নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি

মনিরা সুলতানা

সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ

মনিরা সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশ্বিনের ঐক্যতান

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১১


আচ্ছা ঢাকা শহরের কোথায় ছাতিম গাছ পাওয়া যাবে কেউ সন্ধান দিতে পারেন ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিশ্চয়ই আছে। আজন্ম সাধ ছিল দু' পাশে ছাতিম গাছের সারি রেখে ঘোরলাগা সকালে কৈশোরের মত নির্ভার হেটে যাব বহুদূর। তেমন একসন্ধ্যা এসেছিলো জীবনে। ভারত বাসের সময়, গুরগাঁও এক হেরিটেজ রিসোর্টে গিয়েছিলাম ইন্ডিয়ান বিগ ফ্যাট ওয়েডিং এর নিমন্ত্রণে। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার দারুণ মিশেলে গড়া সে ভবনের প্রবেশ পথ ছিল ছাতা মাথায় ছাতিম গাছের সারি নিয়ে। সমস্ত গাছ ভর্তি করে সবুজ সাদার মিশেলে থোকায় থোকায় জোনাকির মত ফুটে ছিল সে ফুল। জীবন আসলে এইসব টুকরো টুকরো মহার্ঘ্য স্মৃতির মিশেল।

মাঝেমাঝে ভাবি একটা ছাতিম গাছ, মায়ের নাকফুলের মত ছোট্টফুল আর তার নরম সুবাস, কেমন করে যে সুপারি' র খোলে দাঁড় টানার সে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যায়! সেই ফ্রক পরার দিনগুলোতে এক এক' টা আশ্বিনের সকাল কেটেছে রাশিরাশি, ছোটছোট ছতিম ফুল আর শিউলি মালা গেঁথে। ফ্রকের কোঁচড়ে ফুলের রস মেখে মায়ের চোখ রাঙ্গানিতে। দক্ষিণা বাতাসে দু এক টুকরো ঝরা ফুল আর মগজে গেঁথে যাওয়ার মত তুমুল সুবাস নিয়ে আসা মেঘ করা সন্ধ্যা নিয়ে।

আমার পড়ার টেবিলের জানালার ও'পারে একঝাক ঝুমকো জবার ঝাড় ছিল। সমস্ত টা বছর জুরেই সে আর কলাবতীর গুচ্ছ গা উজার করে ফুল ফোটাতো খুব। অন্য পাশের জানালা ছিল মিলি, মিষ্টুর দাদুর পূজাঁর ঘর! বারোমাসি ফল মিষ্টি’ র প্রসাদ! ধূপধোঁয়া চন্দন। সেসব দিনগুলোতে সাদা মেঘের নাও ভাসিয়ে, চকচকে কাঁচের মত রোদ্দুরে গুটিপায়ে আসত আশ্বিনের গান। এই শরত এলেই তার সাথে শিউলি সুর মেলাতো। শিউলি গাছটা খনিক দূরের যদিও দাদুর বাড়ির শেষ মাথায় পুরনো রান্নাঘর আর বেল চালতার কাছটিতে। তবুও ভোরের শিশির এর সাথে ঝরে পরার সময় আর সন্ধ্যার হিমকনায় প্রস্ফুটিত হতে যেয়ে তুমুল সুবাস দিত সবাইকে।

পুকুরের ঐ পাড়ে যখন কাশবন ভর সন্ধ্যের বাতাসে মাথা নোয়াতো! আমার কেবল ঈদের জামাতে রুকু সেজদার কথা মনে পড়ত। কী ভীষণ স্নিগ্ধ আর পবিত্র !! এ পাড়ে তখন আমি ঘাসফুলে মেতে আছি! সান্ধ্য শাঁখ আর আজানের ধ্বনি ঐক্যতান বাতাসে মেশার আগেই ঘরে ফেরা। হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসে আঙুলের করে স্কুল ছুটির দিনগোনা শুরু। ষাণ্মাসিক পরীক্ষা আর বার্ষিক পরীক্ষা মাঝামাঝি চড়ুই উড়ালে চলে যাওয়া এ ছুটিটুকু যতখানি পরীক্ষার সমন কাঁধে নিয়ে আসে; তার চাইতে বেশি আনে দাদা /নানার বাড়ি বেড়াতে যাওয়া র আনন্দ, পিঠেপুলির আনন্দ আর খেজুরের মিষ্টি রসের মিঠেল ঘ্রাণ।

কেমন একটা পূজা পূজা উৎসব চারিদিকে বেশ। ঢাকে কাঠি পরার আগেই পুকুরের পানি তে হিম নামে, চোখেমুখে লাগে কুয়াশা মেশা ঘোলা বাতাস! প্রচণ্ড ঘোরলাগা সে সময়। কালী বাড়ির মন্দিরে দূর্গাপুজার এ ক'দিন ভোরের আলোর সাথে মাইকে চমৎকার সব গানবাজত! ভোররাতের মিষ্টি ওম না কাটতেই দূর থেকে ভেসে আসা কিশোর কুমারের কন্ঠের " সে যেন আমার পাশে আজো বসে আছে " গানের বিষন্ন মায়ার সাথে ছুটির দিনগুলোর শুরু হত। তার সাথে ঝুমকো জবার হাসি, পাশের জানালায় দাদুর ধূপকাঠি আর ছাতিম বনের ডাকে শিউলির সুবাস কখন যে মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত! আহা কৈশোর !!! বুকে ক্যামন করা এক অনুভূতির নাম। এখন ও শরত নামে এ দেশে সাথে নিয়ে সেই মিঠেল আদ্রতা, প্রাণপণ সে সরাতে চায় এ শহরের বিষবাষ্প। এই কদর্য শহরে আজও কোন ভাঙা ইটের স্তূপের নগ্নতায় শিউলি দু' এক ফোটা শিশির বুকে ঝরে। অযত্নে অবহেলায় কাশ ও স্নিগ্ধতা বিলায় ! আর সন্ধ্যের নরম আলো থেকে মাঝ রাতের নিশ্চুপ নির্জনে যদি নাকে তীব্র ঘ্রাণ আপনাকে আবেশিত করে; নিশ্চিত বুঝে নেবেন সে আর কেউ নয় মা মাসীদের সকল গঞ্জনা সয়ে টিকে থাকা ছাতিম ফুল।

আপনি এই শরতে শিউলি ছুঁয়েছেন? অথবা প্রাণভরে ছাতিমের সুবাস ? কাশফুল স্পর্শ করুন চনমনে আশ্বিনের ঘ্রাণ পাবেন। দারুণ ব্যস্ত, বিক্ষিপ্ত এ সময়ে সেটুকুই হবে পথ চলার সঞ্জীবনী। সবাই কে শরত শুভেচ্ছা !



মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন আবেগময় লেখা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! বেশ সুন্দর তো ছবি টা।ধন্যবাদ নুর ভাই।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩২

শায়মা বলেছেন: শান্তি নিকেতনে যাও আপু।

ছাতিম গাছ দেখতে চাইলে।


পূঁজোর গন্ধ মাখা শারদীয়া লেখা একেবারেই কবিতার মত সুন্দর!

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পূঁজোর গন্ধ মাখা শারদীয়া লেখা একেবারেই কবিতার মত সুন্দর! কী দারুণ করেই না বললে!! ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
হ্যাঁ গতকাল ই ইউ টিউবে কিছু ভ্রমণ ভিডিও দেখছিলাম। সেখানে শান্তি নিকেতনে দেখার মত সব সুন্দর করে দেয়া আছে। ছাতিম তলা ও দেখেছি। আমার ভ্রমণ ভাগ্য তেমন ভালো না, অনেক কিছুর কাছে গিয়েও দেখা হয়নি কিছু ই।

ভালো থেকো।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৬

এম ডি মুসা বলেছেন: খুব সুন্দর প্রকৃতির লেখা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ এম ডি মুসা !
লেখার সাথে একাত্ম হবার জন্য।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৮

মা.হাসান বলেছেন: ঢাকা শহরে শরৎ কখন আসে কখন যায় বুঝি না। ব্লগে ফাতেমা ছবি আপার কাশ ফুলের ছবি দেখে এবছর ধরতে পেরেছিলাম শরৎ এসেছে।

গ্রামে আমার চাচতো ভাই (অন্য গল্পে মুহিব নাম বলেছিলাম) এর দোকানের পাশে একটা ছাতিম গাছ আছে। যখন যাওয়া হয়, সন্ধ্যার পর থেকে দোকানের ঝাপ লাগানো পর্যন্ত দোকানে বসে থাকি। ছাতিম ফুলের ঘ্রান নিতে থাকি।
আরো ছাতিম পাগল লোক আছে জানা ছিলো না।

রমনা বটমূলের পাশে একটা/একাধিক ছাতিম গাছ ছিলো। ধানমন্ডি লেক এলাকায় কয়েকটা আছে। ফার্মগেট এর আশে পাশে বেশ কয়টা দেখেছিলাম, তবে খুঁটিয়ে দেখি নি বলে মনে করতে পারছি না। বলধা গার্ডেনে আছে, তবে পুলিশ পাহারা ছাড়া ওখানে কারো যাওয়া নিরাপদ না।

মরুভূমির জলদস্যু গাছপালার অনেক খবর রাখেন উনি সম্ভবত আরো খবর দিতে পারবেন। আর ফাতেমা ছবি আপা ওনার ছেলেকে নিয়ে মাঝে মাঝেই রমনা পার্কে যান। উনিও বলতে পারবেন ছাতিমের এক্সাক্ট লোকেশনের কথা।

শরৎ শুভেচ্ছা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এইটা ঠিক বলছেন ঢাকা শহরে শরৎ নামে ফেসবুকে ব্লগে ! এ বছর ও কাশফুল নিয়ে ছবি আপলোড করেন নাই এমন হাতে গোনা কয়েকজন ই আছে আমার লিস্টে। কাশফুলের ডাটা খেতে ঠিক আঁখের মত; সেই জিনিস টা আমাকে বেশি টানে। হ্যাঁ সিজন অনুযায়ী ছবি ও কাব্য কনার ব্যাপারে আমাদের কাজী আপু বেশ আপডেট।

মুহিব সেই ভেজা ধান বিক্রির পরামর্শদাতা তো, চিনতে পেরেছি। বাহ তাহলে তো সেখানে আপনার বেশ সময় কাটে। আসলে কিছু জিনিস মনন ও মগজএত বেশি অধিকার করে রাখে যে অনায়েসে তাদের পাগলের দলে ফেলা যেতে পারে। ছাতিম তেমন ই নাম।

রমনায় এক জনসভায় গেছিলাম কেবল একবার। সেখানে কেবল একাধিক মানুষ ই দেখেছি। আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দু একজন বন্ধু সকালে রমনায় হাটাহাটি করে, সেসব ছবি ও প্রায়শই আপলোড করে। দেখি ওদের কাছে কাছে আপডেট নিতে হবে তাহলে। ধানমণ্ডি লেক এলাকা একদিন ঢু মারা যেতে পারে। তবে ফার্মগেট সম্ভব না। বলধা গার্ডেন এমনিতে যাবার ইচ্ছে ছিল কিন্তু সেই যে পুলিশ পাহারা !! সে নিতে ও পারবো না যাওয়া ও হবে না।


আপনার দেয়া তথ্যের নিয়ে আপতত মাঠে নামি , আশা করছি এর বেশি দরকার হবে না। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তথ্য সহ বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য। ছাতিমে সুবাস ঘিরে থাক আপনার চমৎকার সব দিনে।

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
ছেলেবেলায় ভোরবেলা খুব কমই উঠা ঘুম থেকে কিন্তু
চন্দনা মাসির গাছের শিউলিফুল কুড়ানোর জন্য মাঝেমধ্যে
উঠতাম।সেই ফুল দিয়ে মালা গেঁথে বান্ধবীর পুতুলের সাথে
আমার পুতুলের বিয়ে দিতাম । জবা ফুল , গোলাপ ফুল
তখন সহজেই পাওয়া যেত এবাড়ি-ওবাড়ি কিন্তু শিউলি ফুল
খুব গাছ খুব কম ছিল ।
আপনার লেখায় সেই শিউলি ফুলের সুবাস পেলাম ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! মন্তব্যে কি সুন্দর ভাবেই না আপনার এক টুকরো শৈশব উঠে এসেছে !!!
শিউলি কুড়ানোর গল্প এলেই আমার চোখে কেবল দীপাবলির ফ্রকের কোঁচড় ভর্তি ফুল কুড়ানোর গল্প দৃশ্য হয়ে চোখে ভাসে। হ্যাঁ আমার ছিল অমন এক দুরন্ত শৈশব। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় আমার মেজ বোনের সাথে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ছিলাম। সেখানে দুইটা শিউলি গাছ আছে; সবাই তো রাত জেগে পড়ত তাই খুব ভোরে প্রায় কাউকেই দেখা যেত না। আমি যে কদিন ছিলাম প্রতিদিন ই ফুল কুড়িয়ে মালা গাঁথতাম। আর রোকেয়া হল জীবনের তো অজস্র শিউলির আনন্দ বেদনার গল্পে কেটেছে। আমার জীবনে এই একটা অধ্যয় নিয়ে গল্প করার মত কিছু নেই, সেটা হচ্ছে পুতুল বিয়ে ! আসলে ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম তো পুতুল খেলা, রান্নাবান্না খেলা খুব বেশি জমেনি আমার জীবনে।
আপনার লেখায় সেই শিউলি ফুলের সুবাস পেলাম । আপনার করা এই একলাইনের প্রশংসা আমাকে ছুঁয়ে গেলো।

সব সময় ভালো থাকার শুভ কামনা আপনার জন্য।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনুপম হৃদয়ঙ্গম  লেখা । অনবদ্য প্রকাশ ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো নেওয়াজ আলি !
শুভ কামনা।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


হালকা পাতলা

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দ্যাটস রিয়েলি কুল !!!

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪২

ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ কবি !

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি তখন আমি ও আমার ছোট ভাই প্রতিদিন ভোর বেলা বাসার কাছে একটা শিউলি গাছের নীচ থেকে শিউলি ফুল কুড়াতাম আর বাসায় এসে মালা গাঁথতাম। অনেক দিন এভাবে করেছি। শরৎকালে মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনি যা কল্পনা করবেন তাই দেখতে পাবেন মেঘের মধ্যে। হয়তো ব্যাপারটা মানসিক কিন্তু এরকম আমার কয়েকবার হয়েছে।

সাদা মেঘের নৌকা ভাসে নীল আকাশের গায়
সেই সাথে মন পঙ্খি হইয়া উড়াল দিতে চায়, উড়াল দিতে চায়
শরৎ আইলো রে শরৎ আইলো রে

তবে শরত আরও আগেই এসেছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম সত্যি ! শরতের আকশে মনের রঙের ছবি আকাঁ যায়। হ্যঁ প্রিয় কিছু করার আনন্দ আলাদা সবসময় ই।
আমি ছাতিম খুজেঁতে খুজঁতে আজ সকালে বগুড়া পর্যটন মোটেলে এ এসে পেয়ে গেলাম। যদিও মালা গাঁথা হয়নি।
ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর, আপনার চমৎকার কাব্যিক মন্তব্যে ভালোলাগা ।

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

করুণাধারা বলেছেন: শরতের সুন্দর ছবি- খুব ভালো লাগলো।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু !
পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: চমৎকার কল্পনা এবং আবেগ শেয়ার করেছেন।
আপা সত্যি কথা বলি, আমি ছাতিম গাছ চিনিনা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার কল্পনা ও আবেগ মেশানো লেখায় আপনার ভালোলাগার প্রকাশ আমাকে অনুপ্রেরণা দিলো।
হাহা ছাতিম গাছ না চেনা অবশ্যই কোন অপরাধের মাঝে পরে না। তবে আমার তো মনে হয় আপনি লোকাল নামে অবশ্যই চেনেন।
আমাদের স্হানীয় ভাষায় একে ছাইত্তান গাছ বলে। তেমনি আপনাদের এলাকায় ও অন্য নামে ডাকে।

ভালো থাকবেন।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ফরিদাবাদ বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনিতে আছে গাছ, কত্ত ছবি তুলছিলাম

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফরিদাবাদ !! অতদূর তো যাওয়া হয়ত সম্ভব না । রমনা পার্কে ই যাবো। আপনার ছবি শেয়ার করেন আবার আমাদের সাথে।
ভালো থাকবেন ছবিআপু।

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: বাসার গেটের পাশে আছে শিউলী ফুলের গাছ। প্রতিদিন সকালে ফুল পড়ে থাকে।
মাইকে গান বাজানো, শীতের মধ্যে পিঠা, খেজুরের মিষ্টি রস এগুলো পড়ে সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।

আগে মাইক দিয়ে বিয়ে বাড়ী এবং পিকনিকেও গান বাজতো কয়েকদিন ধরে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাছাকাছি সময়ে বেড়ে উঠা সবার ই প্রায় কমন কিছু স্মৃতি থাকে।
এই কয়েক বছর আগেও মাইকের খুব প্রচলন ছিলো।
ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে।

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৩

সোহানী বলেছেন: তোমার আবেগঘন লেখা পড়ে মনে হচ্ছে ছাতিম গাছ দেখতে যেতে হবে?

তোমার কি মনে পড়ে, হলের ডাইনীং হলের পিছনে কয়েকটা শিউলি গাছ ছিল। আমরা ভোরে কাড়াকাড়ি করে ফুল কুড়াতাম!! আর মাঠের সেই বকুল ফুলের গাছ টা? ওও সেখাতো এখন আরেকটা হল করেছে, ভুলে গেছি। গাছ নিশ্চয় কেটে ফেলেছে.....।

নষ্টালজিয়ায় লিখায় ভালোলাগা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু দেখেই আসুন না হয় ছাতিম গাছ !
হ্যাঁ খুব মনে আছে সেই শিউলিতলা !! আসলে সেসব তো উচ্ছ্বাস আনন্দ মুখর সময়! মেইন বিল্ডিং এর সামনে একেবারেই নতুন দুইটা ছিলো। সেগুলো এখন মস্ত বড় হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভূত গাছ দেখতে হলে অভূতপূর্ব বোটানিক্যাল গার্ডেনে আসতে পারেন। এছাড়াও একটা পত্রিকাতে ঢাকার কতকগুলো জায়গায় পাওয়া ছাতিম গাছের বর্ণনা দেখেছিলাম.... "ঢাকায় হাতেগোনা কয়েকটি জায়গায় ছাতিম গাছ দেখা যায়। জায়গাগুলোর মধ্যে ঢাকার অফিসার্স ক্লাব, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শহীদ মিনার, উদয়ন স্কুলের কাছে, চামেরি হাউস, কার্জন হল, আব্দুল গণি রোড, নিকেতন (পুলিশ প্লাজার বিপরীতে), ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত অন্যতম।"-অবশ্য এখন সেখানে ছাতিম গাছ আছে কিনা বলতে পারছি না।

আপনাকে শরতের এক আঁচল শিউলি শুভেচ্ছা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার ব্লগে ফিরে আসা আমাদের জন্য আনন্দময়। সাথে অমন বিস্তারিত মন্তব্য !! দারুন ভাবে আমাকে অনুপ্রানিত করে গেলো।
আসছে অগ্রহায়ন আপনার তালিকা ধরে ঢু দেয়ার চেষ্টা করবো।

শরৎ শুভেচ্ছা ভাইয়া ।

১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

জুন বলেছেন: বিশ্বরোড দিয়ে যাবার সময় যেখানে ফ্লাইওভার ইউটার্ন আছে সেখানে এক বাসায় এমন গাছ দেখে অবাক হয়েছি। নামটি পরিচিত হলেও গাছটি চিনতে পারিনি মনিরা কিন্তু তার সৌন্দর্যে অভিভূত হয়েছিলাম। আজ জানলাম বহুবার শোনা নাম ছাতিম গাছ। ছাতার মতই দেখতে বলে। লেখাটিতে অনেক ভালো লাগা রইলো।
+

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক শখের বাগানি এর সৌন্দর্য নিজের সংগ্রহে রাখতে চান। আমি গতকাল উত্তরা ১৩ নাম্বারের লেকের পাশে ফুলের ঘ্রাণ অনুসরণ করে একটা ছাতিম গাছ পেয়েছি। যেদিন রিকশায় উঠি সেদিন সুবাস থেকে শিউলি , বকুল ছাতিম এমন সব গাছের দেখা মেলে।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্য এবং ভালোলাগার প্রকাশের জন্য।

১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১২

দয়িতা সরকার বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম। এত সুন্দর লেখা!!!!! আমি হয়তো ছাতিম গাছ দেখেছি, এখন মনে করতে পারছিনা গাছটা কেমন। আপনি একটা কমেন্ট এ বলেছেন আঞ্চলিক নামের কথা। সেটাই হয়তো। অন্য নামে হয়তো চিনি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ও আমার মুগ্ধতা !! চমৎকার এই মতব্যের ছত্রে আন্তরিকতা সাজানো।
হ্যাঁ আমাদের এলাকায় ছাইত্তান গাছ নামে ডাকে। অনেক বড় হয় এ গাছ একদম ছাতার মত ঢেকে রাখে আশপাশ। সবুজে সাদায় মিশানো ছোট্ট নাকফুলের মত গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল ফোটে, আর শরত হেমন্তে বাতাস মাতায়।

ধন্যবাদ আপনার মুগ্ধপাঠ এবং মন্তব্যে।

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

রাকু হাসান বলেছেন:

যান্ত্রিকতায় এতই আটকে রয়েছি এসবের খোঁজ খুব একটা নিতে পারি না ।অথচ এই আমিই একদিন বিকালের পর বিকাল কাটিয়ে দিয়েছি ... । প্রকৃতির মু্গ্ধতায় আমার মুগ্ধ না হয়ে পালাবার পথ পাব না ।ভাল লাগছে।ছাতিম গাছ সংগ্রহের ইচ্ছাটা আমারও ...

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এসব হচ্ছে আমাদের মত মধ্যবয়সীদের স্মৃতিকাতরতা ! হ্যাঁ বিলাসিতা ও বলা চলে অনায়েসে। ব্যস্ত জীবনের এসবের জন্য খুব বেশি সময় বরাদ্দ রাখা যায় না। সেই বিকেলের পর বিকেল কাটানোর স্মৃতি ফিরে আসবে আরও পরে এখন তো আপনাদের স্মৃতি রেখে যাবার সময়, স্মৃতি চারণের সময় না।

ইচ্ছের ছাতিমে থোকায় থোকায় ফুটে উঠুক ফুল।

১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



মনিপুর লেখা মানেই শৈশবের অসাধারণ স্মৃতিচারণ । নস্টালজিক হয়ে গেলাম । শিউলি ফুল , ঝুমকো জবা , বছর শেষে শীতের দিনে দাদাবাড়ী বেড়াতে যাওয়া, পিঠাপুলি, খেজুরের রস আরও কত কি !!! ছাতিম গাছ অবশ্য চিনতে পারিনি ।
তোমাকেও শরতের শুভেচ্ছা ।


তোমার হাতে বন্দী আমার ভালোবাসার কাশ
তাইতো আমি এই শরতে তোমার ক্রীতদাস







২২ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাবছি এখন থেকে লেখা পোষ্ট করার আগে তোমাকে পড়তে দিবো, তুমি ঠিকঠাক কি ভাবে সাজাতে হবে মনের সব ভালোলাগা তুলে আনো দারুণ ভাবে। এই কবিতা বছর কয়েক আগে এক লেখায় এনেছিলাম। ভীষণ প্রিয় আমার। কতবার বার বার শুনে ও মন ভরে না। ছাতিম না চিনলে হবে !!! আমার তো মনে হয় অনেক দেখছ , মনে করতে পারছ না। অস্ট্রেলিয়াতে ও আছে। আমি উইকি লিঙ্ক দিলাম। ছাতিম

ভেবেছিলাম প্রথম যেদিন ফুটবে তোমায় দেখব,
তোমার পুষ্প বনের গাঁথা মনের মত লেখব।

তখন কালো কাজল মেঘ তো ব্যস্ত ছিল ছুটতে,
ভেবেছিলাম আরো ক'দিন যাবে তোমার ফুটতে।

সবে তো এই বর্ষা গেল শরত এলো মাত্র,
এরই মধ্যে শুভ্র কাশে ভরলো তোমার গাত্র।

ক্ষেতের আলে নদীর কুলে পুকুরের ওই পাড়টায়,
হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে বাঁশ বনের ওই ধারটায়।

আকাশ থাকে মুখ নামিয়ে মাটির দিকে নুয়ে,
দেখি ভোরের বাতাসে কাশ দুলছে মাটি ছুঁয়ে।

কিন্তু কখন ফুটেছে তা কেউ পারে না বলতে,
সবাই শুধু থমকে দাঁড়ায় গাঁয়ের পথে চলতে।

উচ্চ দোলা পাখির মত কাশ বনে এক কণ্বে,
তুলছে কাশের ময়ূর চূড়া কালো খোঁপার জন্যে।

শরত রানী যেন কাশের বোরখা খানি খুলে,
কাশ বনের ওই আড়াল থেকে নাচছে দুলে দুলে।

প্রথম কবে ফুটেছে কাশ সেই শুধুরা জানে,
তাইতো সেটা সবার আগে খোঁপায় বেঁধে আনে।

ইচ্ছে করে ডেকে বলি, ওগো কাশের মেয়ে-
"আজকে আমার চোখ জুড়ালো তোমার দেখা পেয়ে
তোমার হাতে বন্ধী আমার ভালবাসার কাশ
তাইতো আমি এই শরতে তোমার কৃতদাস"

ভালবাসা কাব্য শুনে কাশ ঝরেছে যেই
দেখি আমার শরত রানী কাশবনে আর নেই।

কাশফুলের কাব্য
- নির্মলেন্দু গুণ।


২০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা। ভালো লাগলো পড়ে। তবে ছাতিম গাছের সাথে আমার তেমন কোন স্মৃতি নেই। ছোটবেলায় কাঠগোলাপ আর শিউলি ফুল কুড়াতাম মাঝে মাঝে। আমাদের স্কুলে এই দুটো ফুলের বেশ কিছু গাছ আছে। সেই দিনগুলো অনেক বেশি ভালো ছিল।

১০ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাঠ গোলাপ আর শিউলি ও আমার জীবনের প্রতিটি বাঁকে সুবাস বিলিয়েছে তুমুল ! নিশ্চয়ই আপনার শৈশব ও শিউলি সিক্ত আর কাঠ গোলাপে স্নিগ্ধ!!! এবং সত্যি ই ফেলে আসা সময় সব সময় ই মধুর।

অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যে আমার লেখার সাথে থাকার জন্য। আশা করছি ভালো ছিলেন!
শুভ কামনা।

২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাতিম গাছ আছে, তবে আপনি যেমন পরিবেশ চাচ্ছেন তেমন পরিবেশের ছাতিম গাছের জন্য একটু কষ্ট করে সাভার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যেতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মীর মোশাররফ হোসেন হল প্রাঙ্গনে আপনার ভালো লাগবে বলে আশা করছি।

লেখা খুবই ভালো হয়েছে +++


১০ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভোরে অনেকেই মর্নিং ওয়াকে যায়, সেই সময়টাই রমনা আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবার সুন্দর সময়। জাহাঙ্গীর নগরে ঢু দেয়াড় ইচ্ছে আছে। সময় করে উঠতে পারছি না। অবশ্যই আপনাকে আপডেট জানাবো যদি মীর মোশারফ হল প্রাঙ্গণ ঘুরে আসতে পারি।

ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই চমৎকার লোকেশনের খবরের জন্য।
ভালো থাকবেন।

২২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২০

ওমেরা বলেছেন: অনেক সুন্দর !! মনের আবেগ আর ভালোবাসায় জড়ানো লিখা সুন্দর না হয়ে পারে কি!
খুব ভালো লাগলো । কিন্ত আপুনি ছাতিম গাছ তে চিনলাম না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ নিবেন আপুনি সুন্দর লিখাটার জন্য।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা !!
অনেকদিন পর কেউ এই লেখায় মন্তব্য করলো, আমি নিজেও ব্লগে অনিয়মিত। আশা করছি ভালো আছো আপু।
ছাতিম পরিচিত গাছ ই দেখছ তো অবশ্যই হয়ত মনে করতে পারছ না। চমৎকার সুবাস এই ফুলের।

ভালো থেকো :)

২৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতি হাতড়ে লেখা আপনার এ পোস্টটি পড়ে মনে পড়ে গেল, ১৯৯৭ সালে হবিগঞ্জ জেলার মনতলা-হরিষপুর রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী কোন একটি স্থানে আমিও একটি একলা ছাতিম গাছ দেখেছিলাম।
আশ্বিনের বৈকালিক বাতাসে মাথা নোয়ানো কাশবন দেখে পবিত্র ঈদের জামাতের রুকু সিজদা'র কথা মনে পড়ে যাবার তুলনাটা খুব সুন্দর হয়েছে। +
"আশ্বিনের ঐক্যতান" পৌষের প্রায় শেষে এসে পড়ে গেলাম, তবুও এর স্নিগ্ধতা ও সৌরভ, দুটোই বেশ নিবিড়ভাবে অনুভব করলাম।
পোস্টে অষ্টাদশতম ভাল লাগা + + রেখে গেলাম।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া !
ছাতিম হচ্ছে শৈশব, একলা ছাতিম নিজের ছায়া ! বাসী বকুলের ঘ্রাণে যতটা স্মৃতিকাতরতা থাকে, ছাতিমের সৌরভ সেটুকু কে ঘোরলাগা অপার্থিব অনুভব দেয়।

শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.