![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধসে পড়ার ১৭ দিন পর রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা নামের এক নারী শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।বৈজ্ঞানিক সব বাস্তবতাকে দূরে সরিয়ে দীর্ঘ ১৭ দিন অভুক্ত থেকে আমাদের জীবিত দুনিয়ায় ফিরে আসাটা স্বয়ং আল্লাহর কুদ্রতি হাতের ইচ্ছায়ই কেবল সম্ভব।রানা প্লাজার বেইজমেন্টের মসজিদের এক কোনায় রেশমা ছিলেন।খোদার ঘরে খোদা তাকে আপন কোলে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।শাহিনাকে পেয়েও কাছে রাখতে পারিনি।রেশমাকে দিয়ে খোদা সেই অলৌকিকতা আবার দেখিয়ে দিলেন।সবাই বলুন “আল্লাহু আকবার”।হে খোদা আমাদের আরও রেশমাকে ফিরিয়ে দিয়ে মায়ের শূন্য কোলকে ভরিয়ে দাও।আবারও বলুন “আমিন”।
ফুটফুটে বোনটিকে দেখুন-
২| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
পেন্সিল চোর বলেছেন: ইশ!! আরেক বোন শাহিনাকে যদি বাঁচানো যেত!!!
৩| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আমিন ইয় ররাব ।
৪| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
বেলাল আহমেদ রাসেল বলেছেন: সাভারে আমি আল্লাহকে দেখিলাম
রাখে আল্লাহ, মারে কে?
৫| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
মুদ্দাকির বলেছেন: ইমসানাল লেখা, কিন্তু তার বেচে থাকা কিন্তু অবৈজ্ঞানীক কিছু না!!!
১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: ‘বি’ শব্দের অর্থ বিশেষ আর ‘জ্ঞান’ শব্দের অর্থ সম্যক বা পুরোপুরি ধারণা।অতএব,সংক্ষেপে বলা যায়,আমরা কোন বিষয় সম্পর্কে যখন পরোপুরি ধারণা অর্জন করি তখন তাকে বলি জ্ঞান।আর সেই অর্জিত জ্ঞান অধিকরুপে চর্চিত হয়ে যে বিশেষ বিশেষনটির জন্ম সেটিই হ’ল বিষয়টির অভিযোজন রুপ অর্থাৎ বিজ্ঞান।সন্তান জন্মদানে যেমন নারী পুরুষের দরকার তেমনি জ্ঞান অর্জনে উদ্দিষ্ট বিষয়ের দরকার।আর বিষয় না থাকলে বিজ্ঞান কল্পনা করা যায় না।
অর্থনীতি একটা কথা বলে “মানুষ কোন কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না,কেবল রুপ বদলাতে পারে”।যেমন গাছ থেকে কাঠ।কাঠ থেকে বিভিন্ন আসবাব।এভাবে লিখলে গ্রন্থ হয়ে যাবে।মন্তব্যের জবাবে সেদিকে গেলাম না।
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমা বাংলানিউজকে বলেন, “আমি ১৭ দিন পানি খেয়ে বেঁচেছিলাম। ভবন ধসের পরপরই আমি ভবনের নিচে আটকা পড়ি। পরে বাঁচার জন্য ভবনে অবস্থিত নামাজ ঘরে চলে যাই। উদ্ধারকর্মীরা ওপর থেকে নানা সময়ে বোতলজাত পানি পাঠান। আমি সেখান থেকে দুই বোতল পানি সংরক্ষণ করে রাখি। সেই বোতলের পানি আমি প্রতিদিন অল্প অল্প করে খেয়ে জীবন বাঁচাই।”
রেশমা আরও বলেন, “অন্যদের ফেলে যাওয়া খাবারও খেতাম। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ফুটো থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়তো। এসব খেয়েই বেঁচেছিলাম। এক সময় খাবার শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন একটু একটু করে পানি খেয়ে বেঁচেছিলাম। নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম। শেষের দুই দিন পানিও শেষ হয়ে যাওয়ায় কিছুই খাওয়া হয়নি।
ভবন ধসের ৪০৮ ঘণ্টা পর ধসে যাওয়া রানা প্লাজা থেকে উদ্ধার রেশমা আরো বলেন, “উদ্ধারকর্মীরা যখন উদ্ধার কাজ চালাচ্ছিলেন, তখন আমি বড় বড় যন্ত্রের শব্দ শুনতে পেতাম। শব্দ শুনে আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ হয়তো আমাকে এখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবেন।”
রেশমা জানান, মেঝেতে পড়ে থাকা পানি ও তার সহকর্মীদের ফেলে যাওয়া খাবারে ১৫ দিন পর্যন্ত চলেছেন। তবে গত দু’দিন তিনি অভুক্ত অবস্থায় আছেন।
১৯৯০ সালে ফিলিপাইনের ভূমিধসে ধ্বংসস্তূপে ফেডরিকো ডে ১৪ দিন কেবল পানি ও মূত্র খেয়ে বেঁচে ছিলেন।
১৯৯৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামপোং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ধসের ১৬ দিন পর উদ্ধার হন পার্ক সেউং হায়ুন নামে ১৯ বছরের এক কিশোরী।ওই ঘটনায় মারা যান ৫০২ জন।
২০০১ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি ভারতের গুজরাটের পশ্চিম প্রদেশে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১০ দিন পর ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনা ২৫০০ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল।
২০০৪ সালের ৭ই জানুয়ারি ইরানে ৫৬ বছরের একজন লোক ১৩ দিন পর জীবিত উদ্ধার হয়েছিলেন। সেটিও ছিল ভূমিকম্প সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ। এ ঘটনায় ৪৩০০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
২০০৫ সালের ১২ই ডিসেম্বর পাকিস্তানের কাশ্মীরে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়,সেখানে ৪০ বছর বয়সী নাকশা বিবি তার রান্নাঘরে আটকা পড়ে পঁচা খাবার ও পানি খেয়ে বেঁচে ছিলেন ৬৩ দিন।
২০০৬ সালের ২৫শে এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া দ্বীপে সোনার খনিতে আটকে পড়া দুই শ্রমিককে উদ্ধার করা হয় ১৪ দিন পর।
২০০৯ সালে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তিন জনকে ২৫ দিন পর জীবিত উদ্ধার করা হয়। কয়লা খনিতে বন্যার কারণে তারা আটকা পড়েছিলেন। সেখানে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
২০০৯ সালের জানুয়ারির ভূমিকম্পে পাথরের নিচে কবরস্থ অবস্থায় ২৮ দিন আটকে থাকার পর জীবিত উদ্ধার হন হাইতির এক যুবক। ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি হাইতির আরেক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ২৭ দিন পর এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল৷ তার নাম ছিল ইভান্স মনসিগনাক। ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে বহু দেয়াল ধসে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। একই ঘটনায় ১১ দিন বেঁচে ছিলেন উইসমন্ড এক্সানটস (২৫)। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের ইভান্স মনসিগনাক ২৭ দিন পর এবং উইসমন্ড এক্সানটস ১১ দিন পরও বেঁচে থেকে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন।জানা যায় তারা সুরায়েজ লাইনের পানি খেয়ে বেঁচে ছিলেন।
২০১০ সালের ৫ই এপ্রিল চীনের সাংহাই প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে ১১৫ জন খনি শ্রমিক কয়লা খনিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় আবদ্ধ থাকার পর উদ্ধার হন। খনির মধ্যে বন্যার পানি ঢুকে তারা আটকা পড়েছিলেন। গাছের গুঁড়ি, সমুদ্রের আবর্জনা, কাগজ ও কয়লা খেয়ে তারা বেঁচে ছিলেন।
২০১০ সালের ১৩ই অক্টোবর চিলিতে এক তামার খনি থেকে ৩৩ জন শ্রমিককে ৬৯ দিন পর ৬০০ মিটার নিচে ভূগর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয় জীবিত।
২০১১ সালের ২০শে মার্চ জাপানে ১৬ বছরের এক বালক ও তার ৮০ বছরের দাদীকে ভূমিকম্প ও সুনামির কবলিত এলাকা থেকে ৯ দিন পর জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় প্রায় ১৯ হাজার মানুষ নিহত হয়। ২০১২ সালের ১৯শে মে কয়লা খনিতে আটকে পড়া এক শ্রমিককে ১৭ দিন পর উদ্ধার করা হয়।
উপরে বিপদগ্রস্থ মানুষের উদ্ধারের যে খন্ড চিত্র পেলাম সেখানে দেখলাম কে কি খেয়ে বেঁচে ছিলেন।রানা প্লাজার ষষ্ঠ তলায় দেখেছি জীবিতরা একে অপরের পস্রাব খেয়েছে।কেউবা সহকর্মীর শরীর থেকে গড়ানো রক্ত খেয়ে তৃষ্ঞা নিবারণ করেছে।অথচ সুস্থ অবস্থায় স্বাভাবিক খাবারে একটু হেরফের হলেই শুরু হয়ে যায় টয়লেঠে দৌড়াদৌড়ী।চিকিৎসা না হলে এক সপ্তাহের অধিক বাঁচানো যায় না।তাহলে সেই পেটে ঐ পঁচা খাবার, মলমূত্র, সুরায়েজ লাইনের পানি,গাছের গুঁড়ি, সমুদ্রের আবর্জনা, কাগজ ও কয়লা খেয়ে আবার হজম করা কিভাবে সম্ভব?হ্যাঁ, সম্ভব!মায়ের পেটের খাবার পরিপাক করে মা তার সন্তানকে দেয়।বিজ্ঞান এই দেওয়ার রাস্তা করে দেয়নি। রাস্তাটি কিভাবে হ’ল সেটিই উদ্ঘাটন করেছে মাত্র।জীবের বিপদ মহুর্তে পাকস্থলীতে বসে পঁচাগলা,মলমূত্র, সুরায়েজ লাইনের পানি,গাছের গুঁড়ি, সমুদ্রের আবর্জনা, কাগজ কয়লা খেয়ে হজম করে জীবকে বাঁচিয়ে দুনিয়ায় দ্বিতীয়বার ভূমিষ্ট করে আল্লাহ সেই মায়ের দায়িত্বটিই পালন করে।বিজ্ঞান নয়।
ধন্যবাদ ভাইটি,ভাল থাকবেন।
তথ্য সংগ্রহঃ-
রেশমার মতো মৃত্যুঞ্জয়ী যারা—দৈনিক মানবজমিন অনলাইন সংখ্যা,শুক্রবার, ১০ মে ২০১৩
ধ্বংসস্তূপে বেঁচে থাকার তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডে রেশমা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম,শুক্রবার, ১০ মে ২০১৩,09:20:48 PM আপডেট সময়।
৬| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: আমিন।
৭| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
নি্লীমা বলেছেন: আমিন...
৮| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহু আকবার
৯| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
বোকামন বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ
১০| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
কালোপরী বলেছেন: আল্লাহু আকবার
১১| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
লাবনী আক্তার বলেছেন: Amin. Sokal proshonsha Allah tayalar.
১২| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
মদন বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক।
রেশমার মতোই ধ্বংসস্তুপ থেকে আবার জেগে উঠুক বাংলাদেশ। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।
১৩| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
আকরাম বলেছেন: রেশমার মতোই ধ্বংসস্তুপ থেকে আবার জেগে উঠুক বাংলাদেশ।
১৪| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৫
এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: ধ্বংসস্তূপের নিচে ২৭ দিন বেঁচে ছিলেন ইভানস:
ডেইলি মেইল প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ২০১০-এ হাইতি ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে ২৭ দিন পরও বেঁচে ছিলেন ইভানস মনসিগনাক। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অবরুদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে জীবিত থাকার রেকর্ডের অধিকারী দুই সন্তানের বাবা এই ইভানস। হাইতির রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্সের এক ধংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে। আটকে পড়া স্থানের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া নর্দমার পানি আর ইট পাথরের টুকরো খেয়ে বেঁচে ছিলেন তিনি। টেলিগ্রাফকে দেয়া বর্ণনায় ইভানস, ‘আমি ভেবেছিলাম মারা গেছি। দুই অথবা তিন দিনের মাথায় বুঝতে পারলাম যে না এখনও বেঁচে আছি। তখন ওই নদর্মার পানি চোখে পড়ে। অনেক ক্ষুধার্ত আর তৃষ্ণার্ত ছিলাম। নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির ধারা থেকে পানি খেতে চেষ্টা করলাম। সঙ্গে সঙ্গেই পেট ঘুলিয়ে উঠলো। পরে শুধু এক আঙুল চুবিয়ে ঠোট ভেজাতাম আর জিহ্বার ওপর দিয়ে অনেক কষ্টে গলধঃকরণ করতাম। দিন দিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম।’
সূত্র:-
মৃত্যুঞ্জয়ী রেশমা--দৈনিক মানবজমিন অনলাইন সংখ্যা,শুক্রবার, ১০ মে ২০১৩
১৫| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩০
মুদ্দাকির বলেছেন: If you knew human physiology, and how human respond to stress, you would've easily understood that the Reshma incident is nothing extraordinary if you compare with every breath you take !!!
Every breath is a blessing, Be greatful to HIM for each breath you take, dont try to find Allah sporadically,
Allah hu akbar!!
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
স্বপ্নবাজ শয়ন বলেছেন: আমিন...