![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরিয়তে কথিত আছে যে,রাছুলের পরে অসংখ্য ভন্ড নবি-রাছুলের দাবিদার হবে। বিষয়টি আলোচনার আগে ‘দাবি’ শব্দটি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞানার্জন দরকার।
দাবি প্রধানত ৩ প্রকার: ১. মৌখিক দাবি ২. উত্তরাধিকারদাবি ৩. কর্মার্জিত দাবি।
১. মৌখিকদাবি: সরাসরি দাবি করে বসলো যে সে একজন নেতা বা ভদ্রলোক অথবা চোর কিন্তু কাজে কর্মে তার কোনই প্রতিফলন বা সাক্ষি-প্রমান নেই;এর নামই হলো মৌখিক দাবি,যা অর্থহীন।
২. উত্তরাধিকার দাবি: বংশ পরম্পরায় বা জন্মগতভাবে যে দাবি বর্তায়;যেমন উত্তরাধিকার সম্পত্তি প্রাপ্ত,মা-বাবার দেয়া নাম ও বংশগত নাম- শুনাম-কুনাম নাম প্রভৃতি।
৩. কর্মার্জিত দাবি: প্রতিষ্ঠিত নেতা-পীর,শিক্ষাগত যোগ্যতাধারী,কেরানী,অফিসার, ম্যানেজার প্রভৃতি চাকুরীজিবী,কবি,সাহিত্যিক,দার্শনিক,চোর,ডাকাত,সন্ত্রাসী-ছিনতাইকারী প্রভৃতি।
মৌখিকদাবি মূলত: একটি কথার কথা যার কোন ভিত্তি নেই।উত্তরাধিকার দাবি সীমিত বিষয়ভিত্তিক,উহা মৌখিকভাবে দাবি/স্বীকার বা অস্বীকার করা না করা উভয়ই সমান; যেমন দেলোয়ার হোসেন সিকদার;উত্তরাধিকার নাম ‘সিকদার’ যতই অস্বীকার বা মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টায় নতুন ‘ছাইদী’ নাম ধারণ করুক না কেন তা কখনোই সম্ভব নয় এবং সম্ভব হলেও গর্হিত অপরাধ।চোরের সন্তান যতই ভদ্র,আদর্শ হোক ‘চোরের সন্তান’ খেতাবটি ধীরে ধীরে বিসৃত হলেও মুছে ফেলার উপায় নেই।
কর্মার্জিত দাবিই হলো মূল ও প্রতিষ্ঠিত দাবি;উহা যারা কর্মে অর্জন করে,তাদের মৌখিকভাবে তা দাবি করা নিষ্প্রয়োজন অবান্তর;যেমন সত্যিকারের একজন আদর্শ-ভদ্র লোক,কবি-দার্শনিক,আউলিয়া-পীর প্রভৃতিগণ মৌখিকভাবে দাবি করে বেড়ায় না;বরং তাদের কর্মই ঐ খেতাবটি নিজের উপর সর্বজন স্বীকৃত হয়েই আপতিত হয় এমনকি তা সে অস্বীকার করলেও।চোর-ডাকাত কখনো মৌখিকভাবে দাবি বা স্বীকারই করে না যে সে চোর;কিন্তু তার কর্মগুণে খেতাবটি এমনভাবে বর্তায় যে সে উহা অস্বীকার করলেও সাক্ষি-প্রমানে সে মার্কাযুক্ত প্রতিষ্ঠিত চোর।কবি-দার্শনিকগণ হাজার বার খেতাব অস্বীকার করলেও তাদের লিখিত দলিল-প্রমানেই তারা কবি-দার্শনিক সাব্যস্ত হয়ে থাকে এবং সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত।মুল কথা কর্মে,কাগজ-কলমে সাব্যস্ত হলে মৌখিক দাবি নিষ্প্রয়োজন এবং অর্থহীন।
এবারে মূল কথায় আসা যাক:
নবি-রাছুল হওয়া প্রধানত মৌখিক বা উত্তরাধিকারী দাবি নয়,উহা কর্মার্জিত দায়িত্বপ্রাপ্ত খেতাব;তারা মৌখিক দাবি করলেও নবি-রাছুল আর না করলে এমনকি অস্বীকার/প্রত্যাখ্যান করলেও নবি-রাছুল (নবি অর্থ: নবিন,নতুন;রাছুল অর্থ: প্রেরণাপ্রাপ্ত;নবি-রাছুল অর্থ: নতুন প্রেরণাপ্রাপ্ত):
ক. সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নুহের উপর শান্তি;এভাবেই সত্ পরিশ্রমীগণ পুরস্কৃত হয় (৩৭: ৭৯,৮০)।
খ. ইব্রাহিমের উপর শান্তি;এভাবেই সত্পরিশ্রমীগণ পুরস্কৃত হয় (৩৭: ১০৯,১১০)।
গ. মুছা ও হারুনের উপর শান্তি;এভাবেই সত্পরিশ্রমীগণ পুরস্কৃত হয় (৩৭: ১২০, ১২১)।
ঘ. বিশ্বস্থ ও সত্ পরিশ্রমীগণই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ (৯৮: ৭)।
রাছুল-নবিদের প্রধান কাজ ধর্ম-কর্ম বিশ্বাসের সংস্কার করা;সর্ব প্রধান কাজ নবিন জাতির নবিন নাম করণ,উদাহরণ মাত্র: পৌত্তলিক থেকে বৌদ্ধ;বৌদ্ধ থেকে ইহুদি;ইহুদি থেকে খৃষ্টান;আর এভাবেই শিখ,জৈন প্রভৃতির জন্ম হয়।
নবি মুহাম্মদ এসে ঐ সকলের উপর নবিন জাতি ‘মুছলিম’ নামে গোড়াপত্তণ করেন। এদের প্রতি বজ্রসম হুসিয়ারী:
ক. তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আক্রে থাকো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না- (৩: ১০৩)।
খ. যারা ধর্ম সম্বন্ধে নানা মত সৃষ্টি করত দল উপদলে বিভক্ত হয়/হবে তাদের দায়িত্ব তোমার উপর নয়- (৬: ১৫৯)।
গ. যারা নিজদের ধর্মে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়/হবে;প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উত্ফুল্ল থাকে (৩০: ৩২)।
নবি-রাছুল ব্যতীত কওমের নাম পরিবর্তন কারো পক্ষেই সম্ভব নয়
পক্ষান্তরে রাছুলের মৃত্যুর পর পরই উল্লিখিত আদেশ প্রত্যাখ্যান করত বিভিন্ন নেতা-ইমামদের নামে/অনুসরণে খারেজী,রাফেজী,মোতাজেলী,লা-মজহাবী প্রভৃতি;অতপর শিয়া,ছুন্নী,হানাফি,শাফি,মালেকী,হাম্বলী প্রভৃতি;পরম্পরায় মুজাদ্দেদীয়া,কাদরিয়া, চিশতিয়া,নকসাবন্দিয়া অতপর ওহাবী,আহলে হাদিসী,কাদিয়ানী,তাবলীগ,শুরেশ্বরী, মাইজভান্ডারী,আটরশী,শর্ষীণা,ফুরফুরা,রাজারবাগী,সাইদাবাদী প্রভৃতি অসংখ্য দল উপদলে বিভক্ত হয়ে রাছুলের প্রতিষ্ঠিত ‘মুছলিম’ কওম ভেংগে-চুড়ে তছনছ করত: কম/বেশি পার্থক্যে নতুন নতুন কওমী নাম ধারণ করেছে এবং প্রত্যেক দল উপদলেরই স্বতন্ত্র বিশ্বাস ও জীবনের দিক নির্দেশনা রয়েছে এমন কি স্বতন্ত্র কেতাবাদিও আছে এবং সবই আল্লাহর নামে চলিত।
অন্যদিকে বোখারীগং অভিনব পন্থায় স্ব স্ব ধ্যান-ধারণা রাছুলের নামে কেতাব রচনা করে কোরানকে সমূলে গিলে নিজদেরকে চির স্মরণীয় করে রেখেছে;অথচ কোরান ঘোষনা করে:
সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে,‘ইহা আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত।‘ তাদের হাত যা রচনা করে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের (২: ৭৯)।
এরা সকলেই সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও জীবনের ভয়ে মুহাম্মদকে মৌখিকভাবে স্বীকার করত (যা অর্থহীন) প্রধানত এবং ২/১জন ছাড়া নিজেদেরকে নবি-রাছুল (মৌখিকভাবে) দাবি করেনি/করে না;কিন্তু কাজ-কর্মে নতুন নতুন কওমী নামে স্বতন্ত্র দল উপদল প্রতিষ্ঠা করে নবি-রাছুলদের সর্ব প্রধান কাজটি কুট-কৌশলে সম্পন্ন করত নিজদেরকে প্রমানিত নবি-রাছুল হিসাবেই প্রতিষ্ঠা করেছে।
রাছুলের প্রতিষ্ঠিত সেই ‘মুছলিম’দের আজ প্রধান পরিচয়:
খারেজী অতপর মুছলিম;ইসনে আশারিয়া অতপর শিয়া অতপর মুছলিম;চিশতীয়া অতপর হানাফিয়া অতপর ছুন্নী অতপর মুছলিম;ভান্ডারীয়া অতপর মালেকীয়া অতপর ছুন্নী অতপর মুছলিম প্রভৃতি ইত্যাদি।এই পদস্খলিত বিবর্তন একদিনে হয়নি;মৌখিক দাবি করেনি বলে ১৪শ বছর যাবত তিলে তিলে হয়েছে বলেই সাধারণের বিবেকে আঘাত করে নি।
হাদিছ মতে ‘অনেক (৩০ বা ততোধিক) ভন্ড নবি-রাছুলের আবির্ভাব হবে।‘ আজ সাড়ে ১৪শ বছরে ভন্ড নবির আবির্ভাব না হওয়ার একমাত্র কারন মৌখিকভাবে তারা দাবি করেনি;কিন্তু দলীল-প্রমানে বাস্তবতার নিরীখে এরা কি সেই প্রমানিত ভন্ড নবি-রাছুল নয়?সাধারণ জ্ঞানী মানুষের চেতনাবোধের উদয় হোক:
ক. কোরানের আলোকে সমস্ত দল উপদল ভেংগে একাকার করত পুন ‘মুছলিম’ নামে একত্রিত হোক!
খ. ম জ বাসারের লেখা ‘কোরান বনাম শরিয়তসহ ধর্মের নামে ২ নম্বরী কেতাব তফছির, হাদিছ,ফেকহা,ফতোয়াসহ দুনিয়ার সমস্ত কেতাবাদি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করত কথায়/কাজে একমাত্র কোরানের উপর শতভাগ বিশ্বাসী হোক!
বিনীত।
০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:২১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল ধর্ম-অধর্মই মানুষের জন্য,মানুষেরদ্বারা ও মানুষের,মানেই মানব ধর্ম;পশু-পক্ষি,লতা-পাতা বা ইট পাথরের ধর্ম নয়। বিষয়টি অনুধাবন করেন কি না বোধগম্য নয়।
২. আওমিলীগ,বি এনপি,জামাত প্রভৃতি এবং বিভিন্ন সমিতি,সোসাইটিদ্বারা ধর্মীয় কওমের জন্ম হয় না,হয়নি।
৩. রাছুলের আগে-পরে জানা-অজানা অনেক নবি-রাছুল আসছেন এবং তারা প্রতিষ্ঠা পাক কি না পাক আসতেই থাকবেন,এটা কোরান বা প্রকৃতির মৌলিক বিধান। কিন্তু এখানে ভন্ডদের অস্তিত্ত্বের ঠিকানা দেয়া হয়েছে মাত্র।
৪. দুর্বলতাটুকু ধরিয়ে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞ;পুন দেখুন পুষিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিনীত।
০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:২১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল ধর্ম-অধর্মই মানুষের জন্য,মানুষেরদ্বারা ও মানুষের,মানেই মানব ধর্ম;পশু-পক্ষি,লতা-পাতা বা ইট পাথরের ধর্ম নয়। বিষয়টি অনুধাবন করেন কি না বোধগম্য নয়।
২. আওমিলীগ,বি এনপি,জামাত প্রভৃতি এবং বিভিন্ন সমিতি,সোসাইটিদ্বারা ধর্মীয় কওমের জন্ম হয় না,হয়নি।
৩. রাছুলের আগে-পরে জানা-অজানা অনেক নবি-রাছুল আসছেন এবং তারা প্রতিষ্ঠা পাক কি না পাক আসতেই থাকবেন,এটা কোরান বা প্রকৃতির মৌলিক বিধান। কিন্তু এখানে ভন্ডদের অস্তিত্ত্বের ঠিকানা দেয়া হয়েছে মাত্র।
৪. দুর্বলতাটুকু ধরিয়ে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞ;পুন দেখুন পুষিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিনীত।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০২
বাউন্ডুলে একতারা বলেছেন: ভাই তাবলীগ স্বম্যন্ধে যতটুকু জানি , তারা তো সুন্নতের উপর ই সব আমল করে ।তাদের মতামত তো ভিন্ন নয় । কিন্তু অন্য যাদের কথা বলেছেন তাদের মতামত তো ইসলামের আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৩৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
ছুন্নত অর্থ বিধান,আইন,সংবিধান,নিয়ম;মুছলিমদের একমাত্র ছুন্নত হলো কোরান। এর বাহিরে যারা চলে তারা হানাফি,শাফি,শিয়া তাবলীগ প্রভৃতি ব্যতীত আর কিছু নয়।
বিনীত।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০২
মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: একজন সেলিব্রেটি ব্লগারের কথা মুনে পড়ে যে মৌখিকভাবে দাবি করে।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৪৫
শার্লক বলেছেন: দুনিয়ায় যত ভন্ডরা আছে ওদের ধর্ম নাকি মানব ধর্ম । হাসি পায় ওদের কথা শুনলে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৩৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
না দুনিয়ায় যত ভন্ডরা আছে তাদের ধর্ম শরিয়ত;ইছলাম বা মুছলিম নয়।
বিনীত।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:২৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ দুর্বলতা বুঝতে পারার জন্য।
"নবি-রাছুল হওয়া প্রধানত মৌখিক বা উত্তরাধিকারী দাবি নয়,উহা কর্মার্জিত দায়িত্বপ্রাপ্ত খেতাব;তারা মৌখিক দাবি করলেও নবি-রাছুল আর না করলে এমনকি অস্বীকার/প্রত্যাখ্যান করলেও নবি-রাছুল"
এখানে আর একটু ভুল আছে। নবুয়ত এর জন্য কর্ম/সাফল্য কোন শর্ত নয় - কারণ বহু নবীকে তার জাতির লোকেরা হত্যা করেছে, ইতিহাসে তাদের নাম নিশানাও খুঁজে পাওয়া যায় না। নবুয়তের জন্য বরং আল্লাহর মনোনয়নই একমাত্র শর্ত।
এ'জন্য নবী ও স্বাধারণ মহামানবদের মধ্যে একটা প্রকট পার্থক্য দেখা যায়। নবী/রাসুল(আ.)গন আল্লাহর মনোনয়নের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর নির্দিধায় তা ঘোষনা করেন এবং নবী/রাসুল হিসেবেই তাদের কাজ শুরু করেন। এই কাজে তারা সফল হন আর নাই হন, বিজয়ী হন বা নিহত হন তাতে তাদের নবুয়তী মর্যাদার কোন পার্থক্য হয় না। পক্ষান্তরে স্বাধারণ মানুষ সে যত বড় জ্ঞানী/বিজয়ী/সফল হোক না কেন কখনই নিজের ঐ ধরনের কোন পরিচয় দিয়ে কাজ শুরু করেন না। তারা নিজেদেরমত কাজ করে যান - পরে মানুষ তাদেরকে মুল্যায়ন করেন।
এই পার্থক্যের ব্যাপারটি কোরআনে স্পস্টকরে দেখান হয়েছে। সকল নবী/রাসুলের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে তারা নিজেদের নবী পরিচয় প্রকাশ করেই তাদের জাতির লোকদের মাঝে কাজ শুরু করেছিলেন। আপনি এমন একজন নবীর ঘটনাও কোরআন থেকে দেখাতে পারবেন না যে নিজেই নিজের পরিচয় জানত না বা তার মৃত্যুর পর লোকেরা বুঝতে পেরেছিল যে সে আল্লাহর নবী।
এই প্রকৃয়াটার বাস্তব প্রয়োজনও আছে। যখনই কেউ নিজেকে নবী বলে পরিচয় দেবে তখনই মানুষ তার কাছে প্রমান চাইবে, তার উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাবে। সত্য নবীগন আল্লাহর রহমতে সই সকল অত্যাচার নির্যাতনের মোকাবেলা করবেন - হয় সফল হবেন, না হয় শহীদ হবেন - কিন্তু নবুয়তী দ্বায়িত্ব থেকে সরে যাবেন না, বা নিজের নবী পরিচয় অস্বীকার করবেন না। এর মাধ্যমে মানুষ ভন্ড নবী সনাক্ত করতে পারবে। যদি কেউ মিথ্যা নবী দাবি করে তাহলে তার পক্ষে ঐ কঠীন পরীক্ষায় টিকে থাকা কখনই সম্ভব হবে না।
সুতরাং ভন্ড নবী থেকে বাঁচতে হলে নবী এবং স্বাধারণ মহামানব, ওলী, আউলিয়ার মধ্যকার এই সুস্পস্ট পার্থক্য অনুধাবন করতে হবে। অন্যথায় কখন যে ভুল মানুষকে নবী ভেবে মহা ভুল পথে চলা শুরু হবে তা বোঝাই যাবে না।
০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৩১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. মারাত্মক ভুল জনাব! কর্মার্জন সর্বপ্রধান ও সর্বশ্রেষ্ঠ শর্ত;অতপর আল্লাহর ইচ্ছা। নবি-রাছুল,গাউস-কুতুব,চোর-ডাকাত সবকিছুই কর্মার্জন;নিচের আয়াতগুলি পুন পুন দেখুন এবং নতুন করে ঈমান আনার চেষ্টা করুণ?না করলে নাই।
ক. সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নুহের উপর শান্তি;এভাবেই সত্ পরিশ্রমীগণ পুরস্কৃত হয় (৩৭: ৭৯,৮০)।
খ. ইব্রাহিমের উপর শান্তি;এভাবেই সত্পরিশ্রমীগণ পুরস্কৃত হয় (৩৭: ১০৯,১১০)।
গ. মুছা ও হারুনের উপর শান্তি;এভাবেই সত্পরিশ্রমীগণ পুরস্কৃত হয় (৩৭: ১২০, ১২১)।
ঘ. বিশ্বস্থ ও সত্ পরিশ্রমীগণই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ (৯৮: ৭)
ঙ. প্রত্যেকের জন্য তাদের কাজ-কর্ম অনুসারে পদমর্যাদা রয়েছে এবং উহারা যা করে সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক অনবহিত নয় (৬: ১৩২)।
এ সম্বন্ধে ৫০শেরও বেশি আয়াত রয়েছ। তাজ্জব হতে হয় সেগুলি ১৪শ বছর যাবত সরাসরি অস্বীকার করা হয়।
২. পুন সতর্ক হোন! ঘোষনা,দাবি,অধিকার ৩ প্রকার। প্রধানত সমস্ত নবি-রাছুলদের বেলায়ও পরে মানুষ মূল্যায়ণ করেছে।
ক. আল্লাহর মনোনিত নবি-রাছুল অকৃতকার্য/ব্যর্থ হয় কেন?খুন হয় কেন?
খ. মুহাম্মদও কিশোরে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে সংঘ করে কাজ শুরু করেছেন।
১. কর্মগুণে আলামীন খেতাব প্রাপ্ত হয়েছেন।
২. কর্মগুণে হজরে আছওয়াদের গুরুতর সংঘাত মীমাংশা করেছেন।
৩. কর্মগুণে হেরা পর্বতের গুহায় অনবরত কর্ম-সাধনায় অহি প্রাপ্ত হয়েছেন।
৪. কর্মগুণে মক্বা থেকে মদিনায় গিয়ে প্রবল শক্তি অর্জন করেছেন।
৫. কর্মগুণে ২২ বছরে ২৩ যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন।
এগুলি চরম বাস্তবতা; তবুও কেন অস্বীকার করা হয়?
গ. শরিয়ত মতে আল্লাহ কোরান বইটি সংরক্ষণ করার অংগীকার করেছেন কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আল্লাহর স্ব মনোনিত নবি-রাছুল রক্ষা করতেও ব্যর্থ প্রমানিত। সুতরাং শরিয়তের দর্শন সম্পূর্ণ ভুল প্রমানিত। অন্যথায় স্বীকার করুন যে ৭ম আসমানে বসবাসকারী শরিয়তী আল্লাহ স্ব প্রদত্ত্ব ওয়াদা রক্ষা করতে অসমর্থ বা মিথ্যাবাদী।
সুতরাং শরিয়তী দর্শন ত্যাগ করত নতুন করে ঈমান-বিশ্বাসের সংস্কার করতে বাধ্য; না করলে স্ব দায়িত্ব।
৩. আর একবার দেখুন ২ নং ধারা।
৪. নিতান্ত ব্যক্তি ও বেদাতী দলগত ধারণা মাত্র। ভন্ড নবি মির্জা গোলাম আহম্মদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পিছ পা হন্নি;আবু বকরের সময়ও সে ভন্ড নবি কাজ্জাব স্ব দাবি নিয়েই হত্যায়িত হয়েছেন;এমন কি আবু জেহেলও।
৫. ভন্ড নবি থেকে শরিয়ত বাচতে পারেনি বরং ভন্ড নবিতে দুনিয়া পয়মাল। কথিত ৩০ জন ভন্ড নবির আগমন সম্বন্ধিয় হাদিছটি মিথ্যা গাজাখোরী;কারন এযাবত অসংখ্য অঘোষিত ভন্ড নবি-রাছুলের আগমন প্রমান করা হয়েছে। যার সংখ্য শতের উর্দ্ধে যাবে। সুতরাং রাছুল এমন ফাল্তু কথা বলতে পারেন না।
খ. তাছাড়া কোরান সাক্ষি দেয় মুহাম্মদ ভবিষ্যত জানতেন না (দ্র: ৬: ৫০;৭: ১৮৮; ১০: ২০,১০২;১১: ৩১;১০: ৪৯;৯: ১০১)। অতএব ঐ ভবিষ্যত বানী মুহম্মদের নয়,কোরান তার প্রকাশ্য সাক্ষি।
৬. তাজ্জ্যবে বিষয় যে,ভন্ড-অভন্ডের বিচার ক্ষমতা সাধারনের থাকা অস্বাভাবিক, হাস্যকর।
জানি এ সকল কোরানরিক ঘোষনায় ছুন্নীহানাফিদের তাছির করে না,মানবেই না। না মানলে মজ বাসারের বয়েই গেল।
বিনীত।
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১১
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: কর্মের গুনে মানুষের জীবন মুল্যায়িত হয় এবং মানুষ মানব ইতিহাসে মহামানব হিসেবে স্বীকৃত হন - এটা একটা স্বাধারণ বিষয়। এতে কারই দ্বিমত নাই। কিন্তু নবুয়ত কর্মগুনে অর্জিত নয় বরং আল্লাহর মনোনয়নের ভিত্তিতে নবুয়ত প্রাপ্তির পর কাজ শুরু হয়।
হ্যা, নবীগন অবশ্বই সৎ ও পরিশ্রমী হন, সমাজ সংস্কারের অনেক বড় বড় কাজ করেন, তাই আপনার উল্লেখিত আয়াত ও ঘটনাগুলি ঠিকই আছে - কিন্তু সেই সততা বা পরিশ্রম বা সংস্কার কাজ তাকে নবী বানায় না বরং নবী হওয়ার কারণেই তিনি সৎ ও পরিশ্রমী হয়ে থাকেন এবং আল্লাহর নির্দেশ ও সহায়তায় ঐ কাজগুলি করে থাকেন। যদি তাই না হত তাহলে -
১. যেসকল নবীগন কর্মে সফল না হয়ে প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়েছিলেন বলে কোরআনে উল্লেখ আছে ওনারা নবী হতে পারতেন না।
২. পুরো কোরআনে অন্তত একজন নবীর ঘটনা উল্লেখ থাকত যে নিজে নিজের নবুয়তের ব্যাপারে না জেনেই কাজ করে যেত আর মানুষ তার মৃত্যুর পর কাজের বিচার করে তাকে নবী হিসেবে চিনে নিত। আমি আগেও আপনাকে বলেছি এ'ধরনের একজন নবীর পরিচয় কোরআন থেকে দেয়ার জন্য - কিন্তু আপনি পারেন নি, কোন দিন পারবেনও না।
সুতরাং নবুয়ত কর্মগুনে বা মানুষের মুল্যায়নে অর্জিত বিষয় নয় বরং শুধুমাত্র, কেবলমাত্র, একমাত্র আল্লাহর মনোনয়নের ভিত্তিতেই হয়ে থাকে। এবং নবীগন সর্বপ্রথম নিজেরা নিজেদের নবুয়তের ব্যাপারে, গায়েবী এলেমের ব্যাপারে পুর্ণরূপে নিশ্চিত হন এবং তার পর মানুষের মাঝে কাজ শুরু করেন। এ'জন্যই নবীর কথা সাক্ষি/প্রমান ছাড়া বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে হয় - দুনিয়ার আর কোন ব্যাক্তি সে যত জ্ঞানীই হোক তার কথা যুক্তি/প্রমান/স্বাক্ষি ছাড়া মেনে নেয়া বাধ্যতামুলক নয়।
যাই হোক, আপনাকে যতটুকু চিনেছি তাতে এই প্রসঙ্গে আপনার অবস্থান বদলানো সম্ভব নয়। কারণ তাহলে আপনার পুরো দর্শনই ভুল/মিথ্যা হয়ে যায়। কিন্তু আপনি না মানলে তো আর সত্য বদলে যাবে না। আপনার দর্শন অনুসারে বর্তমানেই পৃথিবীতে শত শত নবীর কাজে নিয়োজিত থাকার কথা, মৃত্যুর পর তদের কাজ বিবেচনা করে জানা যাবে কে কে নবী ছিলেন - সুতরাং আপনি সেই শত শত নবীর কথা প্রমান ছাড়াই মানতে থাকুন(যেহেতু নবীর কথা প্রমান ছাড়াই মানতে হয়) - দেখুন একই সময় কয় জনের কথা মানতে পারেন ( কারণ এত মানুষের এত কথার অনেকগুলোই পরস্পর বিরোধী হবে )!!
০৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:১৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. আল্লাহ যাকে ইচ্ছ তাকে ঐ জ্যোতির পথের সন্ধান দেন;তাই বলে তিনি দল, উপদলের মত উত্তরাধিকার বা ফাল্তু দলিয় মনোনয়ন দেন না বা কাদের জিলানীর মত খাটের তলে পালাণো চোর ধরে কুতুব বানিয়ে দেন না (?)। তিনি অণূ পরমাণু ভিত্তিক কর্মের মিজান করত ফল বা ছোয়াব দেন( শত শত সাক্ষি কোরানে)।
খ. একমাত্র ঈছা ব্যতীত (তাও বিতর্কীত) দুনিয়ায় জানা-অজানা আর কোন নবি কর্ম বিহীন নবি-রাছুল হননি। মুহাম্মদ নবি হয়ে হেরা পর্বতের গুহায় যাননি বরং হেরা পর্বতের গুহায় গিয়েই নবি হয়েছিলেন। মুহাম্মদ নবি হওয়ার আগ পর্যন্ত কি ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন?
গ. নবি কিসে বানায়?
ঘ. হ্যা! উল্লিখিত আয়াতগুলি কিতাবে লিখা ঠিকই আছে,মাত্র পড়ার বিষয়;কিন্তু তালগাছ আপনার!
৩. প্রশ্নটা বহুবার করেছেন কিন্তু হজম করতে পারবেন না বলেই গুরুত্ব দেইনি। বারবার প্রশ্নটির পুনরাবর্তন করছেন,তাইএবার শুনুন:
নবি-রাছুল তিন প্রকার: ১. অহির মাধ্যম বা প্রেরণাপ্রাপ্ত ২. পর্দার অন্তরাল প্রাপ্ত বা দার্শনিক ৩. দূতের মাধ্যম বা বস্তুর আদান-প্রদান,রুপান্তরের মাধ্যম বা গবেষণা-বিজ্ঞান (৪২: ৫১)।
২ ও ৩নং ধারার ১জন নয় অসংখ্য নবি-রাছুলগণ কেহই জানেনা যে সে নবি-রাছুল ছিলেন,আজো কেহ জানে না। অথচ দ্বীন-দুনিয়ার প্রতি তাদের অবদান ১নং এর তুলনায় কোন অংশেই কম নয়;২ ও ৩ নংএর অবদান ব্যতীত ১নং এর আদেশ-নির্দেশ বা শর্ত পূরণ অসম্ভব,অবাস্তব;দ্বীন-দুনিয়াকে সাজিয়ে-গুছিয়েছেন ২ ও ৩ নং গণই। মুহাম্মদ ৩ নং এর সাহায্য নিয়ে ২৩টি যুদ্ধ করে ১নং ধারা বাস্তবায়ণ করেছিলেন।
খ. অন্তত ১জন নবির সাক্ষি-প্রমান দেন যিনি সফল হয়েছেন।
গ. মাত্র কিছু সংখ্যক ব্যতীত অসংখ্য অসংখ্য নবি-রাছুলের কথা আল্লাহ বলেননি; এদের মধ্যে ১জন নয় প্রচুর স্ব না জানা নবি-রাছুল ছিলেন;এজন্যই আল্লাহ তাদের কথা বলেন নি। যুক্তিতে বিশ্বাস করতে বাধ্য,অযৌক্তিতে অবিশ্বাস করতেই পারেন!
ঘ. আপনার হৃদয়তো সিল্ গালা করা। তাই বুঝবেন না। আল্লাহর অহি ব্যতীত গাছের পাতাটিও নড়েনা;অহিপ্রাপ্ত মৌমাছিরা আজো আল্লাহর অহি মান্য করত: ফুলে ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু আহরণে ব্যস্ত।
৪. আপনার ধারণা-কল্পনাগুলির পক্ষে কোরানে কোনই সাক্ষি প্রমান নেই, দিতে পারবেন না। ১৭: ৩৬ এর আলোকে আপনার মন্তব্য-বিশ্বাস ভুল,বিভ্রান্তকর তথা কোরান বিরোধী। সংশোধন হলে হোন! না হলে না হোন!
বিনীত।
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি নবী/রাসুলের যে প্রকারভেদ তৈরী করেছেন তার যৌক্তিকতা নিয়ে যথেস্ট বিতর্ক করা যায়। আল্লাহ কোরআনের যে আয়াতে ঐ তিন প্রকারে বান্দার সাথে যোগাযোগের কথা বলেছেন সেখানে তিন শ্রেনীর মানুষের কথা বলা হয়েছে না একই নবী/রাসুলের সাথে যোগাযোগের তিনটি মাধ্যমের কথা বলা হয়েছে - তা নিয়ে ভিন্নমত নিশ্চয়ই আছে।
কিন্তু তার পরও যদি আপনার দ্বাবি মেনেও নেই তাহলেও আমরা বলতে পারি যে ২ এবং ৩ নং শ্রেনীতে আপনি যে নবী/রাসুলদের কথা বলেছেন তাদের নিয়ে আমারা আলোচনা করছি না - আমাদের আলোচনা হচ্ছে ১ নং শ্রেনীর সেই নবী/রাসুল(আ.)দের নিয়ে যাদের বক্তব্য স্বাক্ষি/প্রমান/যুক্তি ছাড়াই শুধুমাত্র 'বিশ্বাসের' ভিত্তিতে মেনে নিতে হয়। এই ধরনের নবী/রাসুলদের বক্তব্যের ভিত্তিতেই আমরা আল্লাহ, ফেরেশতা, কবর, কেয়ামত, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম - ইত্যাদী প্রমান-অযোগ্য গায়েবী বিষয়ে বিশ্বাস করি।
বাকি ২ এবং ৩ নং এ আপনার বর্ণিত নবী/রাসুলদের কথা যুক্তি/প্রমান/স্বাক্ষি ছাড়া মেনে নেয়ার প্রয়োজন নাই, তাই তাদের নবী/রাসুল হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তারও প্রয়োজন নাই। আপনি যদি ২ এবং ৩ নং এর বৈশিস্ট্যধারী নবী/রাসুলদের ধারাবাহীকতা বা সংখ্যায় অধীক হওয়া বা নিজে না জেনেও কর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে মহামানব হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার ব্যাপারে বলে থাকেন - সেটা মানতে আমার কোনই আপত্তি নাই, সম্ভবত পৃথিবীর কোন মানুষই তা অস্বীকার করবে না। কিন্তু আপনি যদি প্রথম শ্রনীর নবী/রাসুল যাদের কথা যুক্তি/প্রমান ছাড়াই্ বিশ্বাস করা মুমিনের কর্তব্য তাদেরকেও কর্মের ভিত্তিতে নির্ধারিত, মৃত্যুর পরে মানুষের বিবেচনায় নির্বাচিত, নিজে না জেনে না বুঝেও কাজ করা - এ'সবের মধ্যে সামিল করে ফেলেন তাহলে আর এই দুই প্রকারের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। তখন এই তিন শ্রনীর মানুষের কথাই যুক্তি/প্রমান ছাড়া মেনে নেয়া কর্তব্য হয়ে যায় - আপনি কি এই হাজার হাজার মানুষের কথা যুক্তি/প্রমান/পরীক্ষা ছাড়া মেনে নিতে প্রস্তুত??
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৪
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "কিন্তু কাজ-কর্মে নতুন নতুন কওমী নামে স্বতন্ত্র দল উপদল প্রতিষ্ঠা করে নবি-রাছুলদের সর্ব প্রধান কাজটি কুট-কৌশলে সম্পন্ন করত নিজদেরকে প্রমানিত নবি-রাছুল হিসাবেই প্রতিষ্ঠা করেছে"
ঠিক যেমন আপনি 'মানব ধর্ম' বা 'ভদ্র যুব সমাজ' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে করেছেন?
"হাদিছ মতে ‘অনেক (৩০ বা ততোধিক) ভন্ড নবি-রাছুলের আবির্ভাব হবে।‘ আজ সাড়ে ১৪শ বছরে ভন্ড নবির আবির্ভাব না হওয়ার একমাত্র কারন মৌখিকভাবে তারা দাবি করেনি"
কে বলেছে দ্বাবি করে নি? আবু বকর(রা.) এর খেলাফতের সময় ভন্ড নবী দ্বাবিদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছিল। তার পরও আরো অনেকে নবী দ্বাবি করেছে ( যেমন গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ) - কেউ নিজে করেছে আবার কার ভক্তরা/উত্তরাধীকারীরা তাদেরকে নবী/প্রেরণা প্রাপ্ত বলে প্রচার করেছে। সংখ্যাটা এখনও হয়ত ৩০ পার হয়নি, কিন্তু কেয়ামতওতো এখনও হয়নি, ভবিষ্যতে কেয়ামতের আগে পর্যন্ত যে এই সংখ্যা কত হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।