![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু,টি নদীর মিলন স্থল। বন্ধনে বেধে রাখতে পছন্দ করি। আর কিছু বলার নেই আমার।
সকালে মিষ্টি রোদে ঘুমটা ভেঙে মনটা কেমন ভিষন্ন হয়ে উঠে। অদৃশ্য ধোয়াটে ভাবনা গুলো দোল খেতে থাকে মনের ভিতর। চায়ের কাপটায় চুমুক দিয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাষ ফেলি। বিষন্নতা আর হতাশার এই দীর্ঘ নিঃশ্বাষ হালকা করতে পারে না বোকের ভিতর গভীর ভাবে জমে থাকা বহু দিনের অবসাদকে। আনমনা হয়ে খেতে থাকি সকালের নাস্তা। চায়ের কাপে ভিজিয়ে রাখা বিস্কিটটা হয়তো এক সময় গলে পড়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখা হয়নি। তারপর হয়তো পকেট থেকে লাইটার বের করে একটা সিগারেট ধরাই। নিকোটিনে তিব্র গন্ধ সাময়িক সময়ের জন্য হলেও চিকিৎসিত করে তুলে। ভিষন্নতা খুজে পাইনা তখন। একসময় হয়তো কলম ধরি তোমার জন্য একটি কবিতা লিখব বলে। কিন্তু কলমে কালি শেষ হয়ে যায়, তারপরো একটা ভাল কবিতা লিখা হয়ে উঠে না তোমার জন্য।
গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকি একটি কবিতা লিখব বলে। চিন্তা করি, উত্তাল সাগর কেমন করে ঢেউ তুলে সমুদ্রকে তার ভালবাসায় আচ্ছাদিত করে রেখে চলছে। তোমাকে ঢেউ ভেবে লিখে ফেলি একটা কবিতা। কিন্তু তা আর ভাল কবিতা হয়ে উঠে না। আমার ঢেউ গুলি সাগরের ঢেউয়ের মত গর্জন করতে পারে না। কেমন নির্জিব হয়ে যায় প্রশান্ত তীর গুলো। ছিড়ে ফেলি সেটা। পৃষ্টার পর পৃষ্টা ছিড়ে ফেলা কবিতা ডাষ্টবিনের ঝুড়ি ভরে যায়, ডজন ডজন কলমের কালি শেষ হয়ে যায়, তবুও একটা ভাল কবিতা লিখা হয়ে উঠে না তোমার জন্য।
আমি তো ঘাসফুল নিয়ে অনেক ভেবেছি। ধবধবে ফোটে থাকা হাসনা-হেনাকে নিয়ে কত ভেবেছি। সুগন্ধি গোলাপ ফুলের দিকে তাকিয়ে কত দিন ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। ভ্রমর গুলোকে দেখেছি কিভাবে ভালবাসা দিয়ে মধু আহরন করতে। কোয়াশা ভেজা শীতের সকালে খালি পায়ে কত হেটেছি শুধু একটা কবিতা লিখব বলে। ঝুম বৃষ্টিতে ছাদে রেলিং ধরে কত দিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজেছি। কত রোমাঞ্চকর কল্পনা করেছি তোমাকে নিয়ে। একা একা কত পুর্নিমার রাত্র কাটিয়ে দিয়েছি চাদের দিকে তাকিয়ে। চাদের দিকে তাকিয়ে হয়তো অনেক মহা কবি ভালবাসার অনেক কবিতা লিখে গেছে। কিন্তু আমি দু'টি লাইনও লিখতে পারছি না তোমার জন্য।
আমাদে সম্পর্কটা তো ধোয়াটে। কত দুরত্বে আমরা দুজন দাঁড়িয়ে আছি। কখনো হয়তো আমাদে দেখা হয় না, বা হয়তো কখনো খুব কাছে আসি কিন্তু কথা হয়না আমাদের। হয়তো কখনো দূর থেকে তোমার খিলখিল হাসি শুনে যাই। এত দুরত্বে থাকলে কি একটা ভাল কবিতা লিখা যায়!
কত রাত ধরে ভাল ঘুম হচ্ছে না। বিছানার মধ্যে ছটফট করে কাটিয়ে দিচ্ছি দিন গুলো। কত কবির কবিতা পড়েছি। শুনেছি কত প্রেমিকে ভালবাসার কথা। কিন্তু কোন কিছুই আমার হাতকে শক্তিশালি করতে পারছে না। তাহলে কি আমি ব্যার্থ হয়ে যাব! নাহ, একটা কবিতা লিখতে না পারার বেদনা তো আমি সইতে পারব না।
হয়তো আজও লিখা হয়ে উঠবে না একটা কবিতা। হয়তো আর কোনদিন হবে না। শরির কেমন ঝিম ঝিম করছে। অন্ধকার আমাকে গ্রাস করে ফেলেছে। পৃথিবী আমাকে বিদায় জানাচ্ছে। সল্প সময় তাড়া দিচ্ছে আমাকে। কলমের কালি শেষ হয়ে যাচ্ছে, বাজারে কোনো কলম নেই। খাতার পৃষ্টা শেষ হয়ে যাচ্ছে, বাজারে কোনো খাতা নেই। সিগারেটের প্যাকেটটা খালি হয়ে গেছে। বিদায় বেলা লিখে গেলাম দু'টি লাইন। অসাপ্তত কবিতা। জানি কোনদিনও কেউ পড়তে আসবে না এই লাইন গুলো। তারপরো বেচে থাক আমার অসমাপ্ত কবিতাটি-
জোৎস্না মাখা কোন এক রাতে
বা কোন এক শুন্য গ্রহে
যেখানে নেই কেউ,
হাতটা যদি ধরি তোমার।
তুমি কি হেসে দিবে।
যদি বলি ভালবাসি তোমায়,
তুমি কি রাগ করবে।
তুমি কি অবাক হবে,
যদি বলি মরতে পারি তোমার জন্য।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২১
নদীর মোহনা বলেছেন: জবাব দিতে দেরি করে ফেলার জন্য লজ্জিত।
ঘুরে গেলেন দেখে খুশি হলাম। ভাল থাকা হউক সব বেলা।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর করে মনের কথাগুলো সাজিয়ে রেখেছেন ভাই। অনেক সুন্দর করে মনের ভাব প্রকাশ করেছেন ভাই। ভালো লাগলো।
আর নিচের কবিতাংশে দারুণ বলেছেন, বলে ফেলুন হাতটি ধরে, দেখবেন ভালোবাসা ভালোবাসার কাছে হারবেই।
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১০
নদীর মোহনা বলেছেন: আর নিচের কবিতাংশে দারুণ বলেছেন, বলে ফেলুন হাতটি ধরে, দেখবেন ভালোবাসা ভালোবাসার কাছে হারবেই। খুব ভয় হয় ভাই; যদি ফিরিয়ে দেয় আমায়। জানিনা তার ভালবাসা কি আমার ভালবাসার কাছে হার মানবে। বলে ফেলব; আপনার মন্তব্য সাহস যোগিয়েছে আমাকে।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৯
আহা রুবন বলেছেন: বাহ! বেশ! শুভেচ্ছা রইল।
০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৬
নদীর মোহনা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের জন্য কবিতা লিখতে অপেষা করতে হয় না, আমাদের চারিধারে জীবনের সফেন ঢেউ, মোহনার থেকে বেশী বুঝে না কেউ