নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি

মনিরা সুলতানা

সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ

মনিরা সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিঃ পারফেক্ট হওয়া জাপানিদের জীবন যন্ত্রণা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০

উদীয়মান সূর্যোদয়ের দেশ! প্রযুক্তিগত উন্নয়নের রোল মডেল! পৃথিবীর সব চাইতে সভ্য জাতি! এমন অনেক ভূষণে ভূষিত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু দেশ জাপান। জাতিগত ভাবেই জাপানীরা ভীষণ সুশৃঙ্খল, সৌন্দর্য প্রিয়। যাকে বলা যায় ডেডিজ ব্লু আইড বয় বা মায়ের ভালো ছেলেদের দেশ। বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তির শীর্ষে থাকা এই দেশকে নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। শৈশব থেকে তাদের কে কঠিন কঠোর নিয়মতান্ত্রিক ভাবে গড়ে তোলা হয়,যা আমাদের পাঠ্য বইতে জাপানি শিশুদের নম্রতা ভদ্রতা, জাপানী শিক্ষা ব্যবস্থার উৎকর্ষতার উদহারন দেয়া আছে। শৈশবে জাপানী মেয়েদের পায়ের সৌন্দর্য রক্ষায় লোহার জুতা পায়ে দিতে হত সে ইতিহাস ও আমরা জেনেছি। আধুনিক জাপান এই চূড়ান্ত আধুনিকতার যাত্রাপথে নিজেদের স্বকীয়তার অনেককিছু বিসর্জন দিতে হয়েছে, প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মত জাপানী জীবন যাত্রা যত' না মানবিক তারচেয়ে বেশি যান্ত্রিক " অনুভূতি শূন্য জীবন ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে। গুডবয় বা মিস্টার পারফেক্ট উপাধি পেতে তাদের কালের বা সময়ের গর্ভে নৈবদ্য সাজাতে হয়েছে কিছু মানবিক আবেগ অনুভূতির।

কি আশ্চর্য এই মানব জীবন! এই সভ্যতা ! নিজেদের সভ্য মানুষ হিসেবে প্রমাণ করতে বেছে নিতে হচ্ছে যন্ত্রণা দায়ক যন্ত্র জীবন। জাপানি' রা কাঁদতে ভুলে গেছেন, কাজের চাপের ক্লান্তিতে পারিবারিক আড্ডা ভাবের আদান প্রদানের অনীহা বাড়ছে। সবচাইতে পরিছন্ন শহর উপাধি পেতে তাদের শিশুদের দিতে হয় নিয়মিত স্কুল শেষে বাড়তি শ্রম। অনেক তরুণ দীর্ঘ সময় কাজ শেষে বাড়ি যাবার সময় আগ্রহ হারিয়ে অফিসিয়াল পোশাকে রেল বা বাস স্টেশনে রাত কাটাচ্ছেন। কারন পরের দিনের রুটিন ও সেই একঘেয়ে ক্লান্তিকর এবং নিরানন্দ মনে হয় তাদের কাছে। আর এসব বিভিন্ন প্রয়োজনে এই যান্ত্রিক যাপিত জীবনে এসেছে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় শব্দের প্রচলন, এবং প্রচলিত সেসব সামাজিক সমস্যাগুলো ঘিরে পুঁজিবাদ অর্থনীতির সফল উদহারন হিসেবে গড়ে উঠেছে বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য।
ফুটোকোরঃ

জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এরা হচ্ছে এমন শিশু যারা স্বাস্থ্য বা অর্থনৈতিক কারণে ৩০দিনের বেশি স্কুলে যেতে চায় না। এই শব্দটি অনেক সময় 'অনুপস্থিত, গরহাজির, স্কুলের প্রতি ভয় অথবা স্কুলকে প্রত্যাখ্যান - ইত্যাদি শব্দে বর্ণনা করা হয়।তবে গত কয়েক দশকে ফুটোকোর সম্পর্কে ধারণা বদলেছে। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্কুলে না যাওয়া- তখন একে বলা হতো টোকোইয়োশি- অর্থাৎ প্রতিরোধ করা।
বিষয়টিকে মানসিক অসুস্থতা হিসাবে দেখা হতো। আর মানসিক অসুস্থতা মানে ডাক্তার প্রেসক্রিপশন মেডিসিন! তাই নয় কী ?
গত কয়েক দশকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার আশংকা জনক হারে কমেছিল। ফুটোকোর বৃদ্ধি পাওয়ায় আশির দশক থেকেই জাপানে স্কুল ফ্রি মুভমেন্ট শুরু হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরপর নতুন ​​করে ভাবনায় আনেন বিকল্প স্কুল যেগুলো স্বাধীনতা ও ব্যক্তি চাহিদার ওপর গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হয়। কুমন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলো গড়ে উঠে। বাসার স্কুলের পাশাপাশি জাপানের বাধ্যতামূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে এসব স্কুল একটি গ্রহণযোগ্য বিকল্প ব্যবস্থা। যদিও এসব স্কুলে শিশুদের স্বীকৃত কোন শিক্ষা সনদ দিতে পারে না।



হিকিকোমোরিঃ

হিকিকোমারি হচ্ছে সামাজিক সকল কার্যক্রমে থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া, কঠিন ভাবে নিজেকে প্রত্যাহার বলা চলে। ​​​​জাপানে এই শব্দটি প্রায়শই উচ্চারিত হয় পরিবারের অভিভাবকদের মাঝে, যেখানে একজন কিশোর বা সদ্য তরুণ নিজেকে নিজেদের গৃহবন্দী করে একাকী জীবন বেছে নেয় - বেশ কয়েকমাস বা বছরের জন্যে স্কুল / কলেজ বা যে কোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বা কাজ করা থেকে বিরত রাখে। সাথে পরিবারের কারো সাথে ভাবের আদান প্রদান অথবা সামাজিক যে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। একটা সময়ে আবার সে হয়ত ফিরে আসে সাধারণের মাঝে। এই হিকিকোমারি জন্ম দিচ্ছে আরেক শ্রেণীর যারা নিজেদের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিচ্ছেন রাবার বা সিলিকন নির্মিত পুতুল। এমনি একজন হিকিকোমারি হচ্ছেন আকিহিতো কন্দো যে কিনা পেশায় টোকিওর একটা স্কুলের প্রশাসনিক বিভাগে কর্মরত।


আকিহিতো বর্তমানে বিয়ে করেছেন "হাসতুন মিকু" কে হাসতুন মিকু জাপানের খুবই জনপ্রিয় একটি অ্যানিমেশন চরিত্র। এবং জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত পপ তারকা। সফল হও, বিয়ে কর, বাচ্চা নাও, পরিবার গঠন কর, এবং সুখি মানুষ হিসেবে মারা যাও! সমাজের যে সেট করা সুখি হবার মানদণ্ড আকিহিতোর কাছে তা অকার্যকর। আকিহিতো বাস্তবে নারীদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন না, কারন হচ্ছে উনি কখনোই নারীদের ভালোবাসা পান নাই। " মেয়েরা আমাকে কখনো পছন্দ করত না , কর্মস্থলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করত, আমার ছোটখাট ভুলে আমার উপর চিৎকার করত, আমি সুপ্রভাত বললে তা না দেখার ভান করত"। এরপর আকিহিতো হিকিকোমারি হয়ে যখন কাজ থেকে বিরতি নেয় তখন অনলাইনে পরিচয় হয় মিকুর সাথে, সেখানে প্রেম , ভালোবাসা এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত। মিকু তার জীবন রক্ষাকারী, জীবনে আনন্দ ফিরিয়ে এনেছে, স্বাভাবিক জীবন দান করেছে।

জাপানের অনেক পুরুষ তাদের মানুষরূপী সঙ্গীদের নিয়ে অনেক খুশী এবং অনেকে বলছেন তারা আর কখনো কোনো মানুষের কাছে ফিরে যাবেন না। প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় দুই হাজারের মতো 'সেক্স ডল' বিক্রি হয়, দাম অন্তত ছয় হাজার ডলার। মানুষের তৈরি এসব সঙ্গীদের সাথে মানসিক বন্ধনও গড়ে তুলেছেন অনেক ক্রেতা।

মাসায়ুকি নামে আরেকজন জাপানী সিলিকন ডল ক্রেতা তার মায়ূ ডল কে নিয়ে সুখী। "জাপানি মেয়েরা নির্মম হৃদয়ের, স্বার্থপর। পুরুষেরা চায় এমন কেউ তার পাশে থাকুক যে তার পাশে থাকুক, কাজ থেকেআসার পর যার সাথে সুন্দর সময় কাটানো যায় এমন কেউ। সিলিকন ডলের সাথে আমি তেমনটা করতে পারি" এবং "আমি ভাবতেই পারিনা আর কোনো মানুষের সাথে থাকার কথা। মায়ুকে নিয়ে আমি কবরে যেতে চাই"-বলছিলেন।



বয়স্কদের দেশ জাপানঃ


পারিবারিক ভাবে বিছিন্ন পুরুষেরা, একাকীত্বের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই নাকি সিলিকন ডলের দিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ গন। সিলিকন ডলে তারুণ্য কেটে গেলে ও বৃদ্ধ বয়সে নিঃসঙ্গতা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকেই ইচ্ছে করেই কারাগারে যেতে চায় ছোটখাট অপরাধ করে। ৬৫ বছরের বেশি অনেকেই বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। হিরোশিমার একটি বাড়িতে বসবাস করেন ৬৯ বছর বয়সী তোশিও তাকাতা। বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর তিনি সম্প্রতি মুক্ত হয়েছেন। কারাগারে যাবার জন্য তিনি ইচ্ছে করে আইন ভঙ্গ করেছেন। এর কারণ হচ্ছে, তিনি বিনা খরচে একটি থাকা-খাওয়ার জায়গা খুঁজছিলেন। সেটি কারাগার হলেও মন্দ নয়। মি: তোশিও বলেন "আমি এখন পেনশনের উপর নির্ভরশীল। আমার অর্থ ফুরিয়ে গেছে। সেজন্য আমি ভাবলাম যদি কারাগারে থাকি তাহলে হয়তো বিনা খরচায় থাকতে পারবো,। কারাগারে যাবার জন্য তিনি একটি বুদ্ধি বের করলেন। রাস্তার পাশ থেকে একটি বাইসাইকেল নিয়ে সেটি চালিয়ে সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে হাজির হন।" পুলিশের কাছে গিয়ে বললাম, আমি এটা চুরি করেছি।" এতে কাজ হলো। এটা ছিল মি: তোশিওর প্রথম অপরাধ, যখন তাঁর বয়স ছিল ৬২ বছর। জাপানের আদালতে ছোট-খাটো চুরির বিষয়গুলোকে বেশ গুরুত্ব সহকার গ্রহণ করে। ফলে মি: তোশিওকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলো। অথচ তোশিও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৭০ বছর বয়সী এক নারী বলেন, " আমি আমার স্বামীর সাথে থাকতে পারিনি। আমার এখন কোথাও থাকার জায়গা নেই। সুতরাং আমার একমাত্র উপায় ছিল কোন কিছু চুরি করে কারাগারে যাওয়া। "তিনি বলেন, " ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে যারা ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না , তারা অপরাধ করছেন। কারণ, তাদের খাবার নেই, টাকা নেই।" চুরি হওয়া অধিকাংশ জিনিসপত্রের দাম তিনি হাজার ইয়েন বা ২০ পাউন্ডের কম। 'উইথ হিরোশিমা' নামের একটি সংস্থার পরিচালক কানিচি ইয়ামাদা মনে করেন, বৃদ্ধদের অপরাধ প্রবণতা তৈরি হাবার বিষয়টি মানসিক সমস্যার সাথে সম্পর্কিত। এর সাথে আর্থিক কোন সম্পর্ক নেই।

বৃদ্ধরা অনেক বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তারা একাকীত্ব সহ্য করতে পারছেন না।" সাধারণত মানুষ অপরাধ করেনা, যদি তাকে দেখাশোনা করার কেউ থাকে," বলছিলেন কানিচি ইয়ামাদা। তার মতে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি একটি অজুহাত মাত্র। তাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে একাকীত্ব। যারা প্রচণ্ড একাকীত্বে ভুগছেন, তারা বারবার অপরাধ করার মাধ্যমে কারাগারে যেতে চাইছেন। কারণ সেখানে তারা সঙ্গী খুঁজে পাবেন।


রুই-কাৎসুঃ

জাপানী রুই- কাৎসু শব্দের মানে হচ্ছে কান্না আনা! প্রথাগতভাবে জাপানীরা কাঁদেন না। কাঁদা জাপানী সংস্কৃতিতে নিষিদ্ধ।রুই-কাৎসু পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষকে নিজের নিরাপদ আবহে কাঁদতে শেখাচ্ছেন হিদেফুমি ইওশিদা। কান্না শিক্ষার এই শিক্ষক সাত বছরের ওপর জাপানীদের কাঁদতে সাহায্য করছেন। হিদেফুমি ইওশিদা মনে করেন কষ্ট চেপে রেখে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন জাপানের মানুষ।
যেহেতু চোখের পানির অসাধারণ কষ্ট লাঘবের ক্ষমতা আছে।তাই যে যত পারেন তত ক্লায়েন্টদের জোরে জোরে কাঁদতে বলেন এই শিক্ষক।

ঐতিহাসিক ভাবেই আত্মহত্যার সূচকে এগিয়ে আছেন জাপানীরা, জাপানী নারী পুরুষ নির্বিশেষে আত্মহত্যা প্রবণ। কারন হিসেবে বিভিন্ন গবেষণায় সংবাদে উঠে এসছে - এবং করোনা কালীন সময়ে সেটা আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পায়। টোকিও'র টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ওয়াতুরু নিশিদা বলেন, "বিষণ্ণতা এবং আত্মহত্যার অন্যতম প্রধান কারণ বিচ্ছিন্নতা বা একা থাকার প্রবণতা।" "জাপানে একসময় বৃদ্ধ অভিভাবকদের দেখাশোনা করতো তাদের সন্তানরা, তবে বর্তমানে সেরকমটা হয় না বললেই চলে। বৃদ্ধাশ্রম বা হাসপাতালে একাকী মৃত্যুবরণের ঘটনা দিন দিন বাড়ছেই।"


ডু নাথিং রেন্ট অ্যা ম্যানঃ

সোজি মোরিমোত ৩৮ বছর বয়সী একজন জাপানীজ বর্তমানে সবচাইতে ব্যস্ত কিছুই না করা একজন হিসেবে। সমস্ত জীবন সোজি সহপাঠী এবং সহকর্মীদের মাঝে একজন ব্যাক বেঞ্চার এবং দর্শক সারিতে ছিলেন। বন্ধু সহকর্মী শিক্ষক সবার কাছেই এই উপাধি পেয়েছেন যে কিছুই করে না। সমালোচকরা বলতেন কিছু তো কর ভাই ! জীবনের এক পর্যায়ে সে নিজেকে কিছুই না করা হিসেবে মেনে নিয়ে টুটারে বিজ্ঞাপন দিলেন " ​​​​"Do Nothing Rent-a-Man," এরপর তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। কেনো ? সেটা আমি আপনি সবাই জানি !!

এদেশের মহিলারা অন্যরা কী ভাবছে এবং অন্যদের যাতে তাকে বোঝা মনে না করেন সে বিষয়ে চিন্তা করতে থাকে, যা কিনা ক্লান্তিকর। তাই এই আবেশ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে অনেকেই এই ডু নাথিং ম্যান কে ভাড়া নিয়ে থাকেন।
লোকেরা আমাকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে," তিনি বলেছিলেন। "কিছু লোক একাকী। কেউ কেউ একা কোথাও সুন্দর আকর্ষণীয় স্থানে যেতে লজ্জা পায় - তারা চায় যে কেউ তাদের সাথে অনুভূতি ভাগাভাগি করুক।
একজন ভদ্র মহিলা প্রায় দিন ই শুধু টুকটাক গল্প আর কফি খাবার জন্যে দুই ঘণ্টার জন্যে বুক করেন। এ যেন নিজ ভূমে পরবাসের মত, নিজের অন্যদের কাছে ইমেজ রক্ষার্থে মুখোশ নিয়ে জীবন যাপন। সোজিও কে একবার একজন পুরুষ হায়ার করেছিলেন যিনি তার নিজের মায়ের চোখে অপরাধী ছিলেন এবং সংশোধন কেন্দ্রে তাকে পাঠানো হয়েছিলো। সেই ছেলেটি তাকে রান্না করে খাওয়াতে এবং গল্প করতে কিছু সময়ের জন্যে ভাড়া করেছিলেন।


রেন্ট অ্যা ফ্যামেলি কোম্পানিঃ

পাছে লোকে কিছু বলে !
ইশ পরীক্ষায় এমন খারাপ করলি ? প্রতিবেশী রা কী বলবে ?
এমন পরিবারে আত্মীয়তা করলেন ? না জানি সমাজে, লোকে কী বলবে!!!
এই কথাগুলো আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, পরিবারে নিত্যদিন ই শুনে আসছি। আপনি কী মনে করেন কেবল আমাদের সোসাইটি বা দেশে ই এই ভাবনার অথবা অন্যে কী ভবলো সেটাকে বড় করে দেখার চল আছে ?

অন্যেরা কী মনে করে জাপানিরা সেটা নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন থাকে। জাপানি সংস্কৃতি অতিথিপরায়ণ। অন্যের মতামত ও মূল্যবোধকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। " কিন্তু খারাপ দিকটা হলো যে আমরা নীতি নৈতিকতা নিয়ে বেশি চিন্তা করি এবং অন্যেরা কী মনে করবে সেটা নিয়েও উদ্বিগ্ন থাকি" আর এমন সব ভাবনা উদ্বিগ্নতা থেকে জাপানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রকমের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তেমন একটি প্রতিষ্ঠান ​​'ফ্যামিলি রোমান্স' ! প্রতিষ্ঠাতা - ইশি নামে ৩৫ বছর বয়সী একজন জাপানি যুবক। বর্তমানে এই 'ফ্যামিলি রোমান্স' কোম্পানিতে কর্মীর সংখ্যা ২,২০০। তাদের কাজ হলো যেসব পরিবার ভেঙ্গে গেছে সেসব পরিবারে পিতা, মাতা, ভাই বোন, কাজিন, চাচা মামা, খালা ফুপু, দাদা দাদী নানা নানীসহ বিভিন্ন আত্মীয়ের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করা। তবে সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে বাবার চরিত্র।


এ দেশে প্রতি বছর দুই লাখ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ফলে অনেক পরিবারেই আছে শুধু একজন। সেখানে পিতা কিম্বা মাতাকে একা একাই সন্তানকে বড়ো করতে হয়। ইশি বলছেন, এসব পরিবার সমাজে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। এবং তার কোম্পানি এসব পরিবারের চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করে। যদিও এই কাজ করতে আদর্শ কোন মডেল নেই যা সব পরিবারের বেলাতে একইভাবে কাজ করবে। "কেউ কেউ আছে তারা খুব নম্র ও ভদ্র ব্যক্তিকে পিতা হিসেবে চায়। কেউ কেউ পিতা হিসেবে চায় খুব কঠোর একজন মানুষ। আবার কেউ চায় সম্ভ্রান্ত কাউকে। কাস্টমারের চাহিদা অনুসারে আমরা তাদের পিতা সরবরাহ করতে পারি।"
তবে এই কাজটা করতে গিয়ে যা তার কাছে সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে সেটা হলো পিতার ভূমিকা পালন করার পর ওই শিশুটিকে বিদায় বলে তার কাছ থেকে চলে আসা। "ওই বাচ্চাকে বোঝানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। একটা বাচ্চাকে কাঁদতে দেখলে ভীষণ কষ্ট হয়।


কর্মীরা ক্লায়েন্টদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও তার ব্যবসা পরিচালিত হয় পরস্পরের প্রতি সমঝোতা ও আস্থার ভিত্তিতে। উভয়পক্ষের মধ্যে যেসব সীমাবদ্ধতা আছে সেগুলোও তাদের মেনে চলতে হয়। যেমন তারা চুমু খেতে পারে না, যৌন সম্পর্ক করতে পারে না। হয়তো শুধু হাত ধরতে পারে।
৩০ ধরনের সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে এখানে বর্তমানে। এবং প্রত্যেকটি সার্ভিসের জন্যে আছে আলাদা গাইডলাইন ও নীতিমালা। সেবার জন্যে একজন ক্লায়েন্টকে প্রতি চার ঘণ্টায় ১৮০ ডলার দিতে হয়। সাথে আছে পরিবহন ভাড়া ও খাবার দাবার। একজন একাকী বড় করা বাচ্চাদের মায়ের জন্য বেশ উচ্চ মূল্যের অবশ্যই, তবুও চাহিদার কমতি নেই। বাচ্চার ভবিষ্যৎ ভেবে অনেক মা এই খরচ টুকু মেনে নেন।


ফ্যামিলি রোমান্স কোম্পানির স্লোগান হচ্ছে: বাস্তবতা থেকেও সুখ বড় !
ইশির ৩৫ জন সন্তানের মধ্যে আছে ২০ বছর বয়সী এক কন্যা যিনি সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করেন যে ইশিই তার আসল পিতা। যেসব সমাজে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে সমস্যা আছে সেখানে এধরনের সার্ভিসের চাহিদা অনেক তার মনে "আমরা যা হতে চাই তা হওয়া খুব কঠিন এবং সেটা খুলে বলাও আরো বেশি কঠিন। সমাজের যদি এরকম সার্ভিসের দরকার না হতো তাহলে সেটা ভাল হতো কিন্তু বাস্তবতা তো সেরকম নয়।"


ঠিক এই বাস্তবতা কে সামনে নিয়ে জাপান সরকার ​​দেশের আশংকাজনকভাবে কমে আসা জন্মহার ঠেকাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির পেছনে অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। লোকজন যাতে তাদের পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করতে পারে, সেজন্যে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগানো হবে।



ডিম্বাণু সংরক্ষণে সরকারি সহায়তাঃ ​​​​

জাপানে রাজধানী টোকিওর উপকন্ঠে উরায়াসু শহরের নারীরা যাতে নিজেদের সময় ও সুবিধামত বাচ্চা নিতে পারে তার জন্য নগর কর্তৃপক্ষ অভিনব এক সরকারি উদ্যোগে তাদের ডিম্বানু হিমঘরে জমিয়ে রাখার ব্যাপারে অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিশ্বের কোনো দেশে জন্মহার বাড়াতে এটাই এধরনের প্রথম উদ্যোগ। তিনবছরের এক পরীক্ষামূলক প্রকল্পে সরকারি কোষাগার থেকে এই উদ্যোগের জন্য সাড়ে আট লক্ষ ডলার সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিশ্বে যেসব দেশে জন্ম হার সবচেয়ে কম, জাপান তার একটি। সেখানে জন্ম হার কমছে বহু বছর ধরে, ফলে এখন জাপান মূলত প্রবীণদের দেশে পরিণত হয়েছে। এই ডিম্বাণু জমা রাখার প্রসেস ১০ থেকে ১৪ দিন লাগতে পারে, এবং তা দশ বছর পর্যন্ত বরফে জমা রাখা যাবে। ডিম্বাণু জমা রাখার এই সুবিধা নিয়ে অনেকেই ২০ থেকে ২৪/ ২৮/ ৩০ বছরের মাঝে নিজেদের ডিম্বাণু ফ্রোজেন ব্যাঙ্কে জমা রাখছেন। পরে সুবিধা মত ৩০/ ৩৮/ ৪০/ ৪১ বছর বয়সে সন্তান ধারণ করছেন। কেউ হয়ত বর্তমানে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত , কারো এই মুহূর্তে পছন্দের সঙ্গী নেই, কেউ বা বর্তমানে বেকার। এমনি সব নানাবিধ কারনে , জাপানী মেয়েরা সন্তান ধারণ ও জন্মদান থেকে দূরে থাকছেন।

এবং সর্বশেষ ব্যবসায়িক সেবা !!!!!


জুহাতসুঃ

এই জাপানি শব্দের অর্থ বাষ্পীভবন বা হাওয়া হয়ে যাওয়া। যেসব লোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে লুকোতে চায় তাদেরকে বোঝাতেও এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এভাবে লুকিয়ে যাওয়ার পিছনে অনেক কারন থাকে। প্রেমে ব্যর্থতা , ব্যবসায়িক ঝামেলা , পরিবারের মাঝে মনমালিন্য , ঋণ পরিশোধ না করা, ভালোবাসা বিহীন বিয়ে। এমন নানা কারন। চাকরি হারানো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পরা।

এদের মাঝে একজন সুগিমোতো ! তিনি বলেন, যে ছোট্ট শহরে তিনি ছিলেন তার পরিবারের কারণে সেখানে সবাই তাকে চিনতো। কারণ তাদের ব্যবসা স্থানীয় লোকজনের কাছে বেশ পরিচিত ছিল। পরিবারটি আশা করছিল যে সুগিমোতো এই ব্যবসার হাল ধরবেন। কিন্তু এই দায়িত্ব নিয়ে সুগিমোতো এমন চাপের মধ্যে পড়েন যে তার মধ্যে মানসিক অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং তিনি খুব দ্রুত চিরদিনের জন্য ওই শহরে ছেড়ে চলে যান। কোথায় যাচ্ছেন সে কথাও কাউকে বলেন নি।

কারণ যা-ই হোক না কেন, তারা তখন এমন কিছু কোম্পানির কাছে যান যারা তাদেরকে উধাও হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করে। এধরনের কাজকে বলা হয় "রাতে সরে যাওয়ার" সার্ভিস। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে "জুহাতসু" হয়ে যাওয়ার গোপন প্রক্রিয়াকেই অনুমোদন করা হয়। যেসব লোকজন উধাও হতে চান তাদেরকে গোপনে জীবন থেকে সরে যেতে সাহায্য করে এসব কোম্পানি। এমনকি গোপন স্থানে তাদের থাকারও ব্যবস্থা করে দেয়।


​​জাপানে বিবাহ বিচ্ছেদের হার খুব কম ছিল। ফলে অনেকেই ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে একদিন হঠাৎ করেই তাদের স্বামী বা স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যায়। দেশটিতে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কঠোরভাবে রক্ষা করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিরা তাদের পরিচয় না দিয়েও মুক্তভাবে এটিএম থেকে অর্থ তুলতে পারেন। এছাড়াও পালিয়ে যাওয়া এই ব্যক্তি যদি গোপন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো ক্যামেরাতে ধরাও পড়েন, তার পরিবারের সদস্যদের ওই ভিডিও দেখতে দেওয়া হয় না।

"অন্য কোনো কারণ না থাকলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে না- যেমন কোনো অপরাধ বা দুর্ঘটনা। পরিবারগুলো চাইলে হয়তো ব্যক্তিগত গোয়েন্দাদের অর্থ দিয়ে কাজে লাগাতে পারে। অথবা পারে শুধু অপেক্ষা করতে। এর বাইরে কিছু করার নেই।"

তথ্যসূত্রঃ
Hikikomori, A Japanese Culture-Bound Syndrome of Social Withdrawal? A Proposal for DSM-V
Japanese city helps women freeze eggs to boost birth rate Published
Meet Japan's very busy "Do Nothing Rent-a-Man"
টোকিওর তরুণ বিয়ে করলেন অ্যানিমেশন চরিত্রকে
জাপানে বহু শিশু স্কুলে যেতে অনাগ্রহী
সিলিকন ভালোবাসায় মগ্ন জাপানিরা
জাপান: যে দেশে বৃদ্ধরা ইচ্ছে করে কারাগারে যেতে চায়
জাপান কেন আত্মহত্যা প্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত?
জাপানের মানুষ কাঁদে না, তাই মানুষকে কাঁদতে শেখাচ্ছেন যে শিক্ষক
পরিচিত গন্ডি থেকে চিরদিনের জন্য ডুব দিতে মানুষকে সাহায্য করে যেসব কোম্পানি

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগোল।

ফিচার পোষ্টঃ জানা অজানা!






মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২১

অপ্‌সরা বলেছেন: মিঃ পারফেক্ট হলে যা হয় আর কি।

জীবন নিরানন্দে ভরে যায়।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম একদম আমি তো পোষ্ট লিখতে গিয়ে অনেক ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছিলাম ওদের জীবনের কঠিন পথচলা দেখে :( বিশেষ করে শিশুদের সবকিছু দেয়া হয় দুরন্ত শৈশব ই মনে হয় নেই - নিয়ম নীতির বেড়া জালে ।

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সবাই চমৎকার সব ফিচার লিখেছেন। ভালো লাগছে পড়তে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ গোফরান!
আপনি ও টার্গেট করা লেখা বাদ দিয়ে আমাদের সাথে ফিচারে চলে আসুন। আশা করছি চমৎকার কিছু লেখা পাবো আপনার।
শুভ কামনা।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৫

শায়মা বলেছেন: আমি জানি জাপানী শিশু শিক্ষা ব্যবস্থা সারা পৃথিবীর ২০ টার মধ্যে প্রথমের দিকে। তাহলে শিশু শিক্ষাই শুধু জেনেছি ওদের শিশুদের যন্ত্রনার কথা জানায়নি! :(

তবে হ্যাঁ আমিও কিছুটা মিস পারফেক্ট বা সকল কাজের কাজী হতে চাই তার জন্য জীবন যন্ত্রনাময় হয়ে উঠছে মনে হলেও আসলে ফলাফল যখন সুন্দর হয় তখন সেটা এনজয় করি।

কাজেই কথায় আছে না কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না!! :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ তোমার কথায় যুক্তি আছে, যদি সেই কষ্টের পর লোক দেখানো বাহাবার চাইতে আনন্দ বেশি হয়। দেখ তো ওরা নিজেদের ইমোশন লুকাতে যেয়ে, সাফল্য ধরতে কতটা যান্ত্রিক হয়ে গেছে ?

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম, নিসঙ্গ মানুষ জীবন কত ভয়াবহ হতে পারে ও তরুন প্রজন্মের ভাবনায় জীবনযাত্রা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি নিজে ও এই পোষ্ট লিখতে যেয়ে দেখলাম। এত পরিশ্রমী সভ্য জাতী কেমন করে যন্ত্র বনে যাচ্ছে, ওদের রক্তে জীন এ চলে এসছে এই কৃষ্টি। ভবিষ্যৎ দেখার অপেক্ষায়।

ধন্যবাদ শূন্য পাঠে এবং চমৎকার মন্তব্যে।
শুভেচ্ছা নিবেন।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩

শায়মা বলেছেন: পোস্টটা আবারও পড়লাম। বিশেষ করে ফুটোকরদের জন্য পড়তে হলো।

তারপর পুরোটা পড়ার পর জাপানীদের দেখলে আমি দৌড়ে পালাবো কিনা ভাবছি। সবাই তো মেন্টাল হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। :(

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তোমাকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি একটা।
আমার দিল্লীতে থাকবার সময়ে, সেইম ফ্লোরে দুইটা জাপানি পরিবার ছিলো। তাদের এক পরিবারে দেড় থেকে দু বছর বয়সী একটা ফুলের মত পুতুল কন্যা। খুব ঘড়ি ধরা সময় নিয়ে ওর মা আমাদের বাসায় ওকে নিয়ে আসত, প্রথম দিন ই আমি একটা পুতুল দিয়েছিলাম ওকে গিফট ওর বাসায় নেবার জন্যে। ঐ টুকু মেয়ে সে কেবল আমার বাসায় আসলেই সাজানো পুতুল টা নিয়ে খেলা করত। ওর মা অনুমতি দিলো আমি বারবার ওর হাতে তুলে দিয়েছি কিন্তু সে বাসায় নিলো ই না। এই সভ্য ভব্যতা ওদের মজ্জাগত হয়ে গেছে এখন। সাথে অন্যকে কষ্ট না দেয়ার সতর্কতা।
যদিও ফুটোকর আর হিকিকোমারি আমি বর্তমান অনেক বাচ্চার মাঝে ই দেখি আমাদের দেশে। এর মাঝে রয়েছে গ্যাপ ইয়ার নেয়ার প্রবণতা। সমস্ত পৃথিবী জুড়েই আসলে চলে আসছে পরিস্থিতি।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: জাপানিরা সব কিছু স্কেলের মধ্যে আনতে গিয়ে দেশ কে রোবটের জাতিতে পরিনত করছে। সব কিছু এক্কেবারে নিয়ম মাফিক। জাপানিদের কিছু শক্ত আইন আমাদের দেশেও আনা উচিৎ এবং তা না মনলে শক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করা উচিৎ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম রানার ব্লগ !!
একদম ঠিক সবকিছু শক্ত স্কেলের মাঝে আনতে গিয়ে মোটামুটি মানব রোবট এরা। নিয়মনীতি , অন্যের সুবিধা অসুবিধার চিন্তা সব মিলিয়ে আত্মসুখ বিসর্জনের মত। তবে আমি ডাউট ওরা সকল নিয়ম যদি জীবন থেকে তুলে ফেলে, সেটা ও সহ্য করতে পারবে না।
হাহাহা বাংলাদেশের কথা আর কী বলবো, জাপানিদেড় তুলনায় আসলে আমরা একটু বেশি ই মানুষ তবে বন মানুষ আর কি।

শুভ কামনা রইলো।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:১০

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সব কিছুরই কিছু ভাল এবং অন্ধকার দিক আছে।

আমাদের দেশের মানুষ যেমন অর্থাভাবে, প্রচন্ড প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে তরুন বয়স থেকেই অনেকে মানুষিক কষ্টে ভুগে, উচ্চরক্ত চাপ, হার্ট এটার্ক, হতাশায় নিমজ্জিত থাকে তেমনি আবার উন্নত দেশ জাপানও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়েও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন।

আমি একবার জাপান গিয়েছিলাম কিছুদিনের জন্য, তারা প্রচন্ড রকমের ভদ্র। টোকিও থেকে আরেকটি শহরে যাব, একটি মেয়েকে ঠিকানা দেখিয়ে বললাম কিভাবে যাব, মেয়েটি ঠিকানা দেখে কিছু বলতে পারছি না তবে আমাকে সাহায্য না করেও ছাড়বে না, আশেপাশে মানুষ জরো করে ফেলেছে! অবস্থা বেগতিক দেখে বললাম নো প্রবলাম আমি যেতে পারব সমস্যা নেই।

ফিচার লেখায় ভাল ভাল পোষ্ট আসছে। ব্যাপারটি ভাল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি বলতে কী এই পোষ্টের শিরোনাম যদি প্রযুক্তির অন্ধকারে বর্তমান বিশ্ব দিতাম - তাহলে ও ভুল হত না। এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমস্ত বিশ্বে কম বেশি দেখা যাচ্ছে। বরং কিছুকিছু বিষয় অনেক বেশি খারাপ ভাবে। সমস্ত বিশ্বের ডাটা আমার হাতে নাই, এবং যে প্রচলিত শব্দগুলো এনেছি সব জাপানিজ তাই পুরো পোষ্ট তাদের নিয়েই সাজিয়েছি।

আমাদের দেশের মানুষ যেমন অর্থাভাবে, প্রচন্ড প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে তরুন বয়স থেকেই অনেকে মানুষিক কষ্টে ভুগে, উচ্চরক্ত চাপ, হার্ট এটার্ক, হতাশায় নিমজ্জিত থাকে তেমনি আবার উন্নত দেশ জাপানও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়েও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগেন। একদম ঠিক বলেছেন, সবার জীবনের প্রায়োরিটি এবং প্রয়োজন আলাদা।

আপনার অভিজ্ঞতায় ভালোলাগা, ওরা যেমন পরোপকার, পারিবারিক জীবন সবকিছু তে ভীষণ গুরুত্ব দেয় তেমনি অতই ভদ্র হবার কারনে অন্যের কস্টের কারন হতে চায় না, নিজেকে প্রকাশ করে না বিধায় একাকীত্বে ভোগে।


চমৎকার বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ কাছের - মানুষ।
শুভেচ্ছা সতত।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: জাপান নিয়ে আমাদের আগ্রহ তৈরী হয়েছিল সেই ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ের লিখাগুলো পড়ার কারনে। তারপর, পরিবার থেকে বেশ ক'জন গেল জাপানে, বিশেষকরে তখন মনবসু স্কলারশিপ (monbusho scholarship) দেয়া হতো। তারপর তারা ফেরত আসার সাথে জাপানীজ পুতুল, ঘড়ি, ছাতা দেখে হা করে তাকিয়ে থাকতাম।

একসময় ইয়ামাহা কোম্পানীর সাথে চুক্তির সূত্র ধরে দেশে আসলের একজন ইন্জিনিয়ার, টাকুমি সাইতো। বাবার সাথে মারাত্বক বন্ধুত্ব হয়ে গেল। জাপান নিয়ে আমাদের আগ্রহ দেখে প্রায় বাসায় আসতো তার প্রজেক্টর নিয়ে আমাদেরকে তার দেশ দেখাবে বলে। অনেক অনেক গিফট পেতাম উনার থেকে।

তোমার লিখা অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিল।

জাপানের এ একাকিত্বের অনেক ভিডিও, মুভি ও লিখা পড়েছি। আসলে এ সমস্যা সারা বিশ্বের একক পরিবারের। কোথাও বেশী কোথাও কম।

চমৎকার ও তথ্যবহুল লিখায় ভালোলাগা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মনবসু এখন ও ভীষণ জনপ্রিয় ! আমি পোস্টে উল্লেখ করেছি আপু, জাপান আমাদের খুব কাছের পরিক্ষিত বন্ধু। সে বহু আগে থেকেই। জাপানি সাহায্যে বাংলাদেশের দারুণ সব প্রকল্প আছে। ওশিন নামে একটা সিরিয়াল দেখতাম মনে আছে ? হ্যাঁ পুতুল গুলো ওদের মতোই সুন্দর।

বাহ তাহলে তো আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর দ্বীপ দেখেছেন ভিডিও তে অনেক আগেই যখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাল্টে যায়নি।

যাক আমার লেখার কল্যাণে হলে ও আপনার স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন, ধন্যবাদ আপু।

জাপানের এ একাকিত্বের অনেক ভিডিও, মুভি ও লিখা পড়েছি। আসলে এ সমস্যা সারা বিশ্বের একক পরিবারের। কোথাও বেশী কোথাও কম।
খুব খুব সত্যি আপু, তবে যারা এক্সপ্রেসিভ আর অন্যের চিন্তা কম করে তারা এভাবে নিজেকে গুটিয়ে নেন না। আমাদের ভবিষ্যৎ পৃথিবী এমন ই হতে চলেছে কিছুদিন আগে আর পরে। জাপান যেমন প্রযুক্তিতে একটু আগে এগিয়েছে, আমরা একটু পিছনে।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার বড় ভাই জাপানে বিয়ে করাতে আর সুদীর্ঘ সময় জাপানিজদের সাথে ব্যাবসা করার সুত্রে আমাদের বহু জাপানিজদের সাথে ওঠা-বসার সৌভাগ্য হয়েছে। আমি এপর্যন্ত দু'জন একেবারে ভিন্ন ধর্মী জাপানিজ দেখেছি, এছাড়া বাকি সব গতবাধা চরিত্র।
সে দুজনের একজন হোল মি। ঐশী আরেকজন মি। কাজি।
আমার ভাতিজি জাপানে স্কুল শেষ করে এখন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। ভাবি তাঁর অন্য দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে জাপানে থাকেন।
নিজের আত্মীয় হলেও জাপানিজদের সাথে দীর্ঘদিন আন্তরিকতা ও ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা বেশ কঠিন। আমি আমার গল্প অন্যদিন করব।
এবার আসি আপনার লেখায়; চমৎকার একটা বিষয় বেছে নিয়ে নিখুঁতভাবে লেখায় ওদের বর্তমান অর্ত্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা ফুটিয়ে তুলেছেন। এর কিছু ব্যাপার জানা ছিল কিছু একেবারেই নতুন।
একটা বিষয় আমি দেখেছি; মাথা নুইয়ে ওরা যতই মুশি মুশি করুক না কেন- ওরা আসলে চরম স্বার্থপর নিঃশ্বংস একটা জাতি।
টোকিওর রেলস্টেশনের আশে পাশে অনেক ভিখেরির মত বসে থাকা উদ্বাস্তু একাংশ এককালে বিশাল ব্যাবসায়ী ছিলেন। তারা ব্যাবসায় দুর্নীতি করার জন্য সরকার সব কেড়ে নিয়ে পথে বসিয়ে দেয়- অমানবিক হলেও কি দারুন ব্যাপার!
ও 'ডিম্ব প্রিজার্ভ ব্যাঙ্ক' অনেক দেশেই বিদ্যমান।
আর্টিকেলে অবশ্যই ++++

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা মুগ্ধ পাঠ, বিস্তারিত এবং আন্তরিক মন্তব্যের জন্যে!
আপনার অভিজ্ঞতা একদম সরাসরি তাই সেটার গ্রহণযোগ্যতা ও অনেক বেশি, আমার লেখা পুরোটাই তথ্য নির্ভর। সেখানে আপনার করা অভিজ্ঞতার বর্ণনা অনেকখানি পোষ্টের সত্যতা প্রমাণ করল। তবে আপনার অভিজ্ঞতার লম্বা বর্ণনা অন্য এক সময় অবশ্যই ব্লগে পড়তে চাই। আশা করছি কোন এক সময় পেয়ে যাবো।

একটা বিষয় আমি দেখেছি; মাথা নুইয়ে ওরা যতই মুশি মুশি করুক না কেন- ওরা আসলে চরম স্বার্থপর নিঃশ্বংস একটা জাতি।
টোকিওর রেলস্টেশনের আশে পাশে অনেক ভিখেরির মত বসে থাকা উদ্বাস্তু একাংশ এককালে বিশাল ব্যাবসায়ী ছিলেন। তারা ব্যাবসায় দুর্নীতি করার জন্য সরকার সব কেড়ে নিয়ে পথে বসিয়ে দেয়- অমানবিক হলেও কি দারুন ব্যাপার!


নিশংসতা কমেছে ইতিহাসে যতদূর পড়েছি সেই হিরোশিমা/ নাগাসাকির পর। আজকাল ফেসবুকে প্রায় দেখা যায় সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটা ঘটনা নিয়ে লেখা পোষ্ট। একটা বাচ্চা ছেলে তার মৃত ভাই কে পিঠে বয়ে নিয়ে অনেক দূর পথ পাড়ি দেয় এবং তাকে সমাহিত করবার পূর্ব মুহূর্তের সে ছবিতে দেখা যায় ভীষণ অনুভূতি হীন একটা পুতুলের মত।

আহা আমাদের দেশে যদি দুর্নীতিগ্রস্থদের এভাবে কোন গোষ্ঠী পথে বসাত, তাহলে পরবর্তী সময়ে অন্যরা দুর্নীতি করতে দুবার চিন্তা করত। কিন্তু আমাদের দেশে বট গাছের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি করার লাইসেন্স পায় সবাই।

জি হ্যাঁ ফ্রজেন ব্যাংক অনেক দেশেই এভেইলেবল, পোস্টে এই জন্যে প্রথম দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছি।

চমৎকার মন্তব্যে পোস্ট কে সমৃদ্ধ করার জন্যে কৃতজ্ঞতা।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৬

বিটপি বলেছেন: আমার চৌদ্দ পুরুষের সৌভাগ্য যে আমার জন্ম জাপানে হয়নি। ওদের শিশুদের কথা চিন্তা করে কান্না এসে যাচ্ছে। আগে মনে হত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা শিশু বুঝি ফিলিস্তিন, ইয়েমেন আর আফ্রিকার শিশুরা। কিন্তু এখন তো দেখছি জাপানি শিশুদের তুলনায় ওরা বলতে গেলে ফাইভ স্টার সুবিধা ভোগ করছে।

এরা নিজেদের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করার চেষ্টা কেন করছেনা?

আমি কয়েকটি জাপানি সিনেমা দেখেছি। ওখানে দেখেছি যে পারিবারিক সম্পর্ক যেমন মা-বাবা-সন্তান, ভাই-বোন - এগুলোকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ এভাবে বলে ও যে আমরা খুব এই হাওয়া থেকে বেঁচে পালাতে পারব তেমন কিন্তু আমার মনে হয় না বিটপি!
উন্নত প্রযুক্তি আর বিশ্বায়নের হাওয়া যেভাবে লাগছে আমাদের গায়ে সাথে করোনা কালীন অভিজ্ঞতা, আমরা ও এমন সব সমস্যার মুখমুখি হতে যাচ্ছি ভবিষ্যতে। জাপান প্রযুক্তির শীর্ষে হিসাবে কিছুদিন আগে, আর আমরা অনুসরণকারী অনুন্নত দেশ হিসেবে কিছুদিন পর।

আগে মনে হত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা শিশু বুঝি ফিলিস্তিন, ইয়েমেন আর আফ্রিকার শিশুরা। কিন্তু এখন তো দেখছি জাপানি শিশুদের তুলনায় ওরা বলতে গেলে ফাইভ স্টার সুবিধা ভোগ করছে। আসলে তেমন কিছু ও না যারযার জীবন যন্ত্রণা আলাদা, তবে আপনার বলার কারন হতে পারে, ফিলিস্থিনি ইয়েমেন আর আফ্রিকার শিশুরা হয়ত নিদেনপক্ষে মৃত্যুর আগে বাবামায়ের কোলের উত্তাপটুকু পায়।

এরা নিজেদের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করার চেষ্টা কেন করছেনা?

আমি কয়েকটি জাপানি সিনেমা দেখেছি। ওখানে দেখেছি যে পারিবারিক সম্পর্ক যেমন মা-বাবা-সন্তান, ভাই-বোন - এগুলোকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়।


এই যে দেখেছেন সিনেমাতে পারিবারিক সম্পর্ক কে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়, সেসব ই এই পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তাছাড়া পোস্টে দেখেন , প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রথগত শিক্ষার বাইরে বা গৃহে শিক্ষার ব্যাপারগুলো এনেছে সরকার। কেউ লুকিয়ে থাকোতে চাইলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। জনসংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে।


পাঠে এবং ডিটেইলস মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা আপনার জন্যে।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। +

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাইয়া মন্তব্যের জন্যে।
পোস্টে + দেয়ায় কৃতজ্ঞতা।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: অথচ দুর থেকে আমরা জাপানকে কতই না পার্ফেক্ট মনে করি । দিন শেষে আসলে কুপির নিচে সেই অন্ধকারই !

আমার অবশ্য একটা জাপানী কন্যার সাথে প্রেম করার শখ অনেক দিনের । প্রেমের টানে কত দেশ থেকেই না কন্যারা চলে আসে এই দেশে । দেখবেন কোন দিন, ব্লগারের প্রেমের টানে জাপানি কন্যা দেশে, এই শিরোনামে সংবাদ এসে হাজির হয়েছে ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পারফেকশন নিয়ে তো কোন ডাউট নেই, এগুলি সব সেই পারফেকশনের সাইড ইফেক্ট আর কী।

নতুন করে আর এই সংবাদ শিরোনাম কি হবে আপনার জন্মের আগে সেই ৮০ র দশক থেকে বিক্রমপুরের ছেলেরা জাপানি মেয়েদের কাছে প্রথম পছন্দ। খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন আপনাদের আত্মীয় কয়জন আছে জাপানি কন্যা র মনের মানুষ হয়ে।
আমার স্কুল জীবনে ও দেখেছি মুনশিগঞ্জ শহরে বিয়ের পর বেড়াতে আসা জাপানি বউ মরিং ওয়াক করছে , শপিং করছে। সে যাইহোক ঐতিহ্য ধরে রাখতে আরও একটু সচেষ্ট হন। আমরা নিউজ দেখে আপনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠাবো।

অল দ্যা বেস্ট অপু তানভীর।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুবই সুন্দর লেখা।
আপনি কি জাপান থাকেন?

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ! আশা করছি ভালো আছেন।
জি না আমি দেশে ই থাকি :)

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: - এতো বড় পোস্ট অনলাইনে বসে পড়া কষ্টকর।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি কথাটা খুব সত্যি। সে জন্যে আমি শব্দসংখ্যা অনেক কমিয়ে এনেছি। প্রায় তিন হাজার ছিল শুরুতে শব্দসংখ্যা।
পছন্দের বিষয় হলে অবশ্য আলাদা কথা, আজকাল উপন্যাস গল্পের বই ও অনলাইনে পড়তে হয়।

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,




চমৎকার পরিশ্রমী পোস্ট। জাপানের মানুষদের একাকীত্ব নিয়ে জানতুম কিন্তু এতোকিছু জানা ছিলোনা।

যন্ত্রায়নের সাথে সাথে মানুষের আবেগ-সহমর্মিতা-বন্ধুত্ব-পারিবারিক বন্ধন সহ সব মানবিক আবেদনই ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। মনে হয় সারা পৃথিবী জুড়েই কী জটিল মানুষের জীবন!
লেখায় +++++++

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইয়া !

প্রায় ১৫/২০ টা আর্টিকেল কে প্রথমে ১০ পাতায় এনেছিলাম ৩.৫০০ হাজার শব্দে! কিন্তু এত লম্বা পোস্ট পাঠে ও বিরক্তি আসে, তাই কেটেছেটে এই অবস্থায় এনেছি, বেশ অনেক তথ্য এরমাঝে ও বাদ দিতে হয়েছে প্রায়োরিটি হিসেবে। জানা অজানা হিসেবে নতুন কিছু এসছে এইটুকু আসলে ভালোলাগা। পরিশ্রমের পুরুস্কার এইটুকুই।

যন্ত্রায়নের সাথে সাথে মানুষের আবেগ-সহমর্মিতা-বন্ধুত্ব-পারিবারিক বন্ধন সহ সব মানবিক আবেদনই ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। মনে হয় সারা পৃথিবী জুড়েই কী জটিল মানুষের জীবন! আপনার এই দুইলাইনে পুরোপুরি সহমত, খুব জলদি আমরা এই জটিলতার মাঝে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জাপানের মানুষের যান্ত্রিকতা সম্পর্কে হাল্কা ধারণা ছিল। আপনার পোস্ট থেকে বিস্তারিত জানলাম। আমার মনে হল বস্তুবাদী জীবনের একটা আদর্শ উদাহরণ হল এই জাপানি জাতি।

হিকিকোমারি হয়ে সামাজিক সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া খুবই অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এরা এমন রোবট হয়েছে যে এনিমেশন চরিত্রকে এরা স্ত্রী মনে করছে। একটা পুতুল যে মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হতে পারে না এটা জাপানীরা মনে হয় বোঝে না। মানবিক অনুভূতির মূল্যই এরা ভুলে গেছে।

কি অদ্ভুত কথা, বুড়ো বয়সে নিঃসঙ্গতা থেকে বাঁচতে এবং থাকা খাওয়ার জায়গার জন্য এরা ছোটখাটো অপরাধ করে জেলে যায়। এমন যান্ত্রিক হয়েছে যে কাঁদতে ভুলে গেছে এই জাতি।
‘ডু নাথিং রেন্ট এ ম্যান’। রেন্ট এ ফ্যামালি। এগুলো বড়ই অস্বাভাবিক ব্যাপার। জাপানীদের এসব অদ্ভুত কাজ কারবার সম্পর্কে জানলাম।

ফিচারটা ভালো লেগেছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার মনে হল বস্তুবাদী জীবনের একটা আদর্শ উদাহরণ হল এই জাপানি জাতি।
আমার ও সেটাই মনে হল কয়দিন এই পোস্টগুলো ঘাটাঘাটি' র পর।

হিকিকোমারি হয়ে সামাজিক সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া খুবই অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার। এরা এমন রোবট হয়েছে যে এনিমেশন চরিত্রকে এরা স্ত্রী মনে করছে। একটা পুতুল যে মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হতে পারে না এটা জাপানীরা মনে হয় বোঝে না। মানবিক অনুভূতির মূল্যই এরা ভুলে গেছে।

আসলে এই অস্বাভাবিকতার মাঝে খুব অল্প সময়ের মাঝে হয়ত আমরা ও প্রবেশ করবো :( আমার বাচ্চা সহ আসে পাশের অনেক বাচ্চা ই দেখবেন সবখানে কম্ফোরট না, তারা অনেক পাবলিক / পারিবারিক অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হতে চায় না। বক্তব্য " আমি এখানে কাউকে চিনি না , এখানে আমার কোন বন্ধু নেই "!!!

আর এই রোবট হবার পিছনের কারন গুলো ও কিন্তু বলেছে সে- আমি বাস্তব জীবনে কোন নারীর প্রতি আকর্ষণ বোধ করি না, জীবনে কখনোই আমি নারীদের কাছে জনপ্রিয় বা পছন্দের একজন ছিলাম না। ছাত্র জীবনে ওরা আমার সম্বোধন কে ইগ্নর করত, অফিসে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করত। সামান্য ভুলে চিৎকার করে বকাবকি করত।

আরেকজন সিলিকন লাভার এর মতে। " আমার মায়ু শুধু আমাকে ভালোবাসে, সবসময় শুধু আমার জন্য অপেক্ষা করে! আমি যখন ই ফিরি মায়ু কে আমার জন্যে অপেক্ষারত পাই। জীবনে আর বাসবত জীবনের নারীদের কাছে ফিরে যাবার চিন্তা ও করতে পারি না, মায়ু কে নিয়ে ই মরতে চাই"

খুব ভালো করে এদের বক্তব্য গুলো শুনলে বুঝা যাবে ওরা নরম কোমল যত্নশীল নারীদের কে সঙ্গী হিসেবে কামনা করে ব্যর্থ হয়েছে। যান্ত্রিক জীবন ও সময় নারীদের কে ও পাল্টে দিয়েছে " ধৈর্যশীল , কোমল অনুভূতি প্রবণ , যত্নশীলা এমন সব নরম কোমল ব্যাপারগুলো তারা বর্জন করেছে। সেসব ও ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। এ হচ্ছে সেই আমার সব আছে আমি কেন তোমার সব সহ্য করবো ? আর আমাকে ই ক্যান সব সহ্য করতে হইবো ? সেক্ষেত্রে পুরুষ সমাজ ও নিজেদের কে তার চাহিদা মত সরিয়ে নিয়েছে, নিজেকে বদলাবার বা মডেস্ট হবার পরিবর্তে। দু পক্ষের সমান ভুল বুঝাবুঝি এবং নিজেদের কম্ফোরট জোন খুঁজে নেয়া।


কি অদ্ভুত কথা, বুড়ো বয়সে নিঃসঙ্গতা থেকে বাঁচতে এবং থাকা খাওয়ার জায়গার জন্য এরা ছোটখাটো অপরাধ করে জেলে যায়। এমন যান্ত্রিক হয়েছে যে কাঁদতে ভুলে গেছে এই জাতি।
‘ডু নাথিং রেন্ট এ ম্যান’। রেন্ট এ ফ্যামালি। এগুলো বড়ই অস্বাভাবিক ব্যাপার। জাপানীদের এসব অদ্ভুত কাজ কারবার সম্পর্কে জানলাম।


হ্যাঁ বেশ অস্বাভাবিক রকমের অস্বাভাবিক ব্যাপার এসব এটুকু মানতেই হচ্ছে। এবং চিন্তার কারন নেই আমরা ও সেদিকে যাচ্ছি ধীরে ধীরে। আফসোস এটুকু ই !

কিছু জানাতে পারি ভেবে লেখা সার্থক মনে হচ্ছে , অনেক অনেক ধন্যবাদ দীর্ঘ , বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে।

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় চীন জাপানের শিশুদের কাহিনী পড়ে ওদের মত হতে ইচ্ছে হতো। যাক আমি বাংলাদেশী হিসাবে ভালোই আছি।নিঃসঙ্গ একাকী রোবোটিক জীবন আমি ঘৃণা করি।তবে আমরাও সেই পথে ধাবমান সময়ের পরিক্রমায়। কত দ্রুত সবকিছু বদলে যাচ্ছে। যান্ত্রিকতা আমাদের জীবনের স্বাভাবিকতা কেড়ে নিচ্ছে।
জাপানি যুবকদের ব্যাপারে কিছুটা জানতাম আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে অন্য জাপানকে জানলাম। ঋদ্ধ হলাম।

শুভকামনা রইল প্রিয় ব্লগার।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তবে আমরাও সেই পথে ধাবমান সময়ের পরিক্রমায়। একদম ক্লিন সাদা চোখে আমিও সেসব ই দেখতে পাচ্ছি ইসিয়াক!
ওদের মত হতে চাওয়ার স্বপ্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পূরণ করতে চলেছে।

ঋদ্ধ হয়েছেন ! এই আন্তরিকতা আর দরদটুকু লেখার পরিশ্রম কে সার্থক করে তুলল !!! চমৎকার মন্তব্যে এবং ভালোলাগার প্রকাশ আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করলেন।

শুভেচ্ছা!

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৭

করুণাধারা বলেছেন: জাপানিদের এমন কাহানী জানা ছিল না মনিরা। জানা-অজানা ক্যাটাগরির জন্য পারফেক্ট পোস্ট "মিঃ পারফেক্ট হওয়া জাপানিদের জীবন যন্ত্রনা"।

মনে হচ্ছে উন্নতির পিছনে ছুটতে ছুটতে এরা সমস্ত মানবীয় আবেগ অনুভূতি বিসর্জন দিয়েছে। হাসিখুশি কর্মঠ এই জাপানিদের ভেতরটা ফাঁপা, অথবা তারা রোবটের মত... জীবনের ক্লান্তি অবসানের জন্য তারা আত্মহত্যা করে...

এর চাইতে আমাদের বাংলাদেশিদের জীবন যাপন ঢের ভালো!! কবে না আমরা বিশ্বের সুখী জাতির তালিকায় স্থান পেয়েছিলাম!

ফিচার ভালো লেগেছে, একটানে পড়ে ফেললাম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার নিজের এত ডিপ ধারনা ছিল না আপু , লিখতে বসে নিজে ও অবাক! শুরুতে শুধু ফ্যামেলি রোমান্স কোম্পানি নিয়ে এগিয়েছিলাম। কারন এই নামে সিরিয়াল / মুভি আসছে অভিনয় করেছেন সেই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইশি নিজেই, সামথিং বিগ। এরপর তো একটারপর একটা নতুন তথ্য যোগ হতে শুরু করলো, আর যেহেতু ফিচার হিসেবে লিখতে বসেছি তাই সাহস করে একটু বড় করেই নিয়ে এলাম ! আপনাদের ভালো লেগেছে সেটুকু আমাকে আনন্দ দিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু সবসময় এমন কাছের কেউ হয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্যে।

এর চাইতে আমাদের বাংলাদেশিদের জীবন যাপন ঢের ভালো!! কবে না আমরা বিশ্বের সুখী জাতির তালিকায় স্থান পেয়েছিলাম! হ্যাঁ তৃতীয় হয়েছিলাম, আসলে আপতত এই সুখটুকু ছাড়া যে আমাদের আর কিছু নেই । ব্যাংকে টাকা নেই আমদানির ডলার নেই , বাজারে সুলভ মূল্যে খাদ্যপন্য নেই। ভোটের অধিকার নেই , মত প্রকাশের সুবিধা নেই। এমন কি এই যে নেইনেই এর জীবন সেই জীবনটুকু নিরাপদে নেই।

শুভ কামনা আপু সবসময়ের জন্যে।

১৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

মজার একটি লেখা। ফেইসবুক থেকে আসলাম গড়াতে গড়াতে। ভালো লাগলো।
আমেরিকানরা ঠিক জাপানিদের ঠিক বিপরীত, ওরা চায় কিছু না করে শুধু হ্যামবার্গার খেয়ে জীবনটা শেষ করে দিতে।
আমরা কাদের মতো হয়েছি? স্বীকার করবেন? আমরা কি আমেরিকানদের মতো না, কিছুটা?

২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আল্লাহ রে এ এ এ .....
ব্লগে তো দেখি চাঁদের আলো !!!!! ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট দিয়ে তো আমি সার্থক !!!
অনেক অনেক খুশি হয়েছি ভাই। আপনার মত করেই বলি " আপনাগো আল্লাহ র দোহাই লাগে, আপনারা ব্লগে আসেন" !

হাহাহাহা ঠিকঠিক আমেরিকানরা মাস্ত জাতি! না বস মিথ্যে বইল্লা লাভ নাই, স্বীকার করতাছি আমরা কাদের মত।
আমরা আমেরিকানদের চাইতে এক ডিগ্রী উপড়ে , আমেরিকানরা হ্যামবার্গার টা নিজে বানিয়ে বা কিনে খাবে, আর আমরা চাইবো প্রিন্স মুসা র মত কেউ আমাদের হ্যামবার্গার' টা আমাদের খাইয়ে দিক B-))

২০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




" মেয়েরা আমাকে কখনো পছন্দ করত না , কর্মস্থলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করত, আমার ছোটখাট ভুলে আমার উপর চিৎকার করত, আমি সুপ্রভাত বললে তা না দেখার ভান করত"।

আহা বেচারা ! যাক মিকু জীবনে আনন্দ ফিরিয়ে এনেছে ।

প্রথাগতভাবে জাপানীরা কাঁদেন না। কাঁদা জাপানী সংস্কৃতিতে নিষিদ্ধ।

এটা কি সম্ভব, কান্নাতো একটা সহজাত বিষয়। কান্না আসলে না কাঁদে কিভাবে B:-)

যারা প্রচণ্ড একাকীত্বে ভুগছেন, তারা বারবার অপরাধ করার মাধ্যমে কারাগারে যেতে চাইছেন।
কারণ সেখানে তারা সঙ্গী খুঁজে পাবেন।


কি করুণ !!!

"জাপানি মেয়েরা নির্মম হৃদয়ের, স্বার্থপর।

আমার দুজন জাপানিজ বান্ধবী ছিলো। এখন যোগাযোগ কম ।
দুজনকেই আমার খুব পছন্দ, চমৎকার মনের মানুষ ।

মানুষ মাত্রই কখনো নির্মম স্বার্থপর, আবার কখনোবা আবেগি উদার ।
কখন যে কে কেমন আচরণ করে, সেটা তার সময় আর পরিস্থিতি বলে দেয় ।

বৃদ্ধাশ্রম বা হাসপাতালে একাকী মৃত্যুবরণের ঘটনা দিন দিন বাড়ছেই।"

এটাতো সারা পৃথিবীতেই বাড়ছে আপু ।

আমার ওদের ভালোই লাগে । খুব পরিশ্রমী, অরগানাইজড।
টু ডু লিস্টে জাপান ভ্রমনের ইচ্ছা আছে ।
জাপানিজ ফুড ইয়াম ইয়াম !
থ্যাংকস মনিপু, অনেক অজানাকে জানলাম ।
শুভকামনা থাকলো ।


২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার অব্জারভেশন ডল !
পোষ্টের সারাংশ আনলেও , আমি শিউর ধীরে ধীরে বিশ্বায়নের এই সময়ে আমরা সবাই এমন একটা জীবনের দিকে এগুচ্ছি।
আমার ও পছন্দ জাপান, জাপানের মানুষ ওদের এই যে কাউকে বিরক্ত বিব্রত বা কষ্ট না দেয়ার যে মানসিকতা আমি অনেকটাই তেমন বিলং করি। দিল্লীতে আমার দুজন প্রতিবেশী ছিলেন, ভীষণ কিউট ডল ডল বাচ্চা সহ।

তোমার জন্যে ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা, উত্তর দিতে অনাকাঙ্ক্ষিত দেরী হল বলে দুঃখপ্রকাশ করছি।

২১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: "Knowledge comes but wisdom lingers."

কথাটি মনে হয় ওদের ক্ষেত্রে সর্বতোভাবেই সত্য।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলে আমরা সবাই এমন এক জীবনের দিকে এগুচ্ছি।
ধন্যবাদ গেঁয়ো ভূত। শুভেচ্ছা নিবেন।

২২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্ক্রল করি তো করি, শেষই হয় না। বিশাল লেখা!! B:-)

অফিসে আছি, তাই এখন পড়তে পারছি না। বাসায় গিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। এডভান্স লাইক দিয়ে গেলুম! :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পড়লে পড়েন না পড়লে নাই ;)
লাইক আর কমেন্ট তো পাইছি :P



প্রতিযোগিতা বলে কথা, হুদাই বড় না করলে তো দৌড়ে টেকা মুশকিল, তাও তো আপনার কথা চিন্তা করে ১হাজার শব্দ কাটছাঁট করছি। অনেক কিছু সংক্ষেপে নিয়ে আসছি , সব শিরোনাম নিয়ে আলাদা আলাদা পোষ্ট দেয়া যেত। ধন্যবাদ ভাই পাঠে মন্তব্যে আর লাইক বাটনে। অপেক্ষায় রইলাম পাঠ পরবর্তী মন্তব্যের জন্যে।

২৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "জাপানি জীবন যাত্রা যত না মানবিক, তার চেয়ে বেশি যান্ত্রিক" - একটি চমৎকার এবং সঠিক পর্যবেক্ষণ।
পোস্ট পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল হিকিকোমোরি একটা আশঙ্কাজনক প্রবণতা। যান্ত্রিক জীবন থেকে সরে আসতে না পারলে সমাজে এর কুপ্রভাব পড়তে বাধ্য।
"জাপানি মেয়েরা নির্মম হৃদয়ের, স্বার্থপর" - এ কথাটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হয়। প্রবাস জীবনে কয়েকজন জাপানি দম্পতি আমাদের ভালো বন্ধু ছিল। আমি তো তখন দেখেছি জাপানি মেয়েরা খুবই পতিভক্ত এবং সংসারী, আমাদের মেয়েদের চেয়েও বেশি বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। অবশ্য সেটা আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর আগের কথা। জগত পরিবর্তনশীল। হয়তো তাদেরও পরিবর্তন হয়েছে ইতোমধ্যে।
"কাদা জাপানি সংস্কৃতিতে নিষিদ্ধ" - কি ভয়ঙ্কর কথা! আমাদের মত ছিচকাঁদুনে ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়তে গিয়ে কী করছে, কে জানে!
পারফেকশনিস্ট সমাজ ব্যবস্থার এ যেন এক করুন চিত্র!
পোস্টে অষ্টাদশ প্লাস। + +

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রযুক্তি, সময় অনেক কিছুই বদলে দেয় বলেই মনে হয় আমার। এই ক' বছরে আমাদের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বদলে গেছে। আমার কাছে আর একটা পয়েন্ট মনে হয়েছে " মেয়েরা আমাকে কখনো পছন্দ করত না , কর্মস্থলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করত, আমার ছোটখাট ভুলে আমার উপর চিৎকার করত, কর্মক্ষেত্র ! কর্ম ক্ষেত্র ব্যাপারটা কিন্তু অনেক কিছুই আলদা করতে পারে, পরিবারের মমতাময়ী মা বোন , প্রেমিকা , মেয়ে কিন্তু কর্ম ক্ষেত্রে মমতার আধার হতে পারার কথা নয়। সে অভিজ্ঞতা টুকু ও মন বিষিয়ে দিতে পারে।

মনবসু বা উচ্চশিক্ষা নিতে যারা যায় ততদিনে মনে হয় একটু ম্যাচুরিরটি চলে আসে। আমাদের দেশের মেয়েদের কথা জানি না , সেই লেবার হিসেবে কর্ম ক্ষেত্র হবার সময় থেকে বাঙালি ছেলেরা জাপানি মেয়েদের কাছে অনেক জনপ্রিয়।

কী মনে হয় জানেন পৃথিবী সেই করুন চিত্রের দিকে এগুচ্ছে, এগুচ্ছি আমরা ও।

কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ মন্তব্য আর প্লাসের জন্যে।

২৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: শৈশবহীন শিশু! বড় হয়ে যা হবার, তাই হয়- যন্ত্র!
"পুরোটা পড়ার পর জাপানীদের দেখলে আমি দৌড়ে পালাবো কিনা ভাবছি। সবাই তো মেন্টাল হয়ে গেছে মনে হচ্ছে" - শায়মা'র এ মন্তব্যটা পড়ে না হেসে পারলাম না। যদিও কথাটা সত্য বলেই মনে হয়, হেসে উড়িয়ে দেয়ার মত কিছু নয়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শায়মার জন্যে আসলে আমার এই পোষ্ট টা শকিং ছিল, একজন শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষক হিসেবে শায়মা প্রতিনিয়ত উৎকৃষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থার উদহারন হিসেবে জাপান কে ভেবে এবং দেখিয়ে এসছে। এমন সব প্রতিবেদনের পর তো এই বিষয়ে আবার চিন্তা করতে হচ্ছে।
পুনরায় এসে মন্তব্য রেখে যাবার জন্যে ধন্যবাদ।

২৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


এক নজর দেখে
প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
একটু সুস্থ বোধ করলে
আবার ফিরে আসব ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার সুস্থ্যতার জন্যে অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা ভাইয়া।

২৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেখলেন তো অভাবে স্বভাব নষ্ট। একটা অভাব বোধ থেকেই চুরি করে জেলে যেতে হলো। চুরি তো করতে হলো।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ আমাদের দেশে একটা প্রবাদ আছে , " জঞ্জাল ভালো তবু কাঙাল ভালো না "
কেউ খাদ্যের ওভাবে মরে, কেউ মরে ভালোবাসার ওভাবে।

২৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৬

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: জাপানীরা আসলেই অদ্ভুত।
মাঝে মাঝে মনে হয়- ওরা এত ভালো - এই পথিবীর তো ওরা?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরা আসলেই ভালো, এই ভালোত্ব ই মনে হয় যন্ত্রণা।

২৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ইংরেজী নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাকে ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভাইয়া !!!

২৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: জাপানীরা প্রায় রোবতের মতো আচরণ করে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে চলতে এরা সবাই রোবট হয়ে যায়।
আত্মহত্যা এবং দূর্নীতি এই দেশে সবচেয়ে বেশি। কোনো প্রধানমন্ত্রী বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।
এদের এই অসামাজিক সমাজ ব্যবস্থা অবশ্যই ফেইল করবে। প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে কোন কিছু বেশিদিন টিকে থাকে না।
শুভ কামনা। শুভ নববর্ষ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে কোন কিছু বেশিদিন টিকে থাকে না। আমার কাছে ও সবসময় এটাই মনে হয়, প্রকৃতি নিজের নিয়ম ভাঙা পছন্দ করে না।

পাঠে ও মন্তব্য এ ধন্যবাদ নীল আকাশ ! নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপনাকে ও।

৩০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টটি সময় নিয়ে আয়েশ করে পড়লাম । সাথে লিংকগুলিতে গিয়ে বিষযাবলী
আরো বিষদভাবে জানা গেল ।
এই মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্টের মুলায়ন করে অনেকেই খুব সুন্দর মতামত রেখেছেন ,
সে সকলও বেশ প্রনিধান যোগ্য ।
মন্তব্যের ঘরটিকে লম্বায়িত না করে কয়েকটি বিষয়ের উপর এ যাত্রায় কিছু কথা বলা হলো ,
পরে সময় করে আবার ফিরে আসার ইচ্ছা রাখি , এর থেকে জানার ও অনেক কিছু
শিখার অছে ।

ফুটুকোর বিষয়ে জানা গেল জাপানে যে সব শিশু স্কুলে যেতে চাইছে না, তাদেরকে
সেদেশের ভাষায় বর্ণনা করা হচ্ছে -'ফুটোকো' বলে , এর সাথে শিশুদের মানসিক
অসুস্থতার প্রসঙ্গটিউ খানিকটা জড়িয়ে ছিল । এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য আমাদের দেশে
যে সমস্ত শিশুরা স্কুলে যেতে পারছেনা বা যেতে চায়না তাদেরকে টোকাই হিসাবে ডাকা
হয় , তবে তাদেরকে মানসিক অসুস্থতার দুষে অভিহিত করা হয়না , এদিক দিয়ে আমরা
অনেকটা ভাল আছি । কিন্তু দেখা যায় অনেক কাল ধরে ফটোকো কে শিশুদের মানসিক
অসুস্থতা হিসাবে দেখা হতো। যাহোক, পোষ্টে থাকা কথামালা হতে জানা গেল গত
কয়েক দশকে ফুটোকোর সম্পর্কে ধারণা বদলেছে। এই পরিভাষা বদলে আরো
খানিকটা নিরপেক্ষ শব্দ ফুটোকো ব্যবহার শুরু হয়, যার অর্থ অনুপস্থিত এবং স্কুলে
শিশুদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য শিশুবান্ধব বহুমুখী কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা ‘
হচ্ছে এবং এর আশানুরুপ সুফল পাওয়া যাচ্ছে ।

হিকিকোমোরি শব্দটি প্রসঙ্গে মনে হল যে এটির ব্যবহার এবং স্বীকৃতির ক্ষেত্রে এমন জনপ্রিয়তা
অর্জন করেছে যে এটি এখন অনিচ্ছাকৃতভাবে অস্পষ্ট রোগ নির্ণয়ক হতে পারে। সাধারণ জনগণ
এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী উভয়ই সাধারণ কথোপকথন ও লেখায় হিকিকোমোরি শব্দটি
ব্যবহার করে। একটি শব্দের এই ধরনের ব্যাপক ব্যবহার শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের মধ্যে এটিকে
জীবন হানিকর এর মত কিছু এটা ভাবার জগতে নিয়ে যেতে পারে, যেমনটি বিশ শতকের প্রথম
দিকে নিউরাস্থেনিয়া শব্দটির সাথে ঘটেছিল। তাই মানসিক কোন ডিজঅর্ডারের পরিবর্তে
হিকিকোমোরি একটি সংস্কৃতি-আবদ্ধ -সিন্ড্রোম হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। একটি সুস্থ সাংস্কৃতিক
পরিবেশ সৃজন ও বহাল রাখাই হবে সর্বোত্তম নিরাময় মুলক ব্যবস্থা ।

মহিলাদের ডিম্বানু হিমায়িত করার বিষয়ে পোষ্টে থাকা লিংক ফলো করে জানতে পারলাম যে
এই প্রোগ্রামটি শুধুমাত্র ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী মহিলাদের জন্য প্রযুয্য হবে এবং অনেক
মহিলাই এই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ।

ভর্তুকি ছাড়া, মহিলাদেরকে তাদের ডিম্বানু হিমায়িত করার জন্য প্রায় ৫00,000-৬00,000 ইয়েন এর
সম্পূর্ণ খরচ দিতে হবে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৪লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা । তবে কর্মসুচীটিকে উৎসাহিত
করারজন্য ভর্তুকি দেয়া হবে বলে জানা যায় ।
ইতোমধ্যে উরায়াসু নামক একটি পাইলট প্রোগ্রামের অধীনে, মহিলাদেরকে মোট খরচের মাত্র ২০% প্রদান
করতে হবে । আশা করা যায় জাপানীরা এর সুফল পাবে । জাপান সহ পুরা বিশ্বই একটি দক্ষ ও কর্মমুখী
জন অধ্যুসিত দেশের দেখা পাবে, এর সুফল হবে অনেক সুদুর প্রসারী ।

পোষ্টে আরো অনেক বিষয়ে সুন্দর আলোচনা উঠে এসেছে । পরিশ্রমী মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
পোষ্টে থাকা লিংকগুলি পাঠকের জানা ও জ্ঞানের পরিধিকে নি:সন্দেহে আরো বড়াবে , এর জন্যও
বিশেষ ধন্যবাদ । পোষ্টটি পুর্বেই প্রিয়তে নেয়া হয়েছিল ।

শুভেচ্ছা রইল



২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব সময়ের মত লেখার কী পয়েন্টগুলো উঠে এসছে আপনার মন্তব্যে !! আপনার মন্তব্য যে কোন লেখাকে বুঝতে সহজ করে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার মন্তব্যের জন্যে।
প্লাস এবং প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা।

শুভেচ্ছা সতত।

৩১| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সব পোস্ট পড়া শেষ! নতুন একটা পোস্ট দিন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফাল্গুন চৈত্র এইদুইমাস বেশ ভোগাচ্ছে শ্বাসকষ্টে। আমার লেখালিখির মাথা আপাতত ব্লক।
খুব ইচ্ছে ইনশাআল্লাহ ফিরবো লেখা নিয়ে।

খোঁজ নিয়ে আগ্রহ করে লিখতে উৎসাহ দেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা সতত।

৩২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আজকে সামুর প্রথম পাতায় দেখা ব্লগার
সত্যপথিক শাইয়্যান এর একটি পোষ্ট হতে
জানতে পেরে এলাম এখানে ।
জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া !লম্বা সময় পর উত্তর দেবার জন্যে ক্ষমা চাইছি।
ঈদ শুভেচ্ছা আপনার ও আপনার পরিবারের জন্যে।

৩৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনি ও আপনার পরিবাবের সকলের প্রতিও
রইল ঈদ শুভেচ্চা ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ !
ঈদ মুবারক।

৩৪| ২১ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

মিরোরডডল বলেছেন:



মণিপু, মনে হচ্ছে কত বছর পর তোমাকে দেখছি!

এতদিন কোথায় ছিলে?

ঠিক আছোতো?

২১ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যালো ডল !!!
আলহামদুলিল্লাহ ঠিক আছি, ছিলাম সেই আমার বৈরাগ্য আর লিখতে না পারার প্যারায় ;)
বেশ অনেককিছু ঘোতে যাচ্ছে জীবনে সব প্রায় একসাথে, সেসব নিয়ে একটু ব্যস্ত। কয়দিন আছি ব্লগে আশা করছি।
হোপ তোমরা সবাই ভালো ছিলা। কথা হবে পোষ্টে পোষ্টে মন্তব্যে আর প্রতিমন্তব্যে।

৩৫| ২১ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:



অনেক কিছু কি কি ঘটে যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে, তোমার বৈরাগ্য নিয়ে লেখো।
কতদিন নতুন লেখা নেই!

কথা হবে পোষ্টে পোষ্টে মন্তব্যে আর প্রতিমন্তব্যে।

Okie dokie :)


২১ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলেই কতদিন লিখি না :(
আচ্ছা লিখবো :)

৩৬| ০১ লা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



জাপানীদের জীবন যাপন ভয়াবহ! তারচেয়ও ভয়াবহ জাপানে থাকা প্রবাসীদের জীবন যাপন।

০১ লা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে !

প্রবাসীদের তেমন গল্প হয়ত এক সময় উঠে আসবে কারো লেখায়। আর যাপিত জীবনে নিরবিচ্ছিন্ন ভালো থাকা বলতে সত্যি ই কিছু নেই। জীবনের অনেক রঙ ।

৩৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:



প্রিয় মনিপু,

কিছু পোষ্টের মন্তব্য থেকে জানলাম তোমার আপুর চলে যাওয়ার কথা।
আমার ভাই আর তোমার বোন একমাস আগে পরে চলে গেলো।
we two are in the same page and we know each other's pain.
তোমার এবং পরিবারের সকলের জন্য আমার অন্তর থেকে সহানুভূতি।

যে বা যারা চলে যায়, সেতো চলেই যায় কিন্তু কি ভীষণ এক শূন্যতা রেখে যায় আমরা যারা থাকি আমাদের বুকের ভেতরে।
সময় যদিও সাময়িকভাবে সব ভুলিয়ে রাখে, আবারও আগের মতো দৈনন্দিন জীবনে ফিরে যাই, হাসি গল্প করি, জীবন চলে জীবনের নিয়মে কিন্তু কোথায় যেনো কি একটা নেই নেই। প্রিয়জন হারানোর সেই শূন্যতা অবচেতনে আমাদের গ্রাস করে থাকে।

আমরাতো ভার্চুয়াল জগতের মানুষ, আজ আছি কাল নাও থাকতে পারি।
শুধু এটুকু যেনো তুমি আমার অনেক পছন্দের একজন মানুষ আর তোমার জন্য আমার বেস্ট উইশ অলয়েজ থাকবে।
প্রিয় আপু তুমি তোমরা অনেক অনেক ভালো থেকো।



০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ডল
ভালোবাসা নিও।

৩৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার বোনের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাত নসীব করুন!
অনেকদিন হয়ে গেল। নতুন একটা পোস্ট দিলে ভালো হতো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দরদি মন্তব্যের জন্য ভাইয়া ! আমার বোনের জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুন।
চেষ্টায় ছিলাম নতুন পোষ্ট এর, আশা করছি আবার লেখায় ফিরতে পারবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.