নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে গেলে- তবু কিছু থাকবে আমার : আমি রেখে যাবোআমার একলা ছায়া, হারানো চিবুক, চোখ, আমার নিয়তি

মনিরা সুলতানা

সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ

মনিরা সুলতানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

দ্যা জাপানিজ ওয়াইফ
১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী নারী চলেছেন সেখানকার রেডিও ষ্টেশনের দিকে। বেতারের তরংগে ছড়িয়ে দিতে তাঁর মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনের গৌরবান্বিত বিজয় গাঁথা, ইতিহাস হয়ে উঠবার আকাঙ্ক্ষা।

বলছিলাম বাংলার প্রথম নারী যিনি একজন ভিনদেশি বিয়ে করেছিলেন, বই লিখেছিলেন, জাপান গিয়েছিলেন, সেই হরিপ্রভা তাকেদার কথা। বর্তমান সময়ে আগামীর দিকে তাকিয়ে ইতিহাসে নথিতে যে অনুপ্ররণা খুঁজতে যাই। সেখানে নিজের প্রভায় নামের প্রভা ছড়ান হরিপ্রভা বসু মল্লিক। যদিও এই মহিয়ষী কে নিয়ে খুব বেশি প্রচার নেই।তাই হয়ত ২০২১ সালে ​​হরিপ্রভা কে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রের নাম ‘অ্যান আনসাং ট্রাভেলার অফ বেঙ্গল’।

আধুনিক, সাবলম্বী নারী হরিপ্রভার জন্ম ১৮৯০ সালে। ​​ঢাকা জেলার খিলগাওঁ গ্রামে। বাবা শশীভূষণ মল্লিক ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সক্রিয় কর্মী।১৮৯২ সালে তিনি ঢাকায় নিরাশ্রয় মহিলা ও শিশুদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে মাতৃনিকেতন নামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। যতটুকু জানা যায় শৈশব থেকেই হরিপ্রভা আশ্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন, ইডেন স্কুলে মেট্রিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ব্রাক্ষ্মসমাজের মেয়ে হিসেবে সুশিক্ষা, অপার স্বাধীনতা, সাথে পেয়েছিলেন মুক্ত চিন্তা করার দুর্দান্ত চিন্তাশক্তি। ​​

আশ্রমে কাজ করার সুবাদে তার পরিচয় হয় জাপানি যুবক ওয়েমন তাকেদার সঙ্গে। তাকেদা তখন ঢাকায় কেমিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। পরিচয়, আশ্রমের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, হৃদ্যতা এবং প্রণয়। ১৯০৭ সালে ১৭ বছর বয়সে পরিবারের সম্মতিতে নববিধান ব্রাহ্মসমাজে তাদের বিয়ে। বিয়ের পর ওয়েমন তার শ্বশুরে' র সহযোগিতায় ঢাকা সোপ ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করেন। বছর খানেক পরে আর্থিক ক্ষতির মুখে, পাট চুকিয়ে সস্ত্রীক জাপানে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। ২২ বছর বয়সে সেই হরিপ্রভার প্রথম জাপান ভ্রমণ। সে যাত্রার সংবাদ প্রচারিত হতেই দেশে হইচই পড়ে যায়। দিনাজপুরের মহারাজা তাকেদা দম্পতিকে ২৫ টাকা এবং ঢাকায় বসবাসকারী জাপানি ব্যবসায়ী কোহারা তাদের ৫০ টাকা উপহার দেন। ব্রাহ্মসমাজের পক্ষ থেকে তাদের শুভকামনা প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ৩ নভেম্বর ১৯১২ হরিপ্রভা ঢাকা থেকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ, সেখান থেকে স্টীমারে গোয়ালন্দ পরে ট্রেনে কলকাতা। ৫ নভেম্বর তারা কলকাতা থেকে জাহাজে করে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পোর্ট মোজিতে পৌঁছন ১৩ ডিসেম্বর। হরিপ্রভার জাপানে আগমন সংবাদ জাপানের দু'টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। সফরে চার মাস সময়ে তিনি শুধু তার শ্বশুরবাড়িই নয় জাপানের সমাজ ব্যবস্থাকেও খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। তিনি জাপানের সামাজিক রীতিনীতির খুঁটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন। ১২ এপ্রিল ১৯১৩ তারা দেশে ফেরার যাত্রা শুরু করেন, ফিরে তিনি 'বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা' নামে একটি ভ্রমণ বৃত্তান্ত লেখেন। যা সেসময়ে শিক্ষিত সমাজে আলোড়ন তোলে। যে জাপান সম্পর্কে তখনকার দিনে বাঙালির তেমন কোনো ধারণাই ছিল না, সেখানে পূর্ববঙ্গের এক নারী পৌঁছে গেলে এবং নিজের চোখ দিয়ে দেখা এক নতুন সমাজ-সংস্কৃতিকে সাবলীল ভাষায় বইয়ের পাতায় উঠিয়ে আনলে, সে বইয়ের একটি আলাদা কদর তো থাকবেই।

বই পড়ে আমরা জানতে পারি হরিপ্রভার জাপান দেখার আগ্রহ ছিল অপার। হরিপ্রভার নিজের লেখায় সেটা ফুটে উঠেছে -
“আমার যখন বিবাহ হয়, তখন কেহ মনে করে নাই যে আমি জাপান যাইব। কাহারও ইচ্ছাও ছিল না। কিন্তু আমার বড়ই ইচ্ছা হইত আমি একবার যাই। সে ইচ্ছা স্বপ্নেই পর্য্যবসিত হইত। বিবাহের পর শ্বশুর-শ্বাশুড়ির আশীর্ব্বাদ লাভ করিতে ইচ্ছা হইত। তাঁহাদের নিকট পত্র লিখিয়া যখন তাহাদের ফটোসহ আশীর্ব্বাদ পূর্ণ একখানি পত্র পাইলাম ও তাঁহারা আমাদের দেখিবার জন্য আগ্রহান্বিত হইয়া পত্র লিখিলেন, আমার প্রাণ তখন আনন্দে ভরিয়া গেল। তাঁহাদিগকে ও তাঁদের দেশ দেখিবার আকাঙ্ক্ষা প্রাণে জাগিয়া উঠিল। ঈশ্বরেচ্ছায় আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইতে চলিল

জাপানে গমন, আতিথেয়তা, ভারতীয়দের নিয়ে জাপানিদের ঔৎসুক্য, সে সমাজ ব্যবস্থার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য উঠে আসে লেখায়। শহর কোবে, টোকিও, ওসাকা ভ্রমণের কথা ও শ্বশুরবাড়ির গ্রামে যাওয়ার বর্ণনা আছে এ গ্রন্থে। ছোট পরিসরে হলেও তিনি জাপানী সমাজ, রাস্তাঘাট, ধর্ম, কৃষি, বাড়িঘর, পোশাক, খাদ্য ও জাপানীদের চালচলনের কথা লিখেছেন। ১৯১৫ সালে উয়ারীতে মুদ্রিত বইয়ের মূল্য রাখা হয়েছিল চার আনা।

রবি ঠাকুরের ‘জাপান যাত্রী’- বই প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৯ সালে। নিঃসন্দেহে সে লেখায় জাপানি নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু সেই বই এর প্রায় দশ বছর আগে এক বাঙালি নারীর ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি এবং জীবনদর্শনও খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধরা দেয়, হরিপ্রভার লেখায়। হরিপ্রভার যে যে প্রখর পর্যবেক্ষণ শক্তি ছিলো তার প্রমাণ আমরা উনার লেখায় পাই, ভ্রমণ কালে উনি নিজস্ব সেই প্রখর পর্যবেক্ষণ শক্তি কে কাজে লাগিয়ে জাপানের সামাজিক রীতিনীতি ও আদবকায়দাগুলো খেয়াল করেন, এবং বাংলায় দেখে যাওয়া সমাজের রীতি ও প্রথার সাথে তুলনা করে লিপিবদ্ধ করেন পাতায়।

“মেয়েদের পতি, বাড়ির আত্মীয়-স্বজন ও শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা পরম ধর্ম। ইহার কোনোরূপ অন্যথা হইলে স্ত্রী অত্যন্ত লাঞ্ছিত হন। এমনকি শাশুড়ির অপছন্দ হইলে স্বামী অনায়াসে স্ত্রী পরিত্যাগ করিতে পারেন।”


জাপানের মন্দির, নববর্ষের উৎসব, মেয়েদের স্কুল, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিকতা, আচার-অনুষ্ঠান, গৃহস্থালির খুঁটিনাটি ইত্যাদি নানা বিষয়ের পরিচয় তিনি দিয়েছেন। তিনি দেখেছিলেন, জাপানে মেয়েরা ভারতবর্ষের মতো পর্দানশিন বা গৃহসীমায় আবদ্ধ নয়। “বাজারে, দোকানে, স্টেশনে, পোস্টাফিসে সর্বত্র মেয়েরা কাজ করে। আমোদ প্রমোদ স্থলে যেখানে অত্যন্ত জনতা হয়, মেয়েরা সেখানে তত্ত্বাবধান করে। তামাশা দেখার জন্য টিকিট বিক্রয়াদি মেয়েরাই করে। মেয়েদের অবরোধ নাই; তাহারা পুরুষের সঙ্গে একত্রে কাজকর্ম করে, চলে ফেরে, তাহাতে কোন বাধা বা সঙ্কোচ নাই।”

শুরুতে লিখেছি এক অকুতভয় রমণীর জীবন যুদ্ধের স্মৃতি, যা হরিপ্রভার জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান সরকার সমস্ত জাপানি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেয়। ১৯৪১ সালে স্বামীর সাথে পাকাপাকি ভাবে জাপানে থাকার উদ্দেশ্যে বোম্বে থেকে জাহাজে উঠতে হয় হরিপ্রভাকে। জাপানে গিয়ে প্রথমবার যে আত্মীয়স্বজনদের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন, এবার কোনোকিছুই ছিল না। একসময়কার শান্ত-সুশৃঙ্খল জাপান যুদ্ধের তাণ্ডবে পুরোপুরি বিপর্যস্ত। চলছে অর্থনৈতিক সঙ্কটও। ফলে হরিপ্রভাদের বাসস্থান বা উপার্জন কিছুই ছিল না। সাথে স্বামী উয়েমনের শারীরিক অসুস্থতা, সব মিলিয়ে সমস্যা ক্রমশ প্রকট হতে থাকে হরিপ্রভার জন্য। গভীর রাতে মাথায় হেলমেট দিয়ে চলে যেতেন টোকিও রেডিও স্টেশনে। শুরুর দিকে পরনে শাড়িই থাকত। কিন্তু ঠিকমতো যে বাড়িতে ফিরতে পারবেন, তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই পেটিকোটে একটি পকেট বানিয়ে সেটির ভেতর পাসপোর্ট, টাকাপয়সা, গয়নাগাটি বহন করতেন তিনি। যুদ্ধ শেষ হবার আগে দিনদিন পরিস্হিতি আরও খারাপ হতে শুরু করলো। ক্রমেই রেল লাইন ধ্বংস , রেকর্ড প্রস্তুত কারখানা ধ্বংস। হিন্দি ফৌজের রেকর্ডিং ও বন্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধ জাপানের সাধারণ জীবনে যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছিল, সেই আতংক লিখেছেন তিনি। ডিসেম্বরের এক বিকেলের বিবরণ দিয়েছেন হরিপ্রভা এভাবে -

“বিকেল সাড়ে তিনটায় রেইড বন্ধ হওয়া মাত্র বেড়িয়ে পড়ি , রেইড এরপর একা পথ চলা আমার পক্ষে দুষ্কর বিধায় আমি ঐ বাড়ির ১৩ বৎসর বয়স্কা মেয়েটিকে নিয়ে রওনা হই। রেললাইন নষ্ট হওয়ায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। মেয়েটি আমায় তাদের বাড়ি ফিরিয়ে নিতে চায়। আমাদের বাড়ি ও স্বামীর জন্য দুশ্চিন্তায় আমার বাড়ি যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। … ট্রেন পথ ছেড়ে অন্য রাস্তার লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রামে অতিকষ্টে উঠে যতটা সম্ভব এগিয়ে অতঃপর মধ্য পথ থেকে হেঁটে বাড়ি চললাম। রাস্তার দুপাশে বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, জল কাদা ছাই ইলেকট্রিক তার ছড়াছড়ি। আমাদের বাড়ির এলাকায় এই কাণ্ড দেখে আমি ত মৃতপ্রায় হয়ে মেয়েটিকে জড়িয়ে পথ চলছি। গাড়ি বোঝাই মড়া, ট্রেচারে আহতদের নিয়ে চলেছে। ভগবানকে ডাকতে ডাকতে রাত্রি ১০ টায় বাড়ির দিকে কিছুটা যেয়ে দেখি, এই পাড়া বেঁচে গ্যাছে।’’

১৯৪৫ এর অভিশপ্ত ৬ আর ৯ আগস্ট জাপানেই ছিলেন। হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে আণবিক বোমা পতনের অভাবনীয় ধ্বংসলীলা নিয়ে বেশি কিছু লেখা নেই।

ছবিতে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর সাথে হরিপ্রভা তাকেদা।

১৯৪৭ সাল যুদ্ধ শেষ, শুরু হয় এই অভিযাত্রিক রমণীয় জীবনের তৃতীয় ও শেষ অধ্যায়। অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে দেশে ফিরে পশ্চিমবঙ্গে জলপাইগুড়িতে বোন অশ্রুবালা মল্লিকের সাথে বসবাস শুরু। পরের বছর স্বামী অনন্তে পারি জমান। স্বামীর মৃত্যুর পরও ভেঙে পড়েননি, থেকেছেন দৃঢ়চেতা এবং সমাজ কর্মী। একাকী জীবনে একবার ভয়ংকর দুষ্কৃতিকারীর হামলায় ভীষণ ভাবে আহত হন, সে সময়ে হাসপাতালে ভর্তি! তখন ও প্রিয়জন দের সাহস যুগিয়েছেন
" ওরে তোরা ভয় পাস নে, আমার কিছু হবে না আমি যে মেইড ইন জাপান !


হরিপ্রভা তাকেদা' র পরিচয় তার লেখায়, একটা ছোট্ট বই যে কত সাধারণ অথচ আকর্ষণীয় হয় ! কতভাবনার জন্ম দেয়! কত উত্তর না জানা প্রশ্ন মনে ভিড় করে! এই বইটি না পড়লে বুঝা মুশকিল। সব সময় কি সবাই একটা উন্নত সাহিত্য মান সম্পন্ন বই খুঁজি? ভালো লেখা কি সব সময় মনে আনন্দ দেয় ? ​​​​সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেও কিছু লেখা আকর্ষণীয়। তার লেখা " বঙ্গ মহিলার জাপান যাত্রা" টি বাংলায় লেখা সেরা ১০০ ভ্রমণ বই এর তালিকায় স্থান পেয়েছে। রচিত অনান্য গ্রন্থাবলী জ্ঞানদেবী, আশানন্দ ও ব্রহ্মনন্দ কেশবচন্দ্র সেন। এছাড়া সমসাময়িক পত্রিকায় জাপানী জীবন যাত্রা নিয়ে ধারাবাহিক ও লিখেছেন তিনি।

১৯৭২ সালে এই অভিযাত্রি তার শেষ ভ্রমন যাত্রা শুরু করেন, অনন্ত মহাকালের যাত্রা।


তথ্যসূত্রঃ উইকি পিডিয়া।
প্রথম আলো

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: লেখাটা আগে পড়েছিলাম ব্লগে মনে হয়। আপনিই দিয়েছিলেন কি ? অবস্য তথ্যুসুত্র যেহেতু উইকিপিডিয়া তাই একই রকম হতে পারে।

২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বই রিভিউ ছিল, এবারে জীবন নিয়ে লিখলাম।
ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নিয়ে খুব বেশি কিছু তো লেখার সুযোগ নেই, সেই অনলাইনে যেটুকু পাওয়া যায়। তবে আমি হরিপ্রভার লেখা বইখানি সংগ্রহে রেখেছি।

২| ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: অজানা এক অসম সাহসী বঙ্গনারীকে জানা হলো আপনার এ পোস্টের সুবাদে। তার বই এর শিরোনামটাও চমৎকার। + +
পোস্টের সূচনা ও সমাপ্তির অনুচ্ছেদ দুটো খুব ভালো হয়েছে।

২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখাটা অনেকদিন থেকেই জমা ছিলো, গতকাল করুনাধারা আপুর " সচলায়তনব্লগ" বন্ধ হয়ে যাবার ঘোষণা শুনে মনে মনে একটু ভয় পেলাম। আমাদের প্রিয় সামহুয়ারইন ব্লগের সাথে এমন কিছু না ঘটুক, সেই প্রচেষ্টার সাথে যে আছি তার প্রমাণ স্বরূপ সময়ক্ষেপণ না করে লেখাটা প্রকাশ করে দিলাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আহসান ভাই! সবসময় মগ্নপাঠ এবং চমৎকার উৎসাহিত মন্তব্যে আমার লেখার সাথে থাকার জন্য। হ্যাঁ শুরুতে বই এর শিরোনামেই আগ্রহ বেড়েছিল।

শুভেচ্ছা সতত।

৩| ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ভদ্রমহিলার কথা অল্প অল্প কোথায় যেন পড়েছিলাম। কিছুটা জানা জানা লাগছে। জাপান নিয়ে কোন বাঙ্গালী ওনার আগে মনে হয় লেখেনি। অনেক কিছু জানা হল। ওনার জন্মও খিলগাঁওয়ে আমার জন্মও খিলগাঁওয়ে। তবে সময়ের অনেক ব্যবধান আছে। ওনার সময় খিলগাঁও হয়তো সত্যিই গ্রাম ছিল। আমাদের সময়ে খিলগাঁওয়ের পাশে ঝিল ছিল শুনেছিলাম। অনেকটা গ্রামের মতই ছিল।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ রবীন্দ্রনাথ ১৯১৬ সালে জাপান ভ্রমণ করেন, হরিপ্রভা তারও বছর চারেক আগে ১৯১২ সালে এবং উনার বই প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। মোটামুটি ধরে নেয়া যায় হরিপ্রভার লেখাই প্রথম দিকের। আশা করছি বই টা পড়বেন ভালো লাগবে।
বাহ খিলগাঁও দেখছি গ্রেট গ্রেট লেখক জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন আগে থেকেই। উনার সময়ে খিলগাঁও যেমন ই থাকুক ঐ সময়ের হিসেবে নিশ্চয়ই আধুনিক ছিল।

৪| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৯

প্রামানিক বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম, চমৎকার লেখা, লেখার বাচনভঙ্গি এবং বর্ননা খুব ভালো হয়েছে।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ ছড়াকার ভাই!
আপনার মন্তব্য দারুণ উৎসাহ পূর্ণ।

৫| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলিতে ১৫০+ বছরের পুরনো ব্রাহ্ম সমাজের একটি উপাসনালয় বা মন্দির আছে।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলিতে ১৫০+ বছরের পুরনো ব্রাহ্ম সমাজের সেই উপাসনালয় নিয়ে কি আপনার কোন পোষ্ট আছে ভাই ?
ধন্যবাদ চমৎকার তথ্যের জন্য।

৬| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,




ফিরে এলেন এমন একজনার কথা নিয়ে যার কথা আগে জানা ছিলোনা। হরিপ্রভা যেমন অনেকদিনের পরে আপনার লেখায় প্রভাসিত হলেন তেমনি মনে হয় অনেকদিনের পরে আপনার এই লেখা দিয়ে আপনিও উদ্ভাসিত হলেন ব্লগে।

নিয়মিত ব্লগে থাকুন।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি'ই মনে হচ্ছে কতযুগ পর ফিরলাম ব্লগে লেখা নিয়ে! আমরা লেখার ধারাবাহিকতা একবার নষ্ট হয়ে গেলে ফিরতে অনেক সমস্যা হয়। সাথে তো যাপিতজীবনের প্যারা তো আছেই। সে যাইহোক ব্লগে ফিরতে লিখতে ব্লগিং করতে অপার্থিব আনন্দ, সেই আনন্দটুকু জীবনে ধরে রাখার জন্যই ব্লগে ফিরতে হয় নিয়মিত হতে হয়। আশা করছি আপনার সবার লেখার সাথেই থাকতে পারব ব্লগে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:২০

করুণাধারা বলেছেন: হরিপ্রভা তাকেদার কথা অনেকদিন আগে দেশ পত্রিকায় পড়ে খুব অবাক হয়েছিলাম। কারণ সেই যুগে ব্রাহ্মসমাজের উচ্চ বংশীয় কোন কোন নারী বিলাতে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়, কিন্তু জাপানের মতো অচেনা দেশে পাড়ি জমানো নারী একমাত্র বাঙালি নারী তিনি। ভালো লাগলো এই সাহসী নারীর জীবনের অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে।

ধুতি পরা জাপানির ছবিটা দেখে মজা পেলাম। কেন জানি জাপানিজ ওয়াইফ সিনেমার কথা মনে পড়ে গেল!!

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হরিপ্রভা আসলে সেই এলিট শ্রেণীর ও ছিলেন না বিলেত যাবার মত। মিঃ তাকেদা ভাগ্য অন্বেষণে ঢাকা এসে পরিবার বন্ধু বান্ধব বিহীন অবস্থায় অবসরে মাতৃ নিকেতনে শ্রম ও সময় দেয়া শুরু করেন আর বন্ধুত্ব হয়। তবে নিঃসন্দেহে হরিপ্রভা মানসিক ভাবে অনেক শক্তিশালী ছিলেন বলেই বিদেশী কাউকে বিয়ে এবং দেশ ভ্রমণের সাহস অর্জন করতে পেয়েছিলেন।

হাহা হ্যাঁ স্নেহময় ও অনেকটা দেখতে মিঃ তাকেদার মতোই।

ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৮| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: আজাগ হিন্দ ফৌজের সাথে যুক্ত হয়ে অনেক বাঙ্গালী জাপান গেজে।জাপানের পরাজয় তাদের জীবনে এক চরম বিপর্জয় নেমে আসে।জাপান জায়ী গলে ভারতের ইতিহাস অন্য ভাবে রচিত হতো।
সংগ্রামী জীবন ছিলে হরিপ্রভা তাকেতার।আগ্নিযোগের অনেক বিপ্লবীর সম্পর্কেই জানি কিন্তু তার সম্পর্কে কিছু জানা ছিলো না।আপনার কাছ থেকে জানলাম।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি বলতে পরিজিত যে কোন শক্তি যদি জয়ের মুখ দেখত তাহলে দু পক্ষের ইতিহাস ই অন্যভাবে লেখা হত। নিশ্চয়ই আজাদ হিন্দ ফৌজের সাথে যুক্ত হয়েছেন যারা তারা সেটুকু জানতেন, মেনে নিয়েছিলেন।
ভালো লাগলো একটা নতুন বিষয়ে আপনাকে জানাতে পেরে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১০

জুন বলেছেন: অসাধারণ রমনীর অসাধারণ বর্ননা মনিরা। সেই সময়েও বাংলাদেশের খিলগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করা এক বাংগালী মেয়ের বিদেশি বিয়ে, বিদেশ যাওয়ার দু:সাহসিক সিদ্ধান্ত সত্যি এক বিশাল ব্যাপার। তার উপর হিরোশিমা নাগাসাকিতে আনবিক বোমা বর্ষনের ঘটনা ছোট হলেও এটা উল্লেখযোগ্য বটে।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো।
+

২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয়াআপু!
লেখার মুগ্ধপাঠ এবং চমৎকার মন্তব্য প্রকাশের জন্য। যুগযুগ ধরে সময়ের আগে জন্মানো এমন সব অকুত ভয় মহীয়সী গন আমাদের কে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন, চমৎকৃত করে গেছেন উনাদের মহতী কর্ম দ্বারা। আমার নিজের প প্রিয় তালিকায় হরিপ্রভা তাকেদা।

১০| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হরিপ্রভা তাকেদা, প্রায় ভুইলা যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম আবার স্মরণ করার জন্য ধন্যবাদ লন।

ওরে তোরা ভয় পাস নে, আমার কিছু হবে না আমি যে মেইড ইন জাপান ! উনার সেন্স অফ হিউমার চমৎকার ছিল বোঝাই যাচ্ছে। তা ''মেইড ইন দুবাই'' এর কাছ থেকে এই ধরনের কিতাব পাওয়ার সম্ভাবনা কতোটুকু? ;)

২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনাদের স্মরণ করিয়ে দেবার চেয়ে আমার নিজের ই স্মরণে রাখা বেশি দরকার হয়ে গেছিলো দাদা। এমন সব ইতিহাস সবসময় নতুন কিছু করা বা এখন ও করার অনেক কিছু বাকি ধরনের উৎসাহ আনে মনে।

মেইড ইন দুবাই খুব জৌলুস অথবা টেকসই কিছু না হবার সম্ভাবনাই বেশি ;) মেইড ইন বাংলাদেশ হিসেবেই দেখি যদি নতুন কোন কিতাব আসে কিনা, সে দুবাই সিঙ্গাপুর অথবা দিল্লি মুম্বাই যাই হোক না কেন।

ধন্যবাদ ভ্রাতা মজার চলে উৎসাহ রেখে যাবার জন্য।

১১| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ২:০৫

জোবাইর বলেছেন: হরিপ্রভা তাকেদা! আমরা অনেকের জন্য অজানা এক অভিযাত্রীর নাম! আপনার চমৎকার উপস্থাপনায় সেই অভিযাত্রীর জীবনকাহিনী জেনে খুবই অভিভূত হলাম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বামীর হাত ধরে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলার কোনো নারীর জাপান ভ্রমণ খুবই দুঃসাহসিক এক অভিযান এবং একই সাথে বাঙালি নারীর শাশ্বত প্রেমের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।

২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার নিজের জীবনেও অজানাই ছিল, উনার বই এর সাথে আমার প্রথম পরিচয়, এরপর ভালোলাগা এরপর হরিপ্রভা তাকেদা কে জানা। নতুন কিছু করা বা দেখার যে অনুসন্ধিৎসু মন বাঙ্গালী রমণীদের তা সবসময় আমাকে ভীষণ আকৃষ্ট করে, আর সাথে থাকে চিরায়ত শাশ্বত প্রেম। সত্যি ভীষণ ভাবেই মনমুগ্ধকর।

ধন্যবাদ আপনাকে পাঠে এবং মন্তব্যে।

১২| ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট। হরিপ্রভা তাকেদার কথা জানা ছিলো না। বাঙালী এই নারীর অসামান্য জীবন কাহিনী জানতে পেরে মুগ্ধ হলাম। "বঙ্গমহিলার জাপানযাত্রা" বইটি পড়ার আগ্রহ অনুভব করছি।

রবীন্দ্রনাথের "জাপান যাত্রীর" উল্লেখ করেছেন দেখে লেখাটা আরও কৌতুহলোদ্দীপক হয়েছে। তবে সময়ের হিসেবে সামান্য কিছু গড়মিল হয়েছে বলে মনে হল। রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার জাপান গিয়েছিলেন ১৯১৬ সালে (পরে আরও দুবার ১৯২৪ এবং ১৯২৯ সালে)। আর তার জাপান যাত্রী প্রকাশিত হয় ১৯১৯ সালে। সে হিসেবে হরিপ্রভা তাকেদার "বঙ্গমহিলার জাপানযাত্রা" ১০ বছর নয়, ৪/৫ বছর আগে প্রকাশিত হয়।

২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: "বঙ্গমহিলার জাপানযাত্রা" বইটি পড়ুন আশা করছি ভালো লাগবে। আমার তো বেশ লেগেছে সেই সময়ের গ্রামের জাপানের বর্ণনা, জাহাজে ভ্রমণ। খাদ্য জীবন যাত্রা সবকিছু ই আলাদা।

আপনার কারেকশন ঠিক আছে আমার লেখায় ও সাল উল্লেখ করেছি, সে হিসাবেই প্রায় দশ লেখা। যদিও ৪/৫ আর প্রায় দশ এর পার্থক্য বেশ কিন্তু দুজনের পরিচিতি প্রতিভা, সুযোগ সম্ভাবনা সেসব ও তো উনিশ বিশ নয় এক্কেবারে দুই আর বিশের পার্থক্য।
ধন্যবাদ অসামঞ্জস্যতা তুলে আনার জন্য।

১৩| ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এক অজানা ইতিহাস পাঠে মুগ্ধ হলাম।

২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ সরকার সাহেব !
আপনার মুগ্ধতার রঙ লাগুক আমার লেখায়।

১৪| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: এর আগে ইঁনাকে নিয়ে আপনার কিছু একটা লেখা পড়েছিলাম মনে পড়ছে- প্রথম মন্তব্যের উত্তরে সেটা নিশ্চিত হলাম! চরম পুরুষতান্ত্রিক জাপানিজরা নারীদের নিজেদের স্বার্থে কিছুটা স্বাধীনতা দিলেও কখনোই মর্যাদা দেয় নি। পুরো এশিয়াতে নারীদের অবমাননায় জাপান ছিল অন্যতম নিষ্ঠুর রাষ্ট্র। এখনো ভেতরে ভেতরে ওরা নারী বিদ্বেষী।
যাই হোক কিছু মানুষতো ভিন্ন অবশ্যই- সেই হিসেবে তাকোদা অন্যরকম ছিলেন।
হরিপ্রভা ও ঠাকুরের জাপান ভ্রম ছিল ভিন্ন রকমের। একজন সমাজের ভেতরকার ব্যাপার স্যাপার দেখেছন নিবিড়ভাবে আরেকজন বাইরের।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ না লাগলে কিংবা মিত্র শক্তির কাছে ওরা না হারলে এবং তাকোদার এমন অকাল মৃত্য না হইলে পুরো সিনারি অন্যরকম হইতে পারত :) মহিলা সৌভাগ্যবতী!

২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ১৮৯০-১৯৭২ ! অকাল মৃত্যু বলা যায় নাকি ?
আপনার মনে আছে কিনা জানি না বিটিভি তে ওশিন নামে একটা জাপানি সিরিজ প্রচারিত হত ? সেখানে অনেক কিছুই উঠে এসছে সমাজের অসংগতি।

ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

১৫| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: তাকোদা বলতে তাঁর স্বামীর নাম বলেছি- হরিপ্রদার নাম নহে।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা এখন বুঝতে পেরেছি :)

১৬| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ২:৩১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা'
.........................................................
বিষয়টি চমৎকার !
আমি যখন জাপান ঘুরি তখন জানা থাকলে,
কিছু ইতিহাস অনুসন্ধান করতে পারতাম ।
তখন লেখালেখি করতাম না , ২/১টি কবিতা লিখতাম ।
আমিও কোবে, টোকিও, ওসাকা ভ্রমণ করেছি ,
আমাদের গাইড অনেক ইতিহাস বলেছিলো,
এখন আফসোস করি তখন যদি প্রতিদিনের ডাইরী লেখার অভ্যাস থাকতো
তাহলে, বর্তমান জাপানের অনেক কথা তুলে ধরতে পারতাম ।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ সত্যি ডাইরি লেখার অভ্যাস জীবনের মূল্যবান সব স্মৃতি লিপিবদ্ধ থাকে। আমার ও মাঝে মাঝে এমন মনে হয়।
ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যে লেখার সাথে থাকার জন্য।

১৭| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:৫৪

শায়মা বলেছেন: এই নামই তো জীবনে শুনিনি। কাল বিকালে স্কুল থেকে ফিরে এসে পড়বো। :)

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:০১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নাম শুনে আর কি করবা বল, আমাদের জন্য প্রথম হবার মতো তো কিছু বাকি ই রাখেন নাই উনারা। তুমি বরং স্কুল থেকে ফিরে পড়েই ফেলো পোষ্ট।

১৮| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:২২

শায়মা বলেছেন: স্কুল থেকে ফিরে আবার বের হতে হয়েছিলো। তারপর বাসায় আসলাম ৯ টার দিকে মনে হয়। তারপর থেকে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কয়েকটা প্ল্যান আর বিল আর রিপোর্ট লিখছি। ঘুমিয়ে লিখছি বলে শেষই হচ্ছে না!!! একটু ঘুমাই একটু লিখি ..... :((

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাপি ঘুমুঘুমু লেখালিখি।

১৯| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:২৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: এখন তো কত হরিপ্রভা বাঙাল যুবকদের টানে এদেশে চলে আসে

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি ভাই দিন বদলাইছে না!

২০| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




লেখাটির আদ্যপান্ত এক নজর দেখে
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । পরে সময়
করে আসব বিস্তারিত মন্তব্য লেখার
জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ভাই!
আশা করছি আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য লেখার আবেদন বাড়বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.