও ইটের পাঁজরে আটকা ,আমার ও কোন চাকরী নাই ;
উনি এত সুন্দর জব এর খোঁজ দিলেন ,তাই আর কি :)


ফুল পাখি খালি করে আমাকে ডাকাডাকি
তাই নদী ফুল পাখি কে নিয়েই লিখি ।

শুভ কামনা আপু ।

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর
পাঠে এবং মন্তব্য কৃতজ্ঞতা;

শুভ কামনা।

১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:



কবিরা চাইলেই যেন বসন্ত নামে--
কবিরা চাইলেই যেন শব্দে শব্দে ঋতু পরিবর্তন হয়-
কবিরা চাইলেই যেন "শীত" বানান ভুল হয়ে যায় "বসন্ত"
ঠিক যেন শাব্দিক বসন্ত।


চমৎকার লাগলো কবিতা।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন:
আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ
চুনি উঠল রাঙা হয়ে।
আমি চোখ মেললুম আকাশে,
জ্বলে উঠল আলো
পুবে পশ্চিমে।
গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম "সুন্দর',
সুন্দর হল সে!


হুম কবি'রা চাইলেই সব হয়;কবিতাতেই হয়।

চমৎকার শাব্দিক মন্তব্য জাহিদ
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব সুন্দর ছন্দময় এই কবিতার মাঝে জীবনবোধকে গভীরভাবে অন্বেষণ করা হয়েছে দেখা যাচ্ছে । জীবনের আশা-নিরাশা, হতাশা-বঞ্চনা উদাসী কবিকে আন্দোলিত করলেও কবি তার কাব্য ভাবনায় সুন্দর সুন্দর অপুর্ব কথা মালায় প্রকৃতি, নদী , ফুল ও পাখীদের কথা তুলে এনেছেন সুন্দরভাবে । নদী, একটি ছোট্ট নাম হলেও কতো গভীর, কতো প্রশস্ত ব্যঞ্জনায় ছড়িয়ে আছে মানুষের জীবনে। শিল্প-সাহিত্যে মানুষের চিত্র অঙ্কন করতে গেলে নদী সেখানে অনায়াসে ছুটে চলে আসে।আমাদের বাংলা কবিতায় নদীর চিত্রল প্রভাব হাজার হাজার বছর আগের শিলালিপিতেও উৎকীর্ণ আছে । অবহটঠ রচনা, প্রাচীন দোহা ও চর্যাপদের কাল থেকেই তা শুরু হয়েছে । তখন থেকেই নদী তার অনন্য প্রভাবে কবিদের মনন জুড়ে অবস্থান করে আসছে, সে উদাসী হোক অআর যাই হোক না কেন ।

মধ্যযুগের বাংলা কবিতার আদি পর্বে বড়ু– চণ্ডিদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে যমুনা ও কালিন্দী নদীর প্রসঙ্গতো অনেকবারই এসেছে। মধুসূদন দত্তের কপোতাক্ষ নদের কথা- সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে। সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে । কবিগুরুও নদীকে টেনে নিয়ে এসেছেন অসংখ্য সাহিত্য রচনাতে, যেমনি গল্পে-উপ্যনাসে- গান তেমনি কবিতায়। নজরুলের কবিতাতেও নদীকে নানান বর্ণনায় দেখতে পাই। তাঁর কর্ণফুলী কবিতায় স্মৃতিময় সত্তায় জড়িত বেদনামধুর ঘটনার কথা বার বার স্মরণে আসে । প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে নদীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ককে নিজের কাব্যানুভূতির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে নদীকে উপলব্ধি করেছেন । উদাসী কবি গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর ছলচ্ছল শব্দে জেগে লিখেছেন / ধানসিঁড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়েছিলাম- পউশের রাতে/ কোনদিন আর জাগবো না জেনে।

আপনার কবিতাতেও দেখা যায় উদাসী কবি কখনো নদীকে জীবনের ছন্দে খুঁজেছেন আবার ছন্দ পতনের মধ্যেও নদীর ধ্বংসলীলার মতোই যাপিতজীবনের ভাঙনের সুরে বেঁধেছেন নদীকে। নদ- নদীকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে ছন্দে, উপমায়, রূপকে, সৌন্দর্যের নানান ভঙিতে চিত্রকরের ভূমিকার মতোই সুন্দরভাবে এ কবিতায় তুলে ধরছেন দেখে ভাল লাগল ।
উদাসী কবিকে পাল তোলা নৌকায় চাপিয়ে ইরাবতি , ইসামতি , নাফ , হালদা প্রভৃতি নদীতে ভাসিয়ে দিলে কেমন হয় তা দেখতে বড় ইচ্ছে করে , কেমন করে সে তখন এত এত নদী নিয়ে সুন্দর সুন্দর কাব্য কথা লিখে :)

এ কবিতায় অসংখ ফুলের সমাহার দেখেও মনে হল উদাসী কবির স্বপ্নিল ভাবনায় ফুলে ফুলে - সুভাসিত হবে জগত। সবুজ আবরণে আবারো ছেয়ে যাবে বসুন্ধরা । একদিন তিমির এ সময় কেটে যাবে নিশ্চয়ই। মানুষের হৃদয়-মনে আবারো প্রজ্বলিত হবে জ্ঞানের আলো। সমাজকে ভালো করতে আবারো ফুলের ঘ্রাণে পুলকিত হবে মানবাত্মা । সেই প্রত্যাশা রাখতেই পারি। জয় হোক স্বপ্নিল এ আশার। সুন্দর হোক আগামীর বসুন্ধরা, পুলকিত হোক হাজারো পাখীর কলতানে ।

এ কবিতায় পাখিগুলিও উঠে এসেছে নানা অর্থে -বর্ণে, নানা উপমায়- ভঙ্গিমায়। কবিতায় প্রতীক হিসেবে অসংখ পাখির কথা যখন আসে, তখন সে পাখি আর হুবহু বনের পাখি থাকে না, অন্য পাখিতে রূপান্তরিত হয়। কবিতায় উদাসী কবির ভাবনায়, পাখি গুলিকে মনে হল অন্য রূপ ধারণ করে, ব্যঞ্জিত হয়ছে সুগভির অর্থে , পাখীর উপমা পেয়েছে অন্যরকম অর্থব্যঞ্জনা । বনের আকাশে যেমন পাখিরা উড়ে তেমনি এ কবিতায় মনের আকাশেও উড়তে দেখা গেল তাদের । খুব সুন্দর ভাবে কবিতায় উড়িয়েছেন পাখীদেরে । পাঠে অনাবিল আনন্দ ও সুখ দুটোই পেলাম একসাথে ।

আর একটি কথা না বললেই নয়। কবিতায় থাকা ডাক হরকরা শব্দটি স্বরণ করিয়ে দেয় বাল্যকালের স্মৃতির কথা । কাধে চিঠির বস্তা , হাতে বর্ষা , বর্ষার মাথায় ঘুংঘুর বাধা , সন্ধায় তাতে হারিকেন জ্বেলে নিয়মিতভাবে একই সময়ে রাস্তায় ছুটে চলা দেখতাম জানালা গলে । সে দৃশ্য এখন আর গ্রামে গঞ্জে নেই, প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে । কবি সাহিত্যিক গন তাদের কথা তুলে ধরেছেন সেই কবে কোন কালে । তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যা লিখেছিলেন ডাক হরকরা যারা রাত্রীর বাধা উপেক্ষা করে ব্রিটিশ ভারতের কোণায় কোণায় ডাক পৌঁছে দিত । সেসব ডাক-হরকরার সংগ্রামী জীবন নিয়ে লেখা সুকান্তের কবিতা রানার এর কথাও মনের পর্দায় ভেসে উঠে ।

রানার ছুটেছে তাই ঝুম্‌ঝুম্ ঘন্টা বাজছে রাতে
রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে,
রানার চলেছে, রানার !
রাত্রির পথে পথে চলে কোনো নিষেধ জানে না মানার ।
দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছোটে রানার-
কাজ নিয়েছে সে নতুন খবর আনার ।

আপনার ছোট্ট এ কবিতায় মনের গহীনে থাকা কত কথাই না উঠে এসেছে অতি সুন্দর কাব্য ঝঙ্কারে, ডাক হরকরার বস্তায় ভরে তা উঠে এসেছে স্মৃতির দোয়ারে । একবার পাঠে তৃপ্তি মিটেনা, তাই কবিতাটি চলে গেল প্রিয়তে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ আলী ভাইঃ
কবিতা ব্লগে দেয়ার সময় খুব করে ভাবছিলাম ,যদি আপনার মন্তব্য ই শুরুতে আসে তো আমাকে অনেক কিছু ব্যাখ্যায় যেতে হবে না;কিন্তু সম্ভাবনা কম বিধায় আমাকে শব্দ কোষ জুড়ে দিতে হয়্যেছে ।

বরাবরের মত চমৎকার বিশ্লেষণ !!! সাথে জুড়ে দিয়েছেন প্রিয় প্রিয় কবিদের প্রিয় সব পংতিমালা অসাধারন লাগলো !
অপূর্ব কবিতার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ পেইন্টিংস এর জন্য ধন্যবাদ ।

খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতির দুয়ার খোলা মন্তব্য ।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: নদী, ফুল, পাখিসহ মনের গহীনে থাকা অনেককিছুই আশ্চর্য সাবলীলতায় বুনেছেন! একরাশ মুগ্ধতা। এছাড়া বলার আর আছেই বা কী?
শুভকামনা সবসময়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব বেশি কিছু না বলেই বেশ বললেন মিঃ বেস্ট ;
শুভ কামনা ।

১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





শব্দেরা নামে ইন্দ্রীয় গাঙপাড়ে ছলাৎছলাৎ! অনুভবে ঢেউ খেলে এপারওপার। বুনোহাঁস পাখি হয়ে উড়ে চলে শব্দিত দহন। বাউণ্ডুলে ঢেউতোলা তরঙ্গ এলোমেলো হয় ফাগুন এলে!


শব্দের সাথে শব্দের মিতালি মন ছুঁয়েছে নোটন পাখির ডানায়। কত কত পাখি আর প্রকৃতির কোলাহলে মনে হল এই কবিতায় কুঞ্জবন আছে। আর তাই সে কুঞ্জবাটিকা প্রিয়তে নিলাম প্রিয় কবি! অনন্ত শুভেচ্ছা! এমন একটি কবিতার জন্যেই দিনটি হল সবুজ, মনটি হলো বন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বলেছেন:
অনেকদিন পর লিখলাম বলেই হয়ত মনে হচ্ছে বহুদিন পর আপনার সাথে মন্তব্য বিনিময় হচ্ছে ;
বেশ কাবিক্য ভাবেই ফিরলেন কবিতা'র মন্তব্যে ভ্রমরঃ
আমি শব্দ জমা করতে ভালোবাসি ,খুঁজে পাওয়া শব্দে বাবুই কুঁড়েঘর সাজাই ;
আপনাদের মন্তব্য গুলো সেখানে বসন্ত সমীরণ হয়ে রয় ।

১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৫২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: স্টেশনে পরে আসলে ট্রেন পাওয়া যায় না, নিমন্ত্রনে পরে আসলে খাবার পাওয়া যায় না, আমার প্রিয় ব্লগার মনিরা সুলতানার ব্লগে পরে এলোও ভালো কোনো মন্তব্য করা যায় না ! সবাই সব ভালো কথা গুলো দেখি বলে ফেলেছে ! মিথি, চা পান না পান ফার্স্ট হবার জন্য হিংসে আপনার ওপর | আর যারা সব ভালো কথা বলে ফেলেছে সবার উপরে রাগ | সবাই আমার কথা বলে ফেলেছে আমি বাকশূন্য ফিরে গেলাম !

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন:

ভীষণ ফাঁকিবাজি মন্তব্য হলো কিন্তু !!!!
"আমি এখন যা বলব আমার আগে বক্তা বলে গেছেন ,আমি এরপর যা বলতাম তা আমার পরবর্তী বক্তা বলবেন ;সুতরাং আমার বলার কিছু নেই "।

অতটা ফাঁকিবাজি আপনাকে একদম মানায় না কিন্তু ;আপনার কেমন লেগেছে শুধু সেটুকু বইল্লেই চলবে ,কেমন !!

১৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,




আসি আসি বসন্তের কাছে নিবেদিত একটি কবিতা ।

বসন্ত এলে কবিকে যে আসলেই উদাসী হতেই হয় !
যে ফুল-পাখি, যে মেঘ নদী তার বন্ধু ছিলো একদিন , তারা তো কোথায় হারিয়ে গেছে আজ !!!!!!!
আজ কোথায় সেই জোনাক জ্বলা রাত; যে রাতের জোনাকআলোয় স্নান করে শব্দেরা হিরন্ময় হয়ে উঠবে !!!!!!
নাফ নদীতে লাশ ভেসে আসে আজ বানের লাহান , সেথায় সুগন্ধী শব্দেরা সাঁতরাবে কি করে !!!!!
গঙ্গা-শীতলক্ষ্যা মরচে পড়ে গেছে সেই কবে , সেথায় পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে যাওয়া কবিতার শব্দেরা শ্বাস নেবে কেমন করে !!!!!!!!!
রৌদ্রঝাঁঝ হাওয়ার বিষাক্ত অবয়বে কবির বুকে যে জমে আছে শ্লেষা । ফিঙে পাখির মতো নেচে তার যে আর গান গাওয়া হয়না !!!!!!!!

ফাগুন নিজে কবিয়াল হয় বটে কিন্তু ফুল-পাখি, মেঘ নদী হারিয়ে একজন কবির যে আর কবিয়াল হয়ে ওঠা হয়না ..........!!!!!!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন ভাইয়াঃ
সত্যি ই কবি'রা আজ বিক্ষিপ্ত মনের মেরামতে ব্যস্ত;
তাই মনে প্রানে চাইছি উদাস কবি আরও খানিক টা উদাসীন হোক ,প্রকৃতিতে আনুক ফাগুনের হাহাকার, হয়ে উঠুক কবিয়াল ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম পোষ্ট।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন:

অনেক অনেক ধন্যবাদ নুর!
শুভ কামনা।

১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বসন্ত বাতাসে সইগো, বসন্ত বাতাসে
আমার বাড়ির আঙিনায়........................

দারুণ।

কবিতার শেষে ফুল, নদী, পাখির নামের বর্ণনা দেওয়ায় ভাল হয়েছে। কারো মনে আর কোন শব্দ খটকা লাগবেনা।

আগমনী বসন্তের শুভেচ্ছা।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন:

ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার;
চমৎকার কবিয়াল গানের জন্য এবং লেখায় আপনার ভালোলাগা প্রকাশের জন্য।

আসলে আমি নিজে ও লেখার সময় সামনে উইকিপিডিয়া'তে দেশিয় ফুল পাখি নদী র নামের পাতা খুলেই রেখেছিলাম ;অত অত নাম তো মনে রাখা বা চেনা অসম্ভব। ঠিক সেই চিন্তা থেকেই শব্দ কোষ।

আপনার জন্য ও শুভেচ্ছা ।

১৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: নদী-পাহাড়-পাখি-গহীন বিটপী সাধারণ মানুষকে উদাসী কবি বানাতে পারে। আপনার এই চমৎকার 'দুলদুল দুলুনি'র মতো নদী-পাখি-ফুলের ছোঁয়া হৃদিতে অাগত ফাগুনের দোলা দিয়ে গেল।

অসাধারণ বহি:প্রকাশ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় আপনার এমন সব চমৎকার ছন্দের মন্তব্য ,আমাকে লেখায় অনুপ্রেরণা দেয়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ কবিতায় ভালোলাগা প্রকাশের জন্য ।

২০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

আটলান্টিক বলেছেন: আগেও একবার বলেছি।এখনো বলছি ড: আলী যে এতো বিশাল বিশাল মহাভারত টাইপ মন্তব্য করে উনার কি হাত ব্যাথা করেনা? #:-S

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার অতটাই উদ্বেগ আসলে একেবারেই বিফলে যাচ্ছে আই গেস 8-|
আপনি একটু কষ্ট করে উনার লেখায় মানে যথাযথ যায়গায় উদ্বেগ প্রকাশ করুন ,আশা করছি আপনার এতখানি ভাবনা লেখকের ভালো লাগবে।

আপনি বরং শুরু থেকে আমার লেখা টা পড়ে আসেন ,তারপর কিছু ভালো মন্দ বলেন ।

২১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাসন্তী আঁচে চমকে উঠে মন
ভুলে যাওয়া ক্ষন, কত স্মৃতি
তাজা হয়ে ওঠে মনকেমন করা হু হু হাওয়ায়
কারনহীন উদাসীনতায় ম্যাড়ম্যড়ে শরীর মন!

ঝড়া পাতার ইচ্ছে মতো উড়াউড়ি
ঝাঝাল রোদে কি জানি কি শুন্যতায় তাতালো মন
হৃদয় গহনে চাতক তৃষার এক ফোটা জল তিয়াস,
পূর্ণিমা আনে হাহাকারের জোয়ার !

উদাস দুপুরে কাঁচঝড়া রোদেলা ক্ষন
কুহু কুহু ডাকে উথলে ওঠে সহসা
মুচড়ে ওঠে বুকের ভেতর প্রিয় মূখ
অকারণ হারিয়ে যাওয়া হারানোর যাতনায়!

আপনার কবিতা পড়ে আপনাতেই মনে এলো। তাই মন্তব্যেই লিখে ফেললাম ।
মনে ফাল্গুনের আঁচ ধরিয়েই দিলেন কবি :)

কবিতায় মুগ্ধ ভালো লাগা
++++





১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা !! ফাগুনের আঁচ কবি'র মনে এসেই গেলো !!!
দেখেছেন তাতেই এত দুর্দান্ত এক কাব্যিক মন্তব্য !!! ধন্যবাদ ধন্যবাদ ।

ঠিক দেখবেন দু একদিনের মাঝেই প্রকৃতিতে ও বসন্ত চলে আসবে ;ক্যাবল কবিমনে আসার অপেক্ষায় ছিলো ।

২২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: কবিতা পড়িয়া আমি অতীব মুগ্ধ!! ;)

লাইক প্রদান করা হইল আপু। :-B

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা রে !!!
না জানি কত্ত কত্ত কস্টই হইলো আমাদের বাদশা'র ।
থাক থাক আর কষ্ট করে মন্তব্যে জানাতে হবে না ,আপনার লাইক প্রদানেই আমি বুঝিয়া নিব।

এক কাজ করেন ঘন্টা দুই ঘুম দেন এত এত টাইপিং এর কষ্ট ।

২৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এতো পাখি আর নদীর নাম নিয়ে কবিতা লেখায় বুঝা যাচ্ছে কবির মনে ফাগুনের আগুন লেগেছে.........ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম আপু।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সাদা মনের ভাইঃ
আপনার ছবি আর প্রকৃতিতে ও বসন্ত আসুক ,সেই শুভ কামনা :)

২৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: আহা মনিরা সুলতানা বাংলা ফুলের সব নাম দিয়ে আবার আবেগ মথিত করে দিলে ভাই। বসন্ত আসবে ফুল ফুটবে। তবে এ সময়ে ঐ নামের ফুলের মাঝে আমের বোলের ঘ্রাণের অভাব রয়ে গেল। যেমন আমার চারপাশে এখন ফুলের অভাব। সে দুঃখবোধে সেদিন গোলাপ দিবসে লিখেছিলাম, "ওখানে বসন্ত আসছে/এখানে তুষার ঝরছে/গোলাপ কোথাই পাই/হাউ এ্যবাউট আমিই/গোলাপ হয়ে যাই/তোমাকে দিব বলে""। আমার অনুভুতিতে মনে হয় না কবিরা শুধুই উদাসী হয়ে থাকবে। কবি নিজেই ফুল হয়ে ফুটবে। পাখি হয়ে উড়বে। নদীর স্রোতে গা ভাসিয়ে যেদিক খুশি ছুটবে। বসন্তকে আলোয়ান করে গায়ে জড়িয়ে রাখবে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন বলেছেন তো আপু " "ওখানে বসন্ত আসছে/এখানে তুষার ঝরছে/গোলাপ কোথাই পাই/হাউ এ্যবাউট আমিই/গোলাপ হয়ে যাই/ " আপনি তো আমাদের ব্লগের গোলাপ বাগানের চমৎকার এক গোলাপ'ই ।কি সুন্দর করে লিখেন ।

আপনি বলার পর সত্যি সত্যি 'ই আমের বউল কে মিস করছি ;দেখি একবার দেখে নিয়ে ওকে ও নিয়ে আসব কবিতায় ।
হুম আপু উদাস কবি 'র পুস্প বিলাসিতায় প্রকৃতিতে বসন্ত আসবে ।


অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য ।

২৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

আটলান্টিক বলেছেন: আহা দু:খিত আগের অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যের জন্য :(
আপনার লেখা নিয়ে তো নতুন কিছু বলার নেই :)
চমৎকার লিখেন :) :)
এখন চা দেন।ঠাণ্ডা চা :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা আহা কি সুন্দর বলতে জানেন আপনি ;
মন ভালো করে দিলেন ।
শুভ কামনা ।

২৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

সামিয়া বলেছেন: ফুল ছবি কথা কবিতা সবকিছুতে ভালোলাগা।।

অসাধারণ আপু।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সামিয়া ;তোমার ভালোলাগা প্রকাশ অনেক আদরে রাখলাম ।

২৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: তোমার কবিতায় প্রকৃতি ভিন্নভিন্ন চেহারায় বারবার হাজির হয়। প্রতিবারই ভালো লাগে। +

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আর তুই যেভাবে ,যা নিয়েই লিখিস আমার ভালোলাগে ।

২৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রথমেই বসন্তের শুভেচ্ছা আপু।
কি অবলীলায় বসন্তের কবিতা লিখে গেলেন ভেবেই অবাক হচ্ছি।
আপনি কিন্তু খুব কম লেখেন।আশা করি এভাবে সুন্দর সব লেখা নিয়ে আমাদের সামনে নিয়মিত হাজির হবেন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল -
আপনাকে ও আগমনী বসন্তের শুভেচ্ছা ; আপনার মন্তব্যের আন্তরিকতা মন ছুঁয়ে গেলো ।
শুভ কামনা ।

৩০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পহেলা ফাল্গুন


আজ বসন্তের প্রথম দিন
ফুল ফুটেছে ,পাখীও গাইছে
বসন্তের এই মাতাল সমীরণে ।
- পল্লী কবি জসিম উদ্দিন

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফালগুণের শুভেচ্ছা আলীভাই !!!!!
আনন্দ বার্তা আসুক প্রকৃতির সাথে মনে ও ।

৩১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: দারুন কথা গুলো । বেশ ভালো লাগলো ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নূর !!
ফালগুণের শুভেচ্ছা :)

৩২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




যেন দশম শ্রেণির পদ্য বইয়ের একটা কবিতা পড়লাম !

বসন্ত ভরা ফাল্গুনীয় কবিতা । বেশে লেগেছে ।
ফালগুনের শুভেচ্ছা ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কথা -
আপনার জন্য ও বসন্তের শুভেচ্ছা ।

৩৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আচ্ছা অধিক শোকে পাথর হতে পারলে অধিক মুগ্ধতায় মানুষ মৌন হতে পারবে না ! আপনি এমন সুন্দর করে লিখলে আমার কি ভালো লাগায় কিছু দিন চুপ থাকতে ইচ্ছে করেতে পারে না ? ভালোলাগার মৌনতা ভেঙে যা বলতে ইচ্ছে করেছে তা হলো বসন্তের বর্ণিল রঙ, রস,শব্দ,বর্ণ,কাকলি কুজন, বয়ে যাওয়া নদীর কলতান সব বুঝি এসে লিন অনবদ্য বসন্ত বন্দনার আপনার এই কবিতায় | আবারো মুগ্ধতা জানালাম কবিতায় |

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ মুগ্ধতায় পাথরের মৌনতা ভাঙল তাহলে !!!
হুম পাঠক রা যদি ভালোলাগায় চুপ হয়ে যায় ,তাহলে লেখক দের ও লেখা চুপ হয়ে যাবে যে ; পাঠকদের ভালোলাগার প্রকাশ ই লেখার ফুয়েল জানেন তো !!! হু সে আপনি নিজেও অবশ্যই অনেক ভালো জানেন ;অত দারুন লেখক তো আপনি নিজেই ।

কবিতায় মুগ্ধতা কাছের করে রাখালাম ।

ফালগুণের শুভেচ্ছা ।

৩৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

নীলপরি বলেছেন: এবারে ফাগুন কখন যে এলো তা টের পাইনি। বলা যায় সেই অবস্থায় নেই। আজ কবিতা পড়ে কিছুটা অনুভব করলাম।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন:

সেই অবস্থায় নেই মানে !! আপনি ভালো আছেন তো !!
অনেকদিন পর পেলাম নীলপরি ;
দেরীতে হলেও ফাগুণ এলো ,তাই বা কম কিসে !

ধন্যবাদ কবিতা পাঠে এবং মন্তব্যে ।
শুভ কামনা ।

৩৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগে যুক্ত হওয়ার আগে এই ব্লগটি পড়েছিলাম। তাই নবাগত হিসেবে পুর্বে পঠিত ব্লগটিতে ভালোবাসা রাখলাম। অসাধারন কথাময় সন্মোহন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় এবং ব্লগে স্বাগতম সঞ্জীব ব্যানার্জী!
আপনার বলা এই চমৎকার তথ্যটি আমাকে মুগ্ধ করলো !!!!!
পাঠক মন্তব্য না করলে ও পাঠক ,লেখকের অতি আপন জন !!

কথার সম্মোহন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হোক।

৩৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছুঁই ছুঁই ফাগুণের কবিতা পড়ে আষাঢ়েও বিমোহিত হ'লাম। কবিতায় ভাল লাগা + +
অনেকগুলো মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে। প্রতিমন্তব্যের সংখ্যটা একটু বেশী। সেগুলোতে 'লাইক' +
ফুল, নদী, পাখি সব কিছুর উল্লেখই মনে রেখাপাত করে গেছে। স্বর্ণামতী আমার এলাকার একটি নদীর নাম। বর্তমানে মৃতপ্রায়, এক কালের ভরানদী স্বর্ণামতী'র স্মৃতি স্মরণ করে অনেক কথাই মনে পড়ে গেল!


০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ!!
স্বর্নামতী আপনার নদী!!! কী যে সুন্দর নাম !! আমি বারবার মোহিত হই।
এই ব্লগেই বাংলাদেশ’র নদীর নামের একটা সিরিজ ছিলো,পোস্ট পড়ে এত ভালোলেগেছিলো যে , মনে ভেবেছিলাম কিছু নাম নিয়ে লিখবো।
আপনার যত্ননিয়ে পাঠ এবং দরদী মন্তব্য সব সময় উৎসাহ হয়ে থাকে।


( “বাচ্চাদের ছুটি শুরু আমার ছুটি শেষ”এমন এক পরিস্হিতিতে ব্লগে সময় দেয়া কমে গেছে , বিধায় মন্তব্য প্রতিউত্তরে সময় নিলাম।আশা করছি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.