নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
বেশ কিছুদিন থেকে একটু বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে উৎসবে মেতে আছি ! খুব সহজে এমন হই না বলে। একঘেয়ে নিয়মের বাইরে সবাই চলতে ভালোবাসে, কিন্তু এই যে ব্যত্যয় সেও একসময় ক্লান্তিকর। খুব চাইছি কিছু একটা লিখি, শান্ত নিস্তরঙ্গ সময়টাকে কাঁচের মত ঝনঝন শব্দে ভেঙ্গেফেলি। কবিতা'র পাঠক একজন বলেছেন, অযাচিত এই উর্বরতা বিহীন দিনগুলোর নামে যেন একটা এলোমেলো কবিতা লিখি আমি সেই কবিতার নাম হবে, "বিক্ষিপ্ত সময়ের কবিতা"
হলদেপরী হেমন্তের যাইযাই সুরে, শীতের এই এক পা দু' পা ফেলে নিজেকে জলে নামানোর সময় টা অদ্ভুত বিষণ্ণ। কুয়াশার চাদরে এখন ও প্রকৃতিকে মুড়ে ফেলার মত যথেষ্ট নয়। তেমনি একটা পরিপূর্ণ কবিতা লেখার জন্য আমার শব্দ ও তত নেই, আমার অভাব শব্দে! অথচ লিখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও তীব্র।
আমার শঙ্খশব্দ কবিতায় পাঠকদের কাছে নিবেদন ছিলঃ
কবিতা' টি এই ব্লগের সমস্ত কবিদের উৎসর্গ করলাম!! আপনারা ও মন্তব্য লিখতে পারেন;
আপনাদের কাছে অসাধারণ একটা কবিতা পাঠের আনন্দ কতটুকু !!!
বেশ কয়েকটা অসাধারণ মন্তব্য এসছে, তবে একেবারেই কবিতার শেষাংশে থাকায় অনেকের ই দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছি। তাই ভাবলাম কবিতা সমৃদ্ধ এই ব্লগ এমন একটা প্রশ্ন নিয়ে সম্পূর্ণ একটা লেখা দাবী করতেই পারে। শঙ্খশব্দ কবিতার মন্তব্যে যারা চমৎকার একটা কবিতা পাঠের অনুভূতি মন্তব্যে এনেছেন , আপনাদের জন্য আমার শিউলি ঝরা শুভেচ্ছা।
আজকের লেখায় সেই মন্তব্যগুলো তুলে আনছি, আর এই লেখায় আপনাদের অনুভূতির মুক্তোগুলো ও কুঁড়িয়ে নেবো। আমার জন্য এ হবে ব্লগারদের দেয়া এক অনন্য উপহার।
দিশেহারা রাজপুত্রবলেছেন : তাহলে আমার কাছে চমৎকার একটা কবিতা ওর মতো....
কিরমানী লিটন বলেছেন:
কবিতা আমার কাছে- অনেক বৃষ্টি ঝরে একমুঠো রোদের উষ্ণতা। শীতের শীতলের উম। শূন্যতায় হেলান দিয়ে পোয়াতি জোছনার প্রসবিত সুখের অবগাহন। হেঁটে দৌড়ে ক্লান্ত হয়েও- আবার চলার শক্তি। মায়ের ছেঁড়া আঁচলে হলুদের গন্ধ মাখা- নিশ্চিন্ত আদুরে সুখ। পিতার কমল জায়নামাজের- উদার জমিন। সমৃদ্ধ অতীত, সংগ্রামী বর্তমান, আশার ভবিষ্যৎ। কবিতাই আমি- আমার অস্তিত্বে লেপটে থাকা প্রেয়সীর মুখ। কবিতা মানে সমাজ নির্মাণের হাতিয়ার। কবিতাই আমার স্বদেশ- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি...
করুণাধারা আপু বলেছেন: অসাধারণ একটা কবিতা পড়ার আনন্দ কতটুকু! [/sb
অসাধারণ এক কবিতা পড়ার পর যে আনন্দ হয়, তা পুরোপুরি প্রকাশ করা যায় না। শব্দ দিয়ে কি সব অনুভূতিই প্রকাশ করা যায়? যায় না! তাই কখনোই বলা যাবেনা, অসাধারণ কবিতা পড়ার পর কিভাবে মনের ভিতর নানা অনুভূতি আসে আর চলে যায়...........
পুলক ঢালীবলেছেনঃ হায় হায়! কাকে কি বললেন!
কবিতা পড়ার চমৎকার অনুভূতি কি সেটা যদি জানতেম তাহলে কি আর কবিতা আর কবিদের ভুই পাইতাম?
কবিতা ভীষন জটিলস ব্যাপার মাথার দশহাত উপ্রে দিয়া পলায়ন করে।
ছুডোকালে কবিতার সঠিক ব্যাখ্যা লিখিতে না পারার কারনে পেতে রাখা হাতে স্যারের কঞ্চির মারের স্মৃতি এখনো তাড়া করিয়া ফেরে। (ফাঁকিবাজ ছিনু)
এমন অর্বাচীনকে এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়িয়া মারা ঔচিত্য কর্ম হইলো কি ?
মনিরা সুলতানাঃ আমার কাছে চমৎকার একটা কবিতা পাঠের অনুভূতি অমরাবতী সম আনন্দের!
শঙ্খ শব্দেরা হৃদ ছুঁয়ে থাকা প্রেমিক;
জলে জলে জলতরঙ্গ, উন্মনা ভ্রমরের উচাটন মন।
পুঁইগোটা রঙে সাজা প্রেয়সীর পঁইছা ।
মগ্নচৈতন্যে মউমউ মঞ্জরা।
আকাঙ্ক্ষিত আবেশিত শব্দদল-
সন্ধ্যার বাতাসে ঘোরলাগা মৌলী সুবাস
ভালোলাগায় মরে যেতে চাওয়ার মত শূন্যতা ;
আর ভোরের শিশিরের আদরে আদরে ঝরে পরা শিউলি।
এবারে আপনার পালা ...............
অগ্রিম ধন্যবাদ সবাই কে অগ্রহায়ণের পিঠাপুলির।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চৌধুরি ভাই;
শুভেচ্ছা নিলাম; অত আন্তরিকতায় মন্তব্য করেন যে - মন ভালোহয়ে যায়।
খুব বেশি পড়া বা চিন্তা না , যখন প্রিয় কোন কবিতা পড়েন, ভালোলাগার অনুভূতি টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করলেই হবে। এবং অবশ্যই আপনার ভাষায়।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্সু! সুন্দর একটা প্রসঙ্গ আপু।
আমার কাছে একটা সুন্দর কবিতা পড়ার অনুভূতি হল প্রথম বার প্রেমে পড়ার মত সুন্দর একটা অনুভূতি।
ভালোলাগলে সাথে সাথে কবিতাটির প্রেমে পড়ে যাই আমি।
সেটিকে বুঝতে চেষ্টা করি, ভালোবাসি এবং আচ্ছন্ন হয়ে যাই সেটার মধ্যে।
তারচেয়েও বেশি যেটা হয়,নিজের সাথে মিলিয়ে ফেলি কবিতাটিকে। আর ভেবে অবাক হই, এই কবিটা কিভাবে আমাকে চিনলো! কিভাবে আমার মনের কথাগুলো বললো! হাহাহা।
তবে আপনার লেখা কবিতা পড়ার পর সেটার অনুভূতি কিন্তু খুব আলাদা হয় আমার।
প্রচন্ড মুগ্ধতা নিয়ে আপনার কবিতা এবং গল্পগুলো যা পড়েছি তাতেই আপনার শব্দবিন্যাস আর কাব্যিকতার কাছে নিজেকে মূর্খ মনেহয়েছে প্রত্যেকবার।
বারবার মনেহয়েছে আমি কেন এভাবে লিখতে পারিনা!
একদম তিন সত্যি।
ভালোবাসা প্রিয় মন আপু আমার।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমার মন কে যে আমি পাললিক বলি, অতখানি আদ্র আর মমতায় ভালোবাসার প্রকাশ কর বলেই !!!
কী যে চমৎকার এক মনের অধিকারী তুমি , যে তোমার শুধু কাছের না ; আসে পাশের সবাই নিঃসন্দেহে টের পায়।
আহা ! প্রথম প্রেম ! এ অন্য রকম নেশা। ঘোর লাগা অনুভূতি। আর এই যে কবিতার তোমাকে চিনে নেয়া ? এই ব্যাপার টা ও দুর্দান্ত। তাই আমার কাছে ভালোলাগা কবিতা! আকাঙ্ক্ষিত আবেশিত শব্দদল-
সন্ধ্যার বাতাসে ঘোরলাগা মৌলী সুবাস
ভালোলাগায় মরে যেতে চাওয়ার মত শূন্যতা ;
আর ভোরের শিশিরের আদরে আদরে ঝরে পরা শিউলি।
অমন ভালোবেসে মন্তব্যের ভালোলাগা।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
আরোগ্য বলেছেন: মনিরা আপা কিছু দিন যাবৎ আপনার লেখা পড়তে মন চাচ্ছে। আজকে এই পোস্ট পেয়ে খুব ভাল লাগলো।
আমার কাছে উপযুক্ত শব্দ চয়নে কবিতার যে ঝংকার সৃষ্টি হয় তা খুব বেশি ভালো লাগে। কবিতার আকার ছোট হলেও ভাবনার গভীরতা, বিশালতা অধিক পরিলক্ষিত হয়।
একটা সুন্দর কবিতা আপনার মনকে দোলা দিতে পারে।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম হুম এ হচ্ছে ব্লগারদের ব্লগীয় অনুরণন ! বলতে বলতে হাজির। আসলে আমি নিজে ও যা হোক কিছু লিখতে পেরেই খুশি আপতত। আর সাথে যদি আপনাদের ভালোলাগা ও মন্তব্য থাকে! আনন্দ হয় কয়েকগুণ বেশি।
একদম মনে কথা......
একটা সুন্দর কবিতা আপনার মনকে দোলা দিতে পারে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর চমৎকার মন্তব্যে।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে এতো কঠিন কঠিন শব্দ কই পান, আল্লাহ জানে!!
উদাহরন দেই,
'অমরাবতী' মানেই জানিনা, এর সমান আনন্দ বুঝবো কেমনে?
সময়টাকে কাচের মতো ঝনঝন শব্দে ভেঙ্গে ফেলা!! OMG!!!
শুভেচ্ছা বুঝি, but 'শিউলি ঝরা শুভেচ্ছা'! এইটা কেমন?
"অযাচিত উর্বরতা বিহীন দিন" মাথার উপর দিয়ে গেল!
একটা পরিপূর্ণ কবিতা লেখার জন্য আমার শব্দ ও তত নেই, আমার অভাব শব্দে! এই কথাও শেষে শুনতে হলো!! কেউ আমারে মাইরালা!!
তবে, "হলদেপরী হেমন্ত" টা কি জিনিস, অনুমান করতে পারি।
শঙ্খশব্দ পড়ি নাই, পড়ার ইচ্ছাও নাই। ভয় লাগে।
উপায় কি? শেষমেষ কিছু না বুইঝাই লাইক দিলাম।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন্তব্য পড়ে ঝারা কয়েক মিনিট হাসলাম! হাহাহাহাহা ; না বুঝেই লাইক
যা যা বুঝে মন্তব্য করছেন তাতেই উত্তর দিতে হয়রান, বুঝলে তো আমাকে ব্লগ ছাড়তে হত যাইহোক মন্তব্যে ফিরি -
'অমরাবতী' মানেই জানিনা, এর সমান আনন্দ বুঝবো কেমনে?
অমরাবতী মানে হচ্ছে স্বর্গ , বেহেশত! স্বর্গীয় সুখ বোঝেন তো ! ঠিক সেটাই।
সময়টাকে কাচের মতো ঝনঝন শব্দে ভেঙ্গে ফেলা!! OMG!!!
সময়টাকে কাঁচের মতো ঝনঝন শব্দে ভেঙে ফেলতে চাওয়া বলতে বুঝিয়েছি- থেমে থাকা সময় কে দারুণ কিছু শব্দ ঝংকার ময় করতে। চমৎকার একটা কবিতা লিখতে ইচ্ছে করছিল।
শুভেচ্ছা বুঝি, but 'শিউলি ঝরা শুভেচ্ছা'! এইটা কেমন?
এইটা আপাতত আপনার বোঝার দরকার নাই , যে যে কবিতা পড়ার পর কেমন লাগে লিখবে, তাদের জন্য
"অযাচিত উর্বরতা বিহীন দিন" মাথার উপর দিয়ে গেল!
আচ্ছা প্রডাক্টিভ তো বোঝেন ? অনুর্বর , সৃষ্টিশীল না। আমি না যাচতেই , না চাইতেই যে অনুর্বর, ঊষর , নিষ্ফলা দিন সে দিন গুলি ই অযাচিত উর্বরতা বিহীন দিন।
একটা পরিপূর্ণ কবিতা লেখার জন্য আমার শব্দ ও তত নেই, আমার অভাব শব্দে! এই কথাও শেষে শুনতে হলো!! কেউ আমারে মাইরালা!!
হাহাহাহাহা, না আপনারে কেউ মাইরালাইলে, আমাদের রহস্যের সমাধান কে দিবে ? সুতরাং নন্দলাল বেঁচে থাক চীরকাল।
তবে, "হলদেপরী হেমন্ত" টা কি জিনিস, অনুমান করতে পারি।
হলদেপরী অনুমান করে বুঝে নেয়ায় অভিনন্দন জনাব !!!
শঙ্খশব্দ পড়ি নাই, পড়ার ইচ্ছাও নাই। ভয় লাগে।
আচ্ছা আচ্ছা , কুনদিন ভয় কাটলে দেখা দিয়েন।
দারুণ মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভেচ্ছা সহ ।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।!
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম আপনি ও যথাযথ মন্তব্য ই করেছেন !!
কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ কবি সেলিম আনোয়ার।
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
"অমরাবতী" কি একটি শহরের নাম, নাকি কোন এক বিশেষণ? উনার অর্থ ক্সকি?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
আপনাকে হয়ত দু দণ্ড শান্তি দিতে পারে এই ডিকশনারি।
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: মি। চাঁদগাজী ‘অমরাবতী’ শব্দটির বিরোধিতা করা ঈমানী দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কিন্তু, আরও স্পষ্ট করে প্রতিবাদ করুন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় স্বাগত দিব্যেন্দু দ্বীপ !
আশা করছি লেখায় আপনার ভ্রমণ ঠিকঠাক ছিল! অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
নাও !!! ওভার টুঁ মিঃচাঁদগাজী
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখনকার বেশির ভাগ কবির কবিতা পড়ে জুত পাইনা।
কিছু কবিতা পড়ে অনেকক্ষণ ঝিম মেরে ভাবি।
এই টাইপের কবিতাগুলিই আমার কাছে ভাল কবিতা। যা পাঠের অনুভূতিও চমৎকার।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই ;
সত্যি বলতে কি, সব যুগের সব কবিতাই কিন্তু আপনাকে কাছে টানবে না, এবং সব কবির সব কবিতা পাঠের অনুভূতি ও ঝিম মারা ঘোর লাগা হবে না। যেটুকু আমাদের আনন্দ দেয় দিন শেষে আমরা সেই লেখা বা কবিতাই মনে রাখি।
নিজের মত করে অনুভূতি প্রকাশে শুভেচ্ছা ভাইয়া।
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নজসু বলেছেন:
আপনি আমার কাছে আপনি হলেন শব্দের কারিগর।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক নিমিষে মনে রৌদ্র খেলা করে গেলো!!!
আমার শুভ কামনা রেখো, তোমার চলার পথে; লেখার ভাঁজে।
মন রাখা মন ছোঁয়া মন্তব্যে মুগ্ধতা রাখলাম।
তবে তুমি নিজের মত করেই সেই শৈশবদের ঈদে স্মৃতির মত করেই বলতে পারো; ছড়া , কবিতা অথবা দারুণ একটা মন ভালো করা লেখা পড়তে কেমন লাগে ?
আমার যেমন স্বপ্ন হয়ে আছে, সেই মুহূর্ত গুলো - যখন প্রথম কোন কবিতা মনে গেঁথে ছিল!! আমি কবিতা বা কবি' র নাম ও জানতাম না। আমার বড় আপার ক্লাসের পাঠ্য ছিল নিমন্ত্রণ কবিতা'টি। আপা প্রায়শই আমাদের তিন ভাই বোন কে নিজে পড়তেন আর আমাদের ও সাথে আবৃত্তি করতে বলতেন। সে অনুভব সত্যি অনন্য মায়ায় ঘেরা।
আবার বড় হবার পর কিছু কবিতার আবেশ কিছুতেই পিছু ছাড়ে না।
অপেক্ষায় থাকলাম পছন্দের লেখা পাঠের অনুভূতি জানার।
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমি নজরুল ভক্ত । তাই কবিতা আমার কাছে প্রতিবাদ সম ।
স্লোগানে মিছিলে রক্তে আগুনো জ্বালানো এক তীর । যার ছিড়ে ফুরে বেরিয়ে যাবে সব কিছু । নিয়ে আসবে এক নতুন উষার আলো । এক নতুন ভোর । যার জন্য সবাই অপেক্ষা করে ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার অনুভূতিতে শ্রদ্ধা মিশ্রিত ভালোলাগা অপু দ্যা গ্রেট!
অত খানি আলোকিত ভাবনা যে ভাবতে পারে, সে ও নিশ্চয়ই দারুণ অরুণ আলোয় আলোকিত !!! আপনার চমৎকার ভাবনার প্রকাশে দৃঢ়তা আর উদ্যম স্পষ্ট।
অনেক ধন্যবাদ লেখায় আপনার ভাবনার প্রকাশের জন্য।
১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: যা পাইনি তাও থাক, যা পেয়েছি তাও
তুচ্ছ বলে যা চাইনি তাই মোরে দাও ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দেখা যাক দয়ময় , দাতা আপনার উপর কতখানি প্রসন্ন হয় এমন আকুলিত চাওয়ায়।
১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কবিতাই তো ব্লগে লেখালেখির উৎসাহটা এখনও ধরে রেখেছে, তা না হলে কবে হারিয়ে যেতাম! আমি চেষ্টা করি সবধরনের কবিতা পড়তে। আর বিশেষ বিশেষ কবির লেখা কবিতাগুলো তো অমৃতের মত মনে হয়। তার মধ্যে আপনি অবশ্যই আছেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার দরদী মন্তব্যে আপ্লুত হলাম!! ভালোলাগা মুগ্ধতায় ঋণী করে রাখলেন।
সত্যি বলতে কি , ব্লগ হচ্ছে সব কিছু র আশ্চর্য সুন্দর মিশ্রণ! আমাদের সমাজের দর্পণ ও বলতে পারি। সমাজের ভিন্নধর্মী সবার লেখার ভিন্নতা পাই এখানে। তাই কখনোই একঘেয়েমী আসে না। আর শুরু থেকে ব্লগের কবিতা সব সময় ই ঋদ্ধ।
আপনি নিজেও অনেক ভালো লিখেন মিঃবেস্ট!! অমৃত মনে হওয়া কিছু লেখা আপনার ও আছে।
শুভকামনা অনিঃশেষ।
১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার কাছে কবিতা হলো জীবন নামক নদীর কলকল ধ্বনি ...
হৃদয়ের গভীরতা প্রকাশের চমৎকার উপায়.....
কবিতার প্রত্যেকটা শব্দই যেন জীবনের ছায়া....
আমার কাছে কবিতা হলো প্রেয়সীর হাসি...
সদা ছন্দময়,মধুর সে হাসি....
আমার কাছে কবিতা হলো একটি শক্তি....
যা দ্বারা মনের যাবতীয় ভাবনার প্রকাশ সম্ভব.....
আমার কাছে কবিতা হলো পরিবর্তনের প্রতীক.....
দুনিয়া বদলানোর হাতিয়ার.....
আমার কাছে কবিতা হলো স্নিগ্ধ সুন্দর.....
রিমঝিম বরষার সজল অনুভূতি.....
আমার কাছে কবিতা হলো কবির জীবনগাঁথা....
কবির ছবি আঁকার ক্যানভাস....
একটি সুন্দর কবিতার জন্য হাজারটা পাতা নষ্ট করা যায়...
তবুও চাই মনোমুগ্ধকর কয়েক লাইনের একটা কবিতা....
তাইতো ভালোবাসি কবিতাকে....
এ ভালোবাসাকে কেড়ে নিতে পারে কেবল কবিতাই.....
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শব্দে শব্দে কী অনুপম প্রকাশ !!
অসাধারণ কবিতা' কে নিয়ে আপনার হৃদয়ের অনুভূতির প্রকাশ;
অনেক অনেক ভালোলাগ।
১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৪
ল বলেছেন: ভালোবাসা প্রিয় আপু
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার জন্য ও অন্তরের অন্তঃস্থলের শুভেচ্ছা !
আলো থাকুন সুন্দর থাকুন সতত।
১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কবিতা আমার কাছে এক প্রকার বিনোদন। সেবার সিঙ্গলিলা পর্বতের দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা ধরে সান্দাকফুর উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় 5-6 ঘন্টা জার্নি করে গাড়ির সহযাত্রীরা প্রায় সকলেই যখন ক্লান্ত বা ঝিমিয়ে পড়েছে তখন হঠাৎ মনে হল ,
" আমার বয়স তখন কতই বা চার কিংবা পাঁচ;
অথচ ওই বয়সের একরাশ কালো ধোঁয়া
আমার স্মৃতিকে আজ অন্ধকার করে দেয় ।
কুন্ডুলি পাকিয়ে যে ধোয়া আকাশে উঠছিল,
আর আমার বাড়ির পিছনে বুড়ো বটগাছটার নিচে দাঁড়িয়ে ,
সবাই ভিড় করে সেই ধোঁয়া দেখছিল ।
আমিও মায়ের কোলে চড়ে সেই ধোঁয়া দেখছিলাম।
সবাই আতঙ্কে রায়ট লাগছে রাইট লাগছে বলে ছোটাছুটি করছিল।।
আর তার কদিন বাদেই সদ্য বিবাহিত দাদা বৌদির সঙ্গে
আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কলকাতায়।
আমি ছেড়ে এসেছিলাম আমার মাকে , আমার বাবাকে,
আমার সেই বুড়ো বটগাছ টিনের চালা ওয়ালা গোবর লেপা বেড়ার ঘর ,
বাড়ির পেছনে নোনা গাছ ও আমার প্রিয় কাজলা দিদিকে।
আমি ছেড়ে এসেছিলাম আমার মাতৃভূমিকে আমার জন্মভূমিকে,
তারপর থেকে একদিনের জন্যও ফিরে যেতে পারেনি একবারের জন্যও না।
চাঁদপুর থেকে স্টিমার,
স্টিমার করে গোয়ালন্দ ,
দর্শনায় আমাদের বাক্স-পেটরা সব উলটপালট, ;
তারপর কোন এক সন্ধ্যেবেলা শিয়ালদা স্টেশন।
সেখান থেকে ঘোড়ায় টানা গাড়িতে করে প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিট;
প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিটের সাড়ে তিন হাত চওড়া এক অন্ধ গলি ;
অন্ধ গলির 11b নম্বর বাড়ির একটি ছোট্ট ঘর;
সেই ঘরে দাদা বৌদির সঙ্গে খাঁচায় বন্দী আমি।
আমি যার মুখে তখনও নোয়াখালী ভাষার টান;
প্রাইমারি স্কুলের ছেলেরা কানের উপর উপুড় হয়ে ,
চিৎকার করে বলতো বাঙ্গালোর রস খাইলো , ভারও ভাঙলো পয়সা দিইলো না!
সেই আমি যখন আমার বাঙাল পনাকে গোপন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি;
ঠিক তখনই ঢাকা থেকে বাবার একটা চিঠি এসেছিল ।
সবাই বলাবলি করছে ঢাকায় নাকি গুলি চলছে গুলি।
বহু বছর পরে জেনেছিলাম ,
সেদিন গুলি চলেছিল তাদের উপর
যারা তাদের মাতৃভাষায় বাংলা মর্যাদা রক্ষা করতে
ওপার বাংলায় লড়াই করেছিল ...........
উল্লেখ্য কবিতা সবার পড়া থাকে না দীর্ঘ যাত্রাপথে সকলেই যখন আন্তাকসারি খেলেও ক্লান্ত তখন এই কবিতাটি আমাদের গাড়ির সহযাত্রী সকলকে মুগ্ধ করেছিল । সেই ঝিমিয়ে পড়া অবস্থায় মধ্যেও সকলে যেন কিছুটা প্রাণ পেয়েছিলেন ।আমি যখন বললাম কবিতাটি আমার নয় , বিখ্যাত কবি সমর সেনের ; তখন ঐ ক্ষুধার্ত পেট এবং বাকিরা বাকি কবিতাটি শোনার জন্য বায়না ধরলেন । যদিও আমি তাদের সে অনুরোধ রক্ষা করেছিলাম। পরে " মেঘবালিকা " ধরতে ধরতে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থল সহজ আর ফুট উচ্চতার শ্রীখোলার শোভরাজ হোটেলে পৌঁছে যাই।
যে অংশটুকু লিখলাম মুখস্থ; কবির কবিতার লাইন সঙ্গে বিরাম চিহ্ন একেবারেই মিলবে না । কিছু শব্দ গো ইমপোর্ট হতে হয়ে থাকতে পারে।আপনার কাছেও বাকি পাঠকদের কাছে অনুরোধ প্লিজ ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ; উপভোগটাই বিবেচ্য ।এটি জাস্ট কমেন্ট হিসেবে আমি আমার অনুভূতি প্রকাশ করলাম।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি হচ্ছেন কথা শিল্পী! গদ্যের জাদুকর !! ঠিকঠিক চমৎকার গদ্যের জাদুতে আমাদের আবেশিত করলেন। গল্পে গল্পে স্মৃতির ঝাঁপি থেকে তুলে আনলেন আমাদের জন্য চমৎকার অভিজ্ঞতা।সিঙ্গলিলা পর্বতের দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় সান্দাকফুর যাত্রায় সহযাত্রীদের ক্লান্তি যেমন নিমিষেই দূর হয়েছিল; আশা করছি আমার এমন একেবারেই সাদামাটা একটা লেখায় আপনাদের এই পদ্মসম মন্তব্যগুলো ও পাঠকদের ভালোলাগায় ভরে রাখবে।
আপনাদের মেঘবালিকা যে আপনাদের হয়েই ছিল পথের ক্লান্তি দূর করতে আপনার আকর্ষণীয় ভয়েসের আবৃত্তিতে। ছোট্ট একটা অনুরোধ রাখছি -
আপনার মুখস্থ কবিতার লাইনের বিরাম চিহ্নের গরমিল অথবা শব্দের পরিবর্তন সব কিছু আমরা অনায়েসে ভুলে যাবো, যদি আপনি এই কবিতা বা আপনার পছন্দের কিছু আমাদের জন্য আবৃত্তি করে ভয়েস রেকর্ডারে অথবা আপনার ইউ টিউবে আপলোড করেন।
আশা করছি ব্লগের সবাই মিলে আপনার চমৎকার কবিতা বলা উপভোগ করব।
অগ্রিম ধন্যবাদ আপনাকে, অবশ্যই শুভ কামনা সহ।
১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুন্দর একটা কবিতা পড়ার পর-
আপনাতেই হেসে ওঠে মন, ঘুমের ঘোরে শিশুর খুশির হাসির মতো স্নিগ্ধতায়
মনের গহনে অনুরিত হয় উচ্ছল ঝর্নার কল কল - -
মন হয় কবি বুঝি আমার জন্যেই লিখেছে !
কথাগুলোর উত্তর কাব্যে লিখতে নিশপিশ করে মন!
আরো কতকথা- বলতে গেলে হয়ে যাবে আরেক কবিতা
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !! আবার ও চমৎকৃত করলেন তিন লাইনে অনুভূতি প্রকাশ করে কাব্য কথায়!!
সব সময়ের মত শুভকামনা রাখছি আপনার আন্তরিকতায় আপনার মন্তব্যে।
১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯
সুমন কর বলেছেন: সামুতে যে কয়জনের লেখা মানের দিক থেকে উপরে তারমধ্যে আপনার লেখা অন্যতম।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি একজন অসাধারণ ব্লগার !! ব্লগে আপনার পদচারনা সবসময় ই নিজস্ব ছাপ রেখে চলছে। অনেকদিন আপনার কবিতা পাই না; আশা করছি পরবর্তীতে আপনার চমৎকার লেখা পাবো।
আপনার সদয় মনোভাব এবং তার প্রকাশ আমাকে মুগ্ধ করে।
১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
ল বলেছেন: আমার স্মৃতিকে আজ অন্ধকার করে দেয় ।
কুন্ডুলি পাকিয়ে যে ধোয়া আকাশে উঠছিল,
আর আমার বাড়ির পিছনে বুড়ো বটগাছটার নিচে দাঁড়িয়ে ,
সবাই ভিড় করে সেই ধোঁয়া দেখছিল ।====================@পদাতিক চৌধুরি ====কষ্ট কোথায় রাখি দাদা ?
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কষ্ট তো রেখে দিতে হয় না ; বিলাতে হয়।
১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার কমেন্টটা পোস্ট আকারে দিলাম...
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার ভালোলাগা আর শুভাশিস রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৮
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে ভালোবাসার কবিতা। আমি যখনই কোন প্রেমের কবিতা পড়ি তখনই তাকে সঙ্গী করে এক কল্পনার জগতে হারিয়ে যাই। তাকে ঘিরে আমার অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করার মত না' তেমনি যে কবিতা আমাকে আর তাকে একটা সুন্দর জগতে নিয়ে যাবে সেই কবিতা পাঠের আনন্দও ভাষায় প্রকাশ করার মত না।
এ ছাড়া যেসব কবিতা তা হচ্ছে ঠোটের কোনে এক চিলতে হাসি। কিছু কবিতা আছে কিছু না বুঝলেও পড়তে ভালো লাগে।
আমি কিন্তু এটা কবিতা পাঠের কথা বললাম' লেখার আনন্দ তার চেয়ে কোটি গুন বেশী। কারন আমার কবিতা মানেই সে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার দারুণ গোছানো মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম কথার ফুলঝুরি!
সত্যিকার অর্থে কবিরা সবকিছুতেই প্রেম খুঁজে নিতে পারেন, প্রকৃতি বলেন নরনারীর ভালবাসাবাসির প্রেম ই বলেন। ঠিকঠাক শব্দ চয়নে লেখা যে কোন বিষয়েই হতে পারে- আমাদের মন কে প্রশান্ত করতে পারে , আনতে পারে ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি।
হুম হুম এ ব্যাপারটা একেবারেই অন্য রকম আনন্দের কিন্তু !!! যে কোন কিছুই হোক সৃষ্টির আনন্দ অপার্থিব !!
আপনার কবিতা মানে সে !! বাহ ভীষণ রকমের ভাগ্যবান একজন।
প্লীজ প্লীজ আপনি নিজের লেখার আনন্দ নিয়ে একটা পোস্ট দিন। ব্লগের লেখক সবাই আমাদের অভিজ্ঞতা সেখানে শেয়ার করি।
কি দিচ্ছেন তো !!
অগ্রিম ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: শঙ্খ শব্দেরা হৃদ ছুঁয়ে থাকা প্রেমিক;
জলে জলে জলতরঙ্গ, উন্মনা ভ্রমরের উচাটন মন।
পুঁইগোটা রঙে সাজা প্রেয়সীর পঁইছা ।
মগ্নচৈতন্যে মউমউ মঞ্জরা
কবিতা আমি এমনিতেই ভয় পাই। আপনাকে আগেই বলেছিলাম এইগুলি আমার মাথার এন্টিনার উপর দিয়ে যায়। তার উপর আবার আপনার কবিতা! কিভাবে যেন মিস হয়ে গিয়েছিল নাকি দেখে ভয় পেয়ে মন্তব্য করিনি মনে করতে পারছি না, সম্ভবত ২য় টাই হবে। উদাহরন হিসাবে উপরের ৪লাইন দিলাম। এর শতকরা কত % অর্থ আমি জানি সেটা বলে আর সামু কে লজ্জা দিব না। আপনার কবিতা পড়ার সময় আমি সত্যই বাংলা ডিকশনারি নিয়ে বসি।
আমি কবিতা পড়ার আনন্দ মানে এটা বুঝি যে, যদি কোন কবিতা পড়ার পর সেটা আমার মনে সত্যি জায়গা করে নেয় তাহলে আমি সেখানেই একই লয়ে ৪ বা ৫ টা লাইন যদি লিখতে পারি। আর মনের গভীরে যদি জায়গা করে নেয় তাহলে এটা থাকে আমার প্রিয় পোষ্টে আর হাতে ফাঁকা সময় পেলে ফিরে ফিরে যেয়ে পড়ি।
শুভ কামনা রইল।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি নিজে ও চমৎকার লিখেন! আপনার কবিতা ও বেশ। এভাবে মাথার উপর দিয়ে যায় বলে আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন !
আমি নিজে ও অনেক সময় ডিকশনারি নিয়ে ই বসি লিখতে কারণ হচ্ছে; আমার শ্রুতিমধুর এবং একটু অপ্রচলিত শব্দে দারুণ আগ্রহ , বলতে পারেন দুর্বলতা। সাথে আর একটা ব্যাপার হচ্ছে আমি শব্দের পুনঃ ব্যবহার ও করতে ভালোবাসি না। আমাকে তাই একটা শব্দের ভিন্ন মানে খুঁজতে হয় বিষয় সংশিলস্টতা রেখে। সুতরাং পাঠকদের কে ও মাঝে মাঝে শব্দের মানে দেখতে হতেই পারে।
তবে শব্দের কচকচানি হলে অবশ্যই জানাবেন।
হুম এই ব্যাপার টা ও কিন্তু বেশ গুরুত্ববহ !! এই যে মনে জায়গা করে নেয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপনার অনুভবের প্রকাশে ভালোলাগা।
আপনার জন্য ও শুভ কামনা।
২২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১২
হাবিব বলেছেন: এতো এতো চাঁদ-সুরুজের সামনে কি ক্ষুদ্র নক্ষত্রের কোন দাম আছে????
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আকাশ তো সবার ! চাঁদ আর সুরুজ তো মাত্র দুজন; থাকুক তাদের মতন।
আমরা আমাদের নিয়ে ই থাকি নক্ষত্র হয়ে বাঁচি।
আপনার অনন্য অনুভূতি জানার অপেক্ষায় রইলাম।
২৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
কবিতা সব যুগেই খুব কম মানুষ পড়ে। সমাজের খুব বুদ্ধিদীপ্ত, আবেগপ্রবণ, মানবতাবাদীরাই কবিতা পড়ে। সেই সংখ্যা আমাদের দেশে যে কম সেটা বোঝা যায় যখন একটা দেশে দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়ে যায়। তখন কবিরা একটু সুন্দরের কথা বলে, স্বপ্নের কথা বলে কিন্তু তাদের কথা কতজন শোনে, কতজনের ভালো লাগে?
একটি কথা কেনেডি এবং চার্চিল খুব পরিষ্কার করে বলেছিলেন, ‘পোয়েট্রি ক্লিন, পলিটিক্স পল্যুটেড’- কবিতা পরিষ্কার করে আর রাজনীতি দূষিত করে। আজ আমাদের দেশেও এই কথাটা খুব সত্য। আর একজন কবি সে যে দল বা মতের হোক না কেন, সে সত্যের কথা বলে, সুন্দরের কথা বলে। সুতরাং কবিতা সত্যের, কবিতা সাহসের, কবিতা স্বপ্নের।
এক সময় লোককবিতা ছিল গণমানুষের মুখে মুখে, তারা কবিতা পাঠ করত, তারা আবিষ্কার করত। কিন্তু এখনকার কবিতা এমন একটা টেকনিক্যাল জায়গায় চলে গেছে, যেখানে সাধারণ মানুষের শিক্ষাটা পৌঁছেনি। হ্যাঁ, এখনো কিছু ছড়া-কবিতা, ছন্দোবদ্ধ পদ বা পুঁথিকাব্য লেখা হয় সেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে হয়ত পৌঁছে। কিন্তু বর্তমানে কবিতার যে উত্তরণ ঘটেছে, সেটা উঁচু একটা জায়গায় চলে গেছে। কবিতা এখন একই সঙ্গে দর্শন, সমাজ, রাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, জ্যামিতি, ভূগোল সবকিছুকে সে গ্রাস করছে। এমনকি সে গদ্যের ভুবনটাকেও গ্রাস করছে। এ জন্য মানুষের পঠন-পাঠন যদি না থাকে তাহলে লেখকের সঙ্গে তার কমিউনিকেট করা কঠিন।
সবশেষ, বলবো। একটা প্রিয় কবিতা পাঠ করার পর একটি নিষ্পাপ শিশুর অনুভূতি হয়। ভাল লাগা আর দৃষ্টিতে ভিন্ন তৃপ্তি আসে। এজন্য আজো কবিতার পাঠক আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। কবিরা মানুষকে আনন্দ দেন, জীবনকে উপভোগ করার রসদ যোগান।
শুভ রাত্রি, আপা।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সবশেষ, বলবো। একটা প্রিয় কবিতা পাঠ করার পর একটি নিষ্পাপ শিশুর অনুভূতি হয়। ভাল লাগা আর দৃষ্টিতে ভিন্ন তৃপ্তি আসে। এজন্য আজো কবিতার পাঠক আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। কবিরা মানুষকে আনন্দ দেন, জীবনকে উপভোগ করার রসদ যোগান।
বেশ সমৃদ্ধ করা মন্তব্যে ঋদ্ধ হলাম কাওসার চৌধুরী! আপনি প্রাবন্ধিক কত অবলীলায় শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বাক্য গঠন করে পাঠকদের জন্য কঠিন বিষয় ও সহজ করে লিখে যান। এখানেই আপনার মুন্সিয়ানা। কবি লেখকদের হাতিয়ার ই হচ্ছে তাদের শব্দ আর বাক্য; এ দুইয়ের সংমিশ্রণে সমাজের গন মানুষের কথা, বিদ্রোহ বিপ্লব আবার মন ভাঙানিয়া সুখ জাগানিয়া গান ও করেন।
কবিতা সব যুগেই খুব কম মানুষ পড়ে। সমাজের খুব বুদ্ধিদীপ্ত, আবেগপ্রবণ, মানবতাবাদীরাই কবিতা পড়ে। সেই সংখ্যা আমাদের দেশে যে কম সেটা বোঝা যায় যখন একটা দেশে দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়ে যায়। তখন কবিরা একটু সুন্দরের কথা বলে, স্বপ্নের কথা বলে কিন্তু তাদের কথা কতজন শোনে, কতজনের ভালো লাগে?
তা পড়ুক না বুদ্ধিদীপ্ত , আবেগ প্রবণ, মানবতাবাদীরাই পড়ুক; রাজনীতি বিদ রা পড়ুক। তারা যখন সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে যাবেন, কবিদের কবিতা নিয়ে আসুক নিজেদের মতবিনিময়ে। সুন্দর করে বললে শ্রোতা রা ও ভালোবাসবে। কবিদের মুখে সুন্দরের কথা স্বপ্নের কথা না শুনুক -
তারা কবিতা পড়া সমাজের বুদ্ধিদীপ্ত , আবেগ প্রবণ , মানবতাবাদী , এবং রাজনীতিবিদের মুখেই সুন্দরের কথা স্বপ্নের কথা শুনুক।
এক সময় লোককবিতা ছিল গণমানুষের মুখে মুখে, তারা কবিতা পাঠ করত, তারা আবিষ্কার করত। কিন্তু এখনকার কবিতা এমন একটা টেকনিক্যাল জায়গায় চলে গেছে, যেখানে সাধারণ মানুষের শিক্ষাটা পৌঁছেনি। হ্যাঁ, এখনো কিছু ছড়া-কবিতা, ছন্দোবদ্ধ পদ বা পুঁথিকাব্য লেখা হয় সেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে হয়ত পৌঁছে। কিন্তু বর্তমানে কবিতার যে উত্তরণ ঘটেছে, সেটা উঁচু একটা জায়গায় চলে গেছে। কবিতা এখন একই সঙ্গে দর্শন, সমাজ, রাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, জ্যামিতি, ভূগোল সবকিছুকে সে গ্রাস করছে। এমনকি সে গদ্যের ভুবনটাকেও গ্রাস করছে। এ জন্য মানুষের পঠন-পাঠন যদি না থাকে তাহলে লেখকের সঙ্গে তার কমিউনিকেট করা কঠিন।
ভাই আজকাল গন মানুষ ও টেকনিক্যাল হয়ে গেছে, সাধারণ শিক্ষা নাই ; সেখানে ও অন্যান্য গন মাধ্যম ঠিক ঠিক আছে। সময়ের সাথে তো অনেককিছুর ই পরিবর্তন ঘটবে তাই না !
আধুনিক এখন কার অনেক কবি ই একেবারেই কথ্য ভাষাতেই নিয়ে আসছেন তাদের লেখা ; তাতে কিন্তু সেই আগের মত গেলো গেলো রব ও উঠছে। মানুষের পঠন-পাঠন এখন আর সুধু মাত্র বই পুস্তকে নেই। যোগাযোগের মাধ্যম আরও অনেক সহজ হয়েছে।
সব চাইতে বড় একটা ব্যাপার, নন্দন তত্ত্বের চর্চা মানুষ যে কেবল অন্যদের জন্য , সমাজ পরিবর্তনের জন্য করে তা নয়। একজন হতাশা গ্রস্ত মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে কবিতা লিখেন , একাকীত্বে কবিতা লিখেন , আনন্দের রেশ ছড়াতে লিখতে পারেন। ভালোলাগা ভালোবাসা মুগ্ধতা প্রকাশে ও লিখে থাকেন। পুরুটাই নিজের আনন্দের জন্য।
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য ; যদিও বুঝতে পারছি না - আমি আপনার কথা কতটুকু বুঝলাম আর আমার কথাতেই কতটুকু নিজেকে প্রকাশ করতে পারলাম।
ভালোথাকবেন।
২৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৯
অন্তরন্তর বলেছেন: আপু আমিতো কবিতা বুঝিই না তাই কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না। এত জ্ঞানী ব্লগারদের মন্তব্য পড়ে অভিভূত। আর আপনার লিখার কথা আমাতে বলার না। তবে আমার মানবতার কবিতা বা যে লিখা ভাল লাগে। যে লিখায় অসহায়,নিপীড়িত,দুস্থ এবং মা মাটির কথা লিখা থাকে তাই ভাল লাগে। শুভ কামনা।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কবিতা কে ভালো লাগতে গেলে কবিতা বোঝার একেবারেই দরকার নেই কিন্তু ; কবিতা পড়লে মনের যে ভিতরে যে ঝড় উঠে রসায়নিক পরিবর্তন হয় সেটুকুই ভালোলাগা।
তবে আমার মানবতার কবিতা বা যে লিখা ভাল লাগে। যে লিখায় অসহায়,নিপীড়িত,দুস্থ এবং মা মাটির কথা লিখা থাকে তাই ভাল লাগে
এই যে মনভাবটুকু প্রকাশ করলেন !! সেখানেই আমার ভালোলাগা মুগ্ধতা। একজন কবির , একজন লেখকের প্রাপ্তি ও সেটাই।
ভালো থাকুন সমস্তক্ষন।
২৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৮
আলমগীর কাইজার বলেছেন: কবিতা তো কবিমনের সত্য অনুভূতি যা অন্যের মনকে আন্দোলিত করে।
নিয়মিত কবিতা চাই, ভালো থাকবেন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কবিতা তো কবিমনের সত্য অনুভূতি যা অন্যের মনকে আন্দোলিত করে।
সত্য বচন কবি !! আপনার জন্য ও সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
২৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯
ল বলেছেন: আপনাকে আমার" কবিরাণী" বলে ডাকতে ইচ্ছা করে দিদি -+-***
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী চমৎকার করে দিদি সম্বোধন করলেন !!!
বরং এ শুনতে অনেক ভালো লাগছে
শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
অগ্নি সারথি বলেছেন: কবিতা কম বুঝি! তবু সুন্দর লেগেছে। ভারতের মহারেষ্ট্রে অমরাবতী একটা জেলার নাম। আমি গিয়েছি সেখানে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ অগ্নি সারথি পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য!! এবং তথ্যের জন্য ও।
আশা করছি আপনার অমরাবতী ভ্রমণ আনন্দময় ছিল !
২৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুন ভাবনা।
অভিনন্দন এবং শুভকামনা নিরন্তর।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !
পাঠে এবং ভালোলাগা প্রকাশে।
শুভ কামনা অনিঃশেষ।
২৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট পড়তে ভালো লাগলো, নিজের নাম দেখে আরেকটু বেশি ভাললাগা! তারপর দেখি, পোষ্টের সাথে পাল্লা দিয়ে চমৎকার সব মন্তব্য, সাথে ফাও দুখানা চমৎকার কবিতা!!!!
সব তাতেই ভাললাগা..........
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু আপনার কাছে কৃতজ্ঞ, আগের পোস্টে চমৎকার মন্তব্য রেখে আসবার জন্য।
আপনি সব সময় দারুণ একজন মুগ্ধ পাঠক !! যে কোন লেখকের জন্য প্রেরণা আপনি !
এই পোস্ট টা প্রতিক্রিয়া জানতেই দেয়া; চমৎকার সব মন্তব্যে ব্লগাররা তাদের আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন, অবশ্যই উনারা সাধুবাদের যোগ্য।
আপনার মন্তব্য , আপনার লেখার সাথে থাকা , পাশে পাওয়া সব তাতেই মুগ্ধতা ভালোবাসা।
৩০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: কবিতা হলো আমার একটা ঘর । এই ঘরের মালিক আমি নিজেই । কখনো সুখে থাকি কখনো দুখে থাকি তারপরেও ঘরটা আমার ।
বড় করে আর কিছু লিখার নেই ।
কবিতা ভালো লাগে বলেই কবিকে ভালোবাসি ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় আপনাকে পেয়ে আনন্দিত আমি!!
চমৎকার শব্দচয়নে মন্তব্যে ভালোলাগা রাখলাম।
হুম কবিতা ভালো লাগলে কবি কে ভালোবাসা সহজ।
৩১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: " ও গানওয়ালা, আর একটি গান গাও। আমার আর কোথাও যাবার নেই- কিচ্ছু বলার নেই...। "
সুন্দর সত্যের মতো শব্দেরা স্নিগ্ধতা ছড়াক আপনার কবিতায়- বেঁচে থাকার শক্তি পাক, প্রেরণার উন্নত বীজ। অভিবাদন সুপ্রিয় মনিরা আপু- অনেক শুভকামনা জানবেন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার জুঁইফুল শুভেচ্ছা আমার জীবনে আনন্দ হয়ে দেখা দিক।
চমৎকার শুভ কামনা র জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা নিরন্তর।
৩২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
কিরমানী লিটন বলেছেন: কবিতার কাছে ফিরুক কবিরা
গুনাহ হবেনা সগীরা কবীরা
বরং তাতেই মুক্তি
মগজে কাগজে কাটাকুটি করে
অকবিজনেরা বোধের ভিতরে
কবিতাকলা প্রযুক্তি
বানাতে চেয়াছে - পেয়েছে কেবল
দশকে দশকে ঘোলা করে জল
মুক্তাবিহীন শুক্তি ---
দূর প্রতীচ্যে কেবলা বানিয়ে
কালি ছুড়ে আর কলম শানিয়ে
শত ছেঁড়া-খোঁড়া যুক্তি
দাঁড় করিয়েছে - পারেনি দাঁড়াতে
পারেনি সামনে এক পা বাড়াতে
অযথা তালিকাভুক্তি
সার হয়ে আছে - আর আছে তাতে
পরস্পরের পিঠ চুলকাতে
পারস্পরিক চুক্তি
প্রভাবমুক্ত স্বভাব কৃতিতে
প্রকৃত কবিরা প্রাকৃত রীতিতে
খুঁজুক নতুন মুক্তি
কবিতার দিকে চরণ বাড়াক
মাথার ভিতরে থাক বা না থাক
বদলেয়রের উক্তি
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ বাহ চমৎকার ছন্দবন্ধতা !
কবি' রা কবিতার কাছেই ফিরুক ।
৩৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
হাবিব বলেছেন:
সুন্দর কবিতা এক শিশুর মতন
সুন্দর কবিতা এক শিশুর মতন
যতটুকু হৃদয়েতে করবে ধারণ
সদ্য ভূমিষ্ঠ সতত নিষ্পাপ নয়ন
অন্তরের প্রশান্তিতে সুসজ্জিত মনে।
কবিতা শক্তিতে কবি নজরুল হোন
বিদ্রোহীর উপাধীতে সকলে চিনেন
সুন্দর অনিন্দ্য কাব্যে বিপ্লব আনেন
মানুষকে সামনের নব পথে টানে।
কাব্যেই অন্তর ভিজে ছলছল আঁখি
আবেগের বেগ দিয়ে জীবনটা দেখি
জীবনের মানে বুঝা সহজ তখন।
কুলসিত কাব্য হয় অল্প সময়ের
হৃদয়ের উত্তেজনা কিছু লোকে রাখে
শালীনতায় কখনো পায়না যতন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ !! সহজ সরল স্নিগ্ধ রচনা।
সারল্য ধারণ করে আছে, আপনার লেখার মত করেই।
আমার আমার শুভ কামনা আপনার জন্য
৩৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
একটি কবিতা, একটি সার্থক কবিতা পড়ার পরে আমার ইচ্ছে হয় কবিকে বলতে,
কবি আমার কাছে তোমারও আছে শব্দঋণ!
সেই ঋণ আমি তোমায় ক্ষমা করে দিলাম একটি সার্থক কবিতা দিলে বলে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! বেশ বলেছে , তোমার লেখার মত মন্তব্যে ও অনন্যতার ছাপ রয়ে যায়।
শব্দে' র ঋণ তাহলে চমৎকার সার্থক এক কবিতায় শোধ হয় ! তাই তো !!
৩৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০
ফেইরি টেলার বলেছেন: দারুন লেখেন আপনি মনিরা সুলতানা।আপনাদের মত চমৎকার লেখক লেখিকা পেয়ে খুব খুশি ।
আরেকটি প্রসংগে বলি দয়া করে অন্যভাবে নিবেন না, চাঁদগাজী সাহেবকে দুদন্ড শান্তি দিতে গিয়ে আপনি কিন্তু চারদন্ড অশান্তি দিয়ে দিয়েছেন । গডস, হ্যাভেনস, প্যারাডাইস ! এসব দেখে তিনি নিশ্চই সারারাত দাঁত দিয়ে নখ কেটেছেন আর ভেবেছেন "কেন জানতে চাইলাম অমরাবতীর মানে" !
শুভেচ্ছা
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার মন খোলা প্রশংসায় আপ্লুত হলাম ফেইরি টেলার !
শুভেচ্ছা নিন লেখিকার পক্ষ থেকে।
আপনার অভিযোগ মনে হচ্ছে সত্যি উনাকে এই এলাকায় আর ঢু মারতে দেখা যায় নাই ।
৩৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
সোহানী বলেছেন: তুমি যাই হাত দাও তাতেই সোনা ফলে............। অনেক ভালো লাগলো।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু ভালোবাসা নাও আমার; সব সময় এমন ভালোবেসে পাশে থেকো।
৩৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার শঙ্খশব্দ পাঠে সেখানেই বলে এসেছি
কোন কবিতাকে অসাধাধারণের কাতারে নিয়ে যাওয়ার
আনুপুর্বিক কিছু অনুভুতির কথা । আগেই বলেছি ,
আমি কবিতার এক নিরস পাঠক , তাই কবিতার
মুল বিষয় বস্তুকে ছাপিয়ে কবিতায় থাকা বিশেষ
কোন শব্দ , কথা কিংবা ভাবের মাঝে যাই হারিয়ে ।
সেটা নিয়েই কাটিয়ে দেই বেশ কিছুটা বেলা,
কিছুটা ঘুরে ফিরে দেখি কবিতার আসে পাশে ।
এখানেও এর হয়নি কোন ব্যতিক্রম
কবিতার শিরনামে থাকা অমরাবতী শব্দটিই
কেড়ে নিয়েছে মনের ভাবনাগুলিকে ।
মনে হলো সামুতে থাকা আপনার কবিতাটিসহ
বৃহৎ পরিসরে কবিতারই জগতে গিয়ে
ঘোরাঘুরির ছন্দটাই যেন পেলাম খুঁজে ।
মনে হলো কবিতার পিঠে চড়ে
ভ্রমন বিলাস চরম হলেও
স্মৃতির মর্মে মিশে স্মৃতির বেশে
ক্রমেই যেন ধাবমান হচ্ছি
আনন্দ অনুভুতি সম অমরাবতীতে।
মনে হলো যদিউ থাকি পরবাসে
তবে প্রাণ রয়েছে পদ্মা মেঘনা যমুনা তীরে
অনির্মেশ চেয়ে রয়েছি মেঘলা নীচে
যেথায় ফোটে প্রাণের আয়না
প্রাচীণ দেওল শিমুল ছায়া
বুকের ঘাটে বাংলা মায়া
সেটাই যেন মোর খাটি অমরাবতী,
শাশ্বত বাংলার জীবন মাধুরী যায়কি কভু ভুলা
যদিও সতত মনে পরে সেই দিনের বিভীষিকা ।
এই আনন্দঘণ অমরাবতীতেই জ্বলছিল সেদিন ঘরে ঘরে
শিশুঘাতি নারীঘাতী পাশবিকতা, নেমেছিল বাংলার বুক জুরে
মাতৃভাষার জন্য বুকের রক্ত বিসর্জন দেয়া,
পৈশাচিক প্রাণ হরনের বিভৎসতা পেরিয়ে
মানুষ পেয়েছিল নীজ মুখের ভাষার অধিকার ।
যে সব কবিতায় লক্ষ্য করি স্বদেশের
বায়ু আয়ু আর বন্চিত প্রাণের হাহাকারের
সাথে বাজে শব্দশঙ্খে মুক্তির শাঁখ ।
মহা দুর্যোগের দু:খ সাগর পার হওয়া
যে অমরাবতীতে শুনি মায়ের ডাক-
পরবাসী ফিরে এসো ঘরে
আছে সেথায় কচি ঘাস ,মাঠ পাশে জল
মেঘে মেঘে চলে নীলাকাশ
শেষ করে দুর পরবাস
ফিরে এস ধরিত্রির ছেলে
মাটিকে নাও তুমি বুক মেলে ।
মাটি ধরনী বসুস্ধরা স্বর্গ আর অমরাবতী যে নামেই ডাকা হোক
যে কবিতা পাঠে মন মানসকে ডেকে নিয়ে যায় স্বদেশের ঘাটে
সেটাই আমার কাছে মনে হয় অসাধারণ কবিতা
সেটাই আনন্দময় অমরাবতী সম আমার কাছে ।
সুন্দর লেখা ও কবিতাংশের জন্য রইল অভিনন্দন
সাথে শুভ কামনা ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাটি ধরনী বসুস্ধরা স্বর্গ আর অমরাবতী যে নামেই ডাকা হোক
যে কবিতা পাঠে মন মানসকে ডেকে নিয়ে যায় স্বদেশের ঘাটে
সেটাই আমার কাছে মনে হয় অসাধারণ কবিতা
সেটাই আনন্দময় অমরাবতী সম আমার কাছে ।
আপনাকে ও অভিনন্দন ভাইয়া !! চমৎকার একটা পরিপূর্ণ কবিতা উপহার দেয়ার জন্য।
আপনাকে নিয়মিত দেখে আমি আনন্দিত !! অনেক ভালোলাগছে ; আশা করছি কবিতা টি আপনার ব্লগে প্রকাশ করবেন। সমস্ত ব্লগার রা যেন চমৎকার এই কবিতার স্বাদ নিতে পারেন।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
৩৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কোন কবিতা পড়ে ভাল লাগলে শুধু এতটুকুই বলতে পারি,খুব ভাল লেগেছে।
কিন্তু মনের ভেতরে সেই ভাললাগার অনুভুতি গুলো শব্দে প্রকাশ করতে পারিনা।
কবিতা হল কবির মনের প্রতিচ্ছবি।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এক কথাতেই বাজিমাৎ করলেন মোস্তাফা সোহেল !!! কবিতা হল কবির মনের প্রতিচ্ছবি।
কবিতা সত্যি ই মনের প্রতিচ্ছবি , কবি বা লেখকের মুহূর্তগুলো ধারণ করে কবিতা।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন, অনেক অন্যে ভালোথাকার শুভ কামনা।
৩৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: খুব চমৎকার কবিতা.....কবিতার প্রতিটি লাইন বুঝার জন্য দরকার একটি তুখোর মগজ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম হুম কার কবিতা 'তে যে চমৎকৃত হলেন বুঝে ঠিক উঠলে পারলাম না যদিও , তবুও চমৎকার শব্দ' টি চমৎকৃত করলো আমাকে।
আমার আন্তরিক অভিবাদন নিন দারুণ মন্তব্যে
৪০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পরামর্শ দেয়ার জন্য । সবিনয়ে জানাতে চাই সহব্লগারদের লেখার উপরে মন্তব্যকে আমি টেনে গিয়ে নীজের ব্লগে কোন লেখা প্রকাশ করিনা । মন্তব্যটি একান্তই সংস্লিস্ট লেখাটিকে ঘিরে, তাই এটা সার্বজনিনতার কাতারে তেমন পরেনা । তা না হলে আমার করা প্রায় দশ হাজারের অধীক মন্তব্যের মধ্যে হাজার খানেকের বেশী দিয়ে নীজের ব্লগে লেখা প্রকাশ করার যোগ্যতা সে গুলি রাখে বলে মনে করি । তবে কোন বিশেষ বিষয়ে লেখার জন্য কেও কোন অনুপ্রেরনা দিলে তা রক্ষা করার চেষ্টা করি , যেমন আপনার দেয়া অনুপ্রেরনায় মহাকবি কালীদাসের মেঘদুতের উপর কিছুটা লিখেছিলাম ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারণ ভাইয়া ! আপনার মন্তব্য এ জন্যই অতখানি কাঙ্ক্ষিত !! আর আমার অনুরোধ পরামর্শের মত হয়ে যাওয়ায় ক্ষমা প্রার্থী।
আমার আর নিলপরীর অনুরোধে মেঘদূত সহজ করে আমাদের জন্য লিখেছেন, সে ছিল আমার জন্য এক অসামান্য উপহার !!
বেঁচে থাকুক ব্লগের এই পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া। আশা করছি আপনার কাছে ভবিষ্যতে ও ব্লগে অনেক অনেক সমৃদ্ধশালী লেখা পাবে।
অনেক অনেক ধান্যবাদ ভাইয়া সব সময় আমার নিজের লেখা নিজের কাছে দারুণ অনুভূত করাতে সাহায্য করার জন্য।
৪১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
আপনার "শঙ্খশব্দ" কবিতায় মনে হয় আজকের এই পোস্টটির জবাব ইতিমধ্যে দিয়ে এসেছি আমি। একটি ভালো কবিতা পাঠের যে অনুভূতি তা কি তেমন প্রকাশ্য করে বুঝিয়ে বলতে পারে কেউ? তেমন মর্মরধ্বনি তোলা কবিতায় মনের মাঝের আন্দোলনও হয় মর্মরধ্বনির মতোই অস্ফুট, কান পেতে শুনে নিতে হয়।
এই পোস্টেও শঙ্খের মতো শব্দ চয়নে আপনার তীব্র আকাঙ্খার কথা লিখলেন।
তাই চমৎকার একটি কবিতা পাঠের অনুভূতি পাঠকের কাছে কেমন তা আপনার "শঙ্খশব্দ" কবিতায় করা আমার মন্তব্যটুকু আবারও তুলে দিলে মনে হয় বাহুল্য হবেনা --
"অযাচিত কতো শব্দ দিয়েই তো কবিতার মালাখানি গেঁথে গেলেন! তবুও শব্দের দেখা মেলেনি বলে আফসোস করতেও দেখলুম।
আসলে আজকালকার কবিতার জন্যে নতুন শব্দ চাই । খেমটার মতো জোরের শব্দ চাই । বখে যাওয়া তারুন্যের মতো নষ্ট শব্দ চাই । খাপে খাপ যাতে মিলে যেতে পারে আজকের খিস্তি-খেউড় খোলামেলা ভাষার সাথে ।
তাই শব্দেরও হাত বদল করতে হবে , আলো জ্বেলে খুঁজে নিতে হবে ধ্রুপদী বর্ণমালা । শব্দের ভান্ডারে টানলাগার আগেই মগজের অলিন্দ থেকে টেনে তুলতে হবে ঘুমছাপ চোখের কিছু কিছু ত্যাদোড় শব্দকে, তবেই না কবিতায় তার পুরো ছাপ ফুটবে!
তাতেও যদি শব্দের শরীর খুঁজে না পান , একটা শরীর বানিয়ে নিন, সাজিয়ে নিন তাকে । তার আগে বুঝে নিন, ঐ শব্দের শরীর ছিলোনা কোথাও আগে।
একটি অন্যরকম কবিতা পাঠে ভালোলাগার শঙ্খনিনাদ করে গেলুম ।"
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার এই অসাধারণ মন্তব্য টি আমি হয়ত আগের কবিতায় বুঝে উঠতে পারি নি পুরোপুরি ভাবে, আশা করছি আমার বুঝে উঠার অক্ষমতা কে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনার শঙ্খনিনাদে মুগ্ধতা রাখলাম।
৪২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
রাকু হাসান বলেছেন:
পিঠাপুলির তো কথা বললেও হবে ! অনন্ত একটা ছবি মেরে দিলেও তো অফসুস ঘুছে যেত কিছুটা । শব্দশঙ্খ পড়ে মুগ্ধ হয়েছি আগেই । শব্দ চয়নে বাক্য গঠনে বারবার মুগ্ধ হই নতুন করে বলার কিছু নেই । তবে ঠাঠা মফিজ ভাইয়ার মন্তব্যে হাস্যরস পেলাম । ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে এ এ এ ধান মাত্র উঠল দেখ না বাড়ির উঠানে আসছে......
আশা রাখো । একদিন তুমি ও
শঙ্খশব্দ পড়ে কতখানি মুগ্ধ হইছ !!! সে তোমার মন্তব্যে ই বুঝেছি
ভুয়া ভাই আইস্যা হাস্যরস কান্নায় পরিণত করবে, কার মন্তব্যে কাকে ম্যানশন দাও ?
ধন্যবাদ ধন্যবাদ আমার পোস্টের মূল বক্তব্য এড়িয়ে যাবার জন্য।
৪৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৯
রাকু হাসান বলেছেন:
অনেক দুঃখ প্রকাশ করছি । খারাপ ও লাগছে । আসলে মূল বক্তব্যেই মন্তব্য করা উচিত ছিলো । সে বিষয়ে অনেকে কথা বলছে তােই ভাবছিলাম ফান টাইপ কমেন্ট করি । অবশ্য দুইটাই করতে পারতাম । ৎ
গত পোস্টেও মনের মতো মন্তব্য রাখতে পানিনি । বই বের হচ্ছে জেনে ,সেটাই আমার মূল মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে । যাক সব কথা বাদ ।
কবিতা পাঠে আনন্দ কতটুকু? সে প্রশ্নের সঠিক উত্তর অনন্ত আমি দিতে পারবো না । একটি অসাধারণ ভালোলাগার কবিতা আমি বারবার পড়ি ,নিজে নিজে আউড়ায় ,খুব যত্নে পারলে লিখে রাখি । রেকর্ড করি ,বারবার শুনি । অন্যকে পড়তে ,শুনতে দেই । এভাবেই চলে । ভালো একটি কবিতা আামার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে ,হয় মন ভালো করে নয়তো খারাপ করে দেয় ,কিছু কবিতা ব্যাপাক ইমোশনাল করে দেয় ,তখন চোখ গড়িয়ে জলও বের হয়ে যাই ।একটি নির্জন জায়গা,পাখির গানে মুখরিত থাকে সব সময় ,বাঁশঝাড়ের ফাঁক গলে মিষ্টি সকাল বা কিংবা রোদেলা বিকেল সূর্যের ঝিলিক চোখ মুখে পড়লে অদ্ভুদ একটি ভালো লাগা তৈরী হয় ,সেই ভালো লাগার সাথে তুলনা করা যেতে পারে । সত্যি ঠিক কতটা আনন্দ ময় তা আমি প্রকাশ করতে পারবো না । ব্লগে ইদানীং মানসিক সমস্যায় ভুগছি । ব্যস্ততায় মনের মতো পড়তে ও মন্তব্য করতে পারছি না । নিজের মতো করে মন্তব্য রাখত না পারলে ব্লগিংটা উপভোগ্যও হয় না । শুভরাত্রি আপু ।
তয় এভাবে ধন্যবাদ না দিলেও হতো
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা আমি ও মজা করেই উত্তর দিয়েছি হে ......
সব কথার বড় কথা দেখলা !!! কি চমৎকার একটা মন্তব্য করিয়ে নিলাম তোমাকে দিয়ে !! হু হু আরেকবার নিজেই পড়ে দেখ; কী দারুণ এঁকেছ নিজের ভালোলাগা, শব্দে শব্দে।
একটি অসাধারণ ভালোলাগার কবিতা আমি বারবার পড়ি ,নিজে নিজে আউড়ায় ,খুব যত্নে পারলে লিখে রাখি । রেকর্ড করি ,বারবার শুনি । অন্যকে পড়তে ,শুনতে দেই । এভাবেই চলে । ভালো একটি কবিতা আামার উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে ,হয় মন ভালো করে নয়তো খারাপ করে দেয় ,কিছু কবিতা ব্যাপাক ইমোশনাল করে দেয় ,তখন চোখ গড়িয়ে জলও বের হয়ে যাই ।একটি নির্জন জায়গা,পাখির গানে মুখরিত থাকে সব সময় ,বাঁশঝাড়ের ফাঁক গলে মিষ্টি সকাল বা কিংবা রোদেলা বিকেল সূর্যের ঝিলিক চোখ মুখে পড়লে অদ্ভুদ একটি ভালো লাগা তৈরী হয় ,সেই ভালো লাগার সাথে তুলনা করা যেতে পারে । সত্যি ঠিক কতটা আনন্দ ময় তা আমি প্রকাশ করতে পারবো না
এই তো আবার ফিরতে হবে তোমাকে এই লেখায় আগের লেখায় আমি কি বলেছি ? আর ইমো কি দিয়েছি ? ভালো করে মন্তব্যের উত্তর পড়েছিলা ? পোস্ট তো পড় ই নাই
আমার বই কোথায় পাইলা ? হাহাহাহাহা আচ্ছা ছবি একটা দিয়েছি ; ওপেন করে তো দেখবা কিসের ছবি ? হিহিহিহিহি ।
যাইহোক তুমি ব্যস্ত আছো আজকাল, বাদ দাও এসব - হ্যাপি ব্যস্ত সময় !!!
৪৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কবিতা মানে আমার কাছে মনের কথা বলা
মনের ইচ্ছা প্রকাশ আরও অনেক কিছু।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কবিতা মানে আমার কাছে মনের কথা বলা
মনের ইচ্ছা প্রকাশ আরও অনেক কিছু।
চমৎকার ভাবে দু' লাইনে নিজেকে ভালোলাগা প্রকাশ করলেন মোঃ মাইদুল সরকার ! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সব সময় ভালোথাকবেন।
৪৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০
রাকু হাসান বলেছেন:
হাহাহা এ তো অপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে । আসতেই হলো একানন্ত বাধ্য হয়ে । গত পোস্টে ভেবেছিলাম সংশ্লিষ্ট পোস্টের প্রচ্ছদটি একটি বইয়ের ,এবং সেই বইয়ে শব্দশঙ্খ কবিতাটি আছে । ব্লগে এত ভালো লাগে কবিতা বইয়ে পাচ্ছি জেনেই আত্মহারা ।হায় আল্লাহ্ প্রতি মন্তব্যে কি পড়লাম আমি । এতো দেখছি সব মোস্তাফিজের কাটার ,খেলতেই পারছি না । আমার ব্যাটিং স্টাইলের সাথে মিলছেই না । প্রাকটিস ভালো করি নাই তাইলে
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ব্যস্ততা কমুক তোমার ......
ছক্কা হাঁকবে তখন
৪৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: যে কবিতা ভাবায়, সেটাই ভাল লাগে।
আজ আর এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে চাইনা, তবে কিছু ভাল লাগা মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যের কথা যেন না বললেই নয়।
মিথী_মারজান (২), পদাতিক চৌধুরী (১৫), কথার ফুলঝুরি! (২০), কাওসার চৌধুরী (২৩), আলমগীর কাইজার (২৫), কিরমানী লিটন (৩২), ফেইরি টেলার (৩৫), ডঃ এম এ আলী (৪০), আহমেদ জী এস (৪১), রাকু হাসান (৪৩) প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। +
আর আপনার ৪, ৬, ১১, ১৫, ২২, ২৩, ২৬, ৩৫, ৪০, ৪৩ প্রতিমন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে।
ভাল থাকুন, কবিতায় থাকুন। শুভকামনা---
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার পাঠের প্রতিক্রিয়ায় আমার ধন্যবাদ নিন।
আমার আগের লেখায় ও আপনি প্রকাশ করেছিলেন আপনার অনুভূতি "কবিতা মানব হৃদয়ের শুদ্ধতম উচ্চারণ। একটা ভাল কবিতা পাঠ শেষে ভাবতে ভাল লাগে, লিখতেও ভাল লাগে " হ্যাঁ সত্যি ই কবিতা হৃদয়ের শুদ্ধতম উচ্চারণ যখন তখন ই সেই কবিতা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে।
ভালোলাগা মন্তব্য গুলো উল্লেখ করার জন্য ধন্যবাদ উল্লেখিত ব্লগার রা প্রায়শই চমৎকার সব মন্তব্য করে থাকেন। আমার প্রতিমন্তব্যে আপনার ভালোলাগা পেয়ে আনন্দিত।
আপনার জন্য সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরো ভালো করে পড়ে পড়ে কমেন্ট আসছি ।
আপু শুভেচ্ছা নিয়েন।