নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি

মনিরা সুলতানা

সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ

মনিরা সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবন ( ঢাকায় থাকি)

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১২



শব্দ দূষণ মুক্ত ! সবুজ সিক্ত ! এই স্লোগানে বাস করতে গেলে ;
সবসময়ই একটু অফবিট এলাকা বেছে নিতে হয় বসবাসের জন্য। যেখানে নিজের করে, নিজের মতোই প্রকৃতি প্রাকৃতিক রূপে ধরা দেয়। যদিও মফঃস্বল ঢাকায় তারপর ও প্রায় বসবাস অযোগ্য করে তোলা, অযুত স্মৃতি'র এই যাদুর শহর ! ঢাকায় এ যাত্রা চোখের কোনে একটুকরো সবুজ নিয়ে ঘুমতে যাবার মত একটা ব্যালকনি পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ!!!!!

ঝুম বৃষ্টিতে কিছু শালিকের জুবুথুবু হয়ে ওম নেয়া ও চোখে প্রশান্তি আনে বেশ। যদিও জ্যৈষ্ঠ তাপের দাবদাহ করোনা কালের রুঢ়তা ও ভুলিয়ে দিচ্ছে মাঝে মাঝে। এরপর নিজের রূপে ফিরে একপশলা বৃষ্টি !!! রোদ মেঘের কোলাকুলির এই মৌসুমে অবশ্য বিয়ে দেয়ার মত খেঁকশিয়াল এই নগরে আর অবশিষ্ট নেই। কিন্তু সকল দূষণ ধন্য করে সবুজ যেন শিল্পীর রঙের ডিব্বা খালি করে নেমেছে পথেঘাটে।

রোজ বিকেলে রোদ কমে এলে অথবা বৃষ্টি থামলে -
দলবেঁধে পাশের কলোনির গৃহবধূরা টুকরি হাতে নেমে পরে, পাঁচ মেশালি শাক কুড়াতে সেই শৈশবে গ্রামের ছুটির গল্পের ছবি হয়ে।
কতকত যে নাম তাদের ...
কলমি, সেচি , গিমা , নটে ,ব্রাহ্মী, ঢেঁকি। সবটুকু আঁজলাতে আজাচিত ভাবেই আসে। এইসব সুরমালেপা দিনগুলোতে স্মৃতিতে ফিরে আসে শৈশব / কৈশোর ! সেসব দিনে, সেই আনন্দে, উচ্ছলতায় মেতে উঠা হয় না ! যেখানে আর ফেরা যায় না।


বছরে দু'বার গ্রামে যেতে পারতাম মাত্র ! শীতের স্কুল শেষ হবার পর অথবা বিয়ে শাদীর দাওয়াত থাকলে। নানীবাড়ি চাচাতো বড় বোনের বাড়ি, মাঝে মাঝে খালাদের বাড়ি' আর দাদা বাড়ি। সদরঘাট থেকে লঞ্চ ধরলে দিন যেন ফুরায় না আর।
ফতুল্লা- কাঠপট্টি -তালতলা...


সেবার এমন বৈশাখ/ জ্যৈষ্ঠে জমজমাট নানিবাড়ি !
নতুন মামী বাড়িতে। সব খালা'রা বাপের বাড়ি নাইওর এসেছে। চার বোনের ছেলে মেয়ে ছোট মামা খালা নিয়ে হুলুস্থুল ! মসজিদের পাশে পাড়ার সবচাইতে বড় পুরনো দীঘিতে জাল পরেছে, আশেপাশে মানুষ থৈথৈ। এই দীঘি নিয়ে নানা ধরনের প্রচলিত গল্প তখন কুপি/ হারিকেনের আলোয় আমাদের সন্ধ্যার আড্ডার সবচাইতে গা ছমছমে অনুভূতির তালিকায়। খুব পুরনো মাথায় লাল রঙা এক গজার মাছ ই সেদিনের মধ্যমণি হয়ে রইলো। নতুন মামি সেই মাছ কেটেকুটে সবার জন্য আজ রান্না করবেন। উৎসব মুখর পরিবেশ।

মাঝ দুপুরে ঝড় উঠলো, বড় দের মাঝে হৈহৈ রব সব বাচ্চাদের ঘড়ে বন্দী করার; কিন্তু দুরন্ত কৈশোর সবসময়ই বয়স্কদের চিন্তার আগে ছোটে। আমরা ও হৈহৈ এর আগে রৈরৈ করে ততোক্ষণে ছাড়া বাড়ির ভূতুরে আম গাছের তলায়। এরা হচ্ছি
মাস্টারের নাতিনাতনিদের মাঝের তিন নাম্বার দল (আক্ষরিক অর্থেই ছাগালের তিন নাম্বার বাচ্চা) যাদের কাজ ই হচ্ছে বড়দের পিছু নেয়া কিছুক্ষণ বুঝে আর পুরোটা সময় না বুঝে ;)

সেদিন ভেজার জন্য কাঁকদের ও মধ্যপাড়া গ্রাম ছাড়তে হয়েছিলো আমাদের কিচিরমিচিরে। আর কাঁচা, আধ কাঁচা কিছু গাছ পাকা আমের স্তুপ জমেছিল রান্নাঘরের আঙিনায়। ভেজা বিকেলে'র ঢলে অন্তঃপুরের পুকুরের পাশের নালায় সাঁচরা মাছ ধরার উৎসবে মেতেছিলাম। বিকেলের নাওয়া শেষে গামছায় জল তুলে পায়ে ঢালার মত।
আজ ঠিক মনে করতে পারি না, সব কি একই দিনের গল্প না সেই বৈশাখের গল্প পুরোটা।

সমস্ত টা ছুটি চষে বেড়াতাম আলু ক্ষেতের আল বেয়ে বথুয়া শাক কুড়ানো, কোলা' র পাশের সেচিশাক, পায়ের পাতাভেজা পানিতে হেলেঞ্চা কলমি তোলা। শহিদুল মামা দের ( মায়ের কাজিন ) রোয়াইল গাছের টকমিষ্টিতে, ছাড়া বাড়ির কাউ গাছের পাকাফল তুলে আনাতে। মাঝে মাঝে পালের হাঁসের জন্য শামুক কুড়াতে। ফলাফল ফিরতি পথে লঞ্চ থেকে সদরঘাট নাম্বার আগেই জ্বরে কাইত। আমার মায়ের নাইওর যাবার শখ সেবারের মত ইতি। সন্ধ্যায় আব্বা জিজ্ঞেস করত এই মুখপোড়া বান্দরগুলি কি সব আমার ?


ছবিঃ মনিরা সুলতানা


মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি বিজড়িত পোস্টটি হৃদয় গ্রাহি। পর্ব হবে কি? অনেক দিন পর তুমার লেখা পড়ার সুযোগ হলো। ভাল থেকো সবসময়।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সুজন !
প্রথম মন্তব্যে এমন আন্তরিক মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত ! সব সময়ে পাশে পেয়ে লেখা আনন্দময় হয়। পর্ব হবে কিনা এখন ও ঠিক করে ভেবে উঠতে পারিনি; তবে আমার অনন্য শৈশব স্মৃতির পরের পর্ব ভেবে নেয়া যায় অনায়েসে।
হ্যাঁ অনেক অনেক দিন পর লিখলাম, লিখতে পেরে সত্যি ই ভাললাগছে :)

তোমার জন্য ও শুভকামনা সতত।

২| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪২

জুন বলেছেন: এক ধাক্কায় ছেলেবেলায় নিয়ে গেলে মনিরা :)
এমন কত স্মৃতি মনে হয় লিখে রাখি সাদা রাফ খাতায় লাইন টেনে টেনে।
অনেক ভালোলাগা রইলো।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু একদম মনের কথা লিখেছ...........
প্রতিদিনের নিত্যকাজে আগে হয়ত মনে মনে গান গুনগুন করতাম, কিন্তু এখন দেখা যায় মনে মনে লাইন টেনে টেনে লিখি। খুবখুব ইচ্ছে করে অক্ষরে অক্ষরে সাজিয়ে তুলি।
তোমার অনেক ভালোলাগায় অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো আপু।
ভালোবাসা নিও।

৩| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ চমৎকার স্মৃতিচারণ। প্রথমে মনে হয়েছিল বুঝি গদ্যকবিতা; পরের দিকে এসে অবশ্য ভুল ভাঙলো।

পড়তে পড়তে মনে হল,
সেই মনে পড়ে
জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে
রাত্রে নাহিকো ঘুম।
অতি ভোরে উঠি
তাড়াতাড়ি ছুটি
আম কুড়াবার ধুম।
তেমনি আপনি শৈশবের দস্যিপনাকে তুলে ধরেছেন।

আলু ক্ষেতের সঙ্গে বতুয়া শাক অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কোথাও বা আমার মিষ্টি কুমড়াও দেখা যায়। অবশ্য আপনি বথুয়া শাক লিখেছেন। দারুণ টেস্ট। আমার অন্যতম প্রিয় একটা শাক।
আর একটা কথা, আপনাদের দেখাদেখি আমরা আইল বলাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন আপনারাই দেখছি আমাদের কথা আলকে আল বলছেন।
আর একটা কথা মানতে কষ্ট হলো আপু। আপনি বছরে দু'বার গ্রামে যেতেন। শীতের ছুটিতে এবং বিয়েশাদীর দাওয়াতে। শীতের ছুটিতে যাওয়া আবশ্যিক হলেও যেবছর একাধিক বিয়ের দাওয়াত আসতো সেবছর বাড়ির অন্য সকলে গেলেও‌ আপনাকে পড়াশোনার জন্য বাসায় রেখে যেতেন উপলব্ধি করে খারাপ লাগছে। আমি হলে অবশ্য কোন বাধা মানতাম না আপু।
। দুই এর অধিক বার গ্রামে যেতাম।হেহেহে


শুভেচ্ছা নিয়েন।

১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সেই মনে পড়ে
জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে
রাত্রে নাহিকো ঘুম।
অতি ভোরে উঠি
তাড়াতাড়ি ছুটি
আম কুড়াবার ধুম।

চমৎকার এ ক' লাইনে আমার লেখাকে অন্য এক মাত্রা দিলো।

অনেক ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি;
আশা করছি ভালো আছেন ! হ্যাঁ আপনাদের সবার ভালোবাসায় আবার ফিরে আসতেই হল। আর ফিরে আসার জন্য স্মৃতি কথার চেয়ে ভালো আর কী বা হতে পারে।

সত্যি ই তাই, আলু ক্ষেতেই বথুয়া/ বউত্তা/ বতুয়া যে নামেই ডাকি এ শাক জন্মে। এবং খেতে ও দারুণ মজা।
হাহাহাহা আমাদের দেখাদেখি আপনারা আইল বলা শুরু করছেন ! !
কিন্তু আমি যদি আইল লেকতাম এহেনে ; তাইলে এমুন কইরা লেখন যাইত না ;) কথ্যভাষা আর লেখার ভাষা বলে কথা।

আমাদের সময়ে কেবল বার্ষিক পরীক্ষা কেই গুরুত্ব দেয়া হত; তাই অন্যান্য সময়ে বিয়ে, মুসলমানি , জেয়াফত যে দাওায়াত ই থাকত ঠিকঠিক ই কোমর বেঁধে নামতাম। তবে সাধারণত দু'বারের বেশি হত না। বড় ভাইবোন দের এক্সামের জন্য।


পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যে সবসময়ের মত আমার ধন্যবাদ নিন; শুভ কামনা আপনাদের জন্য।

৪| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৬

মা.হাসান বলেছেন: অফবিট জায়গায় থাকার কিছু অসুবিধাও আছে। জায়গা মতো যারা আছেন তারা কেউ কেউ গত ছয় মাসে দু শতের বশি পোস্ট দিয়েছেন, আর আপনার এই একটা মাত্র পোস্ট।
আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ হলে আমি প্রতি সপ্তাহে যাবার চেষ্টা করতাম। তবে ছানাপোনা নিয়ে যাতায়াত কষ্টকর। এই গুলা আবার ইয়ের তিন নম্বর বাচ্চার মতো হলে তো কথাই নাই। #:-S
সেচি শাক অপরিচিত। সাঁচরা মাছও চিনলাম না। কোলা জিনিসটাও অপরিচিত।
হয় মুখপোড়া বলুক, না হয় বান্দর বলুক, এক সঙ্গে দুইটা বলা অন্যায় বলে মনে করি। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাইয়া গেলাম। :-&

যাহাদের কবিতা পড়ার এত সখ তাহারা ইসিয়াক ভাই আর কাজি ফাতেমা ছবি আপার পোস্ট বাদ দিয়া এখানে কেন বুঝিলাম না। /:)

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলেই সত্যি তো ! অফবিট আমারে অফ করেই রাখছে। ইশ কবে যে একদিন আমিও ...............
হুহু মুনশিগঞ্জ যাদের বাড়ি তারা প্রতি সপ্তাহে না অনেকে প্রতিদিন ই আসা যাওয়া করে ; শুধু যাদের শ্বশুরবাড়ি তারা বছরে একবার ও যাবার চেষ্টা করতে পারে না ;) ঐ যে সেই তিন নাম্বার বাচ্চা র দোহাই ।

সেচি শাক তো খুবই কমন শাক এ দেশে, হয়ত নামের ভিন্নতার জন্য চিনতে পারছেন না; অনেক এলাকায় অবশ্য মালঞ্চ শাক ও বলে।
সাঁচরা মাছ হচ্ছে পাঁচ মিশালি ছোট মাছের বিক্রম্পুইরা ভার্সন। আর কোলা হচ্ছে বাড়ি'র কাছের ছোট্ট জমি যেখানে নিত্যকার সবজি চাষ হয়।
আহা এমনি এমনি কি আর বান্দর বলছে, রোঁদে মুখ পুড়েছে বলেই না ডাবল উপমা B-))

আপনারে ভাই আমি ভাই ই ভাবছিলাম :( এমনিতে লেখা কম তার উপর দু একটা মন্তব্য যাও পাচ্ছিলাম এভাবে খেদাইয়া দিলে হবে /:)

৫| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৯

রামিসা রোজা বলেছেন:

হারিয়ে পেলাম আপনার হারিয়ে যাওয়া নস্টালজিক
স্মৃতিচারণে । দারুন ভালো লাগলো ।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার লেখায় স্বাগত আপনাকে রামিসা রোজা !
আশা করছি ভালো আছেন ? পাঠে এবং মন্তব্যে' র জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: আপনার পোষ্ট না পেতে না পেতে এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে হঠাৎ আপনার লেখা দেখলে চোখে একটা ধাক্কা লাগে :) । লেখা নিয়ে খুব বেশী কিছু বলার নাই আপা। কথা হল ঢাকার যাপিত জীবন কি এতই ব্যাস্ততা মাসে দুটো লিখা দেয়ার সময়ও দেয় না :( । ছয় মাস পর পোষ্ট দিলেন :-<

অনেক দিন পর আপনার লেখা দেখে ভালো লাগছে আপা। ভালো থাকুন।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ শায়েরী ভাই ! পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
না ভাইয়া ঢাকার জীবনে ব্যস্ততার চেয়ে অবিন্যাস্ততা বেশি ছিল। তাছাড়া লেখালিখি আমার কাছে একটা প্রশান্তির ব্যাপার। তাই সেভাবে লেখা হয়ে উঠে নাই।

আপনি ও ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।

৭| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা । স্মৃতি যেন রসগোল্লা । মিষ্টি আর মিষ্টি

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় স্বাগত আপনাকে নেওয়াজ আলি;
পাঠে এবং আপনার প্রথম মিষ্টি মন্তব্যে মিষ্টতা।

শুভ কামনা।

৮| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মনিরা সুলতানা আপা,
আমার সব সময় মনে হতো আমার ছেলেমেয়েরা সম্ভবত গ্রাম পছন্দ করবেন না। তাদের আধুনিক শহরে জন্ম, তারা যে ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন তা আমি কখনো দেখিনি - কিন্তু আনন্দের বিষয় তারা আমাদের গ্রাম পছন্দ করেন বেশ ভালোই পছন্দ করেন। শীতের সিজনে সরিষা পাতার শাক খাওয়ার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করেন। প্রতিটি ফসলের সময় গ্রামের বাড়িতে চলে যান।

আপনার লেখাটি হচ্ছে জীবনের ঠিকানা। যেখানে আমাদের জীবনের আলো খোঁজে পাই। ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি বলতে কি ! গ্রামের ছুটির দিনগুলো কাটে অফুরন্ত আনন্দে আর নিশ্চিত স্বাধীনতায়। শহুরে জীবনের স্বাদ আর গ্রামের জীবন একেবারেই আলাদা। বাচ্চারা আদর পেলে সব কিছুই উপভোগ করে। আপনাদের বাচ্চাদের জন্য শুভ কামনা।

ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৯| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫২

রাকু হাসান বলেছেন:


তোমার লেখায় গিমা শাকের নাম দেখতে পেয়ে বুঝতে পারলাম এই শাকটি বিলুপ্তি হয় নি এখনও । আমি ভাবতাম । গিমা নামটি বোধহয় আঞ্চলিক । এখন পরিষ্কার হলাম এটিই সর্বাধিক প্রচলিত নাম । শুদ্ধও বটে । গিমা শাক বা ঢিমা শাক বা গিমে শাক বা জিমা নামেও প্রচলিত রয়েছে। গিমার কিন্তু ঔষধি গুণাগুণ বেশ ভালো ।


এটি অজীর্ন, জন্ডিস, জ্বর, পিত্ত, কফে উপকারী। তিতা বলে মুখের অরুচি চলে যায়।

বর্তমানে অনেক আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হলেও অতীতে স্থানীয় লোকজন তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেষজ গুনসম্পন্ন গিমা শাক ব্যবহার করতো। এই জংলী শাকটি ডায়াবেটিকে উপকারী। হারবাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে মূলত রিউমেটিকের ব্যাথা ও সোরিয়াসিস হারবাল ওষুধ তৈরির কাজে এর কান্ড, পাতা, ফুল সবই কাজে লাগে। কোস্টকাঠিন্য, পাকস্থলি ও অন্ত্রের সমস্যা, রক্তপ্রবাহে সমস্যা, অ্যাজমা, ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ, ভিটামিন সি এর অভাব জনিত স্কিন ডিজিজ যেমন স্কার্ভি, চুলকানি, মাংসপেশি ও হাড়ের ব্যথার জন্য গিমা শাক খুবই উপকারী। গিমা শাক খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমে। এছাড়া গিমা শাক ওজন কমাতেও খুবই কার্যকরী। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গিমা শাক দারুণ উপকারী। অনেক সময় চোখ উঠলে বা চোখ ব্যথা করলে গিমে পাতা দিয়ে সেক দেয়া হয়। আবার গিমা পাতার রস এবং আধা কাপ আমলকী ভেজানো পানি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। (তথ্য উইকি)

অতিরিক্ত তথ্য এই জন্যই দিলাম । এখানে অনেকেই আসবে । তারা একটু হলেও পড়বে,জানবে । আমি জানলাম ।

যাপিত জীবনে অনন্ত মানসিক দিকটা ভালো কাটুক সেই কামনা করি।

১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যে কোন মৌসুমি ফল শাক সবজি সব সময়ই সেই মৌসুমের সবচাইতে বড় প্রতিষেধক !
গিমা শাক ব্রাহ্মী শাক অসম্ভব উপকারী শাক।

ধন্যবাদ চমৎকার তথ্যের জন্য। ভালো থেকো সবসময়।

১০| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ১:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"ফিরতি পথে সদরঘাট নামবার আগেই জ্বরে কাইত।"..... চমৎকার একটি লাইন। আপনার পুরো স্মৃতির এলবামের চুম্বক অংশ এটা। আপনার লেখাটি পড়ে নিজের শৈশবের নানি বাড়ি বেড়ানোর হাজারো স্মৃতি মনে পড়ছে। আম্মার নাইওর যাওয়া আমাদের ঈদ আনন্দ! ভাবতাম আম্মা যদি সারা জীবন নাইওর থাকতেন।

ভালো থাকুন, আপা। শুভ কামনা রইলো পরিবারের সবার প্রতি।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আম্মার নাইওর যাওয়া আমাদের ঈদ আনন্দ! ভাবতাম আম্মা যদি সারা জীবন নাইওর থাকতেন।
ইশ একদম মনের কথা ছিল সেটা !! এবং চোখের পলকে ছুটির দিন গুলো শেষ হয়ে যেতো।

ধন্যবাদ কাওসার চৌধুরী ! পাঠে এবং মন্তব্যে র জন্য।
শুভ কামনা।

১১| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:১৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: স্মৃতিবিজড়িত পোষ্ট। ছোট বেলার অনেক কিছু মনে পরে গেল পোষ্টটি পড়ে ।

আমাদের এলাকায় বন্ধুদের একটি গ্রুপ ছিল, আমরা সারাদিন ক্রিকেট, ফুটবল আর খেলাধুলা নিয়েই পরে থাকতাম,
আমাদের এলাকায়ও এরকম একটি পুকুর ছিল যেটা নিয়ে অনেক প্রচলিত গল্প ছিল। পুকুরের ভিতর নাকি, ডেক পাতিল, ছিকল
ইত্যাদি ছিল। মানুষ নামলে টেনে নিয়ে যেত। পুকুরের পাশেও আমরা আড্ডা দিতাম।

ভাল লাগল।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের এলাকায়ও এরকম একটি পুকুর ছিল যেটা নিয়ে অনেক প্রচলিত গল্প ছিল। পুকুরের ভিতর নাকি, ডেক পাতিল, ছিকল
ইত্যাদি ছিল। মানুষ নামলে টেনে নিয়ে যেত।

হ্যাঁ একগুলো একদম কমন গল্প, তারপর ও কিন্তু পাঁইটে নামলে একডুবে মাঝ পুকুর থেকে মাটি তুলে আনার প্রতিযোগিতা চলত ঠিকঠাক।
আসলে সময়গুলো ই ছিল অন্যরকম ভালোলাগার!

ধন্যবাদ, ভালো থাকার শুভ কামনা।

১২| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম কথা হলো এতদিন কোথায় ছিলেন?
বহুদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।

স্মৃতি বড় ডেঞ্জারাস জিনিস। মানুষকে দুবর্ল করে। আনন্দ দেয়।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এতদিন আপনাদের আশেপাশেই ছিলাম নুর ভাই ! আশা করছি ভালো ছিলেন।
হ্যাঁ পোষ্ট বহুদিন পর দিলাম, সত্যি বলতে লিখতে পারছিলাম না একদম। অথচ গতকাল ১৫ মিনিটে বসে লেখা শেষ করেছি।

স্মৃতি বড় ডেঞ্জারাস জিনিস। মানুষকে দুবর্ল করে। আনন্দ দেয়। স্মৃতি কাতরতা দুর্বল করে কিন্তু সাথে অনেক কাজের অনুপ্রেরণা ও আসে স্মৃতি থেকে।

১৩| ১২ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার লেখাগুলো কেন যেন সাবলীল হয় না।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হয় না আসলেই হয় না ;) সাবলীল হলে তো ছয় মাসে ষাট টা পোষ্ট হত; অথচ দেখেন মাত্র ১ টা #:-S
দোয়া করে দেন সিনিয়র, আপনাদের কয়েকজনের দোয়া আমার খুব জরুরী প্রয়োজন :)

১৪| ১২ ই জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪৬

ইসিয়াক বলেছেন:


চমৎকার স্মৃতিচারণ।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক !
আশা করছি ভালো আছেন।

১৫| ১২ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:১০

জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনি যত ধরনের শাক চিনেন আমি তাদের অনেকের নামই জানিনা :P

এরকম স্মৃতি আমিও হাতড়িয়ে বেড়াই :) ঐ দিনগুলো মনে হয় জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিলো!

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এরকম স্মৃতি আমিও হাতড়িয়ে বেড়াই :) ঐ দিনগুলো মনে হয় জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিলো!
আমার তেমন ই মনে হয়; নিশ্চিত নিরাপদ ভাবনা বিহীন উচ্ছল উজ্জ্বল সব দিন।

ধন্যবাদ ভাইয়া অনুপ্রাণিত করা মন্তব্যে' র জন্য।

১৬| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গ্রামে গেলে গিমা/গিমি শাক খাওয়া গয়। আলু ও শাক একসাথে ভাজা করা হয় মচির দয়ে দারুন লাগে।

যাপীত জীবন কথন+++++++++++।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আজকাল কিন্তু শহরের বিভিন্ন ব্যাজারেও এই শাক কিনতে পাওয়া যায় । তবে গ্রামে মাটির চুলায় ছ্যাচা রসুন মরিচে এর স্বাদ পাল্টে যায়। এত্ত গুলো +++ এর জন্য এতগুলি ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার।

১৭| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: গ্রামে যাওয়ার মতো ঠিকানা নেই । থাকলে বেশ হত ।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ অন্যরকম অনুভব ! একটু পরিবর্তন আর কি ।
আশা করছি ভালো আছেন।

১৮| ১২ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ব্লগে ইদানীং বেশ কিছু কুমীর দেখা যাচ্ছে। তবু ভালো একটা কুমীর আড়মোড়া ভাঙ্গলো। আমাদের জন্য.....ব্লগের জন্য সুখবর!! :-B

ডিকশনারী নিয়া বসছিলাম পড়ার জন্য। আপনের লেখার সেই ধার আর নাই। ডিকশনারী কোন কামেই লাগলো না। আশাকরি, দ্রুতই স্ব-রুপে ফিরতে পারবেন। লেখা নিয়া বলার কিছু নাই। যে কোনও শৈশবকালীন স্মৃতিচারনই আমি ভালা পাই। আর আপনেরটা তো ইস্পেশাল। যেখানে স্মৃতি, গদ্য, পদ্য সব মিলে মিশে একাকার!! :)

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কুমীর কী শুধু কুমীর ? টাকার কুমীর হইলে ও না হয় কথা ছিল /:) এইসব মিষ্টি কথায় বা উপমায় কাজ হবে না সত্যি টা কে স্বীকার করেন, সাবলীলতা এইটা হইতাছে রিয়েলিটি আমাগো লেখায় সাবলীলতা নাই ;) অখন কি করবেন করেন। আমি দোয়া চেয়ে নিয়েছি সাথে আপনি একটা তাবিজ দিতারেন ঐ যে কার জানি চউক্ষের ?

এখন ও যদি ডিকশনারি নিয়া বসতে হয়, তাইলে এতদিন ধরে আমার পাঠক হওয়াই বৃথা :P তাছাড়া স্মৃতিকথায় এসব জমে না, কিন্তু সামু তে আজকাল কবিদের মহামহা কম্পিটিশন তাই কবতে লাইনে যেতে ভয় পাচ্ছি :(

আমার লেখা যাদের কাছে স্পেশাল আজকাল তো তাদের দেখা ই পাই না, তাই যাদের কাছে ইস্পেশাল তাদের জন্য পাঁচ মিশালি গদ্য পদ্য সাহিত্য :)

১৯| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১০

ওমেরা বলেছেন: ওরে আপুনি ----- এত এত বাহারী নামের শাক আছে তাই তো জানতাম না ।শাকের ছবি দেখে তো কাঁচাই খেতে ইচ্ছা করছে !
শৈশব স্মৃতি চারন খুব ভালো মা লাগলো ।
ধন্যবাদ আপুনি ।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই এই শাক দুইটার সেইরকম টেস্ট !!
শাক আমার খুব প্রিয় খাবার, বিশেষ করে যেসব শাকে ঝোল রানা করা যায়।

লেখায় ভালোলাগা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ওমেরা
ভালো থেকো সুন্দর থেকো।

২০| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের শহরের স্কুল গুলোতে নিয়ম করা উচিত যে বছরে অন্তত একবার সব বাচ্চারা গ্রামে গিয়ে অন্তত ১ সপ্তাহ থাকবে স্কুলের তত্ত্বাবধানে। গ্রামের ছেলে মেয়েরা শারিরিক ও মানসিক দিক থেকে শহরের বাচ্চাদের চেয়ে শক্ত হয় (ব্যতিক্রম ছাড়া)।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ আজকাল স্কুলগুলো কিছুকিছু এমন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে, কিন্তু তাতে গ্রাম্য বৈচিত্র্যের চেয়ে হাইফাই রিসোর্টের ব্যাবসা বেশি।
ইকো প্রজেক্ট নামে দুবাই স্কুলের ট্রিপে দেখেছি বাচ্চাদের কে নেপালের গরুর খামারে গোবরের স্তূপে নামায়ে দিতে। কিন্তু বাংলাদেশে মনে হয় না সম্ভব। বাবা মা হার্ট ফেইল করে মারা যাবে।
গ্রামের ছেলে মেয়েরা শারিরিক ও মানসিক দিক থেকে শহরের বাচ্চাদের চেয়ে শক্ত হয় (ব্যতিক্রম ছাড়া)। ভালো বলেছেন কথাটা।

ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

২১| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

মিরোরডডল বলেছেন: অনেকদিন পর মুনিরাপু । বরাবরের মতোই সুন্দর স্মৃতিচারন ।
বথুয়া শাঁক ছোটবেলায় খেয়েছি, অনেক মজা ।


তোমার এরকম লেখাগুলো পড়লে শৈশব মনে পরে । কত স্মৃতি ! খুব ছোটবেলায় বছর শেষে সবাই মিলে একবার গ্রামে যাওয়া হতো । আর যখন একটু বড় হলাম আই মিন টিনএজ, তখন বাবা কোন প্রয়োজনেও যদি গ্রামে যেতো , আমি বাবার সাথে যেতাম । গ্রাম অনেক ভালো লাগে, কেমন যেন একটা প্রশান্তি । আর সবচেয়ে ভালো লাগে আমার গ্রামের সাধারণ মানুষগুলোকে । পানির মতো সহজ সরল ।

আমি বিডি গেলেই মাস্ট ওদেরকে ভিজিট করে আসি । আমার বাবাও ওদেরকে অনেক ভালোবাসতো । মনের অজান্তেই আমার মাঝেও ওদের জন্য একটা জায়গা আছে ।

স্যরি কোথায় চলে গেলাম আমি :|
বলছিলাম তোমার এইরকম লেখাগুলো অনেক ভালো লাগে । তোমাকেও । :)
তোমাকে আমার প্রিয় একজন মানুষের মতো দেখায় ।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আর তোমাকে না দেখেই প্রিয় তালিকায় পেয়েছি :)

অনেকদিন লেখালিখির বাইরে ছিলাম, কিছু নিয়ে ফিরতে হয় তাই যা মনে আসলো তুলে আনলাম ব্লগ পাতায়।
তবে গ্রামের জীবন আজকাল পাল্টে গেছে।

নিশ্চয়ই তোমাকে ও ওরা অনেক ভালোবাসে ? শেকড় চেনা এবং যোগসূত্রতা আমাদের কে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলে বলে মনে হয়।

অনেক অনেক ভালো থাকো সব সময় , আমার শুভকামনা তোমার জন্য রাখলাম।

২২| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে ভুল বুঝছেন। স্ব-রুপে মানে আপনেরে কবি রুপে ফিরতে কই নাই। ওই যে কি জানি লিখেন......কঠিন কঠিন শব্দ দিয়া.....মুক্তগদ্য না জানি কি! ওইটার কথা কইছি। আর পাঠক যদি কয় আপনের লেখায় সাবলীলতা নাই, তাইলে নাই। এইখানে আমাগো কিছুই করার নাই। চউক্ষের তাবিজ দিয়া কি করবেন? তাইলে তো এমন সুন্দর দোয়া আর পাইবেন না!!! :P

তারপরেও যদি দরকার মনে করেন, তাবিজের জন্য মা.হাসানের সাথে যোগাযোগ করেন। তাবিজের সোল এজেন্সি ওনারেই দিয়া দিছি। সরাসরি তাবিজ সাপ্লাই দেওয়া আমি বন কইরা দিছি.....হে হে হে!

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আল্লাহ রে কী মনে করাইলেন !!! ঐ পোষ্ট লিখতে গিয়া আমি নিজেই ডিকশনারি নিয়া বসছিলাম :||
আহা দোয়া চেয়েছি , পেয়েছি কিনা তাতো বুঝে উঠতে পারি নাই; এই মনে করেন যদি মাসের ৩০ দিনে ১৫+ পোষ্ট হয় তাহলে ভেবে নিবো দোয়া পেয়েছি ;)

আহা আর কি সেই তাবিজ পাবো ? উনি তো সব তাবিজ উনার পোষ্টে মন্তব্য ঠেকাতে নিজেই ধারণ করে আছেন।

২৩| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মনিরা আপু বহুদিন পরে কেন যেন মনে হয়
চোখের আড়াল হলেও মন থেকে দূরে নয়!!


কতদিন পরে এলেন যেন এক অনাবিল প্রশান্তি নিয়ে।
কই ছিলেন, ভালো ছিলেনতো। আপনার বন্দুক হাতের
প্রপিক দেখলে সাহস পাই। চমৎকার স্মৃতিচারণ!!
আবার লিখুন। হারিয়ে যাবেন না যেনো আবার।

১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! নরু ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার ছড়ায় ছন্দে মন ভালো করা মন্তব্যের জন্য।
পাঠক হিসেবে তো আছি ই সব সময়, শুধু লেখাই হয়ে উঠে না।

শুভ কামনা ভাইয়া।

২৪| ১২ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: ফেসবুকে পড়েছিলাম। ব্লগে আবারো পড়লাম। অনেক চমতকার স্মৃতিচারন আপা।

১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ :)

২৫| ১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,




" আয় বৃষ্টি ঝেঁপে - ধান দেব মেপে..."
আজকালের যাপিত জীবনে বৃষ্টিও তেমন ঝেঁপে আসেনা, ফেলে আসা মধুর স্মৃতিদের মেপে দেখার মতো ফুরসৎও মেলেনা।

পুরোনো কথাই নতুন করে বলি - সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি.....................

১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আজকালের যাপিত জীবনে বৃষ্টিও তেমন ঝেঁপে আসেনা, ফেলে আসা মধুর স্মৃতিদের মেপে দেখার মতো ফুরসৎও মেলেনা[/sb
খুব সুন্দর বলেছেন ভাইয়া ! সত্যি ই সবকিছু ভেঙে পরার মত উথাল পাথাল বৃষ্টি আসে না এ শহরে।

হ্যাঁ নানা বাড়ির দিনগুলো নানা রঙের দিনগুলো তো বটেই !

ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য; শুভ কামনা ।

২৬| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৪

মা.হাসান বলেছেন: ভুয়া লোকেদের উস্কানির ফাঁদে পা দিবেন না ।

কবজ টবচ সব ভুয়া। বিভূতিভূষণ লিখিয়াছিলেন 'মিসমিদের কবচ' । বিভূতিভূষণের বিদেশি ডিগ্রি ছিল না, ডিগ্রী থাকিলে উনি লিখিতেন 'পীগমীদের কবচ' । মূল কথা হইলো জ্ঞান, সোহবত। সোহবতে সোয়ালে তোরা সোয়ালে কুনাদ; সোহবতে তোয়ালে তোরা তোয়ালে কুনাদ-- সৎসঙ্গ মানুষকে সৎ করিয়া তোলে, অসৎ সঙ্গ তাকে খারাপ করিয়া দেয়।

আপনি সৎ লোকদের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন, জ্ঞানী লোকদের পদসেবা করুন। আপনার লেখায় সাবলীলতা কলমিলতা সব পাওয়া যাইবে। বিদেশী ডিগ্রী গ্রহণ করার জন্য এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করার দরকার নাই, আমাদের পরম সৌভাগ্য জীবন্ত ইউনিভার্সিটি ব্লগে ঘোরাফেরা করেন । সেইখান থেকে কিছু জ্ঞান আহরণ করিবার চেষ্টা করুন (আরোহন ও করিতে পারেন)।

অশিক্ষিত লোকেরা লেখায় রেফারেন্স দেয়। জ্ঞানী লোকেদের কথাই হইলো রেফারেন্স-- ইহা বুঝিতে হইবে। এই সমস্ত ম্যাওপ্যাও না লিখিয়া আপাতত কিছুদিন ট্রাম্পের টয়লেটের বর্ণনা সম্বলিত জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখিতে পারেন।

আমি আমার ব্লগে কবচ ঝুলাইয়া রাখিনা। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে কুকুর মারা যাইবে না। তবে কুকুর ঘেউ ঘেউ করিলে লাঠি দিয়া তাড়া দিতে আমি কোন সমস্যা দেখি না।

( ** আমার ডিকশনারি নাই। এক ঘরে দুই নারি থাকিতে পারিবে না ইহা সদর দপ্তরের হুকুম। কাজেই ডিকশনারি বিক্রি করিয়া ক্লোরোকুইন কিনিয়াছি। চরম ভিটামিন। আম্রিকানরা খুব খায়। ইহা আসল কথা না। আসল কথা হইলো বানাম বুল। মডু নাকি আজকাল বাসন মাজিতে মাজিতে জীবনের প্রতি চরম বিরক্ত। বানাম বুল পাইলেও জেনারেল করিয়া দিতেছে। আমি জেনারেল হইলে আপনার চান্দা তুলিয়া ছেপ করিবার পোস্ট দিয়েন, এই অনুরোধ করিয়া গেলাম। এই সব পোস্ট এখন খুপ হিট হয়। )

১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মন্তব্যের প্রথম পর্বে দেয়া আপনার উপদেশ আমি লেটার বাই লেটার পালনের চেষ্টা করিব ;) হ্যাঁ সেই লেটার সমূহ যোগ করার পর অর্থ কী দাড়ায় সেই বিষয়ে যদিও নিশ্চয়তা একেবারেই দিতে পারিতেছি না। অবশ্য সিন্দাবাদের ভুত হইলে এতক্ষণে আরোহণ সম্ভব হইত নিঃসন্দেহে।

যে দেশের নাম মুখে উচ্চারণে ও আমার দাঁত কাঁপে, যে দেশে কোন দিন যাই নাই , যাওয়ার সম্ভাবনা ও দেখা দ্যায় নাই অদূরে ...
এমন দেশের কত্তাব্যাক্তি কি নিয়া লিখিব ? সেই দুঃসাহস ও আমার নাই । তাই ইহজম্মে ও আমার আর জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়া লেখা হইলো না, আফসোস আমি কেবল আমার কৈশোরে ই রয়ে গেলাম।

এখন শুধু অপেক্ষায় আছি হিট পোস্টের।


২৭| ১২ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
মুনিরা আপা ,
আপনার লেখা পড়ে গেলাম পুরনো অতীতে এবং শৈশব-
কৈশোর স্মৃতিতে আমিও হারিয়ে গেলাম ।
এবার অনেকদিন পর লেখা দিলেন এবং দিলেন তো দিলেন
মন খারাপ করা লেখা । আগের দিনগুলোর কথা মনে হলে
কি-যে কষ্ট আর চাপা কান্না আসে ...

ভালো ও নিরাপদে থাকুন । আমিও মারাত্মক ভয়ে ভয়ে
আছি তারপরও আল্লাহ ভরসা ।

১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্মৃতিচারণ কষ্টের কিন্তু তারমতমিষ্টতা কি আর কিছুতে আছে ? এই কষ্ট আর চাপা কান্নার মাঝে আলাদা সুখ।
হ্যাঁ অনেক অনেক দিন পর লিখলাম, সব কিছু মিলিয়ে লেখা হয়ে উঠেনি।

আশা করছি আপনারা ও ভালো আছেন ? শুভ কামনা সতত।

২৮| ১৩ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:১১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


এক ঝলক দেখায় মনে হয়েছিলো কতদিনের চেনা, কতদিন ধরে দেখা নেই!

আপনার লেখা যেকাউকে স্মৃতিকাতর করতে বাধ্য। বাড়ি ছাড়ার পড় পাঁচমেশালি শাক আর খাওয়া হয় না।
কিছু শাকের নাম তো কমন পড়ে গেলো। আবার দেখা হলে জিজ্ঞেস করবো, কোন্ গাঁয়ের মেয়ে গো?

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি এক ঝলক দেখা ছিল সেটা ......
হ্যাঁ স্মৃতিকাতরতা সব সময় ই ছোঁয়াচে, সবাই কে ই আক্রান্ত করেই তবে থামে। আমি নিজেও কতদিন খাঁই না পাঁচমিশালি শাক। কিনতে পাওয়া গেলেও মনে ভয় থাকে তাই আর খাওয়া হয় না।

আশা করছি আমাদের পরবর্তী দেখায় এ প্রশ্নটুকু করার সময় অন্তত মিলবে।
শুভ কামনা।

২৯| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার লেখা, মনিরা। স্মৃতিবিজড়িত।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর !
অনেক অনেক দিন আপনাকে পেলাম ! অবশ্য আমি নিজেই অনেকদিন পর।

শুভ কামনা।

৩০| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:২৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: স্মৃতিচারণ বেদনা জাগায় আপু, এমনিতেই লকডাউনের সময় আমার কেন জানি শুধু ঘাটাইলে নিজ বাড়িতে যেটে ইচ্ছে করছে। শৈশবের স্মৃতি সবাইকে কাতর করে কেন সে এক রসস্য

১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ একটা বয়সের পর শৈশব কৈশোর খুব টানে ! আর স্মৃতিকাতরতা সব সময় ই ছোঁয়াচে।
ভালো থেকো কুনো ! অনেকদিন পর তোমাকে পেলাম ব্লগে; ভাললাগছে :)

৩১| ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: স্মৃতির ট্রেন সার্ভিস চালু করলেন নাকি ;)

প্রকৃতির রূপ অতুলনীয়।

শুভকামনা...

১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রকৃতি সবসময়েই তার মোহনিয় রূপে আমাদের কাছে ধরা দেয়;

আরেয়ে না তেমন কিছু না, আজকালের অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে একটু বেশি ই চলে এসছে স্মৃতি :P
সেই গরু রচনার মত ;)

৩২| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পুরানো দিন যদি আবার ফিরে আসত!

১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এইটুকু আক্ষেপ প্রায় সবার মনে " পুরানো দিন যদি আবার ফিরে আসত!"
ধন্যবাদ ভাইয়া; শুভ কামনা।

৩৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

করুণাধারা বলেছেন: অপু দুর্গা আমার খুব প্রিয়, নতুন করে তাদের যতবার দেখি নতুন করে ভালো লাগে, এখনও খুব ভালো লাগলো...

আমিও ঢাকায় প্রথম ঘর বেঁধেছিলাম এমন জায়গায় যেখানে বাচ্চারা গাছপালা আর পাখি দেখতে পায়। সহজ ছিল কিছু মটরশুটি বোনা, আমি শীতে মটরশুটি বুনে দিতাম। সেই গাছ থেকে মটরশুটি তোলায় তাদের কি যে আনন্দ ছিল...

গৃহিণীদের শাক তোলার দৃশ্য দেখলাম, দেখে মটরশুটি তোলার দৃশ্য মনে করে নস্টালজিক হলাম... জীবনের সুন্দর ছবিগুলো খুব তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায়...

"মুখপোড়া বান্দর", ক্লাসিক উক্তি। আজকালকার বাচ্চারা মনে হয় মুখের সৌন্দর্য রক্ষার্থে এই বনবাদাড়ে ঘোরার আনন্দ বিসর্জন দিতে।

১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমন দুটি চরিত্রের কথা মনে করিয়ে দিলেন মন্তব্যে ! যাদের ছাড়া বাঙালীর শৈশব অপূর্ণ ! এবং লেখার সাথে যোগসূত্র খুঁজে এনেছেন তাতেই ভালোলাগা আপু।

বাহ ! আপনার মটরশুঁটি বোনার গল্পে উৎসাহ পেলাম, ইনশাআল্লাহ্‌ এই শীতে আমিও চেষ্টা করব। আপনার বাচ্চাদের জন্য শুভ কামনা রইলো।

ইশ কী দারুণ করেই না বললেন !! জীবনের সুন্দর ছবিগুলো খুব তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায়।
হ্যাঁ আজকালের বাচ্চারা নিজেদের লুকস নিয়ে ভীষণ সচেতন, আমার কিশোর ছেলে ও সেভাবেই ভাবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা আপনাদের জন্য।

৩৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

অন্তরন্তর বলেছেন: মনিরা আপা নস্টালজিক পোস্ট। পুরানো দিনের কেন যে ফিরে যেতে পারি না। আহ। শুভ কামনা রইল।

১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ যে কোন স্মৃতি ই নস্টালজিক অন্তরন্তর !
আর পুরানো দিনে ফিরে গেলে তো সেই ভালোলাগা আর স্মৃতি নিয়ে বিলাসিতা থাকবে না :)

আশা করছি ভালো আছেন! শুভ কামনা ।

৩৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: কবিতা সুলতানা মুনিরা সুলতানা,
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে মনে হলো 'এ জার্নি বাই ট্রেন' শেষ করলাম আমার ছেলেবেলার দিনগুলোতে। নানি বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হলুদ সর্ষে ক্ষেতের আল দিয়ে, বাশ বাগানের পাশ দিয়ে ছোটা, ঝড়ের পরে আম কুড়ানো, পুকুরে ঝাপানো। আহা, সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলোতো মনে করিয়ে দিলেন । সব সময়ের মতোই সুন্দর আর মায়া কাড়া লেখার ঝাঁপি খুলে দিয়েছেন ব্লগের সবার জন্য । লেখায় ভালো লাগা অনেক ।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা !! কবিতা সুলতানা বলে তো আবার কবিতা'র কথা মনে করিয়ে দিলেন ; ব্লগ বাসীর জন্য দুঃসংবাদ নিঃসন্দেহে ;)

আপনার চমৎকার কাব্যিক মন্তব্যে' র জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এই মুখপোড়া বান্দরগুলি কি সব আমার"? - গল্পের/স্মৃতিচারণের সমাপ্তিটা দারুণ হয়েছে! :)
ঢেঁকি শাক আমারও খুব প্রিয় ছিল, যা ছোটবেলায় নানাবাড়ী/দাদাবাড়ীতে গেলে প্রচুর খাওয়া হতো। আলু ক্ষেত থেকে আলু তোলার পরেও ক্ষেতে অনেক ছোট ছোট আলু রয়ে যেত, যেগুলো কৃষি শ্রমিকেরা দাম নেই বলে তুলতো না। আমরা কাজিনরা মিলে ক্ষেত খুঁড়ে খুঁড়ে সেসব আলু কুড়াতাম এবং তুষের আগুনে পুড়িয়ে খুব মজা করে খেতাম। পাকা মরিচ তোলার সময় ভাটি অঞ্চল থেকে আসা নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া হতো। তারা নানা রকমের ভাটিয়ালী ভাওয়াইয়া গান গেয়ে গেয়ে মরিচ তুলতো, সেসব স্মৃতি মনে ভাসে!
হায়, কোথায় হারিয়ে গেল আজ সেসব দিন! আমাদের বাচ্চারা সেসব আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অনেক দিন পর আপনার লেখা দেখে ভালো লাগলো। যাপিত জীবনের কথকতা চলতেই থাকবে বলে আশা করছি।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আলু ক্ষেতের এই আলু তোলার গল্প এখানে শেষ করা যেত না, সে এক দারুণ দুঃসাহসিক গল্প মনে হত সেটা। এই পর্ব টুকু তে কেবল বৈশাখ/ জ্যৈষ্ঠ সময়টুকু নিয়ে লিখেছি। হ্যালেন্ড এর আলু চাষের পর বিক্রমপুর এলাকা আলু র সবচাইতে বড় যোগানদাতা ছিল। সে গল্প আরেকদিনের জন্য তুলে রেখেছি । তবে পাকা মরিচ ক্ষেতের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। চাকুরী সূত্রে একবার আমাদের অঞ্চলে চর এলাকায় একবার গিয়েছিলাম, সেখানে দেখেছি সবুজ মরিচের চাদর।
আমাদের বাচ্চারা এসবে মজা পেত কিনা সেও এক রহস্য, ওদের করার মত এত এত কিছু আছে যে ; অনেক কিছু করার ই সময় নেই তাদের।

হ্যাঁ অনেকদিন পর লিখতে পারলাম আলহামদুলিল্লাহ, সে লেখার পিছনে আপনারা বেশ কয়েজন উৎসাহ হয়ে ছিলেন সব সময়।
দেখা যাক কতদিন চলে ; আশা করছি লেখার সাথেই আছেন।

চমৎকার মন্তব্য লেখায় ভালোলাগা এবং মুগ্ধ পাঠে কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ।

৩৭| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্বপ্ন বাসর উপন্যাসটির কাহিনী শেষ হবার পর অতিরিক্ত কিছু তথ্য থাকলে জানাতে অনুরোধ করেছিলেন। এখানে সেগুলো বর্ণনা করলাম।
১) ১৯৭১ সালের ওই সময়ের পরে গত পঞ্চাশ বছরে আলেয়ার সাথে আমার মাত্র দুইবার দেখা হয়েছে। একবার ১৯৮৫ সালে হাসপাতালে আমার এক কলিগকে দেখতে গিয়ে ওর সাথে দেখা হয়। আলেয়া বোরখা পরে থাকায় আমি চিনতে পারিনি। কিন্তু ও ঠিকই আমাকে চিনে 'মেজভাই' বলে ডাক দেয়। ওর সাথে ওর শ্বশুর বাড়ির দুই তিনজন নারী পুরুষ আত্মীয় ছিল। ওর ভাসুরের চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছিল। তো ওখানে বেশি কথাবার্তা হয়নি। কেমন আছিস, কার অসুখ ইত্যাদি মিনিট পাঁচেক কথাবার্তা বলার পর আমাদের আর কথা হয়নি।
২) ২০০৭ সালে আমার ছোট চাচার ছোট মেয়েটির বিয়ের সময় চাচা ও চাচীমার ভীষণ পীড়াপীড়িতে বাধ্য হয়ে আমি সপরিবারে মধুপুর গিয়েছিলাম। অন্যথায় গ্রামে যাওয়া আসা প্রায় বন্ধই ছিল। আসলে আমি আলেয়ার সাথে পারতপক্ষে যোগাযোগ করতাম না। এর কারণ হলো, গ্রামের মানুষ এমনিতে তিলকে তাল করে। বিয়ের আগে আলেয়ার সাথে আমার সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে সেটা ওর জন্য মোটেই ভালো হতো না। আমার জন্যেও খারাপ হতো। আলেয়া ওর জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। নতুন করে ওকে আর কষ্ট দিতে আমার মন সায় দেয়নি। বিয়ে বাড়িতে আমি ও আলেয়া একে অন্যের সাথে খুব কম কথা বলেছি। আমার স্ত্রীর সাথে আলেয়া 'ভাবী' সম্বোধনে কিছুক্ষণ কথা বলেছিল। আমার স্ত্রীও যাতে ব্যাপারটা ভিন্ন দৃষ্টিতে না নেয়, সে জন্য আমি বলতে গেলে আলেয়াকে এড়িয়েই চলেছি। যদিও স্বপ্ন বাসর লেখার আগে আমি আমার স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই লিখেছিলাম, তারপরেও এটা আমি বুঝি যে স্বামীর বুকের মধ্যে অন্য কোন নারীর অস্তিত্ব আছে এটা কোন মেয়েই মেনে নিতে পারবে না। তাই গত পঞ্চাশ বছরে আলেয়ার সাথে কোন মাধ্যমেই আমার কোন যোগাযোগ নাই।
৩) আলেয়ার বিয়ে হয়েছে খুব গরীব ঘরে। সে যে বংশের মেয়ে, তাতে তার ওরকম জায়গায় বিয়ে হবার কথা নয়। কিন্তু ওর বাপের হঠকারিতার কারণে সে এখনো কষ্টের জীবন পাড়ি দিচ্ছে।
৪) লোক মাধ্যমে শুনেছি আলেয়া নানারকম অসুখে বিসুখে ভুগছে। ওকে আমি সাহায্য করতে চাই, কিন্তু কোন পথ খুঁজে পাই না। আল্লাহ, তুমি আমাকে পথ দেখাও।

বোন মনিরা, যতটুকু বলা সম্ভব, বলেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ;
আমার ছোট্ট একটা কৌতূহলের জবাবে এমন চমৎকার গোছানো মন্তব্যের জন্য। আপনার ১ ২ ৩ নাম্বার পয়েন্টের ব্যাপারে কিছু বলার নেই।
চতুর্থ পয়েন্টে এর উত্তরে শুধু এ টুকুই কামনা করছি " আল্লাহ আপনার এই নেক মকসুদ পূর্ণ করুক" আমীন !

৩৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর মাটি নদী ক্ষেতখামার সহ প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা শৈশব। দারুন সুন্দর বর্ননা।
গজাল মাছ হল ডাকাত মাছ এইটারে ভয় পাই বোয়ালও পাজী কিন্তু গজাল মারাত্মক। এই গজাল আপনি খেয়ে ফেলেছেন ? বাপরে বাপ আমি শোল মাছ খেলেও গজাল মাছ জীবনেও খাইনি।
পেটের দিক লালচে সাদা গায়ে ফুটকুরি ডিজাইন মা'হ্ ভাবলেই ডর লাগে। আপনি যদি ডাকাত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি কি! তাই ভাবছি ;) । আপনার কাছ থেকে ক'হাত দুরে থাকতে হবে তাও ভাবছি :D
আপনার বর্ননায় অনেক শাকসব্জি ফলের নাম এসেছে যা কিছু পরিচিত কিছু অপরিচিত অথবা নাম জানি কিন্তু ফল চিনিনা তবে এমনও হতে পারে ফল চিনি মানে দেখেছি কিন্তু নাম জানিনা।
কাউফলের চেহারা মনে করতে পারছিনা এটা বরিশাল এলাকায় দেখেছিলাম মনে হয়, মুখে দিলে টকের যন্ত্রনায় ভুত পালাবে এমন মনে হয় স্বাদ।
বর্নীল শৈশব কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। আপনার দুবাইতে করোনা পরিস্থিতি কেমন ?
ভাল থাকুন।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহাহা করোনা সময়ে এমনিতেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে !! সুতরাং ট্রাকের পিছনে লেখা নির্দেশনা মানলেই হবে :P

হ্যাঁ এটা সত্যি এলাকা ভেদে শাক পাতা র নাম আলাদা হয়, অনেক ফলের ও স্থানীয় নাম থাকে। হাহা হুম হুম কাউ ফল কিশোরী ছাড়া অন্যদের লবণ মরিচে গুড় মাখিয়ে খেতে হয়।

আমাদের জেনারেশনের প্রায় সবার ই একটা রঙ্গিন শৈশব ছিল বলা চলে। স্বাধীনতা , নিরাপত্তা উচ্ছ্বাস সব ই ছিল।

আহা ! এই দেখেন আপনাকে বলা ই হয় নি আমি দেশে মুভ করেছি প্রায় ১ বছর। এখন ঢাকাতেই বসবাস। তবে দুবাই তে তো সবকিছুই কন্ট্রোলে; এবং ইতোমধ্যে টুরিস্টে দের জন্য ওপেন ও করে দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। আমার মেয়ে ওখানেই ছিল ওর ফাইনাল এক্সাম এর জন্য। সে হিসেবে কিছু জানি।


আপনি ও অনেক অনেক ভালো থাকুন, আমাদের জন্য চমৎকার সব গল্প উপহার দিন।

৩৯| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: স্মৃতি নিয়ে খেলা করা এক ধরনের নেশা। সুখস্মৃতি বারবার দরজায় উঁকি দিয়ে যায়।
আমরা দাদা-দাদীর বাড়ী যেতাম শীতের সময়। চমৎকার একটা গ্রাম ছিল।
দীর্ঘদিন হলো যাওয়া হয় না, সেই সময়ের সহপাঠীরা নাই, গ্রামটা এখন মিনি শহর।
আপনার লেখা পড়তে গিয়ে আমার গ্রামের প্রতিচ্ছবি ভেসে আসছিল।

আনকমন অনেক শাকের নাম দেখলাম যেগুলোর সাথে পরিচিত না কিন্তু রোয়াইল গাছ এবং কাউ গাছ কেমন জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।

শুভেচ্ছা রইল।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় স্বাগত আপনাকে ;
আপনি নতুন পাঠক তাই আপনার মন্তব্যে অন্যমাত্রার ভালোলাগা কাজ করছে !
হ্যাঁ যে কোন ধরনের স্মৃতিকথা পাঠক’ কে লেখকের গল্পের পাশাপাশি নিজের স্মৃতির জনালা খুলে দেয়। আর শৈশব স্মৃতি তো সব সময় ই মধুর। তবে আপনার বর্তমান অভিজ্ঞতা আমার নিজের বেলায় ও মিলে যাচ্ছে-
সহপাঠী বন্ধু খেলার সাথী সবাই ছড়িয়ে গেছে বিভিন্ন প্রান্তে।

শাক তো আপনার চেনার কথা না ; ঐ টা অন্য ডিপার্টমেন্ট!
আর যে ফস দুটির ছবি চেয়েছেন এ সিজনে একটু খুঁজলেই পাবেন ।

উড়বরই বা রোয়াইল:
=============





কাউ ফল:
=======



আশা করছি কিছুটা হলেও কৌতুহল মিটেছে ?
উড়বরই বৃক্ষ জাতীয় আর কাউ ফল ঝোপ জাতীয় গাছ।

সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা !

৪০| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: কাঁথায় মুড়ে সিন্দুকে তুলে রাখা স্মৃতি- বেশ ভাল লাগল।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় আপনার উপস্থিতি ই আনন্দময় ! সাথে চমৎকার উপমায় মন্তব্য দারুণ প্রাপ্তি ।
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা আপনার জন্য।

৪১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এত সুন্দর লেখাটি এতদিন দেখা হয়নি বলে আফছোছের শেষ নাই । আমার নীজের বড় সাইজের কয়েকটি লেখায় একটু ব্যস্ত থাকায় ব্লগের প্রিয় সব জায়গায় বিচরণ একটু কমে গিয়েছিল । গত কয়েক মাস ধরে নতুন কোন লেখা আছে কিনা তা দেখার জন্য এসে সেই দ্বৈরথ কে হতাশ মনে ফিরে গিয়েছি তার ইয়ত্তা নাই ।এখন খুঁজ নিতে এসে পেলাম এটা। মুগ্ধ হয়ে পাঠ করলাম । ঢাকায় যাপিত জীবনে এক টুকরো সবুজ নিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার মত একটি ব্যলকনি পেয়েছেন শুনে খুশী খুশী হলাম ।
আপনার পোষ্ট মানেই প্রকৃতির কথা । এবারো পোষ্ট থাকা মজাদার গল্পের সাথে কিছু পরিচিত শাকের কথায় স্মৃতিকে নিয়ে যায় সেই ছোট কালের গ্রামীন জীবনের সাথে ।

মায়ের কথায় সেই ছোট কালে বাড়ীর আশ পাশের ঝোপ ঝাড় খাল বিল,পতীত জমি ও ফসলের জমিতে আগাছার মত গজিয়ে উঠা শাক কুড়িয়ে আনতাম লুংগীর আজল ভরে ।

আপনার পছন্দের কতক শাক এখানে রেখে গেলাম, ঢাকায় যাপিত জীবনে ব্যলকনির টবে কিংবা গৃহের পাশে দেয়াল ঘেসে লাগাতে পারবেন বলে, আপনার ব্লগ বাড়ীতেওতো সুন্দর ফুলসমেত গিমা শাক লাগানো আছে দেখা যাচ্ছে ।
কলমী শাক নামে যেমন গুণেও তেমন , খেতে খুবই স্বাদ ।

হেলেঞ্চা শাককে নাকি হিঞ্চা, হিঞ্চে, হিংচা, হাড়হাচ, হেলচী, হিমলোচিকা তিতির ডগা, তিতির শাক, তিতির ডাটা, তিতা ডাটা প্রভৃতি নামেও ডাকা হয়ে থাকে।

দেশের নাম করা স্ব-শিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের কাছে শুনেছিলাম হেলঞ্চা শাকের রস কিংবা শাক যদি প্রতিদিন কেও খায় তবে তার চোখের জ্যোতি নাকি এতই বাড়ে যে সে নাকি দেয়ালের ওপাশেও খালী চোখে দেখতে পারে ।

বথুয়া শকটিউ বাইথ্যা শাক, বেথে শাক,ভাইত্যা শাক,ভেতে শাক নামে অভিহিত হয়ে থাকে পাওয়া যায় গ্রামেররান্না ঘরের পাশের ক্ষেতে ফসল তোলার পর পতিত জমিতে ।

ঢেঁকি শাককে বউ শাক নামেও অনেকেই জানে । ব্যলকনির বারন্দার টবেও ভাল জন্মে । আমার বাসাতেও জনালার পাশে টবে এর কালচার ঘটে চলেছে বেশ কিছুকাল ধরে ।


আজকাল বাস্তুতন্ত্রের হুমকির মুখে পরে বাড়ীর আঙিনায় কিংবা মঝা পুকুর পাড়ে বেড়ে উঠা এই শাকগুলি প্রতিকূল প্রভাবের কারণে জল এবং স্থল উভয় পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে । এদের ঠাই মনে হয় শেষ পর্যন্ত ব্যালকনিতেই হবে ।

সাঁচরা মাছের কথাটাও নিয়ে গেছে মোরে অনেক পিছনের স্মৃতিতে। মনে পড়ে বন্ধুদেরকে নিয়ে নদীতে নাওয়ার কালে লুংগীর আচলে ছেকে দারকিনা মাছ ধরিতাম মনের সুখে ।

আপনার সাঁচরা মাছটি দারকিনা জাতিয় মাছ কিনা জানতে ইচ্ছে করে ।

অসম্ভব ভালা লাগা পোষ্টটি যাওয়ার বেলায় প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাকে শেষপর্যন্ত লেখায় পেলাম ভাইয়া !!! অসংখ্য ধন্যবাদ শারীরিক অবস্থা ব্যস্ততা সবকিছু কে নিয়েই অসাধারণ এই মন্তব্য রেখে গেলেন।
আপনার আশংকা অনেকাংশেই ঠিক আজকাল টবেই এসব শাকের চাষ হচ্ছে বেশ। সাঁচরা মাছ দারকিনা ও হতে পারে পাঁচ মিশালি ছোট মাছকেই আমাদের এলাকায় সাঁচরা মাছ ধরা হয়।
প্লাস এবং প্রিয়তে রাখায় কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। সব সময় আমার লেখায় উৎসাহ হয়ে আছেন।

শুভ কামনা অনিঃশেষ।

৪২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:০২

মা.হাসান বলেছেন: নভোনীল একটা পর্ব লিখবেন বলেছিলেন। সবাই আগের পর্ব গুলোর কথা ভুলে যাবার পরে যদি লেখেন তবে লিখে কি লাভ? :(

২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাদের কয়েকজনের কাছে আমার ক্ষমা চাওয়ার ভাষা ও নেই ; খুব ই দুঃখিত কথা দিয়ে ও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বের জন্য।
না না আশা করছি আমারে দেবো না ভুলিতের মত নভোনীল কে ও ব্লগার রা ভুলতে দিবেন না। অষ্টম পর্ব পড়লাম ইনশাআল্লাহ্‌ নবম পর্ব নিয়ে আসছি।

৪৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গল্প বলার মত সুন্দর একটা শৈশব ছিল আপনার আপা। এখনো যে সবুজাভ একটা বারান্দা আপনার অধিকারে, তাও বর্তমান ঢাকা শহরের প্রেক্ষিতে বিষম সৌভাগ্যের ব্যাপার। শুভকামনা রইল। : )

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ একটা লম্বা সময় পর আপনাকে ব্লগে একটিভ দেখে ভালো লাগছে ! আসলে এ এক অন্যরকম ভালোবাসা, ব্লগের প্রতি ব্লগারদের জন্য এবং সর্বপরি লেখা পড়ার জন্য।
হ্যাঁ একটু সবুজের মায়ায় এক কোনায় পরে আছি! যাতায়াত নিয়ে একটু সমস্যা হলেও গাড়ির আওয়াজ ঘুম নষ্ট করে না।

আশা করছি আপনাকে পাচ্ছি ব্লগে নতুন লেখা সহ।
শুভ কামনা!

৪৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:



পুরোনো লেখা পড়তে পড়তে তোমার এই লেখায় আবার এলাম মণিপু।
এতো সুন্দর বর্ণনা বারবার পড়া যায়।
সবুজ যেন শিল্পীর রঙের ডিব্বা খালি করে নেমেছে পথেঘাটে, সুরমালেপা দিন, কি চমৎকার সব উপমা!

মন্তব্যকারী দুজন নুর মোহাম্মদ, আবুহেনা চিরতরে চলে গেছে ভাবতেই কেমন যেন লাগে :(
মাহার মজার মজার কমেন্টগুলো উপভোগ্য ছিলো।
ওমেরা, শায়রী, রামিসা ওরাও আর আসেনা।
অনেক কিছুই বদলে গেছে মণিপু।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সময় ! আহা সময় !! সময় কতকিছু বদলে দেয়। অনেক কিছুই বদলে যায়।
ধন্যবাদ ধন্যবাদ !! লেখায় এসে আমাকে ও স্মৃতিকাতর করে দিলা ডল !

হেনা ভাই আর নুরু মোহাম্মদ ভাই আমাদের স্মৃতিতে অমলিন। এত চমৎকার সব স্মৃতি রেখে গেছেন আমাদের জন্যে। আল্লাহ উনাদের বেহশত নসীব করুন।

আমি আর একজনের মন্তব্য দেখে ও মন খারাপ করলাম উনি আমাদের দ্যা গ্রেট মাহা ! মা হাসানের ব্লগিং আমি ভীষণ মিস করি। কোন অভিমানে ব্লগ থেকে দূরে আছেন যে। শের শায়েরি ফেসবুকে একটিভ শুধু ওমেরা আর রামিসা কে পাই না।

ভালো থেকো ডল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.