![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের গুলিতে পা হারানো ঝালকাঠি জেলার কলেজছাত্র লিমন হোসেনের পক্ষে-বিপক্ষে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নেমেছেন।
গতকাল রোববার লিমন এবং তাঁর মা হেনোয়ারা বেগম ও বাবা তোফাজ্জল হোসেনকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান তাঁর মগবাজারস্থ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বলেছেন- “র্যাবের সাথে যুদ্ধ করে পারা যাবে না।কারণ রাষ্ট্র তাদের পক্ষে।রাষ্ট্রের সংগে লড়াই করে টেকা যায় না।”এ সময় তিনি র্যাবের বিরুদ্ধে লিমনের মায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার প্রস্তাব করেন। তা হলে লিমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা র্যাবের মামলাও তুলে নেয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানকে গত ২৩শে জুন সরকার দ্বিতীয় দফায় আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। বলা হচ্ছে আপসকামী মানসিকতা ও বিভিন্ন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সত্ত্বেও এই মহুর্তে নিরবতার নীতি প্রদর্শন করার পুরস্কার হিসেবে সরকার তাকে এই পুনঃনিয়োগ দিয়েছে।অথচ গত দুই বছর যাবৎ ১৭ বছরের এই কলেজছাত্রকে সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিজের আখের গুছিয়েছেন এই ড. মিজান।এখন সরকারের বাড়তি বদান্যতায় মহুর্তে নিজেকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে নিলেন।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপেজলার সাতুরিয়া গ্রামে নিজেদের বাড়ীর পাশে দিনের বেলায় র্যাবের গুলিতে আহত হয় একাদশ শ্রেণীর ছাত্র লিমন।
মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় । সেখান থেকে লিমনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা লিমনের জীবন বাঁচাতে ২৭ মার্চ তাঁর বাম পা ঊরুর নিচ থেকে কেটে ফেলেন।
পঙ্গুত্ববরণ করেই লিমনের কষ্টের শেষ হয়নি। তার পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটে; র্যাবের দায়ের করা মামলায় কারাগারে যেতে হয় এবং মাসের পর মাস মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হয়।চিকিৎসা ও মামলার খরচ চালাতে তার পরিবার হয় সর্বস্বান্ত। ইতোমধ্যে র্যাবের সোর্স বলে পরিচিতরা তার উপর হামলা করে। পরিবারটি এখন গ্রাম ছাড়া।
২০১২ সালের ১০ জুলাই কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘লিমনের সঙ্গে রাষ্ট্র ইতিমধ্যে যে আচরণ করেছে, সেটা যথেষ্ট হয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে, পঙ্গু, নিরস্ত্র, অতিদরিদ্র ছেলেটির প্রতি রাষ্ট্র বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করে চলেছে। এটা কেন করা হচ্ছে, কার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে, কার অহমিকায় আঘাত করেছে—এটা বোধগম্য হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘লিমনের যে লড়াই, তা ন্যায্য ও ন্যায়সংগত। তার জয় হবেই। কিন্তু রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা-অভিযোগপত্র দায়ের করে চলছে। আমরা বলতে চাই: “লিমন, তুমি ভয় পেয়ো না, জাতীয় মানবাধিকার তোমার পাশে ছিল, আজও আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে।” আমরা শেষ পর্যন্ত দেখে যাব, এ দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় কি না।’
একই বছরের এপ্রিলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “এখন পর্যন্ত সরকারি কোন তদন্তেই লিমন যে সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এ অভিযোগের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে আমরা আশা করি নিম্ন আদালত থেকেই লিমন ন্যায়বিচার পাবে। তাকে সাজানো মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।”
ড. মিজান তার কথা রাখেননি কিংবা লিমনের পক্ষে আইনি পদক্ষেপও নেননি। ববং এখন তিনি র্যাবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে লিমন ও তার পরিবারের ওপর মামলা প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছেন।
আমাদের বাংলা ফিল্ম জোকার সমস্যায় বহুদিন থেকে।মতি,দিলদারের অকাল প্রস্থানে এ শূণ্যতার তৈরী হয়েছে।সুসংবাদ, আমাদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের মধ্যে মতি,দিলদারের শাররীক বৈশিষ্ট্য ও কারিশমা বিদ্যমান।মানবাধিকার কমিশনে না হয়ে বাংলা ফিল্ম এ প্রতিভার স্পর্শ পেলে আমাদের ফিল্ম জগৎ হারানো গৌরব অনেকাংশে ফিরে পাবে বলে আমার মনে হয়।
২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
মদন বলেছেন: এই বাটপারের মানবতা হঠাৎ হঠাৎ চাগান দেয় যখন উপর থেকে নির্দেশ আসে, বাকি সময় ঝিম মাইরা থাকে।
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
এস এইচ খান বলেছেন: এই ক্লাউনডারে দেখলে মন খুলে হাসি
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
আহলান বলেছেন: ধান্দাবাজি ছাড়া এই দেশে কিছুই হাছিল হয় না।