নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
ঢাকা টু বম্বে ছিল আমার প্রথম বিমান ভ্রমণ অভিজ্ঞতা !
২০০৫ সালের অগাস্ট মাসের কোন এক বিকেলে ছিল বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট সেদিনগুলো তে সপ্তাহে একটাই সরাসরি মুম্বাইয়ের ফ্লাইট ছিল। যেহেতু প্রথম, সময়ের চাইতে প্রায় চার ঘণ্টা আগেই এয়ারপোর্ট এ চলে এসছিলাম, তিন মাস বয়সী ছেলে আর তিন বছর বয়সী টুকটুক করে হেটে বেড়ানো কন্যা। ঐ পারে মুম্বাইতে বসে ছেলে মেয়ের বাবা পাখিপড়া বুঝায়, কী করতে হবে কিভাবে চলতে হবে। যেহেতু অফিসিয়াল ট্রিপ অফিস থেকে অফিসিয়াল কাজকর্ম চেক করে, সিকুইরিটি হিসেবে কোন এক বরুয়া সাহেবের সাথে এয়ারপোর্টে নামা মাত্রই যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আর এদিকে -ছেলে ঘুমায়, মেয়ে প্রজাপতি আর আমি অভ্যাস মত পর্যবেক্ষণ এ ব্যস্ত, এবং অবশ্যই আনন্দের সাথে। ভয় ছিল আসন গ্রহণের পর ছেলে কে কোলে নিয়ে সবকিছু সামলাতে পারব কিনা? কিন্তু সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইজম বিমানে উঠার পর' ই পেয়ে গেলাম আমাদের ডাকসুর বাবু ভাই কে ফ্লাইট এটেনডেন্ট হিসেবে, ব্যাস আর কি মেয়েকে পাশাপাশি দুই সীট নিয়ে বসিয়ে দিলেন, হাত ভর্তি খেলনা, রঙ পেন্সিল আর চকলেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া'র সৌন্দর্য ই এসব, পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাবেন, পরিচিত মুখ চমকে দেবে।
সব ব্যাগেজ দিয়ে দেবার পর হাত বেশ হালকা এর মাঝে আসর এর আজান হলো ভাবলাম, বাচ্চাদের ও চেঞ্জ করাই আমিও অজু করে নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। হাতে মেলা সময় দুতলায় উঠে টয়লেটের নামে যে অভিজ্ঞতা হল, সেটুকু নাইবা লিখলাম, ২০১৯ পর্যন্ত এই অভিজ্ঞতার ভিন্নতা হয় নি, বরং এ আমলে দেখলাম নামাজের রুমে অজু র জায়গার পাশে ক্লিনার রা ভাত খাচ্ছে নানা রকম ভর্তা ভাজা তে উৎসব। নামাজের রুমে দুজন ভদ্রমহিলা আগেই ছিলেন, উনারা জিজ্ঞেস করলেন এত ছোট বাচ্চা নামাজের রুমে কেন এনেছি, সাথে কি পুরুষ মানুষ নেই ? যাইহোক আবার চলে আসলাম নিচে অপেক্ষার স্থানে। এসে দেখলাম বেশ জমজমাট, উমরাহ হজ্বের বেশ বড় কাফেলা যাচ্ছে কাছাকাছি সময়ে। ধার্মিক দলের এই বৈচিত্র্য ও বেশ উপভোগ্য। সবাই বেশ শুভ্র বসনে, কেউ হাটছেন অস্থির ফ্লাইট কি চলে যাচ্ছে নাকি ? দু একজনের গর্বিত পদচারনা বেশ, দেখ আমি তোমার চেয়ে আলাদা, তুমি আনন্দ করতে যাচ্ছ আমি আল্লাহর ঘরে যাচ্ছি। বেশির ভাগ ই দোয়া দরুদ পড়ছেন।
আমার পাশের আসনে হাতে তসবিহ সহ দুজন ভদ্রমহিলা বসলেন, ছেলে কোলে আবার মেয়ে কে সামলাচ্ছি দেখে জিজ্ঞেস করলেন আপনি একা! সাথে কোন ছেলে মানুষ নাই ? আমি কথা না বলে হাসলাম। আবার উনাদের চিন্তা শুরু আমি একা কিভাবে যাবো, যদিও মাত্র দুই আড়াই ঘণ্টার ফ্লাইট। গেট নাম্বার ঘোষণার পর আমি উঠে সামনের দিকের চেয়ারে বসলাম, এগুলি এগিয়ে শোনা অভিজ্ঞতায় জেনেছি শুরুতে সবাই লাইনে দাড়ায় তখন ভিড় থাকে। (যদিও আমাকে কোথাও দাঁড়াতে হয় নি , বাচ্চাদের সাথে দেখে আমাকে আগেই বোর্ডিং পাস দিয়েছে) সেখানে আমার পাশে একটি পরিবার এসে বসলো, সেই পরিবারের নানী বা দাদী আমাকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সাথে কোন ছেলে মানুষ নাই ? আমি ততোক্ষণে উঠে দাড়িয়েছি বাচ্চাকাচ্চা পোটলাপুটলি সহ, উত্তর দিলাম জি আছে ছেলে মানুষ। কিন্তু পাশে কাউকে না দেখে আবার জানতে চাইলেন, কোথায় ছেলে মানুষ? কোলে ছেলেকে দেখায়ে বললাম এই যে আমার কোলেই আছে ছেলে মানুষ, কাঁধে ব্যাগ আর একহাতে মেয়ে কে ধরে পা বাড়ালাম সামনের দিকে।
ছবি- মনিরা সুলতানা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নাহ আপনাদের যন্ত্রণায় আর লিখে আরাম পেলাম না, আমার লেখার ইজ্জত আর রইলো না দেখছি! একেবারেই বুঝে ফেলছেন ? ভাবছি এইবার লেখা কে বনবাসে পাঠাবো
জ্বালালে তো জ্বলবে আগুণ ......... সুতরাং ইগ্নোর করাই ভালো।
আরে একটু ভড়কে দিছিলাম আর কি। হাহাহা
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: একা মহিলা এবং সাথে দুইটা ছোট ছোট বাচচা দেখলে দেখলে আসলে যে কেউ তাই জিজ্ঞাসা করবে । এক্ষেত্রে একেক জনের অভিপ্রায় একেক রকম হতে পারে এটাও ঠিক।
তবে বোন আপনার জবাব একদম সঠিক ছিল । কোথায় ছেলে মানুষ ? - এই যে আমার কোলে !!!(কইনছেন দেহি ইডা কেমন প্রশ্ন ? কোলে বলে কি ছেলে - ছেলে মানুষ নয় ? )
আর ঢাকা বিমান বন্দরের টয়লেটের অভিজ্ঞতা !!!!! আমার মনে হয় এখনো খুব বেশী একটা পরিবর্তন হয়নি এই ২০২১ এসেও।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার তেমন রাগ বা বিরক্ত লাগে নাই, আমি জাস্ট উনাদের ওভারকেয়ার ইঞ্জয় করছিলাম। আমার মানুষ ভালো লাগে, আমি মানুষের বৈচিত্র্য দেখতে ভালোবাসি। হুট করে মাঝে মাঝে মজা করতে ও ভাললাগে। এই আর কি।
সে আর না বলি
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কোলে ছেলেকে দেখায়ে বললাম এই যে আমার কোলেই আছে ছেলে মানুষ, কাঁধে ব্যাগ আর একহাতে মেয়ে কে ধরে পা বাড়ালাম সামনের দিকে।
পুরুষদের তুলনায় বয়ষ্ক নারীরার এই সব বিষয়ে বেশী আগ্রহ দেখায়। তাদের মধ্যে এক ধরনের দায়িত্ববোধ থাকে। সেটা কখনো কখনো অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলে উনাদের উৎসুক মন সমস্ত জীবন যা দেখে এসছেন, ভেবে এসছেন তার সাথে সংঘর্ষ করে। আমার নিজের মা ই তসবিহ নিয়ে বসে গিয়েছিলেন একা যাচ্ছি শুনে, এখন আমার মা নিজেই একা একেবারেই একা ইউ এস ভ্রমণ করেন বছরে দু একবার। এই পরিবর্তনের সময়টুকু তে কিছু প্রশ্নবোধক দৃষ্টির মোকাবেলা করতে তো হয়েছেই। সেও জীবনের অন্যতম এক অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে।
ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন পেশায় আছেন, কিংবা ছিলেন?
০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পেশা ছিল উন্নয়ন কর্মী, এক সময় হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনালের হয়ে সমস্ত দেশ চষে বেড়িয়েছি। বর্তমানে রান্নাবান্না গৃহস্থালি পেশায় আছি
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রশাসনে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়ারাই বেশী; দেশের অবস্হা ভয়ংকর।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ এক্কেবারে উ নেইল্ড ইট এর পরিবর্তন জরুরী। আপনারা দেশে চলে আসেন, হাল ধরেন।
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
হাবিব বলেছেন: এখনো সভ্য সমাজেও নারীরা রাস্তায় বের হলে এক শ্রেণীর লোকেরা বিরূপ দৃষ্টিতে তাকায়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেয়ে তত অবস্থা নাই, তাছাড়া সেসব নিয়েই আমাদের চলতে হয়।
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৩
সাগর শরীফ বলেছেন: ইউ নেইল্ড দ্যাট নানী বা দাদী!
চমৎকার উত্তর!
ভাল থাকবেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় স্বাগত !
আপনার জন্য ও শুভ কামনা।
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু এমন বর্ননার সাথে একটু ছবি দিলে আমাদের ভাগ্যেও কিছু দৃশ্য দেখার সুযোগ হতো। সুন্দর বর্ননা। তবে পোস্টটি বোধহয় আগে কোথাও দিয়েছিলেন।পড়া পড়া লাগলো। পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দিলাম তো প্লেনের ছবি দাদাভাই ! আর সেই সময়ে তো ছবি উঠানোর চিন্তা মাথায় ও আসে নাই। অনেক ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে। হ্যাঁ লেখাটা ফেসবুকে দিয়েছিলাম আগে। আপনার লাইকে অনুপ্রাণিত।
শুভ কামনা।
৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
লেখার মধ্যে আপনার রাগ ফুটে উঠেছে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা একেবারেই না নুর ভাই, সরি আমার লেখা একটু কাঠ খোট্টা তাই হয়ত আপনার মনে হয়েছে।
১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: সবাই প্রশ্ন করেছে ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে।উত্তরটা সুন্দর হয়েছে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি সেটুকু বুঝতে পেরেছি।
ধন্যবাদ লেখার সাথে থাকার জন্য।
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
সাথে পুরুষ মানুষ নেই শুনে ঘটনা কি বোঝার জন্যে ভেতরে ঢুকতেই দেখি পুরুষ ছেলেতো পাশে না কোলেই আছে, হোক না তিন মাস বয়েসি, পুরুষ জাত তো! ভাবলুম, তাহলে কেন লিখলেন-সাথে পুরুষ মানুষ নাই? জবাবটা কি হবে তা আমি নিজেই মন্তব্যে লিখবো বলে ঠিক করে আপনার প্রতিমন্তব্যে দেখি - আমার জবাবটাই দিয়ে ফেলেছেন!
এখন আমার কি হবে? আমার জবাবটা তো আপনিই দিয়ে ফেলেছেন। প্রশ্নফাঁস হয়ে গেলো কি ?
জীবনের কিছু ঘটনা এমনই হয়! সুন্দর হিউমেরাস লেখা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রশ্ন ফাঁসে র যুগ হলোই না হয় ফাঁস ! তবে আরেকটা কোথা আছে ভাইয়া Wise people think alike
ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে।
১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: আগেই পড়েছি।
বর্তমানে রান্নাবান্না গৃহস্থালি পেশায় আছি এই পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশা এটি।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ প্রথমে ফেসবুক স্ট্যাটাস ই ছিল। নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ পেশা
১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: এটা আমাদের দেশের একটা কালচার বলতে পারেন । একটা মেয়ে বাড়ির বাইরে যেতে হলে সাথে একটা ছেলে মানুষ থাকতেই হবে । এভাবেই চিন্তা টা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে সবার মনে । এমন কি এটা অনেক মেয়েদের মাথার ভেতরেও ঢুকিয়ে দেওয়া হয় সেই ছোট বেলা থেকে যে তুমি বাইরের কোন কাজ একা একা করতে পারবে না, সেটার জন্য তোমার একজন পুরুষ মানুষ দরকার !
যুগযুগ ধরে এই সিস্টেম চলে আসছে ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম সেটুকুই আমার ও মনে হয়েছে, তবে কিছু পাল্টেছে তো বটেই। উপরেই এক মন্তব্যের উত্তরে লিখেছি, আমার মা ও বাচ্চাদের নিয়ে যাচ্ছি বলে টেনশনে ছিলেন, কয়েক বছরের ব্যাবধানে আমার মা এখন একা ই ভ্রমণ করে ঢাকা টু নিউইয়র্ক।
১৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছেলে মানুষ না থাকলেও যন্ত্রণা। আর থাকলেও যন্ত্রণা ছবি তুলতে দেয় না হাহাহ
সুন্দর অভিজ্ঞতা ভালো লাগলো
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই যন্ত্রণা রাখা ও যায় না ফালানো ও যায় না, কি বলেন
১৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১০
ইসিয়াক বলেছেন:
হা হা হা বেশ মজার অভিজ্ঞতা।কিছু মানুষের বোকা বোকা প্রশ্ন সত্যি রিরক্তিকর লাগে। এক্ষেত্রে আপনার বুদ্ধি দীপ্ত উত্তরের প্রশংসা করতেই হয়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
শুভ কামনা।
১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
জ্যাকেল বলেছেন: আদিমকালে পুরুষ মানুষ থাকার দরকার ছিল অবশ্যই। তখন জংগল ছিল বেশি, এখন সভ্যতা প্রতিষ্টিত, পুরষ মানুষ লাগার কথা ভাবাটা অযৌক্তিক।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ যেভাবে ভাবি আমরা, তবে সব সময় অযৌক্তিক ও নয়। আমার আসলে উপায় ছিল না।
১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮
পুলক ঢালী বলেছেন: বহুদিন পর ব্লগে ঢুঁকে ঘুরছিলাম, আপনার পোস্ট দেখে থমকে দাঁড়ালাম,তারপর লগইন করে বোকা বনে গেলাম কি লিখবো??? আমার কথা ভুয়াভাই বলে দিয়েছেন, ভাবছিলাম বেশ অনেকবার পড়েও যখন বুঝবনা তখন একটা বকা দিয়ে কেটে পড়বো কিন্তু সে সুযোগটা আর পেলাম কই এদিকে লগইন করেছি তাহলে --- ??
হুরপ্রিয়া, আপনি যাই লিখুন এত সুন্দর এত প্রাঞ্জল হয় যে দাঁড়িয়ে পড়তেই হয়, এড়িয়ে যাওয়া যায় না, সেটা বুঝি আর নাই বুঝি! ভাষার চমকই প্রধান (হুম,ব্যাক ক্যালকুলেশনে কিন্তু---- )
খুব ভাল লেগেছে উত্তর এড়িয়ে যাওয়া, এতে মন্তব্যে অনেক উত্তর বেরিয়ে এসেছে।
wise man (person) thinks alike হা হা হা জিএস ভাই প্রশ্নফাসের জালে আটকে ---
এত পুরনো স্মৃতি এত সুন্দর করে লিখলেন কি করে!!!!??? যেখানে আমি নুতন স্মৃতিই ভুলে যাই হা হা হা
ভাল থাকুন মনিরা ম্যাডাম।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি জনাব ! মেলাদিন পর আপনার সফেদফুল নজরে আসলো, ছিলেন তো তাহলে ভালো !!!
আফসোস একজন ভুয়া আপনাদের মত আসলদের কথা আগে বলে দ্যায়, এই দুঃখ রাখার জায়গা নাই
হুরপ্রিয়া, আপনি যাই লিখুন এত সুন্দর এত প্রাঞ্জল হয় যে দাঁড়িয়ে পড়তেই হয়, এড়িয়ে যাওয়া যায় না, সেটা বুঝি আর নাই বুঝি! ভাষার চমকই প্রধান
ইশ এমন করেই মন্তব্য করবেন সবসময় ঠিকাছে !!! বাদ দেন অন্যরা কি বুঝে আর না বুঝে
এত পুরনো স্মৃতি এত সুন্দর করে লিখলেন কি করে!!!!??? যেখানে আমি নুতন স্মৃতিই ভুলে যাই হা হা হা
আপনি তো জনাব মহা ভাগ্যবান, নতুন স্মৃতি ই ভুলে যান এদিকে আমার ৩ বছর বয়স থেকে ঘটে যাওয়া অনেককিছুই ক্ষণেক্ষণে মনে আসে। কী বিপদ তাই না
ধন্যবাদ মন্তব্যের ঘর আলোকিত করার জন্য।
১৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা পড়ে ভাল লাগল।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মোস্তাফা সোহেল !
লেখায় আপনাকে পেয়ে ভাললাগল আমার ও।
শুভ কামনা।
১৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
জুন বলেছেন: আমার বড় দুই খালা আর আমরা দুই বোন একবার ১৫ দিনের জন্য ইন্ডিয়া ঘুরতে গেলাম। আমাদের গন্তব্য ছিল কলকাতা, পুরী, চিলকা, ভুবনেশ্বর কলকাতা। আমাদের গুরুজন থেকে শুরু করে সবার একই প্রশ্ন পথে নারী বিবর্জিতর মতো "একি তোমাদের সাথে কোন পুরুষ নাই"!! আমার বোনের সাড়ে তিন বছরের ছেলে আপাত শান্ত তবে অসম্ভব জেদী বলে ওর বাপ থেকে শুরু করে কেউ রাখতে চায় নাই। ও ছিল আমাদের সাথে কেউ সাথে কোন পুরুষ যাচ্ছে বা আছে কিনা জানতে চাইলে আমার খালা ওকে দেখায় বলতো "কেন এই যে ছেলে"!
আপনার ও সেই অবস্থা। লেখায় অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো +
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই তো আমাদের অভিজ্ঞতায় মিল আছে।
ধন্যবাদ আপু ভালোলাগা প্রকাশের জন্য।
২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোট ছোট এসব অভিজ্ঞতা সাড়া জীবন নিভৃত স্মৃতিচারণে আনন্দ জোগায়। খুব ভালো লাগল আপনার এ স্মৃতিচারণ। শেষের উত্তরটা বড় চমৎকার দিয়েছিলেন।
আপনি সত্যিই ভাগ্যবান। জীবনের প্রথম আকাশযাত্রায় "ডাকসু'র বাবু ভাই" কে ফ্লাইট এ্যাটেন্ড্যান্ট হিসেবে পেয়ে গিয়েছিলেন, এবং তিনি আপনাদেরকে খুব ভালভাবে দেখভাল করেছিলেন।
যত বিশিষ্টই স্থাপনা হোক, বাংলাদেশের কোথাও কেন জানি টয়লেট, অযুখানা ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আখা যায় না।
ছবিটা খুব সুন্দর!
বেশ কিছু মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য ভালো লেগেছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই আমার ভ্রমণে আমি অনেক বেশি সুবিধা পেয়েছি প্রায় প্রতিবার। আগেই লিখেছই ঢাবি পড়ার আনন্দ ই এতটুকু পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাবেন, পরিচিত মুখ চমকে দেবে।
যত বিশিষ্টই স্থাপনা হোক, বাংলাদেশের কোথাও কেন জানি টয়লেট, অযুখানা ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় না।
এ কথা একেবারেই বাস্তব সত্যি।
ধন্যবাদ! ছবি টা আমার ব্যালকনি থেকে নেয়া
মুগ্ধপাঠ আর চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫২
ফারহানা শারমিন বলেছেন: দারুণ অভিজ্ঞতা! উপযুক্ত জবাব।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ফারহানা শারমিন !
সবসময় ভালো থাকার শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
২২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:০৩
সোহানী বলেছেন: ভুয়া মফিজের মন্তব্যে সুপার লাইক । একবার পইড়া আমিও বুঝছি কিন্তু
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু আপনি ভুয়া ভাইয়ার দলে যোগ দিলেন
২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারন সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার লেখায় ভালোলাগা প্রকাশের জন্য।
২৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: মজা লেগেছে ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ
লেখার সাথে ই থাকবেন আশা করছি।
২৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: জি, আছে ছেলে মানুষ; লাগসই উত্তর
১৩ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা , ধন্যবাদ ফেরদাউস !
আপনাকে আমার লেখায় স্বাগত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের পোষ্ট দেইখা ভাবলাম, এইটা তো বোঝার জন্য কয়েকবার পড়াই লাগবে। পড়তে পড়তে অন্য কেউ লাইক দেওয়ার আগে প্রথম লাইকটা আমিই দেই। তাই না পইড়াই লাইক দিলাম। আর উপরওয়ালার কি কুদরত দেখেন.......একবার পইড়াই বুঝতে পারলাম!!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আর বইলেন না। আজকাল ব্লগে দেখি অনেকেরই শরীলে জ্বালাপোড়া হয়!!
কোথায় ছেলে মানুষ? কোলে ছেলেকে দেখায়ে বললাম এই যে আমার কোলেই আছে ছেলে মানুষ হিউমার অফ দ্য মিলেনিয়াম!!!