নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাট্যবিদ হওয়ার ইচ্ছায় সাইন্স ছেড়ে দেয়া।

মানুষের শেষ ইচ্ছা পূরণ করা উচিত। যে কোন মূল্যে ।

এম.কে.চয়েস

আমি সাহসে পথ চলতে চাই, সকল বাধা ডিঙিয়ে ।

এম.কে.চয়েস › বিস্তারিত পোস্টঃ

’৭২-এ শেখ মুজিব ছিলেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

(সুত্রঃ প্র.আ)

লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন যে ’৭২ সালে শেখ মুজিবর রহমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে যেমন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাও জোর করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। লন্ডনের ওয়েস্ট মিনস্টার সেন্ট্রাল হলে মঙ্গলবার রাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সুশীল সমাজের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের খসড়ায় সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হলেও ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফেরার পর ১২ জানুয়ারি তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। তিনি ২৮ অক্টোবর, ২০১০-এ প্রকাশিত পত্রিকা ‘সাপ্তাহিকে’ পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বন্দী থাকা এবং একসঙ্গে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী ড. কামাল হোসেনের একটি সাক্ষাত্কার উদ্ধৃত করে বলেন, তাঁরা দুজনই সে সময়ে পাকিস্তানের পাসপোর্টে দেশে ফিরেছিলেন। জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরার কথা আলোচনা হলেও সে সময়ে তাঁরা সেই ব্যবস্থায় আসেননি। পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে এসে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ের এই আয়োজনে বিএনপির দলীয় সংকট, নির্বাচনবিরোধী আন্দোলনের ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা ও প্রশ্ন উত্থাপিত হলেও তারেক রহমান সেসব বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি; বরং প্রায় ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক প্রমাণের পক্ষে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বই এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে উদ্ধৃতি দেন। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতা চাননি এবং ওই দাবির পক্ষে ফরাসি টিভির একটি রিপোর্টের অংশবিশেষ প্রদর্শন করেন এবং বিভিন্ন প্রকাশনার তথ্য উদ্ধৃত করেন।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে তাচ্ছিল্য করার জন্য সম্প্রতি বলেছেন যে কারও ঘোষণা-টোষনায় মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। কিন্তু, তাঁর লেখা ‘এমারজেন্স অফ এ নেশন’ বইয়ের ১৪৩ পৃষ্ঠায় লেখা আছে ‘মেজর জিয়া (লেটার প্রেসিডেন্ট) ওয়াজ দ্য ফার্স্ট টু ডিক্লেয়ার ইনডিপেনপেন্স’। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল সফিউল্লাহর বই ‘বাংলাদেশ এট ওয়্যার’ থেকে ২৬ মার্চ কখন কীভাবে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তার বিবরণ উদ্ধৃত করেন।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি দাবি করে তিনি প্রথমা প্রকাশনার ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর’ বইয়ে তাজউদ্দীন আহমদের একান্ত সচিব মঈদুল হাসানের বক্তব্য উদ্ধৃত করেন, যেখানে মি. হাসান জানিয়েছেন যে তাজউদ্দীন আহমদ ২৫ মার্চ একটি ঘোষণা রেকর্ড করে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে অনুরোধ জানালে তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

তারেক রহমান রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের কঠোর সমালোচনা করেন। জামালপুরে রাজাকার কমান্ডার হিসেবে জেলখাটা মাওলানা নুরুল ইসলামকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করার কথা উল্লেখের পাশাপাশি ফরিদপুরের রাজাকার পরিবারে নিজের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগই ‘রাজাকারের বংশবৃদ্ধিতে’ সহায়তা করছে। তিনি দাবি করেন, তাঁরা জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে অনেককে সরকারে নিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মামলার রেকর্ড ছিল না।

তিনি প্রবাসে বসবাসরত পেশাজীবীদের প্রতি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিষয়ে দিকনির্দেশনা নির্ধারণে চিন্তাভাবনা প্রকাশ করে বিএনপিকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। বিএনপি যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কায়েসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক দুই সভাপতি শাহগীর বখত ফারুক ও মকিম আহমেদ, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক এম এ মালেক, মানবাধিকার সংগঠক এম এ হাসনাত, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ওহিদ আহমেদ, ফরেস্ট গেট মসজিদের ইমাম মাওলানা শামসুল হক বক্তব্য দেন।

এঁদের মধ্যে এম এ হাসনাত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের সপ্তাহে বিএনপির নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে বলেন, এসব নেতা ঢাকায় থাকার পরও খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাঠে নামেননি। তিনি বলেন, তারেক রহমানকে তাই নতুন কিছু দিতে হবে। তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে কার্যত গৃহবন্দী রাখার সময়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্যদের কাছে বারবার অনুরোধ জানিয়েও তাঁদের কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

অেসন বলেছেন: শেখ মুজিব যখন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হন তখন বাংলার প্রথম রাষ্ট্রপতি(!)
জিয়াউর রহমান কোথায় ছিলেন ? নাকি বাধা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ
হয়েছিলেন তার স্ত্রীর মতো ! মানসিক ভারসাম্যহীনের কাছ থেকে বাংলার
আরো নুতন নুতন ইতিহাস শুনার অপেক্ষায় রইলাম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

এম.কে.চয়েস বলেছেন: অাপনার প্রশ্নটি ভালভাবে পড়ুন। তারপর বলুন আপনি কি বলতে চাইছেন ?
শুধু পাল থাকলেই নৌকা চলে না, মাঝিরও দরকার পড়ে নৌকা চালাতে।
শেখ মুজিব যদি পাল হয় তবে, জিয়া ছিলেন মাঝি, কারণ বাংলাদেশ তখন মাঝি ছাড়া নৌকা ছিল না। যে মাঝি তার লক্ষ্যে পৌছে তবেই থেমেছেন এবং বাংলায় স্বাধীনতার ঝান্ডা তুলেছেন।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

অেসন বলেছেন: জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। আরো অনেকে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন ওসমানী। কারো অবদানই খাটো করে দেখার উপায় নেই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সবাই (জিয়া সহ) মুজিব সরকারের চাকুরীতে যোগ দিয়েছিলেন। তারেকের মতো এমন অবান্তর প্রশ্ন নিশ্চয়ই জিয়াউর রহমান
করে নাই !

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

এম.কে.চয়েস বলেছেন: তাহলে আমি বড় আর সে ছোট, এই মনোভাব ছুড়ে ফেলাই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি।

আর কখনও কি শুনেছেন প্রধান শিক্ষক প্রমোশন পেয়ে সহকারী শিক্ষক হয় ?

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০০

অেসন বলেছেন: রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে রাষ্ট্রপতি প্রধান শিক্ষক। আর সংসদীয় পদ্ধতিতে
প্রধানমন্ত্রী প্রধান শিক্ষক।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

এম.কে.চয়েস বলেছেন: বাংলাদেশে কি এক সাথে দুই ধরনের শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল ?

আমি যতটুকু জানি মুজিব একনায়কতন্ত্রের/বাকশালের দিকে ঝুকে পড়ার কারণে এদেশের মানুষ ক্ষেপে গিয়েছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.