![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাহসে পথ চলতে চাই, সকল বাধা ডিঙিয়ে ।
সিরিয়ার এক সেনাকে হত্যার পর তাঁর কলিজা ও হৃৎপিণ্ড চিবিয়ে খেয়েছেন বিদ্রোহী জোটের এক সেনা। এই বর্বর আচরণের ভিডিও প্রকাশের পর সরকারবিরোধীদের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সিএনএন জানায়, একজন পরিচিত বিদ্রোহী মৃত সেনার বুক ফেঁড়ে তাঁর হৃৎপিণ্ড ও কলিজা বের করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই বিদ্রোহী যোদ্ধা বলছেন, ‘আল্লাহর নামে শপথ করে আমরা বাশারের সেনাদের হৃৎপিণ্ড বের করেছি। তোরা কুত্তা। আল্লাহ মহান।...বাবা আমরের বীরেরা...আমরা এভাবে ওদের হৃৎপিণ্ড বের করে খেয়ে ফেলব।’ এরপর ওই বিদ্রোহী বের করে আনা হূণ্ডটি মুখে পুরে কামড় দেন।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী গতকাল সোমবার ভিডিওটি ইন্টারনেটে পোস্ট করে। তারা বিদ্রোহীদের এ বর্বর আচরণ সম্পর্কে বলেছে, এটি এমন অপরাধ যা ‘সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে’।
সরকারবিরোধী জোটও একই ধরনের মন্তব্য করে বলেছে, অঙ্গচ্ছেদের কাজটি ‘ভয়ংকর ও অমানবিক’। জোটটি এক বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘ঘটনাটি যদি সত্যি হয়, তবে সিরীয় জোট এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।...এ ঘটনা সিরীয় জনগণের নৈতিকতার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ এবং ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মূল্যবোধ ও আদর্শের বিরোধী।’
ভিডিওতে যে বিদ্রোহী যোদ্ধাকে দেখা গেছে, সিএনএন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। তবে তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে সিএনএন। ওই ব্যক্তি হোমস শহরের পাশের এলাকা বাবা আমরের বিদ্রোহী দলের মুখপাত্র। তাঁর নাম তারিক আল সাইদ। তিনি বলেন, ঘটনাটি সঠিক এবং যিনি ওই অপকর্ম করেছেন তাঁকে তিনি চেনেন। তিনি তাঁর বন্ধু।
তারিক বলেন, ঘটনাটি দুই সপ্তাহ আগে ঘটেছে। সে সময় সরকার ও বিদ্রোহী দলের যুদ্ধে কয়েকজন সেনা ও বিদ্রোহী যোদ্ধা মারা যান। তারিক বলেন, ভিডিওটি দেখার পর তিনি তাঁর বন্ধুকে বলেছিলেন, ইন্টারনেট থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলতে। কারণ, ঘটনাটি অন্যায়।
তারিক বলেন, ‘এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর সঙ্গে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির কোনো সম্পর্ক নেই। এর জন্য ওই ব্যক্তিই দায়ী। লোকটি সুস্থ-স্বাভাবিক নয়। যুদ্ধে তার দুই ভাই মারা গেছে, মা-বাবাকে সিরীয় সেনারা আটকে রেখেছে। বাকি পরিবার কোথায় গেছে, সে তা জানে না।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাবা আমর এলাকা সিরীয় সেনাদের আক্রমণের কেন্দ্রে ছিল। কারণ, এ এলাকায় সরকারবিরোধী মত ছিল প্রবল।’
(প্রথম আলো)
©somewhere in net ltd.