নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামু র বয় বৃদ্ধার ব্লগ
নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে উঠা ঢাকা। সেই কাকডাকা অমঙ্গলে ভোর। হোটেলে হোটেলে চুলা জ্বালাবার তোরজোড়, রিকশার টুংটাং মায়ের বালিশের নিচে মোবাইলের অ্যালার্ম। বাচ্চাদের স্কুল বাবাদের অফিস আর মায়েদের কাজের ফেরার ব্যস্ততা নিয়ে জেগে উঠে এই শহর। খুব খুঁজে দেখলে তেমন কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু রেসিডেন্টশিয়াল স্কুলের রাষ্ট্রের হাতে খুন হওয়া বাচ্চাটার বাসায় আজ সেই প্রতিদিনের ঢাকা হয়ে আসে নাই। আসে নাই এক এম আই এস টির বাচ্চাটার বাসার সেই রুমে। এইসব ঠিকানার আনন্দ বেদনা ভবিষ্যৎ সবকিছু কেঁড়ে নিয়েছে একটা দেশের অবৈধ স্বৈরাচারী রাষ্ট্র ক্ষমতা।
অযুত সাফল্য হাতছানি দিয়ে ডাকা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গর্বিত পিতামাতা হিসেবে যাদের মিডিয়া আলো করে উজ্জ্বল হাসিতে সাক্ষাতকার দেবার কথা। আনন্দিত ঈষৎ লজ্জিত অথচ গর্বিত কণ্ঠে যাদের বলার কথা জানেন ছোট বেলায় একদম সবজি ভালোবাসতো না। ওর আগ্রহ ছিল রোবট নিয়ে সারাদিন বাসায় ভাঙা টুকরো জোরা দিয়ে কেবল নতুন কিছু তৈরি। সেই বাবা মাকে আজ কান্না জড়িত কণ্ঠে বলতে হচ্ছে আমার সান্তান হত্যার বিচার চাই। কাঁপা আঙুলে ফেসবুক স্ট্যাটাসে টাইপ করতে হচ্ছে “ আমার বুকের ধন কে কেঁড়ে নিয়েছে ওরা , আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। ওহ কী বলছি এখন তো আমাদের সেটুকু বিষাদ প্রকাশের ও অধিকার নেই।
পীরগাছা গ্রামের আবু সাইদের বাসার কিচিমিচি পাখি ঢাকা ভোর ও অন্যদিনের চাইতে আলাদা। বাসার সবচাইতে ছোট ছেলে, আদরের বোনের ভাই আজ শুয়ে আছে একলা কবরে। চট্টগ্রামের সেই যুবকের পরিবারের আজকের সকাল কেমন ছিল ? সকালের গ্যাসের চুলায় কি চায়ের পানি ফুটছে ? পাশের দোকানের ছোলার ডাল আর পরোটা আনতে কি কাউকে পাঠানো হয়েছে? না না মরা বাড়িতে তো চুলা জ্বালাতে নেই, নিশ্চয়ই প্রতিবেশী আত্মীয় পরিজনদের বাসা থেকে আজকে খাবার এসেছে।
‘বুকের ভিতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’ -
প্রথমে ভয় দেখালো, নাহ এর সিনা দেখি এখন ও টানটান! আবু সাঈদ রা বুঝতে পেরেছিলো এই পুলিশ গোলাভরা রেশনের চাল চিনি ডাল আর উৎসব ভাতা ক্ষমতার অপব্যবহারের বিবেক বন্ধক দিয়ে আসা। তাই গুলি খাবে সেটুকু বিশ্বাস নিয়েই এসেছিলো।
ভয় দেখানোর পর প্রথম একটা গুলিতে সে বিশ্বাসের ভিতে টলতে টলতে দাঁড়িয়ে গেছে। হাতে পায়ে পিঠে গুলিতে কি মারতে পারবে ? না পারবে না তাই সহপাঠী বন্ধুদের সাহসের বাতিঘর হিসেবে আলোক বিচ্ছুরণ শুরু করলো সটান শাল বৃক্ষের মতন। পরের গুলিতে আর আধপেটা খাওয়া শরীর আর মানলো না। যেনো কাটা কলাগাছ হয়ে মাটি স্পর্শ করলো। না মাথা নীচুকরে নেতিয়ে পরা নয় মোটেই।
আবু সাঈদ তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই বুঝে গিয়েছে সে অর্ধমৃত। তাদের শিক্ষা শেষে চাকুরীর সম্ভাবনা নেই। আবু সাঈদদের কোটা নেই , দরিদ্র পিতার প্রশ্ন কেনার টাকা নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কর্পোরেট চাকুরীর যোগ্যতা নেই। দেশ ছাড়ার বিন্দুমাত্র সুযোগও নেই তার কাছে। রাষ্ট্র যোগ্য হতে সুযোগ দেয় না সাহায্য করে না, কারন সে জায়গায় ভিনদেশীদের রাজত্ব করে দিয়েছে, দিয়েছে অবাধ চাকুরীর সুযোগ। অর্ধ মৃতদের মৃত্যুর ভয় থাকবে না সেটুকু কী রাষ্ট্রের লেলিয়ে দেয়া সংস্থা বুঝতে পেরেছিলো?
রাস্টের প্রধান, অবাধ্য ছাত্রদের দেখে নেবে ছাত্রলীগ হুকুম দেয়া মন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রী, ইতিহাসের পাতায় নিকৃষ্ট ন্যায়নীতি বিহীন একটা রাজনৈতিক দলের সমর্থক, পুলিশ বিজিবি এমন কি নির্বিচারে গুলি করা সমস্ত বাহিনীর সবাই আজ সকালে পরিপূর্ণ পরিবার নিয়ে নিত্যদিনের মত ব্যস্ততা নিয়ে জেগে উঠা একটা ভোর দেখছে। শুধু কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ হওয়া পরিবার গুলো বুকের ভেতর অপরিসীম যন্ত্রণা নিয়ে অক্ষম আক্রোশ আর কণ্ঠে অভিশাপ নিয়ে জেগে উঠেছে।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিংশ শতাব্দীতে নাকি শোকের আয়ু বড়জোর একদিন, কিন্তু আপনজনদের বেলায় সমস্ত জীবনের শূন্যতা।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: একদিকে কোমলমতি ছাত্র-জনতা, আরেকদিকে সরকার, বিটিআরসি, পুলিশ, ছাত্রলীগ, র্যাব, আনসার, বিজিবি, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী। কার জেতার কথা? কে জিতেছে?
শাহবাগ নামের জোকারদের আন্দোলনের সময় এক হাদারাম কার্টুনিস্ট শহীদ (!) হয়েছিল চিৎকার করতে করতে। আরেক কুত্তা (রাজীব হায়দার) মরেছিল গলির মুখে ছিনতাইকারীর ছুরিতে। আর এবারের যারা মারা গেল, সব নিরবে নিভৃতে। অশুভ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমন দিন তো আমাদের দেখার কথা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দেশের সমগ্র বিশ্বের ভবিষ্যৎ, আগামীর পৃথিবীর অগ্রযাত্রার নায়ক। পরিবর্তনের মেধা শক্তি সাহস এবং আত্ম বিশ্বাস ছাত্রদের থাকে, ছাত্র শক্তি যখন একত্রিত হয় তখন পরিবর্তন আসতে বাধ্য। সম্মিলিত ছাত্র শক্তি কখনো ভুল পথে যেতে পারে না।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
শায়মা বলেছেন: যখনই ভাবি আবু সায়ীদের মৃত্যুদৃশ্য তখনই কুঁকড়ে যাই। কত কিছু মনে হয় তার মনে হয়েছিলো সেই মুহুর্তে। মরে যাওয়া মানুষের মা বাবা আত্মীয় স্বজনের কষ্ট অনেক বেশি কিন্তু আমার বুক ফেটে যায় অবাক হয়ে যাওয়া ঐ বোকা ছেলেটার জন্য যে কিনা জানতোই না মুখ খোলা বা কিছু চাওটাই নাকি অন্যায়।
অবাক পৃথিবীর অনেক অবাক হতে বাকী ছিলো তার.....
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক কিছু বাকি ছিল তো সামনে ছিল অনন্ত ভবিষ্যৎ।
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপু অনেকদিন পর আপনার পোস্ট। আপনার ব্লগিং খুবই সুইট লাগে আমার।
এই গণহত্যার সাথে জড়িত - আওয়ামী ছাত্রলীগ পুলিশ ও জঙ্গি জামায়াত শিবির। তীব্র ঘৃণা সহ নিন্দা জানাই।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সবকিছুই স্পষ্ট কেবল যারা দেখতে পায়।
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমাদের একজন প্রবীণ সিনিয়র অভিনেত্রী আছেন। মনিরা মিঠু। আপনার সাথে অনেক মিল। ভদ্র। সুন্দর মন। সুইটলি কথা বলে। নামেও মিল।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুধু কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ হওয়া পরিবার গুলো বুকের ভেতর অপরিসীম যন্ত্রণা নিয়ে অক্ষম আক্রোশ আর কণ্ঠে অভিশাপ নিয়ে জেগে উঠেছে। এই জেগে ওঠাই কাল হবে এই স্বৈরাচার সরকার আর তার অন্ধভক্তদের। এদের ভয় দেখানোর রাজনীতির দিন শেষ। এই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে জ্বালানী নিয়েই জেগে উঠবে আমাদের আগামীর ভবিষ্যত। সেদিন খুব বেশী দুরে না। জাতি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছে।
এদের প্রত্যেকটার অবস্থা হবে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মতো। এটাই সন্তানহারা পিতামাতার অভিশাপের ফল।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দেখেন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর কিন্তু একজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, উনাকে কর খেলাপি টাইপ কোন অজুহাতে নমিনেশন বাতিল করা হয়। উনি এরপর ও দমে না যেয়ে মায়ের নামে নমিনেশন পেপারে ইলেকশন করে বিজয়ী করেন মাকে। সুতরাং এখানে সাধারণ জনতার হাত কতটুকু সেটুকু আরেকবার ভাবতে হবে। আর ছাত্রদের তো প্রশ্নই আসে না। আওয়ামীলীগের হাতে জাহাঙ্গীর কে শায়েস্তা করার মত এর চাইতে বড় সুযোগ আর ছিল না।
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি তো "সাধারণ ছাত্র" নন; আপনার মতো মনোভাবে লোকজন "সাধারণ ছাত্র"দের উৎসাহ দিয়ে রাস্তায় নিয়ে গেছে, পুলিশের সামনে নিয়ে গেছে।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি নিজেও তো উই এস সরকার আর বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা নন।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭
কামাল১৮ বলেছেন: আন্দোলনটাই ছিলো অকারণে।তাই এই মৃত্যুর কোন দাম নাই আছে মা বাবার আর্তনাদ।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার কাছে অকারণ মনে হতেই পারে আপনি প্রবাসী আপনার সন্তানদের তো দেশে রুটিরুজির কারবার নেই।
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মর্মান্তিক। শুধু পড়াশোনা নয় পড়াশোনার পর ছাত্রদের যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা নেয়া দরকার কর্মসংস্থান দরকার।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ কর্ম সংস্থান একটা রাষ্ট্রের জনগণের জন্য অন্যতম দাবী।
১০| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫৩
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এতদিন স্বজাতির মাঝে ছিল মতবিরোধ। এবার জন্ম নেবে শত্রুতা। এতগুলো বাচ্চার রক্তের সাথে বেইমানি করে যারা খুনেদের সমর্থন দেবে পদ পদবী এবং সুযোগ সুবিধার আশায় , তাদেরকে জনগন এবার শত্রু হিসেবেই দেখবে । যে পরিমান ঘৃনা তৈ্রী হয়েছে এবার জনমনে তা দূর হবার নয়।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আফসোস গোটা একটা প্রজন্মকে উনারা শুত্রু হিসেবে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন।
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করেও পুরোপুরিভাবে স্বাধীনতা পাইনি । এটা সর্বক্ষেত্রে তো মেনে নেওয়া যায় না । তারই ফলাফল দেখেন এই গণহারে হত্যা । এই হত্যাগুলোর ভিডিও দেখে শুধু মনে হচ্ছে যারা এভাবে মারা গেল তাদের পরিবার কিভাবে শোক সইবে ?
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শোক সইবে উন্নয়ন দেখে আপু
১২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৪৬
সামরিন হক বলেছেন: সকলের জন্য দোয়া রইলো।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমিন।
১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
শ্রাবণধারা বলেছেন: মন ছুঁয়ে যাওয়া একটি লেখা।
অচলায়তন একটা সময় ভেঙে পড়ে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।
ব্লগের বুড়োগুলো ঠুলি ওঠা চোখে অচলায়তনটাকে দেখতেই পারছে না। বুঝতেই পারছে না যে পুরাতন বকুনিও কখনো কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের অভ্যাস বলে কথা, তাকে তাড়ানো শক্ত!
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা'
এই জন্যেই আধমরা দের ঘা মেরে বাঁচাতে বলেছেন কবি।
এখন দরকার নবীনদের ঘা।
১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: ৫৩ বছর পরেও আমরা আজো প্রকৃত স্বাধীনতা পাইনি। জাতী হিসাবে আমরা ব্যর্থ।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: স্বাধীনতার সংজ্ঞা বিবেচনায় স্বাধীনতা তো দেখি না।
১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:২০
শাওন আহমাদ বলেছেন: আপনার পোস্ট রাতে দেখে রেখে দিয়েছিলাম অবসরে পড়ব বলে, পড়লাম।
সবাই তাঁর নিজ নিজ কর্মফল বুঝে পাক এটাই এখন একমাত্র চাওয়া।
২৭ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ আমাদের মত অক্ষমদের তো একটাই পথ অপেক্ষা।
১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: গত ছয় বছর মুক্তি যুদ্ধের কোটায় এক জনও চাকরি পায় নাই।এর আগে গড়ে ৬%৭% পার্সেন্ট মুক্তি যুদ্ধের কোটায় চাকরি পেয়েছে।এর জন্য কি আপনার সন্তানদের রুটি রুজির পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
নারীর জন্য কোন কোটা নাই।এটা আপনি সমর্থন করেন?আমি করি না।সমাজে নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে ।তাদের জন্য অবশ্যই কোটা থাকতে হবে।ইউরোপে নারীর জন্য ৪০% কোটা আছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে ব্যস্ত থাকায় খুচরা মন্তব্য উত্তর দিচ্ছি না।
১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫২
করুণাধারা বলেছেন: শোক জমা হতে হতে পাহাড় সমান হয়ে গেছে। আবু সাঈদকে দিয়ে শুরু, এরপর যে অন্তহীন হত্যা শুরু হলো! Licenced to kill!! তাই বলে এত নিষ্ঠুরতা। একজন পুলিশ অফিসার তার ছেলের লাশ দেখে বলেছিলেন একটা গুলি করলেই চলতো, এরা এত গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে...
জানালা বন্ধ করতে গিয়েছিল ছোট ছেলেটা। তার মাথা ফুঁড়ে গিয়ে বুলেট বের হয়ে মাটিতে পড়েছে। সেই বুলেট হাতে নিয়ে বাবা দেখাচ্ছেন...
শুনেছি ইসরাইলি বাহিনী এইভাবে গুলি করে, দূর থেকে মানুষকে লক্ষ্য করে, যেন বাসার ভিতরেও মানুষ মারা যায়... কিন্তু আমাদের দেশে যারা মারছে তারা তো ইসরাইলি সেনা নয়, এরা আমাদের মতই বাংলাদেশি... নাকি বাংলাদেশি নয়। নিজের দেশের মানুষ কি এভাবে গুলি করে অন্য মানুষকে মারতে পারে!!
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দুঃখিত আপু অনেক সময় নিয়ে ফেললাম মন্তব্য উত্তর দিতে।
আসলে প্রতিদিন রাস্তায় নেমে , প্রতি মুহূর্তে পুলিশ আর লীগের লাঠিয়াল বাহিনী থেকে নিজেদের আবার একত্রিত হয়ে স্লোগান এরপর আবার নেটে টুইটারে এক্টিভিজম খুব ক্লান্ত এখন। আলহামদুলিল্লাহ প্রাথমিক বিজয় এসেছে। এখন সঠিক বিচার আর দেশকে সুসংগঠিত করার মত কর্মযজ্ঞ বাকি।
হ্যাঁ আপু একদম ঠিক বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসের সবচাইতে ন্যাক্কার জনক কর্মকাণ্ডের ইতিহাস সৃষ্টি করে গেলো ফ্যাসিবাদী এই স্বৈরাচার।
১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আসলে সময়ের অভাবে অনেক সময়েই অনেক বিতর্ক এড়িয়ে যাই, কারন ব্লগে বিতর্ক করতে গেলে অনেক কিছু লিখতে হয়। সেভাবেই আমার মন্তব্যে (৬ নং) আপনার উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলাম। আপনি কি জানেন, ''বিদ্রোহী প্রার্থী'' এর পুরো বিষয়টাই আওয়ামী লীগের পাতানো খেলার মতো? বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে তথাকথিত নির্বাচনকে খানিকটা জাস্টিফিকেশান দেয়ার প্রচেষ্টা?
একটা লিঙ্ক দিলাম। পোষ্টে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সুকর্মের খানিকটা বয়ান আছে মাঝামাঝির দিকে। view this link
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: উনি আওয়ামিলিগার উনার সুকর্ম তো অবশ্যই বিশ্ব ব্যাপী থাকবে। হ্যাঁ এমন পাতানো ব্যাপার কিছুটা জানতাম এবং আপনি সঠিক বলেছেন। আমি শুধু সেদিনের মন্তব্যে বুঝাতে চেয়েছি যে ছাত্ররা এমন কিছুর সাথে জড়িত হতে পারে না।
ওদের দলীয় অন্তঃকলহের ফলাফল। যে স্পটের ঘটনা সেটাই মূলত আমার আন্দোলনের স্পট ছিল - উত্তরা। ঐ সময়ে আমরা অভিভাবকরা সাপোর্ট হিসেবে পানি বিস্কুট কাঁদানে গ্যাস থেকে রক্ষার জন্য টুথ পেস্ট এসব কিনে দিয়েছি। যাইহোক ধন্যবাদ লিঙ্কের জন্য।
১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৩
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কেমন আছেন আপা। অনেকদিন পোস্ট দেন না।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ আছি, তবে অনেকদিন কিছু লিখছি ও না। লগ ইন না করলে পোষ্ট পরী ব্লগের প্রায়শই।
আশা করছি আপনারা ও ভালো ছিলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২২
অপু তানভীর বলেছেন: স্বাভাবিক জীবনে মানুষ ফিরে এসেছে আরও আসবে কিন্তু ঐ মানুষ গুলো যাদের প্রিয়জন পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে তারা আর কোন দিন স্বাভাবিক জীবনে ফেরৎ আসবে?