নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
নভোনীল -৮ এর শেষ লাইনঃ
মৃণ নভো’ র আঙ্গুলগুলির ফাঁকে নিজের আঙ্গুলগুলি শক্ত করে বেঁধে রাখলো, মৃণের চোখ তখন পানিতে টলোমল যা মন্ত্রমুগ্ধ নভোর চোখেও পড়লো না...
নভোনীল নবমেঃ
মৃণ এর জলভারে নত চোখ আর সমস্ত সত্ত্বায় রেশমি চুড়ির রিনঝিন সিঞ্জন বসন্তের প্রথম দিনকে পূর্ণতা দিলো যেন! নিজের এই ছলকে আসা কান্নায় নিজেই লজ্জা পেলো সে, সারাক্ষণ শুধু এই অনাসক্ত হৃদয়ের দেবদূতের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। জানতে ইচ্ছে করে খুব ওর আসক্তি টা কিসে? অবশ্যই আজ পিয়ারু ভাইয়ের ক্যামেরায় কিছু ছবি তুলে রাখবে নভো 'র সাথে।
“ মুখপানে চেয়ে দেখি, ভয় হয় মনে মনে,
ফিরেছ কি ফেরো নাই বুঝিবে কেমনে”
মন্ত্রমুগ্ধ নভো তখন ও মৌনব্রত সন্যাসী, কেবল ঠোঁটের রেখায় হাসি প্রাণখোলা উচ্ছলতায় রূপ নিলো এক সময়।
- মৃণ দেখ তুলতুলি কে? কেমন নিজের মনে নেচে চলেছে গানের সাথে।
- উমম!
এক সমুদ্র অতলান্তিক থেকে বকুল তলায় ফিরল মৃন্ময়ী, নভোর দৃষ্টি অনুসরণ করে মায়ে' দের ভাঁজে শাড়ি পরা লাল ঝুঁটি কাকাতুয়া এক ছোট্ট পুতুল পুতুল মেয়েকে দেখতে পেলো। যাকে হাত পা বাঁকিয়ে অনুকরণ করে চলেছ ও। নভোর উচ্ছ্বাস ও মৃণ মাঝে অনুরণিত হল। মুগ্ধতা গুলো মালা ছেড়া মুক্তার মত আলগোছে বকুল তলায় ঝরে পরছে, যেন বকুল ঝরার অভাব মেটাচ্ছে এই ফাগুনে। আর ওপাশে বুড়ি নেচেই চলেছে.........
" মাদল বাজে সেই সংকেতে
শ্যামা মেয়ে নাচে
পাগলপারা চাঁদের আলো
নাচের তালে মেশে
নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক"
- উফ এত গরম লাগছে কেন বলতো ?
- কী চমৎকার বাতাস গরম কোথায়!
নাহ হয়ত জনারণ্য’ ই আমাকে অস্বস্তিতে ফেলেছে, জানো মা' য়ের খুব ইচ্ছে ছিল আমি ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে পড়ি উনার বিভাগে। শিক্ষক হই, আমি নাকি দেখতে মা' য়ের প্রিয় শিক্ষকের মত, আমার মা প্রায়শই স্বপ্নে দেখতেন আমি ক্লাস ভর্তি ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছি। শুধুমাত্র এই কলাভবন থাকতে হবে ভয়ে কার্জন হল বেছে নিয়েছি। অবশ্য বাবা ভীষণ আনন্দিত! আমার সাথে দেখে করতে এসে কার্জনের জলে নিজের ফেলে আসা সময়ের প্রতিচ্ছবি দেখেন। মানুষ আমার এত প্রিয় কিন্তু!
- কিন্তু কি? বেশি মানুষ ভালো লাগে না, তাই তো।
পায়ে পায়ে ওরা ততক্ষণে দোয়েল চত্বর, হুট করে পায়ে জড়ানো গুলঞ্চ লতার মত মৃন্ময়ীর শাড়ি জড়িয়ে ফুটে উঠলো ঝুমকো লতার মত একটা মুখ, আঁজলায় স্বর্ণচাঁপার ডালি।
-কিরে জবা এতক্ষণে আমাকে খুঁজে পেলি ?
-তুমারে কইছি না, আউজকার পরথম ফুল তুমারে দিমু। দেহ দেহ সবফুল নষ্ট অইয়া যাইতাছে রইদ্দে তারপর ও বেচলাম না। কই আছিলা আপা?
- এই যে নভো ও হচ্ছে জবা, আমরা কিন্তু খুব বন্ধু।
- হুউউ একদম ঝুমকো জবা। মৃণ্ময়ী ব্যাগ খুলে বেশ বড় একটা বক্স দিলো জবা কে, খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে নিজের ঝোলায় রেখে। সবচাইতে সোনা রোদের মতো উজ্জ্বল একগুচ্ছ স্বর্ণচাঁপা দিলো ওকে। তারপর হারিয়ে গেলো অরণ্যে, অবশ্যই জনারণ্যে।
- তুমি প্রতিনিয়ত আমাকে মুগ্ধ করে চলো মৃ। তোমার দৃষ্টির স্বচ্ছতা তোমার হৃদয়ের জলছাপ।
- মিঃ দেবদূত কিসে মুগ্ধ করলাম তোমায় ?
- সে না হয় কাল বলবো, কিন্তু তুমি যে আমায় কানাবাবা শুভ্র বানিয়ে দিলে, এর কি হবে? আমি তো গ্লাস ও নেই না
এই দেখ দৃষ্টিতে বৃষ্টি ঝরে ঝরনা।
- ( চাপা হাসিতে উৎসুক হয়ে ) আছে নাকি এমন কোন নাম তোমার ?
- তেমন সার্বজনীন নেই কিন্তু পরিচিত সার্কেলে আছে।
- বলতো শুনি !
- রা রা রাস পুতিন রাশান লাভ মেশিন।
সাথে সাথে মৃন্ময়ী ও গাইতে শুরু করলো
"দৃষ্টিতে যেন সে রাসপুতিন
খুন হয়ে যাই আমি প্রতিদিন”
দুজনেই হাসির ঢেউ হয়ে আছড়ে পরল ফুটপাতে।
উপড়ে উঠে নভো'র দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল;
" হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি, রাখতে দিও, রেখো "
- হেলাল হাফিজ, তাই না? ভালোবাসা যাকে খায় এইভাবে সবটুকু খায়।
- হুউউ যে জলে আগুণ জ্বলে। তবে আমার চোখে মায়ার কাজল পরিয়ে রেখেছে পৃথিবীর সমস্ত প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী "আবুল হাসান" আর তোমার ?
- আমি !!!
" আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি
ছল করে দেখা অনুক্ষন
বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেইদিন হব শান্ত "
- ব্বাবাহ তুমি দেখছি বাউন্ডেলে'র ভক্ত হয়ে ও ঠাকুর মশায় কে চা' য়ে জলে পান কর !!
- পাঠের বেলায়, সঙ্গীতের বেলায় আমি সর্বভুক ।
- আচ্ছা তোমার অপু' র দেখা নেই কেন এত বেলায় ও ?
- আমার অপু? মেঘাচ্ছন দৃষ্টিতে জানতে চাইলো মৃন্ময়ী!
- বা রে মৃণ্ময়ীর জন্য তো আর অমিত দেখা দেবে না, না বলে কয়ে তো অপূর্ব কৃষ্ণের মনেই তার বসবাস। নিজেকেই নিজে একটা মাথায় গাট্টা দিলো দিলো মৃণ্ময়ী, এই তাহলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এর রহস্য ? এর আগেও একদিন অপূর্ব কৃষ্ণ নিয়ে এবং শেষ দৃশ্য নিয়ে মজা করেছে; এবং এ জন্যই সেদিন অমিতের জন্য অপেক্ষা করছি বলার পরও নির্বিকার জনাব।
-তোমার জন্য তাহলে কে ?
- এই কে টা কে !
- কে আবার তোমার প্রাণের মানুষ ।
- ওহ! " আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে।
আছে সে নয়নতারায় আলোক ধারায় তাই না হারায়
ওগো তাই দেখি তায় যেথায় সেথায় তাকাই আমি যে দিক পানে"
- আচ্ছা অপেক্ষা তাহলে মিঃ অমিত রায় এর লাবন্যে'র ?
- না না আমি সূর্য
আমি ই ত্রিদিবেশ
- ভাগ্যিস ধ্রুব নও
- কিন্তু ধ্রুবর তো ব্যাপক চাহিদা তোমাদের সমাজে ?
- সে যার কাছে হোক আমার কাছে নেই।
গল্পে র মাঝে নভো র দৃষ্টির চাঞ্চল্য মৃণ্ময়ীর চোখ এড়ালো না, ততক্ষণে ওরা টি এস সি র লাল চা' য়ে ডুবেছে।
- এই যে মিঃ রাসপুতিন ফাগুণের আগুণে ও সমগ্র সত্ত্বায় বেহাগের সুর? ব্যাপার কি! প্রশ্নের উৎস অনুসরণ করে ফাগুণ বনের পলাশের দেখা পেলো মৃণ্ময়ী। আর নভোর দৃষ্টির ঔজ্জ্বল্যের কারণ।
- মৃণ চিনেছ ?
- আপু'কে না চিনলে তো আমার ডিপার্টমেন্টের ছাত্রত্ত বাতিল হয়ে যেতে পারে ফাইনাল ইয়ারের মাধবী আপু একাধারে চৌকশ মেধাবী এবং রেকর্ড মার্কসের অধিকারী। তবে তোমার সাথে পরিচয় আছে এটুকু অজানা ছিল। বুঝলাম উনি তোমার সার্বজনীন নন, নিজস্ব পরিমন্ডলের কেউ।
- হ্যাঁ ! অবশ্য অন্য একটা পরিচয় আছে, উনি আমাদের রাজশাহীর প্রতিবেশী, পাশাপাশি বাসায় আমাদের বসবাস আজন্ম। আমার বাবা' র সহকর্মীর মেয়ে।
- হয়েছে হয়েছে সিনিয়রদের কে অবশ্যই হাতে রাখতে হয়, তাইবলে অতটা! সে যাইহোক নভো সেদিন ফিজিক্স ক্লাসে' কি হয়েছিলো? তুমি তো দেখছি টক অব দ্যা ডিপার্টমেন্টে পরিণত হয়েছ!
- আর বোলো না পড়াচ্ছেন উচ্চমাধ্যমিক লেবেলের পড়া এর মাঝে সবাই কে সাধারণ ব্যাপারে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। আমাকে জিজ্ঞেস করেন বলেন তো " শব্দের গতি বেশি না আলোর গতি " আমি বললাম স্যার শব্দের। উনি থ আর পুরো ক্লাস নিস্তব্ধ। চিবিয়ে চিবিয়ে বলেন কুড উ প্লিজ এক্সপ্লেই? আমি উত্তর দিলাম " স্যার আমাদের বাসায় টি ভি অন্য করলে আগে শব্দ শুনতে পাই। ক্লাসে হাসির বন্যা বয়ে গেলো আর স্যারের টাক বেয়ে ঘাম।
এক মিনিট আসছি বলে নভো টি এস সি র দোতালার দিকে পা বাড়ালো।
- আরেয় না আমাকে এক্ষুনি রুমে ফিরতে হবে, রুমমেট কে ওর স্টেজের সামনে রেখে গেলাম, পরশু পরীক্ষা আছে।
- যাবে তো! আমি তোমাকে হল গেটে রেখে আসছি।
- একেবারেই দরকার নেই রে ঐটুকু ই তো পথ, পড়তে গিয়ে মাথা হ্যাং এরপর ই ভাবলাম যাই একটু ফ্রেশ হয়ে আসি চটপটির ঝালে তাছাড়া মৃণ্ময়ী একা হয়ে যাবে, তোমাদের বন্ধুরা ও নেই সাথে। তোমরা থাকো।
- সে হচ্ছে না আমি আসছি আর তাছাড়া ওর গাড়ি আশেপাশেই আছে ও বাসায় চলে যাবে। বলেই নভো নিজের ব্যাগ হাতে দৌড়ে চলে গেলো, ফিরে এলো আগের সেই কালো টি- শার্টে। পাঞ্জাবিটা মৃণ্ময়ীর এর হৃদয়ের মত দুমড়ে মুচড়ে ওর হাতে তুলে দিলো বলল- কাল আসছ তো ক্যাম্পাসে! দেখা হবে।
ওদের চলে যাওয়া পথের ধুলার আলপনা বড্ড সুখের ছবি আঁকতে লাগলো মৃণ্ময়ীর আনত দৃষ্টিতে।
১৪ই ফেব্রুয়ারি সকালের বাসে ক্যাম্পাসে চলে এলো মৃণ্ময়ী। গাড়ি আছে অজুহাতে ওকে যেন একা ফেলে যেতে না পারে তাই সে ট্রাফিক জ্যামের কারণ দেখিয়ে বাসে এসেছে। এক জীবনের সবটুকু ভালোবাসার নির্যাস এর সুবাসে লেখা চিঠিটা হাতের মুঠোয় রাখল। গেটে নামতেই বিস্ময়ে ধাক্কা! এদিকেই আসছে নভো, দৃঢ় পদক্ষেপ যেন আজ দিকভ্রান্ত ধকধক করে জ্বলা প্রখর দৃষ্টিতে রক্তিমাভ নেমেছে। মৃণ্ময়ীর ক্যাবল একটাই প্রার্থনা! আজ যেন ছুঁয়ে দিলেই ফল্গুধারা বয় আজ শুধুই ব্যাকুল আর শর্ত বিহীন নত ভালোবাসা।
" হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে! মন বাড়িয়ে ছুঁই"
মুখোমুখি হতেই নিজেকে সামলে নিলো নভো।
- এই দেখ তোমার বন্ধুদের আজকের ভোজন।
- মানে, কি আছে এতে ?
- বা' রে আজ বুঝি কাঠ বাদামের তলায় তোমাদের ভোজসভা নেই ?
- তুমি জানলে কি করে ?
- কতদিন দেখেছি তোমাদের আড্ডা, আমি কাছে গেলে যদি ওরা ভয় পেয়ে আর খেতে না আসে, তাই সামনে যাই নি। তোমার কোমল মনের উত্তাপটুকু অনুভব করার চেষ্টা করেছি শুধু। পথের এই কুকুর দের ও যে কেউ এতটা যত্নে ভালোবাসা নিয়ে খাওয়ায়, তোমাকে দেখে ই বুঝলাম। সত্যি'ই মৃ তুমি অনন্য।
- হয়েছে হয়েছে ৯.৩০ এ ক্লাস আছে, আগে সেটা শেষ করি।
- আজ আর ক্লাসে যাবো না সমস্ত রাতের ক্লান্তি আমায় ভর করেছে।
কথাটার মাঝে যে বেদনা, নভোর চোখে তার বিন্দুমাত্র লেশ নেই সেখানে না পাবার তীব্রতা ফুটে আছে, কিছু না বলে চোখের কাজলে প্রশ্ন রাখলো।
- জানো মৃণ আমার অসহ্য সুখের মুহূর্তগুলো সব সময় দীঘল সূর্যের ওপাড়ে থেকে আবীর রঙের রঙ ছড়াবে আমার জীবনে, কিন্তু কখনোই আমার করে পাবো না। পৃথিবীর সমস্ত বিষণ্ণতার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা এই আমি আজ তার চোখেই বেহাগের করুন সুর বয়ে চলা এক বালক। তার কাছে না হয় একটা সফল প্রেমের গল্প আছে, আমার তো নেই! কতদিন বালক থাকব বলতে পারো? নিজের জন্মের সময় নির্ধারণ কারী তো আমি নই! তবে কেন কেবল মাত্র কয়েক'টা সংখ্যার জন্য, মাধবী কে ভালোবাসার মাধবী কে পাবার আবেদনে অযোগ্য বিবেচিত হলাম। গতকাল সমস্ত রাতজাগা তারারা আমাকে কথা দিয়েছে আজীবন ওরা আমার ভালোবাসার মানুষের ওড়নার আঁচলে জমা থাকবে। আমার মাধবী'র জীবনের আনন্দের প্রদীপ হয়ে! আমার চোখের শেষ অশ্রুটুকু ও চুরি হয়ে গেলো মৃ ...
খুব আলগোছে কাল রাতে লেখা দীর্ঘ চিঠিটা ব্যাগের পকেটে গুঁজে দিলো মৃন্ময়ী!
“ সব কথা তোমাকে জানাবো ভেবেছিলাম
কিনে এনেছিলাম আকাশী রঙের
বিলিতি হাওয়াই চিঠি
সে চিঠির অক্ষরে অক্ষরে লেখা যেত
কেন তোমাকে এখনো চিঠি লেখারকথা ভাবি”
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ
The Beauty of DU campus
নভোনীল (অসম্পূর্ণ লেখা)
পর্ব -২ ব্লগার পদ্মপুকুর
পরব-৩ ব্লগার মেঘশুভ্রনীল
চতুর্থ পর্ব ব্লগার খায়রুল আহসান
নভোনীল -৫ ব্লগার আখেনাটেন
নভোনীল -৬ ব্লগার পুলক ঢালী
পরব-৭ ব্লগার নিয়াজ সুমন
নভোনীল -৮ ব্লগার কবিতা পড়ার প্রহর
২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ নুর !
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগেরগুলি না পড়েও এই পর্ব ভালো লেগেছে। এই কৃতিত্ব লেখিকার। আর ভালো লেগেছে বিভিন্ন চরিত্রের সংলাপে অনেক সুন্দর কিছু কবিতা আর গান। তবে এই লেখার মর্ম আমি তেমন বুঝবো না। কারণ আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভিজ্ঞতা নাই। তবে ভালো জিনিস সবার কাছেই ভালো। ধন্যবাদ ধারাবাহিকতা সার্থকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যে কোন লেখা ই ভালোলাগার কৃতিত্ব বেশিরভাগ ই পাঠকের, কারন পাঠক এর মনন লেখকের সাথে মিশে বলেই ভালোলাগার এই মিথস্ক্রিয়া !
অনেক ধন্যবাদ চুয়াত্তর ; পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যে!
আর লেখার মর্ম, মর্মে মর্মে অনুভব করেছেন বলেই না ভাললেগেছে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভিজ্ঞতা না থাক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থাকলেই অনেক মিল পাবেন।
আপনার প্রতি ও কৃতজ্ঞতা ধারাবাহিক এর সাথে থাকার জন্য।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩১
ঢুকিচেপা বলেছেন: “আমাদের বাসায় টি ভি অন্য করলে আগে শব্দ শুনতে পাই।” হা... হা .....দারুন
মনিরাপু গল্পটা ভাল লেগেছে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ আসলে খুব কমন একটা জোকস ক্যাম্পাসের
ধন্যবাদ ঢেকিচুপা লেখায় পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য। বিশাল লেখা এবং তারচাইতে ভীষণ বোরিং এমন লেখার পাঠক হিসেবে অবশ্যই আপনি আন্তরিক ধন্যবাদ প্রাপ্য।
শুভ কামনা অনিঃশেষ।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
ভালোবাসা যাকে খায় এইভাবে সবটুকু খায়
দারুণ হয়েছে আমার সুইটু কিউটু মনিপু !!!
কবিতার উদ্ধৃতিগুলো সুপার্ব ছিলো ।
হার্ট ব্রোকেন ত্রিভুজ প্রেম না হলে কি কোনও মজা আছে
এবার জমবে খেলা ।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি ভেবেছি আমাকে না কাঠগড়ায় দাড়াতে হয় এই ত্রিভুজ বাঁকের জন্য
সত্যি বলতে আমার জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল, এত এত গল্প ক্যাম্পাসের !! আরব্য রজনীর শেহেরজাদির একহাজার এক এর চাইতে ও বেশি। কোনটা রাখবো আর বাদ দিবো বুঝেই পাচ্ছিলাম না, তাই একটু বেশি ই বড় হয়ে গেল এবং ব্লগে বড় লেখা মানেই একঘেয়ে লাগে অনেকের।
তোমার ভাললেগেছে এ ও অন্যরকম আনন্দ মাই ডল !
দেখা যাক খেলা জমে টক দই নাকি ক্ষীর হয়
ভালোবাসা তোমার জন্য।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইর্ষণীয় প্রকাশ।
বিমুগ্ধ হলাম লেখায়।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ও লেখকের মুগ্ধতা !
ভালো থাকার শুভ কামনা।
৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
শোন আপু, বিষয় যদি প্রেম হয় তাহলে এটা কখনোই বোরিং না সে যত বড় লেখাই হোকনা কেন ।
প্রেমতো শুধু সফট কিস না , এখানে হৃদয় ভাঙবে গড়বে, রক্তাক্ত হবে ক্ষত-বিক্ষত হবে । সেইজন্য শুধু ত্রিভুজ না, প্রয়োজনে দু একজন মরবে আবার দু একটা নতুন চরিত্র আসবে
অবশ্যই টক দই না, ইয়াম ইয়াম ক্ষীর । থ্যাংকস মনিপু ।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম ডিপেন্ডস
দেখা যাক পরের পর্বে কি আসে নতুন চরিত্র তো আনলাম এখন শুধু মরা বাকি কারও। কিন্তু আমার পক্ষে এই চাইতে ক্রুয়েল হওয়া সম্ভব ছিল না।
তোমাকে ও ধন্যবাদ উৎসাহ পেলাম চমৎকার মন্তব্যে
৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাতাসী প্রেমের বর্ণনা, যার আশেপাশে মাটির বন্ধন নেই, তেমন ভালো হয়নি।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: থ্যাংকু থ্যাংকু দারুণ মন্তব্যের জন্য !
বাতাস থেকে এনে প্রেমের বর্ণনা করে ফেলেছি, এবার ব্লগার রা বুঝবে আমার ক্রিয়েটিভিটি আপনি ই চিনলেন !
আপনার এই মহান গুণবাচক মন্তব্যের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আপনাকে নিয়েও প্রেমর গল্প লিখে ফেলতে পারি। ভাবছি কাকে নিবো ? মেলানিয়া নাকি আপনাকে দিয়ে হার্ড ড্রিংক্স কেনানো সেই আন্ডার ১৮ কিশোরীকে
হু তেমন ভালো কী আর হয় ? যে গল্পে আপনি নেই
৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপনার পর্ব দেখে খুশি হলাম। শত ব্যস্ততার মাঝেও এমন ঝরঝরে চমৎকার লিখা উপহার দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ সহ অকৃত্রিম ভালোবাসা আপুমনি।
কভার পেইজ এর ছবিটা অসাধারণ !
সাথে গল্প বলার ঢং ও চমৎকার।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ নিয়াজ সুমন চমৎকার উৎসাহপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ! আপনার লেখা ও ধারাবাহিকতার সাথে দারুণ মিলেছে। সব চাইতে বড় ব্যাপার হচ্ছে ব্লগার রা সবাই মিলে আনন্দ নিয়ে লিখেছি। সে জন্য এই ধারাবাহিকের সবার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
কভার পেইজ টা খুঁজতে আমাকে একটু বেগ পএতে হয়েছে, এই পর্বের মেজাজের সাথে যায় এমন কিছু। অনেক অনেক ছবির মাঝে কিছুটা মিল পেয়েছি এ ছবিতে।
আপনার জন্য ভালো থাকার শুভেচ্ছা।
৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৮
মা.হাসান বলেছেন: লাইন গুলো ভেঙে গিয়েছে অনেক জায়গায়। কোনো কোনো জায়গায় শব্দ গুলোও। একটু এডিট করার অনুরোধ রইলো।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এসব ব্যাপারে আমি বেশ আনাড়ি, এবং অলস নিঃসন্দেহে
তারপর ও চেষ্টা করছি।
১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: ওয়াও! কোথা থেকে কোথায় এসে ঠেকলো! দুর্দান্ত।
হাকিমের ছবিটা অসাধারণ নস্টালজিক; এমনো সোনালী সকাল, তার সাথে রবিবাবুর ছোঁয়ায় মৃণ আর নভো কোথায় নিয়ে ঠেকালো যেনো।
একদিন কি এক ভেজা উচ্ছাসে একটা ঘুড়ির সুতো ধরে আরেকটু দুরে উড়িয়ে দিয়েছিলাম, আজ সে ঘুড়িটিই এহাত-সেহাত ঘুড়ে উড়তে উড়তে ভীষণ সুন্দর এক রুপ নিয়েছে। অত্যন্ত আনন্দ লাগছে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ক্যাম্পাসের সাথে যাদের পরিচয় আছে তাদের সবার জন্যই ব্যাপার টা ভীষণ ভাবেই স্মৃতি জাগানিয়া। আর রবিবাবু তো ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে ই থাকেন। শব্দে অথবা সুরে।
ধন্যবাদ তো আপনারা প্রাপ্য ধারাবাহিক ভাবে যারা চমৎকার ভাবে ঘুড়ি কে সামলেছেন। সাথে নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ হয়ে ছিলেন মা হাসান ভাই।
ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: ম হাসান স্যারের কাছে আমিও কৃতজ্ঞ। প্লাস, উনি একটা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন, আপনার এই পর্বের সমর্থনে আমি নমিনেশন প্রত্যাহার করছি...
লেখার পাশাপাশি আপনার পড়ার ক্ষেত্রও যে ব্যাপক পরিসরে বিচরণ করে, এই ছোট্ট লেখায় সেটা বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। আগের মন্তব্যেই লিখতে চেয়েছিলাম যে প্রথম পর্বে যে ইন ডেপথ একটা ব্যাপার ছিলো, এই পর্বে এসে সেটা আবার প্রাণ পেয়েছে। এখন দেখা যাক পরবর্তীজন কিভাবে বিষয়টা সামলান।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব পর্ব আসুক তো আগে
তাছাড়া আপনি প্রত্যাহার করে নিলে, বিচারক সমাজ ই বা কেন তা মেনে নিবেন? মাঝে শুধু আমি স্বজন প্রীতি দোষে দুষ্ট হয়ে পুরুস্কার অযোগ্য বিবেচিত হতে পারি দাদা।
এই লেখাটা আমার অনেক সময় নিয়েছে, অষ্টম পর্বের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, এখন বর্ষাকাল হিসেবে ক্যাম্পাস প্রকৃতি সাজাতাম "কবিতা পড়ার প্রহর " আপু বসন্ত নিয়ে আসাতে আবার নতুন করে সাজাতে হয়েছে। সব মৌসুমে তো সব ফুল ফোটে না। সত্যি বলতে ক্যাম্পাসের প্রতিটি দিন নিয়ে রেফারেন্স দিয়ে লেখা যায়, এ হচ্ছে না ফুরানো গল্প। সেখান থেকে অতটুকু কাটছাঁটেই আমার সমস্ত এনার্জি শেষ।
আশা করছি পরবর্তী পর্ব মিলনাত্মক হবে
১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজের নবম পর্বটি লেখার জন্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন!
গল্পে অনেকগুলো গানের কলি এবং কবিতার চরণ এসেছে। রাসপুটিন গানটি আমাদের তরুণ বয়সকালেও খুব জনপ্রিয় ছিল।
লাইনগুলো ভেঙে যাওয়াতে অনেক সময় মনযোগে টান পড়েছে, বিশেষ করে কথোপকথনগুলো বুঝতে একটু অসুবিধে হয়েছে।
দেখা যাক, পরের লেখক গল্পটিকে কোথায় নিয়ে যান!
গল্পে ভাল লাগা + +।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ তো প্রথম কয়েক পর্বের লেখকরা পাবেন, যারা শুরু থেকেই আন্তরিক ভাবে সাথে আছেন। আমার লেখার পিছনে ও আপনাদের উৎসাহ একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। যদিও বুঝতে পারছি আপনাদের সবাইকেই মোটামুটি আশাহত করেছি
পরের পর্বের জন্য আমি ও বেশ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। অনেক নেক ধন্যবাদ লেখায় ++ এবং মন্তব্যের জন্য।
১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৮
পুলক ঢালী বলেছেন: বাপরে বাপ ! বনহূর সখী দারুন দেখিয়েছেন। কবিতা/কাব্যে ভাষার উচ্চমার্গের প্রয়োগ সহ ভীষন প্রানবন্ত বর্ননা, মাঝে তুলতুলির আগমন, জবার স্বর্ণচাঁপা, সারমেয়র ভোজ এবং সর্বপরি তৃতীয় চরিত্রকে মাত্রাদান সবকিছু মিলিয়ে চমৎকার হয়েছে। মনে হচ্ছিলো আপনার অসংখ্য স্মৃতির খন্ড খন্ড অংশ যেন জুড়ে দিচ্ছেন (ইয়ে মানে ব্যক্তিগত কোন কাহিনী এরমধ্যে লুকিয়ে আছে কিনা বুঝতে পারছিনা ) ।
পদ্ম পুকুর এর প্রথম পর্বে যে ইন ডেপথ একটা ব্যাপার ছিলো, এই পর্বে এসে সেটা আবার প্রাণ পেয়েছে। এই মতের সাথে সহমত এবং বিষয়টিকে ফিরিয়ে আনায় আমি ব্যক্তগতভাবে খুব খুশী (কারন আজকালকার প্রেম কাহিনীগুলিকে আমার ছ্যাবলামী মনে হয়) অনেক সুন্দর ঐশ্বর্যময় একটি পর্ব উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ভাল থাকুন জনাবা মনিরা সুলতানা।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা লেখকের সব লেখাই কি আর ব্যক্তিগত হয় ? সব অভিজ্ঞতা কি আর এক জীবনে সম্ভব ? তবে সবসময় ই আশেপাশে দেখাশোনা অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই।
বেশ শালিকের মত খুঁটে খুঁটে পড়েছেন বোঝা যাচ্ছে ! ভালো লাগলো আপনার বিস্তারিত মন্তব্য।
ধন্যবাদ জনাব লেখার সাথে থাকার জন্য!
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা আপনার জন্য।
১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
মাত্রই ৮ম পর্বে মন্তব্য করেছি এমন- "দেখি, নাচের মুদ্রা ঠিক রেখে আবার কে নাচতে আসেন ............."
কিন্তু আপনিই যে ৯ম পর্বে নাইনথ সিম্ফনি বাজিয়ে আসবেন তা বুঝিনি।
আপনিও দেখি মৃন আর নভোকে এবারেও গান আর কবিতার আসরে বসিয়ে রাখলেন !
গল্পে কথোপকথনে যে সিম্ফনি বাজিয়েছেন কিন্তু মজাটাই নষ্ট করেছে লাইনগুলো ভেঙে ভেঙে আসাতে। লাইনগুলো ঠিক না হলে পাঠকদের কাছে এমন সুন্দরতা পানসে পানসে লাগবে।
উপরে দেখলুম মা.হাসান এর মন্তব্যে বলেছেন, এসব ব্যাপারে আপনি বেশ আনাড়ি, এবং অলস নিঃসন্দেহে।
এমনটা হলে তো চলবেনা । আমি মন্তব্য করার পরেও আরো অনেকে গল্পটি পড়বেন এবং মন্তব্যও করবেন। গা ঝেড়ে লেগে পড়ুন লাইনগুলো ঠিক করতে। এবং এক্ষনি .......................
২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সবসময়ের মত লেখার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া !
দুঃখিত আপনার মন্তব্যের পর এক্ষনি এসে এডিট করতে পারি নাই এ জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সময় টা একটু ব্যস্ত যাচ্ছে, এই ধারাহিকের জন্যই এ সময়ে ব্লগে ফেরা। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ত্রুটি থেকেই যাচ্ছে
আপনার মন্তব্য সবভাবে সবসময়ই আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দারুন হয়েছে আপা। একেবারেই ক্যাম্পাসে প্রেম। খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের পিড়িতে বসিয়ে দেওয়া যায় কিনা ভেবে দেখতে পারেন কেউ পরের পর্বে। নাকি আরও কিছুদিন প্রেম চলবে?
২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা পরবর্তী পর্বের লেখকের মনে কি আছে
তবে প্রথম পর্বের লেখিকা দশম পর্ব টিকে শেষ ও টানতে পারেন, আমি যে ভজঘট ঘটিয়েছি হয়ত চমৎকার পরিসমাপ্তিতে সবার মন ই পরিতৃপ্ত হবে।
ধন্যবাদ আপু পাঠে এবং মন্তব্যের জন্য।
১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:০৮
বিপ্লব06 বলেছেন: ভাল্লাগছে!
আগের গুলা পইড়া আসি।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ এই সিরিজ টা আপনের ম্যারেজ সিরিজের আগে আর লাভ সিরিজের পরে হইলে কিছু শিক্ষা নিতে পারতেন
১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:০৩
শের শায়রী বলেছেন: ব্যাপারটা কি হচ্ছে আপা? মাঝে কিছুদিন অনুপস্থিতির জন্য ধরতে পারছি না। বিভিন্ন জন কি একটা সিরিয়াল লিখছেন? আপনার পর কে লিখবে? এমুন ভালোবাসা না পাওয়ার জন্য অনুভবেই সাইড়া নিলাম। দারুন প্রেম কাহিনী। আর ঘটনাটা একটু খুইলা বলেন তো।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ব্যাপার টা আমার দেয়া লিঙ্ক প্রথম পর্বে গেলেই অনেকখানি ক্লিয়ার হয়ে যাবে ভাই;
আমাদের রিম সাবরিন জাহান একটা গল্প লেখা শুরু করেছিলো, পরের পর্বগুলোর ভার উনি ব্লগারদের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় যার যার সময় মত একেক পর্ব লিখেছেন। আমি একটা পর্বে থাকতে চেয়ে শেষতক নবম পর্বে সময় করতে পেরেছি।
আমার পর কে লিখবে তেমন ঘোষণা এখন ও আসে নি, সবাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এগিয়ে এসছেন। আমি প্রথম দিকের এক পর্বে মন্তব্য করেছিলাম " ঢাবি ' র পুরানো পাপীরা দলে দলে এগিয়ে আসুন" ঐ যে আপনি অনেকদিন অনুপস্থিত তাই বেখবর।
খুব ভালো লাগবে যদি এর পরের পর্ব আপনাদের মত শাক্তিশালি কারো হাতে লেখা হয়। শুরু থেকে ধারাবাহিক ভাবে পড়ে আসলে বুঝতে পারবেন, আমি বেশ বড় একটা ঝামেলা পকিয়ে রেখেছি, আশা করছি পরবর্তী পর্বের লেখক সেটার চমৎকার সমাধান দিবেন। না দিলে সমস্যা নেই ক্যাম্পাসের সব প্রেম ই কি আর সফল হয় ! নাকি সবার কাছেই একটা সফল প্রেমের গল্প থাকে ?
ধন্যবাদ ভাই লেখার সাথে থাকার জন্য।
১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১৬
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ ধারাবাহিকতা সার্থকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য।গল্পে ভাল লাগা + +।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শোভন শামস !
ভালোলাগা ও ++ এ কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
১৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আগের গুলো পড়া শুরু করবো।
প্রেমে পড়েছে মন প্রেমে পড়েছে
অজানা এক মানুষ আমার মন কেড়েছে................।
++++++++
গল্পের বর্ননা যেন জীবন্ত ছবি।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ যে আগের পর্ব না পড়ে ও বেশ মজা পেয়েছেন বলে! আপনার চমৎকার মন্তব্য তার প্রমাণ।
নভোনীলে আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক।
শুভ কামনা
২০| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত আপ্নিও লিখে ফেললেন! আচ্ছা ভালোমত পরে আরেকটা মন্তব্য করবো।
এই বড় বড় গুণীজন এক লেখায়! আমি তো পড়তেই ঠিক সাহস পাচ্ছি না!
২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি ভালোমত পড়বেন শুনলেই তো ভয় পাই; একেবারে দাড়িকমা সহ মেনশন করবেন। এমনিতেই সময়ের গ্যাঞ্জামে আছি এডিট করে গিয়ে মাথা আউলা অবস্থা। তার উপর আগের পর্বের গুণীজন দের মানের লেখার চাপ। আমি আর নাই।
নভোনীলে আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক
২১| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দিনে দিনে কত্ত সিরিজ হয়ে গেল! হায়
সময়ের হেরফের কত কিছু ফসকে যায়
সবার দারুন দারুন বিশ্লেষনের পর মনে আর কি বলবো, সব তো বলেই দিয়েছে
শুধু এক কথায়- দারুন ভাললাগা
+++
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব কিছু ফসকে যায়নি ভৃগু ভাই, মাত্রই নবম আপনারা সাথে থাকলে সবার অংশগ্রহণে নিশ্চয়ই অনেকদূর যাবে নভোনীল!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভালোলাগার প্রকাশ এবং ++ এর জন্য।
২২| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইতমধ্যে প্রথম ৫ পর্ব শেষ ৬ পর্বে আছি...........।
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আশা করছি সব পর্বই আপনার পড়া শেষ।
ধন্যবাদ আপনার আন্তরিক পাঠে।
২৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপি এটা প্রথম লিংকটা দেয়া যাবে নাকি। পড়ি নাই এখনো
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু লেখার শেষে শুরু থেকে সব পর্বের লিঙ্ক ই দেয়া আছে ; তবুও আবার দিচ্ছি -প্রথম পর্ব
নভোনীলের সাথে আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক।
২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:১৫
বিলুনী বলেছেন: গল্পের কাহিনী বিন্যাসে নতুনত্ব আছে, গল্পের ভাষাও সরস পাঠে মুগ্ধতা আনে।
গল্পটি করোনা কালে লেখা হলেও কাহনীর সময় কালটি করোনা লক ডাউন পুর্ব তথা ১৪ ফেব্রোয়ারী তথা ভেলেনটাইন
ডে হওয়াতে ভাল লাগল ।
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: উমম লেখাটা আসলে ধারাবাহিকতার অংশ, যদিও এখন করোনা সময় এবং বর্ষাকাল কিন্তু গল্পের প্রয়োজনে সেই সময়ে ভ্রমণ করাতে হল চরিত্র কে।
পড়েছে, ভালোলাগা জানিয়ে মন্তব্য করেছেন এখানেই লেখকের আনন্দ !
অনেক ধন্যবাদ, সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: কথামতো আবার ফিরলাম, তার সাথে বুঝার জন্য আখেনটনের একটা পর্বও পড়ে এসেছি।
১৬ নাম্বার প্রতি মন্তব্যের জন্য আমার পক্ষ থেকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
বেঁচে গেছি, এই পাপীদের দলে আমি নাই।
অন্য ক্যাম্পাস নিয়ে লেখা খুব কঠিন কাজ।
তাছাড়া আমি হলাম গিয়ে "ধর তক্তা মার পেরেক" টাইপের লেখক। এই পুতুপুতু প্রেমের লেখার ধৈর্য্য আমার হবে না।
এবার লেখা নিয়ে, আপনার লেখা মানেই কিছুটা কাব্যিক ভাব থাকবে, সাথে কবিতার লাইন বোনাস!
আপনার নাম দেখেই পড়তে এসেছিলাম সেজন্য। পদ্মপুকুর ভাই দাওয়াত দিয়েছিলেন লেখার, সম্ভব না। এত স্লো লেখা আমি পারবো না।
যারা পরের পর্ব লিখবেন তাদের জন্যঃঃ
'এই পুতুপুতু প্রেম কাহিনীতে জ্বলন্ত আগুন ঢেলে দিন। মৃন এর প্রাক্তন এক সুদর্শন প্রেমিক এবং নভোর স্কুল জীবনের এক প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিউ মার্কেটে দশ বছর পর দেখা হওয়া, চমকে উঠা দেখিয়ে দিন'
হে হে এরপর জমবে.....
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অভিনন্দন ফিরে আসায় !
১৬ নাম্বার প্রতিমন্তব্য' র জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ধন্য হতে পারলাম না, কারন আপনি ভুল ব্যখ্যা করেছেন -
জীবনের প্রথম প্রকাশিত প্রেমর উপন্যাসের লেখক হিসেবে আপনার কাছে আরও একটু আশা ছিল। পুরানো পাপীদের আমি ডেকেছি, কিন্তু এ গল্প সকল ব্লগারদের জন্য সমান ভাবে উন্মুক্ত, যে যে ক্যাম্পাসের ই হোক না কেন লিখতে বাধা নেই। আগের পর্ব গুলোর লেখক দের ব্লগে গেলেই বুঝতে পারবেন সেটা। তাছাড়া অন্যের ক্যাম্পাস নিয়েই না লিখতে হবে কেন ? অনায়েসে মৃন্ময়ী বা নভো আপনার ক্যাম্পাসে ভ্রমণ করতে পারে, বন্ধু তো থাকেই , তাই না ?
যেমন আপনি ওদের নিউমার্কেটে নিয়ে গেলেন। হুম এক জীবনের সবটুকুই কিন্তু লুতুপুতু প্রেম হয় না আপনি আগের পর্বগুলো পড়ে আসেন নি তাই আপনার এমন মনে হয়েছে। আগের পর্বের ধারাবাহিকতায় এখানে প্রেম এসেছে, হ্যাঁ হয়ত একটু বেশি ই এসছে। জ্বলন্ত আগুনে আমার ঢালা ঘি তাহলে যথেষ্ট ছিল না বলছেন ? নাকি স্লো লেখা হিসেবে, বোরিং টপিক হিসেবে চোখ বুলিয়েছেন ক্যাবল ?
ওকে ফেয়ার এনাফ জ্বলন্ত আগুনে ঘি টা আপনি ঢালুন, এক বছর পর ইয়ার গ্যাপ দিয়ে নভো বা মৃন্ময়ী কে বুয়েটে নিয়ে আসুন; আলাদা করে দিন।
হাহাহাহা জমুক তবে টেনে লম্বা প্লাস্টিক যেন না হয়।
পাঠে চমৎকার মন্তব্যে এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ!
শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সকলের দোয়ায় করোনমুক্ত হলেও তার কিছু দারুন প্রভাব দেখা দিচ্ছে । মাথার চুল পরে যাওয়াসহ দুচোখের কোনা ভিষন চুলকায় ও ব্যথা করে । পড়তে ও লিখতে কষ্ট হচ্ছে । করোনার কারণে আই স্পেশালিষ্ট এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া গেছে দিন পনের পরের ।এ কয় দিন বড় মাপের পড়াশুনা ও লেখালেখি বন্ধ । এক নজরে পাঠ করা পোষ্টের গল্পকথা ও সাথে কবিতা ভাল লেগেছে । পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম পরে সময় নিয়ে আরো ভাল করে পাঠ করব ।
দোয়া করো আমার জন্য।
শুভেচ্ছা রইল
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফি আমানিল্লাহ ভাইয়া ! আল্লাহ আপনাকে দ্রুত শেফা দান করুন।
নিশ্চয়ই খুব জলদি আপনি আমাদের মাঝে আগের উদ্দ্যমতা নিয়ে ই ফিরবেন। অবশ্যই আপনি ব্লগার দের প্রার্থনায় আছেন, আমাদের প্রার্থনায় আছেন।
অনেক অনেক ভালো থাকার শুভ কামনা।
২৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
মুনিরা আপা,
এবার তাহলে জমবে মজা , প্রথম প্রেম বিশেষ করে মেয়েরা কখনোই ভুলে না । আমার অবশ্য সবকটি পর্ব পড়া হয়নি
কিছু কিছু পড়েছি । কিন্তু আপনার লেখা তা আর না পড়লে
কি হয় ? পরের পর্বে কি হয় দেখি।
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা মজা জমে জমে অবশ্যই দারুন উপাদেয় কিছুই হয়েছে
দশম পর্ব চলে এসছে, প্রথম পাতাতেই এখন ও আছে দেখে নিতে পারেন।
আর এত মিষ্টি করে মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!
ভালোবাসা মুক্তা নীল।
২৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: যদিও বুঝতে পারছি আপনাদের সবাইকেই মোটামুটি আশাহত করেছ - মোটেও তা নয়। আপনার পোস্টের পাঠসংখ্যা এবং মন্তব্য/লাইক সংখ্যাগুলো কিন্তু সেকথা বলে না, বরং তার উল্টোটাই বলে।
"পাঠের বেলায়, সঙ্গীতের বেলায় আমি সর্বভূক" - দারুণ একটি সংলাপ দিয়েছেন, ভাল লেগেছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফিরতি মন্তব্যে' র ধন্য ধন্যবাদ ভাইয়া !
আমি লেখক হিসেবে সব সময়ে ই আপনাদের মত কিছু দরদি পাঠক পেয়েছি, সে জন্য কৃতজ্ঞতা।
পছন্দের সংলাপ জুড়ে দিয়ে মন্তব্য কে আরও প্রাণময় করছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া সব সময় লেখার সাথে থাকার জন্য।
২৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৯
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: আপনার লেখায় এক ধরনের রোমান্টিক ছন্দ রয়েছে!
যে পড়বে,সে লেখার প্রেমে পরবে!
০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হু হু আপনার ইমোজি আমাকে ভালোই চোখ রাঙানো শেখাচ্ছে
তা সে যাই বলুক মনে মনে আপনার রেখে যাওয়া কথার রেশ কিন্তু দারুন সুর হয়ে আমার কানে বাজছে ! আমাকে আরও কিছু লিখতে উৎসাহিত করছে
ধন্যবার আরিয়ান ! আশা করছি আমার লেখায় আপনার ভ্রমন সময়টুকু আনন্দে কেটেছে।
৩০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কথায় বলে বাঁশি মাংসের টেস্ট বেশি। আজ আমি তেমনি টেস্টি খাবার পেলাম। কাব্য ও কথায় এই পর্বটি অনন্য মনে হলো। অস্বীকার করবো না আমি রীতিমত ঢাবি ক্যাম্পাসের প্রেমে পড়ে গেছি। আপু জীবনে অন্তত একবার হলেও ঢাবির ক্যাম্পাসে ঢুঁ মারার প্রবল ইচ্ছা জাগলো। কয়েকজনের কমেন্ট পড়ে বুঝতে পারলাম শুরুতে লাইনের কিছু অসামঞ্জস্যতা ছিল। আপনি এডিট করেছেন- বিলম্বে পাঠ করাতে যেটা আমার কাছে অত্যন্ত সুখকর মনে হয়েছে।কিন্তু কয়েকটি স্থানে আবার দুটি শব্দ জুড়ে গেছে। এমনকি কিছু স্থানে বিভক্তি পৃথক বসে গেছে। পর্বটিকে অনন্য সাধারণ করতে আপনার কাছে এগুলো ঠিকঠাক করার দাবি রইলো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপু আপনাকে।
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম একদম ঈদ পরবর্তী মন্তব্য হয়েছে বেশ !
বাসি মাংসের টেস্ট বেশি !!! হাহাহাহা ।
ঢাবি ক্যাম্পাসের প্রেমিক হিসেবে আপনাকে সুস্বাগত !! আপনার জন্য ই অপেক্ষা এখন ক্যাম্পাসের, আর ক্যাম্পাস ভ্রমণের পুরো দায়িত্ব আমার; সাথে অবশ্যই অন্য ব্লগাররা ও আমন্ত্রিত।
এ পর্ব লিখতে পেরেছিলাম কেবল এই সিরিজের সাথে থাকার প্রবল আগ্রহের জন্য! লিখে কোনমতে পোষ্ট করতে পারাই ছিল তখনকার চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ এডিট করার মত, কী বোর্ডে সময় দেয়ার মত ধৈর্য আমার সবসময় ই কম, তাই সেসব গুছিয়ে উঠতে পারি নি। আপনি বলার পর আর একবার ঘুরে এলাম এডিট অপশন থেকে, দেখা যাক পরবর্তী মন্তব্যে কি আসে
আপনার জন্য ও অনেক অনেক শুভ কামনা।
ভালো থাকুন সতত।
৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মনিরা সুলতানা আপা, আমি গ্রামের বাড়ির জমিজমা চাষবাস নিয়ে বেশ কিছু ঝামেলাতে সময় পার করছি তাই আপনার পোস্ট নভোনীল সঠিব সময়ে দেখতে পাইনি বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভিন্ন ভিন্ন হাতে সিরিয়াল লেখার গতি ধরে রাখা অবস্যই কঠিন একটি কাজ। আর সেই কাজের নবম পর্বটিতে আপনি যেই চেষ্টা করেছেন তা অবস্যই অবস্যই গর্বের বিষয়।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার নতুন প্রজেক্টের জন্য শুভ কামনা ! নিশ্চয়ই এই ঝামেলা পূর্ণ সময় চলে যাবে খুব শীঘ্রই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ পূর্ণ এই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা।
৩২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দেখতে এলাম নভোনীলে আপুরে
কাহিল করে ফেললো নাকি ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফিরতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া !
আশা করছি ভালো ছিলেন ? হাহাহাহা কিছু টা কাহিল তো করেছে বটেই সেই জবানবন্দী নিয়ে হাজির হয়েছি অনেকদিন পর। আপনার মন্তব্য এক পশলা বৃষ্টির আনন্দ দিলো।
আপনার জন্য ও ভালো থাকার শুভ কামনা।
৩৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নীজের পোষ্টেও আসছেন না দেখে চিন্তিত হলাম ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার এ আন্তরিক মন্তব্যটুকু সত্যি ই ছুঁয়ে গেলো, এ হচ্ছে ব্লগারদের পারস্পরিক বন্ধনের এক অনুপম দৃষ্টান্ত !
আলহামদুলিল্লাহ ভালো ছিলাম ভাইয়া; অনেকদিন পর দেশে ফিরে আত্মীয় বন্ধুদের কে সময় দিতে হচ্ছে। করোনা সময় পেরিয়ে এখন মোটামুটি লেখালিখি ভুলে গেছি। আশা করছি ফিরব আজকাল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুস্থ আছেন জেনে আশ্বস্থ হলাম ।
ভালথাকার শুভ কামনা রইল ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ !
আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
৩৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
স্থিতধী বলেছেন: গত পর্ব আর এই পর্ব মিলেতো রোমান্টিকতার চূড়ান্ত । গত পর্ব শেষে আমি ভাবলাম যে এবারে এরা প্রেম করে থিতু হয়ে বোধহয় পরিবেশ বান্ধব ঠোঙা বানানোর ব্যাবসা অথবা টোকাইদের জন্য একটা এন জি ও খুলতে পারে ।আপনিতো এই পর্বে প্রথমে প্রেম উদযাপনের আভাস দিয়ে শেষে এসে হৃদয়ভাঙা বিরহের আবহ তৈরি করলেন দেখি । যে পরিমাণ কাব্যময়ী সংলাপ এরা বলছে বোঝা ভার এরা দুজন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র- ছাত্রী বোধ হয় ওদের বাবা- মা সাহিত্যপ্রেমী, তাই বাসার বইয়ের তাক বাংলা সাহিত্যের বই এ ভর্তি।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঢাবি , বুয়েট বা ঢামেক এসব ক্যাম্পাসে ঘুরলেই আধা শেখা হয়ে যায়। এবারে তো করোনা না হয় শীতের ক্যাম্পাস কখনো ঘুমায় না। আমি ঢামেক এর বুয়েটের কিছু বার্ষিক সাহিত্য পত্রিকা পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম, মানের দিকে একবারে প্রথম শ্রেণীর। সুতরাং সাইন্সের পোলাপান সাহিত্য নিয়ে মাথা ঘামায় না এমন বলা জায়েজ না
তবে এই পর্বে কিন্তু বলা ও আছে, নভো' র মা ইংরেজি সাহিত্যের।
আচ্ছা রোমান্টিকতা র সাথে পরিবেশ বান্ধব ঠোঙা ও কি যায় না ? অথবা পশুপাখি প্রেম ? বা ছিন্নমূল শিশুদের কে সন্ধ্যার পর অক্ষরদান ? আমি তো ৩০/৩৫ ভাগ প্রেম এমন জুটির ই দেখেছি ক্যাম্পাসে । রোমান্টিকতার সাথে সব ই যায় বেশ ভালোই যায়
আপনিতো এই পর্বে প্রথমে প্রেম উদযাপনের আভাস দিয়ে শেষে এসে হৃদয়ভাঙা বিরহের আবহ তৈরি করলেন দেখি
হ্যাঁ কিছুটা চমক আনতে চেষ্টা করেছি, সাধারণত নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখা ছেলে মেয়েরা লুকায় তাদের একটু আলাদা জীবনের গল্প। কিন্তু দিলেন তো মন খারাপ করে যত টুকু যত্নে মাধবী কে এনেছিলাম, যেভাবে সাজিয়েছিলাম। মাধবী চরিত্রের এতটা পতন আমাকে ব্যথিত করলো। আমি নভো আর মাধবীর মাঝে প্রেম বা মিলনে কয়েকটি বাঁধা দেখিয়েছিলাম
১। মাধবী বয়সে বড়
২। মাধবীর অন্বয় ধর্মের
এবং সবচাইতে বড় বাঁধা মাধবীর কাছে একটা সুখের গল্প আছে, ও নভো কে কখনোই অন্য দৃষ্টিতে দেখে নাই।
এহেন মস্তই একটা চরিত্র কে বানিয়ে দিলো কি ? ? ? ?
আমি মর্মাহত
৩৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
স্থিতধী বলেছেন: সুতরাং সাইন্সের পোলাপান সাহিত্য নিয়ে মাথা ঘামায় না এমন বলা জায়েজ না
সাইন্সের পোলাপান যে সাহিত্য নিয়ে মাথা প্রচুর ঘামান সেটার প্রমাণ তো এই ব্লগেই অনেক আছেন । ইঞ্জিনিয়ার সাহিত্যিক এবং সাহিত্য সমালোচকেরা আছেন । ইঞ্জিনিয়ারদের ইঞ্জিনিয়ার গাজী সাহেবও আছেন যিনি ব্লগ সাহিত্যের মান ও সাহিত্যের আদর্শ নিয়ে ব্লগারদের নিজ দায়িত্বে গাইড করে থাকেন। তাই ইহা বলাই যায় যে বিজ্ঞানের ছাত্ররা আসলে সাহিত্যের শিক্ষক হবার যোগ্যতা ধরেন ।
সবচাইতে বড় বাঁধা মাধবীর কাছে একটা সুখের গল্প আছে, ও নভো কে কখনোই অন্য দৃষ্টিতে দেখে নাই।
এই পয়েন্টটা তে আমিও একমত । এখানটা তে এসে একটা গিট্টু লেগে গেছে অবশ্য । কারন মাধবীর তেমন কোন আকর্ষণ থাকবার তো কথা ছিলোনা এই পর্বের বয়ান অনুযায়ী। আইয়ুব বাচ্চুর গানের মতো মাধবী আচমকা নষ্ট নারী হয়ে গেলো! এখন দেখা যাক, যদি পরের পর্বে কেউ হিন্দি সিরিয়ালের মতো, 'এই মাধবী সেই মাধবী না' টাইপ কোন টুইস্ট নিয়ে আসে তো তাহলে আবার গিট্টু টা খুলেও যেতে পারে !
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হায় গিট্টূ হায় গিট্টূ
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি ধারাবাহিক।