![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামাজের ওয়াক্তের সংখ্যা নিয়ে দল-উপদলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে এবং সমূহ মতবিরোধগুলো প্রধানত স্ব স্ব হাদিছের অনুসরণে প্রতিষ্ঠিত।
ছুন্নী সমাজে প্রধানত ৫ ওয়াক্ত অতঃপর বেতেরসহ ৬ ওয়াক্ত নির্ধারিত আছে; অতঃপর অতিরিক্ত তাহাজ্জুদসহ ৭ ওয়াক্ত। ইহা ছাড়াও তারাবী, কসুফ, খসুফ, চাসত্, আশুরা, জায়নামাজ, জানাজা ও শোকরীয়া ইত্যাদি নফল মিলে প্রায় শ’খানেক নামাজ আছে! তা’ছাড়াও ফরজের পাশাপাশি ছুন্নত হিসেবে আরও ৫ ওয়াক্ত, প্রধানত: উল্লেখযোগ্য ১০/১২ ওয়াক্ত! এখানে বলে রাখা ভালো যে, হুযুরদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বলে ‘৬ষ্ঠ ওয়াক্ত বেতের’ এশার সঙ্গে যুক্ত করে ৬ ওয়াক্তের নামাজ ৫ ওয়াক্তে সারে। অনুরূপ হাস্যকরভাবে শিয়াদের একটি উপদল ৫ ওয়াক্তের নামাজ ৩ ওয়াক্তে সারে। ওয়াক্তের সংখ্যার পার্থক্য ছাড়া শিয়া-ছুন্নী ও আহ্মদিয়াদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতায় কম-বেশি পার্থক্য থাকলেও তা একেবারেই গৌণ; তবে পার্থক্য পার্থক্যই। প্রধানত কোরানে ৩/ ৫/ ১০/১২ বা অগুণতি ওয়াক্তের কোনো প্রমাণ নেই।
নিম্নের সংক্ষিপ্ত আয়াতগুলো হিসাব-নিকাশ করলে পাঠকগণ ওয়াক্তের সংখ্যা সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হতে পারেন; অবশ্য যদি আল্লাহর কেতাবের সঙ্গে মনুষ্যরচিত কেতাবের শরিক করা না হয়:
১. সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত; আর ফজরের সময় কোরান তেলাওয়াত করুন-। আর রাত্র জাগরণ করুণ; আপনার জন্য এ হচ্ছে অতিরিক্ত (নফল) ফরজ। কারণ আল্লাহ চান আপনাকে সর্বোচ্যে সমাসীন করতে। [১৭: বনিইস্রাইল-৭৮, ৭৯]
২. ছালাত করবে: দিনের দুই প্রান্তভাগ পর্যন্ত ও রজনীর প্রথমাংশে-। [১১: হুদ-১১৪]
(২০৫)
৩. এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং রাত্রিকালে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং দিবসের প্রান্ত পর্যন্ত। [২০: ত্বাহা-১৩০]
৪. সুতরাং তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সন্ধ্যায় ও প্রভাতে। [৩০: রূম-১৭]
৫. এবং অপরাহ্ণে [আশিয়ান] ও জুহরের [তুজহেরুনা] সময়; [৩০: রূম-১৮]
৬. এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করবে। [৩৩: আহযাব-৪২]
৭. -তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সূর্য়োদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে। তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাতের একাংশে এবং সেজদার পরে। [৫০: কাফ-৩৯, ৪০]
৮. এবং তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ কর সকাল ও সন্ধ্যায়; রাত্রির কিয়দংশে তার প্রতি সিজদাবনত হও এবং রাত্রির দীর্ঘ সময় তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। [৭৬: দাহর-২৫, ২৬]
৯. -দাস-দাসিগণ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কগণ তোমাদের ঘরে প্রবেশ করতে ৩ টি সময় যেন অনুমতি গ্রহণ করে ; ১. ফজরের ছালাতের পূর্বে ২. দ্বিপ্রহরে, যখন তোমরা জামা-কাপড় খুলে রাখ ৩. ইশার ছালাতের পর-। [২৪: নূর-৫৮]
১০. এবং তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা কর রাত থেকে (মিনাল্লাইল) ও তারকার অস্তগমনের পর। [৫২: তুর-৪৯]
১১. তোমরা সালাতের ওপর/প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে। [২: বাকারা-২৩৮]
উল্লিখিত ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী ওয়াক্তের সংখ্যা নিরূপণ
১-১: এখানে ‘ছালাত’ শব্দটি আছে। আয়াতে সূর্য হেলা থেকে অর্থাৎ ১২টার পর থেকে শুরু করে ঘন অন্ধকার বা আনুমানিক রাত ৮/৯টা পর্যন্ত দীর্ঘ একটি ওয়াক্ত পাওয়া যায়; কিন্তু কর্মবহুল জীবনে তা কোনো প্রকারেই সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয় এবং কেউ তা করেও না; সুতরাং ‘সূর্য হেলে পরার পর থেকে’ মানেই সূর্য হেলা শেষ হলে পরে অর্থাৎ যাকে প্রচলিত মাগরিব বলা হয়; কিন্তু শরিয়ত সম্ভবত ইহাকে ‘আছর’ সাব্যস্ত করে; আর সকালবেলার পাঠ বা কোরান পাঠ বিশেষভাবে হৃদয়ঙ্গম হয়; তথাপি এখানে মাগরিব ও ফজর এই ২টি ওয়াক্তের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
ক. এখানে ‘ছালাত’ শব্দটি নেই। অতিরিক্ত হিসেবে গভীর রাত (তাহাজ্জুদ) পর্যন্ত ধ্যান/সাধনায় রত থাকার ইংগিত আছে, যা এশা নামে প্রচলিত। কিন্তু নির্দেশটা একমাত্র রাছুলের জন্যই বলে মনে হয়; তবে যারা রাছুলের মতোই প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় (চিন্তার বিষয়) তারাও তা অতিরিক্ত হিসেবে অনুসরণ করতে পারে।
২-২: এখানে ‘ছালাত’ শব্দ আছে। আয়াতের মূল শব্দ ‘তারাফিন্নাহার ও যুলাফাম্মিনাল্লাইল;’ যথাক্রমে দিনের দুই প্রান্ত ও রাতের নৈকট্য বা কিছু অংশ বুঝায়; অর্থাৎ দিনের দুই প্রান্তের শেষ অংশে রাতের সামান্য অংশ পর্যন্ত । মূলত: শব্দদ্বয়
একক ভাবার্থের বিপরীতার্থক শব্দ; অর্থাৎ দিন-রাতের দুই প্রান্ত অর্থাৎ ফজর ও মাগরিব ওয়াক্তের কথাই স্পষ্ট। কারণ ৫/১০ মিনিটের নামাজের কথা কোরানে নেই।
পক্ষান্তরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনূদিত কোরানে লেখা আছে: দিনের প্রথম প্রান্তভাগে ফজরের ছালাত, দ্বিতীয় প্রান্তভাগে জুহর ও আছরের ছালাত এবং রাতের প্রথমাংশে মাগরিব ও ইশার ছালাত। মোট এই পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরজ- (সূত্র: ১১: ১১৪ নং আয়াতের ফুটনোট নং-১০৮- ইবনে কাছীর; ই. ফা.।)
হতাশার বিষয় যে, উল্লিখিত ব্যক্তি বা দলীয় তফছির/ফতোয়ার সঙ্গে আলোচ্য আয়াতের কোনোই সম্পর্ক নেই; জুহর, আছর বা ইশা আরবি শব্দত্রয়ও সেখানে নেই।
৩-৩: এখানে ‘ছালাত’ শব্দ নেই। তবুও গত আয়াতের আলোকে ছালাতেরই ইঙ্গিত সঙ্গত বটে! আয়াতে ‘তুলুএস সামছ ও গুরুবেহা’র অর্থ সূর্যোদয় ও অস্তাচল সময় অর্থাৎ ফজর ও মাগরিব।
তারপর আবার সেই একই কথার ভিন্নভাবের পুনরাবৃত্তি মাত্র: ‘আনাইল্লাইলে বা রাতের অংশ, আতরাফান্নাহার বা ‘দিনের কিনারায়’ অর্থাৎ ফজর ও মাগরিব।
কিন্তু এখানেও ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনূদিত কোরানে লেখা আছে: সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজর, সূর্যাস্তের পূর্বে আছর রাত্রিকালে মাগরিব ও ইশা এবং দিনের প্রান্তে অর্থাৎ সূর্য পশ্চিমে হেলে যাওয়ার পরে জুহর এই পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের বিবরণ এখানে দেওয়া হইয়াছে (সূত্র: ২০: ১৩০ আয়াতের ফুটনোট নং-৪৮৯; ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ)।
উদ্বেগের বিষয় যে, পূর্ববৎ ফতোয়াটির সঙ্গে আয়াতের কোনোই যুক্তি-সমর্থন নেই; সম্ভবত: শরিয়ত হাদিছে বর্ণিত ৫ ওয়াক্ত রক্ষার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করেছে।
৪-৪: এখানেও ‘ছালাত’ শব্দ নেই। তুমছুনা ও তুছবিহুন (ছোবহ): সন্ধ্যায় ও প্রভাতে, অর্থাৎ ফজর ও মাগরিব।
৫-৫: এখানেও ‘ ছালাত’ শব্দ নেই। লক্ষণীয় যে, ব্রাকেটে আসিয়ান অর্থ: সন্ধ্যা বা দিনের শেষ প্রান্ত অর্থাৎ মাগরিব (দ্র: আধুনিক আরবি-বাংলা অভিধান, মা. মুহিউদ্দীন খান) এবং তুজহেরুন বা জাহের, জাহির, এজহার এর অসংখ্য অর্থের মধ্যে প্রধান অর্থ: প্রকাশ, স্পষ্ট, পরিষ্কার, বাহির, আবির্ভাব; জাহিরা/জাহিরাতুন= মধ্যদিন (যা আয়াতে নেই) (দ্র: আরবি-ইংরাজি অভিধান, জে এম কাউয়ান; দ্বিপ্রহর, পরবর্তী সময় (দ্র: আরবি-বাংলা অভিধান, মা. মুহিউদ্দীন খান)
বর্ণিত অর্থ এবং অন্যান্য আয়াতের আলোকে ‘জাহের’ অর্থে সূর্যের প্রকাশ বা ভোরকেই বুঝা অধিক সঙ্গত; দর্শনটির পক্ষে অতিরিক্ত সাক্ষি: মা আমিনার গর্ভ থেকে মুহাম্মদকে প্রকাশ/বের হয়ে আসার জন্য প্রসূতি ঘরে উপস্থিত ফেরেস্তাগণ ‘এজহার ইয়া রাছুলাল্লাহ’ বলে শ্লোগান দিয়েছিল! যা আজও প্রচলিত মিলাদে অনুকরণ করা হয়। সুতরাং এখানেও পাওয়া যায়: ফজর ও মাগরিব।
৬-৬: এখানেও ‘ ছালাত’ শব্দ নেই। ওয়াক্ত পাওয়া যায়: ফজর ও মাগরিব।
(২০৭)
৭-৭: এখানেও ‘ ছালাত’ শব্দ নেই। অনুবাদটি কিছুটা রূপক মনে হয়; তবে ফজর-মাগরিব স্বচ্ছ; পরবর্তী আয়াতে ‘মিনাল্লাইলে ফাছাব্বেহ,’ রাত বা রাত থেকে তার পবিত্রতা জপ কর; অনুবাদে ‘রাতের কিছু অংশ’ মূল আয়াতে নেই; তবে ১ নং আয়াতের মতো ঐচ্ছিক তাহাজ্জুদকে ইঙ্গিত করতে পারে।
৮-৮: এখানেও ‘ ছালাত’ শব্দ নেই। ওয়াক্ত পাওয়া যায়: ‘বুকরাত-আছীল বা সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ ফজর-মাগরিব। অতঃপর ১ নং আয়াতের মতোই বলা হয়েছে: ‘রাতের দীর্ঘ সময়’ বিনয়াবনত হয়ে একাগ্রচিত্তে সাধনায় মশগুল থাকতে, রাছুল যেমন হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানে মগ্ন থাকতেন।
৯-৯: এখানে ‘ছালাত’ শব্দটি আছে। সকাল-সন্ধ্যাকালীন (ইশা=দ্র: ৫/৫ নং) নামাজ অর্থাৎ: ফজর ও মাগরিব।
১০-১০: এখানেও ‘ ছালাত’ শব্দ নেই। -রাত থেকে অর্থাৎ রাতের শুরু থেকে এবং তারকারাজির অস্ত গমনের পর অর্থাৎ: ফজর ও মাগরিব।
১১-১১: এখানে ‘ ছালাত’ শব্দটি আছে। অতীব লক্ষণীয় যে, আয়াতটিতে মধ্যবর্তী ওয়াক্তের কথা বলা হয়নি! বলা হয়েছে মধ্যবর্তী ছালাতের কথা! আরও লক্ষণীয় যে,ব্যবহৃত ‘বিশেষত বা স্পেসাল’ শব্দটি মূল আয়াতে নেই। তবুও সকল অনুবাদকগণ ঐ গুরুত্বপূর্ণ শব্দটি কোন্ যুক্তিতে যুক্ত করেছেন তা বোধগম্য নয়।
‘মধ্যবর্তী ছালাত’ বলতে: ছালাতের মধ্যে যা বলা হয় তা রক্ষা করতে বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে দল-উপদলীয় মুছলমানগণ কেউ কেউ ৩/৫/৭ ইত্যাদি বেজোড় ওয়াক্ত নির্ধারণ করে বিশেষ ছোয়াবের আশায় মাঝের ওয়াক্ত রক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয় এবং সে অনুসারে চাকুরির মহান দায়িত্ব ছেড়ে মসজিদে হাজির হয়। সুতরাং আয়াতটি মূলার্থ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া দরকার। তাছাড়া এক বা একাধিক নামাজের মধ্যের বিষয়বস্তু বা বক্তব্য রক্ষা না করে মাত্র মধ্যের ওয়াক্ত বা হাজার ওয়াক্ত রক্ষায় কোনোই অর্থ বহন করে না, বরং মুনাফিকের পর্যায় ফেলে দেয়।------।
বিনীত।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৫
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
কিন্তু কোরানের শুধুমাত্র দ্বিমতই নেই বরং চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে যে, রাছুর কোরানের অধিক কোন কথা কাজ করলে তার জীবন ধমনী কেটে ফেলা হতো (তথ্য: ৬৯: ৪৪-৪৭)
বিনীত।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৯
আমিই আজাদ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। আপনার তথ্য বহুল পোষ্ট পড়ে।
অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আরও জানার অপেক্ষায় রইলাম।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৯
ওয়াচ ক্যাট বলেছেন: মধ্যবর্তী ছালাত’ বলতে: ছালাতের মধ্যে যা বলা হয় তা রক্ষা করতে বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে দল-উপদলীয় মুছলমানগণ কেউ কেউ ৩/৫/৭ ইত্যাদি বেজোড় ওয়াক্ত নির্ধারণ করে বিশেষ ছোয়াবের আশায় মাঝের ওয়াক্ত রক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয় এবং সে অনুসারে চাকুরির মহান দায়িত্ব ছেড়ে মসজিদে হাজির হয়।
হুমম, মসজিদ গুলো বন্ধ করে দিলেই বোধ হয় নামাজ আদায়ের ঝামেলাটা মিটে যায়।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৩৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. শুদখোরগণ শুদ আদায় করে, চাদাখোরগণ চাদা আদায় করে, ঘুষখোরগণ ঘুষ আদায় করে; আপনি কি নামাজখোর যে নামাজ আদায় করেন? কার কাছ থেকে আদায় করেন?
২. মসজিদেই যে নামাজ পড়তে হবে এমন কোন নির্দেশ কোরানে নেই। মসজিদগুলি বন্ধ করে নিরাশ্রয়দের আশ্রয় দিয়ে স্ব স্ব ঘরে ঘরে অথবা রাস্তায়-মাঠে নামাজ পড়লে আল্লাহ গোস্যা করবে বলে এমন কোন দলীল আছে?
বিনীত।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৫
মুখচোরা বলেছেন: আপনার কথাগুলি পরিষ্কার নয়। নামাজ কয় ওয়াক্ত বলে আপনি মনে করেন? আপনি ইসলামের কোন ধারা বা উপধারার অনুসারী পরিস্কার করে বলুন। নাকি আপনি এখন আরো একটি নতুন ধারা প্রবর্তন করতে চান? সকল ধার্মিকেরই উদ্দেশ্য থাকে বিভাজনকে কমিয়ে ঐক্য গড়ে তোলার। আপনি দেখছি নতুন বিভাজন তৈরী করতে ব্যস্ত। আপনি কি মানুষকে বিভ্রান্ত করে দিয়ে কাফেরিকেই শক্তিশালি করতে চাইছেন? তাহলে সরাসরি নাস্তিকের খাতায় নাম লেখান। ধার্মিক ভার ধরে পেছন থেকে ছুরি চালনার পথ পরিহার করুন। ধন্যবাদ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
যা বলা হয়েছে তা ম জ বাসারের নিজস্ব দর্শন নয় বরং স্পষ্ঠ কোরানের আলোকে বলা হয়েছে। সম্ভব হলে ইহা কোরান বিরুদ্ধ প্রমান করুণ?
২. হাদিছের বিপরীতে কোরানের বাণী যাদের সহ্য না হয়; তাদের সম্বন্ধে আল্লাহরও কিছু করার নেই।
৩. ম জ বাসার আহ্বান করছে: শিয়া, ছুন্নী, হানাফি, হাম্বলী, ওহাবী, কাদিয়ানী, তাবলিগী, চিশতী, ভান্ডারী প্রভৃতি বিদাত প্রযুক্ত মুসলমানিত্ব ত্যাগ করত পুনরায় 'মুছলিম' এ ফিরে আসতে; আপনার পছন্দ না হলে না আসুন; কিন্তু 'নতুন ধারা'র গন্ধ পেলেন কোথায় জনাব, প্রমান দিন? যুক্তি-প্রমানহীন বেহুদা কথা না বলাই শ্রেয়!
বিনীত।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৪৫
ওয়াচ ক্যাট বলেছেন: @বাসার সাহেব, সালাম। এত রাগ করলে কেমনে হবে? আমার নাস্তিক বন্ধুরাও মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে। আপনার কথা আর আমার নাস্তিক বন্ধুদের কথা মিলিয়ে এবং বহু চিন্তাভাবনা করে দেখলাম মসজিদ বন্ধ করে দেয়াটাই হবে সহি সমাধান। নামাজ সংক্রান্ত ঝামেলা মিটে যাওয়ায় আপনি বা আপনার ধারার লোকেরা খুশি থাকলেন আর আমার নাস্তিক বন্ধুরাও খুশি থাকল। চালায়ে যান।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ধর্মালোচনায় রাগ, অনুরাগ, অন্ধত্ব, যুক্তিহীণ বা ভাবাবেগের স্থান নেই; বাস্তব সত্যের কঠোর যুক্তিগুলি রাগ বা গালি ভাবে অসহায়, দুর্বলগণ।
২. মসজিদেই যে নামাজ পড়তে হবে এমন কোন বিধান কোরানে নেই; ঘুষের টাকায়, অবৈধ জায়গায় (প্রধানত) ভিক্ষার টাকায় ইট-পাথরের মসজিদে আল্লাহ বাস করে না।
৩. আল্লাহর বাস জীব তথা মানুষের হৃদয় (দ: ৮: ২৪)। সেই মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে গৃহহীন, অবহেলিত হয়ে অট্টালিকা মসজিদের আশেপাশে রাত কাটায়; আর ইমাম মসজিদে তালা দিয়ে ঘুমায়।
৪. এমন মসজিদ না থাকায় মুছল্লিরা নামাজ পড়েনি?
৫. বাংলাদেশের সমস্ত মসজিদগুলিতে ভুখা-নাংগা, গৃহহীনদের পুণর্বাসন করে মুছল্লীরা খোলা মাঠে, ঝড় বাদলের মধ্যে নিয়মিত নামাজ পড়লে আল্লাহ কি গোস্যা হবে? না বেশি খুশী হবে?
বিনীত।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৪
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: ভাই ম জ বাসার, আস্সালামু আলাইকুম,
একটি প্রশ্ন, দয়াপরবশ হয়ে উত্তরটি দিয়েন। উপরে উল্লেখিত সুরা ইশ্রার ৭৮-৭৯ নং আয়াতের (আপনার স্বরচিত) অনুবাদ অনুসারেই আপনি ব্যক্তিগতভাবে বছরে কয়রাত্র জাগরন করেন ঐ আয়াতের আদেশ পালনের জন্য? উত্তরটি সরল-সোজা ভাষায় জানালে খুশি হব। আপনার পূর্বেকার অভ্যাস অনুযায়ী এড়িয়ে গিয়ে বা চুপ থাকলে এর উত্তর না ধরে নিবো।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কে ছালাত করে, কে করে না এমন খবরদারী করা দূষনীয়; বরং কে খেয়েছে আর কে খায়নি এমন খোজ রাখা ধর্মনীয়।
২. ম জ বাসার কতরাত কতদিন, দৈনিক কতঘন্টা জাগরণ করে ইত্যাদি বিষয় বল্লেও আধুনিক সমাজ অত্যাচার্য, অসম্ভব মনে করবে। এভাবে পুন প্রশ্ন করবেন্না।
৩. ম জ বাসারের কর্মফলই তার স্বভাব চরিত্রের উত্তম স্বাক্ষর।
৪. ব্লগ জীবনে জানামতে ম জ বাসার কখনো কারো প্রশ্ন এড়িয়ে যায়নি, যায় না। অবশ্য যেগুলি অবান্তর, অযৌক্তিক, শিশুসুলভ সেগুলি হয়তো বা অবমূল্যায়ণ করা হয়।
বিনীত।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৩
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: আর মুখচোরা ব্লগারের প্রশ্নটি (নামাজ কয় ওয়াক্ত বলে আপনি মনে করেন?) রও সরল-সোজা উত্তর আশা করছি। আপনার দেয়া উত্তরে সেটি কিন্তু এড়িয়ে গিয়েছেন সেই স্বভাব মত!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. প্রশ্ন করার আগেই প্রতিবেদনে আল্লাহর নির্ধারিত ওয়াক্ত সংখ্যা দেয়া আছে এবং সেগুলি আন্ডারলাইন করা আছে; না বুঝলেই বিশ্বাস হয় যে উত্তর দিতে অসমর্থ বা এড়িয়ে যায়।
এমন সহজ, সরল বিষয়টি যাদের মগজে ঢুকেনি তাদের শতভাগ প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়াই সংগত আর ম জ বাসার
বিনীত।
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: আপনার দৃষ্টিতে নামাজ ৫ ওয়াক্তই তো? এই ৫ ওয়াক্ত ছাড়া ফরয নামায নাই তো? আসলে এটা বললেই হবে।পোস্ট পড়ে পুরোপুরি বুঝতে পারতেছিনা।আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।একটু বলবেন এতে কি কিছু ভুল আছে? থাকলে কি?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. প্রতিবেদনের আয়াতগুলির ওয়াক্তগুলি আন্ডার লাইন করা আছে। তাতে কোরানের আলোকে সাধারণত ২ বার এবং অসাধারাণত ৩ বারের কথা পাওয়া যায়।
২. ফরজ-ছুন্নত নামাজ বল্তে কোন নামাজ নেই; নামাজ নামাজই।
৩. শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই ভুলই নয় বরং শিরকী; সেগুলি এখানে লিখার সময়-সুযোগ নেই; প্রকৃতপক্ষেই জানার আগ্রহ থাকলে নিচের লিংকে 'কোরান বনাম শরিয়ত' বই ডাউনলোড করে 'নামাজ' অধ্যায় দেখতে পারেন। অত:পর সমালোচনা করুণ? সাদরে ধৈর্যের সংগে সমাদর করা হবে।
বিনীত।
৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
মদন বলেছেন: কাবা শরীফে অথবা মসজীদে নববীতে কয় ওয়াক্ত ফরজ নামাজ পড়া হয়?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
ওটা শিয়া, ছুন্নী, ওহাবীদের বিষয়; ম জ বাসার বা কোরানের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই; কোরানে কি আছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করুন? সম্ভব হলে উত্তর দেয়া যাবে।
বিনীত।
১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৬
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: কাবা শরীফে বা মসজিদে নববীতে ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ানো হয়। খানে কাবা তে তাহাজ্জুদের আযান দেয়া হয়।নামায পড়ান হয়না।আমি সম্প্রতি হজ্ব করে আসছি তাই বললাম।
১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৪
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: ম জ বাসার মনে করেন নামাজ দুই থেকে তিন ওয়াক্ত। কিন্তু তিনি নিজে নামাজ পড়েন কি না তা জিজ্ঞেস করাটা দুষনীয় এবং কক্ষনোই তিনি এর উত্তর দেন না- এবার বুঝে নিন উনি কি করেন। সুতরাং এ ধরনের লোকদের মতামত পড়ে দয়া করে কেউ পথভ্রষ্ট হবেন না। এরা সুচিন্তিত-পরিকল্পিত ভ্রষ্টাচারে লিপ্ত এবং মুসলিমদের কে পথভ্রস্ট করার কাজে কমিটেড। এর প্রমান তার যেকোন পোস্ট পড়লেই বুঝতে পারবেন। তাই আমি আবারো অনুরোধ করছি সকল পাঠকদের দয়া করে এনার পোষ্ট পড়ে এবাদত সম্পর্কীয় কোন প্রকার সিদ্ধান্ত নিবেন না।
০৫ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:০৫
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. শিয়া-ছুন্নীগণ যেমন অজু-গোসল পড়েনা, পায়খানা-পেশাব পড়েনা, রোজা পড়ে না তদ্রপ মুছলিমগণ নামাজ পড়েনা।
২. ম জ বাসারের প্রতিবেদনে পারতপক্ষে নিজের মতামত থাকে না। যা থাকে তা একমাত্র কোরানের আলোকে সিদ্ধ।
৩. নেটের পাঠকগণ ওয়াজ-মাহফিলের দর্শক-শ্রোতা নন।
বিনীত।
১২| ০৫ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:৪২
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: আপনার 'কুরান অনলি' গুরু রাশাদ খলিফা পর্যন্ত ৫ ওয়াক্ত নামাজ এর কথা স্বীকার করেন। আপনি দেখি কমাইতে চান।
মনে রাইখেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ শুধুমাত্র 'মানব রচিত কেতাব' দিয়া আসেনাই। রাসুল ( সঃ ) এর যুগ থেকে লোকজন ৫ ওয়াক্ত পড়ত ... তারা তাদের পোলাপানরে ৫ ওয়াক্ত শিখাইসে... আর তারা তাদের পোলাপাইনরে। যেহেতু নামাজ প্রতিদিনের ইবাদাত (প্রতিদিনই অসংখ সাক্ষি) তাই সব হাদীস ফালায়া দিলেও অস্বীকার করার উপায় নাই যে রাসুল ( সঃ ) এর সময় থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ চালু আছে।
এইটা নিয়া আর পানি ঘোলা করার চেষ্ট কইরেন্না। কাউরেই এই যুক্তি গিলাইতে পারবেন্না।
০৫ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:১২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১.সব হাদিছ ফেলে দিলেও আপনাদের শিয়া, ছুন্নী খেতাব ফেলে দেয়া সম্ভব নয়।
২. হাদিছ ছাড়া আপনার মন্তব্যের পক্ষে কোন পাকা দলিল নেই।
৩. কোরানের বিপরীতে দুনিয়ার সকল দলিলপত্র ও পোলাপানদের হাজির করলেও যথেষ্ট নয়।
৪.আপনার কানে কোরানের বিষয়গুলি পৌছে দেয়া হয়েছে মাত্র। গিলা না গিলা নিজস্ব বিষয়।
৫.রাশাদ খলীফা আমার গুরু নন।
বিনীত।
১৩| ০৫ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:১৭
মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: মাফ করবেন, ভুলে আপনার মতো বিশাল জ্ঞাণী লোকের ব্লগে ঢুকে পড়ছিলাম। সারা জাহানের মালিক আল্লাহর হুকুম না মেনে তার সৃষ্টি মানুষের চাকরী পালন মহান দায়িত্ব ! ! ! ভালো বলছেন। কাউকে হেদায়াতদানের মালিক একমাত্র আল্লাহ সুবহান্ল্লাহুওয়াতায়ালা। আপনার হেদায়াত কামনা করি। আ-মীন।
০৫ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:২০
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কোরানের আলোকে নিজকে হেদায়েত করুণ জনাব।
২. আল্লাহর হুকুমগুলিই পরম্পরায় বোখারীদের বিপরীতে বর্ননা করা হচ্ছে মাত্র।
৩. সত্ পথে রুটী-রুজীর কঠিন নির্দেশ আছে কোরানে।কোরানের ৯৫ ভাগ আদেশ নিশেধ পেট-পিঠের, সামাজিক বা ইহলৌকিক; চাকরী করা, স্ত্রীসহবাস, পোলাপান লালন-পালন সবই আল্লাহর ইবাদত।
৪. আন্তাজে কথা না বলে বরং সামনে কোরান বুঝে পড়ুন?
৫. ম জ বাসার কোন জ্ঞানী লোক নয়, সে মাত্র কোরান কি বলে আর শরিয়ত কি করে উহাই চোখে আংগুল দিয়ে ধরিয়ে দেয়।
বিনীত।
১৪| ০৬ ই জুন, ২০১২ রাত ২:৫৪
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: ১.সব হাদিছ ফেলে দিলেও আপনাদের শিয়া, ছুন্নী খেতাব ফেলে দেয়া সম্ভব নয়।
আমিও শিয়া সুন্নী লেবেল চাইনা। আমিও চাই সবাই সুধু মুসলিম পরিচয় এ পরিচিত হোক। এইখানে যে বিরাট সমস্যা তা আমিও জানি। আপনার 'কুরান অনলি' সল্যুশন কতটা কাজ করবে বুঝার মত পন্ডিত আমি না।
২. হাদিছ ছাড়া আপনার মন্তব্যের পক্ষে কোন পাকা দলিল নেই।
আমি তো দলিল এর কথা বলিনাই... বলসি সাক্ষির কথা। আপনি কি বলতে চান নবীর সময় লোকজন ২ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো পরে কেউ চেঞ্জ করে দিসে?
৩. কোরানের বিপরীতে দুনিয়ার সকল দলিলপত্র ও পোলাপানদের হাজির করলেও যথেষ্ট নয়।
কোরান কি আমি বা আপনি নাজিল হতে দেখসি? সাহাবিরা কেউ কি জিব্রাইল কে দেখসে? এমনকি কোরানের ফাইনাল সংকলন নবীজী নিজে করেন নাই। তাইলে কোরান বিশ্বাস করতে হলে নবীর উপর বিশ্বাস লাগে।
আবার ধরেন নবীজী'র কোন ছবি বা ভিডিও ও নাই। তিনি যে ছিলেন তাই তো আমরা প্রমান করতে পারিনা (যদি না আমাদের পুর্বপুরুষদের বিশ্বাস করি)।
একজায়গা থেকে তো বিশ্বাস শুরু করতে হবে। আপনি কি সারা দুনিয়ার এত এত পন্ডিত লোকজন কে ভুল দাবি করে আপনার ব্যাখ্যা ই প্রচার করে যাবেন?
আমি তেমন পন্ডিত কেউ না (অন্তত ধর্মের উপরে)। তবে যেসব পন্ডিত লোকজন সারাজীবন ধর্ম নিয়া গবেষনা করসেন তাদের উপর ভরসা করা ছাড়া তেমন উপায় দেখিনা। তাও যতটা পারি পড়ার চেষ্টা করি।
আপনার অনেক লেখা পড়লাম। অন্যদের মত গালাগালি করবোনা। তবে বলব মন খোলা রাখেন। আপনি যা বিশ্বাস করেন সেটাই যে সত্যি তা নাও হতে পারে। কারণ আমিই এখনো নিশ্চিত না যে আমি যা বিশ্বাস করি তা ১০০% সত্যি।
আল্লাহ আমাদের সত্যি পথ দেখান সেই আশায় থাকলাম।
০৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ৭:২৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. অনলি কোরান সমস্যার সমাধা দিতে না পারলে আল্লাহ-কোরান ও রাছুল মিথ্যা হয়ে যায়। আসলে কোরান বহু আগেই সমাধা দিয়েছে বটে! মানা না মানা নিজস্ব ব্যাপার।
২.ক. সাক্ষির কথাও উল্লেখ আছে।
খ. কোরান তাইই সাক্ষি দেয়।
অথবা
গ. কোরান থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ সরিয়ে ২+১ ওয়াক্ত করা হয়েছে; দুটোর যেকোন ১টি বিশ্বাস করতে হবে।
৩. কোরান মানা আর রাছুল মানায়/রাছুল মানা আর কোরান মানায় তফাত কিছু নেই; কিন্তু রাছুল মানা আর ৩শ বছর পরে বোখারীদের হাদিছ মানায় বিস্তর তফাত আছে।
খ. মজ বাসারকে নাজিল হতে আপনি দেখেছেন? আপনার বাবাকে নাজিল হতে আপনি দেখেছেন ? আপনাকে নাজিল হতে আপনি দেখেছেন? বাজারের আম, কাঠাল, মাছ, তরী-তরকারী, রসোগল্লা নাজিল হতে দেখেছেন? দেখেননি। তবুও বিশ্বাস করেন; -কেন? –কারণ ঐ বস্তটা নিজেই সত্য-মিথ্যার মূল, মূখ্য ও প্রধান সাক্ষি; ২য় গৌণ সাক্ষি আপনি নিজে।
গ. কোরান সত্য কি মিথ্যা তা কোরানের বাণীই বলে দেয়। হাইড্রোজেন-অক্সিজেনের সুত্র সত্য কি মিথ্যা তা প্রমানের জন্য উহার জন্মদাতার প্রয়োজন হয় না। সুত্রটিই যথার্থ।
৪. প্রমান করার দরকার নেই। তিনি যে সংবিধান রেখে গেছেন সেটা পড়ে, জেনে বুঝে প্রয়োগ করলেই নবিজীর সাক্ষাত পেতে পারেন।
৫. আপনার হৃদয় নামক ১টি জায়গা থেকেই বিশ্বাস শুরু করুণ? তারা সঠিক কি ভুল তার মাপকাঠি একমাত্র কোরান; কোরান খুলুন এবং একে একে পন্ডিতদের মাশালা-মাশায়েল, মন্তব্যগুলি বিচার করে দেখুন; বিচারের মানদন্ড আপনার কাছে নেই, আছে শুধু শুনা কথায় অন্ধ বিশ্বাস; মনুষ্য রচিত শরিয়ত ব্যতীত কারো উপর কেহ ভরসা করার ধর্ম আল্লাহ প্রদত্ত্ব নয়।
খ. মজ বাসারসহ দুনিয়ার এত এত পন্ডিত সবই ভুল, সত্য একমাত্র কোরান। যা নিজেই জানেন না তাই মানার প্রশ্নই আসে না।
৬. কোরানের উপর চোখ খোলা না রাখলে আজীবন অন্ধ বিশ্বাসেই দিন গুজার করতে হবে এবং তার পরিণতি ভয়াবহ। নিজের মুক্তি নিজের হাতে, অন্যের হাতে নয়!
৭. আপনার চাওয়ার আগেই আল্লাহ বহু আগেই পথ দেখিয়ে দিয়েছেন; দেখাবার আর কিছু বাকী রাখেনি। এখন মানা না মানা আপনার নিজস্ব বিষয়। ভালো থাকুন।
বিনীত।
১৫| ১০ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:৪৯
এম আবু জাফর বলেছেন: আল্লাহ্ আপনাকে হেদায়ত করুক।রাসুল(সঃ) যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেনি,ফক্কে আপনার যুক্তি কি?
১০ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. যুক্তি, সাক্ষি ও প্রমান কোরান; কোরানে ২+১=৩ ওয়াক্তের কথা বর্ণিত আছে।
২. কোরান ব্যতীত রাছুল কোন কথা, কাজ নিজে রচনা বা করতেন তবে আল্লাহ তার ডান হাত ধরে জীবন ধমনী কেটে ফেলতেন বলে কোরানে ঘোষিত আছে (তথ্য: ৬৯: ৪৪-৪৭)।
বিনীত।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫৭
কান্টি টুটুল বলেছেন:
তবে আমাদের রাসুল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছেন এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকার কথা না।