নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মস্তিস্কের তাড়নায় ভাসানির ভাবনায়

এম এস আই জুেয়ল

সরল গল্প

এম এস আই জুেয়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপারেশান শাপলা চত্ত্বরঃ জবাবদিহিতায় ফেঁসে যাচ্ছে সরকার

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

রাজধানী ঢাকার মতিঝিলে গত ৫ই মে মধ্যরাতে ঘুমন্ত হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে ঠিক কত মানুষ হতাহত হয়েছেন তা নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে নানা জল্পনা চলছে তখন “মৃত্যু নিয়ে সরকারের তথ্য ভুল” এ খবর প্রকাশ করল আল-জাজিরা।



কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল-জাজিরা বলেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ৫ মে মধ্যরাতে হেফাজত-বিরোধী অভিযানে মৃত্যুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভুল তথ্য দিয়েছে। আল জাজিরার তদন্তে এবং প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে নিউজ চ্যানেলটি।



বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মতিঝিলে গত ৫ই মে মধ্যরাতে ঘুমন্ত হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে ঠিক কত মানুষ হতাহত হয়েছেন তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে তখন এ খবর প্রকাশ করল আল-জাজিরা।



হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে। নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কতজন মারা গেছে তার সঠিক সংখ্যা ‘পরিষ্কার নয়’।



স্বতন্ত্র সংবাদ সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় অন্তত ৫০ নিহত হয়েছে। আহত অনেকেই পরে মারা গেছে বলে গত শনিবার দেয়া বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে।



অবশ্য, আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি সরকারের দেয়া মৃত্যু সংখ্যা সঠিক নয় বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোকে গুরুত্ব দেননি। দিপু মনি বলেছেন, যে কোনো সময় তদন্ত বা অনুসন্ধান হতেই পারে। তবে বাংলাদেশের সরকার ও বেশিরভাগ মানুষ মনে করে, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই।



অবশ্য, ঢাকার আব্দুল জলিল নামে মুক ও বধির এক কবর খননকারী ইশারার ভাষায় আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, হেফাজতের সঙ্গে প্রতিবাদের পর তিনি এক রাতে ১৪টি লাশ দাফন করেছেন। এ সব লাশের দাড়ি ছিল এবং এদের দেহে বন্দুকের গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।



এদিকে, ৫ মে রাতে ঠিক কী ঘটেছিলো তা জানার জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে।



ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসিসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের জন্য হেফাজতে ইসলাম গত ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে। সরকারের দেয়া অনুমতির ভিত্তিতে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে হেফাজতের লাখ লাখ কর্মী এবং তারা রাতে ওই এলাকায় থেকে যায়। হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শাপলা চত্বর ত্যাগ করবেন না।



এ ঘটনার তিন মাস আগে ঢাকার আরেকটি ব্যস্ত চত্বর শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে একদল তরুণ অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছিল। তারাও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ত্যাগ করবে না বলে ঘোষণা দেয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, তখন সেখানে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ব্যস্ত চৌরাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। অবস্থান ধর্মঘটকারী তরুণদের জন্য তিন বেলা উন্নতমানের খাবার ও ভ্রাম্যমান টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়।



কিন্তু শাপলা চত্বরের বেলায় তা হয়নি। সরকার হেফাজত কর্মীদের ২৪ ঘন্টাও সহ্য করেনি এবং 'ফ্ল্যাশ আউট' নামের অপারেশন চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।



হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী দাবি করেছেন, গত ৫ মে গভীর রাতে বাতি নিভিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা স্মরণকালের নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।



হেফাজতের কেন্দ্রীয় দপ্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় আহমদ শফী এ কথা বলেছেন বলে সোমবার সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।



এদিকে, মধ্যরাতে শাপলা চত্বরে অভিযান শুরুর পরপরই ঢাকা থেকে প্রচারিত দু'টি টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।



বাংলা সূত্রঃ হুবহু ১৫ মে (রেডিও তেহরান)

হেফাজত কর্মীদের মৃত্যু নিয়ে সরকারের তথ্য ভুল: আলজাজিরা



Al Jazeera has obtained video footage suggesting that the Bangladesh government has been providing inaccurate death tolls from recent violence.



According to official figures, 11 people had died during fighting between police and protesters from Hifazat-e-Islam, an Islamic group, on May 6, a day protesters refer to as the "Siege of Dhaka".



Human Rights Watch, a US-based rights group, said that the exact number of deaths resulting from the protests are "unclear".



"Independent news sources put the figure at approximately 50 dead, with others succumbing to injuries later," HRW said in a statement on Saturday.



In an interview with Al Jazeera, Bangladesh's Foreign Minister Dipu Moni downplayed reports of inaccuracy in government figures.



"There can always be an inquiry, there can always be an investigation," said Moni.



"The government or most of the people in the country doesn't even think that there was any controversy with the matter," she added.



Abdul Jalil, a deaf and mute grave digger at Dhaka's state-run cemetery, communicated that he buried 14 bodies of bearded men with gunshot wounds after the protest, all at night.



The rights group wants an independent inquiry to find out what happened once and for all.





Source: Al Jazeera

Video suggests higher Bangladesh protest toll

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

আস্তবাবা বলেছেন: একজন লোক যদি নিহত হয়, তার দায় প্রধানমন্ত্রীর। উনি নিজে মন্ত্রীসভায় বলেছেন অপারেশন উনি সরাসরি তত্ত্বাবধান করেছেন। তার এই স্টেট্মেন্ট তাকে বিচারের কাঠগড়ায় ডাড় করাতে পারে।

২| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

বাঙ্গাল৭১ বলেছেন: এই পোষ্টের কোন মানেই বুঝলাম না।

মৃত্যুর বিষয়ে কেউ নিশ্চত নয় এর মানে কি কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছ ?

শাহবাগের সাথে হেফাজতের কোন তুলনা চলে না । শাহবাগের দেড় মাসে জনগণ একটা গাছের পাতাতে টোকাও দেয় নি । আর ১০ ঘন্টায় হেফাজত যা করেছে ওদের ২৪ ঘন্টা থাকতে দিলে পুরো ঢাকা শহরের লোক জনের সম্পত লুট করে নিয়ে যেত।

ছাগল কোথাকার ।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০২

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন:
পোষ্টে কষ্ট পেলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।সত্য কেবল আহত করে না।সঠিক পথও দেখায়।

আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আল-জাজিরা সিএনএনসহ বিশ্বের সব সংবাদপত্রই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অনেক কিছু প্রচার করছে। অপারেশন শাপলা নিয়ে বিদেশী গণমাধ্যমগুলো সু্ষ্পষ্ট কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

সম্প্রতি দেশের ঈমানদারেরা!! নাস্তিক হটাও দাবিতে ব্লগে ফেসবুকে মাথা খারাপ করে আসছিল। কিন্তু হেফাজতের সমাবেশে ধ্বংস যজ্ঞের পাশাপাশি কোরান পোড়ানোর ঘটনা নিয়ে এই চুদির ভাইদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। কেও মাঠে নামলো না কোরানকে হেফাজত করতে। শেষ পর্যন্ত মাঠে নামলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাহলে প্রকৃত তৌহিদী জনতা কারা??
নিঃসন্দেহে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মূলত হাজার হাজার মাদ্রাসার এতিম মাদ্রাসার ছেলেদের লাশ চেয়েছিল বিরোধী দলগুলো। লাশ পাওয়ার জন্য হেফাজতের মধ্যে ঢুকে নাশকতা চালায় তারা। কিন্তু নাশকতার মাত্রা বেশি এবং লাশের পরিমাণ কম হওয়ায় রাজনীতিতে হিসাবটা পাল্টে গেলো। ধর্ম নিয়ে রাজনীতির ফল এদেশে কখনোই ভালো হয়নি। লাশ দিয়ে নয়, মানবিক বোধ দিয়ে রাজনীতি করুন। জনগণ আপনাদের সাথে থাকবে। ধর্মের নামে এতিম বাচ্চাদের বলির পাঠা বানানো কোন ধরনের ধর্ম ? সুস্থভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সুস্থ পথ বেছে নিন। তা নাহলে আগামি টার্মেও জনগণ লুটপাটের জন্য আপনাদের মনোনীত করবে না। হেফাজতের সরলসোজা এতিম বাচ্চাদের মূলত বলির পাঠা বানানো হলো। কারা বানিয়েছে? ইসলামী লেবাসধারী ব্যক্তিরাই বানিয়েছে। আর এখন এই মোনাফেকরা ফটোশপ দিয়ে এবং ২০০৭ সালের ছবি দিয়ে অসত্য প্রচার করছে।
জনসমাবেশে গুলিতে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা যদি দুজন হয় তবে তবে আহতের সংখ্যা হয় শতাধিক। সবারই কি জায়গা মতো গুলি হান্দায়??
নিহতের সংখ্যা 100 হলে আহতের সংখ্যা দাড়াবে কমপক্ষে দেড় হাজার। আড়াই হাজার মারা গেলে কত মানুষ আহত হবে?? তারা কই? মনে হয় কোরান পোড়ানোর ঘটনায় সৃষ্টিকর্তা সরকারের তৌহিদি বাহিনীকে অলৌকিক শক্তি দিয়ে পাঠিয়েছে!!।
তাই তারা এতো বড় লুকোচুরি করতে পারলো। হা..হা..হা..

এতো মানুষ মারা গেলে ওলিতে গলিতেও লাশ পড়ে থাকতো পরের দিন সকালে। কমন সেন্সের বিষয়।
বুঝলাম বাংলাদেশের সব মিডিয়া মিথ্যা বলছে। কিন্তু বিবিসির তো মিথ্যা বলার কথা না। কারন ইউনূসের অপসারণের পর পাশ্চাত্যের মিডিয়াগুলো সরকারের বিপক্ষে

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: ভাইজান,ভোর হয় কয়টায়? অপারেশন শুরু হয় রাত আড়াইটায়।আর মাত্র দেড় ঘন্টা পর চারিদিক দিনের আলোয় ফর্সা হয়ে যেত।তখন না হয় বিশ্বকে দেখিয়ে এই মহৎ কাজটি করা যেত।

রাতের আঁধারে আলো নিভিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপারেশনে কেন গেল?সেখানে সরকারী দলের ক্যাডার বাহিনী থাকলেই বা বোঝার কি উপায়?

হয়ত বলবেন আর দেড়ঘন্টা দেরি করলে হেফাজত বা দুস্কৃতিকারীরা আরও অনেক ক্ষতি করে ফেলতো।যেখানে ঘটনাগুলি ঘটেছে সেখানে কোন অপারেশন হয়নি।হয়েছে শাপলা চত্ত্বরে ঘুমন্ত জনতার উপর।

ধন্যবাদ ভাইজান, আপনার মত আমারও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি শতভাগ শ্রদ্ধা রয়েছে।কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় প্রতিটি সরকারই তাদেরকে এভাবে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আর নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, দেশের কেন্দ্রিয় ব্যাংক থেকে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়ে সরকার চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। গোটা জাতিকে এর মূল্য দিতে হতো বহু বছর ধরে। শাপলা চত্বরে হতাহতের ঘটনা যাই ঘটুক না কেন সেটা দুঃখজনক। কিন্তু এটাকে অনাকাঙ্খিত দুঃখজনক ঘটনা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই। পাগল ব্যতিত যেকোনো সরকারকেই এই পদক্ষেপ নিতে হতো।

৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২০

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: এটা কিছু হলো?

আল জাজিরা কে
নিউ ইয়রক কে
বাংলাদেশ কে

েগুলো আমাদের সবার জানা

মতিঝিল চত্বর আর শাহাবাগ এক জায়গা নয়।
সরকার সঠিক সময়ে সঠিক কাজটাই করেছে।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: শাপলা চত্ত্বরে অপারেশনে সরকার সঠিক কাজটি করেছে কিনা সেটা দেখার প্রতিক্ষায় আমি আপনি সবাই।তবে সঠিক সময়ে বা সঠিক প্রক্রিয়ায় নয় এটা বোধ করি এতটুকু বাচ্চাও বোঝে।

আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।ধন্যবাদ ভাইটি।

৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ইকোনোমিস্টসহ অনেক পত্রিকা ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে। ''পাশ্চাত্যের দেশগুলো বলেছে চুদির ভাই, আনন্দের আর সীমা নাই'' আমাদের এই মানসিকতা থেকে বের হওয়ার সময় এসেছে।

১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: ইকোনোমিস্ট ভাল না,আল-জাজিরা, সিএনএন ভাল না,নিউইয়র্ক টাইমস,রয়টার্স,এপি, এএফপি ভালো না। এসব বলা বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ।

জামাত যুদ্ধাপরাধী,বিএনপি দেশের শত্রু,হেফাজত ভাল নয়। “সরকারি দলের কর্মীরাই কুরআন পুড়িয়েছে : এরশাদ”http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/item/48741-সরকারি-দলের-কর্মীরাই-কুরআন-পুড়িয়েছে-এরশাদ এবার বলবেন এরশাদও ভালো না।একটু আগে দেখলাম
‘তত্ত্বাবধায়ক’ ইস্যুতে প্রথম আলো পত্রিকার জরিপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম আলোকে তুলোধনু করেছেন।তবে ভালটা কেবলই আপনারা একা?

ছোটকালে একটা গল্প শুনেছিলাম কে যেন বলতেছিল- “পৃথিবীর সব মানুষ মরে যাক,কেবল আমি আর একটা মেয়ে বেঁচে থাকলেই হ’ল”।সবাই যখন শত্রু সেখানে আপনাদের ভাগ্যে কাকে ফেলি বলুন তো ভাইটি?

মর্মাহত হবেন না।এটা ব্লগ ব্যক্তিগতভাবে আপনার আমার সাথে নিশ্চয় কোন বিরোধ নেই।

আপনার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

হাসির মানুষ বলেছেন: উপরে একজন কমেন্ট করেছেন, শাহবাগের সাথে হেফাজতের কোন তুলনা চলে না । শাহবাগের দেড় মাসে জনগণ একটা গাছের পাতাতে টোকাও দেয় নি ।

হেফাযত কি সরকারী বিরিয়ানি খেয়ে সরকারী টয়লেটে হাগু করে সারাদিন নতুন নতুন পানজাবী মডেলিংয়ে ব্যস্ত ছিল???

৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

হাসির মানুষ বলেছেন: শাহবাগের দেড় মাসে জনগণ একটা গাছের পাতাতে টোকাও দেয় নি

জনগন!!!! কত জন জনগন শাহবাগে হাজির হয়???? প্রতিদিন মাত্র ৫০-৬০ জন তাও বহু কষ্ট করে ব্যয় করে ডেকে আনা। হা হা হা আবার এটা নাকি আন্দোলন!!!!

৯| ১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের বক্তব্য এবং কমন সেন্স এগুলো মিলিয়ে দেখুন । সরকারের পক্ষে এতোবড় লুকোচুরি করা সম্ভব নয়। শুধু কমনসেন্স দিয়ে বিচার করুন। যা আমার প্রথম বক্তব্যে রয়েছে। সরকার ও সরকারবিরোধী দলগুলোর রাজনীতির মাঝে পড়ে মূলত বলির পাঠা হয়েছে হেফাজত।

১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: আপনার প্রথম বক্তব্যে এও বলেছেন যে, “আল-জাজিরা সিএনএনসহ বিশ্বের সব সংবাদপত্রই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অনেক কিছু প্রচার করছে।”আপনি হয়ত জানেন যে, ‘বিবিসি বাংলা’ যেখান থেকে প্রচারিত হচ্ছে ‘ইকোনোমিস্ট,ও সেখান থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। আল-জাজিরা সিএনএন, ইকোনোমিস্টসহ বিশ্বের সব সংবাদপত্রই রাজনীতি করছে?বিশ্বের সব মানবাধিকার সংস্থা যেখানে প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।সেখানে বিবিসি বাংলা কবে রাজনীতি করবে সে পর্যন্ত বিশ্বাসের গলায় দড়ি পরিয়ে রাখতে হবে? আশ্চয যুক্তি!

আপনার মঙ্গল কামনায় থাকল।

১০| ১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপারেশন মিডনাইট! বারুদের বদলে ছুড়েছিল গোলাপ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আহারে, মাত্র একটা রাতও থাকতে দিল না।
শাহবাগে ৪ মাস ধরে ভিন্নমতাবলম্বীদের সরকারী অর্থব্যায়ে খাদ্য,নিরাপত্তা, মিডিয়া ননষ্টপ লাইভ কাভারেজ দেয়...

আর এই অবোধ গায়ের গন্ধ না মোছা
জীবনে প্রথম শহরদেখা কত মানুষ!!
পায়ে চপ্পল, বাশের লাঠির বাইরে অস্ত্র চেনেনা যারা
সেই সহজ সরল জিকির রত
ক্লান্ত ঘুমন্ত
মানুষও ভয়ানক হয়ে উঠল!!!!!


নাকি সরকার তার আত্মমূল্যায়নে এতটাই ভীত
যে লোকের হাটাচলাও তার আতঙ্ক হয়ে গেছে
কেউ হাটলেই চমকে যায়
কেউ কাশি দিয়ে লাফিয়ে উঠে!!

নইলে এমন হয়.....


লাখো মানুষৈর সমাবেশে
ব্লাক আউট করে, মিডিয়ার চোখ বেঁধে
শুধু সরাতেই এত হাজার হাজার রাউন্ড
গুলি, বোমা, টিয়ারশেল, গ্রেনেড....

তারপরও বলে- জিরো ইনজুরড!!!!

বলি হিরক রাজার বুঝি মতিঝিলে উদয় হয়েছেন....
আর তার শিষ্যরা গায় একই সুরে গান.....


ওরা বলে ব্রাশ ফায়ারে নাকি গোলাপ বের হয়
বুদবুদ ছোয়া, কিংবা খুশবু
লাখো লোকের সমাবেশে ৩০ মিনিট
বোপরোয়া গুলী বর্ষনেও তাই নিহত ৬ কি ৭ কিংবা শূন্য!!!

এখন রাইফেল গুলো গুলির বদলে আদর ছোড়ে
অন্ধকার করে নিতে হয় যাতে মৃত্যুর বিভীষীকা দেখতে না হয়
অথচ তবুও কি নির্লজ্জ ওরা কি মিথ্যুক ওরা
কি পিশাচ ওরা
কি রকম হায়েনা ওরা
বলে কেউ মারা যায় নি!!!!!!

ওদেরকে রাতের আধারে জমায়েত করে
সেই গোলাপবর্ষী বন্দুকের নলের সামনে দাড় করাও
তারপর ছোড়ে অসংখ্য গোলাপ-

হলপ করে বলতে পারি কেউ মরবে না।

১১| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৯

কৃষিবিদ আহমদ মুকুল বলেছেন: জামাত লবিস্ট নিয়োগ করেছিল কোটি কোটি ডলার খরচ করে, আল জাজিরা কত পেয়েছিল জানা গেলে আল-জাজিরার ভুমিকাটা আরো পরিস্কার হত।

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: শাপলা চত্ত্বরে জামাত ছিল না।হেফাজত ছিল।হেফাজতের জন্যও জামাত লবিস্ট নিয়োগ করে? আর জামাতের প্রসঙ্গ যখন তুললেন তখন আপনার কথায় মনকে প্রশ্ন করি। “দেশ স্বাধীনের পর জামাত রাষ্ট্র ক্ষমতার ধারে কাছেও এলো না।তারপরও এত টাকা পেল কই?আলাদীনের চেরাগ নাকী?

আপনার মঙ্গল কামনা করি।ধন্যবাদ।

১২| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫২

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আল জাজিরা, সিএনএন ও ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনগুলোতে কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণই নেই। জোড়ালো প্রমাণ ছাড়া কোনো গণমাধ্যম যদি প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাহলে ভেতরের রাজনীতি আপনাকে বুঝতে হবে। বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো বেশি লাশ চায় রাজনৈতিক কারনে। তবে আমি মনে করি যেকেনো মৃতু্যই দুঃখজনক। মৃতের সংখ্যা যাইহোক না কেন দুঃখজনক ঘটনা ছাড়া কিছুই বলার নেই। এরজন্য প্রধানত আমি দায়ী করবো, মাদ্রাসার এতিম বাচ্চাদের নিয়ে যারা রাজনীতি করছে তারা।

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১০

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: শাপলা চত্বরে গণহত্যা : আলজাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড় : রাতেই জুরাইনে ১৪ মুসল্লির লাশ দাফন কবর ও কবর খননকারী শনাক্ত

শাপলা চত্বরের গণহত্যা বিষয়ে কাতারভিত্তিক খ্যাতনামা টিভি স্টেশন আলজাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ সরকার। চ্যানেলটির কাছে যে নতুন ভিডিও ফুটেজ এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শেষ রাতে গাড়িতে লাশ তোলা হচ্ছে। জুরাইন কবরস্থানের কবর খননকারী আবদুল জলিল জানান, সেই রাতে তিনি ১৪ জন দাড়িওয়ালা লোককে কবর দিয়েছেন। তাদের গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। তবে আবদুল জলিল বাকপ্রতিবন্ধী; তাই তিনি ইশারায় পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। নিহতের সংখ্যা হাতের আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেন তিনি। তাদের কোথায় দাফন করা হয়, তা-ও দেখিয়ে দেন আবদুল জলিল।
গত মঙ্গলবার রাতে এ খবর প্রচার করে আলজাজিরা। চ্যানেলটির ওয়েবসাইটে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এখনও দেখানো হচ্ছে এ ভিডিও।
জুরাইনে অনেক হেফাজতকর্মীকে দাফন করা হয়েছে বলে এর আগেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এর সপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল না। আলজাজিরার প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়ার এসব দাবিকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এছাড়া ঢাকার একটি বিশেষ সংরক্ষিত স্থানে হেফাজতের আরও অনেক নেতাকর্মীর লাশ দাফন করা হয়েছে বলে এখনও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বলছে, ৬ মে ভোরে অপারেশন ফ্লাশ-আউটে কোনো মুসল্লি মারা যায়নি। তবে হেফাজতের অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে ১১ জন নিহত হয়েছে। কিন্তু হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, ঘুমন্ত ও ইবাদতরত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালিয়ে ওই রাতে অন্তত তিন হাজার লোককে হত্যা করা হয়। এছাড়া অন্তত ১০ হাজার লোক আহত এবং বহু লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
শুধু হেফাজত নেতারাই এই দাবি করেনি; দেশ-বিদেশের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন এবং গণমাধ্যমও প্রায় একই দাবি করেছে।
হংকংভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ার হিউম্যান রাইটস কমিশন জানিয়েছে, শাপলা চত্বরে নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশের খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন অধিকার বলেছে, শাপলা চত্বরে শত শত লোককে হত্যা করা হয়। এরপর ট্রাক ও কভার্ডভ্যানে করে লাশ সরিয়ে ফেলা হয়।
বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে মার্কিন টিভি স্টেশন সিএনএন জানায়, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়তো কখনোই জানা যাবে না। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট বলছে, ৫ ও ৬ মে অন্তত ৫০ জন লোক নিহত হয়েছে। এটাকে ‘গণহত্যা বলেই মনে হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছে ইকোনমিস্ট।
তবে সরকারি ভাষ্য নিয়ে বিতর্কের কথা উড়িয়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত হতেই পারে। তবে সরকার অথবা দেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে না যে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক রয়েছে।’

Posted by: আসলখবর ডেক্স May 16, 2013

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১

নিয়েল হিমু বলেছেন: দেখুন আপনি আমার কাছ থেকে একটা কাঁচের গ্লাস নিলেন দুদিন পরে ফেড়ত দেবেন । কিন্তু আপনার বন্ধু ভেংগে ফেল্ল । এখন আমি কি আপনার বন্ধুকে ধরব নাকি আপনাকে ?
আপনাদের অনুষ্ঠানে (!!) আপনাদের বন্ধু জামাতে পিছলামীর লোকেরা বিশ্রিংখলা করার দায় আপনাদেরকেই নিতে হবে । এবং শাহবাগের দাবী ন্যায্য কিনা এটাও বলতে হবে এক কথায় ।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩২

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: হিমু ভাই,শাহবাগের দাবী ন্যায্য ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ বার।কেবল শাহবাগ কেন বাংলার যে কোন প্রান্তে বাংলা মায়ের এ দাবি নিয়ে যে কেউ দাঁড়াতে পারে।আমিও শাহবাগের গর্বিত অংশীদার।জামাত প্রসঙ্গ টেনে এনে আমার পোষ্টটিকে খাটো করবেন না,অনুরোধ রইল।

খোদা আপনার মঙ্গল করুক।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: মতিঝিল গণহত্যায় নিহত হওয়া ২৫০০ লাশ (গাঁজাখোরদের মতে) নিয়ে আমার কিছু কথা এবং প্রশ্ন

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন:
মামুন ভাই,আপনার পরিশ্রমের প্রশংসা করি এবং স্যালুট দিই।কিন্তু আমার পোষ্টটি তো কেবল মানবজমিন ও আল জাজিরা থেকে হুবহু কপি পেস্ট।এ্যাজ এ বাঙ্গালী,আমি ভাই গরীব ঘরের সন্তান।ওদের অর্থ দিয়ে খবর ছাপানোর টাকাকুড়িতো আমার নেই।চলুন এক কাজ করি।দু’জন দু’টার বিরুদ্ধে দুইখান মামলা ঠুকে দিই।তবে ভাই বিদেশেরটা আপনাকেই নিতে হইব।মানবজমিন দেশের পোলা।প্রধানমন্ত্রী কইলেই চুপ হয়ে যাইব।কিন্তু ভিনদেশীরটা পারুম না।ঐটা আপনী লন।

আপনার মনের প্রফুল্লতা কামনায় রইল।

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪২

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: শাপলা চত্বর অভিযান নিয়ে সরকারের তথ্য ভুল :আল জাজিরা অভিযান নিয়ে বিতর্ক নেই :দীপু মনি

দৈনিক ইত্তেফাক May 16, 2013

কাতারভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল-জাজিরা বলেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে ৫ মে মধ্যরাতে হেফাজতবিরোধী অভিযানে মৃত্যুর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভুল তথ্য দিয়েছে। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ সরকার। আল-জাজিরার তদন্তে এবং প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে নিউজ চ্যানেলটি। ভিডিও ফুটেজে দেখা য়ায়, হত্যার পর গাড়িতে টেনে টেনে লাশ তোলা হচ্ছে।

আল-জাজিরা এ খবর এমন সময় প্রকাশ করলো যখন ঢাকার মতিঝিলে গত ৫ মে মধ্যরাতে ঘুমন্ত হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে ঠিক কত মানুষ হতাহত হয়েছেন তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে।

বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে । নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কতজন মারা গেছে তার সঠিক সংখ্যা পরিষ্কার নয়। স্বতন্ত্র সংবাদ সূত্রগুলো বলছে, এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত অনেকেই পরে মারা গেছে বলে গত শনিবার দেয়া বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে। আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সরকারের দেয়া নিহতের সংখ্যা সঠিক নয় বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোকে গুরুত্ব দেননি। দীপু মনি বলেছেন, যে কোন সময় তদন্ত বা অনুসন্ধান হতেই পারে। তবে বাংলাদেশের সরকার ও বেশিরভাগ মানুষ মনে করে, এ বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই।

ঢাকার জুরাইনের আব্দুল জলিল নামে মূক ও বধির এক কবর খননকারী ইশারা-ইঙ্গিতের ভাষায় আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে অভিযানের পর তিনি এক রাতে ১৪টি লাশ দাফন করেছেন। এ সব লাশের দাড়ি ছিল এবং এদের দেহে বন্দুকের গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এদিকে, ৫ মে রাতে ঠিক কী ঘটেছিলো তা জানার জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে।

ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসিসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের জন্য হেফাজতে ইসলাম গত ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে। সরকারের দেয়া অনুমতির ভিত্তিতে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে হেফাজতের লাখ লাখ কর্মী এবং তারা রাতে ওই এলাকায় থেকে যায়। হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শাপলা চত্বর ত্যাগ করবেন না। এ ঘটনার তিন মাস আগে ঢাকার আরেকটি ব্যস্ত চত্বর শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে একদল তরুণ অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছিল। তারাও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ত্যাগ করবে না বলে ঘোষণা দেয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, তখন সেখানে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ব্যস্ত চৌরাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। অবস্থান ধর্মঘটকারী তরুণদের জন্য তিন বেলা উন্নতমানের খাবার ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শাপলা চত্বরের বেলায় তা হয়নি। সরকার হেফাজত কর্মীদের ২৪ ঘন্টাও সহ্য করেনি এবং ‘ফ্লাশ আউট’ সাঙ্কেতিক নামে অপারেশন চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী দাবি করেছেন, গত ৫ মে গভীর রাতে বাতি নিভিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা স্মরণকালের নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, ঘুমন্ত ও প্রার্থনারত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালিয়ে কমপক্ষে তিন হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নিহতের সংখ্যা ২৫০০-এর বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে।

এদিকে, মধ্যরাতে শাপলা চত্বরে অভিযান শুরুর পর পরই ঢাকা থেকে প্রচারিত দু’টি টেলিভিশন চ্যানেল ‘দিগন্ত’ ও ‘ইসলামিক টিভি’ বন্ধ করে দেয় সরকার।

Click This Link

১৬| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: নিহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়তো কখনোই জানা যাবে না''
এতো কোনো সংবাদের ভাষা? আল জাজিরার তথসূত্র কি? আর সোশাল মিডিয়াতে ২০০৭ সালের ভিন্ন দেশের ছবিও চালানো হচ্ছে। কারা চালাচ্ছে তা ভালোই জানেন। আমি আবারও বলছি, কমনসেন্স এ কি বলে?
সামরিক শাসকেরাই পারে নাই লাশ গুম করতে, আর আওয়ামী লীগ। নিহত ১০০ হলে আহত কতো হয় জানেন?? নিহত ৫০০ হলে আহত হয় কতো জানেন? অনেকে আহত হয়ে বাঁচতে গিয়ে অলিতে গলিতেও মরে পরে থাকতো। এতো সোজা? আমার তিন সাংবাদিক বন্ধু সেখানে ছিলেন। বিবিসির সাংবাদিক ছিলেন। বিভিন্ন মিডিয়ার কমপক্ষে ৫০ জন সাংবাদিক ছিলেন। জামায়াত ও বিএনপিপন্থী দুই একজন সাঙবাদিকও ছিলেন।
বিবিসির রিপোটটা পড়ুন।

Click This Link

ঈশ্বর কি সরকারি বাহিনীকে অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে পাঠাইছে??

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন:
ছাহেরুন আর মফিজ পাগলায় রাতে ছুপড়ী ঘরে কি করিল সেইটা জানার অধিকার বিধাতা আপনাকে আমাকে দেন নাই।সরকারও রাতের আধাঁরে আলো নিভাইয়া দিয়া সেই গোপন কাজটি করিয়া গিয়াছে।প্রমাণ রাখার অধিকার কাদির কল্লোলকে দেন নাই।কাদির কল্লোল যে ছবি দুইখান জুড়াইয়া দিয়াছে তাহা রাতের আধাঁরের বা ঐ সময়ের নয়।স্পষ্ট দিবালোকের।যা আলো ফুটার পর সবাই দেখেছে।অথচ উনি বলেছেন “আমি নিজে সেখানে পৌঁছাই রাত সোয়া একটায়”। ঐ সময় ক্যামেরা বহন করার অধিকার হয়ত সরকার তাকে দেননি!নইলে মাত্র দশ মিনিটের ঘটনার ভিডিও কাদির কল্লোলের ক্যামেরায় খুব বেশী জায়গা দখল করে নিত না।সেই দায়িত্ববোধটুকু কাদির কল্লোলের মত ঝানু সাংবাদিককে নিশ্চয় বলে বোঝাতে হবে না।আধুনিক ডিজিটাল দুনিয়ায় উনি কেবল গল্পকারের বুলি আউরিয়ে গেলেন।ঐ সময়ের ছবি বা ভিডিও দিলে নিরপেক্ষতার প্রমাণ পেতাম।

ছাহেরুনের বাড়ন্ত পেট দেইখা গায়ের লোকে কানাকুড়ি করে।বিদেশীরাও না হয় একটু ঢাকঢোল পিটাইতেছে।চিন্তা কইরেন না।আরেক চত্ত্বর আবিস্কার হইলেই দেখবেন শাপলারটা ভুলে গেছে।তখন নতুন চত্ত্বরের খবর কপি পেস্ট মারব।

বুঝেছি বিবিসি বাবাজি রাজনীতি শুরু না করলে হুজুরদের রক্ত পাক হইব না।আপনাদের বিশ্বাসও হইব না।জামাত-বিএনপিকে বলা হোক টাকার অংক বাড়িয়ে দিয়ে বিবিসিকে রাজনীতির ময়দানে নামাতে! ধিক মানবতার নির্মহ লজ্জাকে।

আরেকখান কথা,যারা পায়ে হেঁটে বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে শাপলা চত্ত্বরে আসার প্রযোজনবোধ করে তারা আবার মাথার উপর দু-হাত তুলে লাইন ধরে পুলিশের কর্ডনের মধ্যে দিয়ে ওই এলাকা ছেড়ে যায় কেমন তান্ডব হলে এমনটি সম্ভব?ধন্যবাদ সরকারকে এই সফল অভিযানের জন্য।


খোদা আপনার মঙ্গল করুন।

১৭| ১৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন: শাপলা চত্ত্বর অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা

দৈনিক যুগান্তর অনলাইন সংখ্যা ১৭ ই মে,২০১৩

১৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

ডাক্তার আমি বলেছেন: সরকারের দাবী যে, শাপলা আভিযানে গনহত্যার মত কিছু ঘটেনি, এ কথাই সত্য হতে যাচ্ছে।

১৯| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

এম এস আই জুেয়ল বলেছেন:
হেফাজতের সমাবেশে নিখোঁজদের সন্ধানে আত্মীয়-স্বজনরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে

ইনকিলাব,রোববার, ১৯ মে ২০১৩, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০, ০৯ রজব ১৪৩৪

সাম্প্রতিক সময়ের হেফাজত ঘোষিত সব কর্মসূচিকে প্রকাশ্য সমর্থন দিচ্ছেন এরশাদ। দু’দফায় ঢাকায় আসা হেফাজত কর্মীদের পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে পার্টির পক্ষ থেকে। এরশাদ নিজেও রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে হাজির থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন হেফাজত কর্মীদের মধ্যে। গত ৫ ও ৬ই মে-র সহিংসতার জন্য সরকার হেফাজত কর্মীদের দায়ী করলেও এরশাদ বিমারহীনভাবে হেফাজত নেতা-কর্মীদের পক্ষে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। বলছেন, হেফাজত কোন সন্ত্রাসী দল নয়। সহিংসতার জন্য হেফাজতের কোন কর্মী জড়িত নয়। পার্টির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এরশাদের নির্দেশে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৫ই মে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হেফাজতের পক্ষে অংশ নেয়। এতে পার্টির দু’জন নেতা নিহত হন। পুলিশের গুলিতে আহত হন অনেকে।

মানবজমিন,রবিবার, ১৯ মে ২০১৩

বর্তমানে দেশে ৫০ হাজারের মতো কওমি মাদ্রাসা পরিচালিত হচ্ছে,মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪ লাখেরও বেশি। বর্তমানে ১৯টি ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসাগুলো নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এর মধ্যে কোনো কোনো 'বোর্ড' জোটভুক্ত, আবার কোনোটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায়।

বাংলাদেশ প্রতিদিন রবিবার ১৯ মে ২০১৩, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০ , ৮ রজব ১৪৩৪

নিজে ঘুমাচ্ছন্ন না থাকা আর কেবল কমনসেন্সের দোহাই না শুনিয়ে নিজের কমনসেন্সের উর্বরতা বৃদ্ধি কল্পে বাস্তবতা উপলব্ধি করার টনিক হতে পারে উপরোক্ত তিনটি লিংক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.