নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাট্যবিদ হওয়ার ইচ্ছায় সাইন্স ছেড়ে দেয়া।

মানুষের শেষ ইচ্ছা পূরণ করা উচিত। যে কোন মূল্যে ।

এম.কে.চয়েস

আমি সাহসে পথ চলতে চাই, সকল বাধা ডিঙিয়ে ।

এম.কে.চয়েস › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাকার প্রতি মানুষের লোভ যখন উঠে যায়, তখন এ রকম হয়

১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আমাদের উচিত সঠিক সাক্ষী খুজে বের করা এবং সঠিক আসামীকে গ্রেফতার করা। তারপর সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করা। যেন তা নিরপেক্ষ হয়, অন্যথায়, নিম্নোক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।..



বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১৯তম সাক্ষী আবেদ হোসেনকে বৈরী ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে পর পর দুই দিন দুই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ নিজেদের সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করল।

আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আবেদ হোসেনকে বৈরী ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রানা দাশগুপ্ত। এর আগে গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনাল-১-এ জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

আজ জবানবন্দিতে আবেদ হোসেন (৬৪) বলেন, তাঁর বাড়ি জয়পুরহাটের চকবরকত গ্রামে। একাত্তরে তাঁদের মসজিদ থেকে পাকিস্তানি সেনারা তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের ২৮ জনকে আলাদা করে নেয় সেনারা এবং তাঁদের দিয়ে গর্ত করে সেখানে নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় তাঁদের একে একে কোপাতে থাকলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারান। পরে জ্ঞান ফিরে এলে ওখান থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভারতে চলে যান। সেখানে গিয়ে চিকিত্সা নেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি ফিরে আসেন। আবেদ হোসেন জবানবন্দির কোথাও আলীমের নাম বলেননি। রাষ্ট্রপক্ষের ১৫তম সাক্ষী মো. মোজাম্মেল হোসেন ১০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে প্রায় একই ধরনের সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তবে তিনি সেখানে বলেছিলেন, আলীমের দেওয়া তালিকা দেখে পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের নির্যাতন করে।

আবেদ হোসেনের জবানবন্দি শেষ হলে রানা দাশগুপ্ত ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘আমরা এই সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করছি। তাঁকে জেরা করতে চাই।’ ট্রাইব্যুনাল ওই আবেদন গ্রহণ করলে তিনি আবেদ হোসেনকে জেরা শুরু করেন।

কৌঁসুলি জানতে চান, ‘তদন্ত কর্মকর্তা আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন?’ এ প্রশ্নে সাক্ষী বলেন, ‘হ্যাঁ।’

‘যখন ২৮ জনকে আলাদা করা হয়, তখন সেখানে রিয়াজ মৃধা উপস্থিত ছিলেন’—কৌঁসুলির এই তথ্যে সাক্ষী বলেন, তিনি দেখেননি।

কৌঁসুলি মত (সাজেশন) দেন, ‘রিয়াজ মৃধাকে আলীম যে তালিকা দিয়েছিলেন, সেই তালিকা পাকিস্তানি সেনাদের দেওয়া হয়েছিল, তা দেখে আপনাদের আলাদা করা হয়েছিল।’ জবাবে সাক্ষী বলেন, ‘এটা সত্য নয়।’

কৌঁসুলি আবার মত দেন, ‘আলীমের দ্বারা বশীভূত হয়ে আপনি সত্য গোপন করলেন।’ জবাবে সাক্ষী বলেন, ‘এটা সত্য নয়।’

(প্রথম আলো থেকে নেওয়া)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.