![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাহসে পথ চলতে চাই, সকল বাধা ডিঙিয়ে ।
গত ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে হেফাজত কর্মীদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান সম্পর্কে সরকারের দেয়া প্রেস নোটের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের মুখপাত্র শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই প্রেস নোটে সরকার দলীয় লোকদের বক্তব্য ফুটে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী সংলাপের কথা বলছেন। কোথায় কীভাবে সংলাপ হবে, জানাতে হবে। বিয়ের দাওয়াতে যাবো, পথে যদি চোর-ডাকাত থাকে, তাহলে তো সব কিছু নিয়ে যাবে। তাই আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, জোট ও দলের নেতারা সব কারাগারে। সভা-সমাবেশের কোনো অধিকার নেই। কথা বলার অধিকার নেই। এরকম অবস্থায় সংলাপ হবে কীভাবে, সরকারকে প্রশ্ন করেন বিএনপি নেতা । শামসুজ্জামান বলেন, সরকার নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আমরা শুনতে পেরেছি, দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে ৫ মে’র ঘটনায় সঙ্গে জড়িত করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে ১৫, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আজিজুল বারী হেলালের বিরুদ্ধে ১২টি, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে ১৫টি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর বিরুদ্ধে ১২টি, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরবের বিরুদ্ধে ১২টি, ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের বিরুদ্ধে ১৫টি, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে পুলিশ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদু বলেন, আমরা প্রত্যাখ্যানের কথা বলবো না, কিন্তু যা চেয়েছিলাম তা এই প্রেস নোটে বলা হয়নি। এ ঘটনায় সাদা পোশাকে কারা অংশ নিয়েছে? কতজন নিহত হয়েছে? তা আমরা জানতে চেয়েছি, কিন্তু তা বলা হয়নি।এমনকি অভিযানে অংশ নেয়া সাদা পোশাকের লোকদের সম্পর্কে জাতীয় দৈনিকগুলোকে যা বলা হয়েছে তাদের কথাও বলা হয়নি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে যদি সঠিকভাবে তথ্য উপস্থাপন করা না যায় তাহলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা আর আসবে না। এমনিতে আমরা বিশ্বের কাছে হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি। শাপলা চত্বরের ঘটনা দেশী মিডিয়াতে সঠিকভাবে উপস্থাপন না হওয়ায় বিশ্ব মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশ্ব মিডিয়া দেশের মিডিয়াকে নতজানু বলছে। দেশের মিডিয়াগুলো কেন সত্য লিখতে পারছে না? তিনি গণমাধ্যমকে বরাবরের মতো শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান।
দৈনিক প্রথম আলোর একটি জরিপের প্রসঙ্গ তুলে ধরে দুদু বলেন, জরিপে এসেছে দেশের ৯০ভাগ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর আদরের ধন এ ব্যবস্থা তিনি বাতিল করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে তার ছেলেকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাই।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে বিএনপি
সরকারের হিংস্রতার কারণেই ৯০ শতাংশ
মানুষ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন চায়
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। সরকার এমনিতেই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি ও গ্রেফতার করছে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের বেশির ভাগ নেতাকে জেলে নেয়া হয়েছে এবং অনেকে এখনো জেলে আছেন। এ অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সরকার আরও হিংস্র আচরণ করবে। তাই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে তত্ত্বাবধায়কের কোনো বিকল্প নেই। বিরোধীদল কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিবে না এমনকি সেটি হতেও দিবে না। দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন চায়। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মনোনীত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এসময় বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিউদ্দিন আহমেদ এবং বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
বিএনপি নেতারা জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন, বিএনপি চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকুক। তাদের অবস্থান নির্বাচনমুখী। ক্ষমতার পালাবদল নির্বাচনের মাধ্যমেই হোক। তাই তত্ত্বাবধায়কের দাবিটি সংবিধানে সংযোজনের জন্য সরকারকে চাপ দিতে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানিয়েছে তারা...........
©somewhere in net ltd.