![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাহসে পথ চলতে চাই, সকল বাধা ডিঙিয়ে ।
গাভী সরদারের দিকে অগ্রসর হইয়া বলিলঃ প্রভু, 'আনন্দবাজার' এর দেশের একটা লোক আজও কি উপায়ে বাচিয়া আছে বুঝিতে পারিলাম না ?
বলদ আসন হইতে উঠিয়া লোকটিকে প্রণাম করিল । লোকটি বলদকে প্রতি উত্তরে সালাম করিল।
বলদ লোকটির কাছে জানতে চাইল, তুমি কোন জাত ?
লোকটি বলল, আমি মুসলমান।
চারদিকের সকল গরূ লোকটিকে মারিতে তেড়িয়া আসিল। অতঃপর বলদের কথায় ক্ষ্যান্ত হইল।
লোকটি বাচিয়া গেল।
সরদার বলদ লোকটিকে বলিলঃ তোমার জাতি আমার গো জাতিকে ধ্বংস করিবার অনেক চেষ্টা করিয়াছে। তথাপি, তোমাকে আমরা আজ ক্ষমা করিলাম। তোমাদের দেখিয়া দিলাম গো-জাতি ক্ষমা করিতে জানে।
তেমনি ঘটেছিল ১৯৭২ সালে।
যখন চিহ্নিত পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের ও দেশীয় দোশরদের ক্ষমা করে বাঙালী জাতির মহত্তের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছিল। তখন কি বাঙালী জাতির নেতা বলদ সরদার ছিল, নাকি তিনি বর্তমান বলদদের চেয়ে ভাল বুঝতেন। যদি তিনি সেরা হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্ষমাকে উল্টাইয়া আবার বিচার কেণ ?
যে বিচারের ফলে আজ অনেক লাশ আমাদের দেখতে হল ১৯৫২ সালের ভাষার মিছিলের মত। আমরা এরকম বিচার চাই না যে বিচার লাশের মিছিল বাড়ায়। যা দেশের শান্তি নষ্ট করে।
৪০ বছর আগের কাটা ঘা-য়ে মলম না দিয়ে নতুন নতুন যে ঘা সৃষ্টি হচ্ছে সেথায় মলম লাগানোর চেষ্টা করা হলে মনে হয় দেশের মানুষ উপকৃত হবে ।
লাশ সে তো লাশই। হোক সে অপরাধী বা সাধারন লোকের । তাই লাশের মিছিল দেখলে স্বভাবত সবার মন দুঃখে ভরে যায়। ২০১৩ সালে এসে আমরা আর কোন লাশ আমদের এ নয়ন দ্বারা স্পর্শ করতে চাই না।
©somewhere in net ltd.