নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
শ্রাবণে পথচলায় আনন্দ রেশ থাকে, চিটচিটে ঘাম, রাস্তার ভেপেউঠা আঁচ অথবা আচমকা এক গাদা জমে থাকা জল। এ সবকিছুই বিরক্তি ছোঁয় ঠিক কিন্তু স্পর্শ করতে পারে না আমায়। পাশে থাকা জীবনের রঙ নিয়ে সাজা সবুজের ঝাঁপির উদারতায় আমি সিক্ত হই, ধন্য হই, আপ্লুত হই। আচ্ছা একটু এগিয়ে যদি ধানক্ষেতে বাতাসের দোলা থাকে তাতে ও কেউ অবজ্ঞা করতে পারে দিগন্তজুড়ে থাকা আনন্দ কে !
আমাদের এই ছোট্ট শহরের আলদা কোন বৈশিষ্ট নেই,অনান্য সব মফস্বলের মত এখানে ও ভোর হতেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে গোয়ালা রা সকালের ঘোল বা মাঠা নিয়ে বসে, ফজরের নামাজ শেষে প্রাতঃভ্রমন সেরে কেউ কেউ দই মাখন নিয়ে বাড়ি ফেরে। ততক্ষনে পৌর কর্মীদের পরিছন্নতা শুরু হয়ে যায়। আশে পাশে শুরু হয় চুলোর কয়লা উঠানোর কাজ,চায়ের সুবাস আর পরোটা ভাজার ডালডা মৌ মৌ গন্ধ।
শৈশবে আব্বা মাঝে মাঝে আমাকে হাঁটতে নিয়ে যেতেন, ঘুম ভাঙা প্রজাপতি আমি ছুটেছুটে চলতাম আগুপিছু আর সঞ্চয়ে রাখতাম জীবন সঞ্জীবনী। কোনকোন দিন ফুলচুরির নেশায় কাকডাক ভোর নিঃশব্দে পারি দিতাম অবেলায়। আজ এই আমি রুপার তেমনি একটা দিন হয়ত আজই শেষ দিন। পারব আর এভাবে এই ভীষণ কোলাহলে জেগে উঠার আগ মুহূর্তের প্রিয় যায়গাটাকে দেখেতে? নাকি মেজো আপার মত আমাকেও কুঠরির মাঝেই জীবনের শেষ চিতায় উঠতে হবে,জ্বলতে হবে?
আমরা কেউ জানি না, রান্নাঘরের কোন চুলাটায় সেদিন আপার নামের আগুন জ্বলে উঠেছিলো, অন্তরের যাতনা বেশি ছিলো নাকি শরীর কয়লা হবার যন্ত্রণা? কেবল দুইবাড়ি দূরত্বে বসে জেনেছিলাম কলেজ শিক্ষকের ভীষণ শান্ত লক্ষ্মীবধু’টি আর নেই। আমাকে আগলে রাখার শান্ত চোখের বট বৃক্ষটি নেই।
দেবাশিসের জন্য কয়েকটা দোলনচাঁপার ঝাড় করেছিলাম এই বর্ষায় তা পেখম মেলেছে, ছুটি যে হয়নি তাই আর ওকে নৈবদ্য দেয়া গেলো না। গোলাপের রঙ ও আজকাল একটু পাংশুটে ওর বাগানের ই ডালছাটা জাতের গোলাপ। আজ পথে নামার আগেও কানপেতে ছিলাম প্রতিবেশীর শেষ ঘরটায় হয়ত বেজে উঠবে "যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে "। এটুকু তো জানাই ছিলো ওর ছুটি হলেও আমার ছুটি মিলবে না এ নিয়মাতান্ত্রিক সংসারে।
বড়বোনের মেয়েটার মন টা অনেক নরম ওর জন্যই পেরেছি আজ এই শেষ পথবিলাসে নামতে, পায়েতে শৃঙ্খল কেটে পড়ে নিয়েছি তিন ঝুমকার সেই রুপালী মল। মেজো বোনের অঙ্গার হওয়া আত্মা ও আমাকে বাঁচাতে পারলো না।
ভগ্নীপতির সাথে আজ আমার বিয়ে।
বড় রাস্তা শেষ হয়ে খোয়া রাস্তায় নামতেই আমাতে প্রসন্ন প্রকৃতি। খালাম্মার উঠানে ফেলা উলটা পিঁড়ি ও আজ শ্রাবনের ঢল বুঝি আঁটকাতে পারে নি। এই শ্রাবনেই ধুয়ে যাক ভেসে যাক কলঙ্ক, মুছে যাক বুকের গভীরে থাকা দেবাশিসের ঘামের গন্ধ গালের কান্নার দাগ! মিলেমিশে একাকার বৃষ্টি আর কান্নার জল।
ঐ যে সামনে টলেটলে দিঘী! ব্যাস ঐটুকুই পথ এরপর মুক্তি!কৃষ্ণ জলে গাহনে আজ জুড়াবো প্রান
পাঠকের জন্যঃ
লেখকের প্রতি'টি লেখা নিজের হয় না,লেখক'রা সব সময় শব্দ,গল্প কুড়ায়।এরপর পাঠকের জন্য নিজের মত করে সাজায়।
গল্প'টা বাংলাদেশের একপ্রান্তের এক তরুণী রুপা'র গল্প।কিছুটা শোনা অল্প একটু দেখা-
এক সময় আমার চাকরির সুবাদে আমাকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ,উপজেলায় আবার কখনো একেবারেই ছোট গ্রামে যেতে হয়েছে।সেখানে অনেক অনেক আনন্দ বিষাদের মুখের গল্প আমার কাছে জমা আছে,মাঝে মাঝে ভাবি তুলে আনব পাতায়,আবার কস্টের গল্প বলতে ভালো ও লাগে না।
হয়ত একদিন সাবিনা,আন্না ,পারভীন,রুপা সবার গল্প'ই আপনাদের বলে দেবো।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহা খেয়াল করছেন দেখি
আপনার লেখা ওপেন করে লাইক দিয়ে পড়া শুরু করতেই ,কল আসছে একটা।তারপর আর কি গল্পের ঝাঁপি -
প্রথম স্থান অধিকার করিয়া মুখ উজ্জ্বল করার জন্য অভিনন্দন ভাইয়া
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাল লাগলো।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই!
লেখায় সবসময় আপনার উৎসাহ হয়ে থাকা,আমাকে আনন্দিত করে।
অনেক অনেক ভালোথাকার শুভ কামনা।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:
নীরা আপা!
তোমার বিচার আছে!
একি কঠিন লেখা? হুম??
লেখা পড়ে মাথা হট?
জবাব চাই চটপট!
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চটপটি ঝালপেটি
খেয়ে মাথা গোল্লা
লেখায় যে জাদু আছে,বানানে'ও ভুল আছে-
সেসবেতে মন নেই,মন শুধু কালা ভুনা
চীনে স্যুপ নানরুটি
আর তিতে করল্লা।
প্রতিক্রিয়া ভাই আপনি লেখকের নাম পড়েই কঠিন বলছেন,আমার কাছে তথ্য আছে
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
কাইকর বলেছেন: সুন্দর
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন!
আশা করছি ভালো আছ!
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
নাজিম সৌরভ বলেছেন: এতো কঠিন করে লিখলে হবে আপু? বিষাদের অনুভুতি কি আরেকটু সহজ হলে ভালো হত না? যেটুকু পড়েছি মনে হল খুব কষ্টের মহাকাব্য, এটা কি শুধু নারীদের জন্যই লেখা?
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহা-
খুব হত বেশ হত আরও একটু সহজ করে লেখায় যেত;
লিখলেই হত 'ইহা একটি বিষাদের অনুভুতি বিষয়ক লেখা ,প্লীজ আপনারা একটু কষ্ট মলিন মুখে পড়বেন।
এক পাতায় মহাকাব্য!!!
সাহিত্যের দুর্দিন তাহলে চলেই এসছে
শুধু নারীদের জন্য কোন লেখা হয় ? নারীদের আনন্দ কষ্ট সব তো সবাইকে নিয়েই।তাই নয় কি!!
ভালো থাকবেন,আমার লেখায় আপনার ভ্রমন আনন্দময় হোক।
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন খারাপ করা লিখা।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম কিছু'টা -
কিছু গল্প আছে ,সবাই কে ছুঁয়ে দেয়।
ধন্যবাদ লিটন ভাই।
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নষ্টালজিক?
ফেলে আসা জীবনের কষ্টগুলো জাবর কাটা? ......কি বলা যায় একে?
কষ্টের সাথে সুখের স্মৃতির রোমন্থনও খুব প্রয়োজন। কঠিন করে লিখেছেন। তাই আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে এ'টুকুই ঢুকলো!
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নস্টালজিক,ফেলে আসা জীবনের কষ্ট!! সেসব 'ই বলা চলে-
তবে আমার জীবনের নয়।
কষ্টের সাথে সুখের স্মৃতির রোমন্থনও খুব প্রয়োজন দারুন বলেছেন তো!!!
স্মৃতির রোমন্থন আমার কাছে সবসময় 'ই আনন্দের! তবে আমি স্মৃতিকাতর নই।খুব কঠিন কিছু হয় নি ভাইয়া,ভাষা তো সহজ।
তবে আমি শব্দ কম খরচ করে লিখেছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া,শুভ কামনা আপনার জন্য।
৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৬
অচেনা হৃদি বলেছেন: সামুর বয় বৃদ্ধার ব্লগে কিশোরী মনের বিধুরতা। অনুগল্পের মাঝে উপন্যাসের ছায়া। অপূর্ব! ++++
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ এক যন্ত্রণা বটে -
মন কিছুতেই কিশোরী আমি তে ভুলতে দেয় না।
আপনার চমৎকার মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোলাগা অচেনা হ্রদি
প্রশংসা এবং ++++ এর জন্য ধন্যবাদ।
৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
আখেনাটেন বলেছেন: কি অসাধারণভাবেই না ফুটে তুলেছেন গ্রামের মতো মফস্বল শহরের চিরতরুণ রূপরস!! পড়তে গিয়ে একটি আচ্ছন্নতার ভাব চলে আসে। আমাদের শৈশবগুলোও কেটেছে এরকমই পরিবেশে আপনার ভাষায় 'সবুজের ঝাঁপির উদারতায়'।
সাটল একটি হাহাকার মিশে গেছে লেখার পরতে পরতে।
ভালো লেগেছে।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রুপা’র গল্প’টায় হাহাকার ছিলো, সেটুকু আনতে চেয়েছি লেখায়।পাঠক’কে ছুঁয়ে গেলে কিছুটা স্বার্থক ভেবে নিতে পারি।
আপনার চমৎকার মন্তব্যে আবেশিত হলাম ভাইয়া!
লেখার পাশে সব সময় উৎসাহ হয়ে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কথামালা অসাধারন লেগেছে।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক লাইনে দারুন করে ভালোলাগার প্রকাশ করে গেলেন!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহাদাত হোসাইন।
১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল আপু।
মন খারাপ করে দেওয়ার মত একটা লেখা।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলে কি জানেন মোস্তফা সোহেল!
আমাদের কাছে পাশে এমন অনেক বিষন্ন গল্প ছড়িয়ে আছে।
আমার জানা কিছু ভাবছি লিখবো সময় করে।
পাঠে এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
সিগন্যাস বলেছেন: এটাতে কোন শ্রেণির মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না । আসলে আমি পুরো পোষ্টটাই বুঝি নাই । ইহা কি স্মৃতিচারণ নাকি গল্প তা এখনো মাথায় ঢোকেনি
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা
আপনার সততায় আমি মুগ্ধ !!!
আর আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর পোস্টের শেষে পাঠকের অংশে দিয়েছি।আশা করছি দেখে নেবেন।
পাঠে ও মন্তব্যে ধন্যবাদ রইলো।
১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
ওমেরা বলেছেন: আপুনি ঘটনা কি ? ——— বুঝার চেষ্টা করছি ।
আপনি কেমন আছেন ? আপুনি দেশে কেমন বেড়ালেন সে গুলো নিয়ে লিখেন পড়ার অপেক্ষায় আছি ।
ধন্যবাদ আপুনি ।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা তুমি চেষ্টা করেছ,তাতেই আমি ধন্য! পরেরবার ঠিক বুঝিয়ে লিখব।
এবারের ঘটনা তেমন কিছু না,খুব সাধারন এক মেয়ে'র গল্প লিখেছি।দেশে এসেছি কিন্তু কোথাও তেমন যাওয়া হয় নি,প্রচন্ড গরমে।সো লিখতে গেলে কোথায় কিভাবে জ্যামে বসেছিলাম সেসব ই লিখতে হবে।আছি বেশ কিছুদিন দেখি লেখার মত কিছু অভিজ্ঞতা জমা হয় কিনা।
অনেক অনেক শুভ কামনা তোমার জন্য।
১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার আপুর মনেযে একথা ছিল লেখা তা যদি জানতুম আগে.....
গদ্যময় জীবন হয়ো উঠুক ছন্দময়, এই মম কামনা।
অন্তরের অন্তস্থল থেকে রেখেগেলাম মুগ্ধতা ও শুভকামনা। ++++
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ কাব্যিক মন্তব্য পদাতিক চৌধুরি ভাই!
আপু'র মনে কথার মহাকাব্য আছে কিন্তু সেসব পাতায় আনা ই মুশকিল;অত অত শব্দ ভান্ডার নেই।
আপনার জন্য'ও শুভ কামনা।
১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
পোস্ট ভাল লাগলো। পাঠে আনন্দিত। অভিনন্দন।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাকে লেখায় পেয়ে খুব ভালোলাগলো নতুন নকিব !
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর এলেন!!!
ভালো আছেন।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম আজকাল ব্লগে একটু বিরতিতে আসতে হচ্ছে,আলহামদুলিল্লাহ ভালোআছি।
শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ
১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পড়লাম আপা, মন খারাপের গল্প। ভালোবাসার মানুষ দেবাশীসকে ভুলে রুপাকে তার মেজো বোনের স্বামীকে বিয়ে করতে হয়েছে। বোনের মেয়েটার প্রতি মমতার জন্যই রূপা এই শেষ বিলাসের পথে নামতে পেরেছে। কিন্তু কেন মেজো বোন আগুনে পুড়লো (?) ; আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা প্রশ্ন রয়ে গেলো। আবার শেষ লাইনে- 'দীঘির জলে মুক্তি' বিষয়টা তো একটা আশঙ্কার চিন্তা জাগিয়ে গেলো ! এমন ইচ্ছেই থাকলে শৃঙ্খলিত রূপোর মল পরার কি দরকার ছিল ? আর যদি আশঙ্কা ভুল হয়- তবে তো লেখায় .....।
আপা, আপনার তিন নম্বর মন্তব্যের উত্তর দেখে একটু সাহস করে বলি, সত্যি বানান কয়েকটা ভুল আছে, যেমনঃ- সাঁজা- সাজা, বঁধু- বধূ (বঁধু মানে বন্ধু)। আরও কিছু আছে। আর যদি আপা বিরাম চিহ্নগুলো ঠিকমত বসাতেন পড়তে আরাম হত। পরিশেষে বলি, আপনার কাব্যিক ভঙ্গিমায় লেখা কথামালা মনকে ভাবতে বাধ্য করে। নিশ্চিতভাবেই আচ্ছন্ন করে ফেলে। বারবার পড়তে হয় এবং দৃশ্যকল্পে হারিয়ে যেতে হয়। অনেক শ্রদ্ধা এবং শুভকামনা নেবেন আপা।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মেজো বোনের চলে যাওয়া রুপা একদম মেনে নিতে পারেনি;পরিবার থেকে বলা হয়েছে দুর্ঘটনা কিন্তু রুপার ধারনা এটা ছিলো আত্মহত্যা'য় বাধ্য করা বা প্ররচিত করার সমতুল্য।সমাজের চোখে আদর্শ একজন,চিৎকার করে বলে ও কাউকে বোঝাতে না পারা,আবার তার সাথেই জীবনের বাকি পথ পাড়ি দেবার মত শাস্তি!
দীঘির জলে রুপা মুক্তি পেতেই চেয়েছিলো,বোনের মেয়ের মমতা তাকে এ বাঁচায়।আর রুপোর মলে'র শৃঙ্খল সে চেয়েছিলো কেবল ই দেবাশীসের ভালোবাসার।সে শৃঙ্খল সহ ই সে মুক্তি চেয়েছিল।
বানান আর বিরাম চিহ্ন আমার দুর্বলতা, কাটিয়ে উঠার চেস্টা করব।
ধন্যবাদ হরিনী চমৎকার গঠন মূলক মন্তব্যের জন্য! শুভ কামনা অনিঃশেষ।
১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আরেকবার পড়লুম, এবার কিছুটা বুঝেছি
এটা কি গল্প? না সত্য ঘটনা?
নিরা আপার ভয় নাই,
গদ্য লেখা আরো চাই।।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মনিরা আপা লিখতে ভয় পায় না ভয় পায় বানান ভুল আর বিরাম চিহ্ন'র সঠিক ব্যবহার কে।কেউ যদি সেসব ঠিক করে নেবার দায়িত্ব নেয়। অবিরাম লিখে যাব।
ঘটনা কিছুটা সত্য'ই সাথে কল্পনার মিশেল।
১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কৃষ্ণ জলে এরকম কত শত বেদনার কথা লিখা কে জানে?
নাকি এরকম বেদনারে ঠাই দিতে দিতেই সে জল কৃষ্ণ রুপ ধরেছে! কে বলবে!
জীবনটা এমন কেন???
পোষ্টে
+++
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী দারুন বলেছেন !!! আপনি জানেন এমন কৃষ্ণজল আমাকে সব সময় এমন কথা ই মনে করায়।মনে হয় শতাব্দী থেকে চলে আসা বেদনার মহাকাব্য ধারন করে আছে এই তালপুকুর।
জীবন টা অনেক সময়'ই এমন,আবার সব ফেলে ঠিক ঠাক গুছিয়ে নিয়ে লাইফ ইজ বিউটিফুল বলা ও জীবন।কেউ কেউ অবলম্বন পেয়ে যায়,কেউ পাবার আশায় জীবন কাটিয়ে দেয়।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বিদ্রোহীভাই।
২০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
নীলপরি বলেছেন: উপস্থাপনা ভালো লাগলো ।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি নিলাঞ্জনা।
শুভ কামনা
২১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,
পড়তে গিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে ঠিকঠাক বুঝে উঠতে । যে প্রশ্ন জমা হয়েছিলো , দেখি তা আগেই চঞ্চল হরিণী করে গেছেন । আবার , যার বউ আগুনে পুড়ে মরে তার সাথে তার শালীর বিয়ে হলে এটাই ধরে নিতে হয়, আগুনে পোড়াটা
নিছক একটি দূর্ঘটনা । কোনটা বুঝবো ?
আর লেখার প্রসঙ্গে বলতে হয় , চলনসই ।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দুঃখ প্রকাশ করছি পাঠ বিড়ম্বনার জন্য।
সমাজের এই ধরে নেয়া'টা ই বড় প্রশ্ন ভাইয়া!!মুখোশের আড়ালা কত কত ঘাতক লুকিয়ে আছে আমাদের পাশে পাশে আমরা সবাই কে চিনি ও না।
আপনার মন্তব্য সবসময় আমার লেখাকে শুদ্ধ করে,অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
২২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৬
শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার লেখা, খুব ভালো লাগল।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ শামচুল হক ভাই!
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২২
রাকু হাসান বলেছেন: বাহ,অসাধারণ উপস্থপনা ,খুবই ভাল লাগলো , শ্রাবণ মাস চলছে ,তাই বর্ণণাটাও বেশি ভাল লাগলো ,আরও বেশি লিখুন ,পড়তে চাই আপু । এমন লেখা পড়তে আমার খুবই ভাল লাগে ।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব ভালোলাগলো আপনার আন্তরিক মন্তব্য!
ধন্যবাদ আপনাকে লেখার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখকরা সব সময় শব্দ কুড়ায়, গল্প কুড়ায়।
লেখকরা সব সময় লেখে, মনে মনে লিখে। জীবন দেখে লিখে, কল্পনা করে লিখে। লেখার ভেতর জীবন ফুটিয়ে তুলে!
২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখকরা সব সময় শব্দ কুড়ায়, গল্প কুড়ায়।
লেখকরা সব সময় লেখে, মনে মনে লিখে। জীবন দেখে লিখে, কল্পনা করে লিখে। লেখার ভেতর জীবন ফুটিয়ে তোলে!
দারুন বলেছেন!! একদম লেখকের মত করেই বলেছেন।
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো।
২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সবাই সবকিছু বলে দিয়েছে! আমি আর কি বলব! আপনার লেখার ওজন মাপার মত যোগ্যতা এখনো হয়নি! শুধু বলি প্রিয় কবি এ এক ভিন্নতর লেখনী! আপনার কাব্যে প্রেম থাকে। এই লেখায় যা পেলাম তা এবসার্ড মনে হল! তবে যাই হোক, শৈল্পিক উপস্থাপনায় নান্দনিকতার সাথেও যে কিছু কষ্ট দুঃখ বিরহের পাতা বর্ণনা করা যায় তার উদাহরণ পেলাম! লেখাটি পাঠে মন খারাপ হয়েছে। কোথায় যেন এক বিরহের সুর প্রথম থেকে শেষতক ক্রমবর্ধমান হারে বেজে গেছে! এক মুমূর্ষু সমাজে এক নারীর বিলাপ সমস্ত ইন্দ্রিয়জুড়ে আক্ষেপ আর ঘৃনার আগুন ছড়িয়ে দিল। এভাবেই কত নারী যে সেজেগুজে হাসিমুখে নিজেদের স্বপ্ন বিলিয়ে দিয়েছে তার ইয়াত্তা নেই! জীবন সাগরে ওরা হারিয়ে গেছে জীবন্ত ফসিলের মত!
২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার মুল্যায়ন যথার্থ,আমি শুরু থেকে বিষাদ ছড়াতে চেয়েছি।আমার খুব প্রিয় একটা মুখ "রুপা"ওর সমস্ত কান্না আমাকে ব্যথিত করে।
অনেক কিছু বলে গেলেন আপনার উদারতা নিয়ে,হয়ত যোগ্য আমি নই;তবে প্রিয়তার ও তো কোন মাপকাঠি নেই।
আপনি সবসময় আমার লেখার প্রেরণা।
২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: হ্যা, জীবনের গাছটাতো বনস্পতির মতো শাখা মেলে ফলবান হয়ে ধরা দেয়না সবার কাছে ...I কারো কাছে সে চির তুষারে ঢাকা তুন্দ্রার তীব্র শীতে ঝরে ঝরে যাওয়া শাখাহীন পাতাহীন কোনো শীর্ণ গাছের মতোই কৃশ হয়ে আসে বারবার, প্রতিবার | সেভাবেই থাকে এক জীবন | এটাইতো আমাদের জীবন I সেই জীবনের চালচিত্রই খুবই সহজ সরল আর নৈব্যক্তিক হয়ে উঠে এলো আপনার এই লেখাটায় I চলে যাওয়া, জীবনের না পাওয়াগুলো সাহিত্যের রং ছাড়াই বেশি মানবিক আর চেনা লাগে | এ'লেখাটাতেও তাই যেন চেনা চেনা লাগলো সবাইকে |তাদের কষ্টগুলোও যেন তাই মন ছুঁয়ে গেলো অনেক বেশি |
"ঐ যে সামনে টলেটলে দিঘী! ব্যাস ঐটুকুই পথ এরপর মুক্তি!কৃষ্ণ জলে গাহনে আজ জুড়াবো প্রান " সব শেষে এই লাইনটা পরে আজকের এই আবীর মাখা বিকেলে রুপার হাতে মেহেদির রঙের কথা বা তার পায়ের নুপুর ধ্বনির চেয়েও মনে কেন যেন কোনো অমঙ্গল শংখ বেজে উঠলো ! এইতো জীবন I না পাবার, অতৃপ্ত এই জীবনটাতো খুব অপরিচিত না আমাদের I তাই প্রশ্ন থেকেও আর কোনো প্রশ্ন নেই I আরেকটা ভালোলাগা লেখা হয়ে রইলো এই লেখাটাও |
২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চলে যাওয়া, জীবনের না পাওয়াগুলো সাহিত্যের রং ছাড়াই বেশি মানবিক আর চেনা লাগে | খুব'ই সত্যি !!
তারপর ও আমাদের না পাওয়াগুলো কে নিয়ে আমরা লিখতে ভালোবাসি,তাতে হয়ত আমাদের চেনা বেদনার নস্টাকজিকতা ছুঁয়ে ভালোলাগায়।
আমি হয়ত লিখতে বসে কিছু একটা লিখে ফেলি,কিন্তু আপনাদের মন্তব্যগুলোর কাছে নিজেকে শব্দ সল্পতায় ভোগা এক লেখক মনে হয়।সব সময় অতখানি মুগ্ধ পাঠক হবার জন্য ধন্যবাদ।
২৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমরাও এরকম একেকটা গল্প পড়বো আর মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে যাবো,
গল্পে লেখক আর সিনেমায় পরিচালক দুজনই মুখ্যাভিনেতা।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর বলেছেন নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন!
গল্পে লেখক আর সিনেমায় পরিচালক দু'জনেই মুখ্যাভিনেতা!!
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ,শুভেচ্ছা।
২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: বোন আরেকবার এসে আপনার পোষ্ট টি পড়ে গেলাম।
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ নুর!
আপনি একজন ভালো পাঠক
২৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: গল্পগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চেষ্টা করব লেখার,আপনাদের কেমন লাগবে জানি না।
ধন্যবাদ রায়হানুল এফ রাজ!
শুভ কামনা।
৩০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মন উদাস করে দেয়া গল্প। আপনার সুন্দর লেখনীর গুণে একেবারে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এমন হাজারও গল্প ছড়িয়ে আছে গ্রামবাংলায়। আপনার লেখনীতে এমন আরও গল্প শোনার অপেক্ষায়।
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যালো মিঃবেস্ট!!
আশা করছি ভালো আছেন! কত চমৎকার করেই না লেখায় উৎসাহ দিয়ে গেলেন!!
আমি নিজেও আপনার কবিতার পাঠক।
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
৩১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:০৮
সোহানী বলেছেন: এমন অনেক কিছুই জানি কিন্তু ব্লগের পাতায় লিখা ছাড়া কিইবা করতে পারি।
অনেক ভালো লাগলো মনিরা তবে মন খারাপ হয়ে গেল।
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম ঠিক বলেছ আপু! এদের বিলিভ এত স্ট্রং যে তুমি চিৎকার করে করে কিছু বললে ও কারো কানে তা প্রবেশ করার নয়।
লিখে লিখে যদি কিছু'টা সচেতনতা আসে।
অনেক ভালোবাসা আপু।
৩২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
জুন বলেছেন: কতগুলো সুন্দর শব্দের সমাহারে এক করুন আলেখ্য মনিরা । অনেক ভালোলাগা জেনো ।
+
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোবাসা আপু!তুমি সব সময় কী যে মিস্টি করে লেখার সাথে থাকো!!!
৩৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
প্রান্তিক কিশোরী রূপার ভালো লিখেছেন।
এই শ্রাবনেই ধুয়ে যাক দেবাশীশের ঘামের গন্ধ। বৃষ্টির জলে মিলেমিশে এক হয়ে যাক ঘাম ও চোখের জল।
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই শ্রাবনে যে বৃষ্টির ই দেখা নেই !
তবুও এই শ্রাবনেই ধুয়ে যাক।
ধন্যবাদ জাহিদ।
৩৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৯
অন্তরন্তর বলেছেন: আপু এত এত খারাপ খবরের মাঝে এত কষ্টের গল্প কেন? যদিও আপনার লিখা অপূর্ব। কৃষ্ণজলে গাহনেও প্রাণ জুড়াবার নয়।
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কিছু কিছু গল্প'র রেশ মাথায় এমন ভাবে থাকে এ থেকে মুক্তির জন্য'ও হলেও লিখতে হয়।
লেখার প্রশংসায় আপ্লুত হলাম অন্তরন্তর!
শুভ কামনা।
৩৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩০
সুমন কর বলেছেন: প্রথমে একটু অন্য রকম লাগছিল। পরে আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম। মন খারাপ করে দেবার মতো লেখা। বাকি গল্পগুলোর অপেক্ষায়....
+।
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর!
আশা করছি লিখে ফেলব বাকি গুলো ও।
৩৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
গল্পটা কোথায়?
২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মেহেরপুরে।
৩৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমাকে আগলে রাখার শান্ত চোখের বটবৃক্ষটি নেই" - ছোট্ট একটি বাক্যে কতই না হাহাকার ফুটে উঠেছে!
আবছা এ গল্পটা ভাল লেগেছে। + +
আখেনাটেন এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে। +
আপনি যতিচিহ্নের (দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন ইত্যাদি) পর স্পেস দেন না। স্পেস দিতে হবে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!
খুব বিস্তারে আমি লিখতে পারি না, একটু আবছা 'তে লিখতে ভালোলাগে। আপনার ভালোলেগেছে, আমি আনন্দিত!!
চেস্টা করলাম যতিচিহ্ন ঠিক করে দিতে;
অনেক অনেক ভালো থাকার শুভকামনা!
৩৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
তাহলে তো বলা যায় গল্পটা জীবন থেকে নেয়া গল্প। কেমন বিস্বাদমাখা! শুরুটা সকাল ছিলো এরপর ধীরে ধীরে সন্ধ্যা হয়ে গেলো!
লেখাটা বেশ ভাল লাগলো।
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , চমৎকার মন্তব্যে উৎসাহ দিয়ে গেলেন বেশ!
হুম গল্প’টা জীবন থেকে নেয়া গল্প। পাঠে এবং মন্তব্যে’র জন্য কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা।
৩৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
লাভ দ্যাট দীঘির ছবি
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়!!!
এত দেখছি মুন!!!! অফটার লং বিরতি, ব্লগে স্বাগতম
এইটা হাটহাজারী চ্ট্টগ্রামের একটা দিঘী
৪০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:১৫
মিথী_মারজান বলেছেন: আহারে!!
রূপাকে খুব ফিল করছি আপু!
পেখম মেলা দোলনচাঁপাগুলোও কি রূপার সাথেই মিইয়ে গিয়েছিল???
হায়রে দেবাশীষ!!!
এই রূপা তো তাও সাহসী, প্রতিদিন কতশত রূপাকে যে বেঁচে থেকেও মনটা জলাঞ্জলি দিতে হয় তার হিসাব আর আমরা কয়জন রাখি!
অসাধারণ শব্দ বিন্যাস!
প্রতিটা শব্দই যেন দুপুরবেলার নি:সঙ্গ গ্রাম্য দীঘির কৃষ্ণজলের মত গভীর আর বিষন্ন।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দোলনচাঁপা পূর্নতাতেই পরিসমাপ্ত!
বর্ষায় পেখম মেলেই মিইয়েছিলো।
কী যে সুন্দর করে বলো তুমি!!!
লেখার চাইতে তোমাদের মন্তব্যেগুলো বেশি সুন্দর হয়।
ভালোবাসা।
৪১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু দীর্ঘ দিন আপনার দেখা না পেয়ে খোঁজ নিতে এলাম । আশাকরি ভালো আছেন।। পোষ্ট ও কমেন্ট না পেয়ে আমরা চিন্তিত ।
নিরন্তর শুভকামনা প্রিয়আপুকে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাইয়া!
কিছুদিন একটু ব্যস্ত সময় যাচ্ছে, আশা করছি ঈদের পর নিয়মিত হতে পারবো। দোয়া করবেন!
আপনার পরিবারের জন্য ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৪২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দেন আপা।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আগে এই পোস্ট আপনাদের পড়া শেষ হোক
৪৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
শিখা রহমান বলেছেন: নীরা লেখাটা আগেই পড়েছি। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে মন্তব্য করা হয়নি। গল্পটা শব্দের মোহময় মায়াজালে আসলেই কৃষ্ণ জলে গাহনে টেনে নিয়ে যায়। বিষন্ন মর্মস্পর্শী গল্পটা বার বার পড়ে মনখারাপ করতে ইচ্ছে করে।
ভালো থেকো নীরা। একরাশ ভালোবাসা আর মুগ্ধতা!!
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: থ্যাংকু থ্যাঙ্কু শিখা!
মুগ্ধতা আর ভালোবাসা খূব কাছে রাখলাম।
৪৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গভীর দু:খবোধের কথামালাকে আরো গভীরতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য যে মুন্সিয়ানা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা লেখাটিকে এক অনন্যতায় নিয়ে গেছে । আজকাল মৃত্যু নিয়ে বেড়ে গেছে অনেক আলাপ, কারো কারো জীবনে কেবলই কৃঞ্চ কালো আঁধার নামে, জাগে দুঃখবোধ । মানবজীবনের এমন সুখ-দুঃখ ও অশ্রু-বেদনাকে সহানুভূতির রসে জারিত করে সাহিত্য রচনা সত্যিই এক কঠিন কাজ । কারো কারো জীবনে জমে থাকা গভীর দুখের আগুন হৃদয় নিংরে বের হয়ে যেতে চায় বারে বারে । দেবাশিসের মত যুবকেরা কিভাবে দেখে তা দুর থেকে ভাবতেও অবশ্য কিছুটা অবাক লাগে । বলতে ইচ্ছে করে সেই দূরের যুবকের সঙ্গে তুমি যেয়ো নাকো আর। কী কথা তার সঙ্গে? কিন্তু কি আর করা অনগ্রসর সমাজে স্বাধীন পথ চলার প্রক্রিয়ায় নানা রকমের বাধা বিঘ্ন আসে। এ বিঘ্ন অবস্থার কারণ এবং সূত্র অবশ্য যত না ব্যক্তিগত, তার চেয়ে বেশী সমাজগত। আর এ সমাজ সৃষ্ট নয়, নির্মিত। নির্মিত সমাজের নির্মিততে মানুষের শিক্ষা এবং উদারনীতি কাজ না করলে সেই সমাজ গর্ভে স্বাধীনভাবে পথ চলা হয়ে উঠে দুস্কর । তবে মমতার বাধনে ভিন্ন রূপ ধারন করা সেটাও মনে হয় যেন নারীদেরই আলাদা একটি রূপ। এই রূপ আমাদের দেশের হিন্দু-মুসলিম উভয় সমাজের ওপর একটি প্রভাব রেখেই চলেছে। রূপাদের মত মেয়েরা তার গন্ডি ছাড়িয়ে যাবেই বা কিভাবে । ভ্রান্তির ভিতরে থেকেও পারিবারিক স্বার্থ নিয়ে যাদেরকে সমাজ জীবনে পথ চলতে বাধ্য হতে হয় তাদের ভেতর মনুষ্যত্ববোধের অভাব আছে বলে ধরে নেয়া যায়না । প্রকৃতপক্ষে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বলার যে কারণ তা হচ্ছে মানুষের বিবেক এবং কল্যাণবোধ। এ দুটি জিনিসের কারণেই মানুষ, উঠে আসে সকল কিছুর ঊর্ধ্বে। তবে যতভাবেই হোক না বলা , রুপাদের গভীর দু:খবোধের প্রেক্ষাপটে জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায় বলতেই হয় হাতে রুলি পায়ে মল, মাথায় ঘোমটা ছিঁড়ে ফেল নারী, ভেঙ্গে ফেল ও শিকল, জুরায়োনা প্রাণ আর ঐ কৃঞ্চ জলে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল । লেখাটি প্রিয়তে গেল ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব সময়ের মত আমার লেখায় আপনার চমৎকার মন্তব্যে আমি আপ্লুত!
আশা করছি ভালো আছেন আলীভাই!
দরদী মন্তব্য আর প্রিয় তে রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা।
৪৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'পাঠকের জন্য' অংশটা না থাকলেই চলতো। ঐখানে যা বলেছেন, ঠিক ঐকারণেই এই ব্যাখ্যা নিস্প্রয়োজন। মাঝখানে এক জায়গায় লিখেছেন কথকের নাম 'রুপা।' এমনকি ঐ নামটারও প্রয়োজন দেখি না। এটা পড়ে যে-যার মতো করেই ব্যাখ্যা করবেন। এমনকি যদি বলেও দেন, তবুও কেউ কেউ মনে করবেন এটা আপনার আত্মজীবনী। আমার বেশির ভাগ গল্প ফার্স্ট পার্সনে লেখা। ফেইসবুক, ব্লগে তো অবশ্যই, আমার বন্ধুবান্ধবরাও মনে করে এগুলো আমার সত্যকাহিনি। কেউ কেউ আবার চ্যালেঞ্জ করে বসে- তুমি ঐ কাজটা করো নাই, কিন্তু লিখছাও ক্যান?
আপনি যত ব্যাখ্যাই দিন না কেন, পাঠকের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
লেখা ভালো হয়েছে। রুপা কেন পানিতে ডুবে সুইসাইড করতে যাচ্ছে, সেই কারণটা ধরতে পারি নি। 'দুলাভাই' বলে? 'প্রেমিক' মিললো না বলে? এগুলো হলে কারণটা খুব সাবলীল না মনে হয়। অন্য কারণ হয়ে থাকলে সেটা বুঝতে পারি নি।
লেখা ভালো লেগেছে আপু।
শুভেচ্ছা।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমরা কেউ জানি না, রান্নাঘরের কোন চুলাটায় সেদিন আপার নামের আগুন জ্বলে উঠেছিলো, অন্তরের যাতনা বেশি ছিলো নাকি শরীর কয়লা হবার যন্ত্রণা? কেবল দুইবাড়ি দূরত্বে বসে জেনেছিলাম কলেজ শিক্ষকের ভীষণ শান্ত লক্ষ্মীবধু’টি আর নেই। আমাকে আগলে রাখার শান্ত চোখের বট বৃক্ষটি নেই।
ভাইয়া! ব্যাপার'টা আরও একটু জটিল! 'আমাকে আগলে রাখার শান্ত চোখের বটবৃক্ষ'টি আর নেই" রুপার প্রতি বোনের স্বামীর অন্যরকম দৃষ্টি ওরা দু'জনই বুঝতে পারত।
এবং রুপার বোনের মৃত্যুটা আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ রুপা নিজেই।
নিজের বোনের খুনি কে সমাজের কাছে পরিবারের কাছে প্রমানিত করতে না পারা , অনেক গুলো ভয়ংকর মনবেদনা'র সংমিশ্রণ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার এই মুগ্ধ, দরদী পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ভাইয়া। আপনার মত মনযোগী পাঠক যে কোন লেখকের সৌভাগ্য ।
অনেক অনেক শুভ কামনা
৪৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
তারেক সিফাত বলেছেন: ভাষা বেশ সহজ, নেই কাঠিন্যের ছোঁয়া। ভালো লেগেছে পড়ে। সুন্দর উপস্থাপনা।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তারেক সিফাত!
আপনার মন্তব্য ভালোলেগেছে আমার , চমৎকার প্রশংসায় আপ্লুত হলাম।
শুভ কামনা
৪৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
চাঙ্কু বলেছেন: মফস্বলেই শান্তি!! ছবিটার মত জায়গায় বসলেইতো শান্তি চলে আসার কথা!!
আপনার গদ্য লেখার স্টাইল পছন্দ হইছে। কি রকম যেন প্রশান্তিতে ভরা প্রাঞ্জল বর্ননা!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুন্দর বলেছেন, ছবি'টার মত জায়গায় বসলে আসলেই শান্তি চলে আসে।
আমার লেখায় আপনাকে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো !!!
দারুন করে নিজের ভালোলাগা প্রকাশ করলেন আপনি।
অনেক ধন্যবাদ, সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
৪৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: কখনো কারো লেখা পড়তে যেয়ে অকারণেই চোখে জল আসে। হয়ত আমার চোখ নষ্ট।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহারে ভাইয়া !!!!
না না আপনার চোখ খারাপ হবে কেনো !!! আপনার আসলে অসম্ভব সংবেদনশীল মন আছে !!!!
আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে আনন্দিত , আমার লেখায় আপনাকে স্বাগতম।
শুভ কামনা।
৪৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: মন অবশ্য আছে আমার। তবে সেই মনের বেল বেরেক কিছু নেই। এলোমেলো। জীবনটাও আমার গতিহীন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুভ কামনা !!
অনেক অনেক ভালো থাকার
৫০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৪
ইসমাঈল আযহার বলেছেন: থ্যাঙ্কু আপা
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার পোষ্টে একটা লাইক দিয়ে চলে আসলেন যে! ঘটনাটা কি? কেমন লাগলো সবিস্তারে বলবেন না!
প্রথম মন্তব্যের জায়গা দখল করলাম। ভালো করে পড়ে মন্তব্যে আসছি!